Our User Product Reviews

হুমায়ূন আহমেদের "শূন্য" একটি চমৎকার উপন্যাস, যেখানে জীবনের শূন্যতা, মানুষের মানসিক টানাপোড়েন, এবং আবেগের সূক্ষ্মতার গভীর প্রকাশ ঘটেছে। লেখকের সহজ ও সাবলীল ভাষাশৈলী পাঠককে গল্পের সঙ্গে একাত্ম করে তোলে এবং প্রতিটি চরিত্রের অনুভূতি হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এটি বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদের সৃজনশীলতার একটি অনন্য উদাহরণ।

হুমায়ূন আহমেদের একটি দুর্দান্ত একটি সায়েন্স ফিকশন।

সেরা সেরা সেরা

বইটি আমার ভালোই লেগেছে, হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা খারাপ বলার সাদ্য আমার নেই। বইটি একটু complicated but overall ভালো।

বহু দিন আগে পরেছি।জটিল একটা সাইন্সফিকশান।

ভালো একটি বই,শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়তে পারলে আশা করি ভালো লাগবে।

বইটি ১২ থেকে ১৩ ঘন্টার ভিতর হাতে পেয়ে গেছি ? রকমারি সার্ভিসটা অনেক ভালো ??

স্যারের লেখনীতে মানুষকে আকৃষ্ট করার শক্তি রয়েছে...... অসাধারণ একটি বই

kicu bolar nai boi valo delivery o valo paici

nice

বইটা সময়ের আগেই ডেলিভারি পেয়েছি। ডেলিভারি সার্ভিস অনেক ভালো ছিল। ধন্যবাদ রকমারি।?? বইটা পড়ার পর রিভিউ দিচ্ছি এক কথার ফালতু বই ??

overrated !!! if u have not plenty of time in hand then don't go for it.

ভালো?

বেশ ভালো লেগেছে ফিবোনাক্কি আর শুন্য মিলে আলাদা এক কল্পনা জগৎ। Everything was once created from nothing.

অসাধারণ!!

‘শূণ্য’ সংখ্যাটা খুবই রহস্যময়। এটা বাকি নয়টা অঙ্কের মতো না। আমরা জানি, কোনো সংখ্যার সাথে ০ যোগ অথবা বিয়োগ- যাই করা হোক না কেন, ফলাফল অপরিবর্তিত থাকে। আমরা আরও জানি, যেকোনো সংখ্যাকে ঐ সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে তার ভাগফল হয় ১। কিন্তু ০ কে ০ দ্বারা ভাগ করলে সেটা অনির্ণেয়! আবার কোনো সংখ্যাকে অন্য কোনো সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে তার একটা ভাগফল পাওয়া যায়। কিন্তু ০ কে যেকোনো সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হোক না কেন ভাগফল সর্বদা ০-ই হয়। আবার যত বড় সংখ্যাই হোক না কেন তাকে ০ দ্বারা গুণ হলে গুণফল হয় শূণ্য। আবার কোনো সংখ্যাকে ০ দ্বারা ভাগ করা হলে ভাগফল হয়ে যায় অসীম....ব্লা...ব্লা...ব্লা...কত্ত কিছু!!! হুমায়ুন আহমেদের এই বইটি শূণ্য নিয়ে লেখা কোনো ব্যাখ্যাগ্রন্থ নয়; বরং একটা সায়েন্স ফিকশন। তবে কাহিনীটা এর পাঠককে ‘শূণ্য’ নিয়ে ভাবাবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যার কোনো অস্তিত্ব নেই সেটাই হচ্ছে ‘শূণ্য’। আসলেই কি তাই? আচ্ছা, যদি শূণ্যের কোনো স্বতন্ত্র জগৎ থাকে? থাকাটা কি অসম্ভব কোনো কিছু? মনসুর সাহেব সেই শূণ্যের আদ্যোপান্ত বের করার কাজে নেমেছিলেন। তিনি সফল হয়েছিলেন বটে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই শূণ্যের কাছেই তাকে জীবনযুদ্ধে হার মানতে হলো। আর তার সাথে সাথে হারিয়ে গেল তার কর্ম, যাতে তিনি শূণ্যের রহস্যের উৎঘাটন করেছিলেন।

onek valo

Nice Book

it's a really good book...worth reading

Good

অসাধারণ একটি বই।

অনেক সুন্দর একটি বই। সবার পড়ে দেখা উচিৎ।

বইটা যতটা ভালো ভেবেছিলাম ততটা পছন্দ হয়নি কাহিনী।

বেশ ভালো

good ??

অনেক সুন্দর লেখা বইটি?

খুব সুন্দর একটা বই ?, অনেক কিছু জানতে পারছি। খুব ভালো লাগলো বইটা পড়ে।।

As usual best from the Sir

not much of a sci-fi...more like a classic...

প্রতিটা বই অসাধারণ ৫/৫

ভালো।

খুবই ভালো, মজার বই

ভালো বই

অসাধারন

Onek Awesome Story ata, akhonoi kine felun!

অসাধারন বই ছিল

good

alhAMdulillah onk valo

onek vlo

0=অসিম জোসনা বেপারটা

es

#Book_Review #শূন্য #লেখকঃ_হুমায়ূন_আহমেদ #প্রকাশনীঃ_সময়_প্রকাশন ফিবোনাক্কি..ফিবোনাক্কি..ফিবোনাক্কি..ফিবোনাক্কি..ফিবোনাক্কি..ফিবোনাক্কি.. ভাবছেন কি এই ফিবোনাক্কি...আচ্ছা বলছি তাহলে। ফিবোনাক্কি হচ্ছে একটা রাশিমালা। এখন ভাবছেন একেতো #হুমায়ূন_পাগলের বই তার উপর রাশিমালা তারমানে অংক টঙ্ক দিয়ে ভরা। আচ্ছা আমরা কেন বইটি পড়বো? ত্রয়দশ শতাব্দীর এক বিখ্যাত গণিতবিদ #লিওনারডো_ফিবোনাক্কি এই রাশিমালা বের করেছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি বলে গিয়েছিলেন – #প্রকৃতির_মূল_রহস্য_এই_রাশিমালাতে_আছে। এই রাশিমালার বৈশিষ্ট হচ্ছে – রাশিমালার প্রতিটি সংখ্যা হল আগের দুটি সংখ্যার যোগফল। যেমন, এই রাশিমালার চতুর্থ সংখ্যা হল পাঁচ। পাঁচ হল ৪র্থ থ৫ম সংখ্যার যোগফল। এই যেমন – ০, ১, ১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪, ৫৫, ৮৯... শূন্য এর সাথে ১ যোগ করলে ফল ১। এই ফল ১ এর সাথে তার আগের সংখ্যা ১ যোগ করলে ফল ২। এই ২ এর সাথে তার আগের সংখ্যা ১ যোগ করলে ফল ৩। এই ফল ৩ এর সাথে তার আগের সংখ্যা ২ যোগ করলে ফল ৫। আশাকরি কিছুটা বোধগম্য হয়েছে। আবারও মনে হয়তো প্রশ্ন আসছে কি আছে এতে পড়ার। হুম আছে। আমরা প্রকৃতির একটা অংশ আর এই প্রকৃতির মূল রহস্য এই রাশিমালাতেই আছে। নিজের অজান্তেই আমরা কোন এক রহস্যের মাঝে আছি। অবিরাম ভাবে আমরা চলছি কিন্তু এই রহস্যের ব্যাপারে কিছুই জানা হলো না। গল্পের মাঝে পাবেন আরো অজানা অনেক কথা। আপনাকে নতুন করে কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতে বাধ্য করবে। ভাবতে বাধ্য করলেও আপনার ক্লান্তি অনুভব হবে না। আমার হিসেবে অনেক কিছু বলে ফেললাম বোধহয়। #শেষ_কিছু_কথাঃ প্রকৃতির একটা নিষ্ঠুর দিক আছে। এই নিষ্ঠুরতা প্রকৃতি মানুষের ক্ষেত্রেই সবচে বেশি প্রয়োগ করেন। বয়সের সঙ্গে মানুষের জ্ঞান বাড়ে, বুদ্ধি বাড়ে, বিচক্ষণতা বাড়ে, যুক্তি বাড়ে কিন্তু এই সবের সমন্বয় করে কাজ করার যে ক্ষমতা টা কমতে থাকে। পরিপূর্ণ মাত্রায় সব দেয়ার শেষে হঠাৎ একদিন প্রকৃতি একসঙ্গে সব কেড়ে নেন। #Everything_was_once_created_from_nothing

বইটা ভালো লেগেছে ?।

Good

অসাধারণ ছিল লেখা গুলো কেমন জানি নিজেকে গল্পের চরিত্রের ভিতর হারিয়ে ফেলছিলাম বারবার।

