User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
this book was pretty interesting
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। লেখকের চিন্তাধারা সত্যিই অসাধারণ। বইয়ের ভাষা ও কাহিনীও বোধগম্য। পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমার পছন্দের একজন লেখক হুমায়ুন আহমেদ। তার লেখা প্রত্যেকটা বইয়ের মতোই এই বইটিও পড়ে অনেক ভালো লাগলো। লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়ে গেল।☺️?
Was this review helpful to you?
or
i must love this book
Was this review helpful to you?
or
বইটি আসলেই দারুণ।
Was this review helpful to you?
or
humayun Ahamed er pora aro ekti valo boi...prothom theke sesh porjonto onk valo legeche..
Was this review helpful to you?
or
Book Ta Amar Valo lagsa.
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
গল্পটা রনি নামের একটি নয় বছরের ছেলের। যার জন্মের সময় মা মারা যায় এবং ক্লাস টুতে যখন পড়ে তখন বাবা মারা যায়। তারপর আইনিভাবে দাদা ও সৎ বাবা মায়ের মধ্যে রনির থাকার জায়গা হয় সৎ বাবা মায়ের কাছে। রনি খুব চঞ্চল ও দুরন্ত হলেও বড়লোকের সন্তান হওয়ায় তাকে বাহিরের কারো সাথে মিশতে দেওয়া হয়না। সবসময় চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকতে হয়। স্কুল টু বাসায় হলো তার প্রতিদিনকার ভ্রমন। রনির বাসায় সবসময়ের সঙ্গী ইদরিস চাচা আর স্কুলে তেমন বন্ধু নাই কিন্তু লুতফা নামের একটি মেয়ে তার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই এবং সবসময় রনিকে বিরক্ত করতে থাকে। রনি সারাদিনে বাসায় অনেকগুলো প্রাইভেট পড়ে। এরমধ্যে রনিদের বাসায় রনির আর্ট টিচার হওয়ার জন্য এক শিক্ষক আসে নাম মোহাব্বত আলী সে রনিকে সংক্ষেপে হাব্বত আলী ডাকতে বলে। যাকে রনির পছন্দ হয়। রনির সেই টিচারের সাথেও রনির ঘুড়তে ভালো লাগে। রনির কাছে তার এই স্যারকে রহস্যমানব বলে মনে হয়। রনি অনেক উদ্ভট উদ্ভট কান্ড করে। মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। রাতের বেলা ইদরিস চাচাকে ভূত সেজে ভয় দেখায়। ছেলেটা বইয়ে এক দূরন্ত চঞ্চল বুদ্ধিমান রনি নামের ছেলেটার গল্পই বলা হয়েছে। এই বইটা পড়ার সময় আমি একটুও বোরিং ফিল করিনি। অনেক হেসেছি বইটি পড়ার সময়। বইটির গল্পটা এমন যে আমাকে শেষ পর্যন্ত গল্পে ধরে রেখেছে। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখাতো বরাবরই আমাকে চুম্বকের মত টানে। ছেলেটা বইয়েও স্যারের চিরচেনা সেই লেখনী এবং সেন্স অব হিউমারের উপস্থিতি ছিল। বইটি কিশোর উপন্যাস হলেও সব বয়সের মানুষরই বইটা পড়ে ভালো লাগবে বলে আশা করি। বইটা পড়ার সময় আপনার মনে একটা নষ্টালজিক অনুভূতিও এনে দেবে। সবমিলিয়ে বইটা অনেক সুন্দর ছিল। এই ছেলেটা ভ্যালভ্যালেটা আমাদের বাড়ি যাবি? এক পয়সার মুড়ি দেব পেট ভরে খাবি!"
