User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর বই...হূয়মান আহমেদ এর লেখায় অন্যরকম জাদু আছে
Was this review helpful to you?
or
lilyan and taher??????
Was this review helpful to you?
or
সবকিছুই ঠিক ছিল।
Was this review helpful to you?
or
onek valo akta boi, recommanded
Was this review helpful to you?
or
Humayun Ahmed sir er lekha boi gulo osadharon hoy tobe onnanno boi er tulonay eta motamoti chilo,khub besi valo na,golpo ta interesting na but Humayun sir amr priyo lekhok tar lekha onek besi valo hoy.
Was this review helpful to you?
or
বেশ ভালো একটি বই। অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর প্রতিটি বই ই অসাধারণ। এবং বই গুলো অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে।আয়নাঘর ও তার ব্যাতিক্রম নয়।এই বই এর সব গুলো চরিত্র কে অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।যা আমাকে মুগ্ধ করেছে।বই টির গল্প সুন্দর। আমার খুব ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই ,,,,
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন স্যারের লেখা মানেই চমৎকার কিছু। পুরোগল্পটার ভিতর জুরে অনেক টুইস্ট। বিশেষ করে লিলিয়ানের স্বপ্ন দেখা এবং ঐ রাতে তাদের বেঁচে যাওয়ার কোন আলাদা ব্যাখ্যা তিনি দিয়ে যাননি। এটা রহস্যই রেখে গেছেন। বই পড়ে ভালো লেগেছে। তাছাড়া রকমারির প্রোডাক্ট কোয়ালিটিও ভালো ছিল।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
amar pora shbcheye valo boi er majhe akti. thanks rokomari.
Was this review helpful to you?
or
story ta onek vlo highly recommend ?
Was this review helpful to you?
or
shundor
Was this review helpful to you?
or
Its a mysterious novel.. i just loe it
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
আয়নাঘর বইটি বেশ ভালো একটি বই। পড়ে ভালো লাগবে কিন্তু যারা মিসির আলির ভক্ত তারা খুব সহজেই বিমোহিত না ও হতে পারেন। অতিপ্রাকৃত গল্প যেহেতু তাই লজিক দিয়ে না ভেবে অতিপ্রাকৃত ভাবলেই গল্পটা ভালো লাগবে। আমার ভালো লেগেছে যদিও আমি মিসির আলির ভক্ত। বিদেশি এক রূপবতী স্ত্রীকে নিয়ে তাহের নিজের পৈত্রিক বাড়িতে বেড়াতে আসে আর জড়িয়ে যায় বাড়ির সাথে। হুমায়ুন আহমেদের বই অবশ্য ই ভাল লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
amar sob ceye priyo boi hocche Humayun Ahmed er Ayenaghor. Jekhane ekti bideshi Meye bangali ke biye kore bar bar ekjon narir sopno dekhe, pore tar husband er sathe Bangladesh e asle bujhte pare she kon mohila k dekhechilo, ei boi er ending tar jonno ei boi ta etto beshi vala lage amar, r tar jonno porte hobe ei boi
Was this review helpful to you?
or
হস্য, গল্প বলার ধরণ। মুগ্ধ করার মত একটা বই।। তাহের এবং লিলিয়ান - বইয়ের প্রধান চরিত্র এই দুজনেই। আয়নাঘরের অদ্ভুত এক রহস্যময় ইতিহাস এবং তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু আধিভৌতিক ঘটনায় এগিয়ে চলেছে এই উপন্যাস। ব্যাখ্যাতীত কিছু ঘটনায় অন্যরকম একটা ভৌতিক অনুভূতি তৈরী হলেও আয়নাঘরকে সেই ধারায় ফেলা যায় না ঠিক। দুয়েকবার "দেবী" উপন্যাসের মত মনে হলেও আসলে গল্পের প্লট সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী। সব মিলিয়ে বেশ ভাল লেগেছে বইটা। বাংলাদেশী তরুণের সাথে ভিনদেশী তরুণীর পরিণয় এই উপন্যাসে একটা ভিন্ন মাত্রাও এনে দিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
'জগৎ মোটেই রহস্যময় নয়।জগত কঠিন নিয়ম-শৃঙ্খলায় বাঁধা।প্রকৃতি কখনো কোনো নিয়মের ব্যতিক্রম হতে দেয় না।রহস্যের বাস মানুষের মনে।মানুষই রহস্য লালন করে।' এক গ্রুপ ট্যুরের মাধ্যমে পরিচয় হয় বাঙ্গালি যুবক তাহের আর আমেরিকান তরুনী লিলিয়ানের।পরিচয়ের পর থেকেই তাহের লিলিকে পছন্দ করলেও লিলি তাকে এড়িয়ে চলে।কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অন্য জায়গায়।দেখা হওয়ার পর থেকে লিলি তাহেরকে নিয়ে অদ্ভূত স্বপ্ন দেখতে থাকে।অবস্থা বেশি খারাপ হলে পরিবার ও ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় লিলি।এমতাবস্থায় প্রথার বাইরে গিয়ে তাহেরকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় লিলি।বিয়েও হয়ে যায় তাদের।ফলাফল লিলির অদ্ভূত স্বপ্ন বন্ধ হয়ে যায়।বেশ ভালোই চলতে থাকে তাদের সংসার।এমন সময়ে তাহের এক ট্যুরে ইউরোপ গেলে আবার দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকে লিলি।তখন বায়ু পরিবর্তনের জন্য বেড়ানোর প্রস্তাব দিলে অদ্ভূত এক কথা বলে লিলি,বাংলাদেশে আসতে চায় সে।প্রথমে গাইগুই করলেও পরে লিলিকে নিয়ে বাংলাদেশে আসে তাহের।কিন্তু এখানে এসে লিলি তার স্বপ্নে দেখা স্থান-কালের সাথে সাদৃশ্য পায় লিলি।এইসময়ে সে আবিষ্কার করে তাহেরদের জমিদার বাড়ির সাজঘর হিসেবে ব্যবহৃত আয়নাঘরের সাথে।এসব অদ্ভূত ঘটনা এবং আকস্মিক আক্রমনের কারনে পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়।কি ছিল সেই ঘটনা?আয়নাঘরের রহস্যটাই বা কি?আবার লিলির স্বপ্নের সাথে তাহেরদের পুরোনো জমিদারদেরই বা কি সম্পর্ক? প্রথমদিকে মনে হচ্ছিল লেখকের অন্যান্য বইয়ের মত মধ্যবিত্ত শহুরে জীবনের বর্ণনা।কিন্তু লিলির অদ্ভূত সব স্বপ্ন আর আয়নাঘরের কাহিনি উপন্যাসটিকে রহস্যঘেরা বা আধা-ভৌতিক উপন্যাসে পরিণত করেছে। অন্যদিকে তাহের আর লিলিয়ানের পরিচয় আর বিবাহপর্ব দিয়েছে আলাদা একটা বইয়ের মজা।তো এক বইয়ে অনেক বইয়ের মজা নিতে পড়ে ফেলুন বইটি।
Was this review helpful to you?