good

nc

onk onk vlo lagloooo pora... tnx rokomari

best

#সপ্তর্ষি_রকমারি_বুকরিভিউ_প্রতিযোগ নামঃ রুম্মান জেলাঃ সিরাজগঞ্জ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ মুন্সীগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ই-মেইলঃ rummantalukder59@gmail বইয়ের নামঃ শূন্য লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ রিভিউ লেখায়ঃ রুম্মান উপন্যাসটির প্রধান চরিত্রে ছিলেন স্কুল মাস্টার মনসুর সাহেব। হঠাৎ তিনি একদিন বাচ্চাদের ক্লাস করাতে গিয়ে অনুভব করতে থাকেন যে, উনি চোখে ঝাপসা দেখছেন। তার মনে হতে থাকে উনার চোখে কিছু একটা হয়েছে। হেডমাস্টার এটা দেখে বলেন মনসুর সাহেব আপনি বাসায় চলে যান। তার আগে বজলুর সাহেবের কাছে গিয়ে চোখটা দেখিয়ে নিয়ে যাবেন। এর পর তিনি বাসায় চলে যান। তিনি একাই থাকেন।বাড়িওয়ালা থাকেন না। আর থাকেন শুধু একজন দাড়োয়ান। মনসুর সাহেব প্রায় সময় লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। হঠাৎ একদিন বাজার থেকে আসার সময় বৃষ্টির মাঝে আটকে জান। তবুও তিনি বাসায় জাওয়ার জন্য সেই বৃষ্টির মাঝেই বের হন।তার কাছে কোন ছাতা ছিল না। যেতে যেতে একটা সময় বৃষ্টি প্রচন্ড বেগে আসতে থাকে। আর জোরে জোরে বিদ্যুৎ চমকাতে থাকে। পথিমধ্যে বিদ্যুৎ চমকানো শুনে ভয়ে মাটিতে পড়ে যান মনসুর সাহেব। তার হাতে থাকা কিছু পেপার সেগুলো বৃষ্টিতে ভিজে কাদায় নষ্ট হয়ে যায়। বেশ কিছু সময় পর মনসুর সাহেবের জ্ঞান ফেরেন। জ্ঞান ফিরে মনসুর সাহেব দেখতে পায় একটা যুবক ছেলে। ছেলেটি মনসুর সাহেবকে সাহায্য করতে এসেছিল এবং সাহায্য করেছে। মনসুর সাহেব নাম জিজ্ঞাসা করাতে ছেলেটি নাম বলে তার নাম নাকি শূন্য। মনসুর সাহেব অবাক হয়ে বলেন শূন্য কারর নাম হয় নাকি। তা তুমি থাক কোথায়।কই থেকে এসেছো।ছেলেটি বলে আমি শূন্য থেকে এসেছি।এবার মনসুর সাহেব রেগে যায়। এভাবে কথা বলতে বলতে মনসুর সাহেব বাসা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেটিকে বাসায় ঢুকতে দেন না তিনি।এরপর ছেলেটি গেটের বাইরে দাড়িয়ে থাকেন। একটা সময় ছেলেটির সাথে মনসুর সাহেবের ভাব জমে যায়।কিন্তু সেটি মনসুর সাহেব ছেলেটিকে বুঝতে দেন না। পরবর্তীতে ছেলেটির নাম দেওয়া হয় ফিবোনাক্কি। আরেকটা চমৎকার বিষয় হলো ছেলেটি ছিল অদৃশ্য। শুধু মাত্র মনসুর সাহেব দেখতে পেত।আর কেউ দেখতে পেত না।এভাবেই মনসুর সাহেব ছেলেটার সাথে কথা বলতো। ফিবোনাক্কি মনসুর সাহেবকে খুব সাহায্য করতো। সবসময় পাশেপাশে থাকতো। শেষে হৃদয় বিদারক ঘটনা দিয়ে হুমায়ুন আহমেদ উপন্যাসটি শেষ করেন।বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। যদি আপনারা সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা জানতে চান তাহলে শীঘ্রই বইটা সংগ্রহ করে পড়ে ফেলুন আমার কাছে ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। ©MD Rumman

khub vlo boi

ভালো একটা বই।আমি ১৩ দিন ব্যাপিয়া বইটি পড়েছিলাম।সবচেয়ে মজার বিষয় হলো বইটিতে উল্লেখিত স্যারের যখন জ্বর আসে তখন আমারও জ্বর এসেছিল।:)

Good book

খুবই সুন্দর একটা বই। বিজ্ঞানকে গল্পের মতো করে এতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায় তা এই বইটি না পড়লে বুঝা যাবে। লেখক আমাকে বইটা পড়ার সময় নতুন একটা জগতে নিয়ে গিয়েছিলো।

খুবই সুন্দর একটি ফিকশন ছিল

হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর সকল বই অসাধারণ হয় বিশেষ করে সাইন্স ফিকশন বই গুলো। শূণ্য ও হচ্ছে এমন একটি অসাধারণ সাইন্স ফিকশন বই।

চমৎকার বই

Great story.....

কল্পনা জগতের দারুণ বই।

অনেক।ভালো বই।

good

good book

ভালোই ছিলো। হুমায়ুন আহমেদ চমৎকার একটি সাই ফাই বই।

very nice book

????

This is a amazing book

হুমায়ন আহমেদ স্যার এর এর বই মানেই বেস্ট।

Amazing science fiction! The story was good and the twist was really impressive! ........... Recommended for science fiction lovers!!

Salam boss

বইটা অসাধারণ।

Amite ami Humayun Ahmed Bhokto ar ai science fiction porar por aro bashi bakristo hoa gelam , onek bhalo ekta Book ,

রকমারি রিভিউঃ বইঃ শূন্য । লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ । প্রকাশনীঃ সময় প্রকাশন । মূল্যঃ ১২০ টাকা । পৃষ্ঠাঃ ৬৪ । শূন্য হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম সেরা একটি সায়েন্স ফিকশন । একজন সাধারণ বৃদ্ধ স্কুলশিক্ষক মনসুর আহমেদ এক জটিল অঙ্ক নিয়ে ভাবছেন । আর তাকে সাহায্য করতে এসেছে ফিবোনাক্কি । ফিবোনাক্কি এক মাত্রার জগৎ থেকে এসেছে । যেখানে শুধুই শূন্য । কিন্তু মনসুর সাহেব মনে করেন সে শুধুই তার কল্পনা । সে চাই মনসুর সাহেব তার অঙ্কের সমাধান করুক । কিন্তু বিষয় মোড় নেয় অন্যদিকে । সম্পূর্ণ অভাবনীয় কিছু ঘটে । কী জানতে পারেন মনসুর সাহেব অঙ্কের সমাধানে? তারও কি ওই একই পরিণতি হবে যেমনটা হয়েছিলো তার দাদা ও বাবার সাথে? তারা দুজনেই অঙ্ক ভালোবাসতেন । আর ফিবোনাক্কিই বা কী চায়? জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে ।

আমার জীবনের প্রথম সাইন্স ফিকশন। সত্যি অনেক সুন্দর

I got the book. and it was the fastest and asured delivery, the delivery system was so good

Such a wonderful book.

Ami sob shomoi e Humayun Ahmed sir ke miss kori. Sobai take chene natok nirmata ba oponnashik hisebe kintu ami mone kori unar science-fiction gulo masterclass. A must read book!

Everyone should read this

হুমায়ূন আহমেদের এই বইটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে।

মজাই লাগতেছে। - ইব্রাহিম

ভালো

just loved this book

ভালো লাগলো।।

সাধারণ পটে আঁকা চিত্র কখন যে science fiction এ মোড় ঘুরলো! পরিবার হীন স্কুল শিক্ষক তার অবসরে একটি জটিল অঙ্ক নিয়ে মাথা ঘামায়। যা বংশ পরম্পরায় তার বাবা দাদাও চেষ্টা করে এসেছে। যখন তিনি সমস্যাটা ঠিক গুছিয়ে নেন তখনি...........

হুমায়ূন আহমেদের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হচ্ছে ‘শুন্য'। শুন্য শুরু করার সময় যত আগ্রহ ছিলো শেষ করার সময় সেই আগ্রহ হারিয়ে গেছে। ইচ্ছে করছিলো আরও কিছুক্ষণ থাকুক গল্পের কাহিনী। একটা অংকের বিষয় নিয়ে এতো সুন্দর কাহিনী হতে পারে সত্যি ভাবনায়ও ছিলো না। একটা শুন্য নিয়ে এতো রহস্য এতো কিছু সত্যি চমৎকার। হুমায়ূন আহমেদ বলেই এমনটা সম্ভব। যারা বইটি পড়েননি অবশ্যই সংগ্রহ করে পড়বেন।

Everyone should read this book. Totally amazing!

বইটিতে তেমন বিশেষ কিছু নেই।সত্যি বলতে গেলে একটি ফালতু বই।

Great

low quality books

মনসুর সাহেব একজন গনিত শিক্ষক।অনেক সহজ সরল তার জীবনযাপন।শখ আহ্লাদকে তিনি বাড়তি কিছু মনে করেন যেগুলোর দরকার নাই জীবনে।প্রাইম নাম্বার নিয়ে তার অনেক কৌতুহল।সে মনে করে আমাদের চারপাশের প্রকৃতি নাকি প্রাইম নাম্বারকে ফলো করে।তাই তিনি প্রাইম নাম্বার দিয়ে একটা রাশিমালার ফলাফল বের করতে চান। যা বের করতে পারবে আমাদের মহাবিশ্ব হাতের মুঠোয় চলে আসবে।কিন্তু কিছুতেই তিনি মিলাতে পারেন না। একটা জায়গায় গিয়ে আটকে যায়।হঠাৎ একদিন তার একজনের সাথে দেখা হয় যে তাকে সাহায্য করতে চায়।কিন্তু মনসুর সাহেব তাকে বিশ্বাস করতে পারেন না।তিনি ভাবেন সেই লোক তার মনের কল্পনার অবচেতন ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু সে সাহায্য করার জন্য পিছু লেগেই থাকে। এরপর কি হলো? সে কি সাহায্য করল? মনসুর সাহেব কি রাশিমালার ফলাফল বের করতে সক্ষম হলেন? তার সেই অপরিচিত যুবকটায় বা কে ছিল? জানতে হলে বই টি পড়ুন। খুব সুন্দর ইন্ডিং।হুমায়ুন স্যারের লেখার জাদুতে বইটি পেয়েছে এক অনন্য মাত্রা। আশা করি সবার ভাল লাগবে।অবশ্যই পড়বেন।

হুমায়ূন স্যারের বই মানেই নতুন কিছুর সৃষ্টি।

দুই জগতের টোকাটুকি হুমায়ূন আহমেদের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি শূণ্য-এর কেন্দ্রবিন্দুতে আছে সাধারণ স্কুলশিক্ষক মনসুর আলি ও অন্য জগতের ফিবােনাক্কি। মনসুর আলি রাতদিন এক করে শুধু একটি অঙ্ক সমাধান করতে চাইছেন। কিন্তু ফিবােনাক্কি চায় না তা হােক, কারণ তাতে যে তাদের মস্ত বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। কী সেই বিপদ? কীই-বা সে অঙ্ক? মনসুর আলি কি পারবেন এই অঙ্ক সমাধান করতে? নাকি ফিবােনাক্কি তার কাজে সফল হবে? এসব কিছুর সমাধান পাওয়া যাবে। এই বইটি পড়লে। যদিও এটি সায়েন্স ফিকশন। তবে এর প্রতি ধাপে ধাপে থাকা রহস্য তােমাকে দেবে এক অন্য রকম স্বাদ।

One of the early science fiction book I read. Can't remember exact time but I know those books motivated me in many ways, kept my brain safe .

