User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
kahini shundor
Was this review helpful to you?
or
ভাল বই।অবসর সময়ে টাইম পাস করার জন্য পার্ফেক্ট।
Was this review helpful to you?
or
??
Was this review helpful to you?
or
নবনী পড়ে দারুন একটা মুগ্ধতা পেলাম,যদিও হূমায়ন স্যারের বই সবসময় সেরা,কিন্তুু আমার তেমন একটা পড়া হতোনা,নবনী টা সেদিন পড়া শেষ করলাম যদিও শেষের দিকে খারাপ লেগেছে। তারপর ও অন্যরকম একটা মুগ্ধতা ছিলো বইটায়। সত্যিই হূমায়ন স্যারের মতো কথা সাহিত্যক বাংলায় আর আসবে কীনা জানিনা।? তারপর ও একটা জিনিস একটু অদ্ভুত লেগেছে, নবনীর যে সন্তান এতিম খনায় বড় হলো,তার ব্যাপারে অহনা কীভাবে জানলো সেই নবনীর কীভাবে হলো সেই বিষয়গুলো উল্লেখ থাকলে আরো ভালো লাগতো।
Was this review helpful to you?
or
নবনী বইটির গভীরতা অনেক❤️?
Was this review helpful to you?
or
খুব ই ভালো লেগেছে বই টি পড়ে, তবে নবনীর unexpected ending..... পাঠক হৃদয় কে আরো তৃষ্ণার্থ করেছে।
Was this review helpful to you?
or
onek shundor ekta boi
Was this review helpful to you?
or
একটি বই থাকার পরও আবার নতুন করে কাউকে দেওয়া শুধু মাত্রই বইটিরকে মনের ভাবের আদান-প্রদান হিসেবে
Was this review helpful to you?
or
শেষটায় এতো কষ্ট পেলাম?..... কিন্তু বইটি দারুণ মন খারাপের. তাই একবার হলেও সবার এই বইটি পড়া উচিত ??
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
khub bhalo ekti uponnash
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।ভালোবাসা,মানসিক যন্ত্রণা সব কিছুর সমন্বয়ে এই উপন্যাস।যা পাঠককে শেষ পর্যন্ত গল্পে ডুবিয়ে রাখবে।
Was this review helpful to you?
or
এভারেজ
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
Excellent Product
Was this review helpful to you?
or
Very nice
Was this review helpful to you?
or
পুরো গল্পের প্লটটা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অন্যান্য প্রেমের উপন্যাসের মতই। গল্পটা পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। তবে এত এত বানান ভুল আর টাইপিং মিসটেক যে পড়ার সময় খুব বিরক্ত লাগছিলো! আমি হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য বইও পড়েছি, কিন্তু এই বইয়ের মত বানান ভুল আমি আগে দেখিনি। প্রকাশক দ্রুত এই জিনিসগুলোর ঠিক করলে আমরা পাঠকরা উপকৃত হবো। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
Average
Was this review helpful to you?
or
Excellent Book
Was this review helpful to you?
or
NICE
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটি বই❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
নবনী আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদ এর একটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। বইয়ের একদম শেষ পৃষ্ঠায় না যাওয়া পর্যন্ত বোঝার উপায় নেই যে শেষে কি হতে পারে আর এটা এই বইয়ের সব থেকে ভালো লাগার বিষয় আমার কাছে। নবনীর বিয়ের আগের কিছু ঘনটা ছিলো যা তার জীবনে দারুণ প্রভাব ফেলে এবং এই ঘটনা গুলোর জন্য ভিতরে ভিতরে মুচড়ে ছিলো সে। উপন্যাস হলেও যেনো ছোট গল্পের মতো শেষ হয়েও হলো না শেষ।
Was this review helpful to you?
or
⭐⭐⭐
Was this review helpful to you?
or
osthir
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন
Was this review helpful to you?
or
Confused
Was this review helpful to you?
or
“নবনী”হুমায়ুন আহমেদের লেখা একটি উপন্যাস।গল্পটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকে নবনী। একদিন হঠাৎ করেই দেখে যে তার বাবা-মা অনেক খুশি এবং তাকে কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু পারছে না।তার ছোট বোন যানায় আজ তার বিয়ে।সবকিছুই তার কাছে কেমন যেন ঘোলাটে লাগছিলো কিন্তু তারপরও নিজেকে সে মানিয়ে নিলো।নোমান নামে যেই ছেলেটির সাথে তার কিছুদিন আগেই বিয়ে হলো নবনী তাকে হঠাৎই আপন করে ফেললো। নবনীর জীবনে একটা খুবই খারাপ অতীত আছে যার ফলে সে অনেক দিন মানসিক ভাবে অসুস্থ থাকে এবং বিয়ে ঠিক হয়েও ভেঙ্গে যাচ্ছিলো।সে চায়নি নোমান সেই অতীতের বিষয়ে জানুক। নবনীর জীবনে এমন কী অতীত ছিলো যা সে কখনোই বলতে চায়নি??গল্পটিতে এমন কিছু চরিত্র থাকে যা গল্পটিতে শেষ পর্যন্ত না থেকেও গুরুত্ব বহন করে।সফিক নামে একজন বন্ধু থাকে নোমানের । যার প্রশংসা করে নোমান বিন্দুমাত্র ক্লান্তবোধ করতো না।কিন্তু এমন কিছু হয় যার ফলে সফিকও আর তাকে বিশ্বাস করতে পারে না।শেষ পর্যন্ত নবনীর জীবনে কী হয় এবং নোমান কী জানতে পারে নবনীর অতীতের বিষয়ে??নবনীর সেই অতীত এবং শেষ পর্যন্ত গল্পটির কী পরিণতি হয় জানতে হলে সম্পূর্ণ গল্পটি পড়ুন।
Was this review helpful to you?
or
It's an amazing story
Was this review helpful to you?
or
this is one of my favorite books by humayun ahmed.The book is about a girl named noboni.She suddenly knows about her marriage with noman.Noman is a simple guy who admires noboni's beauty and likes her at first sight.The reason behind noboni's sudden marriage was her relationship with her professor who lived at her house as a tenant.They had shared many private and mysterious moments.When nobonis family knew about it,her father beat up the guy mercilessly and noboni couldn't do anything .Though she is happy with her husband she remembers those days and gets upset .So at the end it is a great book
Was this review helpful to you?
or
I love this book .
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই । সবার ই উচিত বইটি পড়া
Was this review helpful to you?
or
This is my favorite of all Humayun Ahmed that I have read. Jhochna o Jononir golpo is an exception. Noboni is a great wiring not only as a story but also it is a different novel considering Bengali Novels of that time. The story flows to unpredictable plots and empowers readers more to follow & engage. I read Noboni when I was very young and since then, I have not read such a great women centric novel in Bengali till now! © Umama Nowrose Ittela
Was this review helpful to you?
or
মেয়েটা জানতোইনা তার একটা বাচ্চা আছে। সে কখন, কিভাবে বাচ্চাটি জন্ম দিয়েছে, বা বাচ্চাটি কোথায়, কি অবস্থায় আছে সে এসবের কিছুই জানতোনা। একজনকে ভালোবেসেছিল। স্বপ্ন দেখেছিল তাকে নিয়ে৷ সেই ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিল। সে কতদিন পাগল ছিল, বা কতদিন চিকিৎসাধীন ছিল সে এসবের কিছুই জানতোনা। সে জানতোনা সেই সময়ের ঘটে যাওয়ার কোন ঘটনার কথা।।। সুস্থ হওয়ার পর অনেক চেষ্টার পর তাকে অন্য একজনের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েটা নতুন করে ভালোবাসে নতুন একজন মানুষকে। ঠিক যেমনটি ভালোবেসেছিলো অনেক কাল আগে অন্য একজনকে।
Was this review helpful to you?
or
স্যার হুমায়ূন আহমেদ এর প্রতিটা লেখাই যেন শেষ হয়েও শেষ হয় না। পাঠকের মনে এক গভীর অনুভূতি সৃষ্টি হয় । ঠিক তেমনি নবনী উপন্যাসটিও একই রকম শেষ হয়েও শেষ হয় না। বাস্তবতার চিত্রও ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছেএই উপন্যাসটিতে। সব মিলিয়ে নবনী- উপন্যাস পাঠককে ঘোরে নিয়ে যেতে বাধ্য ।
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
In one word ..... it's awesome
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের একটি বিখ্যাত উপন্যাস এটি।প্রেম জিনিসটার ক্ষমতা কত তা বুঝতে পারা যাবে এই উপন্যাসের মাধ্যমে।এবং একবার ভালবাসার পর আবার ও যে ভালবাসা যায় তাও বলা আছে।আরো আছে একটি ছেলেকে ভালোবাসার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কাহিনী।এবং সেই শোকে একটি মেয়ের পাগল প্রায় হয়ে যাওয়ার কাহিনী।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের হিমু মিসির আলীর বাইরেও যে একটা স্বতন্ত্র ভালোবাসার জায়গা আছে তার বহিঃপ্রকাশ হলো নবনী ও কুটু মিয়া। বইটির মলাট দেখে ভেবেছিলাম আশাহত হতে হবে। কিন্তু এক বসাতে পড়ে শেষ করেছিলাম এটা। অসাধাররণ এর অসাধারণ লেগেছে। ধন্যবাদ রকমারি
Was this review helpful to you?
or
I picked this book up mainly because my name is also Nabony. When I first read the book, I was horrified that the Nabony in this book had to go through such terrible experiences. Reading it again made me realize what the author wanted to convey here. It is a book about choices- failed or made. It is a book about misconceptions, misunderstandings, and mistrust. The open ending leaves the reader to speculate about what things might happen, what things could have happened. But in the end, this reminds us that we need to remember: ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না.
