User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Happy reading!
Was this review helpful to you?
or
আভার সাথে কী সডত্যিই রঞ্জুর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো নাকি। রঞ্জুর মারা যাকয়ার ব্যাপারটা একদম মেনে নিতে পারিনি??
Was this review helpful to you?
or
অত্যন্ত ভালো লাগার একটা বই ❤️
Was this review helpful to you?
or
শেষের সমাপ্তি সুন্দর লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
Best
Was this review helpful to you?
or
আমার খুবি প্রিয় বই।পড়তে পারেন। ভালো লাগবে ইনশাল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Good quality
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অনেক ছোট বেলায় বইটা স্কুলের লাইব্রেরী থেকে এনে পড়েছিলাম। যদিও এর আগে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের কিছু বই পড়েছিলাম। কিন্তু এই বই পড়ার পর থেকে আমি উনার লেখার ভক্ত হয়ে যাই।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটা বই
Was this review helpful to you?
or
too good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
আশাবরী, একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প। লেখকের অনেক গুলো জীবনবাদী উপন্যাসের মধ্য আশাবরী অন্যতম।
Was this review helpful to you?
or
আমার পাঠক জীবনের অন্যতম সেরা বই এইটি। খুব ই ভাল লেগেছিল।
Was this review helpful to you?
or
এটি খুব ভালো একটা বই। যারা বইটি পড়েনি আমার মনে হয় একবার হলেও পড়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "আশাবরী" প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের লেখা বরাবরের মতই অসাধারণ একটি গল্প। প্রতিটি লাইন গভীরভাবে অনুভব করেছি এবং প্রচন্ড মন খারাপ হয়েছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের দুঃখ-কষ্ট তুলে ধরেছেন বইটিতে। প্রচন্ড কষ্টের মধ্যেও এরা হাসিখুশিতে মেতে থাকে, নিজেদের কষ্ট অন্যকে বুঝতে দেয় না। বইয়ের শুরু টা হয় রন্জু নামের একটি ছেলে কে নিয়ে শেষ টাও তাকে নিয়েই হয়। এক কথায় অসাধারণ লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
#আশাবরী #হুমায়ূন আহমেদ একটি সাদামাটা মধ্যবিত্ত পরিবার ও তার আশেপাশের মানুষদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের এক অনবদ্য সৃষ্টি 'আশাবরী' উপন্যাসটি। রঞ্জু, মীরা, রেণু তিনভাই বোনসহ তাদের মা বাবাকে নিয়ে সুন্দর একটি পরিবারের দৈনন্দিন সুখ-দুঃখ, অভাব- অনটন থাকা সত্ত্বেও ভাল থাকার চেষ্টা, ভাই রঞ্জুর যে কোন পরিস্তিতিতে হাসি ঠাট্টা করার ক্ষমতা, মীরা অসম্ভব সুন্দরী হওয়ার পরও এক অপার বিষাদে প্রতিনিয়ত কষ্ট পাওয়া আর বাবার নিরুদ্দেশ হওয়ার পর সংসারের অচল অবস্থা। এতসব কিছুর পরও ভাল থাকার আশা সব মিলিয়ে অন্যরকম স্বাদের একটি বই। যে কোন মুহুর্তে জীবন বদলে যেতে পারে। লেখক রহস্যময় জীবনের অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরেছেন লেখায়। এত সমস্যার পরও মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকার তীব্র আশা সবসময় মানুষকে শক্তি যোগায়। এক বসায় পড়ার মত একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২ মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ চতুর্থ পর্বঃ2 বইয়ের নামঃ আশাবরী লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনীঃসময় প্রকাশ পৃষ্ঠাঃ ১০২ মূল্যঃ ১২০ প্রকাশকাল:১৯৯১ সংস্করণ :১২ তম #লেখক_এবং_নামকরণ : আশাবরী' হুমায়ুন আহমেদের অনবদ্য সৃষ্টির একটা বই যেটার শুরু থেকে শেষ অবধি পরিচয় মিলেছে তাঁর লেখনীর অসামান্য সাবলীলতার। উত্তম পুরুষে লেখা অনেক বই-ই আছে লেখকের কিন্তু সেই উত্তম পুরুষটি যে মেয়ে,সেরকম দৃষ্টান্ত খুব কম ই আছে।উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে বোঝা গেছে,একটা মেয়ে লেখকের কাছে নিজের জীবনের কথা খুলে বলছে - এমন আঙ্গিক গঠনে রচিত হয়েছে উপন্যাসটি। তারপরও এটিকে উত্তম পুরুষে রচিত উপন্যাসই বলা যায় কেননা লেখকের নিজের কোন বক্তব্য বা সংলাপ এই উপন্যাসে একবারও দেখা যায়নি! #কাহিনী_সংক্ষেপ :হুমায়ুন আহমেদের অধিকাংশ উপন্যাসেরই পটভূমি হল মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন।মূলত কাহিনীতে দেখা গেছে, নিম্ন মধ্যবিত্ত একটা পরিবার কিভাবে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটায় কিন্তু তারপরও সবসময় তারা হাসি-ঠাট্টার মধ্যে থাকে।বইটিতে লেখক গল্প বলেছেন রেনু নামক চরিত্র দিয়ে।বইটা পড়তে গিয়ে আমাকে বারবার দ্বিধায় পড়তে হয়েছে।আমি বইটা পড়তে গিয়ে বারবার ভেবেও কূল পাইনি রেনু কি সুখী নাকি অসুখী!একসময় তাদের জীবনে বিশাল ধাক্কা আসে তাদের বাবার নিরুদ্দেশের মাধ্যমে এবং বাবার নিরুদ্দেশের ঘটনাটাই পরিবারটিকে দাঁড় করায় আরও কিছু অনিবার্য ঘটনার সামনে যার পরিণতিস্বরূপ উপন্যাসের সমাপ্তিটা হয় খুবই করুণ। তাছাড়া হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস কি আর প্রেম ছাড়া হয়?আর মধ্যবিত্তের প্রেম মানেই তো অব্যক্ত,অনুল্লেখিত ব্যর্থ প্রেম।এমন অনেকগুলো ব্যর্থ প্রেমেরও গল্প উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। সবমিলিয়ে বলা যায়, 'আশাবরী'র মাধ্যমে আরও একবার হুমায়ুন আহমেদ সফলভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধিত্বকারী একটি পরিবারের সুখ-দুঃখের রূপকথা। হুমায়ুন আহমেদ এর কিছু বই আছে যেগুলোর রিভিউ লেখা সম্ভব না।আশাবরীও তেমন।গল্প গুলো প্রানে দাগ কেটে যায়। "অশাবরী" বইটির ফিনিশিং এত করুণ হবে ভাবিনি। কেউ নেই তবুও আছে। হারিয়ে গিয়েও ফিরে আসে বার বার। সে আমার কেউনা তবু হঠাৎ জেগে ওঠা হৃদয়ের ধুকপুকানি যেন থামেই না। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া : গল্প যতই এগিয়েছে ততই মনের মধ্যে একটা চাপা কষ্ট আর না পাওয়া ক্রমশ বেড়েছে।আর গল্প শেষে আলাদা এক শূন্যতা মনে থেকে যায়। ভাবতে বাধ্য করে রঞ্জুর মত আসাধারণ কেউ কি এত সাধারণ ভাবে চলে যেতে পারে?কি দরকার ছিল রঞ্জু,দিলু আর আভা র সম্পকটাকে সাদা পাতায় কালো অক্ষরে চাপা রেখে দিতে?রেনু রঞ্জুকে ছাড়া কিভাবে থাকবে এখন?আচ্ছা মীরার কি হবে ও কি ওর স্যার এর সাথে বিদেশ চলে যাবে নাকি ঐ সানগ্লাস পরা ছেলেটাকেই হুট করে ভালোবেসে বসবে? ব্যাক্তিগত রেটিং : ৯.৬/১০ #সেরা_উক্তি : "মন্ত্রীরা কারো কথাই ফেলেন না। তাঁদের বিশাল একটি কালো বাক্স আছে-সবার কথাবার্তা তাঁরা ঐ বাক্সে রেখে দেন। ঐ তালা আর খুলেন না।" রিভিউ লিখেছেনঃ মানিক
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-অাশাবরী লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-উপন্যাস মূল্য-১২০ পৃষ্ঠা-১০২ প্রকাশনী-সময় আশাবরী, একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প। লেখকের অনেক গুলো জীবনবাদী উপন্যাসের মধ্য আশাবরী অন্যতম। উপন্যাস রচিত হয়েছে উত্তম পুরুষে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র রেনু। মা, বাবা, ভাই, বোন নিয়ে একটি পরিবারে স্থির চিত্র। লেখক এই পরিবারের সব গুলো মানুষের দ্বারা এঁকেছেন একটি চিত্রপট। যাতে ফুটে উঠেছে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কের টানপোড়ন, নিত্য নতুন সঙ্গী অভাববোধ আর দৈন্য। আর এ পরিবারের সব গল্প বলে গেছে রেনু। তার নিরুদ্দেশ বাবার গল্প, রসিকতা পূর্ণ ভাইয়ের গল্প, অসম্ভব রূপবতী বোনের গল্প এমনকি সংসার লক্ষী মা এবং সব কিছু বুঝে না বোঝার ভান করা নিজের গল্পও। রেনুর বাবা প্রায়ই নিরুদ্দেশ হন। আর একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তা কতোদিন নিরুদ্দেশ থাকার ফলে পরিবারের মানুষ গুলো যে কি পরিমান ভোগান্তির শিকার হয়, লেখক বোধহয় তাই দেখিয়েছেন। একদিকে বলতে গেলে রেনুর বাবার এই নিরুদ্দেশ হওয়ার কারনেই হয়তো উপন্যাসের পরিনতি হয় খুবই করুন। রেনুর বাবার নিরুদ্দেশ হওয়ার সময়, সংসারের হাল ধরতে হয় রেনুর ভাইকে। সদা সহাস্যমুখের চরিত্র রেনুর ভাই। সে সময়, সবাইকে