পড়ি তখন ক্লাস সিক্সে।আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের প্রথম বই। বইয়ের ভূমিকায় লেখক লিখেছিলেন, 'জয় হোক অনিদ্রার'। এত কাঁচা বয়সে গল্পের শেষটুকু মেনে নেয়া আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব ছিল, শুরু হয় আমার অনিদ্রা। অনিদ্রার কথা বিবেচনা করলে বইটি লিখে লেখক যথেষ্টই সফল। কেউ কেউ মজা করে বলেন হুমায়ূন আহমেদ এই দেশের সব থেকে বড় ড্রাগ ডিলার, সেই অর্থে আমার ড্রাগ নেয়া শুরু 'শুন্য'র মাধ্যমে।  © সোহেল ইমরান

highschool ar library te paoa akta valo lagar boi☺

বইয়ের নাম: শূন্য লেখক:হুমায়ুন আহমেদ ক্যটাগরি:সায়েন্স ফিকশন কাহিনী সংক্ষেপ: এই সায়েন্স ফিাশনের মূল চরিত্র হলেন মনসুর সাহেব।তার পরিবার-পরিজন বলতে তেমন কুউ নেই। একা একা থাকেন ।আর দিন -রাত গনিতের জটিল সমস্যা নিয়ে ভাবেন। এক রাতে তিনি ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রাহত হন। তারপর থেকে তার মধ্যে বিভিন্ন অপ্রকৃতস্থতা লক্ষ্য করা যায়।তিনি একজনকে সব সময় তার সাথে দেখতে পান। যে কিনা নিজেকে শূন্য জগতের বাসিন্দা বলে দাবি করে।সা যুবক আরও দাবি করে যে সে মনসুর সাহেবকে সাহায্য করার জন্য এসেছে। এরপর থেকে লেখক গল্পে বিশাল মায়াজাল সৃষ্টি করেছেন।এই শূন্য জগত থেকে আসা যুবক যাকে মনসুর সাহেব তার প্রিয় রাশিমালার নামে ফিবোনাক্কি বলে ডাকেন।তার কি আসলেই বাস্তব জগতে কোনো অস্তিস্ত আছ??? না কি সে শুধুই মনসুর সাহেবের কল্পনা????

বই হিসেবে পড়ার মতো একটি বই।স্যার যে সায়েন্স ফিকশনেও যথেষ্ট পারদর্শী তা এই বইটা পড়লে বুঝা যাবে। হিমু শুভ্র মিসির আলীর বাইরেও স্যারের সায়েন্স ফিকশনের পাঠক ্কম ্নয়। বেচে থাকলে স্যারকে একবার সা্মনা সামনি দেখতাম.........

বলা বাহুল্য শূন্য হুমায়ূন আহমেদের একটি বহুল জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন। গল্প অনেক ছোট ছিলো। তবে কনটেন্টটা ভালো লেগেছে। ফেবোনাক্কি, শূণ্যের কনসেপ্ট আরো যাবতীয় তত্ত্বগুলো ভালো লেগেছে। তবে আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলবো বড়জোড় এটা কিশোর উপন্যাস। এবং কিশোর উপন্যাস হিসেবে খুবই যুগোপযোগী। এই গল্পের শেষে এসেঅ লেখক পাঠকের জন্য কিছু অংশ রেখে দিয়েছেন। এটা তার স্টাইল। ধন্যবাদ রকমারিকে

মনসুর একটি স্কুলের গনিতের শিক্ষক, কয়েক মাস পরেই কর্মবিরতিতে যাবেন। বিয়ের পরপরই কিশোরী বউটা মারা যায়। তারপর আর কখনো বিয়ে করেন নাই। তার মাথায় সব সময় বিভিন্ন সংখ্যা খেলা করতো। সে সব সময় মৌলিক সংখ্যা এবং ফিবোনাক্কি সংখ্যা দিয়ে সব কিছু বিবেচনা করতো। একা একাই একটি রুমে থাকতো। শূন্য নিয়ে গবেষণা করতে করতে সে প্রায় সফল হয়েই যায়। শূন্য ও অসীম নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করেন। ঠিক সেই সময় শূন্য জগতের বাসিন্দা ফিবোনাক্কি তাদের নিজেদের স্বার্থে মনসুর সাহেবের সকল কাজ নষ্ট করে দেয়। "রুপার হাত ধরে তিনি বৃষ্টিতে ভিজছেন।এক একবার বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। সেই আলোয় দেখছেন জলভেজা আশ্চর্য মায়াবী এক মুখ....... তিনি আবারো বললেন -ধন্যবাদ ফিবোনাক্কি।"

বইটির নাম শূন্য এই বইটিকে সাইন্স ফিকশন বই হয়তো সাইন্স ফিকশন বই সবারই ভালো লাগে না কিন্তু আশাকরি আপনার এই বইটি অনেক ভালো লাগবে আর বই পড়া সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনি একটা বই পড়ে শেষ করবেন দেখবেন অন্য আরেকটা বই পড়ার ইচ্ছা আপনার নিজের দিকে চলে আসছে

অসাধারণ তবে গতানুগতিক সাইন্স ফিকশন এর মত না। তবে ভাল লাগার মত।

আমার ভয়াবহ অঙ্কভীতি। স্কুল লাইফে অঙ্কের থেকে বাঁচার জন্যে আমি করি নি এমন কোন কাজ নেই, সবসময় শুধু প্রার্থনা করতাম "ঠাকুর অঙ্কটা খালি দেইখো, বাকিসব আমার দায়িত্ব "। আমার অঙ্ককে জোর না থাকলেও প্রার্থনায় জোর ছিলো তাই ঠাকুর একাধিকবার আমাকে বাঁচিয়েছে, কিন্তু প্রার্থনায় আর শেষ রক্ষা হলো না। চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নগুলো একেবারে জটিল অংকে ঠাসা,তাই একজীবনে যা স্কিপ করছি তার চাপ নিতে হচ্ছে এই বয়সে। তবে একজন মহৎ শিক্ষক আমাকে বলেছে, "মনে করো তুমি এ বছর ক্লাস সিক্সে পড়ো, সামনের বছর সেভেনে উঠবা তারপরের বছর এইটে, আর প্রতি ক্লাসেই অংকে ভালো করতে হবে এবার সেভাবে এগুতে থাকো"।শিক্ষক খুবই ভালো তবে ছাত্রী এখনও ফাঁকিবাজ৷ বৃদ্ধ মস্তিষ্কে আর কত? যাই হোক, "শূন্য" হচ্ছে হুমায়ূন আহেমদের সায়েন্স ফিকশন বই। গণিতের মারপ্যাঁচে ঠাসা। প্রথমে শুরু হয় প্রাইম নাম্বার আর ফিবোনাক্কি সংখ্যা নিয়ে শেষের দিকে আবার শূন্যের রহস্য। আগেই বলেছি আমার অঙ্কভীতি ভয়াবহ তাই সবকিছু কেমন মাথার ওপর দিয়ে গেলো। তবে ফিবোনাক্কি সংখ্যা নিয়ে বেশ আগ্রহ অনুভব করছি, এটা নিয়ে একটু অনলাইন ঘাটাঘাটি করতে হবে।

হুমায়ূন আহমেদের চমৎকার একটি সায়েন্স ফিকশন।সায়েন্স ফিকশনের নাম শুনলে যারা একশ হাত দূরে থাকে,,তাদের কাছেও এই বইটি অসম্ভব ভালো লাগবে।সায়েন্স ফিকশন বলতে আমরা সাধারণত কাঠখোট্টা কিছু গল্প বুঝি কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের সায়েন্স ফিকশন গুলি মায়া দিয়ে পরিপূর্ণ।স্কুল শিক্ষক মনসুর সাহেবকে নিয়েই গল্পের কাহিনী,,আরো আছে শূন্য জগতের এক যুবক।ফিবোনাক্কি রাশি ব্যবহার করে এক জটিল রহস্য সমাধান করেন মনসুর সাহেব এই বইটিতে।

অনেক ভালো কল্পনা শক্তির উপাসনা বলা যায়

বইটি শিশুদের জন্য অসাধারণ। চমৎকার ভাবে গণিত সম্পর্কিত ধারনা ছোটদের জন্য স্যার তুলে ধরেছেন।

বইটিকে নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই,,যারা সায়েন্স ফিকশন মুভি ভালো লাগে তারা পড়ে ফেলতে পারেন

যথেষ্ঠ ছোট একটা বই। এক বসাতেই শেষ করা যায় এমন। লেখক খুব সাধারণভাবে শুরু করে শেষ করেছেন মুগ্ধতা দিয়ে, তাই তিনি হুমায়ূন আহমেদ। ফিবোনাক্কি নম্বর সিরিজের অসাধারণত্ব উপলব্ধি হয়েছে নতুন করে আমার আরেকবার। পৃথিবীর অদ্ভূত রহস্যগুলোকে যারা জানতে চান তাদের জন্য অবশ্য পাঠ্য। আমার মতে কিশোর বয়সী সকলের বইটি পড়া জরুরী, এতে তাদের গণিত এবং বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষন তৈরি হবে ছোট থেকেই।

কিংবদন্তি লেখক হুমায়ুন আহমেদ। বাংলা সাহিত্যে সায়েন্স ফিকশনের আর্বিভাব তার হাত ধরেই। তিনি ছাড়া সায়েন্স ফিকশন লেখার প্রয়াস অন্য লেখকের মাঝে কম-ই দেখতে পাওয়া যায়। তার সায়েন্স ফিকশনে দেন্যন্দিন জীবনের কথাও উঠে আসে। শূন্য এমনি একটি উপন্যাস যার কেন্দ্রীয় চরিএ মনসুর সাহেব। গল্পে দেখা যায় মনসুর সাহেব নিজের অজান্তেই বংশপরম্পরায় শূন্য জগতে প্রবেশের রহস্য আবিষ্কার করছে। যেহেতু তিনি সংসার করেননি তাই তাকেই সম্যসার সমাধান করতে হবে। তিনি পারেন কিনা সেটাই দেখা যায় গল্পের শেষাংশে

হুমায়ুন আহমেদ এর বই মানেই সুপারহিট,কার, হুমায়ুন আহমেদ তার প্রত্যেকটি লেখায় তার নিপুনতার পরিচয় দেন যা অন্য বহু লেখকের মধ্যে খুজে পাওয়া দুস্কর।আমি মনে করি এই বইটিও বাদ যায় নাই।বইটিতে লেখক সায়েন্স এর সাথে সাথে অনেক বাস্তবিক জিনিস ও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যা আসলেই বইটিকে করেছে প্রাণবন্ত এবং সতেজ।আমি মনে করি বইটি সবার ভালো লাগবে,তাই সবার পড়া উচিত।ধন্যবাদ।

বইটি ভালই। হুমায়ন আহমেদ স্যার এর বই বলে কথা। আমার জীবনে প্রথম পরা সাইন্স ফিকশন বই। বইটি পরতে ভালই লেগেছে।

হুমায়ন আহমেদের বই মানে এক কথায় অসাধারণ। আমার বই টি পড়ে অসম্ভব ভাল লেগেছে । যেহেতু আমি একজন সাইন্স ফিকশন রোমান্চকর বই প্রেমিক । তাই বইটিতে যে রোমান্চকর কাহানি আমাকে তা মুগ্ধ করেছে।

আমাকে যদি আমার পড়া শ্রেষ্ঠ কয়েকটি সায়েন্স ফিকশন বেছে নিতে বলা হয় তাহলে তার মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের "শূণ্য" বইটি থাকবে। হুমায়ূন আহমেদের সায়েন্স ফিকশন লিখার ধরনটা প্রতিবারই আমাকে মুগ্ধ করে। তিনি সাধারণ জীবনের প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞানকে পুঁজি করে রহস্যময়তার এক অদ্ভুত জগৎ পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেন যার ব্যাতিক্রম হয়নি "শূণ্য" বইটিতেও। এই গল্পের মূল চরিত্র হচ্ছে গ্রামের একটি হাইস্কুলের অঙ্কের শিক্ষক মনসুর আলী। তার তিন কূলে কেউ নেই। তার নিরিবিলি জীবনের সাথী হচ্ছে অঙ্কের জটিল সমস্যা। এক ঝড়-বৃষ্টির রাতে তিনি বজ্রাহত হন আর তার পর থেকে তিনি একটা ছেলেকে দেখতে পান যে নিজেকে শূণ্য জগতের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেয়। মনসুর আলী তার নাম রাখেন ফিবোনাক্কি। ফিবোনাক্কির মতে মনসুর আলী ফিবোনাক্কি সিরিজের মাধ্যমে এমন এক সিরিজ আবিষ্কার করতে চলেছেন যার মাধ্যমে মানুষ শূণ্য জগতের রহস্য ভেদ করতে পারবে। কিন্তু মনসুর সাহেব বারবার নিজেকে বুঝাতে থাকেন যে, ফিবোনাক্কি তার উদ্ভট মস্তিষ্কের কল্পনা ছাড়া আর কেউ নয়। আসলেই কি তাই? আর কি হল মনসুর সাহেবের সিরিজের অবস্থা? জানতে হলে এখনই ডুব দিন "শূণ্য"র জগতে!