Was this review helpful to you?
or
আমি কি এতক্ষণ বই পড়ছিলাম নাকি ঘন্টাখানেক ধরে নবনীর কষ্টগুলো অনুভব করছিলাম ঠিক বুঝতে পারছি না৷ এরকম অনুভূতি সবসময় হয় না আরেকবার হয়েছিলো যেদিন "শঙ্খনীল কারাগার " পড়েছিলাম। নবনীর কষ্টে পুরো উপন্যাস জর্জরিত , তবুও কি অসামান্য সহ্য ক্ষমতা। গল্পের শেষে লেখক খুব সুন্দর স্টার মার্ক দিয়ে লিখে দিয়েছে ★নবনীর প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক! সত্যিই কি প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক? মুগ্ধতাঃ ★মানুষের চরিত্রের একটা অংশ উদ্ভিদের মত। উদ্ভিদ যেমন মাটিতে শিকড় ছেড়ে দেয়, মানুষও তাই করে। কিছু দিন কোথাও থাকা মানে সেখানে শিকড় বসিয়ে দেয়া। মাটি যদি চেনা হয় আর নরম হয়, তাহলেতো কথাই নেই। ★নোমান কি আসছে? সে যদি আসে তাহলে তাকে একটা কথা বলে যেতে চাই। কথাগুলি বলার মত শক্তি আমার থাকবেতো? আমি বলব, এই দেখ আমি মরে যাচ্ছি। যে মানুষ মরে যাচ্ছে তাঁর উপর কোন রাগ কোন ঘেন্না থাকা উচিত না। আমি অনেককাল আগে একটা মানুষকে যে ভাবে ভালবেসেছিলাম তোমাকেও ঠিক সেই ভাবেই ভালবেসেছি। ভালবাসার দাবী আছে। সেই দাবী খুব কঠিন দাবী। ভালবাসার সে দাবী নিয়ে তোমার কাছে হাত জোড় করছি। আমার একটা মেয়ে আছে। কোন একটা এতিমখানায় বড় হচ্ছে। তুমি কি ওকে তোমার কাছে এনে রাখবে? প্রথম হয়ত তাকে ভালবাসতে পারবে না। কিছুদিন পর অবশ্যই পারবে। ও তো আমারই একটা অংশও। আমিতো তোমাকে ভালবেসেছি। এক খন্ড বিশাল মেঘ চাঁদটাকে ডেকে দিয়েছে। চাঁদের আলো এখন আর চোখে লাগছে না। চারদিক কি সুন্দর লাগছে। কি অসহ্য সুন্দর । হতাশ, গ্লানি, দুঃখ ও বঞ্চনার পৃথিবীকে এত সুন্দর করে বানানোর কি প্রয়োজন ছিলে কে জানে ???
Was this review helpful to you?
or
Nobobi boi ti sotti ekti oshadharon ekti boi. First e mone korsilm maybe boi ta temon valo na. But pore jokhon aste aste pora start korlm tokhon onek valo lagte suru korle. Sbar e ei boi ti pora uchit ..
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "নবনী" লেখক হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ বই মন ছুঁয়েছে তার মধ্যে এটি একটি। "আদর্শ মানুষ ডিসটিল্ড ওয়াটারের মত - স্বাদহীন। সমাজ পছন্দ করে অনাদর্শ মানুষকে।যারা ডিসটিল্ড ওয়াটার নয়- কোকা কোলা ও পেপসির মত মিষ্টি কিন্তু ঝাঁঝালো" এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ একটি বই। বাস্তবতার সাথে অনেক মিল আছে।
Was this review helpful to you?
or
পছন্দের বই।নবনীর চ্যাংড়া হুজুরের জন্য খুব কষ্ট হয়।নবনীর প্রথম প্রেম, যাকে তার পরিবার মেরে ফেলে,,মৃত্যুর আগে সে নবনীর নাম মুখে নিয়ে কাতড়াতে থাকে। গল্পে আছে রহস্যময়ী অহনা,কালো রঙের অপূর্ব সুন্দরী নারী।তার প্রতি মানুষ সহজেই আকৃষ্ট হয়,,হয়েছিলো নবনীর স্বামী নোমানও। প্রেম,ভালোবাসা,হাহাকার মিলিয়ে অসাধারণ একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
It's a romantic novel from honourable sir Humayun Ahmed. A very tragically romantic novel. Actually sir writes novel of life. But he also written a number novels related love. His simple way to describe the ways of life charms every reader. I loved this novel. Its also described the problems that faces the lovers. Nice one indeed. Happy reading!
Was this review helpful to you?
or
না পাওয়ার তীব্র জ্বালা আর আশা ভঙ্গের সাতকাহনই হলো হুমায়ূন আহমেদের নবনী। সাধারণ একজন মেয়ের ঘটনাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের হৃদয়স্পর্শী করে লিখেছেন হুমায়ূন। নবনী পড়ে যেকেউ মন খারাপ করে ফেলবে। ভাববে এমন কেন হলো৷ এমনটি তো নাও হতো পারতো। রোমান্টিক উপন্যাস হিসেবে মাস্টরিড৷
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়লে যে কোনো মানুষ হুমায়ূন আহমেদ এর প্রশংসা করতে বাধ্য। খুব সুন্দর একটি গল্প। আমার মতে হুমায়ূন আহমেদ এর একটি শ্রেষ্ঠ উপন্যাস "নবনী"।
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র নবনী। নবনীর বিয়ে নিয়ে বাড়ির সবাই খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। নবনীর একটি নির্মম অতীত রয়েছে যার কারনে তার বিয়ে হচ্ছে না।।পাত্র পক্ষ এসে নবনীকে দেখে যায় কিন্তু চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেয় পাত্র এখন বিয়ে করতে চাচ্ছে না। এভাবে নবনীর অনেক বিয়ে ভেঙে যায়। হঠাৎ একদিন দুপুরবেলা মায়ের ডাকে নবনীর ঘুম ভাঙে।ঘুম ভাঙার পর জানতে পারে আজ তার বিয়ে স্বভাবতই অবাক হওয়ার কথা কিন্তু সে অবাক হচ্ছে না। নবনীর বাবা,মা,ছোট বোন ইরা সবাই খুব খুশি। নবনীর বড় মামা বিয়ে ঠিক করেছেন। তিনি খুব গোছানো স্বভাবের মানুষ। এবার তিনি ঢাকার পাত্র ঠিক করেছেন। চিঠি মারফত জানিয়েছেন নবনীর বিয়ের কথা যেনো গোপন করা হয়।।তার উদ্দেশ্য ছিলো লোক জানাজানির আগে রাতে এসে বিয়ে পড়িয়ে ভোরের ট্রেনে ঢাকা পাঠিয়ে দেওয়া। শেষ পর্যন্ত নবনীর মায়ের কারনে তার বিয়ে ধুমধাম ভাবেই হয়। নবনীর বর নোমান অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ হলেও নবনীর তাকে ভালো লাগে। বিয়ের পরদিন নবনী তার বরের সাথে ঢাকা চলে আসে। সেখানেই নবনী তার ছোট্ট সংসার শুরু করে। এই উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো নবনীর কলেজের ইতিহাসের শিক্ষক।।তিনি ছোটবেলায় এতিমখানায় মানুষ হয়েছেন। মাদ্রাসা লাইনে কলেজ পাশ করে স্কলারশিপ নিয়ে ভারতের আলিগড় ইউনিভার্সিটি থেকে এম.এ পাস করেন।তিনি নবনীদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।। প্রথম জীবনে নবনী এই শিক্ষকের প্রেমে পড়ে। স্যারকে কে পরিচয় গোপন করে চিঠি পাঠায় কিন্তু সে ধরে ফেলেন। স্যার চেষ্টা করেন এড়িয়ে যেতে। একদিন সেই স্যার এসে নবনীর বাবাকে বলে যে সে নবনীকে বিয়ে করতে চায়। নবনীকে তার পছন্দ, এবং সেও তাকে পছন্দ করে। একথা শুনে ওর বাবা প্রচন্ড রেগে যায়। স্যার এর জিনিসপত্র রাস্তায় ফেলে দেয়। লোকজন জমে যায়। এলাকার লোকজন তাকে নির্মম ভাবে মারধোর করে। তখন তিনি নবনী নবনী বলে কাতরাচ্ছিলেন। নেত্রকোনা হাসপাতাল থেকে জবাব দিয়ে দিলে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায়। এই ঘটনায় নবনী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। তখন নবনীর বড় মামা তাকে ঢাকায় রেখে চিকিৎসা করায়।যতদিন না সে সুস্থ হয় ততদিন পর্যন্ত কাওকে বাসার ঠিকানাও দেন নি যাতে লোক জানাজানি না হয়ে যায়।। নবনী জানতো এটাই তার জীবনের ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু সে কি ঘূর্নাক্ষরেও জানতো যে তার জীবনে এর চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা ছিল? উপন্যাসের শেষের দিকে এসে নবনী সেটা জানতে পারে। কিন্তু কি সেই ভয়াবহ ঘটনা?! নবনীর জীবনের সেই ভয়াবহ ঘটনাটিতে জানতে হলে উপন্যাস টি পড়তে হবে। ব্যক্তিগত অভিমত: উপন্যাসটি যতক্ষন পড়েছি শুধু মুগ্ধ হয়েছি।অত্যন্ত সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপন্যাসটিকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