সব কিছু থেকে ভুলিয়ে রাখতে চেষ্টা করে। পরিবারে কোন কিছুর চাপ কারো উপর ফেলতে দেয় না। কিন্তু তা কি সম্ভব হয়.. এসকল দুঃখ কষ্ট ভেদ করেই তাদের চলতে হয়। এভাবেই একের পর এক ঘটনার বর্ণনায় উপন্যাস সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়। তাতে পাঠক পরিচিত হয় কর্তাহীন, দৈন্যদশায় পতিত এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতিনিয়ত সংগ্রামের সাথে। কি করে ভান করে কাটিয়ে দিতে হয় তাদের সকাল, দুপর, রাত এমনকি আরো একটা নতুন দিন। তার মাঝে থাকে বেশ কিছুটা হাসি খুশির ছলনা। এই সুখের চিহ্ন গুলোর মধ্যেই চলে আসে দুখের পরশ। রেনু তার জবানিতেই বলে যায়, সে সব দুঃখগাথা, করুণ পরিনতির কথা। এর মাঝে নিজের চাওয়া, পাওয়ার কথাও বলে যায়। নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবনে যে জিনিসটার ছোঁয়া কখনো সুখের পরিনতি পায় না তা হলো, প্রেম। তবুও তাদের জীবনে প্রেম আসে। সুপ্ত অগ্নিটাকে, আরো একটু করে উসকে দেয় সে অব্যক্ত প্রেম। দীনতা, দৈনতায় কাটিয়ে দেওয়া মানুষগুলো এবার বোধ হয় আর পারে না। রিক্ততায় মিশে যায় একেবারে। হুমায়ুন আহমেদ এর নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তের জীবন পটভূমি করে রচিত উপন্যাস গুলোর মতোও আশাবরীর শেষটা বেশ কষ্টদায়ক। মধ্যবিত্ত পরিবারের টানাপোড়নের আচড়ে গঠন হলো আশাবরী। এসকল গল্পের চিত্র ফুটিয়ে তুলতে লেখক বেশ ভালোই পারেন। অনুভূতির কথা কি বলা যায়! একেবারে প্রথম লাইনেই লেখক এ গল্পের দৈন্যতায় প্রকাশ করেছেন এভাবে, "জানেন আমাদের বাসায় গত তিন মাস ধরে কোন আয়না নেই। সত্যিই নেই।" কতোটা দূরাবস্থা হলে, কোন সংসারের এ হাল দেখতে পাওয়া যায়! একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সুখ দুখের গল্প, তাদের অভাব অনটন, প্রতিদিনকার সংগ্রাম, লেখকের লেখনী আর বর্ণনা এতে পরিপূর্ণ প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। সব কিছুর মিশ্রনে লেখকের হাতে ফুটে উঠেছে মধ্যবিত্তের আরো একটি আখ্যান। প্রতিনিয়ত দূর্ভোগের মাঝে মুখে হাসি ফুটিয়ে, নতুন পায়ের ছাপ ফেলতে হয় তাদের। হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়।সাবলীল ঘটনার বর্ননা আর সহজ ভাষায় লেখার কারণে হুমায়ূন আহমেদের বই এর তুলনা নেই। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনিই পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও হুমায়ূন আহমেদ সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক। রেটিং-৫/৫ রকমারি লিংক- https://www.rokomari.com/book/1328/আশাবরী
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা . বই: আশাবরী ঘরানা(Genre): জীবনধর্মী উপন্যাস লেখক: হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক: সময় প্রকাশন প্রকাশকাল: নভেম্বর ১৯৯১ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১০২ মূল্য: ১২০ টাকা গুডরিডস রেটিং: ৩.৪৮ /৫ (২২৮ টি রেটিং) ব্যক্তিগত রেটিং: ৪.৫/৫ . কাহিনি সংক্ষেপ: এই বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্র রেণু । গল্পের কথকও সে নিজেই । কলেজপড়ুয়া কিশোরী রেণুর বর্ণনায় উঠে আসে এক মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প । তাদের বাসায় কোনো আয়না না থাকার গল্প, তার বাবার রহস্যময় অন্তর্ধান হবার গল্প, মায়ের অসুস্থ হবার গল্প, ভাইয়ের মৃত্যুর গল্প । আরও ফুটে ওঠে মধ্যবিত্ত পরিবারের এই কিশোরী মেয়েটির স্বপ্ন, সাধ, ভালোবাসা, আশা । প্রতিনিয়ত কদর্যতার মাঝে মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার গল্প এই ‘আশাবরী’ । . পাঠ প্রতিক্রিয়া: হুমায়ূন আহমেদের রচনার বিশাল তালিকায় কিছু অতিসাধারণ কিন্তু অনন্য-অসাধারণ বই আছে । তার মাঝে ‘আশাবরী’ একটি । খুব সাধারণ গল্প, কিন্তু লেখকের বাহুল্যবর্জিত অদ্ভুত সুন্দর বর্ণনাভঙ্গি, চরিত্রচিত্রণের অসামান্য দক্ষতা, জীবনের প্রতি নিজস্ব সূক্ষ্ম একটা দৃষ্টিভঙ্গি-সব মিলিয়ে অসাধারণ । হুমায়ূন