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Very Nice
Was this review helpful to you?
or
রকমারি রিভিউঃ বইঃ ছেলেটা। লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ। প্রকাশনীঃ সময় প্রকাশন। মূল্যঃ ১৫০ টাকা। পৃষ্ঠাঃ ৮৫। রনির মা-বাবা দুজনই তার সৎ মা-বাবা। কিন্তু তারা রনির ওপর কোনো অবহেলা করেন না। শহুরে ব্যস্ত ও চাপের জীবনে রনি একটু প্রশান্তি খুঁজে পায় যখন রনির আর্ট টিচার হিসেবে মুহাব্বত আলী ইন্টারভিউ দিতে আসে। কিন্তু তাকে রাখা না হলেও হঠাৎ হঠাৎ সে রনির কাছে আসে আর তখন মজার সব ঘটনা ঘটে। কী সেই ঘটনা? জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
nice story
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার এবং উপভোগ্য
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সব কিশোর গল্প আমি পড়েছি। এর মধ্যে এই বইটি আমার সবচেয়ে প্রিয়। এই বইটির কাহিনী আমার অসাধারণ লেগেছে। রকমারি থেকেই আমি এই বইটি অর্ডার করেছিলাম। বইটি রকমারি আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কারণে রকমারিকে ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ♥
Was this review helpful to you?
or
বইটি না পড়লে মিস করা হবে। তাই...
Was this review helpful to you?
or
রনির বাবা-মা নেই। সে থাকে তার সৎ পিতামাতার সংগে। রনিকেই লেখা হুমায়ুন আহমেদের এই শিশুতোষ গল্প। সাধারনত শিশুতোষ গল্পসমূহ মজাদার ও আকর্ষনীয় হয়। কিন্তু এ গল্পটির লেখনি কিছুটা একঘেয়েমিতে আক্রান্ত। যা কিনা হুমায়ুন আহমেদের জন্য বড়ই বেমানান। এছাড়া গল্পের দিক দিয়ে 'ছেলেটি' বইটি মন্দ নয়। ৩/৫।
Was this review helpful to you?
or
রনি খেয়াল করেছে বেশিরভাগ দুঃসংবাদ সে সকালবেলা নাস্তার টেবিলে পায়।সে আজকেউ একটি খারাপ খবর নাস্তার টেবিলে সকালেই পেয়েছে।দুঃসংবাদটি হলো তার জন্য আরেকজন টিচার ঠিক করা হয়েছে।যে রনিকে আর্ট শিখাবে।রনির জন্য দুঃ সংবাদ কারন সে এত টিচারের কাছে পড়তে চায় না।তার এছাড়াও আরো টিচার রয়েছে।যে আর্ট শিখাতে এসেছে তার নাম হলো মুহাব্বত আলি।রনিকে দেখে অনেকে ভাবে সে অনেও কষ্টে আছে।এর কারন হলো তার সৎ বাবা সৎ মা।রনির আপন মার মৃত্যুর পরে তার বাবা বিয়ে করে তখন রনির হয় সৎ মা।তার বাবাও মারার যাওয়ার পর তার মা আবার বিয়ে করে তখন হয় সৎ বাবা।যদিও রনি কষ্টে থাকে না কারন তারা রনিকে ভালোই আদর করে।রনি ভালোই আছে।শুধু রাতের বেলা একটু খারাপ লাগে যখন একা ঘুমাতে যায়।যদিও পুরাপুরি একা ঘুমায় না তার দাদা তার পাহারা দেওয়ার জন্য এক লোক রেখেছে যে কিনা রনির সামনের মেঝেতে শোয়।