User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো একটি বই.......পড়ে ভালো লাগলো।
Was this review helpful to you?
or
কে জানি ভালোলাগে নাই। মনে হয় কিছু মিসিং
Was this review helpful to you?
or
this book is really good
Was this review helpful to you?
or
this book is really good
Was this review helpful to you?
or
Thank you Rokomari.com and Delivery man..Thik somoy a boita peye gechi..
Was this review helpful to you?
or
নীল অপরাজিতা পরছি, ভালোই লাগছে। আর কৃষ্ণ পক্ষ মুভি থাকতেও না দেইখা বই পরছি, এই ব্যাপার টাও ভালো লাগছে আর বইও
Was this review helpful to you?
or
Best
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
নামটার সাথে উপন্যাসের মিল খুজে আর পেলাম কৈ! আমার পরিচিতজনের মাঝে ইন্ট্রো-ভার্টের সংখ্যা নেহাত কম না। মাঝে মাঝে মনে হয় এদের হৃদয়ে কি কোন ভালবাসা নেই? এরা কি কারো সাথে মন খুলে কথা বলতে জানেনা? হয়ত জানে নয়ত জানেনা। যদি জানে তবে কেন বলেনা? যদি কখনো মন খুলে কারো সাথে কথার ইচ্ছা হয়; তাহলে এরা কোন টাইপের মানুষের সাথে কথা বলবে? সবগুলি প্রশ্নের উত্তর হয়ত হুমায়ন আহমেদের 'নীল অপরাজিতায়' খুজে পাবেন না; তবে এমন কিসিমের মানুষকে জানতে বইটা একেবারে আপনাকে হতাশ করবেনা। . শওকত সাহেব নামের একজন লেখক আছেন গল্পের মূল চরিত্রে। লেখালেখি করতে পাখি আর ঝিঝি পোকাদের চিল্লা-পাল্লার সাথে গ্রামের জ্যোৎস্নামাখা স্নিগ্ধ রাত অনেক বেশি প্রয়োজন। লেখক এমন এক পরিবেশ খুজতে অজপাড়াগাঁয়ের যে বাড়িতে ঠেলে উঠেছিলেন সে বাড়িতে একজন স্কুল মাস্টার (করিম সাহেব) তার মা হারা মেয়েকে নিয়ে থাকেন। সেখানে শওকত সাহেবের চলাফেরার সব ঘটনাকে লেখক মিশ্র-অনুভূতি দিয়ে প্রকাশ করেছে। বাড়ির মেজবান করিম সাহেব গোটা গ্রামের মানুষকে সাথে নিয়ে শহর থেকে আসা ফেরেশতা সমতুল্য, দেশ মাতৃকার গর্ব লেখক শওকত সাহেবের যখন যত্ন আত্তিত্বে ব্যাস্ত যখন সবকিছু ফেলে লেখক মজে গেলেন করিমের মেয়ে পুস্পের প্রেমে। গল্পে যেসব চরিত্র অধিকবার হাইলাইট হয়ছিল। লেখক শওকত সাহেব, তার স্ত্রী রেনু ও তার কন্যা স্বাতি। লেখককে আশ্রয় দেওয়া গ্রাম্য মাস্টার করিম সাহেব তার কন্যা পুস্প আর করিমের দূরসম্পর্কের ভাগ্নে বাবু। উপন্যাসে আরো একজনের আলোচনা ভাল লাগবে তিনি হলে হোমিও ডাক্তার ভবেশ বাবু। মন্তব্যঃ বেশ ভাল লেগেছে, শেষটা চমৎকার তবে আকষ্মিক-ভাবে লেখাটার ইতি টানা হয়েছে। প্রতিটা পাঠকই চাইবে আরেকটু বাড়ালেও মনে হয় বাড়াতে পারতেন লেখক। যাই হোক, না পড়ে থাকলে দ্রুত বইটা সংগ্রহ করে পড়ে ফেলুন। ভাল লাগবে আশা করা যায়।???
Was this review helpful to you?