আহমেদের যে কয়টা বই আমার অতি পছন্দের, তার মাঝে এই আশাবরী একটি । সময় পেলেই নামিয়ে এই বইটি পড়ি । সবমিলিয়ে কতবার যে পড়েছি তা গুণে বলা সম্ভব নয় । . বইটির প্রথম সংস্করণ আমার পড়া হয়নি । দ্বিতীয় সংস্করণে লেখক নাকি গল্প খানিকটা বদলেছেন । তিনি এ বিষয়ে লিখেছেন, ‘পাঠক পাঠিকারা ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছেন কি-না জানি না, দ্বিতীয় মুদ্রণ না বলে আমি বলছি দ্বিতীয় সংস্করণ কারণ মূল গল্প বেশ খানিকটা বদলেছি । প্রখম সংস্করনের বইটি অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছিল । যা বলতে চেয়েছিলাম তা ঠিক মত বলতে পারিনি-অস্পষ্ট রয়ে গেছে। তাছাড়া কিছু চরিত্রের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। পৃথিবীর কাছ থেকে এরা সহানুভূতি পায়নি বলে লেখকের কাছ থেকেও পাবে না তাতো হয় না।’ এই দু’লাইন পড়ার পর যে কারও জানতে ইচ্ছে করে না প্রথম সংস্করণে কী এমন ছিল? আমারও জানার ইচ্ছা হয়েছিল । কিন্তু অনেক খুঁজেও বইটির প্রথম সংস্করণ খুঁজে পাইনি । . বইটির মুদ্রণ, বর্ণবিন্যাসও আমার কাছে ভালো লেগেছে । বানানে তেমন কোনো ভুল নেই । আর প্রচ্ছদটাও বইয়ের মতো, খুব সাধারণ, কিন্তু অতি গভীর একটা ভাব ধারণ করে । . জানি না কেন, সব বইয়ের ভুল আমার চোখে একটু বেশি পড়ে । কিন্তু অনেকবার পড়েও এই বইয়ের কোনো ‘ভুল’ আমি আজঅব্দি বের করতে পারিনি । ‘স্পয়লার’ হয়ে যাবে না কি জানি না, তবুও এই বইটির শেষ অংশটা এই রিভিউতে তুলে ধরার লোভ সামলাতে পারছি না । তাই তুলে দিচ্ছি । লেখক উপন্যাসটি শেষ করেন এভাবে: . ‘আকাশ মেঘলা হয়ে আছে । সন্ধ্যা হতে বেশি বাকি নেই । অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই শহরের সমস্ত হলুদ বাতি জ্বলে উঠবে । কুৎসিত নোংরা শহরটাকে তখন মনে হবে সোনালী শহর ।’
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ আশাবরী(হার্ডকভার) লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ সময় প্রকাশন প্রথম প্রকাশঃ নভেম্বর, ১৯৯১ প্রচ্ছদঃ সমর মজুমদার পৃষ্ঠাঃ ১০২ মুদ্রিত মুল্যঃ ১২০৳ রেটিংঃ ৫/৫ #রিভিউঃ উপন্যাসটি শুরু হয় রেনুকে দিয়ে। সে গল্পকথক। তার সুরে সে বর্ণনা করে নিজের পরিবারের আর্থিক দৈন্যতার কথা, সুখ-দুঃখের কথা। তার পরিবারে রয়েছে বাবা-মা, একভাই, আরেক বোন। সে পরিবারে হাসি-কান্না পাশাপাশি বিরাজ করে। তার বোনটি সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে নিজেকে। মধ্যরাতে কেঁদে ওঠে হঠাৎ। যার কারণ কেউ জানে না। বাবার মাঝে মাঝে নিরুদ্দেশ যাত্রা পরিবারের বাকি সদস্যদের গভীর সংকটে ফেলে। তখন সব সংকট একাই মোকাবেলা করতে হয় তার একমাত্র ভাইটি। এর মাঝেও সে রসিকতায় মাতিয়ে রাখতে চায় পুরো পরিবারকে। বুঝতে দিতে চায়না কিছুই। সেই ভাইটির জীবনেও আসে প্রেম। কিন্তু তা পূর্ণতা পায়না। ভাইয়ের করুণ পরাজয় ঘটে জীবনের কঠিন বাস্তবতার কাছে। “নন্দিত নরকে”, “শঙ্খনীল কারাগার” এর মতন আরও একটি নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প নিয়ে রচিত “আশাবরী”। মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প ফুটিয়ে তুলতে হুমায়ুন আহমেদের জুড়ি নেই। বাংলা সাহিত্যে এরূপ দক্ষতা হয়তো আর কোনো সাহিত্যিকরই নেই। বিশেষ করে, হুমায়ুন আহমেদের নিজস্ব ভাষা-স্টাইল যা কোনো ভাবেই উপেক্ষা করার মতো নয়। কিছু কিছু অংশের শব্দচয়ন এবং বাক্যচয়ন বইটির আবেদনকে আরো তীব্র করেছে। বইটির মুল কাহিনীতে প্রবেশের ভঙ্গী- তা যে কাউকে মুগ্ধ করবেই। উপন্যাসের শেষের দিকের করুণ কাহিনী যথেষ্ট জটিল যা পাঠককে নাড়া দিবে। যদিও কিছু কিছু জায়গায় মনে হয়েছে কাহিনী একটু দীর্ঘায়িত হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে বলা যায়, লেখকের এই অনবদ্য সৃষ্টি পাঠকের মনে একটা গভীর দাগ কেটে যাবে। সে হিসেবে বইটিকে আমি ৫/৫ -ই দেব। আশা করি বইটি পড়ে আপনাদেরও ভালো লাগবে। লিঙ্কঃ https://www.rokomari.com/book/1328/আশাবরী
Was this review helpful to you?
