User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Manna Chakraborty

      20 Jul 2023 02:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice

      By Md Rakib Hasan

      27 May 2023 01:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ========= কাহিনী সংক্ষেপ ========== “অন্যান্য মুজাহিদদের মত সারাসেন নিজেও জানে কেন সোভিয়েতরা হেরে গেছে। সাহস বা প্রতিজ্ঞার অভাব ছিল বলে নয়, কারণটা হল- সোভিয়েতরা এক ঈশ্বরবিহীন জাতি। তাদের বিপক্ষে একমাত্র বিশ্বাসের বলেই জয়লাভ করেছে মুজাহিদরা।” নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের এক অতি সাধারণ সস্তা হোটেলে খুঁজে পাওয়া গেল এক তরুণীর বিকৃত লাশ। খুনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথেই নিজের ও লাশের পরিচয় লুকানোর জন্য সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থাই সম্পন্ন করেছে। খুনের তদন্তে থাকা হোমিসাইড লেফটেন্যান্ট বেন ব্রাডলি ও তার দল খুনির কোন কূল-কিনারা করতে যখন ব্যর্থ তখন তদন্তে নামে সিআইএ-এর দুধর্ষ আন্ডারকভার এক এজেন্ট, যার নেই কোন নির্দিষ্ট নাম বা দাপ্তরিক পরিচয়। অন্যদিকে বেশ কয়েক বছর আগে এক প্রাণীবিদকে প্রকাশ্যে শিরশ্চেদ করে হত্যার আদেশ দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। তর অপরাধ সৌদি রাজ পরিবারের প্রতি অসন্তোষ! এই শিরশ্চেদ করা হয় তারই একমাত্র পুত্রের সামনে। হতবিহ্বল ও সামাজিকভাবে একঘরে হয়ে পড়া সেই পরিবার জীবিকার তাগিদে আশ্রয় নেয় পাশের দেশ বাহরাইনে। আগের কষ্ট ভুলে ছেলেটির মা নতুন করে জীবন শুরু করলেও ছেলেটি ততদিনে ঠিক করে নেয় তার গন্তব্য। অন্যায়-অবিচার, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিলাসে মত্ত থাকা সৌদি শাসকদের উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা শুরু করে সে। সিরিয়ার এক গোপন ল্যাবরেটরি থেকে আফগানিস্তানের হিন্দু কুশ পর্বতমালা আবার কখনো লেবাননের কোন এক হাসপাতাল সব জায়গায় সে তার পদচিহ্ন রেখে গেলেও তা যেন সারা দুনিয়ার কাছে অস্পষ্ট! আর সেই অস্পষ্ট চিহ্নধারী মানুষটিকেই খুঁজে বের করার মিশনে নামে সেই আন্ডারকভার এজেন্ট। নতুবা অচিরেই পৃথিবীর বুকে নেমে আসতে যাচ্ছে এক ভয়াল রোগের থাবা। ========= পাঠ প্রতিক্রিয়া ========== বিশাল আকারের ৬৭০ পৃষ্ঠার এই বইটি আমার পড়া সবচেয়ে বড় একটি থ্রিলার বই। মার্ডার মিস্ট্রি, এসপিওনাজ এবং স্পাই থ্রিলারের কম্বিনেশনে তৈরি বইটি দারুণ উপভোগ্য ছিলো। যদিও লেখক বইয়ের প্রায় শুরুতেই অপরাধী এবং নায়ক চরিত্র উন্মোচন করে দিয়েছেন তবুও এই দুই চরিত্রকে একজায়গায় বা মুখোমুখি দেখার জন্য এক অদম্য আকর্ষণ নিয়ে বইটি পড়ে যেতে হয়। দুটো ভিন্ন কাহিনী ও প্লটের পাশাপাশি দুটো ভিন্ন চরিত্র এতো সুন্দর ও সমান্তরালভাবে এগিয়ে এনেছেন লেখক যে তা সত্যিই অসাধারণ। নায়ক ও অপরাধী দুজনেরই বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বুদ্ধিমত্তার ছাপ বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে তাতে এটা প্রমাণিত যে একমাত্র তারাই একে অপরের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী। এছাড়াও বইয়ের অন্যন্য চরিত্রগুলোও যথাযথভাবে বিকশিত করেছেন লেখক। বিশাল কাহিনীর প্লট, সেইসাথে বইয়ের সাইজও অনেক বড় হলেও কোথাও পড়তে বিরক্তি লাগেনি। বইয়ের মাঝখানে কাহিনী আমার কাছে সামান্য ধীরগতির লাগলেও চরিত্রের বিকাশের জন্য তা প্রয়োজনীয় ছিলো। আমার মতে অনুবাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। ঝরঝরে ও সাবলীল অনুবাদের কারণে বইটি পড়ার সময় মনেই হয়নি যে বইটির অনুবাদ পড়ছি। অনুবাদক শাহেদ জামানের এতো সাবলীল অনুবাদের জন্যেই সম্ভবত বইটি এতো বেশি উপভোগ করতে পেরেছি। সেজন্য তাকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই। থ্রিলারপ্রেমী পাঠকদের পছন্দে অবশ্যই প্রথম কাতারে থাকবে বইটি। যারা এখনো এর স্বাদ নেননি, তাদের প্রতি অচিরেই এই সুখপাঠ্য বইটির স্বাদ নেয়ার অনুরোধ রইলো। প্রোডাকশনঃ কভার ডিজাইন, ফন্ট সাইজ, পৃষ্ঠার কোয়লিটি ভালো লেগেছে। তবে বইয়ের সাইজ অনুযায়ী বইয়ের বাইন্ডিং আরোও উন্নত হওয়া প্রয়োজন ছিলো বলে মনে করি। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৮/১০।