or
নীল অপরাজিতা হুমায়ূন আহমেদ? উপন্যসটি একজন লেখককে নিয়ে। তিনি শহরের পরিবেশ ছেড়ে গ্রামের যাচ্ছেন লেখালিখি করতে। শহরের ব্যস্ত জীবন থেকে একটু মুক্তি চান। গ্রামে তিনি যার বাসায় তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। লেখক আসবেন শুনে সাধ্যের সব টুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা লেখককে চিনেন তারা সবাই লেখকের সাথে যেকোনো মূল্যেই দেখা করতে চান। শিক্ষকের মেয়ের নাম পুষ্প, তার সাথে লেখকের সব সময় কথা হয়। তবে পুষ্প লেখককে এখন এড়িয়ে চলছে। লেখকের স্ত্রী লেখকের উপর বড্ড অভিমান করেছে, লেখকের চিঠির কোনো উত্তর দিচ্ছে না। লেখক মনে করতেছেন পুষ্প তার হয়তো ডিজাইনের বাকী অংশটুকু! হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই মানে ভালোলাগা, ভালোবাসা। যতই পড়ি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। চোখ বন্ধ করলেই উপন্যাসের চরিত্রগুলো সামনে ভাসে, নিজেকে উপন্যাসের একজন মনে হয়। বইটি পড়তে পারেন, ভালো লাগবে! ♥
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের 'নীল অপরাজিতা' খুব ভাল লাগার একটা বই। কিন্তু বইটা ভাল লাগার পেছনে কী ঠিক কারণ তা এখনও বুঝিনি, হয়তো গল্পের ভেতরে নানান দৃশ্যপটে তরূণ রবীন্দ্রনাথের ছায়া আছে। ছিন্নপত্রাবলির ছায়া আছে। এরচে ভাল বই লেখকের আছে। অনেকই আছে কিন্তু এই একটা বই কেন জানি আমার খুব মনে ধরেছিল। অনেকদিন পর আবারো পড়লাম। মুগ্ধ হলাম। কিন্তু বইটার এমন নামকরণের কারণ সম্বন্ধে কেউ কি কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেন?
Was this review helpful to you?
or
Why the name of this book is NIL OPORAJITA I really don't understand! But I like this book!
Was this review helpful to you?
or
শেষের দিকে কেমন জানি ছিল । তবে গ্রামীণ পরিবেশে লেখকের লিখার চেষ্টা ব্যতিক্রমী ছিল !
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "নীল অপরাজিতা" বইটির সব চেয়ে বেশি সুন্দর মনে হয়েছে এই অংশটি লেখক হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন আমার ধারণা প্রকৃতি প্রথমে একটি চমৎকার "নকশা" তৈরি করে। অপূর্ব একটি ডিজাইন। যা জটিল এবং ভয়াবহ ধরনের সুন্দর। তারপর সেই ডিজাইনটি কাঁচি দিয়ে কেটে দু'ভাগ করে।এক ভাগ দেয় একটি পুরুষকে অন্য ভাগ একটি তরুণীকে। পুরুষটি তখন ব্যাকুল হয়ে ডিজাইনের বাকি অংশটি খুঁজতে বেড়ায়। মেয়েটিও তাই করে। কেউ যখন তার ডিজাইনের কাছাকাছি কিছু দেখে প্রেমে পড়ে যায়। তারপর দেখা যায়.... খুব জানতে ইচ্ছে হলে বইটি কিনতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৪ পর্ব-৪ মাস-অাগস্ট বই: নীল অপরাজিতা জনরা: উপন্যাস লেখক: হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশনী: মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশ কাল: দ্বাদশ মুদ্রণ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ পৃষ্ঠা: ৭০ প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ মুদ্রিত মূল্য: ১২৫৳ কাহিনী সংক্ষেপ: শহরের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে একঘেয়ে জীবনের বাইরে একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে গ্রামে যান লেখক শওকত সাহেব। তার লেখক জীবন অার চিন্তাধারা খন্ডাংশ নীল অপরাজিতা। বজলুর রহমানের পরামর্শে ময়মনসিংহ থেকে দূরে ঠাকরোকোনা গ্রামে অাসেন অবসর যাপনের জন্য যায়। যে অনিন্দ সুন্দর গ্রাম কল্পনা করে অাসছিলেন তার পুরোটাই দেখা গেল উল্টো। প্রতিটা পুরুষই হয়ত কখনো কখনো সংসারধর্ম পালন করতে গিয়ে হাপিয়ে ওঠে। তেমনি নিজ স্ত্রী রেনুর প্রতি বিরক্ত হলেও তার ত্যাগ ভালোবাসার কথা চিন্তা করে রাগ হতে পারেন না কখনো। সংসার জীবনের কিছু গোপন