or
রোমান্সকর উপন্যাস পড়তে ভালো লাগে না এমন পাঠক খুব কমই পাওয়া যাবে এ পৃথিবীতে। পাঠক পাঠক কিংবা পাঠিকা যদি হয় নিতান্তই নবযৌবনপ্রাপ্ত কিংবা নতুন পাঠক, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। সে সব সময় খুঁজে বেড়ায় রোমান্সকর গল্প-উপন্যাস। আর একটি রোমান্সকর উপন্যাস হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা এই উপন্যাসের কোনো তুলনাই হয় না। এক বসায় শেষ করার মতো ছোট আর অসাধারণ একটি বই আয়নাঘর। বইটি পড়তে পড়তে মনে প্রেম জাগে, নতুন করে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে, আবার প্রেমে পড়তে স্বাদ জাগে, ভাবনার জগতে হারিয়ে যেতে হয়...
Was this review helpful to you?
or
? বই নিয়ে আলোচনা বই - আয়নাঘর লেখক - হুমায়ূন আহমেদ বই সম্পর্কে কিছু বলি। "হুমায়ূন আহমেদ" মানেই আমার কাছে অন্যরকম কিছু। বই পড়তে গেলে যেনো কোনো এক ঘোরে থাকি। কখন সময় চলে যায় টের পাইনা। বইটা আদতে আমার না। আমার এক ছোট ভাই তার বোনকে বইটা দিবে বলে আমাকে দিয়ে বইটা কেনায়। কিন্তু এখনো না নেয়াতে একদিনে পড়ে ফেললাম বইটা। যাইহোক বইটা এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পড়া হলো। গল্পের প্রধান পুরুষ চরিত্রটি মা-বাবা হারা। বর্তমানে থাকে আমেরিকাতে। সেখানেই পরিচয় হয় গল্পের প্রধান নারী চরিত্রের সাথে। সেই পরিচয়টাও হয় অদ্ভুত ভাবে। তবে আমার কাছে বিষয়টা খুব চমৎকার লেগেছে। তাহের, মানে প্রধান পুরুষ চরিত্র। সর্বদা হাসিখুশি একজন মানুষ। অল্পতেই তাঁর মুখে অট্টহাসি শুরু হয়। লিলিয়ান, মানে প্রধান নারী চরিত্র। একটু বিষন্ন, ও গম্ভীর স্বভাবের মানুষ। তবে মনটা অনেক নরম। যার হৃদয়ে ভালোবাসা পূর্ণ। তো এই লিলিয়ান ইদানিং রাতে ঘুমে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায়। এর ফলে তার মনে বেশ চাপ সৃষ্টি হয়। এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শে সে তাঁর সিদ্ধান্ত স্থির করে নেয়। ফলে বিয়ে হয় তাহের সঙ্গে। বিয়ে কয়েক মাস পরে লিলিয়ানের অনুরোধে তারা বাংলাদেশে আসে। আর এখানেই লিলিয়ান, তাহেরের প্রাসাদ সমতূল্য বাড়িতে একটা 'আয়নাঘর' খুঁজে পায়। এই আয়নাঘরটা তৈরী করেন তাহেরের দাদার বাবা তাঁর স্ত্রীর জন্য। তিনি মারা যাবার পর এই আয়নাঘর বন্ধ করে রাখা হয়। তারপর থেকে নাকি কী সহ দেখে বাড়ির বাসিন্দারা। এতো বছর পর লিলিয়ান এই বাড়িতে এসে কেন তার মনে হচ্ছে সব তার পরিচিত? আর আয়নাঘরে কী আছে? লিলিয়ান কী তাঁর বিপদ থেকে উদ্ধার হয়ে ভেদ করতে পারবে আয়নাঘরের আসল কাহিনী? ... চমৎকার এবং সহজ সাবলীলভাবে লেখা মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাসটি এককথায় অসাধারণ। আর কোনো মন্তব্য করবো না ? ধন্যবাদ। বইয়ের ছবির তোলার জন্য মডেল করেছি আমার ছোটবোন "মিনু আক্তার" কে। ছবি তুলতে পারিনা। কেমন হইছে কে জানে। ? ? বই হোক আপনার, আপনি বইয়ের ?
Was this review helpful to you?
or
A short but awesome story.However I felt like it was missing some details.At this time where Bangladeshi movies are lacking logic and good storyline,Humayun Ahmed’s novels could be perfect storyline for movies instead of unwanted songs and irrational storyline.I promise this book would be worth the money
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
এ ধরনের বই হুমায়ুন সাহেব বোধকরি খুবে একটা লেখেন নি! গা ছমছমে একটা বই, কিন্তু সে ছম ছম করা বিষয়টা মোটেই ভৌতিক কোনও অস্তিত্বের জন্যে নয়, বরং স্বাভাবিক মানুষজনের জন্যেই! তবে বইটাতে বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা চোখে পড়ে। হয়ত কিছু অতিপ্রাকৃত বিষয়ের উপস্থাপনা আছে বলেই এমনটা দেখা যায়। ফিনিশিং স্টোরি তে অনেকটাই অবাস্তবতা দেখা যায়। যেমন, অল্প কিছু বছর পরে আবার ফেরত আসা, কিন্তু যে কারণে প্রথমবার চলে যাওয়া, সেই কারণটার কোনও আপডেট দেয়া হয় না। একই ঘটনা যদি আবার ঘটে? অথবা, নদীর কিনারা থেকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াটা... ঘরে শত্রুভাবাপন্ন লোকজন, পালাবার পথ নেই, সেখানে কীভাবে একজন অসুস্থ/আহত আর আরেকজন বিপন্ন মানুষ পাসপোর্ট যোগাড় করে দেশ ছেড়ে চলে যায়, বিষয়টা ঠিক নিশ্চিত করা যায় না। যাই হোক, গল্পে অনেক কিছুই সম্ভব। এবং গল্প তো গল্পই।
Was this review helpful to you?