      By Md Khalid Rahman Gazi

      24 Sep 2022 06:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দূর্দান্ত থ্রিলার! আমার পড়া সবচেয়ে সেরা থ্রিলারের নাম করতে গেলে আমি এই বইটার কথাই বলবো। যে দিকটা আমাকে সবচেয়ে মুগ্ধ করেছিলো তা হলো এর সুনিপুন ভাবে বিছানো সুবিশাল প্লট। গা শিউরে ওঠার মতো ধ্বংসাত্মক আইডিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা, রাজনীতি, সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসবাদীদের জীবনের পেছনের করুণ পটভূমি - সব মিলিয়ে বিশাল কলেবরের এই বই পড়তে পড়তে কখনোই একঘেয়েমি আসে নি। আরেকটা বিষয় না বললেই নয় - অনুবাদের মান। অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। শাহেদ জামানকে ধন্যবাদ। আপাতত অপেক্ষায় আছি এই সিরিজের দ্বিতীয় বইয়ের অপেক্ষায়। আশা করি শাহেদ জামান সে বইটারও অনুবাদ উপহার দেবেন আমাদের।

      By Asm Nayeem

      15 Sep 2022 10:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Valo boi

      By Avijit Paul

      07 Feb 2022 07:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      highly recommended ??

      By Rabbi

      12 Jun 2021 08:09 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice Thriller

      By Abir Yeasar

      10 Jan 2021 12:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      what a thrilling story! very enjoyable.

      By Amran Hossain

      16 Dec 2020 03:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো বই

      By Sultan

      27 Oct 2019 12:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পিলগ্রিম। অর্থাৎ তীর্থযাত্রী। কিন্তু পিলগ্রিম আসলেই কি তাই.... probably ইন্টেলিজেন্স জগতের সর্বকালের সবচেয়ে সেরা এজেন্ট। একসময় কাজ করত আমেরিকা বা বলা যায় দুনিয়ার সবচাইতে গোপন গোয়েন্দা সংস্থায়। "দ্য ডিভিশন"। কাগজে কলমে এর কোনোই অস্তিত্ব নেই। এর সম্পর্কে জানত কেবল আমেরিকার গুটিকয়েক লোকজন। কিন্তু কোনো এক দূর্ঘটনা ডিভিশনের পতন নিশ্চিত করে দেয়। তখন আমাদের hero স্কট মারডক or জুড গ্যারেট or ব্রডি ডেভিড উইলসন or স্পিটজ যেই নামেই ডাকুন মানুষ টা সেই একই তবে তার বিশেষ পরিচয় টা হলো "রাইডার অব দ্য ব্লু", তার ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সেও চাইছিলো ইন্টেলিজেন্সের গোপন সেই দুনিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে। কিন্তু আমরা যা চাই সবসময় তা পাইনা। সেও পায়নি। ঠিকই তার খোজ বের করে নেয় বেন ব্র‍্যাডলি নামের এক সৎ, নিষ্ঠাবান, দায়িত্বপরায়ন, সাহসী এক পুলিশ অফিসার। কে জানত যে তার সাহায্য করতে গিয়েই "রাইডার অব দ্য ব্লু" কে আবার তার পুরনো পেশায় ফিরিয়ে আনা হবে। সারাসেন নামের এক আতংক এবার দুনিয়ার বুক থেকে আমেরিকার লোকজনকে উধাও করে দেওয়ার এক নীলনক্সা বানিয়েছে। এমন এক মানুষ যে নিজের বাবার শিরোচ্ছেদ করা নিজ চোখে দেখেছে, যে একাই ৩ টা হাইন্ড গানশিপ helicopter কে ভূপাতিত করেছিলো এবং যার কাছে দুনিয়ার আর সব সন্ত্রাসীরা একেবারেই দূগ্ধপোষ্য শিশু। কারণ সে সেই পদক্ষেপ টা নিতে চলেছে যার সম্পর্কে কোনো সন্ত্রাসী চিন্তাও করতে পারবে না। হাজার হোক ১০০০০ ভয়েল মরনঘাতী ভাইরাস ভর্তি ক্রেট আমেরিকার মতো একটা দেশে পাঠানো বা পাঠানোর চিন্তা করাকোনো সাধারণ সন্ত্রাসীর পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু আগেই বলেছি পিলগ্রিম হলো ইন্টেলিজেন্স জগতের সবচেয়ে সেরা এজেন্ট। মাত্র ২ টা ফোন কল থেকে সে খুজে বের করে দুনিয়ার সবচাইতে ভয়ংকর সন্ত্রাসীকে। সাথে তার সবচাইতে বড় দূর্বলতাকে। কারণ পিলগ্রিম জানে "ভালবাসার চাইতে বড় শক্তিশালী আর কিছুই নেই। বিশেষ করে সন্তানের প্রতি বাবা-মার ভালোবাসা।" এটাকেই সে কাজে লাগায় জীবনের সবচাইতে বড় আর ঝুকিপূর্ণ মিশনে......... #ব্যক্তিগত_মতামত এটা নাকি লেখকের প্রথম উপন্যাস। কিন্তু তিনি কাহিনী যেভাবে সাজিয়েছেন তাতে মোটেই মনে হিয় না যে বইটি তার প্রথম লেখা। বিরাট প্লটের বইটিতে আসলেই ভাববার মতো অনেক কিছুই আছে। একেক পাতা করে পড়ি আর মনে হয় পরের পাতায় কি আছে। সেই নেশায় পড়তেই থাকি।