রহস্য থেকে যেন পালিয়ে বেড়াতেই তার এ গ্রামজীবনে অাগমন। শওকত সাহেবকে দেখাশোনা করার জন্য ছিলেন ময়নাতলা হাইস্কুলের সহকারি প্রধানশিক্ষক মোফাজ্জল করিম। অত্যন্ত সাদাসিধে এ মানুষটার কাছে লেখক সাহেব হচ্ছে দেবতার মত। তার মতে গুনীমানুষের ভাল খারাপ সব কিছুর পেছনেই ভাল উদ্দেশ্য। অপরদিকে একটু বেশি কথা বলার জন্য শওকত সাহেবের কাছে প্রথমেই তাকে বিরক্তিকর মনে হয়। গল্পের নায়িকা মেফাজ্জল করিমের মেয়ে পুষ্প। বাড়িতে থাকার ফলে লেখকের সেবা শুশ্রূষা অার গল্প করার ফাঁকে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে লেখকের সাথে। প্রথমে অবজ্ঞা করলেও লেখকের ক্রমে ক্রমে দুর্বলতা সৃষ্টি হয় পুষ্পের প্রতি। সামাজিক প্রথা অার নিজের ঘোর লাগা মোহের প্রতি অাকৃষ্ট হয়ে কখনো কখনো হারমেনে যেতে চায় লেখকের মানষমন। এভাবেই ঘাত-প্রতিঘাত, মনের অন্তরদ্বন্দকে ছাপিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। নিজস্ব মতামত: "হয়তো সহজ কাছে অাসা, তাই কাছে অাসি, হয়তো সহজ ভালোবাসা তাই ভালোবাসি। যখন সহজে কিছু পাই, ভাবি- হয়তো সহজ ছিল পাওয়া, যখন হারাই ভাবি-হায় এমন সহজে চলে যাওয়া শিখেছে মানুষ।" ভালোবাসা দারুন এক সংগা অাছে এ গল্পে। প্রকৃতি কখনো এ্যাবসুলেট বিউটি মানুষের মধ্য হতে দেয় না। গ্রামীন বর্ষা ঋতুর বর্ননা এতটাই প্রবল যে একবারের জন্য হলেও গ্রামে কাদা মাখা বর্ষায় হেঁটে অাসা হয়ে যায়। একটু বিরস লাগলেও ছোট ছোট হিউমার বইটাকে অার্কষনীয় করছে। তাসনিম রীমি
Was this review helpful to you?
or
কিছু বই মনে দ।গ কেটে য।য়, সেরকম একটি অস।ধ।রন বই ...
Was this review helpful to you?
or
উনার সব বই ই একরকম মনে হয়।
Was this review helpful to you?
or
I always love Humayun Ahmed sir...
Was this review helpful to you?
or
ভালবাসা কী ??? "ভালবাসা কী সেই সম্পর্কে আমার একটি থিওরি আছে। কাউকে কখনো বলিনি-তোমাকে বলি। আমার ধারণা প্রকৃতি প্রথমে একটি চমৎকার নকশা তৈরী করে । অপূর্ব একটি ডিজাইন । যা জটিল এবং ভয়াবহ রকমের সুন্দর ।তারপর সেই ডিজাইনটি কাঁচি দিয়ে কেটে দু'ভাগ করে।এক ভাগ দেয় একটি পুরুষকে অন্য ভাগ একটি তরুণীকে। পুরুষটি তখন ব্যাকুল হয়ে ডিজাইনের বাকি অংশ খুঁজে বেড়ায়। মেয়েটিও তাই করে । কেউ যখন তার ডিজাইনের কাছাকাছি কিছু দেখে তখন প্রেমে পড়ে যায়। তারপর দেখা যায় ডিজাইনটি ভুল। তখন ভয়াবহ হতাশা। আমার মনে হয় প্রকৃতির এটা একটা মজার খেলা । মাঝে মাঝে প্রকৃতি কি করে জান? মূল ডিজাইনের দুই অংশকে কাছাকাছি এনে মজা দেখে, আবার সরিয়ে নিয়ে যায়। প্রকৃতি চায় না এরা একত্র হোক। দু'জন মিলে মূল ডিজাইনটি তৈরী করুক। প্রকৃতির না চাওয়ার কারণ আছে-মূল ডিজাইন তৈরী হওয়া মানে এবসলিউট বিউটির মুখোমুখি হওয়া।প্রকৃতি মানুষকে তা দিতে রাজি নয়।প্রকৃতির ধারণা মানুষ এখনো তার জন্যে তৈরী হয় নি। তোমাকে এত সব বলার অর্থ একটিই-আমি সব সময় ভেবেছি তোমার কাছে ডিজাইনের যে অর্ধাংশ আছে তার বাকিটা আমার কাছে_ _ _ _!” এই পর্যন্ত লিখে শওকত সাহেবের মনে হল তিনি মিথ্যা কথা লিখছেন। রেনুর কাছে মুল ডিজাইনের অর্ধাংশ নেই।" মানব মনের দূর্বলতা -অন্তর্দ্বন্দ্ব-ঘাত-প্রতিঘাত-প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি-মায়া-মোহ সব মিলিয়েই “নীল অপরাজিতা”। উপন্যাসটির কাহিনী দাঁড়িয়েছে লেখক শওকতকে ঘিরে। সংসার নামক সমুদ্রে অজস্র ঝড়ঝাপটায় বিপর্যস্ত মানুষ ধীরে ধীরে নিঃস্পৃহ ধরনের হয়ে পড়ে। ক্লান্তিকর দিনযাপনের এক পর্যায়ে মানুষ স্বেচ্ছা নির্বাসনে যেতে চায়, চায় দূরে কোথাও গিয়ে সবকিছু কিছুদিন ভুলে থাকতে। লেখক শওকতের গল্পটাও ঠিক তেমনি। সংসার থেকে পালিয়ে গ্রামীন পরিবেশে করিম সাহেবের বাড়ীর আশ্রয়ে পুষ্পের সাথে পরিচয়। তারপর গল্প চলতে থাকে.... চলুক!