কি সুন্দর ব্যবসা! লেখকের মৃত্যুকে পুঁজি করে কি লাভ টাই প্রকাশক করছে। সাবাশ! এইজন্যই বাংলাদেশী প্রকাশকদের বই কিনে শান্তি পাওয়া যায় না। ভারতীয়রা যেখানে বই পড়ুয়া জাতি গঠনের জন্য স্বল্প মূল্যে শ্রেষ্ঠ বাঁধাইয়ের বই বের করে যাতে কোন পাঠককে মূল্যের জন্য বই কেনা থেকে বিরত না থেকে সেখানে এদেশের প্রকাশকরা মৃত ব্যক্তিকে পুঁজি করেও লাভ করতে পিছপা হয় না। আপনাদের কে অভিনন্দন। জাতির বই পড়ার মানসিকতাকে আপনারা সুনিপুণ ভাবে হত্যা করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মে বইয়ের নাম:নবনী লেখক:হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক:সময় প্রকাশন ধরন:প্রেমের উপন্যাস কভারটা দেখে রীতিমত অবাক হলাম! হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস 'নবনী'!! এমন লাগলো যেন মফস্বলের কোনো নাম না জানা লেখকের প্রথম উপন্যাস।এবং বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করা।কোন লেখকের প্রথম বইয়ের বিজ্ঞাপন এমন হওয়াটা স্বাভাবিক। হুমায়ূন আহমেদ তো প্রেমহীন কোনো উপন্যাস লেখেননি! লেখার প্রতি তার চিরকালের প্রেম!মোটাদাগে প্রেমের উপন্যাস বলার কারন কি?একবার,দুইবার,তিনবার, সর্বমোট এগারবার পড়লাম।কোন বই পড়লে বিশ্লেষণ! করাটা আমার অভ্যাসের কাছাকাছি। নবনী একটা সত্য উপন্যাস।হিমুর মতো কল্পিত কিছু নেই এতে।হাজারো নারীর এক অপরূপ আখ্যান এতে।জাদুকরী লেখা নিয়ে কিছু বলার নেই।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাঙলা সাহিত্যে প্রবাদপুরুষ হুমায়ূন আহমেদ।লেখক উপন্যাসটি শুরু করেছেন নাটকীয়তা দিয়ে।কোন মেয়েকে যদি ঘুম থেকে তুলে বলা হয়, খুকি তোমার বিয়ে!তখন খুকির মনের অবস্থা কি হবে সেটা অকল্পনীয়।আমাদের সময়ে কোন খুকিকে এধরনের কথা বললে সে নিশ্চিত অবাক হওয়ার বদলে কান্না করবে এবং এটা বললেও অবাক হব না ,আমার জন্য অমুক রোমিও অপেক্ষা করছে।অথবা বাঙলা চলচ্চিত্রের ডায়লগ দিয়ে বলতে পারে, বাবা এ বিয়ে আমি করতে পারব না।তখন বাবা বলবেন,আমার মুখের ওপর কথা! কিন্তু নবনী উপন্যাসে এধরনের কিছু ঘটেনি।উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে বাস্তবতা।উপন্যাাটির প্রধান চরিত্র নবনী।নবনী নামের এই মেয়ের জীবনে যে বিষাদময় ঘটনা ঘটেছে তার একটা ক্ষুদ্র বিশ্লেষণ এই উপন্যাসটি।উপন্যাসটি শুরু হয়েছে এভাবে-দুপুরবেলা মায়ের ডাকে নবনীর ঘুম ভাঙ্গে।ঘুম ভাঙ্গার পর সে জানতে পারে আজ তার বিয়ে। হুট করে কেউ যদি জানে আজ তার বিয়ে তাহলে বিচলিত হওয়ার কথা। কিন্তু নবনী হচ্ছেনা। আসলে তার কোনও রকম অনুভূতিই হচ্ছেনা। নবনীর বিয়েটা হয় মামার ইচ্ছাতেই।নবনীর পরিবারের জন্য মামা অতিগুরুত্বপূর্ণ একজন।কিছু মানুষ জন্ম নেয় দায়িত্ব পালন করার জন্য।নবনীর মামা সেধরনের মানুষ।এই মানুষটি নবনীদেরকে প্রচন্ডরকমের ভালবাসেন।নবনীরা যেদিন জানতে পারে বিয়ে,সেদিনই নবনীর বিয়ে হয়ে যায়।বিয়ের পরদিন নবনী স্বামীর সাথে ঢাকায় চলে আসে।নবনীর স্বামী নোমান খুবই ভালো, সহজ, সরল একজন মানুষ।এই মানুষটার প্রথম প্রেমই তারস্ত্রী নবনী। স্ত্রীর প্রতি তার ভালোবাসা দৃশ্যমান। ঢাকায় এসে নবনীর পরিচয় হয় বিরাট ধনবান সফিক ও তার স্ত্রী অহনার সাথে।উপন্যাসে অহনার চরিত্রটি জটিলতায় পরিপূর্ণ।উপন্যাসটিতে আমরা জানতে পারব আহনার প্রকৃত নাম জাহেদা।এই উপন্যাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো নবনীর ইতিহাসের টিচার। তিনি ছোটবেলায় এতিমখানায় মানুষ হয়েছেন। আলীগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যিনি এম,এ করেন।এই মানুষটিই নবনীর প্রথম ভাললাগা,প্রথম প্রেম।যে কিনা নবনীদের বাড়িতে ভাড়া থাকত।এই মানুষটির মৃত্যুতে নবনী ভেঙে পড়ে।তারপর বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে উপন্যাসটি এগিয়ে চলে।উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নবনী।এছাড়াও নবনীর বোন ইরা,ভাই অন্তু অপ্রধান চরিত্র হিসেবে উপন্যাসটিতে ফুটে উঠবে। "নবনী"হুমায়ূন আহমেদের একটি অতি চমৎকার রোমান্টিক উপন্যাস। আমার দৃষ্টিতে তাঁর লেখা অন্যতম সেরা রোমান্টিক উপন্যাস এটি।পাঠক এটি পড়লে একই সাথে বিষাদ ও প্রেমের জবানিকা টানতে পারবেন বলে বিশ্বাস।তো,আজই সংগ্রহ করুন উন্যাস "নবনী"।
Was this review helpful to you?
or
কিছু গল্প আছে যার ধারা পাঠককে বইয়ের ভেতর টেনে নিয়ে যায়। যে বইটি সম্পর্কে বলতে চলছি তা এমনি একটি গল্প যার ধারা আপনাকে মোহিত করবে। হৃদয়ের কোণে লুকিয়ে থাকা মুক্ত সত্তাকে নাড়া দেবে, নিঃশব্দে বলে যাবে অনেক কিছু ।
Was this review helpful to you?
or
great book
Was this review helpful to you?
or
এক মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প নিয়ে তৈরী "নবনী" উপন্যাসের কাহিনী। সেই পরিবারের বড় মেয়ে নবনী আর ছোট মেয়ে ইরা। একদিন দুপুরে মা ঘুম থেকে ডেকে তুলে নবনীকে। ঘুম থেকে তুলে বলে, রাতে নবনীর বিয়ে। কিন্তু এই বিয়ে নিয়ে তার কোন চিন্তা বা মাথা ব্যাথা নেই। কারণ এর আগেও নবনীর একবার বিয়ে ঠিক হয়েছিল আবার সেই বিয়ে ভেঙেও যায়। কিন্তু ছোট বোন ইরার কাছ থেকে জানতে পারে, তাদের বড় মামা এবার যেকোনভাবেই হোক নবনীকে বিয়ে দিবে। কেউ যেন বিয়ের কথা জানতে না পারে তাই বড় মামা কাউকে জানাতে বারণ দিয়েছেন। কিন্তু নবনীর মায়ের এতে প্রবল আপত্তি। বাড়ির বড় মেয়ের বিয়ে বলে কথা! তাই ব্যান্ড পার্টি এনে বেশ ধুমধামের সাথেই বিয়ে হয় নোমানের সাথে। হ্যাঁ নবনীর সাথে যার বিয়ে হয় তার নাম নোমান। খুব সহজ-সরল সাধারণ একজন ছেলে। নোমানের জীবনের প্রথম প্রেম নবনী হলেও নবনীর জীবনে এর আগেও একটা প্রেম ছিলো। নবনীর ইতিহাস টিচার। তখন নবনী ইইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রী। নবনীর সেই টিচার মাদ্রাসা লাইন থেকে পড়াশোনা করে আলীগড় ইউনিভার্সিটি থেকে এম,এ পাশ করে এখন ইতিহাসের টিচার। এতিমখানায় বড় হয়েছেন তিনি। নবনীদের কলেজে যোগদানের পর নবনীদের বাসায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন স্যার। নবনী স্যারকে মাঝেমাঝে ছাদ থেকে লুকিয়ে দেখত। আবার মাঝেমাঝে নবনীর মা তার হাতে তরকারির বাটি হাতে ধরিয়ে দিয়ে স্যারকে দিয়ে আসতে বলতেন। এভাবে চলতে চলতেই একদিন স্যার এসে নবনীর বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে জানায় সে নবনীকে পচ্ছন্দ করে আবার নবনীও তাকে পচ্ছন্দ করে। কিন্তু নবনীর বাবা সেই প্রস্তাবে রাজি না। এরপর ঘটে যায় অদ্ভূত কিছু কাহিনী। বেশ কিছুদিন নবনীকে হাসপাতালে থাকতে হয়। কিন্তু কেন? কি এমন ঘটনা হয় যার কারণে তার বিয়েটাও সবার অগোচরে দিতে চায় বড় মামা?
Was this review helpful to you?