সে লোককে রনির দাদা রেখেছেন কারন তার ধারণা রনির বাবা-মা তাকে মেরে ফেলতে পারে সম্পওির লোভে।তার আসল বাবা মারা যাওয়ার সময় রনির নামে কোটি-কোটি টাকার সম্পওি রেখে গেছেন।রনি তার দাদাকে মোটেও পছন্দ করে না।রনিকে সে নিজের কাজে রাখতে অনেক চেষ্টা করত কিন্তু রনি তার কাছে থাকতে চায় না।রনির স্কুল একদিন তাড়াতাড়ি ছুটি হওয়ায় সে অনেকক্ষন যাবত স্কুলে বসে থাকে।তাকে নেওয়ার জন্য কেউ আসে না তার উপরে তার ম্যাডাম অনেক রেগে যায়।তখন তার আত্নীয় পরিচয় দিয়ে তাকে নিয়ে আসে হাব্বত আলি।রনিও তার সাথে চলে আসে।তার সাথে রিকশায় অনেকক্ষন কথা হয় রনির।তাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে আসে।রনি যে একা বাসায় চলে এসেছে এই খবর জানার পর একে একে সবাইতাকে চিন্তিত মুখে সব জিজ্ঞেস করে।কিন্তু রনি কার সাথে এসেছে তা সে কাউকে বলে না।পুলিশ পর্যন্ত আসে ওদের বাসায়।রনির দাদার ধারণা তার সৎ বাবা সৎ মা এই কাজ করিয়েছেন।তাকে কিডন্যাপ করাতে চাচ্ছে।কিন্তু রনি জানে যে সে হাব্বত আলির সাথে এসেছে।কিন্তু তার কথা কাউকে বলে না।রনির দাদা তার বাবার নামে কেইস করে।তার দাদা তাকে এই কথা বলে এবং বলে যে সে যেন উকুল যা বলে তাই বলে আর এও বলে তার ছুটির পর তার গাড়ির লোকের সাথে চলে আসতে।কিন্তু রনি স্কুল ছুটির পর লুকিয়ে পরে।তাকে কেউ খুজে পায় না।এই নিয়ে অনেক সমস্যা তৈরি হয়।টিভিতে পর্যন্ত খবর দেয় রনি বিষয়ে।তাকে কেউই খুজে পায়না।এদিকে তার জন্য তার বাবা-মা কান্না-কাটি করা শুরু করে।রনিকে কেউ খুজে না পেলেও হাব্বত ঠিকই খুজে পেয়েছে।রনি খেয়াল করেছে হাব্বত আলিকে জিজ্ঞেস করবে সে কিভাবে তাকে খুজে পেয়েছে।কিন্তু পরে আর জিজ্ঞেস করে না সে খেয়াল করেছে হাব্বত আলি কি করে যেন সব কিছুই জানে।এদিকে রনির জন্য মন খারাপ করে অপেক্ষা করছে লুতপাইন।লুতপাইন আর রনির একি ক্লাসে পড়ে।এর পর হাব্বত আলিকে রনি অনেক দিন খুজেছে কিন্তু আর দেখা হয়নি।রনির বিয়ের দিন তাকে আবার দেখে রনি প্রথমে পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে ছোটদের গল্প যেহেতু তাই বেশি একটা মজা পাবো না।কিন্তু যখন পড়তে শুরু করলাম তখন সব ধারনা ভুল প্রমাণিত হলো।লেখক এমন ভাবে গল্পটা লিখেছে যেকেউ পড়ে মজা পাবে।যেকেউ পড়া শুরু করলে আগ্রহ নিয়েই পড়বে।বিশেষ করে হাব্বত আলির কাহিনি পড়ে অনেক মজা লেগেছে।সে আগে থেকেই অনেক কিছু জানে,যখন রনির কাউকে দরকার তখনই সে এসে হাজির হয়।গল্পটা ছোট বড় সবাই পড়েই মজা পাবেন।তাই সবাই পড়বেন এই বইটি।ভালো লাগবে এই আমার বিশ্বাস।
Was this review helpful to you?
or
nice book
Was this review helpful to you?