or
মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনগাঁথা হুমায়ন আহমেদ, বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।তার লেখ উপন্যাসগুলো সবসময় পাঠকদের কাছে হয়ে উঠে অমায়িক।এত সুন্দর তার লেখুনীগাথা সবসময় মন জয় করে নেন সবার।মানুষের বাস্তবজীবনের চিত্রটাকে বেশ ভাল করেই তুলে ধরেন তার লেখা বইগুলোতে।আমি তার বলতে গেলে অন্ধভক্ত।তার লেখা বইগুলো সবসময় আমাকে ভিন্ন স্বাদ দেয়।“আশারবী” তার লেখা এক অনন্য উপন্যাস।একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সুখ দুঃখের কাহিনীটা হুমায়ন আহমেদ এত সুন্দর করে লিখেছেন বলার উপেক্ষা রাখেনা।উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র রেনু।রেনু তার পরিবারের কাহিনি বলে গেছেন নিজের মত করে।রেনুর পরিবারটি অন্য সব মধ্যবিত্ত পরিবারের ন্যায় আর্থিক সংকটে থাকে।তারপরেও তাদের পরিবারে সবসময় সুখের ছোয়া ছিল।হাসি ঠাট্টা আনন্দের মাঝে চলতে থাকে তাদের সংসার।হঠাত তাদের সংসারে দুঃখের ছোঁয়া এসে লাগে রেণুর বাবা নিরুদ্দেশ হওয়াতে।বেশ ভাল বিপদেই পড়ে যায় পরিবারটি।শুরু হয় আর্থিক সংকট।নানা রকম দুঃখ কষ্টের মাঝে কাটাতে থাকে দিন ঘটতে থাকে কিছু অনিবার্য ঘটনার সামনে যা পড়তে সত্যিই অনেক করুন লাগে।রেনু তার প্রেমের কথাও তুলে ধরেছেন গল্পে।মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রায় প্রেমই অনুল্লেখিত ব্যর্থতার রুপ পায় এই উপন্যাটির রেনুর গল্পেও তাই ঘটে।এক রেনুর কাহিনী দিয়ে লেখক হাজার মধ্যবিত্ত পরিবারের করুন কাহিনী বুঝিয়েছেন।আমি নিজেও একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ তাই বুঝি আসলেই আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি তাদের জীবন সংগ্রামটা কত কঠিন।বইটি আসলে আমাকে বেশ প্রভাবিত করেছে।বইটি যারা পড়বেন তাদের কাছে অনেক ভাল লাগবে আশাকরি।
Was this review helpful to you?
