User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
This book is lovely
Was this review helpful to you?
or
"আমরা কেউ বাসায় নেই" বইটির নাম এই পড়তে ইচ্ছা করে । বইটি নিয়ে আমি অনেক মজার মজার ঘটনা শুনেছি তখন থেকেই বইটা পড়ার খুব ইচ্ছা ছিল । বইটা পড়ার মতন এবং ভালো লাগবেই বইটা পড়ে। হুমায়ূন আহমেদ এর সেরা বইগুলোর মধ্যে এটি একটি বই আমি মনে করি ।
Was this review helpful to you?
or
বই: আমরা কেউ বাসায় নেই জনরা: সমকালীন উপন্যাস লেখক: হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশনী: মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশ কাল: ৫ম মুদ্রণ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ পৃষ্ঠা: ৯৬ প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ মুদ্রিত মূল্য: ১৭৫ কাহিনী সংক্ষেপ: ছোট এক সুখী পরিবারের কাহিনী দিয়ে শুরু হয় গল্পটা। মনজুর বর্ণনায় পরিবারের সবার পরিচয় দিয়ে শুরু যার কাহিনী। বাবা ইংরেজি সাহিত্যের প্রফেসর, মা গৃহিণী, বড় ভাই টগর বুয়েট থেকে পাশ করে বাড়িতে বসে অাছে। চাকরি করার অাপাতত কোন চিন্তা তার মাথাতে নাই। বাবাবার ধারণা তার বড় ছেলে মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষ। গৌতমবুদ্ধের উল্টো চরিত্র হওয়ার এক পাগলামো ধরনের চিন্তা তার মাথায় এসেছে। সে এক নতুন ধর্ম প্রচার শুরু করবে "রগট ধর্ম" যার ভিত্তি তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়ানো-- ১. ঘৃণা ২. বিদ্বেষ ৩. হিংসা এই ধর্মের অনুসারিদের সপ্তাহে একটি করে হলেও মন্দ কাজ করতে হবে। তা না হলে তার ধর্মনাশ হবে। এ ধর্ম মত যে যত পাপ করবে সে তত ধার্মিক। টগরের চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মন খারাপ থাকলে সে উল্টো করে বই পড়ে। অাধ্যাতিক জগতের মানুষ হবার চেষ্টায় সংস্কৃত ভাষাও চর্চা করে, তবে সবার অগোচরে তার যে পরিচয় তা হচ্ছে তলজগৎ অর্থাৎ আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন। তার বেশ কিছু সাঙ্গপাঙ্গ অাছে ব্যাঙা ভাই তার মধ্যে অন্যতম। এই ব্যাঙা ভাইয়ের গ্রুপ নিয়েই একদিন পদ্ম নামক এক মেয়েকে বিয়ের অাসর থেকে তুলে বাড়িতে এনে তোলেন মনজু কার ভাইয়ের পরামর্শে। তারপর থেকেইে শুরু হয় রগট ধর্মের কার্যক্রমের প্রচার অভিযানের ব্যবহারিক রূপ। একদিক থেকে পদ্মর স্বামী মনজু হলেও শোনা যায় ট্রাক ড্রাইভার সালামতের সাথে তার অাগেই বিয়ে হয়ে গেছে। মনজুদের বাড়ির মালিকও নাকি অাবার পদ্মর মৃতবাবা। অাশ্রয় নিতে এসে শিকড় ছেড়ে তাদেরই এখন গৃহহীন করতে চায় পদ্মর মা। সুখী পরিবারের সুখপাখি খাঁচা ছেড়ে পালায়। সব মিলিয়ে এক বিভৎষ পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যায়। নতুন ধর্ম প্রচারক টগর কেনইবা এমন উদ্ভট কাজ করে কী ছিল তার কাজের উদ্দেশ্য জানতে হলে পড়তে হবে অামরা কেউ বাসায় নেই। তবে কোথার অাছি জানতে বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। নিজস্ব