User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Luna Rushdi

      07 Feb 2013 01:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      যেদিন আমি সাগুফতা শারমীন তানিয়ার লেখা ‘অলস দিন – খয়েরী পাতা- বাওকুড়ানি’ পড়তে শুরু করেছিলাম, সেইদিন ঘুম ভেঙেই দেখেছিলাম বৃষ্টি। সারারাত ঘুমের ভেতরেও শব্দ শুনেছিলাম। ভোরে জানালার কাঁচে দেখলাম ফোঁটায় ফোঁটায় জমে ধারা হয়ে যাচ্ছে, ওদের আর আলাদা করা যাচ্ছে না। আগের দিনের মেলে দেয়া একটা একলা টি শার্ট খুব দুঃখী ভঙ্গিতে ভিজছিল। জানালার ব্যপ্তির বাইরে পাখিরা ডাকছিল, আমি শুনছিলাম ওদের – না দেখেই। ঘরের ভিতরে ঘুরছিল একটা ক্লান্তিময় বিষন্ন আলস্য। বইয়ের নামটাই একটা ছবি। যেন জানালায় খুব একলা কেউ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঝড় দেখছে, সেই ঝড়ে উড়ছে অনেক আগে ঝরে পড়া খয়েরী হয়ে যাওয়া পাতারা, উড়তে উড়তে উড়তে উড়তে...কোথাও যাচ্ছে না। শুরুর প্যারাগ্রাফেই চমকালাম। “আপনি লিখেছেন আপনি নেহাত সততা এবং গভীর আন্তরিকতার সঙ্গে সম্পর্কগুলি বজায় রাখেন। শুরুটা স্বাভাবিক হলেও পরবর্তীতে আপনার প্রতি প্রাথমিক টানটা কারোর থাকেনা...অথচ মানবসম্পর্কগুলির বাইরে আপনি কর্মজীবনে কৃতী এবং নিষ্ঠাবান...” হায় হায় আমাকেই বলছে নাকি? নাঃ মুল চরিত্র জেসমীন পড়ছে পত্রিকায় অ্যাগোনি আন্টের কলাম। এইভাবেই তানিয়ার সৃষ্ট জেসমীনের জীবনে আমি তেমন কিছু বুঝে ওঠার আগেই জড়িয়ে যেতে থাকি । ইওরোপীও কোন দেশে থাকে জেসমীন। ঠিক কোথায় বলা নেই স্পষ্ট করে। তবে তার সিঁড়িবারান্দার সামনে আছে নাশপাতিগাছ, সেখানে সাদা ফুল ফোটে আর কাঠপায়রারা দোল খায়। ছুটির দিনে বিয়র হাতে শ্বেতাঙ্গীনিরা গল্প করে রোদে গা এলিয়ে। জেসমীন চল্লিশোর্ধ, হয়তো একা থাকে। সে চাকরী করে কোথাও, সারা সপ্তাহে সকাল বিকাল আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেনে যাতায়াতের ক্লান্তি ঘিরে থাকে তাকে, তাই ছুটির দিন খুব আদরের তার কাছে। এরকম দিনে ঘুমায় জেসমীন আর স্মৃতিচারণ করে চুপচাপ। আমিও তার অতীতে ফিরি বইয়ের পাতায়। শব্দে শব্দে ছবি আঁকেন তানিয়া। তারপর ম্যাজিকের মতন শব্দগুলো তলিয়ে যায়, শুধু ছবিটা ভেসে থাকে। আমার জানালার বর্ষণমুখরতার সমান্তরালে ভেসে ওঠে জেসমীনের গ্রামের বাড়ির নাকবারান্দায় আশ্বিনের সকাল। সেখানে আগের রাতের বৃষ্টি ধুয়ে যাওয়া পারিপার্শ্বিক ঝলমল করছে সকালের আলোতে। রোদে বসে দাড়ি কামাতে থাকা ফুলকাকার হাত আয়নায় ঝলসে ওঠে