Was this review helpful to you?
or
আসাধারন একটি উপন্যাস। একজন লেখকের জীবনের কাহিনী বর্ননা করা হয়েছে । মন চাইলে পড়ে দেখতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
লেখকরা বড্ড মিথ্যেবাদী হয়। মিথ্যা ভালবাসার গল্প আর আশ্বাস কলমের ডগায় কী দারুণ ফুটিয়ে তোলে! আমরা ভাবি, ইশ! লেখকের জীবনসঙ্গিনী কত ভাগ্যবতী! কিন্তু বাস্তবে কি এমনটা হয় সবক্ষেত্রে? নীল অপরাজিতা উপন্যাসটি কি লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর আত্মজীবনী? না। লেখক শুরুতেই বলে দিয়েছেন এই উপন্যাসের সাথে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কোন মিল নেই।এটা নিছক একটা উপন্যাস। শওকত সাহেব,একজন বিখ্যাত লেখক (ঔপন্যাসিক)। নিরিবিলিতে লেখালেখি করার জন্য ময়মনসিংহ থেকে চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ মাইল দূরবর্তী ঠাকরোকোনা নামক এক অজপাড়াগাঁ এলাকায় আসেন বজলুর রহমান নামক এক মহাকবির(নিজেকে দাবি করে আরকি!) অনুরোধে। এখানে এসে ময়নাতলা হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল করিম নামক ব্যক্তির বাড়িতে ওঠেন। জরাজীর্ণ দোতলা ভবন,ছাদ ধ্বসে গেছে।কিন্তু বজলুর রহমান বলেছিলেন জায়গাটা আহামরি হবে,কিন্তু শওকত সাহেবের আশা ঘরে পদার্পণের আগেই ভেস্তে গেলো। করিম সাহেবের মেয়ে 'পুষ্প', কলেজপড়ুয়া। যার উপর লেখক শওকত সাহেবের দেখভাল করার দায়িত্ব বর্তায়।কিন্তু শওকত সাহেব পুষ্প বা তার বাবাকে সহ্য করতে পারেন না। কারণ মোফাজ্জল করিম খুব বেশি কথা বলেন যা বড়ই বিরক্তিকর কিন্তু পুষ্প? সে তো বেশি কথা বলে না! তাকে অগ্রাহ্য করার কারণ কী? মোফাজ্জল করিমকে অগ্রাহ্য করলেও তিনি কিছু মনে করেন না,তার ধারণা "সৃষ্টিশীল মানুষ হচ্ছে ঈশ্বরের মত। ঈশ্বর যেমন মন্দ কিছু করতে পারে না, এঁরাও পারেন না" সময় অতিবাহিত হয়।লেখাও জোর কদমে এগোচ্ছে। শওকত সাহেব, স্ত্রী রেনুকে পত্র ও পাঠাচ্ছে। কিন্তু কোথাও যেন ছন্দপতন হয়েছে। পুষ্প মেয়েটাকে আর অসহ্য লাগে না,বরং তার সাথে কথা বললে ভালো লাগে। পুষ্প রূপবতী, শওকত সাহেবের থিওরি হচ্ছে 'রূপবতীদের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে কিন্তু কাছে যেতে ইচ্ছে করে না। যারা আকর্ষণীয়া তারা নিজেদের দিকে প্রবল ভাবে আকর্ষণ করে' কিন্তু পুষ্প কি তাকে আকর্ষণ করছে না? মাঝে বাবু নামক আরেক চরিত্রের আবির্ভাব ঘটে। যার কথা শুনে পুষ্প অভিভূত হয় এবং প্রানখুলে হাসে। বাবুর মাঝে এমন কী আছে তা শওকত সাহেবকে ভাবিয়ে তোলে। ভালবাসা সম্পর্কে শওকত সাহেব একটা থিওরি দাঁড়া করান এবং শুধুমাত্র স্ত্রী রেণুকেই তা চিঠি লিখে জানান। কী সেই থিওরী? শওকত সাহেব রেণুকে চিঠিতে লেখে, আমার অর্থবিত্ত ছিল না,খ্যাতি ছিল না,ক্ষমতা ছিল না।লেখার একটা কলম ছিল। আর ছিলে তুমি।তখন প্রায়ই ভাবতাম কোনটা আমার প্রিয় কলমটা না তুমি? ব্যক্তিগত মতামতঃ হুমায়ূন আহমেদ একজন জাদুকর। তাঁর লেখা পড়ে হয়ত কম ভালো লেগেছে অথবা বেশি ভালো লেগেছে।কখনো খারাপ লেগেছে এমনটা মনে হয়নি। তো 'নীল অপরাজিতা' বইটা পড়ে আমার কম ভালো লেগেছে। অন্যান্য উপন্যাস আমাকে যতটা মুগ্ধ করেছে এটা পড়ে ততটা মুগ্ধ হইনি। তবে হ্যাঁ খারাপ লাগেনি কিন্তু। বইটাতে সিরিয়াস বিষয়ের পাশাপাশি হাস্যরসাত্মক কিছু খুঁজে পাবেন যা পড়লে মন ভালো হয়। ভালবাসার যে থিওরি টা লিখেছেন সেটা খুব বেশি ভালো লেগেছে। তেতুল বনে জোছনা বইটা যেমন শুধুমাত্র একটা উক্তির জন্য বহুদিন,বহুবছর মনে থাকবে তেমনি এই থিওরিটাও বইটাকে মনে রাখাতে সহায়তা করবে বলে আশাবাদী। সবমিলিয়ে ছোট্ট পরিসরে লেখা বইটা ভালোই।