মতামত: নির্মল বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে হুমায়ূন অাহমেদ এর বইয়ের কোন তুলনা নেই। বিক্ষিপ্ত মনকে কেন্দ্রীভূত করতে যার জুড়ি মেলা ভার। গল্পের শুরুতেই নায়ক টগরের অদ্ভুত কর্ম নিজেও কাজে লাগাই। হ্যাঁ পুরো বইটা উল্টো করে পড়ে শেষ করেছি। একদিক থেকে ব্রেনের পরীক্ষা করা হয়ে গেছে বলা যায়। নিত্য পরিচিত এসব শব্দ পড়তে কোন প্রকার বাঁধাই কাজ করে নাই। দু'একটা শব্দ উল্টে পড়ে ফেলেছি কেবল। উল্টো করে পড়তে গিয়ে পড়ার সময় প্রতিবারের তুলনায় একটু বেশি লাগলেও মনে অালাদা এক প্রশান্তি এসেছে। বইয়ের কাহিনী নিজেই পড়ে বিচার করুন। অামার কাছে বরাবরের মতোই বিনোদন পূর্ণ ভালো লাগার ছিল।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "আমারা কেউ বাসায় নেই" হাস্যকর হলেও সত্য বইটি যখন পড়ছিলাম তখনো জানতাম না বইটি নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর। পড়ে বুঝতে পারলাম এটা হুমায়ূন আহমেদের বই আবার শুরু থেকে পড়া শুরু করলাম। কি অবাক কান্ড বইয়ের মূল চরিত্র টগর ছেলে টি ধর্ম বানাতে শুরু করেছে, ধর্মের নিয়ম গুলো কি অদ্ভুত ধর্মের নাম দিয়েছে নিজের নাম উল্টো করে রগট ধর্ম। ছোট্ট একটি বই কিন্তু খুব সুন্দর। পড়ে দেখতে পারেন আশা করি ভালই লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ নিজেই বিভিন্ন আত্মজৈবনিক রচনা ও সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে তাঁর অধিকাংশ উপন্যাসেরই ধরাবাঁধা কোন প্লট থাকে না। কোন একটা জায়গা থেকে তিনি কাহিনীর প্রস্তাবনা শুরু করেন এবং তারপর কাহিনী নিজস্ব গতিতে এগোতে থাকে। একটি লাইন লিখবার আগমুহুর্তেও তিনি ঠিক করে নেন না যে সেই লাইনটা কেমন হতে যাচ্ছে। 'বাদশাহ নামদার' বা 'জোছনা ও জননীর গল্প' এর মত উপন্যাসগুলো হয়ত ব্যতিক্রম তবে বেশিরভাগ উপন্যাসেই তিনি এই রীতি অনুসরণ করেছেন। কিন্তু 'আমরা কেউ বাসায় নেই' উপন্যাসের শুরুতেই তিনি প্রতিটা চরিত্রকে বেশ সচেতনভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং তার ফাঁকে ফাঁকে তিনি কোন একটা গল্পের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ থেকে আমার ধারণা হয়েছিল, এই উপন্যাসটি হয়ত লেখকের অন্যান্য উপন্যাসের মত না। নির্দিষ্ট একটা প্লট মেনটেন করে লেখক এগোচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ঘটনা পুরোই উল্টো। একই সাথে এই উপন্যাসে দ্বৈত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। প্রথমত, লেখক এই উপন্যাসের প্রতিটি পরিচ্ছেদ রচনার আগেই সে সম্পর্কে ব্যাপক চিন্তা ভাবনা করেছেন বলে মনে হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তিনি উপন্যাস রচনাকালে মাথায় যা আসবে তাই লিখব ধরণের পন্থা অনুসরণ করেন নি। যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন নির্দিষ্ট থিমের উপর যথাসম্ভব মজা করে একেকটি দৃশ্য বা ঘটনাকে সাজাতে। দ্বিতীয়ত, লেখক ভেবেচিন্তে উপন্যাসটি লিখেছেন এটা যেমন