রোদ। তাঁর পাশে হাতল ভাঙা কাপের গরম পানি থেকে ধোঁয়া উঠে উঠে মিশছে বাতাসে। ঘরের ভেতর রেডিওতে বাজতে থাকা গানের সাথে ফুলকাকার গুনগুন শুনতে পাই আমি আর শুনি চয়নিকায় ছড়া পড়তে থাকা জেসমীনের কন্ঠস্বর। স্পষ্ট দেখি সবজির ঝুড়িতে রোদে ঝলমল করছে সবুজ রোঁয়ার গোল কাঁকরোল। জেসমীনের মায়ের সদ্য স্নান করা চুল থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি ভেজাতে থাকে তাঁর পিঠ...আমার জানালা... একটা বাক্যে এসে ছবিটা কেঁপে উঠলো একটু – “সরল একটা পারিবারিক প্রভাত।” এই কথাটা বলে দিতে হলো কেন? সকালটার সরলতা কি দেখা যাচ্ছিল না? নাকি এর মানে হলো সকালটা আদৌ সরল না? এই দোলাচল নিয়ে পড়ছিলাম বলেই বোধহয় জেসমীনের মায়ের আত্মহত্যা চমকে দেয় না আমাকে। তানিয়ার বর্ণনাতেও কোন নাটকীয়তা নাই, যেন অন্য সব দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই সেদিনের বিষ খাওয়াটাও একটা, তার জন্য আলাদা একটা বাক্য খরচেরও দরকার নাই। আগে পরের ঘটনার বিশদ ব্যাখ্যা বা বিবরণ তানিয়ার গল্পকে ভারবাহী করে তোলে নাই। গল্প বলার ভঙ্গিতেও নাই কোন আড়ম্বড়। বরং একটা অলস একলা দিনের স্মৃতিময়তা বাতাসের সাথে সাথে ভেসে চলা খয়েরীপাতার বিষন্নতায় আচ্ছন্ন করছিল আমাকে। সেই আচ্ছন্নতার ভেতরেই দেবদূতের মতন হাজির হয়ে জেসমীনের ছোটমামা জানিয়ে যান – “মানুষকে শুধু ভালবাসতে হয় আর বিশ্বাস করতে হয়, মানুষের বিচার করবার কোনো ভার আমাদের দেয়া হয়নাই।” অথবা জেসমীনের উপলব্ধিতে আমিও অনুভব করি – “যার অশ্রু মূল্যহীন, সে কী ভীষণ নিরস্ত্র। কী অসহায়।” আমার জানালায় বৃষ্টির শব্দ ছাপিয়ে কানে আসে সুবেহ সাদিকে নুরুলের কোরান তেলাওয়াত। জেসমীনের রান্না যেন মেডিটেশান! আমি স্পষ্ট দেখতে পাই তার তকতকে রান্নাঘর, ঝকঝকে হাড়িপাতিল। সরিষাবাঁটা অথবা ধনিয়া পাতার সাথে মিলেমিশে তার বাগানের গন্ধরাজ ফুলের গন্ধ ভেসে আসে বাতাসে। তারপর ঘুম ভাঙার পর মন খারাপের মতন আমার অগোছালো ঘরের বাস্তবতায় ফিরে আসি। বইয়ের তাকে ধুলা, জানালায় মাকড়শার জাল, টেবিলের জায়গা না হওয়াতে কিছু কিছু বই পড়ে আছে কার্পেটে। অথচ জেসমীনের ঘর কি সুন্দর! সেখানে কাঁঠালকাঠের আয়নায় রূপকথার ছোঁয়া। তানিয়ার বর্ণনায় সাধারণ একটা সাবান দানির সাবানটুকুও দ্যূতিময় হয়ে ওঠে। জলপাইগাছ, চালতা গাছ আর নারিকেল গাছে ঘেরা বাগানে বসে থাকা জেসমীনের বিষন্নতা অলৌকিক করে তোলে তাকে। তানিয়ার গল্পের বিস্তার খানিকটা এলোমেলো। শুরু হয়েছে প্রবাসী জেসমীনের একটা ছুটির দিন