Was this review helpful to you?
or
Premer sukkho onuvuti r halka othocho tibro ek betha er songmisron holo "nil oporajita"... Ek sathe onk onuvutir sathe porichoi koriye dibe Boi tI!!!
Was this review helpful to you?
or
বই: নীল অপরাজিতা জনরা: উপন্যাস লেখক: হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশনী: মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশ কাল: দ্বাদশ মুদ্রণ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ পৃষ্ঠা: ৭০ প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ মুদ্রিত মূল্য: ১২৫৳ কাহিনী সংক্ষেপ: শহরের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেতে একঘেয়ে জীবনের বাইরে একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে গ্রামে যান লেখক শওকত সাহেব। তার লেখক জীবন অার চিন্তাধারা খন্ডাংশ নীল অপরাজিতা। বজলুর রহমানের পরামর্শে ময়মনসিংহ থেকে দূরে ঠাকরোকোনা গ্রামে অাসেন অবসর যাপনের জন্য যায়। যে অনিন্দ সুন্দর গ্রাম কল্পনা করে অাসছিলেন তার পুরোটাই দেখা গেল উল্টো। প্রতিটা পুরুষই হয়ত কখনো কখনো সংসারধর্ম পালন করতে গিয়ে হাপিয়ে ওঠে। তেমনি নিজ স্ত্রী রেনুর প্রতি বিরক্ত হলেও তার ত্যাগ ভালোবাসার কথা চিন্তা করে রাগ হতে পারেন না কখনো। সংসার জীবনের কিছু গোপন রহস্য থেকে যেন পালিয়ে বেড়াতেই তার এ গ্রামজীবনে অাগমন। শওকত সাহেবকে দেখাশোনা করার জন্য ছিলেন ময়নাতলা হাইস্কুলের সহকারি প্রধানশিক্ষক মোফাজ্জল করিম। অত্যন্ত সাদাসিধে এ মানুষটার কাছে লেখক সাহেব হচ্ছে দেবতার মত। তার মতে গুনীমানুষের ভাল খারাপ সব কিছুর পেছনেই ভাল উদ্দেশ্য। অপরদিকে একটু বেশি কথা বলার জন্য শওকত সাহেবের কাছে প্রথমেই তাকে বিরক্তিকর মনে হয়। গল্পের নায়িকা মেফাজ্জল করিমের মেয়ে পুষ্প। বাড়িতে থাকার ফলে লেখকের সেবা শুশ্রূষা অার গল্প করার ফাঁকে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে লেখকের সাথে। প্রথমে অবজ্ঞা করলেও লেখকের ক্রমে ক্রমে দুর্বলতা সৃষ্টি হয় পুষ্পের প্রতি। সামাজিক প্রথা অার নিজের ঘোর লাগা মোহের প্রতি অাকৃষ্ট হয়ে কখনো কখনো হারমেনে যেতে চায় লেখকের মানষমন। এভাবেই ঘাত-প্রতিঘাত, মনের অন্তরদ্বন্দকে ছাপিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। নিজস্ব মতামত: "হয়তো সহজ কাছে অাসা, তাই কাছে অাসি, হয়তো সহজ ভালোবাসা তাই ভালোবাসি। যখন সহজে কিছু পাই, ভাবি- হয়তো সহজ ছিল পাওয়া, যখন হারাই ভাবি-হায় এমন সহজে চলে যাওয়া শিখেছে মানুষ।" ভালোবাসা দারুন এক সঙ্গা অাছে এ গল্পে। সেটা জানার জন্য হলেও বইটা পড়া উচিত হুমায়ূন প্রেমীদের। প্রকৃতি কখনো এ্যাবসুলেট বিউটি মানুষের মধ্য হতে দেয় না। গ্রামীন বর্ষা ঋতুর বর্ননা এতটাই প্রবল যে একবারের জন্য হলেও গ্রামে কাদা মাখা বর্ষায় হেঁটে অাসা হয়ে যায়। একটু বিরস লাগলেও ছোট ছোট হিউমার বইটাকে অার্কষনীয় করছে।
Was this review helpful to you?