or
বই-নবনী লেখক-হুমায়ূনআহমেদ ধরন-রোমান্টিক/মধ্যবিত্ত_জীবন পৃষ্ঠা-১০৯ প্রকাশনী- অন্যপ্রকাশ মূল্য-১৫৪(ছাড়ে)৳ কাহিনী- এক দুপুরে হঠাৎ নবনীর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়, একদম অকস্মাৎ! দুপুরে ঘুম থেকে উঠে সে জানতে পারে রাত ১২ টায় তার বিয়ে। কিন্তু নির্বিকার সে, বিয়ে ঠিক হয়ে ভেঙ্গে যাওয়া এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল থাকে, । বড়মামার মাধ্যমে এই ঠিক হওয়া বিয়ে খুব সাধারণ ভাবে নীরবে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষমেশ বেশ ব্যান্ড বাজিয়ে বিয়েটা হয়। নোমানের সাথে, খুব সাধারণ এক ছেলে। নবনীর এক ইতিহাস ছিল, যার কারণে তার বিয়ে বারংবার ভেঙ্গে যেত। নবনীর ইতিহাস টিচার, নবনীর প্রথম জীবনের প্রেম। তিনি এতিমখানায় মানুষ হয়েছেন। মাদ্রাসা লাইনে কলেজ পাশ করে আলীগড় ইউনিভার্সিটি থেকে এম এ পাস করেন, ভাড়া থাকতেন নবনীদের বাসাতেই। একদিন সেই স্যার এসে নবনীর বাবাকে বলে যে সে নবনীকে বিয়ে করতে চায়।সে এটাও জানায় যে নবনীকে তার পছন্দ আএ খোদ নবনীও তাকে পছন্দ করে। এরপর ঘটনা নাটকীয় মোড়। বেশ কিছুকাল নবনীকে হাসপাতালে থাকা লাগে। এটাই নবনীর জীবনের ভয়াবহ ইতিহাস, আসলেই এটা কি ? নাকি সামনে আছে আরো কোন ট্রাজেডি? পাঠ_প্রতিক্রিয়া- হুমায়ুন আহমদের প্রতিটা গল্পই মধ্যবিত্ত কেন্দ্রিক, এটিও ব্যাতিক্রম না। ভালো লেগেছে। তবে কাল্পনিক হলেও এ ধরণের ঘটনা অহরহ আমাদের চারপাশে হয়ত ঘটে, নবনীর জন্য কষ্ট হবে! কিছু অংশ কল্পনা করে নিতে হয় , এই গল্পের শেষ আমি কল্পনা করে নিলাম, সুস্থভাবে আছে নবনী ও তার সন্তানেরা! রেটিংঃ ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই- নবনী। লেখক- হুমায়ূন আহমেদ। ধরন- রোমান্টিক। পৃষ্ঠা- ১০৯। প্রকাশনী- অন্যপ্রকাশ। প্রধান চরিত্র- নবনী, নোমান, ইরা, সফিক, অহনা, মৌলানা স্যার(সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র)। মফস্বলের এক সাধারন মেয়ে নবনী। তারা দুই বোন। গল্পের শুরু নবনীর বিয়ের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে। বেশ আচমকাই তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। বিয়ের সমস্ত বন্দোবস্ত করেন নবনীর বড়মামা যারওপর নবনীরা অনেকখানি নির্ভরশীল। নবনীর বিয়ে নিয়ে বেশ সমস্যা হচ্ছিলো কারন তার একটা বেদনাময় অতীত রয়েছে। কিন্তু নবনীর মামার একান্ত চেষ্টায় অবশেষে তার বিয়ে হয়। নবনীর স্বামী নোমান ঢাকায় তারই বন্ধুর কোম্পানীতে চাকরি করেন। বিয়ের পর নবনী ঢাকায় তার স্বামীর সংসারে চলে যায় এবং সংসারটাকে নিজের করে নেয়। নবনীর স্বামী নোমান খুবই ভালো, সহয, সরল একজন মানুষ। এই মানুষটার প্রথম প্রেমই তার স্ত্রী নবনী। স্ত্রীর প্রতি তার ভালোবাসা দৃশ্যমান। নোমানের বন্ধু শফিক খুব ধনী ব্যবসায়ী। তার সিনেমা বানানোর শখ আছে। তার সিনেমাতে মূলত তারই স্ত্রী অহনা অভিনয় করে থাকে। অহনা কালো মেয়ে তবে তা যেনো তার সৌর্ন্দয্য কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অহনার আচরন বেশ রহস্যময়। সে শফিককে মাঝেমাঝেই বেশ কষ্ট দেয়। হুট করে শফিককে না বলে গায়েব হয়ে যায়। আবার নিজের মর্জি হলে ফিরে আসে। তাদের সাথে মেশার পর অহনার ব্যাপারে সামান্য ধারনা নবনীর হয়। সে বুঝতে পারে তার সহয সরল স্বামীর মূলত নির্দিষ্ট কোনো পোষ্ট নেই। এরা তাকে দিয়ে ফাই ফরমাশ খাটায়। নোমান এতোই সোজা মানুষ যে তা বোঝার সাধ্য তার নেই। রহস্যময় অহনার কিছু আচরনের প্রতীয়মান মনে হয় যে নবনীর সাথে নোমানের বিয়েতে সে খুশি না। হয়তো নোমানের প্রতি তার দুর্বলতা ছিলো। কিন্তু তারপরও সে শফিককে বিয়ে করলো কেনো? কেনো সে নবনীকে ইচ্ছা করে আঘাতমূলক কথা বলতে লাগলো? কিভাবে সে জেনে গেলো নবনীর একটি অন্ধকারে ঢাকা অতীত? এবারে নবনীর অতীত প্রসঙ্গে সামান্য কথা বলা উচিত। ইন্টারমিডিয়েটে থাকাকালীন নবনীদের কলেজে এক নতুন শিক্ষক আসেন ইতিহাস পড়াতে। নবনীরা তার একটা ইন্টারেষ্টিং নাম রাখে যা আপনারা বই পড়ে জেনে নেবেন। ঘটনাক্রমে এই নতুন শিক্ষক নবনীদের বাড়িতেই বাসাভাড়া করে আশ্রয় নেন। খুবই ধার্মিক এই মানুষটা যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে চান নবনীকে। ধর্মের প্রতি আনুগত্য ও নবনীর স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখিয়েই এই এড়িয়ে চলা। কিন্তু তার এই এড়িয়ে চলা নবনীর মনে ক্ষোভ তৈরী করে। ক্ষোভ থেকে নবনী মাঝেমাঝেই তার সাথে কঠোর আচরন করে। কিন্তু সে নিজেও বুঝতে পারেনা কেনো তার শিক্ষকের সাথে সে এমন কঠোর আচরন করে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে নবনী বুঝতে পারে সে তার শিক্ষকের প্রেমে পড়ে গেছে। এই প্রেমের পরিণতি হয় অত্যন্ত করুণ যা পড়ার সময় চোখে পানি চলে আসবে। আর সেই পরিণতিরই সুযোগ নেয় অহনা। শেষ পর্যন্ত কি হয় নবনীর? অত্যন্ত মনকাড়া প্রেমের উপন্যাস। যাদের প্রেমের উপন্যাসে এলার্জি আছে তারাও এই বই পড়ে চোখ মুছতে বাধ্য হবেন। লেখাও এতো গোছালো যে লেখক নিজেই ধীরে ধীরে পাঠকের অনুভূতির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে ফেলেন। প্রশংসা সত্যিই কম হয়ে যায়। বইটার আরেকটা ভালো লাগার চরিত্র হচ্ছে নবনীর ছোট বোন ইরা। এই চরিত্রটার প্রতি ছেলেপাঠকদের আলাদা একটা দুর্বলতা তৈরী হবে। এই উপন্যাস পড়ার সময় নিজের অজান্তেই মনের মধ্যে একটা করুণ সুর বেজে উঠবে পাঠকের। একটা হাহাকার, শুন্যতা সৃষ্টি হবে মনে। রিভিউ শেষ করছি বইটার অত্যন্ত অসাধারন একটি উক্তি দিয়ে। “আর্দশ মানুষকে কেউ পছন্দ করেনা। আর্দশ মানুষ ডিসটিল্ড ওয়াটারের মতো -স্বাদহীন। সমাজ পছন্দ করে অনার্দশ মানুষকে। যারা ডিসটিল্ড ওয়াটার নয় –কোকাকোলা ও পেপসির মতো মিষ্টি কিন্তু ঝাঝালো”। রেটিং- ৪.৯০/৫.০০
Was this review helpful to you?
or
amr priyo boi
Was this review helpful to you?
or
চাঁদটা মনে হয় আকাশ থেকে নেমে আসছে। কি তীব্র তাঁর আলো? চাঁদের আলোয় কাকটার একটা দীর্ঘ ছায়া পড়েছে। রক্তে আমার শাড়ি ভিজে যাচ্ছে। এত রক্ত মানুষের শরীরে থাকে? পায়ের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের পায়ের শব্দ। নোমান কি আসছে? সে যদি আসে তাহলে তাকে একটা কথা বলে যেতে চাই। কথাগুলি বলার মত শক্তি আমার থাকবেতো? আমি বলব, এই দেখ আমি মরে যাচ্ছি। যে মানুষ মরে যাচ্ছে তাঁর উপর কোন রাগ কোন ঘেন্না থাকা উচিত না। আমি অনেককাল আগে একটা মানুষকে যে ভাবে ভালবেসেছিলাম তোমাকেও ঠিক সেই ভাবেই ভালবেসেছি। ভালবাসার দাবী আছে। সেই দাবী খুব কঠিন দাবী। ভালবাসার সে দাবী নিয়ে তোমার কাছে হাত জোড় করছি। আমার একটা মেয়ে আছে। কোন একটা এতিমখানায় বড় হচ্ছে। তুমি কি ওকে তোমার কাছে এনে রাখবে? প্রথম হয়ত তাকে ভালবাসতে পারবে না। কিছুদিন পর অবশ্যই পারবে। ও তো আমারই একটা অংশও। আমিতো তোমাকে ভালবেসেছি। এক খন্ড বিশাল মেঘ চাঁদটাকে ডেকে দিয়েছে। চাঁদের আলো এখন আর চোখে লাগছে না। চারদিক কি সুন্দর লাগছে। কি অসহ্য সুন্দর । হতাশ, গ্লানি, দুঃখ ও বঞ্চনার পৃথিবীকে এত সুন্দর করে বানানোর কি প্রয়োজন ছিলে কে জানে ???
Was this review helpful to you?