or
দারুন একটা বই..এই বই গুলোর গল্প উপন্যাস নিয়ে যদি বাংলা সিনেমা করা যেত তাহলে আয়নাবাজি,দেবির মত, আয়নাঘরও ব্যাবসা সফল একটি সিনেমা পেতাম আমরা। দুখঃ জনক এই গল্প উপন্যাস গুল আমাদের সিনেমার পরিচালক দের চোখে পরে না.।
Was this review helpful to you?
or
onek beshi valo na. Tobe Humayun sir er lekha kokhonoi kharap hoina. Personal rating 3.5 out of 5.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই,
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন হুমায়ূন আহমেদ, অসাধারণ লিখনি। এতো বেশি মিশে গিয়েছিলাম গল্পের ক্যারেক্টারদের সাথে। সত্যি এখনো কেমন যেন লাগছে। পড়া শেষ অনেকক্ষণ হলো এখনো ক্যারেক্টার গুলা আমাকে ভাবাচ্ছে। উনি অসাধারন এই জন্যই হয়তো। অবশ্যই রিকমেন্ড করছি বইটি। ৫/৫ দিতে বাধ্য হচ্ছি অসাধারন। এক কথায় অসাধারন। সত্যিই অসাধারন।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যে অদ্ভুত সুন্দর কিছু শব্দ রয়েছে। যে সব শব্দ দেখলেই কেমন মায়া মায়া লাগে। ব্যক্তিগত পছন্দরের বকবকানি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রূপবতী শব্দটা সত্যিই বেশ অদ্ভুত! এ শব্দটা দেখলেই কেমন মনের ভেতর তুমুল আলোড়নের পাখা ঝাপটানি শুরু হয়ে যায়! মানুষের জীবন গল্পের মতো সুন্দর হয় না কেনো? তাহের-লিলিয়ানের ভালোবাসাবাসির জীবনটাকে এতো দূরের মনে হয় কেনো? বাস্তবের মানুষগুলোও কি জোছনা বিলাসের রাতে অমন বুকের ভেতর তুমুল প্রেম নিয়ে কারো চোখে তাকায়? প্রিয় মানুষের জন্য অতো উথালপাতাল কেনো হয়? আলো বাতাসহীন আয়নাঘরে কুপিবাতি হাতে সাজতে কেমন লাগবে? প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ, আপনার প্রায় সবকটি প্রেমের উপন্যাস আমার পড়া হয়েছে। কিন্তু যে কয়টি প্রেমের উপন্যাস আপনি আমাদের উপহার দিয়েছেন, তার মধ্যে আয়নাঘরই সম্ভবত সবচেয়ে বেশী ভালোবাসার।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুলাই #বই_রিভিউ_২২ #আয়নাঘর #লেখক: হুমায়ুন আহমেদ #বইয়ের_ধরণ: রহস্য, রোমান্টিক উপন্যাস #প্রকাশনী: সময় #পৃষ্ঠা: ৭৭ #মুদ্রিত_মূল্য: ৪৫ টাকা (ষষ্ঠ মুদ্রণ, প্রকাশকাল: ১ লা অক্টোবর, ১৯৯৪) #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৭.৫/১০ . . হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ে আমি কেন জানি রিভিউ লিখতে পারিনা। চেষ্টা করলেও হয়না। হয়তো থ্রিলার পড়ে অভ্যস্ত তাই এই টাইপ বইয়ের রিভিউ লিখতে জানিনা। আমি সাধারনত হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ি থ্রিলার, ডিটেক্টিভ এসব বই পড়তে পড়তে বোর হয়ে গেলে। পড়ছিলাম ফেলুদা সমগ্র ১ এর ফাকেই এক বসায় শেষ করে ফেললাম মাত্র ৭৭ পেজের ছোট্ট এই বইটি। . . তাহের এক বাংলাদেশী যুবক। আমেরিকায় তার সাথে পরিচয় হয় লিলিয়ান নামের এক বিদেশিনীর সাথে। প্রথমে পাত্তা না দিলেও পর পর কয়েক রাত তাহেরকে নিয়ে দু:স্বপ্ন দেখে লিলিয়ান। এক সময় সে হুট করেই ডিসিশান নেয় তাহেরকে বিয়ে করবে। যেই বলা সেই কাজ। . . লিলিয়ান চায় সে বাঙালি হবে। বাংলা ভাষা শিখবে, বাঙালি রান্না বান্না শিখবে এমনকি তাহেরের পৈত্রিক নিবাস বাংলাদেশও সে ঘুরে দেখবে। তাহেরের অনিচ্ছাসত্ত্বেও তারা বাংলাদেশে যায়। এ দেশের চাঁদের আলো, জোছনা, মায়াময় বন জঙ্গল দেখে লিলিয়ান এ দেশের প্রেমে পড়ে যায়। . . তাহেরের পরিত্যক্ত পৈতৃক বাড়িতে একটি বিশেষ কক্ষ আছে। যেটাতে খুব বড় মাপের এক দেয়াল জুড়ে একটা আয়না বসানো। তাহেরের দাদার বাবার তৈরি এটা। তার অতি সুন্দরী বেগম এই ঘরে সাজতেন। প্রায় দেড়শো বছর পর এই ঘরেই, এই ঘরেরই বউ লিলিয়ানের পা পড়ে। তখনো সে জানেনা তাদের জন্য অপেক্ষা করছে বিপদ। যে বিপদ থেকে এই আয়নাঘরের কেউ ই হয়তো তাদের সাহায্য করবে। এমন কেউ সাহায্য করবে যার হয়তো বাস্তবিক কোনো অস্তিত্বই নেই... . . মজার ব্যাপার হচ্ছে এই বইটা আমার কালেকশনে খুব অদ্ভুতভাবে এসেছে। বইটা অনেক পুরোনো। আমার আপু এটা আমাকে দিয়েছিল। উনি কই পেয়েছিল তাও জানিনা। উনি বই টই সেভাবে পড়েন না। প্রথম পাতা খুলেই দেখলাম এটা একজনের জন্মদিনে কেউ একজন গিফট করেছিল, যাদের কাউকে আমি চিনিনা । ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটা হচ্ছে বইটার মেইন ক্যারেক্টার তাহের আর তার বিদেশিনী স্ত্রী লিলিয়ান। আর বইটা যার জন্মদিনে গিফট করা হয়েছে তার নাম 'লিনিয়া'। ব্যাপারটা হয়ত অদ্ভুত, কিংবা অতি সাধারন! ঠিক 'আয়নাঘর'- এর মতই। . #পুনশ্চ : বইটার ভেতরের পেজের জন্মদিনের উইশ লেখা পাতাটার ছবি আমি কমেন্টবক্সে প্রথম কমেন্টে দিলাম। . #হ্যাপী_রিডিং