বুক রিভিউঃ বইয়ের নামঃ শূন্য, লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ, রেটিংঃ৫/৫ হুমায়ূন আহমেদ মানেই নতুন কিছু। এই বয়েই তার বিপরীত নয়। লেখন একজন স্কুল শিক্ষকের চরিত্রের মাধ্যমে সাইন্স ফিকশন রচনা করেছেন। মনসুর সাহেব একজন গনিত শিক্ষক তিনি সর্বদা গণিত নিয়ে ভাবেন। প্রতিটি বিষয়ে সংখ্যা খুঁজে পান। যেমন, ছাত্রদের গণনার সময় উনি প্রাইম নাম্বার চিন্তা করেন। লেখক ফিবোনাক্কি সংখ্যার উল্লেখ করেছেন। কাল্পনিক চরিত্রের নাম দিয়েছেন ফিবোনাক্কি। মনসুর সাহেব ফুল, পাখির ঝাকের মাঝেও ফিবোনাক্কি সংখ্যার উপস্থিতি গণনা করেন। উনি সংখ্যা ভালোবাসেন। সব মিলিয়ে এক অসাধারন বই। বইটার সাইজ দিয়ে বইটার তুলনা করা যাবে না।

বইয়ের নামঃ শূন্য লেখকের নামঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃসময় প্রকাশ মূল্যঃ৯০ টাকা মাত্র হুমায়ূন আহমেদ এর শূন্য উপন্যাস টিতে গণিত, এক বাস্তবতার পরিসরে বন্দি হয়েও অন্য এক বা একাধিক বাস্তবতার সন্ধান, আর খুব ছোটো ছোটো ব্যথা আর সুখ বন্দি হয়েছে। : এইসব নিয়েই লেখক আমাদের উপহার দিয়েছেন এই লেখাটি। পড়া শুরু করলে ছাড়া যায়না। চরিত্রগুলো রীতিমতো সামনে এসে হাঁকডাক দেয় বা রাগ, দুঃখ, বিরক্তি আর অভিমান ফুটিয়ে তোলে। কিন্তু তবু, আমি তারাবাজির বেলায় কিপটেমি করলাম কারণ এই উপন্যাসটাও "শেষ হয়ে হইল না শেষ" হয়ে রয়ে গেল। মনটাই মাঝখান থেকে কেমন একটা হয়ে গেল একবার পড়লেই বুঝতে পারবেন কতটা রহস্যময়

বইটি পড়ে মজা লেগেছে.. কল্পনা ও বাস্তব এর একটি সংমিশ্রণ, সাথে অংকের কিছু তথ্য.. সব মিলিয়ে ইনজয় করেছি বইটি পড়ে!

আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে সায়েন্স ফিকশন পাওয়া বেশ কঠিন বিষয়। সায়েন্স ফিকশনের পশ্চিমি ধারার মতো করেই রচিত হয়েছে বাংলাদেশী সায়েন্স ফিকশন। পরবর্তী সময়ে কিছু পরিবর্তন হয়েছে, তবে সিংহভাগ লেখা সেই ধারার। সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তার নিজস্ব গল্প বলার ধরনের সঙ্গে বিজ্ঞান এবং অন্য জগতের মধ্যে এক সেতু রচনা করেছেন এই বইয়ে। অঙ্কপাগল এক স্কুল শিক্ষককে নিয়ে এই গল্প। যিনি এক জটিল সমস্যার সমাধান করতে চান। দিস্তা দিস্তা কাগজ কিনে তার অঙ্ক করার বাতিক দেখে সবাই তাঁকে পাগল ভাবে। সেই শিক্ষক এমন কিছু আবিষ্কারের মুখে যা আবিষ্কৃত হলে উন্মচিত হবে নতুন দিগন্ত। কিন্তু তিনি কি পারবেন? সে গল নিয়েই রচিত এই বইটি

জাস্ট অসাধারন!

এই গল্পের মুল চরিত্র হলো মনসুর।সে একজন শিক্ষক।সে একদিন ক্লাসে পড়ানোর সময় খেয়াল করলো তার চোখ থেকে পানি পরছে।ফলে সে বোর্ডে কি লিখছে তা দেখতে পাচ্ছে না।অনেক দুর্বল লাগছে তার।সে ক্লাসেই ঘুমিয়ে পরে।ঘুম থেকে তাকে ডেকে তুলে হেডমাষ্টার।তার এ অবস্থা দেখে সে তাকে ছুটি দিয়ে দেয়।মনসুর সাহেব থাকেন আজিজ খাঁ বেপারির গুদাম ঘরে।আজিজ খাঁ মনসুর সাহেবকে অনেক পছন্দ করেন।তার জন্য সে নতুন ফ্যান কিনে রেখেছে যাতে যখন কারেন্ট এর লাইন পাবে তখনই মনসুর সাহেব যেন ফ্যান চালাতে পারে।এ ভালোবাসা নির্ভেজাল তা এই কাহিনি থেকেই বুঝা যায়।আজিজ খাঁ বেপারীর একটা স্টেশনারী দোকান রয়েছে।মনসুর সাহেব সেখান থেকে কাগজ কলম কিনে।মনসুর সাহেব বর্তমানে ফিবোনাক্কির একটা রাশিমালা নিয়ে কাজ করছেন।তার এ কাজ করতে ভালো লাগে বলে সে করে,না করলেও কিছু যায় আসে না।ভালো লাগে বলে করে এতে সময়ও কাটে।সে আজিজ বেপারীর দোকান থেকে কাগজ কলম কিনে বাসায় আসার সময় ঝড় শুরু হয়,হঠাৎ করে মনসুর সাহেবের শরিরের উপর বজ্রপাত পরলো।সে ছিটকে বাধের নিচে পরে যায়।তার বাচার কথা না কিন্তু সে দেখলো সে বেচে আছে এবং তার কিছই হয়নি।সে চোখ মেলে দেখে তার দিকে ঝুকে আছে অল্প বয়সি এক ছেলে।সে ছেলেটার সাথে কথা বলে।কথা বলে জানতে পারে যে সেই ছেলেটার কোন নাম নেই এবং সে পৃথিবির কেউ না,সে এসেছে শূন্য জগত থেকে।মনসুর সাহেব ভাবেন যে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে, বজ্রপাতের মানসিক চাপে তার মাথা কিছুটা এলোমেলো হয়ে গেছে।ছেলেটা বলে যে সে মনসুর সাহেবের খোজে এই পৃথিবীতে এসেছে।মনসুর সাহেব তাকে পাওা দেয় না।সে ভাবে সে তার কল্পনা।ছেলেটা মনসুর সাহেবের কাছে এসেছেন এর কারন হলো মনসুর সাহেব যে রাশিমালা নিয়ে কাজ করছেন তা নিয়ে কথা বলতে।সে নাকি সেখানে ছোট ছোট ভুল করছে তা বুঝানোর জন্যই সে মুলত এসেছে।কিন্তু মনসুর সাহেব তাকে মনের কল্পনা ভেবে পাওা দেয় না।মনসুর সাহেব একা থাকে।সে বিয়ে করেছিল।অল্প বয়সেই বউ মারা যায়।এর পর আর বিয়ে করেনি।মনসুর সাহেবকে অসুস্থ মনে হওয়ায় তাকে হেডমাষ্টার বজলুর সাথে দেখা করে যেতে বলেছে।বজলু একজন ডাওার।মনসুর সাহেব অবাক হয়ে মাঝে মধ্যে ভাবে সে তেমন কারো সাথে গল্প করে না,রসিকতাও কারো সাথে করে না কিন্তু তাকে অনেকেই পছন্দ করে।যেমন বজলু,হেডমাষ্টার,বদরুল আরো অনেকে।সেই ছেলেটা শুন্য নিয়ে কিছু ব্যাখা করে যা পরে মনসুর সাহেব চিন্তা করে দেখে সে আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।মনসুর সাহেব হঠাৎ করে খুব অসুস্থ হয়ে পরে।তার বুক উঠা নামা করছে,প্রাণ এখানো আছে কিন্তু কতক্ষন থাকবে সেটাই কথা।তার ঘরে আজিজ খা,হেডমাস্টার এসে দেখে সারা ঘরে কাগজের নৌকায় ভরা।তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।সেখানে মনসুর সাহেব বুঝতে পারে যে,সে যাকে তার কল্পনা ভেবেছিল তা আসলে ভুল।সে আসলেই শুন্য জগতের বাসিন্দা।সে এসেছিল মনসুর সাহেবের কাজকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য।যা সে শুন্য জগতের জন্যই করেছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়তে মজা বেশি লাগে এর কারন হলো তখন কল্পনা শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।তখন সবাই কিছুক্ষণের জন্য হলেও কল্পনার জগতে প্রবেশ করতে পারে। এই বইটি সে কাজ খুবই ভালো মতো করতে সাহায্য করবে।বইটি এক কথায় চমৎকার।বইটি পরে গনিতের কিছু মজার জিনিসও জানতে পেরেছি।এই বইটি পড়ে গনিতের অনেক মজার অনেক কিছু জানা যাবে।বইটি সবার জন্য।সবাই বইটি পড়ে মজা পাবেন এইটা আমার বিশ্বাস।গনিতের কথা শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই এমন সব বিষয় নিয়ে লেখক কথা বলেছে যে ৫ম শ্রেনীর ছাত্র-ছাএীরও বুঝবে বিষয় গুলো।শুধু যে গনিতই আসে কেবল তানা।গনিত কেবল কিছু অংশতে আলোচনা করেছে এছাড়াও অনেক মজাদার কাহিনিও আছে এই বইটিতে।বইটি আসলেই অনেক ভালো।সবার ভালো লাগবে এই আমার বিশ্বাস।