or
বইঃ নবনী লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ "চাঁদটা মনে হয় আকাশ থেকে নেমে আসছে। কি তীব্র তাঁর আলো? চাঁদের আলোয় কাকটার একটা দীর্ঘ ছায়া পড়েছে। রক্তে আমার শাড়ি ভিজে যাচ্ছে। এত রক্ত মানুষের শরীরে থাকে? পায়ের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের পায়ের শব্দ। নোমান কি আসছে? সে যদি আসে তাহলে তাকে একটা কথা বলে যেতে চাই। কথাগুলি বলার মত শক্তি আমার থাকবেতো? আমি বলব, এই দেখ আমি মরে যাচ্ছি। যে মানুষ মরে যাচ্ছে তাঁর উপর কোন রাগ কোন ঘেন্না থাকা উচিত না। আমি অনেককাল আগে একটা মানুষকে যে ভাবে ভালবেসেছিলাম তোমাকেও ঠিক সেই ভাবেই ভালবেসেছি। ভালবাসার দাবী আছে। সেই দাবী খুব কঠিন দাবী। ভালবাসার সে দাবী নিয়ে তোমার কাছে হাত জোড় করছি।" আলোচনাঃ আচ্ছা হুমায়ুন আহমেদ কি প্রেমহীন কোন উপন্যাস লিখেছেন? তার প্রতিটা বইয়ের মধ্যেই তো প্রেম,ভালোবাসা রয়েছে তাহলে এই বইটার কভারে মোটা কালি দিয়ে কেন লিখেছেন 'হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস'? এই লেখাটা পড়েই বইটার প্রতি কৌতূহল জাগলো এবং পড়া শুরু করলাম। কাহিনি সংক্ষেপঃ উপন্যাসের মূল চরিএ নবনী সে একটা গল্পের বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছিল যখন উঠল তখন তার এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হলো মা তাকে হাত ধরে খাট থেকে নামালেন যেন একটি বাচ্চা মেয়ে বাবাও তার সাথে মধুর আচরন করলেন। তার পরিবারের সবার চোখেমুখে একটা আনন্দের রেশ বয়ে যাচ্ছে ঘরে কেমন যেন উৎসব উৎসব ভাব। প্রথমে সে কিছুই বুঝতে পারে না কিসের জন্যে সবার চোখেমুখে আনন্দ,কিসের জন্যে ঘরে উৎসব ভাব। এরিমধ্যে ছোটবোন ইরা এসে তাকে জানায় আজ রাতে তার বিয়ে। কিন্তু বিয়ের কথা শুনে নবনীর মধ্যে কোন ভাবান্তর দেখা যায় না কারন এরোকম অনেকবার তার বিয়ে ঠিক হয়ে ভেঙে গেছে। তার রয়েছে একটা ভয়ংকর অতীত যার কারনে তার বিয়ে ঠিক হলেও বিয়ে সম্পূর্ণ হয় না। এজন্যে তার পরিবারও আজকে নবনীর বিয়েতে কাউকে না জানিয়ে ঘরে পরিবার নিয়েই বিয়েরকাজ সম্পূর্ণ করতে চায়। সবার মধ্যেই উৎকন্ঠা আজকের নবনীর বিয়ে কি হবে? রাতে সবার ভাবনাচিন্তা পেছনে ফেলে বিয়েটা সম্পূর্ণ হয়। চুপ চাপ বিয়েটা হওয়ার কথা হলেও মহাধুমধামে বিয়েটা হয়। নবনীর সদ্য বিবাহিত স্বামী নোমানকে বাসররাতেই তার পছন্দ হয়ে যায়। নবনী ঠিক করে তার ভয়ংকর অতীত আজ রাজই তার স্বামী নোমানকে জানাবে কিন্তু রাতে জানাতে পারে না এবং পরেরদিন সকালেই তারা ট্রেনে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় ছোট একটা ঘর। ঘরে প্রানী মাএ তিনজন নবনী তার স্বামী নোমান আর একটা ময়না পাখি। নোমান তার বন্ধুর অফিসে একটা ছোট চাকরি করে নবনী সারাদিন বাসায় একাই থাকে। নোমানের মুখে সব সময় বন্ধু রফিক সাহেব এবং তার স্ত্রী অহনাকে নিয়েই যত কথা। নবনীর ছোট সংসার খুব ভালই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে নোমানের বন্ধুর স্ত্রী অহনা নোমানকে নবনীর ভয়ংকর অতীত বলে দেয় এটা শুনে কি নোমান নবনীকে রেখে চলে যায়? কি এমন অতীত যার কারনে নোমান অবনীকে ছেড়ে চলে যাবে? বইটা পড়ুন সব উত্তর পেয়ে যাবেন। মতামতঃ বইটি পড়ে একটি গভীর বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে গেছি কোথায় যেন হাহাকার। হুমায়ুন আহমেদ দিয়েছেন কতগুলো বাস্তব চরিএ। বুঝিয়েছেন সত্যিকার ভালোবাসায় আনন্দর চেয়ে বিষাদ বেশি। রফিক সাহেবের জন্যে খারাপ লেগেছে সে তার স্ত্রীর সাথে অতীতে কিছু করেছে যার কারনে স্ত্রীর কাছে একটা ঘৃণার পাএ হযেছেন। অহনা আর নোমানের সম্পর্কটা রহস্য রয়ে গেছে আমি বুঝতে পারিনাই তাদের সম্পর্ক কি ছিল। নবনীর মামার চরিএটা ভালো লেগেছে। ইরা চরিএটা অতটা গুরুত্বপূর্ণ বহন করে নাই। উপন্যাসটি পড়ার পড়ে মনে হলো শেষ হয়েও শেষ হলো না। হুমায়ুন আহমেদ নবনীর শেষের পরিনতি রহস্য রেখে দিয়েছেন। অবশেষে একটা কথা বলবো অসাধারণ একটি বই। পড়ার শেষে গভীর বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে গেছি। এবং শেষে একটা কথাই বার বার বলেছি এরোকম রোমান্টিক উপন্যাস আগে পড়লাম না কেন? নিরদ্বিধায় বলতে পারি হুমায়ুন আহমেদের সেরা রোমান্টিক উপন্যাস এটি।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন স্যারের লিখা অন্যতম সেরা উপন্যাস। সবাই পরে দেখতে পারেন ।
Was this review helpful to you?
or
নবনী – হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি বাংলা জনপ্রিয় বই। হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম সেরা রোম্যান্টিক উপন্যাস। সবচেয়ে বড় নারীকেন্দ্রিক উপন্যাস বলা চলে । আর হুমায়ূন আহমেদ এর লেখার তো কোনো তুলনাই চলে না । তাঁর তুলনা তিনি নিজেই । মাস্ট রিড
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ এর প্রেমের উপন্যাস নবনী কভার নাম টা দেখে ভেবেছিলাম রোমান্টিক উপন্যাস হবে হয়ত.. বই টি অনেক টা য় বাস্তব সম্মত.. অহনার হিংসা মূলক প্রবৃত্তি র কাছে নবনীর পরাজয়... সৌন্দর্য যে সবসময় সুখকর নয় সেটা স্পষ্ট করেছেন লেখক... অনেক টুইস্ট ও আছে... সব মিলিয়ে বইটি অসাধার..
Was this review helpful to you?
or
শেষে দিয়ে চমকপ্রদ হইলাম,যখন পড়লাম নবনী এর বাচ্চা আছে,তাই বুঝি নবনী এর মামা এক বছর তাকে সবার কাছ থিকা লুকায়া রাখ ছিলো?যদি মেয়ে হইতাম তাহলে শেষ টা পড়ে খুবই কান্না করিতাম?
Was this review helpful to you?
or
Read or download Bangla book Nabani by Humayun Ahmed. PDF file ebook Download from BDeBooks.com or read the book online. Download Nabani pdf book for free. Direct download link Pdf Bangla Book. Nabani Book Detail Name of the book: Nabani Name of the writer: Humayun Ahmed Category of the book: Novels Publisher of the book: Somoy Prokashon Date of first publish: January 2003 Total Page of book: 124 pages PDF Size: 11.62 MB Download PDF or Read Online Nabani Book Review The main character of this romantic story is Noboni. Each writes of Humayun Ahmed is a Romantic novel. This is my favorite of all Humayun Ahmed that I have read. Jhochna o Jononir golpo is an exception. Noboni is great wiring not only as a story, but also it is a different novel considering Bengali Novels of that time. The story flows to unpredictable plots and empowers readers more to follow
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃনবনী লেখকের নামঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃসময় প্রকাশনী মূল্যঃ১৭৬টাকা মাত্র আমি যে সমস্ত প্রেমের উপন্যাস পড়েছি হুমায়ূন আহমেদের নবনী সেগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রিয় ও সেরা উপন্যাস।নবনী কেবল একটি গল্প হিসাবে নয়, এটি তৎকালীন বাংলা উপন্যাস বিবেচনা করে একটি ভিন্ন উপন্যাসও। গল্পটি অনুমানযোগ্য প্লটগুলিতে প্রবাহিত হয় এবং পাঠকদের আরও অনুসরণ ও নিযুক্ত করার জন্য আরও ক্ষমতা দেয়। আমি আমার জীবনে বাঙলায় এত বড় নারীকেন্দ্রিক উপন্যাস পড়িনি।কৈশোরের ভালোলাগা, চঞ্চলতা, ভালবাসা, প্রেম, প্রেমিক, আবেগকে ছাপিয়ে একদিন সবাইকে বাস্তবতায় ফিরে আসতে হয়, চলতে হয় বাস্তব পৃথিবীর ধুলো-কাদামাঠির পথে। ঠিক তেমনি নবনী। নবনী চরিত্রটি এগিয়েছে বর্তমানের সাথে অতীতকে হাতড়াতে হাতড়াতে আর পাঠকে দিয়েছে সহজ সাবলীল একটি উপস্থাপনা। নোমান ও অবনীর দাম্পত্য এগিয়েছে ছান্দিক ভাবে। আর অহনা একটি বিচিত্র মেয়ে। আপাতত তাকে খামখেয়ালিপূর্ণ মনে হলেও সে খুব কমসময়ে দুই রকম পৃথিবীর স্বাদ পেয়েছে, দেখেছে টাকা আর ভালবাসার দুই রুপ। চাইলে বইটি পড়ে দেখতে পারেন। সত্যিই অসাধারণ একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