      By BookHunter

      10 Jun 2021 04:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ☆☆☆☆☆

      By Tasfia Promy

      17 Nov 2018 04:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আফগানিস্তান এর এক পর্বত, হিন্দু কুশ পর্বতমালার পাশে ভয়াবহ এক রোগ এর জীবানু সহ তিন পোড়া লাশ উদ্ধার হল। যেই রোগ এর জীবাণু পুরো দুনিয়া কে ধ্বংস করার জন্যই বানানো হয়েছে। কি ভয়ঙ্কর সেই উদ্ধার অভিযান। প্রচন্ড চালাক খুনী। একদিকে ওয়ান ইলেভেন, অন্যদিকে নিউইয়র্ক শহরে খুন হন এক নারী। তার সমস্ত পরিচয় যেন মুছে ফেলা হয়েছে, হাত এর ছাপ পর্যন্ত ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কে এই মেয়ে? অন্য দিকে দুর্দান্ত ডিটেকটিভ “স্কট মারডক” । পালিত বাবা-মায়ের ছেলে। পরিবার থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। এদিকে, জেদ্দায় এক প্রাণিবিদের শিরচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু কেন? সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী সমস্ত দেশ, তার ছেলে। আবার এক ঈদ-উল-ফিতর এর আগের দিন ঘটে এক ভয়াবহ ঘটনা। উপড়ে ফেলা হয় এক ব্যক্তির দুই চোখ। কে করল? কেন করল? তারপর? এক ব্যক্তি নানাভাবে নানা জাল বিছিয়ে যাচ্ছে চারদিকে। কে সে? কেন? আবার অন্যদিকে তুরস্কে মারা গেল বিশাল ধনী এক যুবক। যার মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা? আবার মাঠে নামে “রাইডার অফ দ্য ব্লু” । কে সে? অন্যদিকে সমস্ত ঘটনার তদন্তে নামে “দ্য ডিভিশন” নামে এক গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু এর অস্তিত্ব নিয়ে কথা, কেন? কি এই সংস্থার রহস্য? এক মুসলমান মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা। তার একমাত্র প্রতিবন্ধী সন্তান। কোন এক অদৃশ্য ছায়া থেকে রক্ষা করতে চাইছেন তিনি। কোন এক ল্যাবে তৈরি হচ্ছে এক ভয়ঙ্কর বিষ, যা ঠিক নিউক্লিয়ার বোম্ব এর চেয়েও মারাত্মক। কে বানাচ্ছে এই বোম্ব? কার জন্য? অন্যদিকে সারসেন নামে এক ব্যক্তি। অদ্ভুত তার কাজ। সে যে কখন কি করছে, সেটাও খুব অস্পষ্ট। সমস্ত ঘটনার সুতা ঠিক কোথায় জুড়ে আছে? কে মারডক আর কে সারসেন? কি সম্পর্ক তাদের মধ্যে? সেই খুন হওয়া যুবক, সারসেন আর মারডক কারা এরা? কোথা থেকে এল এরা? কেন এল? কি মোটিভ সবার? দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা বনাম দুর্ধর্ষ খলনায়ক। কে কার চেয়ে বেশি শক্তিশালী? কে বেশি বুদ্ধিমান? ব্যক্তিগত মতামতঃ বইটা পিডিএফ হিসেবে পড়েছি। বিশাল বই মাত্র তিন দিনে শেষ করেছি, যদিও বড় কিছুনা। তবুও, এইভাবে পিডিএফ শেষ করা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। আমার ডিটেকটিভ বই, থ্রিলার এসব এর অসম্ভব ভক্ত। এই বইটা শুরু করে শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছিলাম না। যাইহোক, পড়া শুরু করে আমি চোখ বড় বড় করে ফেলছিলাম, প্রতি লাইন, প্রতি শব্দ পরের পৃষ্ঠা পড়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছিল। যদিও বেশ বড় বই, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা প্যাঁচালো মনে হচ্ছিল তারপরও বিরক্ত লাগেনি। অনেকগুলো ঘটনাকে খুব নিখুঁত ভাবে জুড়ে দিয়েছেন সেটা অদ্ভুত সুন্দর। অনুবাদ মোটামুটি ভালই ছিল। তবে বানান ভুল চোখে পড়েছে। এত বড় অনুবাদ করাও চরম ধৈর্যের ব্যপার। কি অদ্ভুত ভাবে দুই এ দুই এ চার মিলিয়ে খুঁজে পাওয়া গেল খুনী কে। কি অদ্ভুত! কি অদ্ভুত! এক কথায় বেশ ভাল লেগেছে। সারসেন না মারডক কাকে সেরা বলব জানিনা, তবে সারসেন কে স্যালুট দিব।মারডক কে আমার প্রিয় গোয়েন্দার তালিকাতে রাখবই রাখব। আচ্ছা মারডক এর কি আর কোন রহস্য আছে যা আমাদের এখন ও অজানা?