or
'আশাবরী' হুমায়ুন আহমেদের দারুণ গতিশীল একটা বই যেটার শুরু থেকে শেষ অবধি পরিচয় মিলেছে লেখকের লেখনীর অসামান্য সাবলীলতার। উত্তম পুরুষে লেখা অনেক বই-ই আছে লেখকের কিন্তু সেই উত্তম পুরুষটি যে মেয়ে, সেরকম দৃষ্টান্ত কমই আছে। তবে এই উপন্যাসেও লেখক নিজেকেই একটি নারী চরিত্র হিসেবে মেনে নিয়ে লিখেছেন তা কিন্তু না। উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে বোঝা গেছে, একটা মেয়ে লেখকের কাছে নিজের জীবনের কথা খুলে বলছে - এমন আঙ্গিক গঠনে রচিত হয়েছে উপন্যাসটি। তারপরও এটিকে উত্তম পুরুষে রচিত উপন্যাসই বলা যায় কেননা লেখকের নিজের কোন বক্তব্য বা সংলাপ এই উপন্যাসে একবারও দেখা যায়নি। এবার আশা যাক এই উপন্যাসের কাহিনী সম্পর্কে। সকলেই জানেন যে হুমায়ুন আহমেদের অধিকাংশ উপন্যাসেরই পটভূমি হল মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন। এই উপন্যাসেও মূলত একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কথাই উঠে এসেছে। তবে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন নয়, বরং তাদের পরিবারের দৈনন্দিন কিছু ঘটনাপ্রবাহ কিভাবে নাটকীয়তায় মোড় নেয় সেটা তুলে ধরেছেন লেখক এই উপন্যাসে। উপন্যাসের শুরুটা হয় একটা সামান্য আয়না নিয়ে। আয়না প্রসংগের মাধ্যমে লেখক অসাধারণ কুশলতায় দেখিয়েছেন পরিবারটির আর্থিক চিত্র। আর তারপর এই আয়না প্রসংগের মাধ্যমেই নির্মাণ করেছেন উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র। কাহিনীটা বলছে যেই মেয়েটি, সে হল রেনু। এই রেনু তাদের পরিবারের কাহিনী বলে গেছে নিজের ভাষায়। সেই কাহিনীতে দেখা গেছে, নিম্ন মধ্যবিত্ত একটা পরিবার কিভাবে আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটায় কিন্তু তারপরও সবসময় তারা হাসি-ঠাট্টার মধ্যে থাকে। একসময় তাদের জীবনে বিশাল ধাক্কা আসে তাদের বাবার নিরুদ্দেশের মাধ্যমে। এবং বাবার নিরুদ্দেশের ঘটনাটাই পরিবারটিকে দাঁড় করায় আরও কিছু অনিবার্য ঘটনার সামনে যার পরিণতিস্বরূপ উপন্যাসের সমাপ্তিটা হয় খুবই করুণ। তাছাড়া হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস কি আর প্রেম ছাড়া হয়? আর মধ্যবিত্তের প্রেম মানেই তো অনুক্ত, অনুল্লেখিত ব্যর্থ প্রেম। এমন অনেকগুলো ব্যর্থ প্রেমেরও গল্প উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। সবমিলিয়ে বলা যায়, 'আশাবরী'র মাধ্যমে আরও একবার হুমায়ুন আহমেদ সফলভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধিত্বকারী একটি পরিবারের সুখ-দুঃখের রূপকথা।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুন রেনুদের বাসায় প্রায় তিন মাস হলো আয়না নেই। অথচ ড্রেসিংটেবিলটার সামনের সবাই এমন ভঙ্গিতে তাকায়, যেন চেহারা দেখা যাচ্ছে! পরক্ষণেই বিব্রত ভঙ্গিতে চোখ ফিরিয়ে নিতে হয়। কিন্তু রেনুর বড় ভাই রঞ্জু কখনো চোখ ফিরিয়ে নেয় না। তার ভাব ভঙ্গিই এরকম যে চেহারাটা দেখা যাচ্ছে। বইয়ের নাম: আশাবরী লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী: সময় প্রকাশন পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১১ রঞ্জুর সবকিছুতেই রসিকতা, যেন তার জবান নিশপিশই করে যায় রসিকতা করতে। বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এটা উপভোগ্য। তবে এর মাত্রা বোধহয় সবচেয়েবেশি ছিলো তার বাবার উপরে। হাস্যকর কিছু বললেই সে বলতো, 'ভেরি ফানি ম্যান রঞ্জু!' রেনুর বাবা তার ছোটখাট ব্যবসার কাজে প্রায়ই অনেকদিন করে বাড়ি থেকে আলাদা থাকে। মাঝেমাঝে দুএকটা চিঠি-মানি অর্ডার আসে। যদিও