সেই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, কোন মেয়ে যখন তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয় তখন তাকে সাত্ত্বনা দিয়ে বলা হয় “তুই ঠিক দেখে নিস, একদিন এক রাজপুত্র পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় এসে তোকে নিয়ে যাব। তুই হবি রাজরাণী”। রাজপুত্র বলতে একজন পুরুষের সুন্দর অবয়ব আর আর্থিক সামর্থ্যের দিকে ইঙ্গিত করা হয়। নবনী উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে যেন একটা পুরাতন অভিমান নতুন করে উঁকি দিয়ে গেল মনে। একজন নারীর ভালোবাসা পেতে হলে কেন সব পুরুষকে রাজপুত্রই হতে হবে? একজন মানুষকে শুধু খুব সাধারণ হবার জন্যই কি ভালোবাসা যায় না? শুধু একজনের মানুষ ভালোবাসে বলেই তাকে কি ভালোবাসা যায় না? তরুণ কবি রুদ্র গোস্বামী হুয়তো সেজন্যই আক্ষেপ করে লিখেছেন, “আকাশ দেখতে আমার ভাল লাগে হতে পারতো, আকাশ দেখার জন্যই কেউ আমাকে ভালোবাসতো। .............................. গাড়ি চড়া আমার ভালো লাগে না। আমি হাঁটতে ভালোবাসি হতে পারতো, হাঁটতে ভালোবাসি বলেই কেউ আমাকে ভালোবাসতো। .............................. মানুষকে ভালোবাসতে, মানুষের হৃদয়ের থেকে আর বেশি কি লাগে হুমায়ূন আহমেদের অসংখ্য জনপ্রিয় উপন্যাসের একটি নবনী। বইটির সাথে বিশেষণ “হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস” সস্তা জাতীয় বিশেষণ যা এই বইটির সাথে প্রচণ্ড আকারে বেমানান। নবনী বইটি কোনভাবেই প্রেমের উপন্যাস নয়। হ্যা বইটিতে প্রেম অবশ্যই আছে। কিন্তু প্রেম থাকলেই প্রেমের উপন্যাস হয়ে যায়না। শুধু কাটতি বাড়াতে যদি এই সস্তা বিশেষণটি জুড়ে দেয়া থাকে তাহলে ব্যাপারটা দুঃখজনক কারণ আর কারও কথা জানি না তবে হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের কাটতির জন্য বাড়তি কোন আয়োজন প্রয়োজন হয় বলে আমার মনে হয়না। একটি মানুষ যদি ভাল সৎ, চরিত্রবান, চিন্তাশীল, প্রতিভাবান এবং পরিশ্রমী নহয় আপনি অন্যসব গুলো বৈশিষ্ট্য বাদ দিয়ে তাকে শুধু একটি গুনকে মানুষের সামনে তুলে ধরেন তবে আপনি ভুল করছেন । ঠিক এই কাজটি করা হয়েছে এই বইটির সাথে। বইটিতে শুধু প্রেম নয় আছে বিশ্বাসঘাতকতা, ঈর্ষা, রক্তক্ষরণ, মৃত্যু আর একটা মেয়ের চিন্তাজগতের পরিস্কার একটি ছবি। আর এজন্য নবনী বইটির আলাদা কোন বিশেষণের প্রয়োজন। কারণ বইটি নিজেই একটা জীবনের বিশেষণ। নবনী আমার অভিমান উস্কে দিয়েছে। কারণ খুব সাধারণ বলেই যেন সে একটি ছেলেকে ভালোবেসেছে। কেন সব মেয়েরা এমন হয়না? বস্তু কেন কোন মেয়ের মাঝে আজ আর নবনীকে খুঁজে পাইনা? হয়তো ইতিহাসের শিক্ষক মৌলানা এই ছেলেটা নিজের মত খুব একা থাকতো বলেই নবনী ওকে ভালোবেসেছে। হয়তো একা একা ঘুটুর ঘুটুর করে রান্না করতো, এক গম্ভীর চেহারার কাক পুষতো, অসুখে দিনের পর দিন পরে থাকলেও কাউকে জানায়নি বলেই নবনী ওকে ভালোবেসে ছিল। হয়তো কোন কারণ ছাড়াই নবনী ওকে ভালোবেসেছে। কি সুন্দর এই ভালোবাসা! তাই না? কি প্রচণ্ড সুখ এই ভালোবাসায়! বড্ড লোভ জাগে। কিন্তু মৌলানা ছেলেটিকে এই ভালোবাসার জন্য চুড়ান্ত মূল্য পরিশোধ হয়। এতিমখানায় বেড়ে ওঠা ছেলেটিকে নবনীর বাবা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি নিজের সৎ হবার দাবীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিতেন তিনি শুধু এতিমখানায় বেড়ে ওঠার দোষের একজন মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিতে পারলেন না।নবনীর জীবন থেকে মুছে দেয়া হলো দীর্ঘ একটা সময়ের স্মৃতি। কাজটি করলে নবনী বড়মামা। এই উপন্যাসে নবনীর পর আমার সবথেকে প্রিয় চরিত্র। নবনীর এক গোপন অতীতের চোখে অবশেষে ঠুলি পরানো গেল। নবনীর বিয়ে হলো। ছেলেটির নাম নোমান। লেখকের ভাষায় খুব সরল বুদ্ধির একটি ছেলে। সোজা কথায় ব্যক্তিত্বহীন। খুব সাধারণ বৈশিষ্ট্যহীন একটা ছেলে। রাস্তাঘাটে এমন অনেক চোখে পড়ে, আলাদা করে কেউ তাকায় না। নবনী নোমানকে ভালোবাসলো। নোমান খুব সাধারণ বলেই হয়তো নবনী ওকে ভালোবাসলো। হয়তো নোমান একটু কৃপণ বলেই নবনী ওকে ভালোবাসলো। আমি ঠিক জানি না। তবে জানি নোমান পঙ্খীরাজে চড়ে আসা কোন রাজপুত্র ছিল না। নবনী তবুও নোমানকে ভালোবাসলো। যেন নবনী গোটা উপন্যাস দিয়ে রুদ্র কবির লাইন আওড়ে গেল, মানুষকে ভালোবাসতে, মানুষের হৃদয়ের থেকে আর বেশি কি লাগে আসলে সব সাধারণ ছেলেই হয়তো মনে মনে নবনীর মত একটি মেয়েকে লালন করে। তাই যখন বাস্তবে না হোক গল্পেও দেখা মেলে এমন একটি মেয়ের বড্ড অভিমান জাগে মনে। ব্যক্তিগত অভিমতঃ শুধু ঐ প্রেমের উপন্যাস বিশেষণটির জন্য আমি এই বইটিতে এতদিন পড়িনি। কারণ এই ধরণের বিশেষণে ভূষিত বই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সস্তা আবেগের কাহিনীতে ভরা থাকে। কিন্তু কি মনে করে যেন পড়ে ফেললাম। দেখলাম ভুল আবেগে গা ভাসায়নি। নিজের অনুভূতির সাথে মিশে গেল একটি কাল্পনিক মেয়ে, যাকে বাস্তবে দেখতে মনটা আকুল হয়ে ওঠে আর ইচ্ছে জাগে বাস্তব রক্ত, মাংস এবং মাটির একজনকে নবনীকে খুঁজে পেতে যে খুব সাধারণ বলেই আমায় ভালোবাসবে।
Was this review helpful to you?
or
এই বইয়ের শুরুটা এইরকম।ঘুম থেকে উঠেই নবনী জানতে পারে আজ তার বিয়ে।তার বাবা,মা ও ছোটবোন ইরা মহাউৎসাহে বিয়ের যোগারযন্ত্র করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।ছেলেটিকে তার পছন্দও হয়।তাহলে সমস্যা কোথায়?জ্বী সমস্যা অবশ্যই আছে।কলেজে থাকাকালীন তার এক ইতিহাসের হুজুর টাইপ শিক্ষক তাদের বাসায় ভাড়া থাকতে আসে।এবং ধীরে ধীরে সে ওই লোকটির প্রেমে পড়ে যায়।এটা জানাজানির পর তার বাবা ও এলাকাবাসী সবাই ওই লোকটিকে মারধর করে ওই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।ওইদিকে নবনী তার স্বামীর সাথে ঢাকায় চলে আসে।সে তার নতুন সংসার গোছানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।তার স্বামী নোমান তার এক বন্ধুর অফিসে কাজ করে।নবনী লক্ষ্য করে যে সে তার বস ও বসের স্ত্রীর কেনা গোলামের মতোই কাজ করে যেটা তার কাছে ভালো লাগে না।তারা চারজন মাঝে মাঝেই আড্ডার আসরে বসে এবং সে আসরে নোমানের বন্ধু সফিকের স্ত্রী অহনা প্রায় সময়ই নবনীকে কটুক্তি করত।যার কারণ নবনী বুঝতে পারে না।এই হাসি-দুখের মাঝেই নবনী গর্ভবতী হয়।এক রাতে তারা নৌকায় গানের আসরে বসে।অহনা অনেক খোজ খবর নিয়ে নবনীর বিয়ের আগের একটা গোপন কথা ফাস করে দেয়।যেটা সে নোমানকে অনেকবার বলতে চেয়েও পারেনি।ওই রাতেই অহনা নোমানকে তাকে ঢাকা পৌছে দেওয়ার কথা বলে এবং তারা রওনা দেয়।এখানে উপন্যাস থেকে কিছু কথা এড করে দিচ্ছি। সফিক ভাইয়ের কথা অস্পষ্ট শোনাচ্ছে।তিনি আমাকে শুইয়ে দিলেন।চাদটা এখন ঠিক আমার চোখের উপর।চাদের আলো এত তীব্র হয়?আমার চোখ ঝলসে যাচ্ছে।নদী থেকে পানি নিয়ে তিনি আমার চোখে মুখে দিচ্ছেন।শান্তি শান্তি লাগছে।নদীর পানি এত ঠান্ডা?নবনী শোন হা করে নিঃশ্বাস নাও।হা করে নিঃশ্বাস নিলে ভালো লাগবে।আমি নিজের জন্য না আমার বাচ্চাটির জন্যে হা করে নিঃশ্বাস নিচ্ছি।এই পৃথিবীতে তাকে আসতেই হবে। অসম্ভব ভালো লাগার একটি প্রেমের উপন্যাস।পড়ে দেখবেন।অবশ্যই ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- নবনী। লেখক- হুমায়ূন আহমেদ। ধরন- রোমান্টিক। প্রকাশনী- অন্যপ্রকাশ। মফস্বলের এক সাধারন মেয়ে নবনী। তারা দুই বোন। গল্পের শুরু নবনীর বিয়ের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে। বেশ আচমকাই তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। বিয়ের সমস্ত বন্দোবস্ত করেন নবনীর বড়মামা যারওপর নবনীরা অনেকখানি নির্ভরশীল। নবনীর বিয়ে নিয়ে বেশ সমস্যা হচ্ছিলো কারন তার একটা বেদনাময় অতীত রয়েছে। কিন্তু নবনীর মামার একান্ত চেষ্টায় অবশেষে তার বিয়ে হয়। নবনীর স্বামী নোমান ঢাকায় তারই বন্ধুর কোম্পানীতে চাকরি করেন। বিয়ের পর নবনী ঢাকায় তার স্বামীর সংসারে চলে যায় এবং সংসারটাকে নিজের করে নেয়। নবনীর স্বামী নোমান খুবই ভালো, সহয, সরল একজন মানুষ। এই মানুষটার প্রথম প্রেমই তার স্ত্রী নবনী। স্ত্রীর প্রতি তার ভালোবাসা দৃশ্যমান। নোমানের বন্ধু শফিক খুব ধনী ব্যবসায়ী। তার সিনেমা বানানোর শখ আছে। তার সিনেমাতে মূলত তারই স্ত্রী অহনা অভিনয় করে থাকে। অহনা কালো মেয়ে তবে তা যেনো তার সৌর্ন্দয্য কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অহনার আচরন বেশ রহস্যময়। সে শফিককে মাঝেমাঝেই বেশ কষ্ট দেয়। হুট করে শফিককে না বলে গায়েব হয়ে যায়। আবার নিজের মর্জি হলে ফিরে আসে। তাদের সাথে মেশার পর অহনার ব্যাপারে সামান্য ধারনা নবনীর হয়। সে বুঝতে পারে তার সহয সরল স্বামীর মূলত নির্দিষ্ট কোনো পোষ্ট নেই। এরা তাকে দিয়ে ফাই ফরমাশ খাটায়। নোমান এতোই সোজা মানুষ যে তা বোঝার সাধ্য তার নেই। রহস্যময় অহনার কিছু আচরনের প্রতীয়মান মনে হয় যে নবনীর সাথে নোমানের বিয়েতে সে খুশি না। হয়তো নোমানের প্রতি তার দুর্বলতা ছিলো। কিন্তু তারপরও সে শফিককে বিয়ে করলো কেনো? কেনো সে নবনীকে ইচ্ছা করে আঘাতমূলক কথা বলতে লাগলো? কিভাবে সে জেনে গেলো নবনীর একটি অন্ধকারে ঢাকা অতীত? এবারে নবনীর অতীত প্রসঙ্গে সামান্য কথা বলা উচিত। ইন্টারমিডিয়েটে থাকাকালীন নবনীদের কলেজে এক নতুন শিক্ষক আসেন ইতিহাস পড়াতে। নবনীরা তার একটা ইন্টারেষ্টিং নাম রাখে যা আপনারা বই পড়ে জেনে নেবেন। ঘটনাক্রমে এই নতুন শিক্ষক নবনীদের বাড়িতেই বাসাভাড়া করে আশ্রয় নেন। খুবই ধার্মিক এই মানুষটা যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে চান নবনীকে। কিন্তু তার এই এড়িয়ে চলা নবনীর মনে ক্ষোভ তৈরী করে। ধীরে ধীরে নবনী বুঝতে পারে সে তার শিক্ষকের প্রেমে পড়ে গেছে। এই প্রেমের পরিণতি হয় অত্যন্ত করুণ যা পড়ার সময় চোখে পানি চলে আসবে। আর সেই পরিণতিরই সুযোগ নেয় অহনা। শেষ পর্যন্ত কি হয় নবনীর? অত্যন্ত মনকাড়া প্রেমের উপন্যাস। যাদের প্রেমের উপন্যাসে এলার্জি আছে তারাও এই বই পড়ে চোখ মুছতে বাধ্য হবেন। লেখাও এতো গোছালো যে লেখক নিজেই ধীরে ধীরে পাঠকের অনুভূতির নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে ফেলেন। প্রশংসা সত্যিই কম হয়ে যায়। বইটার আরেকটা ভালো লাগার চরিত্র হচ্ছে নবনীর ছোট বোন ইরা। এই চরিত্রটার প্রতি ছেলেপাঠকদের আলাদা একটা দুর্বলতা তৈরী হবে। এই উপন্যাস পড়ার সময় নিজের অজান্তেই মনের মধ্যে একটা করুণ সুর বেজে উঠবে পাঠকের। একটা হাহাকার, শুন্যতা সৃষ্টি হবে মনে। রিভিউ শেষ করছি বইটার অত্যন্ত অসাধারন একটি উক্তি দিয়ে। “আর্দশ মানুষকে কেউ পছন্দ করেনা। আর্দশ মানুষ ডিসটিল্ড ওয়াটারের মতো -স্বাদহীন। সমাজ পছন্দ করে অনার্দশ মানুষকে। যারা ডিসটিল্ড ওয়াটার নয় –কোকাকোলা ও পেপসির মতো মিষ্টি কিন্তু ঝাঝালো”। সবাইকে রিভিউ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