      By Esham Khan

      06 Jan 2023 04:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দারুণ বই। একাশন+থ্রিলার প্যাকড বই। অনুবাদ ও যথেষ্ট ভালো।

      By Junaed Arfan

      13 Feb 2021 03:34 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ আই অ্যাম পিলগ্রিম লেখকঃ টেরি হায়েস অনুবাদঃ শাহেদ জামান প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী মূল্যঃ ৬৮০ টাকা (গায়ের দাম) প্রকাশকালঃ ২০১৭ ফ্ল্যাপ থেকেঃ নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের সস্তা এক হোটেলে অদ্ভুতভাবে খুন হলো এক তরুণী। তার সাথে নাইন-ইলেভেনের ঘটনার কি সম্পর্ক? সৌদি আরবের প্রখর সূর্যের নিচে প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদ করা হলো এক পিতার। কেউ কি ভেবেছিল, এই ঘটনার ফলাফল কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে? সিরিয়ার এক গোপন ল্যাবরেটরি থেকে বের হওয়ার পথে উপড়ে নেয়া হলো এক কর্মকর্তার দুচোখ। কিন্তু কেন? আফগানিস্তানের হিন্দু কুশ পর্বতমালায় পাওয়া গেল পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া তিনটে লাশ। কেন মরতে হলো ওদের? আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন। সত্যিই কি তাই? ভয়াবহ এক ভবিষ্যৎ নেমে আসছে আমেরিকার উপর। তাকে ঠেকানোর একমাত্র উপায় এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করা। আর সেটা করতে পারে কেবল একজনই - পিলগ্রিম। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ এই বইটি সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই। বাংলাদেশে থ্রিলারপ্রেমী অনেকেই এই বইটি পড়েছেন, মুগ্ধ হয়েছেন। প্রথম থেকেই কাহিনিটা রোমাঞ্চকর। নানান ঘোরপ্যাচে ও বাঁকে এগিয়েছে কাহিনি। আসলেই এক জবরদস্ত স্পাই থৃলার এটি। আমেরিকা ও মুসলিম দেশগুলোর রাজনীতি সম্পর্কে অনেকটাই ধারণা পাওয়া যাবে বইটা পড়ে। বিশাল এক সুবিস্তৃত প্লট এই বইয়ের। অথচ কোনো অংশের পাঠেই মনে হয়নি সেটা বাহূল্য বা এমনি এমনি কাহিনি টেনে নিয়ে গিয়েছে লেখক। এখানেই এই বইটির একটা বড় সাফল্য। বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং তদন্ত বা অনুসন্ধান প্রক্রিয়া রয়েছে বইটিতে। যেমন, আয়নায় উঠে যাওয়া ছবি ডেভেলপ করার মাধ্যমে খুনীকে চিহ্নিত করার বিষয়টা তো রীতিমতো মগজ নাড়িয়ে দেওয়ার মতো। আর বিভিন্ন চরিত্র চিত্রনেও লেখক দেখিয়েছেন অসামান্য মুন্সিয়ানা। জানি না পিলগ্রিমকে নিয়ে সামনে আরও কোনো উপন্যাস রচনা করবেন কিনা লেখক। তবে, সেটা করলে যে নিঃসন্দেহে তা সমান পাঠকপ্রিয়তা পাবে, এই কথা বলাই যায়। অনুবাদ নিয়েও তেমন বলার কিছু নেই। আসলেই চমৎকার অনুবাদ করেছেন প্রিয় অনুবাদক শাহেদ জামান। কয়েকটা জায়গায় একটু সমস্যা থাকলেও সেটা একেবারেই ধরার মতো না। এত বড় বইটা অনুবাদ মোটেই সহজসাধ্য কাজ ছিল না। তাই অনুবাদকর্মটিকে টুপিখোলা অভিবাদন জানাতেই হয়। রেটিংঃ ৫/৫