the best book ever. Don't know why it didn't become popular

অসাধারন বই।

#রকমারী_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #রিভিউ_১ (আগস্ট রিভিউ -১৬) ১,১,২,৩,৫,৮,১৩,২১... এমন কিছু সংখ্যা যখন প্রথম স্কুলজীবনে দেখেছিলাম অবাক হয়ে গিয়েছিলাম কারণ এমন লিখার কারণ প্রথমে কিছুই বুঝি নি। পড়ে স্যার যখন বললেন এগুলা ফিবোনাক্কি রাশিমালা যার উদ্ভাবক বিখ্যাত গণিতবিদ লিওনার্ডো ফিবোনাক্কি আর এই রাশিমালার বৈশিষ্ট্য হল রাশিমালার প্রতিটি সংখ্যা হল আগের দুই সংখ্যার যোগফল। আর অবাক করা বিষয় হল প্রকৃতিতে নাকি ফিবোনাক্কি সিরিজের খুব প্রয়োগ দেখা যায়। স্যার সেইসাথে শুণ্য নিয়েও অনেক কথা বলেছিলেন। তখন স্কুলজীবনেই ফিবোনাক্কি রাশি আর শূণ্য নিয়ে একটু বইপত্র ঘাটাঘাটি করতে শুরু করেছিলাম আর সাথে মনের অনেক অজানা উত্তরও জানছিলাম আর শুণ্য নিয়ে এমন আকর্ষণ বোধ করেছিলাম যে নিজের অবচেতন মনেই এক শুণ্য নামের মানুষ বানিয়ে তার সাথেই শুণ্য রাশি নিয়ে কথা বলতাম । হুমায়ূন আহমেদের ' শূণ্য' বইটা পড়তে নিয়ে দেখি এটা এমন এক মানুষের গল্প মনসুর সাহেব যার নাম, যিনি ৩২ বছর ধরে স্কুলে অংক পড়ান। উনি চিরকুমার, থাকেন নেত্রকোনা শহরের এক গুদামঘরের দোতলায় একটা কক্ষে। তিনি জীবনে কোন বাহুল্য পছন্দ করেন না। ক্লাশের বাইরে সারাটা সময় কাটে তার প্রাইম নাম্বার আর ফিবোনাক্কি রাশিমালা নিয়ে চিন্তা করে। একদিন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার কল্পনায় এমন এক মানুষকে তিনি সৃষ্টি করে ফেলেন যার বসবাস শূণ্য জগতে। তিনি বুঝতে পাড়েন এটা তার দ্বৈত চরিত্র কিন্তু তিনি তার সাথেই ফিবোনাক্কি নিয়ে কথা বলতে গেলেই কল্পনার মানুষটা সবসময় তাকে শূণ্য জগতের কথা বলে তাকে বিভ্রান্ত করে। মনসুর সাহেবের ভিতরে চেতনার যে অস্তিত্ব সেই অস্তিত্বই কি শূণ্যের জগত এই নিয়ে দোটানায় পড়ে এক রাতে জ্বরের ঘোরে সারারাত কাগজ বানিয়ে আর অংক করে মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যেতে থাকেন। তাকে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে তার শূণ্য জগতের কল্পনার মানুষটি তার চেতনায় ভেসে উঠলে তার সাথে ঘটে অন্যরকম এক ঘটনা। কি ঘটনা সেটা পাঠকই না হয় বের করুন। একবছর আগে একটা মুভি দেখেছিলাম দীপিকা আর ফারহান আখতারের। ' কার্তিক কলিং কার্তিক '। সেখানে ফারহান এমন একটা অসুখে ভোগে যে সবসময় দ্বৈত মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে। মানে নিজের কল্পনায় এমন এক মানুষকে তৈরি করেছে যা তার মতই দেখতে, সে যা বলে তাই সে করে। মুভিটা দেখতে দেখতে তন্ময় হয়ে ভেবেছিলাম আসলেই তো মানুষ কল্পনায় তার মতই এক মানুষকে তৈরি করে ফেলে যখন সে একাকীত্ব কিংবা কোন সমস্যায় ভোগে। মানুষটা জানে তার মতই দেখতে যে মানুষটার সাথে সে কথা বলছে সে তার কল্পনার অংশ। যার সৃষ্টি শূণ্য জগতে। যেটার আদতে কোন অস্তিত্ব মানুষের দূর্বল মনের কোণ ছাড়া নেই। হুমায়ূন স্যারের বইটাও এক গণিতপাগল মানুষের মনোবৈকল্যের কাহিনী নিয়ে রচিত। যেখানে উঠে এসেছে প্রাইম নাম্বার, ফিবোনাক্কি রাশিমালা আর রহস্যময় শূণ্য সংক্রান্ত রাশিমালা নিয়ে এক সহজ- সরল উপস্থাপনা। বইটা কোন গণিতভীত মানুষও পড়ে ফেলতে পাড়বেন কারণ এখানে গণিতের বিষয়গুলা খুব সহজে গল্পের ছলে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। #বইয়ের_নাম : শুণ্য লেখক : হুমায়ূন আহমেদ

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা গভীর রাত। পাশের টেবিলে হারিকেন জ্বলছে। হারিকেনের ক্ষীণ আলোয় তিনি বৃষ্টির রাতে বই পড়ছেন-- দরজা ঠেলে কে ঢুকছে? আরে রূপা না! হ্যা রূপা। তার কিশোরী বধু। আহা কতোদিন পর দেখলেন রূপাকে। এতো সুন্দর মেয়ে। এতো মিষ্টি চেহারা। রূপা বললো-- "এই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজবে?" না না পাগল হয়েছ রাত দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজবো কি? তোমার কি সব পাগলামি। রূপা মন খারাপ করে বসে আছে। তার চোখ ভিজে উঠেছে। ফিবোনাক্কি এই স্মৃতি কেন দেখালো? এই স্মৃতি তার জীবনের দুঃখময় স্মৃতির একটি। তিনি সে রাতে স্ত্রীর সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে যাননি। এইসব ছেলেমানুষি তার চরিত্রে ছিল না। আচ্ছা শূন্য জগতে কি চন্দ্রালোক আছে? সেই জগতে কি জোছনার ফুল ফোটে?? পাখি গান গায়??? মনসুর সাহেব ঘরে ফিরে এলেন। হারিকেন নিভিয়ে বিছানায় গেলেন। ভয়াবহ ক্লান্তি তাকে আছন্ন করে ফেলেছে। আকাশে মরা চাঁদ, সেই আলো এসে পড়ছে তার বিছানার এক অংশে। মনসুর সাহেব এইসব ভাবতে চাইছিলেন না। কিন্তু তার মাথায় চিন্তাটা ঢুকিয়ে দিয়েছে ফিবোনাক্কি। ফিবোনাক্কি! এ কেমন নাম!? ফিবোনাক্কি রাশিমালা। ত্রয়োদশ শতাব্দীর এক বিখ্যাত গণিতবিদ লিওনার্দো ফিবোনাক্কি এই রাশিমালা বের করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন প্রকৃতির মূল সমস্যা এই রাশিমালাতে। কিন্তু তিনি আফসোস নিয়ে মারা গিয়েছিলেন। সেই রাশিমালা নিয়ে কাজ করতে না পারার আফসোস। মৃত্যুর সময় তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন-- হে ঈশ্বর, আমাকে আর মাত্র তিন বছর আয়ু দাও-- মাত্র তিন..... তার নামটাই পছন্দ করেছে সে। ফিবোনাক্কি। কিন্তু মনসুর সাহেব কি জানতেন, তার অস্তিত্ব মনে করা ফিবোনাক্কি আসলে তার অস্তিত্ব ছিল না! তবে সে কেন এসেছিল? কি নিপুণচভাবেই না সে তার উদ্দেশ্য হাসিল করে নিল। বিষ মাখানো স্বপ্ন দিল, তাও শেষটায় কি এক অদ্ভুত মধু মাখিয়ে!!! পৃথিবীরর সবচে জ্ঞানী মানুষটি সম্পূর্ণ পরাজিত হয়ে শুধু বললেন- "ধন্যবাদ ফিবোনাক্কি" পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ একদিন হয়তো সব বদলে যাবে, কিংবা ইতিহাস ফিরে ফিরে আসবে বারবার,যুগেযুগে,,জনম জনম... হয়তোবা যেমন করে স্বর্গ থেকে আগুন চুরি করে এনে মরনশীল মানুষের হাতে তুলে দিয়েছিল প্রমথিউস, তেমন কেউ আসবে... নয়তোবা পরাজিত মানুষেরা আকড়ে ধরবে অধরা ভালবাসাকেই... বৃষ্টি নামবে ঝমঝমিয়ে। বড়ই বেদনার সুর!