সত্যি, তেমনি আরেকটা সত্যি হচ্ছে এই উপন্যাসের কোন কাহিনীই নেই! হুমায়ুন আহমেদের প্রায় সকল উপন্যাসের গতিপ্রকৃতিই নিজস্ব গতিতে সঞ্চারিত হলেও একটা সময় এসে কাহিনীতে ঠিকই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই বোঝার উপায় নেই যে লেখার শুরুতে লেখক নিজেও জানতেন না শেষে কি হতে চলেছে। কিন্তু 'আমরা কেউ বাসায় নেই' উপন্যাসে দেখলাম, আগে থেকে বিষয়বস্তু ঠিক করে রেখে এবং প্রতিটি পরিচ্ছেদের কাহিনীই অত্যন্ত মজার ও উপভোগ্য করে তুললেও শেষ পর্যন্ত লেখক সামগ্রিকভাবে একটি পরিচ্ছেদের কাহিনীর সাথে অন্য পরিচ্ছেদের কাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। (এই কথাটাকে কেউ নেতিবাচক অর্থে নেবেন না আশা করি) সত্যি কথা বলতে কি, এই উপন্যাসের আঙ্গিক গঠনটাই একেবারে অন্যরকম। শুরুতেই লেখক একেবারে ডিটেইলে প্রধান চরিত্রদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। অপরদিকে পরবর্তি প্রতিটি পরিচ্ছেদেই নির্দিষ্ট কোন ঘটনাকে ফোকাস করা হয়েছে। তাই সেগুলো একেকটা স্বতন্ত্র গল্পে পরিণত হয়েছে। ফলে পাঠক যদি শুরুতে চরিত্রসমূহ সম্পর্কে জেনে নিয়ে পরবর্তিতে উপন্যাসের মাঝখান দিয়ে যেকোন একটা পরিচ্ছেদ পড়া শুরু করেন, তাহলেও খুব বেশি সমস্যায় না পড়েই তারা কাহিনীর সাথে নিজেদের রিলেট করতে পারবেন। উপন্যাসের শুরুতেই কথক মনজুর ভাই টগরের অদ্ভুত চরিত্র ও নিজস্ব ধর্ম প্রচারের বিষয়টি এবং মনজুদের বাড়ি পদ্ম ও তার মায়ের উঠে আসার ব্যাপার দুটি রয়েছে। কাহিনীতে মূল নাটকীয়তা মূলত ঐ দুই জায়গায়ই ছিল। এরপরও লেখক স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে প্রতিটা দৃশ্যকে নিজের মত করে নাটকীয় ও মজাদার করে তুলতে চেয়েছেন। তবে সেগুলোতে খুব বেশি নতুনত্ব নেই। অবশ্য লেখক একেবারে পারফেক্ট টাইমিংয়ে যেভাবে প্রতিটা দৃশ্যে হিউমার সংযোজন করেছেন, তা এক কথায় অসাধারণ। প্রথমেই বলেছি এই উপন্যাসের নির্দিষ্ট কোন কাহিনী নেই। সুতরাং কাহিনী সংক্ষেপ সম্পর্কে জানানোর বিষয়টিও অপ্রয়োজনীয় মনে করছি। তবে এটুক জানিয়ে রাখি যে উপন্যাসের গতিপ্রকৃতি আবর্তিত হয়েছে একটি পরিবারের বিচিত্র সব চরিত্রের আজব কর্মকান্ডকে ঘরে। উপন্যাসের প্রতিটা চরিত্রই অসাধারণ, অর্থাৎ সাধারণত এই ধরণের চরিত্র বাস্তবজীবনে দেখা যায় না। আর তাই এই উপন্যাসটিও সত্যিকারের জীবনঘনিষ্ট বা সামাজিক উপন্যাস হয়ে উঠতে পারেনি। উপন্যাসের বিভিন্ন দৃশ্যের মাধ্যমে হয়ত লেখক সাম্প্রতিক কালের সিরিয়াস কিছু দিককে স্যাটায়ারের মাধ্যমে প্রকাশ করতে চেয়েছেন তারপরও আমার কাছে মনে হয়নি এই উপন্যাসে গভীর জীবনবোধের কোন ব্যাপার আছে যার দেখা মেলে হুমায়ুন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাসে। সবমিলিয়ে 'আমরা কেউ বাসায় নেই'কে নিছকই একটা হালকা গোছের মজার উপন্যাস বলে মনে হয়েছে আমার। টিভির প্যাকেজ কমেডি নাটক বা টেলিফিল্ম নির্মানের ক্ষেত্রে এই ধরণের উপন্যাসের কাহিনী আদর্শ।
Was this review helpful to you?
or
একসময়ে হুমায়ূন আহমেদ 'উন্মাদ' পত্রিকায় 'এলেবেলে' নামে ধারাবাহিক রম্য লিখতেন। ৯০ এর শুরুতে যখন তাঁকে ম্যাগাজিনের এই রচনাগুলো নিয়ে একটি বই বের করতে বলা হলো, তিনি বলেছিলেন, "আমার সমস্ত লেখাই এলেবেলে। আমি আবার আলাদা করে এলেবেলে কেন লিখবো?" হুমায়ূন আহমেদ হয়ত বিনয় করেই বলেছিলেন তাঁর সব লেখাই এলেবেলে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে, গত কয়েক বছরের জন্য কথাটি বোধহয় বেশ ভালোভাবেই খাটে! একটা সময়ের পর হুমায়ূন সাহিত্য খুব বেশী মাত্রায় পৌনঃপুনিক হয়ে পড়লো। 'সোনালী যুগের হুমায়ূন' এর চমৎকার সব সৃষ্টির হতাশাদায়ক পাঁচমেশালী মিশ্রন নতুন বইগুলো। বিক্রিবাট্টার দিক থেকে এবং চাহিদার স্কেলে নতুন এই বইগুলোর অবস্থান হয়ত আকাশচুম্বী পর্যায়ে, কিন্তু দ্বিতীয়বার পড়বার জন্য মোটেই তারা মানানসই নয়। 'আমরা কেউ বাসায় নেই' এই 'খারাপ' বইগুলোর মিছিলে আরেকটি সংযোজন। উপন্যাস এর শুরুটা হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের টানাপোড়েন এর গল্প নিয়ে লেখা হুমায়ূন এর অসাধারণ উপন্যাস 'রজনী'র আদলে। এরপর মূল চরিত্র দুজন কখনও হয়ে পড়েছে সবাইকে হাস্যকর বানিয়ে দেয়া হিমু, কখনোবা ভয়ানক যুক্তিবাদী মিসির আলী। বয়স্ক/ বয়স্কা চরিত্রগুলো তো প্রায়ই হিমুর খালু কিংবা মাজেদা খালার প্রতিনিধিত্ব করছিলো। কোথাও 'রজনী', কোথাও 'দারুচিনি দ্বীপ', কোথাও 'হিমু', কোথাও 'বৃষ্টি বিলাস' এই নিয়েই ৯৬ পৃষ্ঠার উপন্যাস 'আমরা কেউ বাসায় নেই' (৯৬ পৃষ্ঠার পুরোটাই তো আর উপন্যাস নয়! একটা সাদা পাতা থাকবে পাঠকের নাম লেখার জন্য, একটা পাতায় ৫-৬ লাইনের 'মুখবন্ধ', একটা সাদা পাতা বইয়ের শেষে আর আরেকটা সাদা পাতা স্রেফ একটা সাদা পাতা থাকবার জন্যই!) বিশ্বাস করতে একেবারেই ইচ্ছে হয়না, গল্পের জাদুকর এর ঝাঁপিতে টান পড়েছে। হয়ত হুমায়ূন একাই দায়ী ছিলেননা। প্রকাশক ব্যবসাদাররা তো মৃতপ্রায় প্রকাশনা ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে নাকমুখ খিঁচিয়ে কষে চাবুক মেরেই গেছেন তাঁদের রেসের কালো ঘোড়াকে; "আরো জোরে ছুটিস না ক্যান?" কালো ঘোড়া ছুটেছে অনেকই, তবে চাবুকের মার ছোট রেসগুলোই শুধু জিতিয়েছে। বড় কাপ গুলো অধরাই রয়ে গেলো।