or
নীল অপরাজিতা উপন্যাসটি ঘুরপাক বা আবর্তন করেছে একজন লেখক কে ঘিরে যার নাম শওকত। এই লেখকের জীবনের ছোট একটা অধ্যায় উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে খুব সুচারূরুপে। লেখকের জীবনের প্রাপ্তি,অপ্রাপ্তি,মায়া,মোহ সবই আছে উপন্যাসের বিভিন্ন লাইনে লাইনে। মূল গল্পের সারাংস এখন বলতেই হচ্ছে। শওকত সাহেব তার লেখা শেষ করার জন্য অবস্থান পরিবর্তন করেন,কারন পরিবেশ পার্থক্যে লেখকদের লেখনী কখনো কখনো অন্যরকম মাত্রা নিয়ে আসে সেই বিষয়টা পরীক্ষা করা,এছাড়াও লেখক শওকত সাহেব তার চলমান জীবন থেকে কিছুটা ব্রেক চেয়েছিলেন। আসলে জীবন চলার পথে সংসার ধর্ম করতে করতে অধিকাংশ পুরুষই বোধহয় একটা সময় হাপিয়ে উঠে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে উক্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে। স্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে আশেপাশের পরিবেশ যেমন বদলায় তেমনি চেনা মানুষের স্থানে অপরিচিত মুখ চলে আসে। সেই প্রবাহমানতায় গল্পের নায়িকা পুস্পের আগমন। দারুন সুন্দর নাম “পুস্প”। পুস্পের নাম যেমন সুন্দর তেমনি তাহার রুপ। পুরুষরা বোধকরি মেয়েদের রুপই আগে দেখে,আর লেখকরা আরো বেশি দেখেন। লেখক শওকত সাহেব তার চেতন বা অবচেতন মনে সেই রুপের প্রেমে পড়ে যান। আসলে শব্দটা প্রেম হবে না হবে মোহমায়া, তিনি পুস্পের মোহমায়ায় পড়ে যান। অসাধারণ সেই মুগ্ধতা। কিন্তু প্রকাশের অবকাশ ছিল না। অপর দিকে গল্পে শওকত সাহেবের স্ত্রীর প্রতিও অনেক স্থানে তারপ্রতি কিছুটা অভিমান প্রকাশ পেলেও ভালবাসাকে তা ছাপিয়ে যেতে পারে নি। কিন্তু জীবনে অনেক কিছু চাইলেও বাস্তবতা,সামাজিকতা,নিজের বিবেকবোধ এর কারনে মানুষ তা বলতে পারে না বা তাকে উপেক্ষা করে চলতে হয়। পুস্পের প্রতি লেখকের এই দূর্বলতা এবং তার নিজের ভেতরের অন্তর্দন্দ্ব দিয়েই শেষ হয়েছে গল্পের উপ্যাখ্যান। হুমায়ুন আহমেদ নিজে গল্পটি শেষ না করে পাঠকের মনের ভাবনার উপর ছেড়ে দিয়েছেন শেষ অংশে এসে যার কারনে পাঠকের দায় বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। উপন্যাসটি সুখ পাঠ্য এবং পড়ার পর বর্ষা ঋতুকে নতুন করে ভাবনায় এনে দেবে যে কাউকে। আমরা সচরাচর প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষন করিনা উপেক্ষা করে যাই,কিন্তু এই উপন্যাস পাঠের মধ্যদিয়ে সচেতন পাঠকের মাঝে নতুন করে বর্ষাকে দেখার সাধ হবে বলে আমার ধারনা। গল্পে নারী মন কেমন এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যাবহার কেমন হয় তার সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে। এই ক্ষেত্রে একটা বিষয় উল্লেখ্য যে, শওকত সাহেবের লেখালেখি করার জন্য স্থান পরিবর্তন তার স্ত্রী পছন্দ করেন না তার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই তার স্ত্রী তার ব্যাগ গোছানোর সময় অপ্রয়োজনীয় একটা বই দিয়ে দেয়। হয়তো এটাই ছিল শওকত সাহেবের স্ত্রীর নীরব প্রতিবাদ। লেখনীর এই পর্যায়ে সামান্য সমালোচনা করতে চাচ্ছি।