or
রনি নামের একটি ছোট্ট ছেলেকে নিয়েই এ গল্পের কাহিনী। পিতৃমাতৃহীণ এই ছেলের বসবাস তার সৎমা ও সৎবাবার সাথে। জন্মের সময় তার মা মারা যাওয়ার তার জীবনে এই সৎমার আগমন। পরবর্তীতে তার বাবাও মারা গেলেন, তখন সৎমা সালমা বানু আবার বিয়ে করলেন মজিদ নামের এক ভদ্রলোককে, সেই ভদ্রলোক হয়ে গেলেন রনির সৎবাবা। সৎমা-সৎবাবা নিয়ে রনির অবশ্য কোন দুঃখ নেই, তবে কারো সহানুভূতি সে সহ্য করতে পারেনা। রনির দাদা আসগর আলি প্রচন্ড রাগী মানুষ, তার কাস্টডি নেয়ার জন্য এই ভদ্রলোক প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু রনি যেখানে আছে সেখানেই থাকতে চায়। রনিদের ক্লাশে লুতপা নামের একটা মেয়ে আছে, যে বন্ধুদের কাছে লুতপাইন নামে পরিচিত। এই মেয়ের যন্ত্রনায় শান্তিতে ক্লাস করার উপায় নেই। সে সর্বক্ষণ রনির আগেপিছে ঘুরতে থাকে; মেয়েটার হাবভাব মোটেই ভাল লাগেনা রনির। একদিন রনিদের বাসায় তার আর্ট টিচার হিসেবে ইন্টারভিউ দিতে এল এক অদ্ভুত লোক। লোকটির মলিন বেশভূষা দেখে সালমা বানু তাকে বাতিল করে দিলেও রনির কিন্তু লোকটিকে ভীষণ পছন্দ হয়ে গেল। মোহাব্বত আলী নামের এই লোকটির সাথে এর পর থেকেই মাঝে মাঝে তার দেখা হয়ে যেতে লাগলো। সোনার খাচায় আটকে থাকা শিশু পেল খোলা আকাশে মুক্ত বিহঙ্গের স্বাদ। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ শিশুতোষ গল্প। তাই হয়তো ভাল লাগেনি। তবে স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাদের ভাল লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
এই ছেলেটা ভ্যালভ্যালেটা আমাদের বাড়ি যাবি? এক পয়সার মুড়ি দেব পেট ভরে খাবি। গল্পের শুরু এভাবে রনি একজন সত্ বাবা এবং সত্ মায়ের ছেলে। বুঝিয়ে বলছি তার আসল মা মারা যাবার পর তার বাবা আরেকটি বিয়ে করে এবং তার বাবা জাহাজডুবিতে মারা গেলে তার সত্ মা আরেকজনকে বিয়ে করে তাই সত্ মা এবং সত্ বাবা। তার আসল বাবা মারা যাবার আগে তার জন্য রেখে যায় অঢেল সম্পত্তি ভালই যাচ্ছিল তাদের দিন কিন্তু গল্পে ভিলেন না থাকলে কি জমে, ভিলেন রূপে আসলো না সত্ মা বাবা না তার আপন দাদা আসগর আলি। তিনি একটার পর একটা মামলা করতে লাগল তার সত্মা বাবার নামে যে তারা রনির খেয়াল রাখছেনা যাতে রনির দায়িত্ব হয় তার দাদার আর সম্পত্তি ভোগ করতে পারে সে। আর এমন সময় উদ্ভব রনির আর্ট টিচার হাব্বত আলির। শুরু হল রহস্যের তার মৃত বাবাকে রনির ঘরে দেখতে পাওয়া, রনির স্কুল থেকে হাওয়া হয়ে যাওয়া আবার ফিরে আসা আর পেছনে লেগে রইলো তার ক্লাস টুয়ের গার্লফ্রেন্ড লুতপাইন যাকে সে একটুও পছন্দ করেনা। সব রহস্যের সমাধান করতে চলে এল পুলিশ অফিসার যে শুধু পারে রনির খেলনা নিয়ে খেলতে। একদিন সত্যি সত্যি হারিয়ে গেল রনি নাকি এটি সাজানো নাটক! পুলিশ কি পারবে সব রহস্যের কিনারা করতে!!! আরো রয়েছে হাব্বত আলির মজার মজার ঘোত্ চিকিত্সা পুরোটা জানতে হলে পড়তে হবে ছেলেটা।
Was this review helpful to you?
or
best best best book???
Was this review helpful to you?
or
বইটি সম্পর্কে বলার কিছুই নেই । অত্যাধিক মজার ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। পড়তে পড়তে এক সময় গিয়ে মনে হচ্ছিলো হুমায়ুন আহমেদ যেন আমার জন্য বইটি লিখেছেন। গল্পটা মন ছুয়ে গেলো সত্যি
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : ছেলেটা লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক : সময় প্রকাশন মুদ্রিত মূল্য :১৪০ টাকা ক্যাটাগরি : কিশোর উপন্যাস ব্যক্তিগত রেটিং :৯/১০ আমরা প্রায়ই শুনে থাকি তার সৎ মা বা সৎ বাবা। কিন্তু বাবা মা দুইজনই সৎ বাবা মা তা আমরা শুনি বা দেখি না বলেলই চলে। আবার তাও দেখাযায় সৎ বাবা মা খারাপ হয়। হুমায়ুন আহমেদের 'ছেলেটা' উপন্যাসে সৎ বাবা মা তাদের ছেলেকে অনেক ভালোবাসে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই....আর কিছু বলা কী দরকার ???