      By Amin Choudhury

      08 Jan 2020 02:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "…I slept and I dreamed that life was beauty; I wake and found that life was duty. ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছিলাম, জীবন মানে সৌন্দর্য।জেগে উঠে বুঝলাম জীবন মানে কর্তব্য। জীবন মানে কর্তব্য।যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাওয়া যেকোন সৈনিকের মতই আসন্ন সংঘর্ষের কথা ভাসতে লাগল আমার মাথায়।সত্যি কথা বলতে সাফল্য বা সম্মানের জন্য খুব একটা আশা করছি না আমি।মনে প্রাণে কেবল চাইছি শেষ পর্যন্ত যেন নিজের সাহস আর আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারি।" ১৯৫১ সালে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা লেখক টেরি হেইসের প্রথম বই 'আই অ্যাম পিলগ্রিম'।টেরি হেইস মূলত একজন স্ক্রিনরাইটার এবং প্রডিউসার।বিখ্যাত পরিচালক জর্জ মিলারের সাথে একসাথে কাজ করছেন তিনি।মিলার পরিচালিত ১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় সিনেমা ম্যাড ম্যাক্স ২ এর নভেলাইজেশন করেছেন তিনি। ঘটনার শুরু নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ আবাসিক হোটেল ইস্ট সাইড ইনে।বন্ধু হোমিসাইড অফিসার বেন ব্র্যাডলির সাথে একটা মার্ডান সিনে গেলো ইতিহাসের অন্যতম সেরা কভার্ট ইন্টিলিজেন্স এজেন্ট স্কট মারডক।প্রাথমিক ইনভেস্টিগেশনেই বুঝতে পারলো এটা সাধারণ কোনো খুনির কাজ নয়।অতি যত্নে সব প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে।এমনকি লাশ শনাক্ত করার সব রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে সযত্নে।আর এসব করতে সাহায্য নিয়েছে স্কটেরই লেখা একটা বইয়ের।স্কট মারডক বুঝতে পারলো রিটায়ার করলেও এ হত্যা রহস্যের সমাধান তাকেই করতে হবে।খোঁজে বের করতে হবে তার দেখা অন্যতম বুদ্ধিমান এক খুনিকে। একজন থ্রিলার পাঠককে আকৃষ্ট করতে এই প্লটটাই যথেষ্ট ছিলো।কিন্তু না, টেরি হেইস এই খুনটাকে এনেছেন পার্শ্ব কাহিনি হিসেবে।মূল কাহিনির দরকারে।বুঝতে পারছেন সামনে কি অপেক্ষা করছে? সৌদি আরবের রক্ষণাত্মক শাসনব্যবস্থার বলি হয়েছেন এক প্রাণীবিদ।জনসম্মুখে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে তার।তারই চৌদ্দ বছরের ছেলে সারাসেন।বাবার উপর হওয়া অন্যায় তাকে বানিয়ে দেয় এক প্রবল মৌলবাদী ভাবাপন্ন মুসলমানে।তার বাবার মতো।তবে সেটা উগ্র মৌলবাদে রূপান্তরিত হতে সময় লাগেনি।সৌদি আরবের রাজ বংশের অনিষ্ট করতে নিজেন জ্ঞান-বুদ্ধি কাজে লাগাবে বলে ঠিক করলো সে।এটাও বুঝতে পারলো সৌদি আরবকে ধ্বংস করতে হলে আমেরিকার উপর আঘাত হানতে হবে।পুরো আমেরিকাকে পরিণত করতে হবে শশ্মানে।কিভাবে সম্ভব?ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন সারাসেন খোঁজে বের করেছে একটা উপায়।যার জন্য খরচ করেছে জীবনের অনেকগুলো বছর।করেছে অমানুষিক পরিশ্রম।ধৈর্য্য ধরেছে নিজের চরম সীমা পর্যন্ত। অন্যদিকে স্কট মারডক ব্যস্ত ইস্ট সাইড ইনের খুনটাকে নিয়ে।নাইন ইলেভেন হামলার পর অবসর নিয়েছে সে।চাইছে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার।তখন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট আর আমেরিকান ইন্টিলিজেন্সের ডিরেক্টর ওভাল অফিসে ডেকে নিলেন তাকে।সবসময় মাথা ঠান্ডা রাখা স্কট আমেরিকার আসন্ন বিপদের কথাও শুনলো ঠান্ডা মাথায়।সারাসেনকে ধরতে হবে এবং তার পরিকল্পনাকে ভন্ডুল করে দিতে হবে।সারাসেন সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই কারো কাছে।কেউ জানেনা কে সে।কাজ করছে একা একা।ইন্টিলিজেন্সের ভাষায় যাকে বলা হয় ক্লিনস্কিন।এবার তাকে ধরতে পেছনে লেগেছে ইন্টিলিজেন্সের ইতিহাসের সেরা দু'জন এজেন্ট।স্কট মারডক এবং তার কেস অফিসার ডেভ ম্যাক কিনলি।প্রেসিডেন্ট জানতে চাইলেন স্কটের কোডনেম কি হবে।খানিক ভেবে স্কট জানালো তার কোডনেম হবে - পিলগ্রিম। আমার পড়া সবচেয়ে বড় থ্রিলার বই 'আই অ্যাম পিলগ্রিম'।২০১৭ সালে অনুবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বেশ হাইপে আছে বইটি।এবং তার যথার্থতা আছে।প্লটের কথা আগেই বলেছি।শুনতে অনেকটা গড়পড়তা কাহিনি মনে হলেও আসলে প্রচন্ড বুদ্ধিমান কয়েকজন মানুষের মাঝে আপনার নিজেকে অসহায় লাগবে।লেখক বেশ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন প্লট সাজানোতে।উত্তম পুরুষে অর্থাৎ পিলগ্রিমের বয়ানে বর্ণিত হওয়ায় আমার কাছে ভালো লেগেছে।মনে হয়েছে এক তদন্তকারীর চোখে দেখছি সবকিছু। ৬৭০ পেইজের বই।অনেক জায়গায় মনে হয়েছে অতিরিক্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।তবে আমার কাছে সারাসেনকে নিয়ে বলা প্রতিটা শব্দই ইন্টারেস্টিং লেগেছে।সে তুলনায় প্রধান চরিত্র পিলগ্রিম অনেকটাই সাদামাটা।এটা ভালো লাগেনি।বরং বিরক্ত লাগছিলো অনেকসময়।তবে বড় বইয়ে এটা স্বাভাবিক মনে হয়েছে।ভালো বই হিসেবে বইটি মনে থাকবে কিনা সেটা অনেকাংশেই নির্ভর করে এন্ডিংয়ের উপর।শেষ ২০০ পেইজ দুর্দান্ত ছিলো।মাঝের অলস পাতা উল্টানো বৃথা মনে হয়নি শেষ করে।অসাধারণ অভিজ্ঞতা! অনুবাদ শাহেদ জামানের দ্বিতীয় অনুবাদ পড়লাম।আগে পড়া 'দ্য ফরবিডেন উইশ' এখনো আমার পড়া অন্যতম সেরা ফ্যান্টাসি।প্রথমেই ধন্যবাদ এতো বড় বই অনুবাদ করার সাহস দেখানোর জন্য।দারুণ অনুবাদ করছেন তিনি।কখনো বলা যাবেনা সাবলীল হয়নি এই অধ্যায়টা।অনেককেই দেখি বড় বইয়ের অনুবাদ করেন দুই-তিন খন্ডে।আমার কাছে এটা একদমই পছন্দ না।মূল বই এক খন্ডে তো অনুবাদ কেনো তিন খন্ডে হবে?বাতিঘর প্রকাশনীকেও ধন্যবাদ এক খন্ডে পুরোটা প্রকাশ করার জন্য।এমন পেটমোটা বই শেষ করেও তৃপ্তি পাওয়া যায়। প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান।এভারেজ পছন্দ।একদম সাদামাটা।বানান ভুল ছিলো।তবে আহামরি সংখ্যার না।পড়তে অসুবিধা হবেনা।আমি পড়েছি দ্বিতীয় সংস্করণ।আশা করি পরবর্তীতে উনারা সংশোধন করে নিবেন। সবশেষে, যদি হাতে সময় থাকে পর্যাপ্ত আর মোটাসোটা বই পছন্দ হয় তাহলে 'আই অ্যাম পিলগ্রিম' নিয়ে বসুন।হতাশ হবেননা। নাম:আই অ্যাম পিলগ্রিম লেখক:টেরি হেইস অনুবাদক:শাহেদ জামান প্রকাশক:বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্টা:৬৭০ মূল্য:৬৮০ টাকা