আমার কাছে উপন্যাস হিসাবে এর চরিত্রের সংখ্যাগুলি সল্প মনে হয়েছে। পুস্পের চরিত্র আরো বিকশিত হবার সুযোগ ছিল বলে মনে হয়েছে। আর এ কথা না বলে থাকতে পারছি না যে, বইটির প্রচ্ছদ মোটেও গল্পের সাথে যায় নি। প্রচ্ছদে আরো ভাল কিছু আশা করেছিলাম একজন পাঠক হিসাবে। আমার কাছে মনে হয়েছে প্রচ্ছদটা উপন্যাসের আগে করা হয়েছে বা তাড়াহুড়ো করে করা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
"ভালবাসা কি সেই সম্পর্কে আমার একটি থিওরি আছে। কাউকে কখনো বলিনি-তোমাকে বলি। আমার ধারণা প্রকৃতি প্রথমে একটি চমৎকার নকশা তৈরী করে । অপূর্ব একটি ডিজাইন । যা জটিল এবং ভয়াবহ রকমের সুন্দর ।তারপর সেই ডিজাইনটি কাঁচি দিয়ে কেটে দু'ভাগ করে।এক ভাগ দেয় একটি পুরুষকে অন্য ভাগ একটি তরুণীকে। পুরুষটি তখন ব্যাকুল হয়ে ডিজাইনের বাকি অংশ খুঁজে বেড়ায়। মেয়েটিও তাই করে । কেউ যখন তার ডিজাইনের কাছাকাছি কিছু দেখে তখন প্রেমে পড়ে যায়। তারপর দেখা যায় ডিজাইনটি ভুল। তখন ভয়াবহ হতাশা। আমার মনে হয় প্রকৃতির এটা একটা মজার খেলা । মাঝে মাঝে প্রকৃতি কি করে জান? মূল ডিজাইনের দুই অংশকে কাছাকাছি এনে মজা দেখে, আবার সরিয়ে নিয়ে যায়। প্রকৃতি চায় না এরা একত্র হোক। দু'জন মিলে মূল ডিজাইনটি তৈরী করুক। প্রকৃতির না চাওয়ার কারণ আছে-মূল ডিজাইন তৈরী হওয়া মানে এবসলিউট বিউটির মুখোমুখি হওয়া।প্রকৃতি মানুষকে তা দিতে রাজি নয়।প্রকৃতির ধারণা মানুষ এখনো তার জন্যে তৈরী হয় নি। তোমাকে এত সব বলার অর্থ একটিই-আমি সব সময় ভেবেছি তোমার কাছে ডিজাইনের যে অর্ধাংশ আছে তার বাকিটা আমার কাছে_ _ _ _!” এই পর্যন্ত লিখে শওকত সাহেবের মনে হল তিনি মিথ্যা কথা লিখছেন। রেনুর কাছে মুল ডিজাইনের অর্ধাংশ নেই।" মানব মনের দূর্বলতা -অন্তর্দ্বন্দ্ব-ঘাত-প্রতিঘাত-প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি-মায়া-মোহ সব মিলিয়েই “নীল অপরাজিতা”। উপন্যাসটির কাহিনী দাঁড়িয়েছে লেখক শওকতকে ঘিরে। সংসার নামক সমুদ্রে অজস্র ঝড়ঝাপটায় বিপর্যস্ত মানুষ ধীরে ধীরে নিঃস্পৃহ ধরনের হয়ে পড়ে। ক্লান্তিকর দিনযাপনের এক পর্যায়ে মানুষ স্বেচ্ছা নির্বাসনে যেতে চায়, চায় দূরে কোথাও গিয়ে সবকিছু কিছুদিন ভুলে থাকতে। লেখক শওকতের গল্পটাও ঠিক তেমনি। সংসার থেকে পালিয়ে গ্রামীন পরিবেশে করিম সাহেবের বাড়ীর আশ্রয়ে পুষ্পের সাথে পরিচয়। তারপর গল্প চলতে থাকে.... চলুক!