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মে এতো যে আমি ওখানে যাই ওখানে পাই কাছে ওখানে তার পায়ের কিছু চিহ্ন পড়ে আছে.. ভালোবাসার প্রথম শর্ত কী? মানে আপনি যদি একটা ছেলেকে হুট করে পছন্দ করে বসেন,তবে তা কী কারণে? প্রথম দেখাতেই একটা ছেলেকে নিয়ে আপনি দুঃস্বপ্ন দেখলেই কি ধরে নেবো আপনি তার প্রেমে পড়েছেন? আর যদি পড়েও থাকেন তাই বলে গোলাপ নিয়ে ছেলের বাসায় চলে যাবেন প্রপোজ করতে? আমেরিকায় ডাক্তারী পড়তে গেছে বাংলাদেশী যুবক, তাহের। ঘটনাচক্রে খুব ইন্টারেস্টিং পরিচয়পর্ব দিয়ে লিলিয়ান নামক এক বিদেশিনী মেয়ের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। পরিচয়ের প্রথম রাতেই লিলিয়ান, তাহেরকে নিয়ে ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখে।ভয়ঙ্কর স্বপ্নগুলোর পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে মায়ের পরামর্শে লিলিয়ান এক সাইকিয়াট্রিস্ট এর কাছে যায়।কিন্তু সে নিজেই নিজের সমস্যার সমাধান করতে পারে। সে বুঝতে পারে তাহের নামক অমায়িক বাংলাদেশী যুবকের প্রেমে পড়েছে সে এবং আজীবন তার সাথেই থাকতে হবে তবেই সে পরিত্রাণ পাবে। তাহের,লিলিয়ানের বিয়ের পর আর ভরঙ্কর স্বপ্নের মুখোমুখি হয়নি লিলিয়ান।কিন্তু তাহের সাথে না থাকলেই সেই স্বপ্ন উঁকি দেয়। আরো ভয়ঙ্কর সেসব স্বপ্ন যেখানে তাহেরের বড্ড বিপদ.... দুজনে বাংলাদেশে, তাহেরের পৈতৃক বাড়িতে বেড়াতে আসলে লিলিয়ান বুঝতে পারে সে যে স্বপ্নগুলো দেখেছে তা এই বাড়িটাকেই ঘিরে।তাহের লিলিয়ানকে আয়নাঘর সম্পর্কে বলে,যা একসময় ছিল তাহের'র দাদার বাবার বউ এর সাজঘর। এবং এখানেই তার মৃত্যু হয়েছিল।লিলিয়ান মুগ্ধ হয় ঘরটি দেখে,তার ইচ্ছে করে বাংলাদেশেই থেকে যাবে।তাহেরের ভাষ্যমতে এই বাড়িটা অভিশপ্ত।কেন? বাংলাদেশ এসে লিলিয়ান কেমন চেইঞ্জ হয়ে যায়। তবে তাহেরের প্রতি ভালবাসা অটুট থাকে সবসময়। হঠাৎ একরাতে ঘনিয়ে আসে ভয়ঙ্কর বিপদ। তবে কি লিলিয়ানের স্বপ্নের প্রতিফলন হচ্ছে? আকস্মিক ভাবে ভয়ঙ্কর আর জঘন্য বিপদে কে তাদের সাহায্য করে? কী ঘটেছিল সেই রাতে? লিলিয়ানের মনে হয় সে অতি তুচ্ছ একজন তবে ঈশ্বর তার জন্য এতটা সুখ কেন বরাদ্দ করেছেন? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া: অসম্ভব সুন্দর একটি বই। ছোট্ট পরিসরের বইটা যে এত বেশি মনে ধরবে তা মোটামুটি কল্পনাতীত ছিল। কিন্তু বইটা পড়তে শুরু করে মুগ্ধতা দিয়ে গলাধঃকরণ করেছি শুধু। সাবলীল ভঙ্গিমায়,আহামরি শব্দ ছাড়াও কী দারুণ শৈলী! বইটাকে অতিপ্রাকৃত না কি রোমান্টিক জনরার মধ্যে ফেলবো তা নিয়ে দ্বিধান্বিত আমি। এই বইটা পড়ে গায়ে সামান্য কাটা দিয়ে উঠলেও কান্না আসেনি। খুব বেশি ভাল্লাগছে। বই- আয়নাঘর লেখক- হুমায়ূন আহমেদ পৃষ্ঠা সংখ্যা- ৭৭ মুদ্রিত মূল্য-১৫০৳ ব্যক্তিগত রেটিং- ৯/১০ ?
Was this review helpful to you?
or
কাহিনী সংক্ষেপঃ লিলিয়ান এবং তাহের। দুই ভিন্ন দেশি মানুষ। তাহের লেখাপড়া করছে আমেরিকায়। লিলিয়ানের সাথে তাহেরের পরিচয় ইয়েলো স্টোন পার্কে। বেশ মজার এক পরিচয়পর্ব দিয়ে শুরু হয় তাদের পরিচয়। অল্প দিনের পরিচয়েই তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করবার। দিন যত পার হয়েছে তাহেরের প্রতি লিলিয়ানার ভালোবাসা তত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি বলে কখনো তাহেরের সাথে তার কোন কিছু নিয়েই মনমালিন্য হয় নি বরং তাহের তার সমস্ত কথাকে গুরুত্ব দিয়েছে। এমনি এক আবদার ছিল লিলিয়ানার। সে বাংলাদেশ দেখতে চায়। তাহেরর পৈত্রিক ভিটায় যেতে চায়। তাহের প্রথমে কথাটার খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও পরে সে লিলিয়ানাকে নিয়ে বাংলাদেশে যায়। তাহেরের বাড়িতে গিয়ে লিলিয়ানা জানতে পারে আয়নাঘর সম্পর্কে। সেই ঘরে সাজতেন তাহেরের দাদার বাবার বউ যিনি দেখতে ছিলেন ভীষণ রূপসী। তিনি মারা যান এই ঘরেই। তাহেরের মাও এই ঘরে অনেক সময় কাটাতেন। কালক্রমে লিলিয়ানারও এই ঘরের প্রতি মায়া বাড়তে থাকে। কিন্তু হটাত করেই সে আর তাহের পরে যায় গ্রামবাসীর এক বিশাল কুচক্রে। লিলিয়ানার সামনে ঘনিয়ে আসতে থাকে বিপদ। কীভাবে উদ্ধার পাবে লিলিয়ানা? কে বাঁচাবে তাকে? লিলিয়ানার কি হয়েছিল শেষ পর্যন্ত জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদের ‘আয়নাঘর’। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদের লেখা নিয়ে বলার কোন সাহস আমার নেই। তাঁর প্রতিটি লেখাই জনসমাদৃত। দেশের বাইরের কোন একটা চরিত্রকে যে এত সহজে আপন ভাবা যায় তা হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া আর কারও লেখাতেই সেভাবে ফুটে ওঠে না।লিলিয়ানার প্রতিটা কথার ভঙ্গি, তাহেরের প্রতি তার ভালোবাসা বারবার তাকে আপন করে দিচ্ছিল। খুব সহজেই সে হয়ে উঠেছে আমাদেরই একজন। লেখকের অন্যান্য লেখার মতই ‘আয়নাঘর’ একটি অসাধারণ বই। পড়া হয়ে না থাকলে আজই পড়ে ফেলুন।
Was this review helpful to you?