দুপুরবেলা মায়ের ডাকে নবনীর ঘুম ভাঙ্গে।ঘুম ভাঙ্গার পর সে জানতে পারে আজ তার বিয়ে। হুট করে কেউ যদি জানে আজ তার বিয়ে তাহলে বিচলিত হওয়ার কথা। কিন্তু নবনী হচ্ছেনা। আসলে তার কোনওরকম অনুভূতিই হচ্ছেনা। নবনীর ছোটবোন ইরা, ওর মা বাবা সবাই আজকে বেজায় খুশি। নবনীর জীবনে একটা বিরাট ঘটনা আছে যে কারনে নবনীর বিয়ে হচ্ছিলো না। পাত্রপক্ষ দেখতে এসে পাত্রী পছন্দ করে যায় কিন্তু পরে চিঠি মারফত জানিয়ে দেয় তাদের ছেলে এখন বিয়ে করবেনা। এভাবে অনেকগুলা বিয়েই ভেঙ্গে গেছে। নবনীর বড়মামা খুব গোছানো লোক। এবার তিনি ঢাকার এক পাত্র ঠিক করেছেন। আগে থাকতে কাওকে কিছু জানাননি যাতে লোক জানাজানি না হয়। উনার প্ল্যান ছিল রাতের বেলা এসে বিয়ে পড়িয়ে ভোরে ঢাকার ট্রেনে ওদের তুলে দেয়া। শেষপর্যন্ত খুব জমকালোভাবেই নবনীর বিয়ে হলো। নবনীর বর নোমান সহজ সরল সাধারন মানুষ।তারপরেও নবনীর তাকে ভালো লাগে। বিয়ের পরদিন তারা ঢাকায় চলে এসে একরুমের একটা ছোট্ট বাসায় নিজেদের সংসার শুরু করে। এই উপন্যাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো নবনীর ইতিহাসের টিচার। তিনি ছোটবেলায় এতিমখানায় মানুষ হয়েছেন। মাদ্রাসা লাইনে কলেজ পাশ করে স্কলারশিপ নিয়ে ভারতের আলিগড় ইউনিভার্সিটি থেকে এম.এ করেন। অল্প বয়স বলে নবনীরা তাকে ডাকতো চ্যাংড়া হুযুর। তিনি নবনীদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। প্রথম জীবনে নবনী এই স্যারের প্রেমে পড়ে। স্যারকে চিঠি পাঠায়। স্যার চেষ্টা করেন এড়িয়ে যেতে। একদিন সেই স্যার এসে নবনীর বাবাকে বলে যে সে নবনীকে বিয়ে করতে চায়। নবনীকে তার পছন্দ, এবং সেও তাকে পছন্দ করে। একথা শুনে ওর বাবা খুব ক্ষেপে যায়। স্যার এর জিনিশপত্র রাস্তায় ফেলে দেয়। লোকজন জমে যায়। তারা তাকে মারধোর করে। তখন তিনি নবনী নবনী বলে কাতরাচ্ছিলেন। নেত্রকোনা হাসপাতাল থেকে জবাব দিয়ে দিলে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায়। এই ঘটনায় নবনী মানসিকভাবে অপ্রকৃতস্থ হয়ে যায়। বড় মামা তখন তাকে ঢাকায় রেখে চিকিৎসা করায়।যতদিন না সে সুস্থ হয় ততদিন পর্যন্ত কাওকে বাসার ঠিকানাও দেন না পাছে লোক জানাজানি হয়ে যায় নবনী জানতো এটাই তার জীবনের ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু সে কি ঘূর্নাক্ষরেও জানতো যে তার জীবনে এর চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা ছিল? উপন্যাসের শেষের দিকে এসে নবনী সেটা জানতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
how can i buy this book? And how much it will cost totally?
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ একটা বই। চাইলে বইটি পড়ে দেখতে পারেন। হুমায়ূন আহমেদ এর সেরা প্রেমের উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
"নবনী" হুমায়ূন আহমেদের একটি প্রমের উপন্যাস। যার কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম "নবনী"। মেয়েটি তার কলেজের ইতিহাস বিভাগের একজন স্যারেন প্রমে পড়ে যায়। একপর্যায়ে স্যার তাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে নবনীর বাবা তা সহ্য করতে পারেন নি। নবনীদের পরিবার ছিল সমৃদ্ধ একটি পরিবার, সমাজে তার বাবার একটু নাম ডাক ছিল। বাবা ও সমাজের দুষ্ট লোকদের অত্যাচারে নবনীর প্রথম প্রেমিক(স্যার) মৃত্যু বরণ করেন। এই ঘটনা গুলো নবনীর জীবনে প্রভাব ফেলে। সমাজে তার দূর্নাম ছড়িয়ে পড়ে। একদিন তার পরিবার নবনীকে না জানিয়ে তার বিয়ে ঠিক করে ফেলে। নোমান নামের শান্ত চরিত্রের একজন ছেলের সাথে তার বিয়ে হয়। নোমান শহরে থাকে, তার বন্ধু সফিকের অফিসে কাজ করে। বিয়ের পর নবনী নোমানের সাথে শহরে চলে আসে। নবনী তার বাবা, মা ও ছোট বোন ইরাকে খুব মিস করে। ইরা খুব চঞ্চল প্রকৃতির মানুষ। যত রকম ছেলে মানুষি আছে সব তার জানা। বিয়ের পর ও নবনী তার প্রথম প্রেম ভূলতে পারেনি। বার বার স্যারের স্মৃতি মনে পড়ে। নোমানের বন্ধু সফিক ও তার স্ত্রী অহনা অদ্ভূত আচরনের লোক। ঝগড়া করে অহনা বাসা ছেড়ে বের হয়ে যায় আবার কিছক্ষণ পর নিজেই ফিরে আসে। সফিক তার খবর ও রাখেনা, মাঝে মাঝে নোমান গিয়ে অহনাকে নিয়ে আসে।হারানো প্রেমের স্মৃতি ভূলতে না পেরে নবনী এক সময় মৃত্যু বরণ করে। এগুলোই ছিল উপন্যাসের মূল চরিত্র। বইটি পড়লে আরও মজা পাবেন। বইটির দুটি ত্রুটি আমার চোখে পড়েছে। ১) নোমান শান্ত ও ভদ্র সব্ভাবের লোক, তার চরিত্রের সাথে নেশা করা মানায় না। ২) নবনীর আরেকটি বিয়ে হয়েছিল, তার একটা বাচ্চা আছে, ওই বাচ্চাটি এতিম খানায় থাকে, এসব কথা গুলো সফিকের স্ত্রী অহনা কিভাবে জানলো। যেখানে নবনীর সাথে অহনার পূর্বে কোনো পরিচয় ছিল না। এছাড়া কিছু টাইপিং মিস্টেক ছিল, একজাষ্ট করে নিয়েছি। এছাড়া, বইটি পড়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। খুব ভালো বই। আপনি পড়ে না থাকলে এখুনি অর্ডার করুন।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ দুপুরবেলা মায়ের ডাকে নবনীর ঘুম ভাঙ্গে।ঘুম ভাঙ্গার পর সে জানতে পারে আজ তার বিয়ে। হুট করে কেউ যদি জানে আজ তার বিয়ে তাহলে বিচলিত হওয়ার কথা। কিন্তু নবনী হচ্ছেনা। আসলে তার কোনওরকম অনুভূতিই হচ্ছেনা। নবনীর ছোটবোন ইরা, ওর মা বাবা সবাই আজকে বেজায় খুশি। নবনীর জীবনে একটা বিরাট ঘটনা আছে যে কারনে নবনীর বিয়ে হচ্ছিলো না। পাত্রপক্ষ দেখতে এসে পাত্রী পছন্দ করে যায় কিন্তু পরে চিঠি মারফত জানিয়ে দেয় তাদের ছেলে এখন বিয়ে করবেনা। এভাবে অনেকগুলা বিয়েই ভেঙ্গে গেছে। নবনীর বড়মামা খুব গোছানো লোক। এবার তিনি ঢাকার এক পাত্র ঠিক করেছেন। আগে থাকতে কাওকে কিছু জানাননি যাতে লোক জানাজানি না হয়। উনার প্ল্যান ছিল রাতের বেলা এসে বিয়ে পড়িয়ে ভোরে ঢাকার ট্রেনে ওদের তুলে দেয়া। শেষপর্যন্ত খুব জমকালোভাবেই নবনীর বিয়ে হলো। নবনীর বর নোমান সহজ সরল সাধারন মানুষ।তারপরেও নবনীর তাকে ভালো লাগে। বিয়ের পরদিন তারা ঢাকায় চলে এসে একরুমের একটা ছোট্ট বাসায় নিজেদের সংসার শুরু করে। এই উপন্যাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো নবনীর ইতিহাসের টিচার। তিনি ছোটবেলায় এতিমখানায় মানুষ হয়েছেন। মাদ্রাসা লাইনে কলেজ পাশ করে স্কলারশিপ নিয়ে ভারতের আলিগড় ইউনিভার্সিটি থেকে এম.এ করেন। অল্প বয়স বলে নবনীরা তাকে ডাকতো চ্যাংড়া হুযুর। তিনি নবনীদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। প্রথম জীবনে নবনী এই স্যারের প্রেমে পড়ে। স্যারকে চিঠি পাঠায়। স্যার চেষ্টা করেন এড়িয়ে যেতে। একদিন সেই স্যার এসে নবনীর বাবাকে বলে যে সে নবনীকে বিয়ে করতে চায়। নবনীকে তার পছন্দ, এবং সেও তাকে পছন্দ করে। একথা শুনে ওর বাবা খুব ক্ষেপে যায়। স্যার এর জিনিশপত্র রাস্তায় ফেলে দেয়। লোকজন জমে যায়। তারা তাকে মারধোর করে। তখন তিনি নবনী নবনী বলে কাতরাচ্ছিলেন। নেত্রকোনা হাসপাতাল থেকে জবাব দিয়ে দিলে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায়। এই ঘটনায় নবনী মানসিকভাবে অপ্রকৃতস্থ হয়ে যায়। বড় মামা তখন তাকে ঢাকায় রেখে চিকিৎসা করায়।যতদিন না সে সুস্থ হয় ততদিন পর্যন্ত কাওকে বাসার ঠিকানাও দেন না পাছে লোক জানাজানি হয়ে যায় নবনী জানতো এটাই তার জীবনের ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু সে কি ঘূর্নাক্ষরেও জানতো যে তার জীবনে এর চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা ছিল? উপন্যাসের শেষের দিকে এসে নবনী সেটা জানতে পারে। ব্যাক্তিগত মতামতঃ অনেকদিন পর হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস পড়লাম। মনটা ভালো হয়ে গেল। নবনীর প্রথম প্রেম বেচারা স্যার এর জন্য মন খারাপ হয়েছিল যদিও। একটা জিনিশ শিখেও নিলাম। হুট করে যদি রাস্তাঘাটে বউকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে তাহলে বলবঃ - এই তোমার জ্বর নাকি?চোখ লাল কেন? বলেই কপালে হাত দিয়ে ছুঁব।
Was this review helpful to you?
or
নবনী। হুমায়ূন আহমেদের একটি অতি চমৎকার রোমান্টিক উপন্যাস। আমার দৃষ্টিতে তাঁর লেখা অন্যতম সেরা রোমান্টিক উপন্যাস এটি। পাঠ শেষে পাঠক এক গভীর বেদনাবোধে আচ্ছন্ন হয়ে যাবেন। এটাই হয়তো বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ হুমায়ুন আহমেদের জাদুকরি কলমের বৈশিষ্ট্য। বইয়ে ফিরে দেখা যাক, দুপুরে গল্পের বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে নবনী। ঘুম ভেঙ্গে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা হয় ওর। সবাই কেমন মধুর আচরন করছে। মা ওর হাত ধরে খাট থেকে নামালেন। যেন ও একটা বাচ্চা মেয়ে। এমনকি বাবাও অতি মধুর গলায় কথা বলছেন। যিনি গত দু'মাস ধরে প্যারালাইজড রোগী। বসে বসে সারাক্ষন সবার সাথে তিক্ত গলায় ঝগড়া করেন। আজ বাবাও হাসি খুশি! তার মানে বাসায় আনন্দের কিছু একটা ঘটেছে। কিছুক্ষন পরে ছোট বোন ইরা বলে "আপা আজ তোমার বিয়ে।" বড় মামা সবকিছু ঠিক ঠাক করেই কেবল জানালেন। আগে কিছু জানান নি, পাছে পূর্বের ন্যায় আবার কোন ঝামেলা সৃষ্টি হয়! বড় মামা অতি গোছাল মানুষ। তার সব কাজ পোক্ত। রাতে চুপি চুপি বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও মহা ধুম ধামে বিয়ে হয়। বাসর রাতেই লোকটিকে পছন্দ হয় নবনীর। ওর নাম নোমান। নবনীর ইচ্ছে হয় আজ রাতেই ওর ভয়ংকর অতীত সম্পর্কে নোমানকে বলবে। কিন্তু বলা হয় না। খুব ভোরেই ওরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। নোমান ঢাকায় তার ছোট বেলার বন্ধু কোটিপতি সফিক সাহেবের অফিসে কাজ করে। সফিক সাহেবের টাকা পয়সা, গাড়ি বাড়ি ইত্যাদি সবকিছু নিয়েই নোমানের গর্ভ। এমন কি তাঁর কালো বর্ণের অতি রুপসী স্ত্রী "অহনা"কে নিয়েও নোমানের প্রবল আগ্রহ। তাই নোমান সারাক্ষন কেবল এসবের গল্পই করতে থাকে। যেন এসব কিছু তার। নবনীর কেবল ইচ্ছে হয় নোমানকে তার ভয়ংকর অতীত সম্পর্কে বলতে। যেখানে সে তাদের কলেজের ইতিহাসের স্যার, চেংড়া মত এক হুজুরকে ভালবেসে ফেলেছিল। স্যার এক সময় ওদের বাসায় উঠে আসেন…। নবনী স্যারকে ওর মনের কথা বোঝাতে চেষ্টা করে। এক সময় স্যার ওর বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব রাখেন। এরপর… এরপর নবনী নিজেও জানে না। ও শুধু জানে, ও পাগল হয়ে গিয়েছিল। ও এখন সুস্থ। ওর ভয়ংকর অতীত ও কাটিয়ে উঠছে। আসলে কি তাই??? প্রশ্নের জবাব আছে "নবনী" তে। পড়া না হলে এখনি শুরু করে দিন অবশ্যি পাঠ্য রোমান্টিক উপন্যাস নবনী।
Was this review helpful to you?
or
আমার নামও নবনী ? i love this book❤
Was this review helpful to you?
or
কভারটা দেখে টাসকি খেলাম! হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস 'নবনী'!! এমন লাগলো যেন মফস্বলী কোনো নাম না জানা লেখকের প্রথম বইয়ের বিজ্ঞাপন! হুমায়ূন আহমেদ তো প্রেমহীন কোনো উপন্যাস লেখেননি! লেখার প্রতি তার চিরকালের প্রেম!মোটাদাগে প্রেমের উপন্যাস বলার কারন কি? বইটা পড়লাম।একবার,দুইবার।তিনবারের বেলায় রাঙাদি বইটা নিয়ে গেল।আমাকে পড়তে দিতে চায়না।কেননা বইটাতে বড়দের উপযোগী কথাবার্তা আছে। বড় হলাম।ফ্রয়েডীয় মনোবিশ্লেষনের সাহায্যে শিখলাম নরনারীর সম্পর্ক বিশ্লেষন! দেখলা,, নবনী একটা সত্য উপন্যাস।হিমুর মতো কল্পিত কিছু নেই এতে।হাজারো নারীর এক অপরূপ আখ্যান এতে। জাদুকরী লেখনি নিয়ে কিছু বলবোনা।মার খাওয়ার ভয় আছে।বলতে চাই"সত্যিকার প্রেমে আনন্দ নয় বিষাদের ভাগ বেশি।তাই একটা উপন্যাসে,বা প্রেমের উপন্যাসে লেখক বিষাদকে যতো সুন্রভাবে তুলেধরতে পারেন তার যোগ্যতা তত বেশি।হুমায়ূন স্যার তো যোগ্যতম! প্রেম করতে ইচ্ছা হবে বইটা পড়লে,সাবধান!
Was this review helpful to you?
or
নবনী বইটি পরে ভাল লাগল। তবে প্রথমে মনে করেছিলাম, বইটি হইত আশাভঙ্গের হবে নাহ! কিন্তু শুরুটা যতটা আশা জাগরণের মনে হয়েছিল,তা হইনি। নায়িকা কে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। ভেবেছিলাম,নায়ক যার সাথে নবনীর বিয়ে হয়েছিল, সে হয়ত স্বপ্নের নায়ক হয়ে ধরা দিবে। কিন্তু লেখক হইত বাস্তবতার সাথে মিল রেখেই ঘটনাটি লিখেছেন। নবনীর পূর্ব প্রেমিকের জন্য মনের অজান্তেই এক ধরনের দুঃখ অনুভব করছিলাম। ব্যাপারটি কতই না দুঃখজনক! গোঁড়া বর্ণের মনে হলেও, আসলে সে ও কোনোকিছুর উপরে নই,সেও যে একজন সাধারন মানুষ, তা লেখক খুব ভালভা্বেই বুঝিয়ে দিলেন। নবনীর স্বামী নোমানের সাথে অহনার কি সম্পর্ক তা বোঝা যাইনি। আমার মনে হই অনেক পাঠক এই ব্যাপারে আমার সাথে একমত হবেন। খারাপ লেগেছে সফিকের জন্য। তিনি হইত অতীতে এমন কোন কাজ করেছিলেন, যা থেকে তিনি শুধু স্ত্রীর ঘৃণার পাত্র হয়েছেন। নবনীর মামা গল্পকে তরান্বিত করেছেন বলতেই হই। ইরার চরিত্র টি তেমন গুরুত্ব বহন করে নাহ। গল্পের শেষে মনে হল , না পাওয়ার এক তীব্র হাহাকার! নবনী কে তার স্বামী যখন ছেড়ে চলে যাই,তখনই আমার ইচ্ছে হল আমি নিজে ছুটে গিয়ে তাকে নিয়ে আসি,নবনী কেন পারলনা? গল্প শেষ করে মনে হল ,শেষ হয়েও হল না শেষ! নবনির মেয়ে নোমান নিজের কাছে এনে রেখেছিল? কেন জানি মনে হল,নবনী না ফিরার দেশে চলে গিয়েছিল।হয়ত নোমান,অহনা নিজেদের মত সংসার শুরু করেছিল। তবে যাই হোক,নবনী্র মেয়ে কষ্ট পাইনি,এইটাই হইত সত্যি, এইটাই আমার বিশ্বাস! বাস্তবতা যদিও অনেক কষ্টের!