থেকে। তারপর একটু একটু করে শূণ্যস্থান পূরণের মতন উঠে আসছে তার অতীত। সেটাও নিরবিচ্ছিন্নভাবে না, বরং টুকরো টুকরো ঘটনায় যা সময় থেকে সময়ে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে খুব একটা পরম্পরা না মেনেই। ছোট্ট একটা খটকা জাগে যখন এর ভেতর অঘোষিত এবং দ্বিধাহীনভাবে ঢুকে পড়েছে ঋক – তার যত কথা এবং অতীত সমেত। আমি ভাবছিলাম গল্পটা জেসমীনেরই – বাকি সবাই এসেছে কোন না কোন ভাবে জেসমীনের জীবনের অংশ হয়ে। কিন্তু জেসমীনের কথা বলা হয়েছে তৃতীয় পুরুষে অথচ ঋক কথা বলছে প্রথম পুরুষে। কেন? শুধুই গল্প বলার বৈচিত্রের জন্য? তাই যদি হয় তবে জেসমীন নিজের গল্প নিজে বলে ঋক তৃতীয় পুরুষে বললেই তো বেশি মানাতো। আবার ঋক শোনায় নুরুলের কথা, জেসমীনকে প্রতিবিম্বিত করে। জীবন থেকে জীবনে, অতীত থেকে অতীতে ঘুরপাক খেতে খেতে মনে হয় ঠিক বাওকুড়ানীর মতনই তানিয়ার গল্পটাও এখান ওখান থেকে তুলে নিচ্ছে খয়েরী পাতা, তারপর তাদের নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে একাকার করে দিচ্ছে তাদের পথ ও স্মৃতিচারণ। জেসমীন, ঋক, ফুলকাকা, নুরুল, সঞ্জু, সুরাইয়া, পুতুল, চিনু অথবা সিস্টার নীতা কেমন রক্তমাংসের হয়ে উঠছিল আমার কাছে। যখন পড়লাম– “আহারে শরীর পর্যন্ত আসতে পুরুষ মানুষ কত কী বলে!” একটা কৌতুক মেশানো দীর্ঘশ্বাসে অনুভব করলাম কথাটার সত্যতা। ততক্ষণে প্রায় দুপুর, বৃষ্টি ধরে আসছিল। ছাই রঙের মেঘ ভেদ করে রোদ এসে পড়েছিল ভেজা বেড়ার গায়ে। পাশের বাড়ির এন্টেনায় একটা ঘুঘু পাখি একা একা বসেছিল। আমি পড়লাম – “সবাই কি আর প্রথম জীবনের গ্রীষ্মরাত মনে রাখে? জনম-জনম?” ঠিক তখনই ঘুঘুটা ডেকে উঠে হাহাকার ছড়িয়ে দিতে থাকলো। অদ্ভুত ছন্নছাড়া ভাবলেশহীন অথচ কোমল, স্মৃতিকাতর ঋকের প্রেমেই পড়ে গেলাম! যদিও জেসমীনের শূণ্যতাবোধ প্রতিধ্বণিত হচ্ছে আমার মধ্যেও তবুও শীতভোরের কুয়াশায় মাখামাখি প্রাচীন দেবদারুর সারির ভিতর দিয়ে সিস্টার নীতার পাড়হীন শাড়ি পরা নরম পায়ের হেঁটে আসাও তো শেষ হবে না কোনদিন। তানিয়ার ভাষা খোলামেলা, নৈর্ব্যক্তিক, পরিমিত। যৌনতাও এসেছে স্বাভাবিকভাবে, তাই বিশ্বাসযোগ্য, সুন্দর। দমবন্ধ হয়ে আসে কোন কোন বর্ণনার তীব্রতায় – “মমিনুলের বুকটা ধড়াস করে উঠলো। দুন্দুভীর মতো শব্দ করে তার মনে পড়ে গেল- এই ক’টি মাস একমুহূর্তও সে এঁকে ভুলতে পারেনি। রাতদুপুরে ইলেক্টিভ ম্যাথ্স অসহ্য মনে হলেই নীতা এগিয়ে এসেছেন, ওঁর সুগন্ধী হাঁটু জড়িয়ে মাথা রেখেছে মমিনুল। ছুটির অলস দুপুরে চোখ জ্বালা-জ্বালা চৈত্রের বাতাসে...