#রকমারি_বইপোকা_রিভিও_প্রতিযোগিতা রিভিও :::::জুলাই /৩ বই__শূন্য লেখক__হুমায়ুন আহমেদ ধরন__বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পৃষ্ঠা__৬৪ মুল্য__১০০৳ (রকমারি ৯০৳) রহস্য রোমাঞ্চেরর প্রতি আমাদের আকর্ষন চিরকালই। তারই সমাধানে আমরা যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা কারণ খুঁজে। কিন্তু সেই কারণের আড়ালে থেকে যায় রহস্য, থেকে যায় সৃষ্টির রহস্য। তারই ব্যাখ্যার খোঁজে প্রাণ দেয় অনেকে মানুষ, কিন্তু প্রকৃতি সেই রহস্য আবৃত করে রাখে সযত্নে। বিজ্ঞান আর মানুষের সহজাত কল্পনার মিলে যেন রহস্য আরো ঘনীভুত হয়....জন্ম নেয় সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর। তেমনি এক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হুমায়ুন আহমেদের #শূন্য। বাংলাদেশের নেত্রকোনার বাসিন্দা স্কুল মাস্টার মনসুর। প্রায় অবসর গ্রহনের মুখে, শরীরটা ইদানিং তেমন ভাল যাচ্ছে না, হেডমাস্টার সাহেব উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠিত। খুব কম মানুষই জানেন তিনি একনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন ফিবোনাক্কি রাশিমালা নিয়ে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর এক বিখ্যাত গণিতবিদ লিওনার্দো ফিবোনাক্কির আবিষ্কার এই রাশিমালা। মরবার সময় তিনি বলে গিয়েছিলেন প্রকৃতির মুল রহস্য এই রাশিমালাততে আছে। তার নামেই নাম ফিবোনাক্কি রাশিমালা। পাতার পর পাতা অঙ্ক কষছেন মনসুর সাহেব। থাকেন আজিজ খান গোডাওনের ২য় তলায়। দেখাশুনা ও রান্নাবান্না করে হারমুজ। আজিজের দোকান থেকে কাগজ কিনতে গেলে বদরুল তাকে দিস্তা দিস্তা কাগজ দেয় আর জোর করে বসিয়ে গল্প করে। কাগজ আর কালি নিয়ে ঝড়ের মধ্যে ফিরছিলেন মনসুর সাহেব। বৃষ্টি পড়ছে ঝেপে। বিদ্যুৎচমক আর গগনবিদারী আওয়াজ। এই মুহুর্তেও তার মাথায় খেলছে অঙ্কের কথা। একবার বাজ পড়ল মনসুর সাহেবের খুব কাছে। ছিটকে পড়ে গেলেন তিনি। সেখান থেকে তাকে টেনে তোলল এক সুদর্শন যুবক। ফিবোনাক্কি রাশিমালা নিয়ে সেও অনেক আগ্রহী। খবরও রাখে, আরো জানতে চায়। তার বক্তব্য সে নাকি শূন্য থেকে এসেছে। সে এই পৃথিবীর কেও নয়। মনসুর সাহেবের ধারনা এ যুবক তার কল্পনা মাত্র, আসলে কেও নয়। হাজারবার তাকে গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইলেও সে মনসুর সাহেবের অনুসরণ করে ছায়ার মত। শূন্যের বাকিসব কেরামতি জানতে বইটি পড়তে হবে। রেটিং___ ৮/১০ প্রতিক্রিয়া ___ হুমায়ুন আহমেদের সব কল্পকাহিনী অনেকের কাছে ফালতু লাগে। কিন্তু আমাকে টানে চুম্বকের মতো। এটা আমার পড়া সেরা সায়েন্স ফিকশনের একটা যদিও এতে অঙ্ক নিয়ে কাহিনী একে সায়েন্স ফিকশন কতটুকু বলা যায় তা নিয়ে সন্দিহান।

গণিতের শিক্ষক মনসুর সাহেবের শিক্ষকতার বয়স ৩২ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কখনো কাউকে ধমক দিয়েছেন বলে মনে হয়না, অথচ কোন কোন এক অজানা কারণে ছাত্ররা তাকে যমের মত ভয় করে। ফিবোনাক্কি রাশিমালার প্রতি মনসুর সাহেবের তীব্র আকর্ষণ। বিখ্যাত গণিতবিদ লিওনার্দো ফিবোনাক্কির আবিষ্কৃত এই রাশিমালার প্রয়োগ প্রকৃতিতে অসংখ্য। সূর্যমুখী ফুলের পাঁপড়ির বিন্যাস, শামুকের স্পাইরেল, সামুদ্রিক কাঁকড়ার দ্বারা বালুতে তৈরি নকশা ইত্যাদি ফিবোনাক্কি রাশিমালা অনুসারে হয়। তাই লিওনার্দো ফিবোনাক্কির মত তিনিও মনে করেন যে প্রকৃতির মূল সমস্যা লুকিয়ে আছে ফিবোনাক্কি রাশিমালায়। প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির এক রাতে মগরা নদীর বাধ পেরুনোর সময় বজ্রপাতের শব্দে অজ্ঞান হয়ে যান মনসুর সাহেব। জ্ঞান ফিরলে পাশে দেখেন এক অপরিচিত যুবক, যে নিজেকে শূন্য জগতের বাসিন্দা বলে দাবী করছে। নামহীন এই যুবক মনসুর সাহেবের সুবিধার জন্য নিজের একটা নাম ঠিক করে দেয় – ফিবোনাক্কি। মনসুর সাহেব পুরো বিষয়টিকে নিজের উত্তপ্ত মস্তিস্কের কল্পনা ভেবে ফিবোনাক্কিকে অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করেন, কিন্তু বারবার এই রহস্যময় তরুণ তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাতে থাকে। তাঁর ভাষ্যমতে – মনসুর সাহেব ফিবোনাক্কি রাশিমালার অন্তরালে নিজস্ব একটি রাশিমালা নিয়ে কাজ করছেন, যে রাশিমালার ভিত্তি শূন্য। শূন্য নিয়ে এই রাশিমালার কাজটা মনসুর সাহেবের দাদা এবং বাবাও শুরু করেছিনে, কিন্তু শেষ করে যেতে পারেন নি। এবার মনসুর সাহেবের পালা, ফিবোনাক্কি এসেছে কাজটা শেষ করতে তাকে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু আসলেই কি তাই??? নাকি দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতাহীন জগতের এই রহস্যময় তরুণের আগমনের পেছনে আছে কোন ভিন্ন ইতিহাস।

হুমায়ুন আহমেদের শূন্য বইটি একটি অত্যন্ত অসাধারণ একটি বই। এই বইয়ে গল্পের মুল চরিত্র মনসুর সাহেবের মাধ্যমে বলা হয়েছে শূন্যের রহস্যের এক কল্পকাহিনী। গল্পটি না পরলে বুঝতে পারবেন না কি মিস হচ্ছে। ধন্যবাদ হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে এবং ধন্যবাদ রকমারিকে এতো সুন্দর একটি বই উপহার দেওয়ার জন্য

এতটাই উত্তেজনা পূর্বক একটি বই যে একদিনে বইটা শেষ করতে বাধ্য হলাম

অসাধারণ একটি বই।

মোটামোটি ভালো লেগেছে।

হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা নিয়ে কথা বলার মতো যোগ্যতা আমার নেই । তার বই যারা বই পড়ার জন্য পড়েছেন তারা সবাই তা জানেন । রকমারিতে রিভিউ এ রকমারির ডেলিভারি সার্ভিস ও বই এর গাঠনিক দিক নিয়েই বলবো । রকমারির সাথে সেই ২০১৯ থেকে আমার একসাথে চলা । এই পর্যন্ত যতগুলো বই অর্ডার দিয়েছিলাম সবগুলোর কোয়ালিটি ই ভালো । আর প্রথম প্রথম ডেলিভারি ম্যান রা সমস্যা করলেও । ধীরে ধীরে সেই সমস্যা টা ও চলে গেছে । সব মিলিয়ে ৮/১০

আনেক মজার বই পরো অন্য জগতে চলে গিয়েছিলাম

অসাধারণ একএলটি বই। অনেক ভালোবাসা রইল হুমায়ুন স্যারকে, অনেক অনেক ভালো থাকবেন ওপারে।??

খুব ভালো , বাঙালিকে বই পড়া শেখাতে অবদান বাখতে ধন্যবাদ

শূন্য জিনিসটা আসলে কী?একটা সংখ্যা। কিন্তু এটা কী দ্বিমাত্রিক? ত্রিমাত্রিক?চারমাত্রিক?ফিবোনাক্কি রাশিমালার সাথে এর কোনো সম্পর্ক আছে কী? গনিতের সাথে একটা মানুষের সম্পর্ক কত গভীর হতে পারে?শূন্য জগত বলতে কিছু আছে কি? সেখানকার জীবন ধারণা কেমন? পৃথিবীর সাথে এর কোনো সম্পর্ক আছে কী?এই সব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই এই সায়েন্স ফিকশন। অসাধারণ একটি বই।

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃশূণ্য লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ ধরনঃসায়েন্স ফিকশন প্রকাশনীঃসময় প্রকাশন মূল্যঃ১০০ টাকা( রকমারি মূল্যঃ৭৫ টাকা) . গল্পের মূল চরিত্র হল #মনসুর_সাহেব। তিনি একজন স্কুল-শিক্ষক। তার পরিবার-পরিজন বলতে তেমন কেউ নেই। একা একা থাকেন। আর দিন-রাত গণিতের বিভিন্ন জটিল জটিল সমস্যা নিয়ে ভাবেন। বিখ্যাত গণিতবিদ লিওনার্দো ফিবোনাক্কির আবিষ্কৃত এই রাশিমালার প্রয়োগ প্রকৃতিতে অসংখ্য। সূর্যমুখী ফুলের পাঁপড়ির বিন্যাস, শামুকের স্পাইরেল, সামুদ্রিক কাঁকড়ার দ্বারা বালুতে তৈরি নকশা ইত্যাদি ফিবোনাক্কি রাশিমালা অনুসারে হয়। তাই লিওনার্দো ফিবোনাক্কির মত তিনিও মনে করেন যে প্রকৃতির মূল সমস্যা লুকিয়ে আছে ফিবোনাক্কি রাশিমালায়। . কাহিনীর সূচনায় দেখা যায়, তিন পুরুষ ধরে গণিত চর্চাকারী শিক্ষক মনসুর সাহেব তার নিয়মিত ক্লাসে শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করছেন, তিনি বিচলিত তার নিজ চিন্তার ভুবন নিয়ে, নিয়মতান্ত্রিক মানুষ হিসেবে তিনি তার এলাকায় শ্রদ্ধাশীল, নিজ জীবনে নিয়মের ব্যাতিক্রম তাকে অস্থির করে তোলে। পরবর্তীতে দেখা যায় এক বিশেষ রাশিমালা প্রবর্তনের অদম্য সাধনাই তার চিন্তার জগত ও পারিপার্শ্বিক কে আরও অস্থির করে তুলছে, তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকেই তিনি এই বিশেষ রাশিমালার ধারণা পেয়েছিলেন, তার পিতা ও পিতামহ এর সমাধান শেষ করতে পারেন নি, নিঃসন্তান ও বিপত্নীক মনসুর সাহেব তাই আপ্রাণ চেষ্টারত। হঠাৎ করেই বজ্রাহত হন মনসুর সাহেব, ঠিক তার পর মুহূর্তেই তার সাথে পরিচয় ঘটে এক যুবকের, যে তাকে জানায়- তার বিশেষ রাশিমালার সমাধানে সে সাহায্য করতে চায়।যে নিজেকে #ফিবোনাক্কি নামে পরিচয় দেয় এবং বলে মনসুর রহমানকে সহায়তার উদ্দেশ্যে শূন্য মাত্রার জগত থেকে সে এসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই মনসুর রহমান তাকে নিজের উত্তপ্ত মস্তিষ্কের কল্পনা হিসেবে ধরে নেন। ফিবোনাক্কি তাকে এক নতুন জগতের কথা জানায়। যেখানে সব কিছুই শূন্য আবার সব কিছুই অসীম। ফিবোনাক্কির উৎসাহে তিনি শূন্য মাত্রার সমীকরণ নিয়ে কাজ শুরু করেন। মনসুর সাহেবও ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরেও তিনি তার কাজ চালিয়ে যান। সমাধান করার চেষ্টা করেন এই রহস্যের। গল্পের শেষাংশে, তার অসুস্থতার পরিমাণ খুব বেড়ে গেল আজিজ খাঁ এবং হেডমাস্টার তাকে ঢাকার এক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালেই তার মৃত্যু ঘটে। মনসুর সাহেব কি শূন্য রহস্যের সমাধান করতে পেরেছিলেন? জানতে পেরেছিলেন কে এই ফিবোনাক্কি?? তার দাদা এবং বাবার মৃত্যু কি শুধুই দুর্ঘটনা? নাকি অন্য কিছু।প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পড়ে নিন সুন্দর এই বইটি। . পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদের সায়েন্স ফিকশান উপন্যাসের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, তিনি বিজ্ঞানকে পুঁজি করে গল্পের ভিত গড়ে তুললেও গল্পের শেষে মানবিক অনুভূতিগুলোই সবচেয়ে বড় হয়ে ওঠে। শূন্য’ বইটির আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এখানে গল্পের কাহিনী বিজ্ঞানের খুব কাছাকাছি থেকে তৈরি করা হয়েছে।সুন্দর একটি বই পড়ে দেখুন আশা করি ভাল লাগবে। হাপি রিডিং....

শূন্য গল্প এই পর্যন্ত অনেক পড়েছি। যত পরি তত ভাল লাগে। কোন গল্প পরে যদি তোমার ভাল লাগে দেখবে সেটা ইচ্ছে করবে আরেকবার পড়তে।

পড়ে ফেললাম। খারাপ না ভালোই লাগলো৷ জীবনটা আসলেই শূন্য খাতা!!!??

বইটা মাত্র পড়া শেষ করলাম..... খুব ভালই লাগলো... বিজ্ঞানের খুব কাছে থেকে বইটা লেখা হয়েছে...?

This is amazing Book That I have ever read .

হুমায়ূন আহমেদের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি শূণ্য-এর কেন্দ্রবিন্দুতে আছে সাধারণ স্কুলশিক্ষক মনসুর আলি ও অন্য জগতের ফিবোনাক্কি। মনসুর আলি রাতদিন এক করে শুধু একটি অঙ্ক সমাধান করতে চাইছেন। কিন্তু ফিবোনাক্কি চায় না তা হোক, কারণ তাতে যে তাদের মস্ত বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। কী সেই বিপদ? কীই–বা সে অঙ্ক? মনসুর আলি কি পারবেন এই অঙ্ক সমাধান করতে? নাকি ফিবোনাক্কি তার কাজে সফল হবে? এসব কিছুর সমাধান পাওয়া যাবে এই বইটি পড়লে। যদিও এটি সায়েন্স ফিকশন। তবে এর প্রতি ধাপে ধাপে থাকা রহস্য তোমাকে দেবে এক অন্য রকম স্বাদ।

এই বইটা আসলে একটা নতুন সংখ্যার উপর ভিত্তি করে লেখা। একজন স্কুল শিক্ষক এই নতুন সংখ্যাটা নিয়ে অনেক রিসার্চ করেন। তিনি অই সংখ্যা নিয়ে রিসার্চ করার জন্য ১ সাপ্তাহে ১২ দিস্তা খাতা কিনেন! আর এই স্কুল শিক্ষক মনসুর সাহেব। যিনি একা থাকেন। তার স্ত্রী সন্তান কেউ নেই। তার অবসর সময় তিনি গণিতের জটিল কিছু সমস্যা নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন। আর তিনিই এই ফিকশন এর কেন্দ্রীয় চরিত্র। এই ফিকশন এ কিছু আধিভৌতিক ব্যাপার আছে। প্রফেসর যে সংখ্যাটা নিয়ে রিসার্চ করছেন তার নাম 'ফিবোনাক্কি'। তিনি 'ফিবোনাক্কি' কে নিয়ে এতই চিন্তা করতেন যে, তার কাছে 'ফিবোনাক্কি' ছাত্র হিসেবে আসে!

বইটির প্রচ্ছদের প্রথম কথাটি হল- ‘হুমায়ূন আহমেদের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী!’ এবং বইটির ভুমিকায় লেখকের নিজ ভাষ্য- “ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখার সময় লেখক কে সচেতন ভাবে কল্পনা পরিহার করে যুক্তিতে থাকার চেষ্টা করতে হয়। আমি কখনো তা পারি না। আমি শ্রদ্ধা করি- যুক্তি, কিন্তু ভালবাসি- কল্পনা। আর এটাতো জাগতিক সত্য ভালবাসার এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ভালবাসাই জয়ী হয়।“ সে কারণে আমরাও সচেতন ভাবেই ‘সায়েন্স ফিকশান’ হিসেবে অন্তত এই বইটির মূল্যায়ন করবো না! সায়েন্স ফিকশান ও সায়েন্টিফিক ফ্যান্টাসি দুটো আলাদা বিষয়। উদাহরণ স্বরূপ, In A Good Cause ছোট গল্পটি আসিমভের লেখা ‘সায়েন্স ফিকশন’ কিন্তু Time Pussy ছোট গল্পটি তাঁরই লেখা একটি ‘সায়েন্টিফিক ফ্যান্টাসি’। পঞ্চাশঊর্ধ্ব হাইস্কুল গণিত শিক্ষক মনসুর সাহেবের জীবনের শেষ কয়েকটি দিনের ঘটনার বিবরণ নিয়েই বইটি লেখা,অন্যান্য চরিত্র গুলোর মধ্যে অন্যতম হল একজন বিশ-একুশ বছরের যুবক-ফিবোনাক্কি, যে শূন্য মাত্রার জগত(!) থেকে এসেছে মনসুর সাহেব কে একটি গাণিতিক রাশিমালা তৈরিতে সাহায্য করতে। বইটির বর্ণনার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বিশেষ একটি গাণিতিক রাশিমালা- ফিবোনাক্কি ( Fibonacci numbers/ sequence)। ১২০২ খৃস্টাব্দে পিসার গনিতবিদ লিও ফিবোনাক্কি এর প্রথম বর্ণনা দেন। পরবর্তীতে উনিশ শতকের সংখ্যা তত্ত্ববিদ এডওয়ার্ড লুকাস এর বিশদ বৈশিষ্ট্য, ব্যবহারিক প্রয়োগ ও প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এমন উদাহরণ গুলো তুলে ধরেন। সাধারণ পাঠক হিসেবে গণিতের আকর্ষণীয় এই রাশিমালা সম্বন্ধে জানতে পারাটাই বইটির একমাত্র পাওয়া বলে মনে করছি। মজার বিষয় হলো লেখক বইটিতে অনেকগুলো বিষয় ও উদাহরন দিলেও যে ‘বিখ্যাত’ খরগোশের প্রজনন কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে ফিবোনাক্কি এই রাশিমালার সূচনা করলেন তারই উল্লেখ নেই। কারণ, লেখক যুক্তিতে থাকতে পছন্দ করেন না! কাহিনীর সূচনায় দেখা যায়, তিন পুরুষ ধরে গণিত চর্চাকারী শিক্ষক মনসুর সাহেব তার নিয়মিত ক্লাসে শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করছেন, তিনি বিচলিত তার নিজ চিন্তার ভুবন নিয়ে, নিয়মতান্ত্রিক মানুষ হিসেবে তিনি তার এলাকায় শ্রদ্ধাশীল, নিজ জীবনে নিয়মের ব্যাতিক্রম তাকে অস্থির করে তোলে। পরবর্তীতে দেখা যায় এক বিশেষ রাশিমালা প্রবর্তনের অদম্য সাধনাই তার চিন্তার জগত ও পারিপার্শ্বিক কে আরও অস্থির করে তুলছে, তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকেই তিনি এই বিশেষ রাশিমালার ধারণা পেয়েছিলেন, তার পিতা ও পিতামহ এর সমাধান শেষ করতে পারেন নি, নিঃসন্তান ও বিপত্নীক মনসুর সাহেব তাই আপ্রাণ চেষ্টারত। হঠাৎ করেই বজ্রাহত হন মনসুর সাহেব, ঠিক তার পর মুহূর্তেই তার সাথে পরিচয় ঘটে এক যুবকের, যে তাকে জানায়- তার বিশেষ রাশিমালার সমাধানে সে সাহায্য করতে চায়। মনসুর সাহেবের এই বিশেষ রাশিমালার প্রথম সংখ্যাটি শূন্য, দ্বিতীয়টি শূন্য / শূন্য _ _ _ _ _ এভাবেই এগিয়ে চলে কাহিনী। মনসুর সাহেবের মৃত্যু দিয়ে শেষ হওয়া এই কাহিনীর মূল চিত্তাকর্ষক বিষয় যুবক ফিবোনাক্কির ভূমিকা।যথারীতি পর্যাপ্ত হুমায়ূন দর্শনবাক্যে বইটি ভরপুর! যেমন, ‘বৈষয়িক মানুষ বিষয় ছাড়া অন্য কিছু ভালবাসতে পারে না। তাদের সেই ক্ষমতা থাকে না। কিন্তু আযিয খাঁ সত্যিকার অর্থেই মনসুর সাহেবকে ভালবাসেন।‘ কিংবা, ‘সত্য যেমন আল্লাহপাকের সৃষ্টি মিথ্যাও তেমন তাঁরই সৃষ্টি।‘ সম্পূর্ণ লেখায় খুব সম্ভবত একটি মাত্র বাক্যই লেখক যুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে লিখেছেন, সেটি হলো- ‘√-১ কে নিয়ে আপনারা মাথা ঘামাচ্ছেন। এর আলাদা নাম দিয়েছেন, কাল্পনিক সংখ্যা/ ইমাজিনারি নাম্বার। কিন্তু √-০নিয়ে আপনাদের মাথাব্যাথা নেই।‘ প্রিয় পাঠক বইটি পড়ে ফেলুন এবং নিজেই সিদ্ধান্ত নিন ভবিষ্যতে কোনটা পছন্দ করবেন যুক্তি সঙ্গত ‘সায়েন্স ফিকশন’ নাকি ‘ভালবাসাময় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী’।(ঘুণপোকা ব্লগ হতে সংগৃহীত)

অসাধারণ সায়েন্স ফিকশন একটা বই। শূন্য বইটিতে যুক্তির চেয়ে কল্পনাকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।। গল্পের মূল চরিত্র মনসুর সাহেব।।। তিনি একজন শিক্ষক।। আজিজ ব্যাপারির গুদাম ঘরের উপরে থাকেন একা একা।। যতক্ষণ ঘরে থাকেন সারাক্ষণই জটিল জটিল গনিতের সমীকরন নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। দিস্তার পর দিস্তা খাতা শেষ করতেন।।এমনকি প্রতিকূল পরিবেশে তিনি যখন বজ্রাহত হন এর পর থেকে ওনি ওনার পাশে একজনকে দেখতে পান। তার নাম ফিবোনাক্কি।। সে নাকি শূন্য গ্রহ থেকে আসছে মনসুর সাহেবকে সাহায্য করার জন্য।। এর আগে মনসুর সাহেবের দাদা ও বাবা গনিতের জটিল জটিল সমীকরন নিয়ে কাজ করেছেন কিন্তু সফল হতে পারে নাই।। মনসুর সাহেবের উত্তরাধিকার না থাকায় তিনি এই রহস্য যেভাবেই হোক বের করতে চেয়েছেন।। ফলে তার স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপএর দিকেই যেতে থাকল।। মনুষ্য জাতির জন্য এইটা সত্যিই একটা রহস্য জনক।। পারবে কি সেই রহস্য ভেদ করতে।। সত্যি অসাধারণ একটা বই।

সাইন্স ফিকশন বইটি সত্যিই খুব অসাধারণ।বইটি ছোট হলেও যারা সাইন্স ফিকশন পড়তে ভালোবাসেন তারা কিনতে পারেন।বইটি পড়লে অনেক ভালো লাগবে।

আমার জীবনের প্রথম পড়া সায়েন্স ফিকশন ছিল 'শূন্য'। যে বয়সে পড়েছিলাম তখন আক্ষরিক অর্থে সায়েন্স ফিকশন বোঝার সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু তবু বই পড়া শেষ করে কেঁদেছিলাম। কেঁদেছিলাম উপন্যাসের দুই চরিত্রের জন্যই। মনসুর আহমেদ অন্তিম সময়ে তার জন্যও মায়া লাগছিল, কাল্পনিক চরিত্র ফিবোনাক্কি অনিচ্ছা সত্তে নিজ গ্রহকে বাঁচাতে অপছন্দের কিছু কাজ করেছে-তার জন্যও মায়া লাগছিল। বড় হয়েও পড়েছি অনেকবার। তখনও চোখ ভিজে উঠছিল বারবার। হুমায়ূন আহমেদের সায়েন্স ফিকশনের বৈশিষ্টই এই সায়েন্স ফিকশন শেষ পর্যন্ত ফিকশনে রূপ নেয়। বইটির কাহিনী ছোট্ট কিন্তু প্রভাব গভীর। অন্যান্য সায়েন্স ফিকশনের মত কঠিন কঠিন কাল্পনিক শব্দ নেই। অংক ঘেষা কাহিনী নিয়ে লেখা। কিছু জটিল বিষয় সহজ আলাপি ঢঙে লেখা আছে। আমার সব সময়ের সবচেয়ে প্রিয় সায়েন্স ফিকশন বই এটি।

বইয়ের নামঃশূণ্য লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ ধরনঃসায়েন্স ফিকশন প্রকাশনীঃসময় প্রকাশন মূল্যঃ১০০ টাকা গল্পের মূল চরিত্র হল মনসুর সাহেব। তিনি একজন স্কুল-শিক্ষক। তার পরিবার-পরিজন বলতে তেমন কেউ নেই। একা একা থাকেন। আর দিন-রাত গণিতের বিভিন্ন জটিল জটিল সমস্যা নিয়ে ভাবেন। বিখ্যাত গণিতবিদ লিওনার্দো ফিবোনাক্কির আবিষ্কৃত এই রাশিমালার প্রয়োগ প্রকৃতিতে অসংখ্য। সূর্যমুখী ফুলের পাঁপড়ির বিন্যাস, শামুকের স্পাইরেল, সামুদ্রিক কাঁকড়ার দ্বারা বালুতে তৈরি নকশা ইত্যাদি ফিবোনাক্কি রাশিমালা অনুসারে হয়। তাই লিওনার্দো ফিবোনাক্কির মত তিনিও মনে করেন যে প্রকৃতির মূল সমস্যা লুকিয়ে আছে ফিবোনাক্কি রাশিমালায়। . কাহিনীর সূচনায় দেখা যায়, তিন পুরুষ ধরে গণিত চর্চাকারী শিক্ষক মনসুর সাহেব তার নিয়মিত ক্লাসে শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করছেন, তিনি বিচলিত তার নিজ চিন্তার ভুবন নিয়ে, নিয়মতান্ত্রিক মানুষ হিসেবে তিনি তার এলাকায় শ্রদ্ধাশীল, নিজ জীবনে নিয়মের ব্যাতিক্রম তাকে অস্থির করে তোলে। পরবর্তীতে দেখা যায় এক বিশেষ রাশিমালা প্রবর্তনের অদম্য সাধনাই তার চিন্তার জগত ও পারিপার্শ্বিক কে আরও অস্থির করে তুলছে, তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকেই তিনি এই বিশেষ রাশিমালার ধারণা পেয়েছিলেন, তার পিতা ও পিতামহ এর সমাধান শেষ করতে পারেন নি, নিঃসন্তান ও বিপত্নীক মনসুর সাহেব তাই আপ্রাণ চেষ্টারত। হঠাৎ করেই বজ্রাহত হন মনসুর সাহেব, ঠিক তার পর মুহূর্তেই তার সাথে পরিচয় ঘটে এক যুবকের, যে তাকে জানায়- তার বিশেষ রাশিমালার সমাধানে সে সাহায্য করতে চায়।যে নিজেকে #ফিবোনাক্কি নামে পরিচয় দেয় এবং বলে মনসুর রহমানকে সহায়তার উদ্দেশ্যে শূন্য মাত্রার জগত থেকে সে এসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই মনসুর রহমান তাকে নিজের উত্তপ্ত মস্তিষ্কের কল্পনা হিসেবে ধরে নেন। ফিবোনাক্কি তাকে এক নতুন জগতের কথা জানায়। যেখানে সব কিছুই শূন্য আবার সব কিছুই অসীম। ফিবোনাক্কির উৎসাহে তিনি শূন্য মাত্রার সমীকরণ নিয়ে কাজ শুরু করেন। মনসুর সাহেবও ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরেও তিনি তার কাজ চালিয়ে যান। সমাধান করার চেষ্টা করেন এই রহস্যের। গল্পের শেষাংশে, তার অসুস্থতার পরিমাণ খুব বেড়ে গেল আজিজ খাঁ এবং হেডমাস্টার তাকে ঢাকার এক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালেই তার মৃত্যু ঘটে। মনসুর সাহেব কি শূন্য রহস্যের সমাধান করতে পেরেছিলেন? জানতে পেরেছিলেন কে এই ফিবোনাক্কি?? তার দাদা এবং বাবার মৃত্যু কি শুধুই দুর্ঘটনা? নাকি অন্য কিছু।প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পড়ে নিন সুন্দর এই বইটি। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদের সায়েন্স ফিকশান উপন্যাসের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, তিনি বিজ্ঞানকে পুঁজি করে গল্পের ভিত গড়ে তুললেও গল্পের শেষে মানবিক অনুভূতিগুলোই সবচেয়ে বড় হয়ে ওঠে। শূন্য’ বইটির আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এখানে গল্পের কাহিনী বিজ্ঞানের খুব কাছাকাছি থেকে তৈরি করা হয়েছে।সুন্দর একটি বই পড়ে দেখুন আশা করি ভাল লাগবে।

Temon valo nah

হুমায়ূন আহমেদ স্যারের ‘শূন্য’ বইটি এইমাত্র পড়ে শেষ করলাম। অসাধারণ একটি সায়েন্স ফিকশান বই। বইটি পড়ে শেষ করার পরও আচ্ছন্নতা কাটতেই চাচ্ছে না। হুমায়ূন আহমেদের সায়েন্স ফিকশান উপন্যাসের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, তিনি বিজ্ঞানকে পুঁজি করে গল্পের ভিত গড়ে তুললেও গল্পের শেষে মানবিক অনুভূতিগুলোই সবচেয়ে বড় হয়ে ওঠে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্যে পাঠকের হৃদয়ে এক অপার ভালোবাসা জেগে ওঠে। হয়তো কেন্দ্রীয় চরিত্রের শেষ পরিণতি দেখে কোন কোন সময় পাঠকের চোখ ভিজে ওঠে। ‘শূন্য’ বইটিতেও এসবের ব্যতিক্রম হয় নি। গল্পের মূল চরিত্র হল মনসুর সাহেব। তিনি একজন স্কুল-শিক্ষক। তার পরিবার-পরিজন বলতে তেমন কেউ নেই। একা একা থাকেন। আর দিন-রাত গণিতের বিভিন্ন জটিল জটিল সমস্যা নিয়ে ভাবেন। এক রাতে তিনি ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রাহত হন। তারপর থেকে তার মধ্যে বিভিন্ন অপ্রকৃতস্থতা লক্ষ্য করা যায়। তিনি একজনকে সব সময় তার সাথে দেখতে পান, যে কি না নিজেকে শূন্য জগতের বাসিন্দা বলে দাবি করে। সে যুবক আরও দাবি করে যে সে মনসুর সাহেবকে সাহায্য করার জন্যে এসেছে। এরপর থেকে লেখক গল্পে বিরাট মায়াজাল সৃষ্টি করেছেন। এই শূন্য জগত থেকে আসা যুবক যাকে মনসুর সাহেব তার প্রিয় রাশিমালার নামে ফিবোনাক্কি বলে ডাকেন, তার কি আসলেই বাস্তব জগতে কোন অস্তিত্ব আছে না কি সে শুধুই মনসুর সাহেবের কল্পনা? এই প্রশ্নের উত্তর গল্পের শেষে পাওয়া যায়। এদিকে দেখা যায় মনসুর সাহেব ফিবোনাক্কি রাশি ব্যবহার করে এক জটিল গাণিতিক রহস্য সমাধানের প্রায় দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছেন। যেই সমস্যা মনসুর সাহেবের দাদা এবং বাবাও সমাধান করার চেষ্টা করেছিল। অর্থাৎ তারা তিন পুরুষ ধরে এই কাজটি করছেন। কিন্তু মনসুর সাহেবের কোন উত্তরাধিকার না থাকায় তাকে এই সমস্যাটা সমাধান করতেই হবে। এদিকে তার শরীরও ক্রমশই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তার সময় শেষ হয়ে আসছে। তিনি কি পারবেন এই সমস্যার সমাধান করতে? মনুষ্য জাতি কি সক্ষম হবে এমন এক রহস্যের সমাধান বের করতে যা তাদেরকে শূন্য মাত্রার জগতে প্রবেশ করতে সহায়তা করবে? ‘শূন্য’ বইটির আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এখানে গল্পের কাহিনী বিজ্ঞানের খুব কাছাকাছি থেকে তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে বইটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এবং আমার ব্যক্তিগত ধারণা, গণিতবিদেরা চাইলে এই বই থেকে কিছু সত্যিকারের ভাবনার খোরাক আহরণ করতে পারেন। সব মিলিয়ে বলা যায় ‘শূন্য’ হুমায়ূন আহমেদের আরেকটি অনবদ্য সৃষ্টি।