      By Rehnuma Rubayat Prapty

      28 Oct 2017 10:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রহস্যময়_বিজ্ঞান_জগত_ও_রকমারি_ডট_কম_আয়োজিত_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগীতা ঘটনার শুরু নিউইয়র্কে। এক সস্তা হোটেলে অদ্ভুতভাবে খুন হলো এক তরুণী। খুনটা অদ্ভুত কেনো সে ব্যাখ্যায় পরে আসছি। তদন্তের দায়িত্বে আছে হোমিসাইড পুলিশের অফিসার। সাথে আরও একজন আছেন। তিনিউ এই গল্পের বর্ণনাকারি। তিনিই মূল নায়ক। সৌদিআরবের জেদ্দায় তপ্ত রোদের মধ্যে প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদ করা হলো এক প্রাণিবিদের। এক পিতার। এর পরিনাম কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা।কি কেউ ভেবেছিলো? এই রক্তাক্ত অধ্যায়ে তৈরি করলো এক হিংস্রতা। যার জন্য হয়ত ভবিষ্যতে মূল্য দিতে হবে পুরো পৃথিবীকে। সিরিয়ার একটা গোপন ল্যাবরেটরি থেকে ঈদুল ফিতরের আগের সন্ধায় এক কর্মকর্তার দুই চোখ তুলে নেওয়া হলো। তারপরে মেরে ফেলা হলো। তার কি দোষ ছিলো? ওদিকে আফগানিস্তানের হিন্দু কুশ পর্বতমালায় তিনটা লাশ পোড়াচ্ছে কোনো এক ডাক্তার। পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া লাশগুলো পাওয়ার পরে এমন এক জীবাণু পাওয়া গেলো যা পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিবে। বিপদ নেমে আসছে আমেরিকার উপর। ভয়াবহ বিপদ। এমন বিপদ যে, এই বিপদের সামনে নিউক্লিয়ার বোমাকে তুচ্ছ মনে হচ্ছে। এদিকে আবার তুরস্কের বোডরাম শহরে দুর্ঘটনাবশত মারা গেলে এক বিলিয়নার যুবক। এটা কি আসলেই দুর্ঘটনা? নাকি পরিকল্পিত মার্ডার? এবার আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেই গল্পের নায়কের সাথে। যারা নিয়মিত স্পাই থ্রিলার পড়েন তাদের জন্য খুব পরিচিত একটা পেশায় কাজ করেন তিনি। তবে সেটা অতিরিক্ত সিক্রেট। ইন্টেলিজেন্ট সংস্থাটার নাম দ্য ডিভিশন। কাগজে কলমে যার কোনো অস্তিত্ব নেই। কাজ হলো স্পাইদের উপর স্পাইগিরি করা। অর্থাৎ দেশের ইন্টেলিজেন্ট সংস্থার উপরে নজর রাখা। হতে পারে কেউ বেইমানি করবে। সেরা ইন্টেলিজেন্ট সংস্থার সেরা এজেন্ট। যাকে বলা হয় শতাব্দির সেরা এজেন্ট। উপাধি রাইডার অব দ্য ব্লু। এই নামেই আপনাকে চিনতে হবে তাকে। কারন তার আসল নাম কি তা কেউ জানে না। আরও একটা নামে ডাকতে পারেন। স্কট মরডিক। তবে ৬৭০ পৃষ্ঠার বইটা শেষ করে তার আসল নাম আমিও জানতে পারি নাই। এবার বলি প্রথম খুনের ব্যাপারে। খুনটা কেন অদ্ভুত! শতাব্দির সেরা একজন এজেন্টের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের উপরে লেখা বইয়ের সাহায্য নিয়ে যদি কেউ ক্রাইম করে তাহলে তাকে খুজে পাবে কে? ঠিক এটাই ঘটেছে। সামান্য কোনো ক্লু নেই। ওদিকে উপরে টুকরো টুকরো ঘটনাগুলো আলাদা মনে হলেও সব কিন্তু একই সুতায় বাধা। রাইডার অব দ্য ব্লু কে নামতে হচ্ছে এমন এব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যার কোনো অতীত নেই। পৃথিবীর বুকে যার কোনো অস্তিত্ব নেই। যাকে কেউ চেনে না; কখনো দেখে নি। স্রেফ যেন ভূতের বিরুদ্ধে নামছে। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ বাংলাদেশের অনুবাদ জগতে দুই মলাটে সবচেয়ে মোটা বই সম্ভবতঃ "আই অ্যাম পিলগ্রিম"। তবে কেউ যদি বইয়ের সাইজ দেখে পড়তে না চান তবে বলবো ভুল করলেন। সাইজ না দেখেই পড়া শুরু করুন। আপনাকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব লেখকের। দ্য টাইমসের ভাষায় বইটা শতাব্দির সেরা থ্রিলার। বিশাল ক্যানভাসের প্লট আর অসাধারন মন ছুয়ে যাওয়া কিছু চরিত্র। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো এটা লেখকের প্রথম উপন্যাস। আমার বিশ্বাসই হতে চায় না। প্রথম বইতেই বাজিমাত। লেখক নিজে হলিউডের স্ক্রিপ্ট রাইটার। লেখার বর্ণনাগুলো চমৎকার। মনে হয় মুভি দেখছিতি। অনুবাদক শাহেদ জামানের কথা কি বলা দরকার আছে? যারা তার অনুবাদ নিয়মিত পড়েন তারা অবশ্যই জানেন কত সাবলিল অনুবাদ করেন তিনি। তবে প্রুফ দেখায় কিছু সমস্যা ছিলো। এক জায়গায় নাম পাল্টে গেছে। আরেক জায়গায় "তুমি" না লিখে "আপনি" লিখেছে। যদিও এতবড় বইয়ের তুলনায় ভুলগুলো খুবই নগন্য। লেখক গল্পের প্রয়োজনে ইসলামি জঙ্গিবাদ তুলে ধরলেও ধর্মের ব্যাপারে সাবধান ছিলেন। কোথাও যদি মনে হয়েছে ধর্ম অবমাননা হয়েছে তাহলে পরে আবার পাঠকের ভুল ভেঙে দিয়েছেন। তবে স্পাই থ্রিলারের সাথে সমকালিন বিশ্বরাজনীতির এমন চমৎকার কম্বিনেশন খুব কম দেখেছি। তবে লেখক বুদ্ধিমান। বিতর্ক তৈরি করতে পারে এমন ব্যাপার সযত্নে এড়িয়ে গেছেন। বইটা সারাবিশ্ব বেস্ট সেলার। আমাদের দেশেও ভালোই চলছে তবে কাওকে বাংলা ভাষায় বইটার কোনো রিভিউ পেলাম না। এমনকি ররকমারি আর গুডরিডসও ফাকা। ব্যাপারটা বোধগম্য হলো না। হ্যাপি রিডিং। By: Ian Holmes

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      14 Dec 2019 04:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এটা নাকি লেখকের প্রথম উপন্যাস। কিন্তু তিনি কাহিনী যেভাবে সাজিয়েছেন তাতে মোটেই মনে হয়নি যে বইটি তার প্রথম লেখা। বিরাট প্লটের বইটিতে আসলেই ভাববার মতো অনেক কিছুই আছে। একেক পাতা করে পড়ি আর মনে হয় পরের পাতায় কি আছে। সেই নেশায় পড়তেই থাকি। একদিন পড়তে পড়তে দেখি ভোর ৪ টা বাজে গেছে। অনেক দিন পর এরকম একটা থ্রিলার পড়লাম। সত্যিই অসাধারণ।