or
আয়নাঘর-তদন্তানুসন্ধান আয়না ঘর আগেই পড়েছিলাম, তখন এমনেই পড়েছিলাম। এবারে একদম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে পড়লাম। কিছুদিন আগে হিমু পরিবহণের আড্ডায় কিছু মেয়ে বললো তাদের পছন্দের বই আয়না ঘর, আজকে এক নারী ফেদেরার বললো তার পছন্দের বই আয়নাঘর। তা হুমায়ুন আহমেদ এর বই যেহেতু এক সিটিং এই পড়ে ফেলা যায়-তা না বলে বলা যায় এই বইটি এক লোডশেডিং এই পড়া যায়-তাই কারন খুজতে লাগলাম। পছন্দের হেতু কি? লিলিয়ানের চোখ নীল। অনেকের মতে মায়াবী চোখ। দেখা মাত্রই প্রেমে পড়া যায়। আমার অবশ্য নীল চোখ দেখলে আপাতত গেম অফ থ্রোনসের হোয়াইট ওয়াকার মনে পড়বে। মেয়েরা কী চায়? একটা ছেলে তাকে ভালোবাসুক কোন কারন ছাড়াই। হতে পারে। তার চোখ নয়, তার চুল নয়। তার হাসি নয়। সেই কারনহীন ভালোবাসাই ছিল তাহেরের। যাকে দেখলে বুকে টান দিয়ে উঠে, মাথা দিয়ে এক চিলতে বাতাস বয়ে যায় –কোন কারন ছাড়াই, ভালোবাসি কেন-তার কারন না জানা চাই। সহজ সরল, বা ভালো চরিত্র যদি ভালোবাসার কারন হয়ে থাকে-তাও নিষ্কট নয়-যতটা না সেই না জানা অকারণ ভালোবাসা। তবে আগেই মাফ চেয়ে রাখি-সব মেয়ে এরকম নয়। বিপদের সময়টাতে(স্পয়লার সামনে)। যখন তার মৃত্যু অনিবার্য। তখন কিভাবে তাকে কে জানি বাচালো। সেই আয়নাঘরের লিলিয়ানের আপনজন কেউ নয়তো? সেইরকম হাত সেই রকম কন্ঠস্বর অনেকের কাছেই কাম্য। সেটাও অনেক মেয়ের পছন্দের হতে পারে। আমি নিজেও এখন একা দাদী বাড়িতে মাঝে মধ্যে থাকিতো। তা একটা অলৌকিক শক্তি-যে আমাকে বিপদ আপদে বাচাবে-মন্দ নয়। ছোট বই-কত আর কারন বের করবো। তবে শেষ এবং সর্বশেষ। ছোট ছোট দুটি মেয়ে, তাদের নাজুক নাজুক পা। হুম তাহির আর লিলিয়ানের সংসারের পরের কথা বলছি। হিমু, মিছির আলী তো বটেই, শুভ এমনকি অন্যান্য উপন্যাসেও এরকম সুখী সমাপ্তি হুমায়ুন আহমেদ কম এনেছেন। হয় মাঝখানে একগাদা কষ্ট ভরিয়ে দিয়ে শেষে দুঃখ দেখিয়েছেন। মধ্যবিত্তের কষ্ট নিয়ে ভাব এনেছেন। এই উপন্যাস থেকে মুক্ত। আর শেষ পর্যন্ত লিলিয়ান ই মূল চরিত্র। যার মনের কথা আমরা পড়েছি, বিপদটা বুঝেছি। শেষে আয়নাঘরের কান্নার সাক্ষীও তো আমরাই। তা সেই কান্নার স্ফটিক কি বইটি কে পছন্দের খাতায় ফেলেছে। যাই হোক-একটা ব্যার্থ প্রচেষ্টা চালালাম মনে হয়। মেয়েদের কারন কে বুঝবে। কারন জন স্নোই যেখানে you know nothing. সেখানে আমরা।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- আয়নাঘর। লেখক- হুমায়ূন আহমেদ। ধরন- হরর ফিকশন। পৃষ্ঠা- ৭৭। প্রকাশনী- প্রধান চরিত্র- তাহের, লিলিয়ান, ড. ভারম্যান। শুরুটা হয় তাহেরের বিদেশীনি স্ত্রী লিলিয়ানের বাংলা শেখা নিয়ে। তাদের পরিচয় আমেরিকায়, ইয়েলো ষ্টোন পার্কে। তাহের আমেরিকায় এসেছে ডাক্তারি পড়তে। আর লিলিয়ান অ্যাথ্রাপোলজি। লিলিয়ানের আসল বাড়ি নেপলসে। তাহেরকে শুরুতে তার বিরক্তিকর মানুষ মনে হলেও কেনো যেনো তার কথাই মনে পড়ে লিলিয়ানের। ড. ভারম্যানের মতে তাহেরকে সে ভালোবাসতে শুরু করেছে। কিন্তু কেনোই বা বাঙালি যুবকটিকে তার ভালো লাগবে? তাহের প্রাণ খুলে হাসতে পারে, এটা কি একটা কারণ? তাহেরের হাসিরোগ আছে। সে একবার হাসি শুরু করলে সহযে থামতে পারে না। কিংবা ওর সারল্য? যাইহোক, তারা বিয়ে করে। অনেকটা হুট করেই। আর এজন্য লিলিয়ানকে তার সমস্ত পিছুটান ছাড়তে হয়। বড় কষ্টকর সে অনুভূতি কিন্তু সত্যি ভালোবাসা কুরবানী চায়। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই চলে। তাহের ভিয়েনা যায়। আরো বড় ডাক্তার হওয়ার পথে চলে সে। সেসময় নিঃসঙ্গ লিলিয়ান দুঃস্বপ্ন দেখে প্রায়শই। তার স্বপ্নে একটি অদ্ভুত লোহার প্যাচানো সিড়িওয়ালা অট্টালিকা দৃশ্যমান হয়। তিব্র ভালোবাসায় আচ্ছন্ন লিলিয়ানের মনে তাহেরকে যেনো হারিয়ে ফেলার ভয় কাজ করে। সেখান থেকেই সে চায় তাহেরের দেশে আসবে। তার ভাষা শিখবে, শিখবে তার সংস্কৃতি। তাহেরের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণায়। স্ত্রীর আব্দারে সেখানেই তাকে নিয়ে বেড়াতে আসে তাহের। আর সেখানেই লিলিয়ানের জন্য অপেক্ষা করছিলো একটি বড় চমক। কারন এসবই চেনা লিলিয়ানের। আর এক অশরীরির উপস্থিতি যেনো অনুভব করতে শুরু করে লিলিয়ান। আর সেটা শুরু হয় রহস্যময় আয়নাঘর থেকে যার রয়েছে একটি রহস্যময় ইতিহাস। বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী প্রবাদপুরুষ হুমায়ূন আহমেদের চমৎকার রোমান্টিক হরর ফিকশন আয়নাঘর। অসাধারন উপন্যাসটির পটভূমি আমেরিকা ও বাংলাদেশ। দুই ভিন্ন দেশের ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের চমৎকারভাবে কাছে আসার সুন্দরতম মুর্হুতগুলো পড়ার সময় দারুন একটা অনুভূতি হয়। মনে হয় ভালোবাসাই যেনো সবকিছু, ভালোবাসাই সার্বজনীন। পাঠককে শুরুতেই আকৃষ্ট করবে এই উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদের এই উপন্যাসটি অনেকটা ছায়ার মধ্যেই রয়ে গেছে। তবে পড়তে গেলে দেখা যায় এটিও চমৎকার একটি উপন্যাস। আশা করি সবার পড়ার আগ্রহ হবে। রেটিং- ৪.৭০/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
বইটির গায়ের মূল্য ১০০ টাকা লিখাই আছে। কিন্তু, আপনারা বইটির মূল্য ১৫০ টাকা ধরে তার উপর ২৫% হ্রাসকৃত মূল্য ১১৩ টাকায় বিক্রি করছেন!! সত্যিই আপনাদের ব্যবসার নীতি আদর্শ দেখে আশ্চর্য না হয়ে থাকা যায় না!!!
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশী ছেলে তাহের। আর তার স্ত্রী লিলিয়ান। লিলিয়ান নামটা শুনেই বুঝা যায়, এটা কোন বাঙালি মেয়ের নাম না। হ্যাঁ আসলেই লিলিয়ান কোন বাঙালি মেয়ে না। লিলিয়ানের সাথে তাহেরের পরিচয় আমেরিকায়। তাহের আমেরিকায় গিয়েছে ডাক্তারি পড়াশোনার জন্য। লিলিয়ান আর তাহেরের পরিচয় আমেরিকার ইয়োলো স্টোন পার্কে। পরিচয়ের প্রথম দিকে তাহেরকে সহ্য করগে পারতো না লিলিয়ান। খুব রাগ হতো তাহেরকে দেখলে। কিন্তু একটা সময় সে তাহেরের প্রতি খুব দূর্বল হয়ে পড়ে। তাহেরকে দেখলে আর রাগ হয় না বরং অদ্ভূত এক ভালো লাগা কাজ করে। এমনকি লিলিয়ান তাহেরকে নিয়ে রাতে অদ্ভূত সব স্বপ্ন দেখাও শুরু করে। তাহের নামের এই বাঙালি ছেলেটাকে লিলিয়ান খুব ভালবেসে ফেলে। তাহেরের সরলতা, হাসি সবকিছুতেই মুগ্ধ বিদেশিনী লিলিয়ান। লিলিয়ান তার পরিবারের অমতে বিয়ে তাহেরকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাহেরকে বাংলাদশে আনার জন্য প্রায় উঠেপড়ে লাগে লিলিয়ান। এমনকি বাংলা ভাষাও শেখার চেষ্টা করে সে। তাহেরের গ্রামের বাড়ি এসে বিস্ময়ে হতবাক লিলিয়ান। তাহেরের ভগ্ন মৃতপ্রায় রাজবাড়ি দেখে ভীষণ আনন্দিত লিলিয়ান। কিন্তু সে কি জানে এই বাড়িতে লুকিয়ে আছে কোন এক রহস্য! কোন এক অশরীরী আত্মা লিলিয়ানকে ঘিরে ঘুরছে? সেই সব কাহিনী নিয়েই লেখা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের "আয়নাঘর"!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম: আয়নাঘর লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশন: সময় প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭৭ . তাহের আর লিলিয়ানের পরিচয় ইয়েলো স্টোন পার্কে। পরিচয় পর্বটা বেশ মজার। প্রথম দেখাতে তাহেরের উপর রাগ জন্ম নেয় লিলিয়ানের। অথচ প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে যায় তাহের লিলিয়ানের! এই অপরিচিত বাংলাদেশি ছেলেটার উপর লিলিয়ানের ধীরে ধীরে ভাল লাগা জন্ম নিতে থাকে রাগের পরিবর্তে! আশ্চর্য কথা হচ্ছে, অচেনা এই ছেলেটিকে নিয়ে অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখতে শুরু করে লিলিয়ান। শুধু তাই নয়, এই ছেলেটির বাংলাদেশের সেই অদ্ভুত বাড়িটার কিছু অংশ সে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তারপর...... ভালবাসা! দুজনের মনেই জমতে থাকে একে অপরের জন্য এক তীব্র ভালবাসা। পরিবারের অমতে গিয়ে লিলিয়ান বিয়ে করে তাহেরকে। দশদিনের মাথায় ওরা বিয়ে করে। তাহের যেহেতু বাংলাদেশের ছেলে লিলিয়ানের তাই খুব ইচ্ছা বাংলাদেশ দেখার। শুরুতে রাজি না হলেও লিলিয়ানের অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মানতে হয় তাহেরের। পাড়ি জমায় তারা বাংলাদেশে! অবশেষে লিলিয়ান তাহেরের পৈতৃক ভিটায়! তাহেরের বাড়ির অন্তিম দশা দেখে লিলিয়ান একদিকে মুগ্ধ অনদিকে অবাক! এই বাড়ি নাকি সে আগেও স্বপ্নে দেখেছে! তাহেরকে বললে সে তেমন পাত্তা দেয়না, যেন ওসব অবুঝ কোন শিশুর খেলাচ্ছলের কথা! তাহেরের দূর সম্পর্কের চাচা ইস্কান্দর আলি। তিনিই দেখাশোনা করেন এই ভাঙ্গা রাজবাড়ি। উনার দুই ছেলে, এই দুই ছেলে আর চাচাকে শুরু থেকেই অপছন্দ তাহেরের.... কেন? খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্বামীর ভাঙ্গা রাজবাড়িটাকে আপন করে নেয় লিলিয়ান! এ ঘর থেকে ও ঘরে ছুটছে! পান খেয়ে ঠোট লাল করছে! কত আনন্দ! এর মধ্যেই সে আবিষ্কার করে এক রহস্যময় ঘর! আয়নাঘর! তাহের জানায়, এ ঘরটি নাকি সম্পূর্ণ আয়নার তৈরি, দেয়াল জুড়ে প্রকান্ড সব আয়না। সে ঘরে নাকি তাহেরের পূর্বপুরুষদের রুপবতী তরুণী বধূরা দরজা বন্ধ করে সাজ করতেন..... আর তাদেরই একজন নাকি এই আয়নাঘরেই মারা যান! ব্যস... তারপর থেকেই আয়নাঘরের প্রতি এক প্রবল টান লিলিয়ানের। রৌদ্রজ্জ্বল দিনের পরে একসময় আকাশে মেঘ দেখা দেয়, তাহের আর লিলিয়ানের জীবনেও হঠাৎ করে নেমে আসে তেমনই এক খন্ড মেঘ। হঠাৎ করেই কি এক কাজে তাহেরকে ডেকে নিয়ে যান তাহেরের সেই দূর সম্পর্কের চাচা। তখন রাত। তাহের চলে গেলে লিলিয়ান একা। হঠাৎ করেই লিলিয়ানের মনে অজানা এক ভয় জমতে থাকে... তাহের ভাল আছে তো? আস্তে আস্তে নেমে আসে লিলিয়ানের উপরও সীমাহীন অন্ধকার.... তারপর..... ছুটতে থাকে, ছুটতে থাকে লিলিয়ান.... তাহেরও ডুবতে থাকে নিকষকালো রাতে.... কে বাঁচাবে তাদের? কে আসবে নির্ভরতা নিয়ে এই অচেনা দেশে লিলিয়ান আর লিলিয়ানের স্বামীর পাশে....? কার একটু স্পর্শের জন্য, এক পলক দেখা পাওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত ব্যাকুল থাকে লিলিয়ান....? . #ব্যক্তিগত_মন্তব্য: হুমায়ূন আহমেদের বই ছোটবেলা থেকেই পড়ে আসছি। এই অসাধারণ বইটা পড়ি ক্লাস সিক্সে। তখনও পড়ে অবাক চোখে জল জমেছিল এখনও যতবার পড়ি আনন্দে চোখে জল আসে..... তাই যে ক্ষুদ্রাংশ এখনও বাকি এই চমৎকার বইটি পড়ার অবশ্যই পড়ে নিবেন! হ্যাপি রিডিং
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
বাহাত্তর পৃষ্ঠার একটা বই। তবে হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য বইয়ের মত এত জমজমাট নয় এই বইয়ের কাহিনী। এই পড়তে আমার সময় বেশি লেগেছে কারণ, এই বইয়ে কাহিনী প্রথম থেকে তেমন আকর্ষণ করেনি আমাকে, শেষ করার জন্য পড়া। এজন্য শেষ করেছি। আমার কাছে, আয়নাঘরের ব্যাপারটা ভৌতিক আর রহস্যময় হলেও, ব্যাখ্যা দিলে ভালো লাগতো আর নদীর পাড়ে লিলিয়ান কিভাবে তাহেরকে বাঁচালো সেটা আরেকটু লেখলে হত আর হ্যাঁ আরেকটা ব্যাপার, লোকগুলোর মোটিভ কি ছিল যে, তারা তাহেরকে মারতে চেয়েছিল? আমরা জানি, এটা নিতান্তই লেখকের ইচ্ছা যে উনি কিভাবে লিখবেন উনার যেকোন গল্প। কিন্তু এও সত্য যে উনি একটা বইয়ে এত সব প্রশ্ন এভাবে ইগনোর করতে পারেন না। গল্পের সংক্ষিপ্ত অংশ, তাহেরের বিদেশিনী স্ত্রী লিলিয়ান অবাক হয়ে চারদিকে তাকাচ্ছে। তাহের বলল, লিলি!এই দেখ এই ঘরটার নাম আয়নাঘর। জানালাবিহীন ছোট্ট একটা কামরা, যার দেয়াল জুড়ে প্রকান্ড সব আয়না।তাহের বলল, আমার পূর্বপুরুষদের রূপবতী তরুণী বধূরা দরজা বন্ধ করে এই ঘরে সাজ করতো। ‘যারা রূপবতী নয় তারা কি করতো?’ ‘আমি কথার কথা বললাম! যারা রূপবতী নয় তারাও নিশ্চয়ই যেত।’ ’ঘরটাতো অন্ধকার। জানালা নেই। দরজা বন্ধ করলে আলো আসবে না।’ ‘এই ঘরে ঢুকতে হোত প্রদীপ নিয়ে। চারদিকে আয়ানাতো প্রদীপ জ্বাললেই অন্যরকম এফেক্ট হয়। তুমি মোমবাতী জ্বালাও, দেখ কেমন লাগে।’ ‘তুমি অন্যঘরে যাও। আমি একা একা মোমবাতী জ্বালাব।’ তাহের চলে গেল। লিলিয়ান দরজা বন্ধ করে, মোমবাতী জ্বারাল। সঙ্গে সঙ্গে ঘরটা যে বদলে গেল। লিলিয়ানের মনে হল। আয়নার ভেতর থেকে কে যেন তাকে দেখছে। অবাক হয়ে দেখেছে!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৫ বইয়ের নাম : আয়নাঘর লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রথম প্রকাশ : ১৯৯২ সাল প্রকাশনী : সময় প্রকাশন পৃষ্টা : ৭৬ তাহেরের বিদেশিনী স্ত্রী লিলিয়ান অবাক হয়ে চারদিকে তাকাচ্ছে। তাহের বলল, লিলি! এই দেখ এই ঘরটার নাম আয়নাঘর। জানালাবিহীন ছোট্ট একটা কামরা, যার দেয়াল জুড়ে প্রকান্ড সব আয়না। তাহের বলল, আমার পূর্বপুরুষদের রূপবতী তরুণী বধূরা দরজা বন্ধ করে এই ঘরে সাজ করতো। ‘যারা রূপবতী নয় তারা কি করতো?’ ‘আমি কথার কথা বললাম! যারা রূপবতী নয় তারাও নিশ্চয়ই যেত।’ ’ঘরটাতো অন্ধকার। জানালা নেই। দরজা বন্ধ করলে আলো আসবে না।’‘এই ঘরে ঢুকতে হোত প্রদীপ নিয়ে। চারদিকে আয়নাতো প্রদীপ জ্বাললেই অন্যরকম এফেক্ট হয়। তুমি মোমবাতী জ্বালাও, দেখ কেমন লাগে। ’‘তুমি অন্যঘরে যাও। আমি একা একা মোমবাতী জ্বালাব।’ তাহের চলে গেল। লিলিয়ান দরজা বন্ধ করে, মোমবাতী জ্বালাল। সঙ্গে সঙ্গে ঘরটা যে বদলে গেল। লিলিয়ানের মনে হল, আয়নার ভেতর থেকে কে যেন তাকে দেখছে। অবাক হয়ে দেখেছে! কাহিনী সংক্ষেপঃ ‘আয়নাঘর’ এর কাহিনীতে উঠে এসেছে এক নারীর জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের কথা। এই উপন্যাসে সরাসরি কিছু না বললেও কিছু ভৌতিক আবহাওয়াও রয়েছে। কাহিনীতে দেখা যায়, আমেরিকায় বেড়ে উঠা এক তরুণী লিলিয়ান এক ঘটনাচক্রে প্রেমে পড়ে এক বাংলাদেশী তরুণ তাহেরের। পরিচয় হবার রাতেই লিলিয়ান তাহেরকে নিয়ে অদ্ভুত অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। লিলিয়ান তার মাকে সব জানালে তার মা তাকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে। লিলিয়ান ডাক্তারও দেখায়। তবে ডাক্তারে দেয়া ব্যাখ্যা লিলিয়ানের পছন্দ হয় না। লিলিয়ান মনে করে তার এই স্বপ্ন দেখা একমাত্র বন্ধ হবে তাহেরকে বিয়ে করে তার সাথে বাকি জীবন কাটাতে পারলেই। একদিন ফুল হাতে তাহেরের বাসা খুজে বের করে তাহেরকে বিয়ে প্রস্তাব দিলে তাহের লিলিয়ানকে জানায় তাহের প্রথমদিন থেকেই লিলিয়ানকে ভালোবাসতে শুরু করে তবে বলতে পারেনি। বিয়ে পর্ব সেরে গেলে লিলিয়ানের স্বপ্ন দেখাও বন্ধ হয়ে যায়। যতদিন যায় লিলিয়ান ততই তাহেরকে ভালোবাসতে শুরু করে। বেশ কিছুদিন কেটে যাবার পর তাহেরকে একটা কাজে লিলিয়ানকে রেখে ইউরোপে যেতে হয়। তাহের চলে যাবার পর লিলিয়ান আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তাহের বুঝতে পারে লিলিয়ান তাহেরকে ছাড়া থাকতে পারবে না। তাই অজুহাত দেখিয়ে লিলিয়ানের কাছে চলে আসে এবং নিয়ে আসে বাংলাদেশে, তাহেরের গ্রামের বাড়ি। এখানে এসেই লিলিয়ানের দেখা সকল স্বপ্ন একে একে সত্য হতে শুরু করে। বদলে যেতে শুরু করে বিদেশিনী লিলিয়ান। আর সাথে ধীর পায়ে তাদের দুজনের সামনে আসে ভয়ংকর বিপদ। ঘটনাক্রমে দেখা যায়, সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় থাকা তাহেরের আত্মীয়-স্বজন তাহের এবং লিলিয়ানকে খুন করে তাদের সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু এক অলৌকিক ঘটনায় তারা দুইজনই বেঁচে যায়। কি হয়েছিলো সেই রাতে? আর কিভাবেই তারা বেঁচে গেলো? প্রতিক্রিয়াঃ উপন্যাসটির পটভূমি আমেরিকা ও বাংলাদেশ। দুটি ভিন্ন দেশের ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের কাছে আসার মুহূর্ত গুলো অনায়েসে আপনাকে মুগ্ধ করবে। মনে হবে ভালোবাসাই যেনো সবকিছু, ভালোবাসাই সার্বজনীন। হুমায়ূন আহমেদের এই উপন্যাসটি অনেকটা ছায়ার মধ্যেই রয়ে গেছে। তবে পড়তে গেলে দেখা যায় এটিও চমৎকার একটি উপন্যাস। আশা করি সবার পড়ার আগ্রহ হবে। রেটিং- ০৯/১০ লিখেছেনঃ আশা মীম
Was this review helpful to you?
or
আধিবাস্তব গল্প কে না পছন্দ করে!এটি সেরকমই একটি বই। হুমায়ুন আহমেদ লিখিত এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে 'সময়’ প্রকাশনী'র মাধ্যমে।যার মুদ্রিত মূল্য ১৫০৳। মিসির আলি উপন্যাসের মত এটাতেও রহস্যময় ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।পার্থক্য কেবল এই উপনাস্যের রহস্যভেদ হয়নি।কেননা রহস্যভেদ করা এই উপন্যাসের মূল না।গল্পের শুরু হয় তাহের ও লিলিয়ানের মধ্যে চমৎকার এক ঘটনার মাধ্যমে,যা অবশ্যই পাঠকের কাছে রোমান্টিক লাগবে।লিলিয়ান নিজের অজান্তেই তাহেরকে ভালবেসে ফেলে।কেন ভালবাসল কিভাবে ভালবসা জন্মালো তার চমৎকার হিসেব মিলিয়ে দেয় এক সাইকিয়াট্রিস্ট।লিলিয়ানের একটা অলৌকিক ক্ষমতা থাকে যা দ্বারা তাহেরের বিপদ আশংকা বুঝতে পারে।এটা হয়ত তাহেরর প্রতি তীব্র ভালবাসার কারণেই হয়েছে।মূল রহস্য হচ্ছে তাহেরে গ্রামের বাড়ির প্রাচীন দালানের দাদার দাদার আমলের আয়নাঘরে।শেষ তারা দুজনেই বিপদে পড়ে...। দারুণ রোমান্টিক কাহিনী আর রহস্যঘেরা এই উপন্যাসটি পড়ার সময় প্রতি মুহূর্তে রোমাঞ্চকর অনুভূতি জোগায়।