Was this review helpful to you?
or
গল্পের ছেলেটার নাম রনি। ছোট্ট একটা ছেলে। ছেলেটার আসল বাবা-মা নেই। ওর বাবা এবং মা দুজনই নকল অর্থ্যাৎ সৎ। কারো হয়তো সৎ বাবা আপন মা কিংবা আপন বাবা সৎ মা হয়। কিন্তু এই ছোট্ট ছেলে রনির বাবা-মা দুজনই সৎ। রনির জন্মের পর মা মারা যায় এবং বাবা আরেকটা বিয়ে করেন। সংসারে আসলো সৎ মা। রনি যখন ক্লাস টু তে পড়ে তখন তার বাবা সমুদ্রে ডুবে মারা যান এবং তারপর সৎ মা আরেকটা বিয়ে করেন। ব্যস, আপন বলতে আর কেউ থাকলো না রনির। ও না, ভুল বললাম। আপন বলতে আছে রনির দাদা আসগর আলী। যিনি রনির দায়িত্ব নিতে চান। এবং একারণে মামলা করেছেন তিনি। রনিকে প্রায়ই কোর্টে যেতে হয়! রনির সৎ বাবা-মায়ের কাছে কোন অসুবিধাই হয় না। সে তার মতো তার জগৎ নিয়ে ব্যস্ত। স্কুল, কোচিং, প্রাইভেট নিয়েই রনির ব্যস্ততা। রনির দাদা রনিকে নিতে চাইলেও সে যেতে রাজি না। রনির তেমন কোন বন্ধু নেই। রনির ক্লাসে লুতপা নামের এক মেয়ে আছে যে সারাক্ষণ রনিকে নকল করে, জ্বালায়। রনি তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। আবার যেদিন লুতপা আসে না স্কুলে তখন লুতপাকে রনি খুব মিস করে। লুতপা ক্লাসে লুতপাইন নামে পরিচিত। হটাৎ একদিন রনির পরিচয় হয় হাব্বত আলীর সাথে। রনির আর্ট টিচার হিসেবে রাখার কথা থাকলেও রনির মায়ের পচ্ছন্দ হয় নি হাব্বত আলীকে। কিন্তু হাব্বত আলীকে ভীষণ পচ্ছন্দ রনির। গন্ডির ভিতর বড় হয়ে উঠা রনিকে কেউ বুঝতো না। এতদিন পর মনের মতো একজন মানুষকে পেলো রনি যে তাকে বুঝে। শুরু হলো রনির অন্যরকম এক জীবন........! তারপর? তারপরের গল্পটুক জানতে না হয় পড়ে ফেলুন বইটি।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের সব থেকে ভালো কিশোর উপন্যাস বইয়ের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ছেলেটা। কিশোরদের জন্য উপযুক্ত বই। রনি ছেলেটির বাবা না থাকলেও তার সৎবাবাও তার অনেক খেয়াল রাখে। কিন্তু তার দাদা হলো গল্পের দুষ্ট চরিত্র। গল্পের শেষে রনি তার বন্ধু লুৎপাকে বিয়ে করে এবং শান্তিতে বসবাস করতে শুরু করে ।
Was this review helpful to you?