      By Rean Sharker

      28 Sep 2019 09:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পড়ে শেষ করলাম টেরি হেইসের লেখা প্রথম উপন্যাস শাহেদ জামনের অনুবাদ বাতিঘর থেকে প্রকাশিত #আই_অ্যাম_পিলগ্রিম বড় বই গুলোর পড়তে এখন খুব ভালো লাগে। এই বইটি আমি শেষ করেছি ৯ দিন সময় নিয়ে। ৯ দিনে প্রতিটি চরিত্র পরিচিত হয়ে গেছে আমার। এই ৯ দিন যেই সময়টুকু বই না পড়ে পার করে ছিলাম সেই সময়টুকু কথা বলে কাটিয়ে দিয়েছি চরিত্র গুলোর সাথে। মনে হচ্ছিল তারা আমার আপনজন। বইটির সাথে ঘুড়ে বেড়িয়েছি অনেক গুলো দেশে। সাক্ষী হয়েছি পৃথিবী কিছু নিষ্ঠুর ইতিহাসের। বইটিতে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক কিছুই বলা হয়েছে। লেখক ধর্মকে নিয়ে খারপ কিছু মন্তব্য করেন নি।বই পড়া শুরু করার আগে শুনে ছিলাম ইসলাম নিয়ে খারাপ কিছু নাকি বলা হয়েছে। এমন কিছু হয়নি। সৌদির নিষ্ঠুর একটা রাষ্ট্রবিধান তুলে ধরেছেন তিনি। একটা অংশ এসে এক পুলিশ সারসেন কে বলে শালার মুসলিম। বাইরে ধার্মিক ভিতরে কুত্তা। আমার মনে হয় কথাটা কিছুটা হলেও ঠিক! নিউইয়র্ক এর সস্তা হোটেল খুন হয় এক মেয়ের। খুন করে খুনি লাশ এসিডে ডুবিয়ে রেখে যায়। খুলে ফেলে প্রতিটা দাঁত। ডি এন এ নষ্ট করা ফেলা যায় এমন স্প্রে করা হয়। খুনির কোন প্রমাণ খুজে পাইনি নায়ক। তবে নায়কের নিজের লেখা একটা বই এর সাথে মিলে যায় এই খুনটা। এখান থেকে শুরু গল্প। মুলত গল্পটি চলেছে নায়কের মুখ থেকে। সে একসময় আমেরিকার সিক্রেট এজেন্ট ছিল। সেই সময় কার কিছু মিশন নিয়েও কথা হয়েছে গল্পে। আমিও তার সাথে মিশনে চলে গিয়েছিলাম। নায়ক বলেছেন তার ছেলে বেলার কথা। বাবা মাকে হারিয়ে অল্প বয়সেই এতিম হয়ে যায় সে। তাকে দত্তক নেই বিল। বিলের সাথে কাটানো মধুর ছেলে বেলার কথা বলেছে সে।এই দিক গল্পটি টাচি ছিল। তার কাছ থেকে জানতে পারি ২য় বিশ্বযুদ্ধের নিষ্ঠুর গল্প।জানত পারি সাহসী একজন মানুষের কথা। তার দেশ প্রেম ও মানবের প্রতি ভালোবাসার কথা। যে নিজের জীবনের কথা না ভেবে বাঁচিয়ে ছিল নাইন এলিভেনের ঘটনায় সময় হুইল চেয়ারে বসা একজন কে। একসময় সে বেরিয়ে পরে ওই মেয়ের খুনের রহস্য সমাধানে। না শুধু ওই মেয়ের না আরো আরেক জনকে ধরতে। যে গুটিবস্ত ফিরেয়ে আনতে চাইছে! আর সেটা প্রয়োগ করা হবে আমেরিকায়! এইটুকু ছাড়া তার কাছে কোন তথ্য নেই। এ যেন শুই দিয়ে কোয়া খোড়ার মতো। নায়ক নিজের ছদ্মনাম দেয় প্রিলগ্রিম। যার অর্থ তীর্থযাত্রী। নায়কের সাথে আমিও বের হয়ে পড়েছিলাম এক তীর্থযাত্রায়.. ঘুড়ে বেড়িয়েছি আমেরিকা,জার্মানি, তোরস্ক, আফগানিস্তান, সৌদি আরব, পাকিস্তান, গাজা সহ আরো কিছু দেশে। শুধু মাত্র সারসেন কে ধরার জন্য। গল্পের ভিলেনের নাম সারসেন দেয় নায়ক। সারসেনের অনেক পুরনো অর্থ হলো যাযাবর। রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায় দিয়ে সৌদির এক পার্কিংলটে সবার সামনে শিরচ্ছেদ করা হয় এক বাবার। ছেলেটি তখন সবার মধ্যে এক জন ছিল। একটা কিশোর বয়সী ছেলের সামনে যখন তার বাবার শিরচ্ছেদ করা হয় তখন তার কেমন লাগবে সেটা? ছেলেটির চোখে তখনই জ্বলে উঠে প্রতিশোধের আগুন। শপথ নেই বাবার অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করবে সাথে ধ্বংস করে দিবে সৌদি রাজ পরিবারকে। ছেলেটি তার মা ও দুই বোন নিয়ে দেশ ছাড়ে। কারণ তার রাষ্ট্রদ্রোহিতার পরিবারের সাথে কথা বলা,হাটা, চলা সব বন্ধ করে দিছে অন্যরা।অন্যদেশ সিনেমা পোষ্টর এই সব দেখে বখে যেতে থাকে তার মা-বোন। একসময় ছেলেটি যোগ দেয় জিহাদে। সৌদির কষ্টের আসল দেখে ফেলা এক কিশোর, আফগানিস্তানে জিহাদ হয়ে লড়াই করা এক তরুণ, মেডিসিনে স্নাতক ধার্মিক মুসলিম যার চোখে জ্বলছে প্রতিশোধের আগুন। তৈরী করতে চলেছে পৃথিবীতে এক সময়কার ভায়াবহ রোগ গুটিবসন্ত। কি হলো তার শেষ! মানুষ গল্পের নায়ক হতে চায় সবসময়। আমিই একমাত্র যে ভিলেন হতে চাই। এই গল্পের ভিলেনকে আমার ভাল্লাগছে। ক্ষুরধার বদ্ধি এবং ঠান্ডা মাথার একজন। তার প্রতিটা প্লেন একেবারেই নিখুঁত।এবং একজন আদর্শ পিতা। গল্পটি ৪ অধ্যায়ের ভাগ করা। অধ্যায় ৪৭ না কততে যেন গিয়ে আবার অধ্যায় ১ শুরু হয়। আমি ভেবেছিলাম প্রিন্টিং সমস্যা কিন্তু তা ছিল না। আর একটা কথা গল্পে কোন নাইকা নেই। এডাল্ট সিনও নেই তেমন একটা। অনুবাদের মান খুবই ভালো। আমার রেটিং ৪.৯৮/৫.... ? "যদি মুক্তি চাও, তবে যেত দাও" "পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হলো, ভালবাসা"

