User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আহ্ হুমায়ুন আহমেদ এর সৃষ্টি সেরা রম্যরচনা।
Was this review helpful to you?
or
সালাউল্লার মহাবিপদ বইটার প্রথম প্রকাশ ২০০৯। ঐ সময়ের রাজনৈতিক পরিবেশের প্রতিফলন কিনা নিশ্চিত না। কমেডি মনে হবে পাঠকের কাছে। সিরিয়াস পাঠক বুঝবেন এটা সিরিয়াস লেখা। রাজনৈতিক অসঙ্গতিকে রম্যের মাধ্যমে তিরস্কার করা হয়েছে। রূপক ধর্মী লেখা। বড়দের জন্য লেখা। এই ভূত ভূত না। বিকারগ্রস্ত চরিত্রগুলো, যেমন- জাবিনের বাবা সানাউল্লাহ, যার সাথে দুটো ভূত সার্বক্ষণিক থাকে, হমডু ও ডমরু— এরা তাঁকে বাবা ডাকে। উন্মাদ ব্যক্তির মতো ভূত দুটোর লালন পালনের দায়িত্ব নেন সানাউল্লাহ। অথচ তার মেয়ে জাবিন যখন পরিস্থিতি খারাপ বুঝে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে আসে বাবাকে সাথে করে নিয়ে যাবে বলে, মেয়ের থেকে তিনি নিরাপদ দূরত্বে আশ্রয় নেন ঠিকই। চমৎকার গল্প।
Was this review helpful to you?
or
এই বই আমার পড়া বই গুলোর মধ্যে বেস্ট ছিলো।কারন হুমায়ুন আহমেদকে যখন এই বইটির ব্যাপারটা জিজ্ঞাস করা হয় তখন তিনি বলেন এটি বড়দের জন্য লেখা রুপকথা।বইটি অনেক মজার এবং অনেক কমেডি আছে। so that's very nice..
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা br বইয়ের নাম: সানাউল্লার মহাবিপদ।br লেখক : হূমায়ুন আহমেদ।br প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ।br মূল্য: ১৪০টাকা।br সানাউল্লাহ কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাবে রিটায়ার করেছেন। অতীশ দীপঙ্কর রোডে একটা টিনশেড বাড়িতে একা থাকেন।সাবাইকে বলে বেড়ান_ সুখে আছিরে ভাই, মহাসুখে আছি।br তার কাজের ছেলের নাম রফিক। সে বাজার করে, রান্না করে এবং রাতে খাবার পর সানাউল্লাহর সঙ্গে ডিভিডি প্লেয়ারে হিন্দি ছবি দেখে।br এক সকালে রফিক বাজারের টাকা এবং ডিভিডি প্লেয়ার নিয়ে পালিয়ে যায়।এর থেকেই শুরু হয় সানাউল্লার মহাবিপদ গল্পের শুরু।br রফিক চলে যাওয়াতে সানাউল্লাহ ভালো ঝামেলায় পড়েন। তাকে এখন রেস্টুরেন্ট এর খাবার খেতে হয়।অতিরিক্ত মসলা এবং ঝাল দেয়া খাবার।মুখের ঝাল দূর করার জন্য ফ্যান ছেড়ে হা করে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে থাকেন।এই সময় এক কান্ড ঘটে। তার খাটের নিচে খচমচ শব্দ হতে থাকে।তিনি নিচু হয়ে দেখলেন,ছয় সাত বছরের একটা বাচ্চা চুপচাপ বসে আছে।তার পরিচয় জানতে চাইলে সে বলেbr তার হমডু আর তার বোনের নাম ডমরু। তারা নাকি ভূত।তাদের বাবা দেশান্তরি হওয়াতে তাদের মা তাকে খুজতে গেছে।br এদের নিয়েই শুরু হয় সানাউল্লার বিচিত্র সব কান্ড।সানাউল্লার তাদের খাবার জন্য মধু কিনে আনেন।হমডুর জন্য শার্ট, হাফপ্যান্ট,রাবারের জুতা, কিনলেন। অনেক খেলনা ও কিনলেন যদিও ভূতের বাচ্চারা এইসব খেলনা পছন্দ করে কি- না তিনি জানেন না।br ডা. আবু করিম,,,,br ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিনের প্রাক্তন শিক্ষক। চিকিৎসক কিংবা অধ্যাপক কোনোটাতেই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তিনি আচার বানানোতে বিশেষ পারদর্শিতা লাভ করেছেন। তার বানানো বিশেষ বিশেষ আচার এর বর্ণণা বইটি পড়লেই জানতে পারবেন।br হামিদুর রহমান,,,br সানাউল্লার খালাতো ভাই হামিদুর রহমান।হামিদ অতি প্যাঁচ খেলা লোক।স্বভাব গিরগিটির মতো।সরকার বদলের সঙ্গে দলবদল।নিজের ক্যাডার বাহিনী আছে।এদের দিয়ে তিনি যাবতীয় কুকর্ম করান।br বইয়ের সব চরিত্রই খুব মজার। সব মিলায়ে বইটি অসাধারণ।। br br
Was this review helpful to you?