or
ছেলেটা! নাম রনি...ফোর্থ স্ট্যান্ডার্ডে পড়ে। তাদের ক্লাসে দুজনের সৎ বাবা আর একজনের সৎ মা আছে। শুধু তার সৎ বাবা ও সৎ মা! মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা আরেকজনকে বিয়ে করে। বাবা মানে আসল বাবার মৃত্যুর পর সৎ মা আবার বিয়ে করেন। তবে তারা দুজনই বেশ ভালো। রনির কোনোকিছুতেই বাধা না দিয়ে কেয়ার রেখে যাচ্ছেন। অন্যদিকে দাদা আসগর সাহেব ! নাতির কাস্টডি নেয়ার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। দাদাজান লোকটাকে রনির পছন্দ না তেমন। সবকিছু সন্দেহের মত করে দেখে, তুই তুই করে বলে। ধরাবাধা নিয়মের জীবন রনির পছন্দ নেই। এরই মাঝে গল্পে আসেন হাব্বত আলি, আর্ট টিচার হিসেবে রনিদের বাড়িতে ইন্টারভিউ দিতে আসেন। রনির লোকটাকে খুউব পছন্দ হয়। কিন্তু মা মানে নকল মা হাব্বত আলির নাম আর চেহারা দেখে সোজাসুজি না বলে দিলেন। লোকটার জন্য খারাপ লগে রনি। কিন্তু কিছু বলা যাবে না , বড়রা এমনই.... রনিদের স্কুলে আজ বেশ খারাপ অবস্থা। জানা গেল তাদের এক টিচার মারা গেছেন। তাই স্কুল ছুটি। গার্জিয়ানদেরর ফোন করা হচ্ছে কিন্তু রনির বাসায় যে কেউ তোলছে না । এদিকে এসে জুটেছে লুতপা। মেয়েটা অঙ্কে খুব ভালো। আইনস্টাইনের সাথে মিলিয়ে সবাই ডাকে লুতপাইন। এই লুতপাইন মেয়েটা বড়ই বিরক্তিকর। রনিকে সব জায়গাতে কপি করে, রনি এলিয়েনের ছবি আঁকলে তা চেয়ে নিয়ে যাবে। রনি মাঝে মাঝে খারাপ ব্যবহার করে ফেলে লুতপাইনের সাথে। কিন্তু এসবের মাঝে হঠাৎ আবার আগমন ঘটে হাব্বত আলির। লোকটা বড়ই অদ্ভুত। কিন্তু ভালো লাগে রনির। এদিকে তার বাবা মা আর দাদা উঠে পড়ে লেগেছে রনির ব্যাপারে। তাকে সার্বক্ষণিক প্রটেকশন দেয়া হচ্ছে। এরই মাঝে হঠাৎই হাব্বত আলির সাথে দেখা হয়ে যাচ্ছে। এসবের ভেতর আবার ঢুকে পরে ইনস্পেক্টর আফসার উদ্দীন....রনি ক্রমাগত মিথ্যা বলে যাচ্ছে। কেন? জানা গেল নাজমা মিস মারা যাননি, গুরুতর আহত! আর এই হাব্বত আলিই কেন বারবার রনির কাছে আসছেন? শেষটা কোথায়? #প্রতিক্রিয়া রনি ছেলেটা বেশ মজার। বইটা মুলত কিশোর কিশোরদের কথা মাথায় রেখে লেখা। যেহেতু বইটা পড়ার সময় আমি সেই বয়সটাতে ছিলাম, তাই রনি আর আমার মাঝে মিল খুঁজে পেয়েছি। যেটা বইটাকে উপভোগ্য করে দিয়েছে। প্রতিটা চরিত্রই নরমাল আবার সবগুলো চরিত্রই কোনো না কোনোভাবে এবনরমাল। এমন দ্বৈত চরিত্রের মিশেল হুমায়ূন আহমেদকে ছাড়া আর কে করতে পারেন!!.. উনার ভাষা নিয়ে বলা নিষ্প্রয়োজন মনে করছি। ভাষাগত দিকটা বেশ ভালো। বানান ভুল চোখে পড়েনি তেমন।আর হ্যাঁ প্রতিটা বই এর মতো একটা রহস্য টেনে ছেড়ে দিয়েছেন সেটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে.... বইটার কাহিনী বিস্তার বেশ ভালো ছিল প্রথমদিকে, শেষদিকে এসে মনে হয়েছে তাড়াতাড়ি টেনে শেষ করে দিয়েছেন। শেষটাতে আরো কিছু লেখা দরকার ছিল। বইটা কিশোরদের জন্য একেবারই পার্ফেক্ট। একজন ফোর্থ স্ট্যান্ডার্ডে পড়ুয়া ছেলের দৃষ্টিতে গল্প এগিয়েছে, আর শৈশবের মজার দিনগুলো মনে পড়েছে। বইটা পড়ে অন্তত শৈশবের স্বাদ পাবেন। তাই বা কম কিসে! গল্পের অন্যান্য দিক বোনাস। তো পড়বেন না কেন বইটা?