      By Imam Abu Hanifa

      11 Oct 2017 05:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ঘটনার শুরু নিউইয়র্কে। এক সস্তা হোটেলে অদ্ভুতভাবে খুন হলো এক তরুণী। খুনটা অদ্ভুত কেনো সে ব্যাখ্যায় পরে আসছি। তদন্তের দায়িত্বে আছে হোমিসাইড পুলিশের অফিসার। সাথে আরও একজন আছেন। তিনিউ এই গল্পের বর্ণনাকারি। তিনিই মূল নায়ক। সৌদিআরবের জেদ্দায় তপ্ত রোদের মধ্যে প্রকাশ্যে শিরোচ্ছেদ করা হলো এক প্রাণিবিদের। এক পিতার। এর পরিনাম কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা।কি কেউ ভেবেছিলো? এই রক্তাক্ত অধ্যায়ে তৈরি করলো এক হিংস্রতা। যার জন্য হয়ত ভবিষ্যতে মূল্য দিতে হবে পুরো পৃথিবীকে। সিরিয়ার একটা গোপন ল্যাবরেটরি থেকে ঈদুল ফিতরের আগের সন্ধায় এক কর্মকর্তার দুই চোখ তুলে নেওয়া হলো। তারপরে মেরে ফেলা হলো। তার কি দোষ ছিলো? ওদিকে আফগানিস্তানের হিন্দু কুশ পর্বতমালায় তিনটা লাশ পোড়াচ্ছে কোনো এক ডাক্তার। পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া লাশগুলো পাওয়ার পরে এমন এক জীবাণু পাওয়া গেলো যা পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিবে। বিপদ নেমে আসছে আমেরিকার উপর। ভয়াবহ বিপদ। এমন বিপদ যে, এই বিপদের সামনে নিউক্লিয়ার বোমাকে তুচ্ছ মনে হচ্ছে। এদিকে আবার তুরস্কের বোডরাম শহরে দুর্ঘটনাবশত মারা গেলে এক বিলিয়নার যুবক। এটা কি আসলেই দুর্ঘটনা? নাকি পরিকল্পিত মার্ডার? এবার আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেই গল্পের নায়কের সাথে। যারা নিয়মিত স্পাই থ্রিলার পড়েন তাদের জন্য খুব পরিচিত একটা পেশায় কাজ করেন তিনি। তবে সেটা অতিরিক্ত সিক্রেট। ইন্টেলিজেন্ট সংস্থাটার নাম দ্য ডিভিশন। কাগজে কলমে যার কোনো অস্তিত্ব নেই। কাজ হলো স্পাইদের উপর স্পাইগিরি করা। অর্থাৎ দেশের ইন্টেলিজেন্ট সংস্থার উপরে নজর রাখা। হতে পারে কেউ বেইমানি করবে। সেরা ইন্টেলিজেন্ট সংস্থার সেরা এজেন্ট। যাকে বলা হয় শতাব্দির সেরা এজেন্ট। উপাধি রাইডার অব দ্য ব্লু। এই নামেই আপনাকে চিনতে হবে তাকে। কারন তার আসল নাম কি তা কেউ জানে না। আরও একটা নামে ডাকতে পারেন। স্কট মরডিক। তবে ৬৭০ পৃষ্ঠার বইটা শেষ করে তার আসল নাম আমিও জানতে পারি নাই। এবার বলি প্রথম খুনের ব্যাপারে। খুনটা কেন অদ্ভুত! শতাব্দির সেরা একজন এজেন্টের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের উপরে লেখা বইয়ের সাহায্য নিয়ে যদি কেউ ক্রাইম করে তাহলে তাকে খুজে পাবে কে? ঠিক এটাই ঘটেছে। সামান্য কোনো ক্লু নেই। ওদিকে উপরে টুকরো টুকরো ঘটনাগুলো আলাদা মনে হলেও সব কিন্তু একই সুতায় বাধা। রাইডার অব দ্য ব্লু কে নামতে হচ্ছে এমন এব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যার কোনো অতীত নেই। পৃথিবীর বুকে যার কোনো অস্তিত্ব নেই। যাকে কেউ চেনে না; কখনো দেখে নি। স্রেফ যেন ভূতের বিরুদ্ধে নামছে। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ বাংলাদেশের অনুবাদ জগতে দুই মলাটে সবচেয়ে মোটা বই সম্ভবতঃ "আই অ্যাম পিলগ্রিম"। তবে কেউ যদি বইয়ের সাইজ দেখে পড়তে না চান তবে বলবো ভুল করলেন। সাইজ না দেখেই পড়া শুরু করুন। আপনাকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব লেখকের। দ্য টাইমসের ভাষায় বইটা শতাব্দির সেরা থ্রিলার। বিশাল ক্যানভাসের প্লট আর অসাধারন মন ছুয়ে যাওয়া কিছু চরিত্র। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো এটা লেখকের প্রথম উপন্যাস। আমার বিশ্বাসই হতে চায় না। প্রথম বইতেই বাজিমাত। লেখক নিজে হলিউডের স্ক্রিপ্ট রাইটার। লেখার বর্ণনাগুলো চমৎকার। মনে হয় মুভি দেখছিতি। অনুবাদক শাহেদ জামানের কথা কি বলা দরকার আছে? যারা তার অনুবাদ নিয়মিত পড়েন তারা অবশ্যই জানেন কত সাবলিল অনুবাদ করেন তিনি। তবে প্রুফ দেখায় কিছু সমস্যা ছিলো। এক জায়গায় নাম পাল্টে গেছে। আরেক জায়গায় "তুমি" না লিখে "আপনি" লিখেছে। যদিও এতবড় বইয়ের তুলনায় ভুলগুলো খুবই নগন্য। লেখক গল্পের প্রয়োজনে ইসলামি জঙ্গিবাদ তুলে ধরলেও ধর্মের ব্যাপারে সাবধান ছিলেন। কোথাও যদি মনে হয়েছে ধর্ম অবমাননা হয়েছে তাহলে পরে আবার পাঠকের ভুল ভেঙে দিয়েছেন। তবে স্পাই থ্রিলারের সাথে সমকালিন বিশ্বরাজনীতির এমন চমৎকার কম্বিনেশন খুব কম দেখেছি। তবে লেখক বুদ্ধিমান। বিতর্ক তৈরি করতে পারে এমন ব্যাপার সযত্নে এড়িয়ে গেছেন। বইটা সারাবিশ্ব বেস্ট সেলার। আমাদের দেশেও ভালোই চলছে তবে বাংলা ভাষায় বইটার কোনো রিভিউ পেলাম না। ব্যাপারটা বোধগম্য হলো না। আমি সাধারনত বইয়ের রেটিং দেই না। তবে এটার রেটিং দিবো ৫/৫।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!