or
প্রথমেই বলে রাখি, 'সানাহউল্লাহর মহাবিপদ' বইটা আমার ভালো লাগেনি। কেন ভালো লাগেনি সেটা ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারব কিনা বুঝতে পারছি না। এই বইয়ের ফ্ল্যাপেই লেখা আছে যে হুমায়ুন আহমেদের বিচিত্র লেখাসমূহের মধ্যে এটি অন্যতম। তবে এই বৈচিত্র্য কতখানি, সেটা বোঝা দরকার। বস্তুতই এই উপন্যাসটি এতই বিচিত্র যে পাঠকবিশেষে এই উপন্যাসটি 'হাই থট' আবার 'হাইট অব ননসেন্স' হিসেবে গৃহীত হতে পারে। আমার কাছে দ্বিতীয়টাই গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। এই উপন্যাসে একের পর এক যেসমস্ত ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে, সেগুলোর মোটামুটি সবই চূড়ান্ত রকমের আজগুবি। যেমন সানাহউল্লাহ নামক ব্যক্তির বাড়িতে দুটো ভূত এসে উঠল আর সানাহউল্লাহ সাহেব পরম আদরে সেই দুই ভূতকে পুষতে শুরু করলেন। পরবর্তিতে ভূতের বিষয়ে তিনি এতটাই অবসেসড হয়ে পড়লেন যে ভূত বিষয়ক গবেষণাধর্মী বইও লিখতে শুরু করলেন। হামিদ নামের চরিত্রটিকে সানাহউল্লাহ সাহেব একদিন কায়দা করে ব্যাটারি খাওয়ালেন আর সেই থেকে হামিদ সাহেব নিয়মিত ব্যাটারি খাওয়া চালিয়ে যেতে লাগলেন। এক সময় তিনি ঠিক করলেন তার সারাজীবনের আয় রোজগার ব্যবহার করবেন ঢাকা শহরের কাকদের খাওয়াতে যাতে মৃত্যুর পর লোকে তাকে কাকদরদী নেতা বলে ডাকতে পারে। আবু করিম নামের আরেক ডাক্তারের চরিত্র আছে যিনি ডাক্তারি বাদ দিয়ে নিত্য নতুন বিচিত্র রকমের আচার তৈরি করেন। ইসমাইল হোসেন নামের এক অধ্যাপকের চরিত্র আছে যিনি সারাদিন শুধু পদার্থ বিজ্ঞানের বুলি আউড়ান। এক সময় তিনি লেগে গেলে ভূত আছে কিনা তা কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূত্রের মাধ্যমে প্রমাণ করতে গাণিতিক সমাধানে। সানাহউল্লাহ সাহেবের জামাই মাসুদের চরিত্রকে দেখা যায় মিথ্যা মামলায় পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হতে এবং এরপর একে একে সে উদীচী বোমা হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়তে। এরকমই এই উপন্যাসে আরও অনেক অবিশ্বাস্য ঘটনার উল্লেখ আছে। সে কারণেই আমার কারণে উপন্যাসটিকে পুরোপুরি 'ননসেন্স' বলে মনে হয়েছে। তবে অনেকসময় দেখা যায়, আপাতদৃষ্টিতে ননসেন্স অনেক কাহিনীর মাধ্যমে কাহিনীকার রূপক অর্থে অন্য কোন বিষয়ে আলোকপাত করছেন। কিন্তু 'সানাহউল্লাহর মহাবিপদ' উপন্যাসে আমি বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ কিছুর হদিস পাইনি। রাজনীতি ও সমসাময়িক কিছু বিষয়ে হয়ত অল্প বিস্তর স্যাটায়ার লেখক করেছেন কিন্তু তার পরিমাণ খুবই কম। তাই সার্বিকভাবে এই উপন্যাসটিকে 'হাইথট' এর তকমা বোধ হয় দেয়া যায় না।