এই হঠাত গায়েব হওয়ার পিছনের মূল রহস্য বেশ ধোঁয়াটে। একদিক দিয়ে কিন্তু রেনুর বাবাও খুব রসিক। রেনুর মা বাবার কিছু বিশেষ বিশেষ দিন আছে। সেগুলো তারা তাদের মত করে চুপিসারে পালন করে নেয়। আবার অনেকদিন পর পর বাড়ি ফিরে রেনুর বাবা যেন হয়ে উঠে সদ্য কিশোর জীবনে প্রেমে পড়া কিশোরটি, মাও যেন লজ্জায় ছোট্ট খুকিটি হয়ে থাকে! কখনো কখনো কিছু মানুষ নিঃশব্দে নিজের মনে কারো জন্য অগাধ প্রেম বয়ে নিয়ে চলে। কিন্তু সেই প্রেম যতটা বিশুদ্ধ, ততটাই সংগোপন। এই বিশুদ্ধ প্রেমে অপরপক্ষ থেকে কোন প্রত্যাশা নেই, এমনকি তাকে বলবার বালাইও নেই! এমনই একজন সুপ্ত অভিলাষী দুলু। রেনুদের পাশের বাসায়ই থাকে। ব্যরিস্টার পিতার এই ছোট কন্যার সঙ্গেও রেনুর খুব ভাব। অন্যদিকে আরেকজন রহস্যময়ী হলো মীরা। আপন বোন না হলে হয়তো এই মেয়েটার রূপ গুণ দেখে জ্বলেই মরতো রেনু। কি করে যেন এই মেয়েটা সদা নির্লিপ্ত। কোন কিছুতেই ভ্রুক্ষেপ নেই, কিচ্ছু নেই! প্রায় রাতেই মেয়েটা অনেকটা নিঃশব্দেই কাঁদে, কিসের শূন্যতা এটা? রেনুদের বাড়িওয়ালা সোলায়মান চাচা যখন মৃত্যুশয্যায়, তার তিন কন্যা আর জামাতা যেন এই সুযোগেরই প্রত্যাশী ছিলো যে কখন আপদটা বিদেয় হবে আর কখন এই বাড়িটাকে তারা এপার্টমেন্ট বানাতে দিয়ে দিবে। তাজ্জবের ব্যাপার হলো, এই লোকটি তার মৃত্যুদশায় খুব করে রেনু আর রঞ্জুকে দেখতে চাইত, কথা বলতে চাইত! আসলে কিছু কিছু ভালোবাসা হয়তো এমন বেনামীই হয়! সময় গড়ায়, আগের নিয়মেই রেনুর বাবাকে যেতে হয়, এবারের যাত্রা খুব সম্ভব বেশিই বড়। সংসারের খরচটা সামলানো কি যে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে! রঞ্জু চেষ্টা করছে, এই প্রচেষ্টায় সে যতটুকু সফল তারচেয়ে বেশি সফল হয়তো তাকে নিয়ে রচিত বিধাতার অন্য পরিকল্পনা ছিলো। তবুও জীবন কেঁটে যায়, জীবনের নিয়মেই। আশপাশের মানুষগুলোকে তীব্রভাবে বদলে দিয়ে হলেও জীবন তো কাটবেই! #পাঠ_প্রতিক্রিয়া: হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর বাস্তব চিত্র এত যত্ন দিয়ে ফুটিয়ে তুলে যে, রীতিমত ব্যাপারগুলো মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। নিতান্তই গড়পড়তা ব্যাপারস্যাপার নিয়ে জুতসই কিছু বানিয়ে ফেলার মত প্রতিভা বোধকরি লেখককে খুব দিয়েছিলেন বিধাতা। আশাবরীকেও আমি সেই ক্যাটাগরিতে ফেলবো। মূলত পুরোটা গল্পই রেনুর জবানীতে রচিত। কলেজ পড়ুয়া এক কিশোরী কি অবলীলায়ই না সব বর্ণনা করে যাচ্ছে। ছোট একটা বই, অথচ পড়লে কিছুক্ষণ শূন্যতা অনুভব হবেই...হুমায়ূন আহমেদের বই পড়লে এমনটাই হবে কোথাও লেখা নেই, কিন্তু এটাই হয়ে এসছে! কিছু তীব্র প্রচেষ্টাও হয়তো ভাগ্যের পরিকল্পনা ফিরাতে পারে না। আবার এই ভাগ্যের ফেরেই দুলু আর মীরার মত মেয়েগুলো নিজের মনে বয়ে চলে মারাত্মক শূন্যতা। আভার মত মেয়েগুলোরও বোধহয় আর কারো হাত ধরতে ইচ্ছে করেনা। রেনুর মার মত ন্যুজ হয়ে যেতে চায়! আর সেই ফানি ম্যান রঞ্জু? তারা নিজেরা কিভাবে যে নিভু নিভু প্রদীপের মত ছায়া দিতে দিতে নিস্তেজ হয়ে পরে কে জানবে! কে জানবে কখনো কখনো কারো কারো দুটি চোখ প্রবল তৃষ্ণায় কাউকে প্রবলভাবে খুঁজবে? কেইবা জানবে যে কখনো কখনো এক মুহূর্তের জন্য কাউকে সামান্য স্পর্শ করার অধিকারটুকুর জন্য কেউ গোটা একটি জীবন দিয়ে দিতে পারবে! এই হলো হুমায়ূন আহমেদের কীর্তি। মানুষটা সাধারন জিনিসের অনুভূতিও মানুষের মনে জাগিয়ে দেয় এভাবে। নতুন করে ভাবতে শেখায়। ওই যে বললাম, কোথাও লেখা নেই তার বই পড়ে শূন্য লাগবে; তবুও লাগে....খুব লাগে!
Was this review helpful to you?
or
বই: অাশাবরী জনরা: সামাজিক উপন্যাস লেখক: হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশক: সময় প্রকাশন প্রকাশ কাল: একাদশ মুদ্রন, ফেব্রুয়ারি ২০১১ পৃষ্ঠা: ১০২ প্রচ্ছদ: সমর মজুমদার মুদ্রিত মূল্য: ১২০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: "যদি আজ বিকেলের ডাকে তার কোন চিঠি পাই? যদি সে নিজেই এসে থাকে যদি তার এতকাল পরে মনে হয় দেরি হোক, যায়নি সময়?" অাশবরী মূলত গানের রাগ, তবে এ গানেই যেন চিরায়ত অপেক্ষার কাহিনী বর্ণানা হয়ে যায়। নিম্মমধ্যবিত্ত গল্পের চিত্র ফুটিয়ে তুলতে লেখকে জুড়ি মেলা ভার। তেমন ই এক পরিবারের কাহিনী ফুটে উঠেছে এখানে। গল্পের মূল চরিত্র রেনু নিজেই বর্ননায় প্রথমেই শুরু করে পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় ক্ষুদ্র এক অভাবের কাহিনী তিন মাস ধরে ঘরে অায়না না থাকা দিয়ে। অার এতসব অভাবের মধ্যেও নিজেদের মানিয়ে নেয়ার এক দারুন অভিনয় করে যায় পরিবারের প্রতিটা মানুষ। চরিত্র বিশ্লেষণ, বাবা যে কিনা পরিবারের প্রতি ভীষণ উদাসীন অার বাইরের ভ্রমনের যার নিষিদ্ধ অাকর্ষণ, বড় ভাই রঞ্জু মতে যে ভদ্র ভাষার ফেরিওয়ালা। ব্যবসায়ের নামে মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় অনেক দিনের জন্য। শেষবার বরিশালের নাম করে বের হদহয়ে যাওয়ার পর অার ফিরে অাসে না। নানা রকম গুজব অার অনিশ্চয়তায় সবাই দিনগোনে। বড় বোন অরু অসম্ভব সুন্দরী তবে গোপন কোন দুঃখ কুড়ে কুড়ে খায় প্রতিনিয়ত। প্রায়ই মাঝরাতে কান্না শোনা যায়, কিন্তু জানা হয় কিসের এত কষ্ট অরুর। বড় ভাই রঞ্জু, সবার প্রিয় পাত্র অার বাবা কাছে ফানি ম্যান, বেকারের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে সংসারের ঘানি টেনে যাচ্ছে। সবার সাথে হাস্যরসাত্মক গল্পে মেতে থাকলেও যার ভেতরটা ঘুনেপোকায় খেয়ে যায় প্রতিনিয়ত। নিজের গল্প গুলো শেয়ার করাত মত একমাত্র অাভা যার অাশ্রয়। এছাড়াও পাশের বাড়ির দুলু অাপা কিংবা বাড়িওয়ালা চাচা যার মৃত্যু একান্ত কাছে বসে দেখেছে রেনু। সবকিছু বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকা পরিবারে সবার ছোট মেয়ে। প্রতিদিন অভাবের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থেকে যে বাবাকে দিকভ্রান্তের মত যে খুঁজে বেড়ায়। এভাবেই নিপুন শব্দ গাঁথুনিতে অাস্তে অাস্তে এগিয়ে চলে গল্প। নিজস্ব মতামতঃ এক কথায় চারপাশের পরিবেশটাকে চোখ বুজে অনুভব করার মত গল্প অাশাবরী। বইয়ের শুরুতে লেখক বলেছেন এটা দ্বিতীয় সংস্করণ যাতে মূল গল্পের অনেকটা পরিবর্তন করা হয়েছে। মূল গল্পটা কেমন ছিল সেটা জানার অাগ্রহ তাই একটু বেড়ে গেল।
Was this review helpful to you?
or
One of the best novel u have ever read.And the main part is that this is the first Humayun Ahmed's Novel I have read! This book is beyond amazing. Love this so much
Was this review helpful to you?
or
এই গল্প এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প। এই গল্পের প্রধান চরিত্র রেনু। সে নিজেই তার পরিবারের সকল গল্পকথা বলে গেছে। অকপটে বলে গেছে তাদের দুঃখ-দৈন্যের কথা। রেনুদের পরিবারে আছে রেনুর বাবা, মা, ভাই রঞ্জু আর এক বোন। রেনুর বাবা একজন ব্যবসায়ী। রঞ্জুর ভাষায় একজন ভদ্র ফেরিওয়ালা। মাঝেমাঝেই ব্যবসায়ের কথা বলে তিনি উধাও হয়ে যান। কোন খোজঁ-খবর পাওয়া যায় না। আর তখন সংসার চালানোর সমস্ত ভার এসে পরে রঞ্জুর কাধেঁ। আবার এক/ দেড় মাস পর একাই এসে হাজির হন। হটাৎ একদিন বরিশাল যাওয়ার কথা বলে বের হন তিনি। তারপর থেকে আর কোথাও খুজেঁ পাওয়া যায় নি এই ভদ্রলোককে। রঞ্জু এই পরিবারের একমাত্র ছেলে। নিজের সকল সুখ-দুঃখ কষ্ট আড়াল করে রেখে সবাইকে হাসি-খুশি রাখতে চায়। তাই তো বাবা তাকে "ফানিম্যান" বলে ডাকতেন। এই ফানিম্যানের হাসির আড়ালে লুকিয়ে রাখে তার সকল কষ্ট, কোন কিছু না পাওয়ার বেদনা। মধ্যবিত্ত এই পরিবারের সকল সদস্যরাই প্রতিনিয়ত অভিনয় করে যায়। কষ্টে থেকেও তারা ভান করে সুখের। এই অভিনয় করেই এক সময় থামে জীবন গতি। এই টানাপোড়ন জীবনের সাধারণ এক গল্প হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন। সেই গল্প নিয়েই এই বই "আশাবরী"!