উড়ে এসেছে কাঠকুটো-শুকনো পাতা- মমিনুলের দিনরাত ভরে উঠেছে দীর্ঘ অবকাশে- পুরনো পত্রিকা পড়তে পড়তে পাশ ফিরেছে খাটে- নাক ঠেকেছে নীতার পিঠে- একমুহূর্ত হাত বাড়িয়ে ওঁকে ঘুরিয়ে নিয়েছে সে নিজের দিকে- জলের উপর গাছের মতো ঝুঁকে পড়েছে...দিবসরাত্রির উপর সামিয়ানার মতো টাঙিয়ে নিয়েছে ওঁর উপস্থিতিকে” তানিয়ার বর্ণনার ভঙ্গিতে স্মৃতি মিশে আছে। যেন পুরানো, ধুলায় মাখামাখি সিন্দুক ঝেড়েমুছে বের করা হয়েছে ভুলে যাওয়া ছবির অ্যালবাম। ছবিগুলি সাদাকালো, ছবির মুহুর্তগুলি রঙিন, স্বচ্ছ। খুব কাছের অথচ দুরত্বটুকু অনতিক্রম্য। আয়নায় দেখা নিজের ঘরের মতন নাগালের বাইরে থেকে গেছে এর পাত্রপাত্রীরা, তাদের পৃথিবী। দুপুর পার হয়ে বিকেলের দিকে যেতে থাকে দিনটা। বইয়ের পাতায় পড়ি পাওয়া-হারানো-দূরে যাওয়া-কাছে আসতে চাওয়া। কেউ কোথাও থেমে থাকছেনা ঋকের ফেলে যাওয়া জায়গাটায় এসে বসছে সঞ্জু, জন্ম নিচ্ছে নতুন প্রতীক্ষা। সেও থাকছে কি? বেলার বদল, আবহাওয়া কিংবা ঋতুবদলের মতন পাল্টায় সম্পর্কের রঙ। বদলে যাওয়া জেসমীন দুঃখী করে তোলে আমাকে – “স্যান্ডেলটায় মুচির সামনে দাঁড়িয়ে দুটো পেরেক লাগিয়ে নেয়। আকাশটা ঝকঝকে। কত আলোর খেলা। ইদানীং তার পিঠের পাখনার হাড়ে শিন্শিন্ করে ব্যথা হয়। তবু ঘাড় তুলে মাথার উপরের আকাশ দ্যাখে সে। দূরে দাঁড়িয়ে একজন মহিলা শুঁকে শুঁকে কদবেল কিনছে। এতখানি দূর থেকেও ঝিকঝিক করছে তার নাকের ফিরোজা পাথর। রাস্তার দুইধারে ঝিলঝিল করছে তরুন পাকুড়গাছের পাতা। জুনিয়র সেকশন ছুটি হয়েছে। হুড়মুড় করে বেরুচ্ছে বাচ্চারা। তাদের ভ্যানিলা আইসক্রিমরঙা মায়েরা গাড়ি করে তাদের নিতে এসেছে। এত সজীব-এত জীবন্ত-এত সত্য সবকিছু। এর ভেতরে কেবল সেই বয়ে চলেছে আশ্চর্য রূপকথা।” স্পর্শ করে ঋকের উদভ্রান্ত অতীতচারণ, পুতুলের বদলে যাওয়া অমোঘ মনে হয়, নুরুলের অসহায়তা কষ্ট দেয়, বেদনার্ত করে মেরী তৃষ্ণার পরিণাম। জানালায় দেখি লেবুগাছে এখনো কয়েকফোঁটা বৃষ্টি লেগে আছে। হঠাৎ ফুরিয়ে গেল বইটা। আমি ভাবছিলাম বৃত্তে শেষ হবে। আমরা ফিরবো প্রবাসে জেসমীনের একলা ছুটির দিনে। সেরকম হলো না। শেষটায় আমি কিছুটা বিমুঢ়।এটাই শেষ? সত্যিই? প্রশ্নগুলিতো থেকেই গেল। যাক... সন্ধ্যা হচ্ছিল। আকাশে লাল আভা। কয়েকটা কাকাতুয়া উড়ছিল। ছাইরঙের মেঘের নীচে সাদা কাকাতুয়া বিষন্ন দেখায়... লুনা রুশদী ১৮ মে, ২০১২ মেলবোর্ন, অষ্ট্রেলিয়া

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!