Was this review helpful to you?
or
আপনারা কি হিমু সিরিজের গল্প #হিমুর_হাতে_কয়েকটি_নীল পদ্ম পড়েছেন। নীল পদ্ম থিওরি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছিল ঠিক তেমনি এ বইটাতেও এরকম একটা থিওরির কথা উল্লেখ আছে যেটা আমার সত্যিই অসাধারণ লেগেছে। একজন লেখক যিনি অনেক ভালো লিখতে পারেন এবং সেইসাথে বিখ্যাত হয়েছেন। তার সব গল্প, কাহীনি তৈরী হয়েছে শহরের কোলাহল যুক্ত পরিবেশে। মানুষদের হাউকাউ, গাড়ির হর্ন একেবারে বিষিয়ে তুলেছিল তাকে। তাই একটু হাওয়া বদল দরকার। আর সেইজন্য ২০ দিনের জন্য গ্রামে আসা। গ্রামের পরিবেশে এবং শহরের পরিবেশের মধ্যে কোন পরিবেশে গল্প লেখা জমে নীল অপরাজিতায় হবে তার অগ্নীপরীক্ষা। গ্রাম সম্পর্কে লেখক শওকতের খুব একটা ধারনা ছিল না কিন্তু বজুলুর রহমান গ্রাম সম্পর্কে বলায় তার এমন ধারনা হয়েছে যে শেষ পর্যন্ত গ্রামে আসলেন কিন্তু বজুলুর রহমানের বলা গ্রামের সাথে এই গ্রামের কোন মিল নেই। প্রথম কথা বর্ষাকাল হওয়া সত্বেও কোন ব্যঙ্গের ডাক শুনতে পাচ্ছেন না তিনি। বর্ষাকাল তাহলে ব্যঙ ডাকবে না কেন? লেখা বাদ দিয়ে শওকাত খুজতে লাগলেন সেই রহস্য। পেলেও গেলেন অদ্ভুত সব সমাধান। গ্রামে এসেছেন কোলাহল মুক্ত পরিবেশে লেখালেখি করতে কিন্তু এটা যেন অপূরণীয় কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারন গ্রামে এমন সব মানুষদের সাথে পরিচয় হচ্ছে যারা অনর্গল কথা বলতে ভালবাসে। অপরজন বিরক্ত হল কি হলনা সেদিকে তাদের খেয়াল নেই। এরকম অনেক মানুষের মজারসব কথা উল্লেখ আছে তবে আর একজন আছে যাকে বলা যেতে পারে গল্পের নায়িকা তার কথা কিছু বলি। নায়িকার নাম পুষ্প। পুষ্পের সাথে প্রথমে শওকত অনেক খারাপ ব্যাবহার করে। কিন্তু সেটা গায়ে মাখে না সে। বরং যেদিন প্রচন্ডে ঝরের কবলে পরে মর মর অবস্থা হয়েছিল শওকতের সেদিন অনেক যত্নআত্তি করে। এভাবে আরো ছোটখাটো বিষয়ের পরে পুষ্পের প্রতি একটা ভাল লাগা তৈরী হয়। কিন্তু শওকত বুঝতে পারেনা এটা ভালবাসা কিনা। ভালবাসা না হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি কারন শওকত বিবাহিত, অনেক বড় মেয়ে আছে তার। এরমধ্যে ঘটে যায় অনেক ঘটনা, গ্রামে মঠ দেখতে যাওয়া থেকে বৃষ্টিতে ভেজা সহ আরো অনেক কিছু। তবে সব ঘটনাকে ছাপিয়ে জন্ম নেয় তৃতীয় এক ব্যক্তি। আর তার কারনেই গল্প নেয় নতুন মোড়। এই মোড় সাধারন কোন ঘটনা নয় বরং সাজানো একটা ঘটনা যেটা তৈরী হয়েছে একমাত্র অবহেলার কারনে....... এই হল ঘটনা, এখন আমি যেটা বলবো সেটা হল শওকাত অনেক বিখ্যাত লেখক আর সেজন্যই সেটা প্রকাশ করতে সে ভালোবাসে। এক নাম্বারের অহংকারী সে। শওকতের ওপর আমার ভীষন রাগ হচ্ছিল যখন গ্রামের গুনী লোকেরা তার সাথে দেখা করতে এসেছিল তথচ সে দেখা করেনি। খাওয়া দাওয়ার আয়োজনেও আসেনি। শওকতের ওপর আমার যেরকম রাগ হয়েছিল পুষ্টেরও তেমন রাগ হয়েছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে পুষ্প সেই রাগের যথাযথ উত্তর দিয়েছে কিন্তু আমি চাইলেও পারছিনা। আর তাই শওকত কে অহংকারী, দাম্ভিক বলে ঝাল মেটালাম। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে