User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Md. Ismail Hossain

      21 Dec 2023 09:48 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ুন আহমেদ লেখা মানে জাদুর মতো। যা লিখেন তা-ই সৃষ্টি হয়।

      By Junayed Ahmed

      29 Nov 2023 08:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good book for children

      By Sajia Afrin

      07 Jan 2022 01:56 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Boi ti amar kache otota bhalo lageni.

      By Laxmi Akter

      13 Jul 2021 12:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাচ্চা একটি ধনীর দুলালকে গল্পটি। খুব ছোট হলেও বেশ মজার। অনেকটাই বাস্তবতার সাথে সামন্জস্যপূর্ণ। হুমায়ূন আহমেদের কিশোর গল্পগুলো যেকোন বয়সেই পড়তে বেশ ভাল লাগে।

      By Aliul Islam

      07 Apr 2021 10:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Thanks a lot.

      By Proma

      04 Nov 2019 10:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আচ্ছা কখনো কি ভেবেছেন শ্রেণি বৈষম্য শিশুদের চোখে কেমন? হয়তো ভাবেন নি। যদি ভাবতে চান তাহলে পড়ে দেখুন 'পুতুল'। উপন্যাসটি শিশু কিশোরদের জন্য হলেও পড়তে ভাল লাগবে। এছারা স্কুল পড়ুয়া দের গিফট করে দিন 'পুতুল 'বইটি। গল্প শুরু হয় পুতুল কে নিয়ে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রএর নাম পুতুল। পুতুল উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। পুতুলকে তার বাবা মা স্কুলে যেতে দেন না। কারো সাথে মিশতে দেন না। পুতুলের জীবন নিঃসঙ্গ। ঘটনা ক্রমে পুতুল একদিন বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। তার দেখা পায় অন্ত নামের এক টোকাইয়ের। এভাবেই সে দেখা পায় অন্য এক জগৎ এর। যেখানে মানুষ কতটা নিস্ঠুর। 'পুতুল' বইটা পড়ে মন খারাপ হয়ে যায় খুব। পুতুল নামের ছেলেটার জন্যও আর অন্ত নামের পথ শিশুদের জন্যও। আসলে হুমায়ুনআহমেদ খুব সুন্দর করে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। মাত্র ৯০ টাকার অসাধারণ বইটি আপনাকে হয়তো বাস্তবতা বুঝিয়ে দিবে।

      By ফয়সাল আহমেদ

      11 Oct 2019 12:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নামঃ পুতুল লেখকের নামঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃ প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা মূল্যঃ৯০ টাকা মাত্র হুমায়ূনের যে উপন্যাস নিয়ে তূলনামুলকভাবে অনেক বেশি আলোচনা হবার কথা ছিল, উচিত-ও, কিন্তু যতদূর চোখে পড়ে,হয়নি, সে খানা ''পুতুল" তিনি লিখেছেন প্রচুর, সেই অতিদীর্ঘ তালিকায় পুতুলের মতো মাস্টারপিস আছে, আছে শেষবয়সে ওগড়ানো মধ্যাহ্ন বা নীল মানুষের মতো অখাদ্য।কিন্তু পুতুল ভিন্ন লেভেলর এবং একটু আলাদা।বাচ্চাদের নিয়ে গল্প। কিন্তু রূপকথার কোন গল্প নয়। কঠিন বাস্তবের গল্প। পুতুল নামের একটি বাচ্চা একদিন ইচ্ছা করে হারিয়ে যায়। পরে তার সাথে দেখা হয় দুই পথশিশু ভাইবোন-- অন্তু আর মরিয়মের। এদের সাথে অনেক বিচিত্র কিছু অভিজ্ঞতা হয় পুতুলের। ধনি গরিবের পার্থ্যক্যের চাদরটা কিছুক্ষণের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়।কিছু কিছু অপ্রিয় বাস্তবতাকে মেনে নিতে না পেরে চলতে থাকাই জীবনের রূঢ় বাস্তবতা। এই শিক্ষাই অন্তু আর মরিয়ম পেলো অপরিচিত পুতুলের সাথে ক্ষনিকের বন্ধুত্বে।এমনি অসাধারণ একটি কাহিনীর অবতারণা বইটিতে। আমার পড়া সেরা একটি বই।

      By Nafim Ul Abir

      26 Apr 2019 10:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নাম: পুতুল লেখক: হুমায়ূন আহমেদ ধরন: শিশুতোষ সামাজিক উপন্যাস প্রকাশনী: প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা পৃষ্ঠাসংখ্যা: ৬২ পৃষ্ঠা প্রথম প্রকাশ: ১৯৮২ সাল প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ: রফিকুন নবী মূল্য: ছাব্বিশ টাকা (১৯৮২ সংস্করণ) . হুমায়ূন আহমেদের ‘পুতুল’ বইটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। বইটির প্রধান চরিত্র- ‘পুতুল’। পুতুল একটি ছেলের নাম, যে বড়লোক বাবা-মায়ের সন্তান। অসম্ভব সুদর্শন একটি ছেলে। কিন্তু বিধি বাম—মরণ রোগে আক্রান্ত সে। তার বাবা-মা দু’জনই খুবই ক্ষমতাবান। এই ক্ষমতা আর টাকার মোহে পড়ে থাকা বাবা-মা’র নিঃসঙ্গ ছেলে পুতুল। . তার প্রধান সঙ্গী কোনো খেলার সাথী নয়, তার বাড়ির বাগানের কদম গাছগুলো। আজ সেগুলো কেটে ফেলা হবে। সেজন্য পুতুলের মন খারাপ। এই নাটকীয়তা দিয়েই শুরু হয়েছে গল্প। লেখক শুরু করেছেন এভাবে—পুতুলের ঘর থেকে তাদের বাগানটা দেখা যায়। এত সুন্দর লাগে তার। শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে।...’ . এক নাটকীয় ঘটনায় পুতুল বাড়ির বাইরে বের হয়ে আসে। না, বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে নয়। একজন বুড়ো মানুষের পিছু-পিছু যেতে গিয়ে। অন্তু মিয়া নামক একটি ছেলের সঙ্গে দেখা হয় তার। দু’জনের কথা হয়, বন্ধুত্ব হয়। অন্তু শোনে পুতুলের জীবনের কাহিনি, পুতুল স্বচক্ষে দেখে অন্তুর জীবনকাহিনি। যেখানে দু’মুঠো ভাতের জন্য সংগ্রাম করতে হয়। অনেকটাই মার্ক টোয়েনের ‘দ্য প্রিন্স এন্ড দ্য পপার’ এর মতো গল্পটা। তবে এখানে রাজকুমার ও ভিখারি বিচ্ছিন্ন নয়, তারা এক। . পুতুলের বাবা পুতুলের সন্ধান বের করার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। তার মা পুতুলকে খোঁজার জন্য অস্থির হয়ে যান। কিন্তু অস্থির হলে কী হবে, পুতুল যেখানে থাকার কথা সেখানে তো আছেই! . অন্তু আর তার বোন মরিয়মকে নিয়ে পুতুল ঘুরতে থাকে। কত বিচিত্র মানুষের সাথে তার দেখা হয়! কেউ গান গেয়ে দাঁতের মাজন বেচে, কেউ কলসিতে করে পানি বেচে। মরিয়মের ভাষায়—একেক জন থাকে একেক কিসিমের। . ঘটনা এগিয়ে চলে তার নিজস্ব গতিতে। আমি আর বাকিটুকু বলব না। কোনো অ্যাডভেঞ্চার নেই, কোনো অ্যাকশন নেই, শুধু ঘুরে বেড়ানো। তবুও সাবলীল, ছন্দময় গল্প। কে জানে, হয়তো লেখকের লেখার জন্যই! . বইয়ের সারকথা এটুকুই। বইটার ভালোমন্দ’র ব্যাপারে আলোকপাত করা উচিত। বইটির যে বিষয়টি সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেটা হলো বইটির বিষয়বস্তু। এরকম একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে শিশুতোষ গল্প লেখা—সত্যিই, খুবই কঠিন। . হুমায়ূন আহমেদের লেখার সাবলীলতার কথা না বলে পারলাম না। কোনোখানে আটকে যাবার সুযোগ নেই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠককে নাটকীয়তার মধ্যে ধরে রেখেছেন লেখক। লেখক বইটি লিখতে শিশুদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেছেন, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। একটি শিশু, হোক সে গরিব কিংবা ধনী—কীভাবে তার আশেপাশের পরিবেশ, তার বাবা-মাকে দেখে, সেটি খুব নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর এক লেখাতেই তিনি লিখেছেন—‘একজন লেখকের প্রধান কাজই হচ্ছে বিশেষভাবে দেখা। সেই দেখার বস্তু যদি নিজের পুত্র হয়, তাহলে পুরো ব্যাপারটা আরো বিশেষ হয়ে দাঁড়ায়। ...আমি গভীর আগ্রহে নিষাদকে দেখি। তার অনেক কর্মকাণ্ড আমার গল্প-উপন্যাসে চলে আসে।...’ . লেখকের সবচেয়ে বড় সার্থকতা, লেখক এখানে পাঠককূলকে একটা শিক্ষা দিতে পেরেছেন। সেটা হলো , আমরা সবাই মানুষ। দিনশেষে ধনী ও গরিব—সকলেই এক। . বইটি আমার ব্যক্তিজগতে খুব ভালোভাবে নাড়া দিয়েছে। আমি পথশিশুদের দেখা শুরু করেছি। করুণার দৃষ্টিতে নয়, মানুষের দৃষ্টিতে। . বইটির যে অংশ খারাপ লেগেছে সেটি হলো পৃষ্ঠার স্বল্পতা। মাত্র ৬২ পৃষ্ঠার গল্পতে চোখ, মন কোনোটাই ভরে না। তাছাড়া শেষেরদিকে অন্তুর বাবার বর্ণনাটা আরো বেশি করে দিলে ভালো হতো। যাহোক, সবমিলিয়ে দারুণ একটি শিশুতোষ সামাজিক উপন্যাস—‘পুতুল’। শুধু ছোটদের জন্য না, বড়দের জন্যও সমান উপাদেয় বই এটি। . লেখক পরিচিতি: নাম: হুমায়ূন আহমেদ জন্ম: ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ মৃত্যু: ১৯ জুলাই ২০১২ কিংবদন্তি এই কথাসাহিত্যিকের বেশিরভাগ গল্প নগরজীবনের পটভূমিতে রচিত হলেও গ্রামীণ জীবনের চিত্রও ফুটে উঠেছে। সামাজিক উপন্যাসে তাঁর লেখার ঝোঁক বেশি থাকলেও নন-ফিকশন, সায়েন্স ফিকশন ইত্যাদিতেও হাত পাকিয়েছেন তিনি। তার উদাহরণ: বৃক্ষকথা, ফিহা সমীকরণ, নিউটনের ভুলসূত্র, শূন্য ইত্যাদি।

      By Imam Abu Hanifa

      22 Jan 2018 10:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      পুতুল একটি এগারো বছরের বালক। সে সমাজের এলিট শ্রেণির একটি পরিবারের সন্তান। জন্ম থেকে হার্টের সমস্যার কারনে তার পিতামাতা তাবে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে। পুতুলের পিতামাতা সারাদিন বাড়ির বাইরে কাজে ব্যাস্ত থাকায় পুতুলকে বেশি সময় দিতে পারে না। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পুতুল বাসা থেকে বের হয়ে হাটতে হাটতে চলে যায় সোহরাওয়ার্দি উদ্যান। সেখা দেখা হয় তার বয়সি ছেলে অন্তুর সাথে। অন্তু এবং তার দুই বছরের ছোটবোন মরিয়ম কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘুমায়। এই দুইজনের সাথে সারাদিন বিভিন্ন মজার মজার কাজ করে পুতুল পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে পাঠপ্রতিক্রিয়া লেখা বেশ মুশকিল। এই বইটাও তাই। এই লেখক খুব চমৎকারভাবে সমাজের সম্পূর্ণ দুই মেরুতে বাস করা দুটি শ্রেণির জীবন ব্যাবস্থা একত্রে ফুটিয়ে তোলেন। ৫৭ পৃষ্ঠায় যখন অন্তু আর মরিয়ম তাদের ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা বলে, তখন নিজের অজান্তেই চোখে পানি আসে। সবশেষে পুতুলের বিরাট বাড়ি দেখে অন্তু আর মরিয়মের কেন যেন খুব কষ্ট হয়। গল্পের শেষে কষ্টটা আমার বুকেও জমাট হয়ে থাকলো

      By Ahshan Habib Murad

      08 Dec 2016 02:50 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      'পুতুল' মূলত কিশোর উপন্যাস৷ কিন্তু, বড়দের অবশ্যই পড়া উচিত৷ উপন্যাসের মূল চরিত্র পুতুল সমাজ এর উচ্চ বিত্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান৷ বয়স এগার৷ শারীরিক অসুস্থতার জন্য স্কুলে যেতে পারে না৷ সেজন্য সারাদিন বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে তাকে বন্দি থাকতে হয়৷ বাবা মা দু'জনেই নিজ নিজ কাজে সারাদিন ব্যস্ত থাকে। পুতুলকে আলাদা করে সময় দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না৷ বাড়িতে বেশ কিছু চাকর বাকর থাকলেও পুতুলের সমবয়সী কেউ নেই৷ বন্ধুর অভাবে পুতুল বাড়িতে তিনটি বড় বড় গাছের সাথে কথা বলে সময় কাঁটায়৷ হটাৎ বাসায় আলো ঢোকার অজুহাতে বাবা-মা গাছ গুলো কাঁটার সিদ্ধান্ত নেয়৷ গাছ কাঁটার কথা শুনে পুতুরলের খুব মন খারাপ হয়ে যায়। গাছ গুলো যেন কাঁটা না হয়, সে তার মা’কে বলে। কিন্তু পুতুলের মা তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। যেদিন গাছ কাঁটার কথা সেদিন সকাল বেলা পুতুল কাওকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়৷ পথে দেখা হয়ে যায় অন্তু নামের রাস্তার এক দুরন্ত ছেলে ও তার কুকুরের সাথে৷ পুতুল স্বাধীন ভাবে তাদের সাথে সাথে ঘুরতে থাকে। তারপর দেখা হয় অন্তুর বোন মরিয়ম এর সাথে। এরপর সবাই মিলে ট্রেনে করে ময়মনসিংহে অন্তুদের বাড়ি যায়। এদিকে পুতুলের বাবা-মা পুতুলকে না পেয়ে সমস্ত শহর তন্নতন্ন করে খুঁজতে থাকে। হাসপাতাল থানা কোথায় বাদ যায় না। পুরষ্কারও ঘোষণা করে। শেষে অন্তু ও তার বোন মরিয়ম পুতুলকে তার বাসায় পৌচ্ছে দিয়ে যায়। সমাজের ভিন্ন স্তরের শিশুদের জীবন ধারার যে অসম পার্থক্য হুমায়ূন আহমেদ তা স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছেন।

      By Wasifa Zannat

      15 Sep 2016 10:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পুতুলের বয়স এগারো।সে তার বাবা-মায়ের সাথে থাকে।তার হার্টের জটিল অসুখ রয়েছে। একারণে সে এখন আর স্কুলে যায় না,বাসায় শিক্ষক এসে তাকে পড়িয়ে যায়।ব্যস্ত বাবা-মায়ের নিঃসঙ্গ এই ছেলেটির জীবন কাটে বাগানে ঘুরে আর গাছেদের সাথে কথা বলে বলে।পরিবারের আভিজাত্য এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়, যা তার একদমই ভাল লাগে না।একদিন খুব ভোরে সবার অলক্ষ্যে সে বাড়ি থেকে চুপি চুপি বেরিয়ে পড়ে।দেখা হয় অন্তুমিয়া নামে তারই বয়সী আরেকটি শিশুর সাথে যার বসবাস পুতুলের একেবারেই উল্টো পিঠে।যার আশ্রয় কমলাপুর রেলস্টেশন, যার পেটে সারাদিনে একবেলা ভাতের নিশ্চয়তা নেই।কিন্তু রয়েছে ছোট্ট মমতাময়ী ফুটফুটে বোন।অন্তু তাকে তার কাছে নিয়ে যায়।পুতুলের সামনে জীবনের একেবারেই ভিন্ন একটি চিত্র ফুটে ওঠে,যা তার কল্পনাকেও অতিক্রম করে যায়।যা তাকে একইসাথে অভিভূত করে এবং অদ্ভুত মায়ায় ভরিয়ে দেয়। তারা তিনজন মিলে অদ্ভূত সব কর্মকান্ড করে বেড়াতে থাকে।পুতুলের বাবা-মা ছেলেকে পাগলের মতো খুঁজতে থাকে।পুতুলের জীবনের অদ্ভূত অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মধ্যে দিয়ে উপন্যাস এগিয়ে চলে।পুতুল নতুন নতুন অনেক কিছু শিখে নেয় তারই সমবয়সী দুটি পথশিশুর কাছ থেকে।অদ্ভূত মায়ায় জড়িয়ে পড়ে তাদের সাথে।---লেখক পরিচিতি: হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃৎ।

      By Jakaria Islam

      02 Jun 2016 02:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এটা আমার পড়া হুমায়ূন স্যারের দ্বিতীয় কিশোর উপন্যাস।এর আগে "বোতল ভূত" নামে আরেকটি কিশোর উপন্যাস পড়েছিলাম।দুইটা বই'ই অসম্ভব সুন্দর। "পুতুল" উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম পুতুল। ছেলেটার বয়স এগারো।হার্টের কি যেন একটা জটিল রোগে ভুগছে সে।সবাই সবসময় তার দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকায়।ব্যাপারটা পুতুল মোটেও পছন্দ করে না।এছাড়াও অসুস্থ হওয়ায় তাকে নানা রকম আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হয়।এটা করা যাবে না,সেটা করা যাবে না,এটা খেতে হবে,সেটা খাওয়া যাবে না,সারাক্ষণ জুতো,গেঞ্জি পরে থাকতে হবে,বাড়ির বাইরে কখনোই বেরোনো যাবে না আরো কত কিছু। পুতুলের বাবার অনেক টাকা।বাবা-মা দু'জনই চাকুরী করে।তাই সারাদিন কাজের লোকেরাই পুতুলকে দেখেশুনে রাখে।বাবা-মার কাছ থেকে যতটুকু আদর সে আশা করে ততটুকু পায় না ও। পুতুল কখনো একা ওদের বাড়ির বাইরে যাই নি।কিন্তু হঠাৎ একদিন সকালে গেট খুলা পেয়ে কাউকে না জানিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পরে সে।আপন মনে হাটতে হাটতে বাড়ী থেকে অনেক দুরে চলে যায় এবং একসময় ওর সমবয়সী অন্তু নামের এর ছেলের সাথে দেখা হয়।এরপরেই নানান রোমাঞ্চকর ঘটনার সাথে পরিচিত হতে থাকে পুতুল। এদিকে পুতুলকে খুঁজার জন্য পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে,মাইকিং আরাম্ভ হয়,খবরেরকাগজ বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়,পীরকে খবর দেওয়া হয়.......... *শেষপর্যন্ত পুতুল কি ফিরে আসবে ওর বাবা-মার কাছে ? *পুতুল কি কি রোমাঞ্চকর ঘটনার মধ্য দিয়ে যায় ? ... .. উত্তরগুলো না হয় পাঠকরাই খুঁজে নেবে।

      By Jahidur Rahman

      02 Jun 2016 02:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পুতুলের হার্টের ভাল্বে কিজানি সমস্যা। সেটা ঠিক করতে আগামীবছর আমেরিকায় যাওয়া হবে। পুতুলের একা একা সিঁড়ি ভেঙ্গে দোতলায় উঠাও নিষেধ। পুতুলের মা বাবা দুজনেই কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকেন। পুতুলের দিকে তেমন নজর দেয়ার সময় পাননা। তাছাড়া সবসময়ই দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে, যেটা পুতুল একদম পছন্দ করেনা। পুতুল নিজের মনে একা একা বাগানে হাটাহাটি করে। তাদের বাড়ির সামনে চমৎকার একটি বাগান। বাগানে দুটি বিশাল কদম গাছ আর একটি রেইনট্রি গাছ। কদম গাছ দুটা পুতুলের খুব পছন্দের। কিন্তু পুতুলের মা কদম গাছ পছন্দ করেন না। তিনি লোক ঠিক করে রেখেছেন, এই সোমবার তারা গাছদুটা কেটে ফেলবে। যেদিন গাছকাটার কথা সেদিন ভোরে পুতুল বাসা থেকে একা একা বের হয়ে যায়। প্রথমে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে অন্তু নামে এক টোকাই ছেলের সাথে ভাব হয়। তার সাথে সারাদিন নানারকম মজার মজার কান্ড করতে থাকে। দুপুরে আবার অন্তুর বোন মরিয়মের সাথেও পরিচয় হয় পুতুলের। সে অবাক হয়ে লক্ষ করে অন্তু আর মরিয়ম কত কিছু জানে, সে প্রায় কিছুই জানেনা। ট্রেনে করে তারা ময়মনসিংহ রওনা হয়। ট্রেনে মজার মজার কান্ড দেখতে দেখতে যায় পুতুল। এদিকে পুতুলের বাবা মা ওকে খুঁজে না পেয়ে অস্থির। তারা থানায় ডায়রি করে, এলাকায় মাইকিং করে এবং শেষপর্যন্ত পত্রিকায় এক লাখ টাকা পুরষ্কারও ঘোষনা করে।

      By Md. Al Farukh Salim

      04 Jun 2022 07:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Darun ekta Golpo

      By Asfi Rahaman

      10 Feb 2022 08:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছোটদের জন্য বেশ ভাল একটি বই

      By Tasmim Meheru Khan anika

      02 Nov 2021 09:07 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই টা অসাধরন।আমার খুব ভালো লাগছে।?❤️

      By Abu Yousuf Akash

      15 Apr 2021 04:14 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ধনীর দুলালীর ছেলে পুতুল। হার্টের সমস্যার কারণে লেখা পড়া বন্ধ। সারাদিন বাড়িতেই থাকে। বাবা মা খুব ব্যস্ত তাদের কাজ নিয়ে। ছেলেকে সময় দিতে পারে না। পুতুল বাগানে সময় কাটায় গাছদের সাথে কথা বলে। একদিন মা ঠিক করলো গাছ গুলো কেটে ফেলবো। যেদিন গাছ কাটার দিন এলো সেদিন বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল সে। তাকে কখনো বাড়ির বাইরে যেতে দেয়া হয়নি। এমনকি সিড়ি দিয়ে নামার সময়ও তাকে কোলে করে নামানো হতো। সেই পুতুল বের হয়ে এসেছে ঢাকার রাস্তায়! সেখানে এসে পরিচিত হয় তারই সমবয়সী আরেক পিচ্চি অন্তুর সাথে। স্টেশনে ঘুমায়, খিদে লাগলে হাত পাতে মানুষের কাছে। অন্তুর সাথে পুতুলের বন্ধুত্ব হয়ে যায় খুব দ্রুত। তারপর......... #ব্যাক্তিগত_মতামত আমার জীবনে কিছু ইচ্ছে ছিল। যেগুলো পূরণ না হওয়ার জন্য আফসোস হতো। আত্মহত্যা কথা যে ভাবিনি তাও নয়। এখন সব কিছু ফেলে আমার আফসোস হচ্ছে কেন অন্তুর মতো কেউ হয়ে জন্ম নিলাম না! হোক রাস্তার ছেলে, টোকাই, ভিক্ষুক, খেতাম মানুষের গালি, চড়, থাপ্পড় তবু জীবনটা সুন্দর হতো। এডভেঞ্চারে ভরা জীবন। এখনকার মতো এতো বোরিং জীবন হতো না। খাবার সন্ধানে সারাদিন ঘুরাঘুরি করতে থাকলে বোরিং লাগতো না কোন কিছু। অন্তু মতো হতে চাই ভাবতে গিয়ে আমার শরীর কেঁপে উঠেছিল কিছুক্ষণ পর। অন্তুর মতো শত শত পিচ্চি এখন এই মুহূর্তে রাস্তায় ঘুমিয়ে আছে। আমরা সবাই ঘরে বসে ফেসবুক চালাতে চালাতে করোনার খবর পড়ছি এবং সেড রিয়েক্ট দিচ্ছি। আর সাবান দিয়ে একটু পর পর হাত ধুচ্ছি। নিজে বেঁচে গেলেই হবে? করোনা কি অন্তুর মতো পিচ্চিদের হবে না? তারা কিভাবে দিন যাপন করছে? কার কাছেই বা হাত পাচ্ছে এই লকডাওনের সময়? কিছু লোক দেখলাম করানোর জন্য দেশের কুকুর কিছু খেতে পারছে না সেই টেনশনে একটা সংঘ করে ফেলেছে। দিনে হাজার টাকার খাবার খাওয়াচ্ছে কুকুর গুলোকে। যে দেশে অন্তুরাই খাবার পাচ্ছে না ঠিক মতো সে দেশে কুকুররা খেতে পাচ্ছে! তবে কি মানুষের চেয়ে কুকুর হয়ে জন্মানো উচিত ছিল? আসুন না অন্তুদের মতো পিচ্চি গুলোর জন্য আমরা কিছু একটা করি। আমার ইচ্ছে করছে কিছু একটা করার। কিন্তু আমি কি করতে পারবো? কি কারার আছে আমার! এক টাকার আহারকে ২য় বারের মতো সামন্যকটা টাকা পাঠিয়ে দিলাম। তারা বিশ্বস্ত বলেই মনে হলো। যদিও আমাদের এই জাতিকে বিশ্বাস করা কষ্টের। তবুও করলাম। এ ছাড়া আর উপায় কি? যে টাকা দিলাম, জানি এটা দিয়ে অন্তুর মতো একটা পিচ্চির ও পেট ভরবে না। আমি একা দিচ্ছি তো না। আপনারাও দিবেন। সবাই মিলে আমরা এক কেন হাজার অন্তুর মুখে খাবার দিতে পারবো ইনশাল্লাহ।

      By Md. Mahmud Alam

      09 Jul 2019 11:59 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ১১ বছরের এক কিশোর বাচ্চা কে নিয়ে লেখা এই উপন্যাস। কাহিনী খুব বিস্তর না তবে বেশ মজার প্রধান চরিত্র পুতুল এর সাথে টোকাই ছেলের কথোপকথন খুব দারুন ছিলো। এই বইয়ের উপর নির্মিত ছবি দূরত্ব ও বেশ দারুন ছিলো। বইটি ১০-১৩ এই বয়সী যে কেউ পড়তে পারে। জন্মদিনে গিফট করার জন্য খুবই ভালো বই। শিশুরা কিভাবে বড় হয় এবং কিভাবে বড় করতে হয়, সেই সাথে ধনী ও গরীবের মাঝে যে পার্থক্য এবং পিতা মাতার কি গুরুত্ব সেটা চমৎকার ভাবে ফুটেছে। আপনি বইটি পড়ে বুঝতেই পারবেন না এই বিষয়গুলো আপনার মাথায় ঢুকে যাচ্ছে।

      By Jannatul Naym Pieal

      21 May 2014 12:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      'পুতুল' হুমায়ুন আহমেদের লেখা অসাধারণ একটা কিশোর উপন্যাস। তবে এটি শুধু কিশোর পাঠকেদেরই না, প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তমনস্ক পাঠকেদেরও পড়ে অনেক ভাল লাগবে। এই উপন্যাসে প্রধানত একটি শিশুর দৃষ্টিতে উচ্চবিত্ত আর নিম্নবিত্তের মধ্যকার আবস্থানিক বিভেদ নির্ণয়ের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চবিত্ত সমাজের ব্যস্ত বাবা-মায়ের সন্তানেরা পর্যাপ্ত সঙ্গের অভাবে কিভাবে দিনকে দিন অসহায় হয়ে পড়ে এবং একটা সময় সেই একাকিত্ব ও অসহায়ত্বের পরিণতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে, সেটিও তুলে ধরেছেন হুমায়ুন আহমেদ। পুতুল এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। বড়লোকের ছেলে সে। এগার বছর বয়স। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছে। তারপর হার্টের ভাল্বে সমস্যা দেখায় আর স্কুলে যায় না। বাড়িতে বসেই পড়ে। কঠোর নিয়মনীতির বেড়াজালে আবদ্ধ তার জীবন। নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন দাম নেই। বাবা মা বিশেষ করে মা তার উপর যা চাপিয়ে দিতে চান সেটাকেই তাকে করতে হয়। করতে ইচ্ছা না হলেও, নিতান্ত বাধ্য হয়ে। অন্যদিকে বাড়িতে সময় কাটানোর মত যথেষ্ট উপাদান নেই পুতুলের কাছে। বাড়িতে অনেক কাজের লোক হয়ত আছে কিন্তু তারা তো আর সমবয়সী সঙ্গীর অভাব মেটাতে পারে না। বাবা-মাও সব সময় নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকেন বিধায় পুতুল তাদেরকেও খুব একটা কাছে পায় না। যেটুক সময় কাছে পায় সেটুক সময় আদর-ভালোবাসার চেয়ে শাসনটাই বেশি করেন তারা। ফলে মানসিকভাবে একটু একটু করে বিপর্যস্ত হয়ে যেতে থাকে পুতুল। বাড়িতে তার ভালোলাগার জিনিস বলতে ছিল বাগানের তিনটি বড় গাছ। এই গাছদের সাথেই সময় কাটত তার। গাছদের কাল্পনিক বন্ধু ভেবে তাদের সাথে অনেক গল্প করত সে। কিন্তু একদিন বাবা-মা ঠিক করলেন সেই গাছও তারা কেটে ফেলবেন। তাহলে আর পুতুলের থাকল কি? মন খারাপ করে যেদিন গাছ কাটার কথা সেদিন ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল সে। উদ্দেশ্য, একা একা একটু ঘোরাঘুরি করে মন ভাল করবে। সেই ঘোরাঘুরি করতে গিয়েই দেখা পেল অন্তু নামের রাস্তার একটা দুরন্ত ছেলে ও তার কুকুরের সাথে। পুতুল ক্রমশ জড়িয়ে পড়তে লাগল তাদের জীবনের সাথে। অবাক হয়ে সে আবিষ্কার করতে লাগল, তার বাঁধাধরা জীবনের চেয়ে এই ছেলেটার জীবন একেবারেই আলাদা। পুতুল স্বাদ পেল এক স্বাধীন জীবনের। যেখানে দারিদ্র্য আছে, কিন্তু দারিদ্র্যের অন্তরালে স্বাধীনতার অপার আনন্দও আছে। নিম্নবিত্ত সমাজের প্রতিনিধি অন্তু আর তার কুকুরের সাথে ঘুরতে ঘুরতে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সম্মুখীন হল পুতুল। এক পর্যায় তার দেখা হল অন্তুর বোন মরিয়মের সাথেও। মরিয়ম হল সেই সব গরিব মানুষের প্রতিনিধি, দারিদ্র্যের কষাঘাতে যাদের দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত তবু শত দুঃখের মধ্যেও তারা জীবন থেকে ঠিকই সুখের স্বাদ আস্বাদ করতে পারছে আর তাই সব সময় মুখ জুড়ে হাসি লেগে থাকছে। অন্তু আর মরিয়মের সাথে সারাদিন কাটাতে গিয়ে পুতুল যেন ওদেরই একজন হয়ে উঠল। খুব কাছ থেকে দেখল ওদের জীবনযুদ্ধ। সে অবাক হয়ে দেখতে লাগল, তার কাছে যা অন্যায় এদের কাছে সেটাই ন্যায় আবার তার কাছে যেটা অসম্ভব এদের কাছে সেটাই সম্ভব। এভাবেই সারাটা দিন কাটিয়ে দিল পুতুল। ওদিকে ছেলেকে হারিয়ে মাথা খারাপ হবার দশা পুতুলের বাবা-মায়ের। তারা ছেলের সন্ধানে করতে বাদ রাখলেন না কিছুই। পুলিশে খবর দিলেন, মাইকিং করলেন, হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিলেন, পীর ডেকে আনলেন আবার ছেলেকে ফিরে পেতে পুরস্কারেরও ঘোষণা করলেন। সমান্তরালে পুতুলের শিক্ষাসফর চলছেই। অন্তু আর মরিয়মের কাছ থেকে জীবনের কঠিন বাস্তবতাগুলো শিখে নিতে লাগল সে। দিনের শেষে অন্তুর বাবার সাথে কথোপকথনের সময় অন্তুর বাবা বুঝলেন পুতুল নিশ্চয়ই কোন বড়লোকের ছেলে। তাই অন্তু আর মরিয়মকে তিনি বললেন পুতুলকে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে। অন্তু আর মরিয়মের সাথে বাড়ি ফিরল সে। পুতুলদের প্রাসাদ সদৃশ বাড়ি দেখে অবাক হয়ে গেল তারা। মন খারাপ হল তিনজনেরই। পুতুলের মন খারাপ হল কারণ সে জানে এই বন্ধুদের সে কখনোই বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে না। আর অন্তু আর মরিয়মের মন খারাপের কারণ, তারাও কখনো পুতুলের মত বড়লোক হতে পারবে না। এভাবে সমাজের দুইটি ভিন্ন স্তরে বাস করা তিনটি শিশু তাদের সারাদিনের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে অনুধাবন করতে পারল, এই দুই স্তরের মধ্যে সাম্য স্থাপন কখনোই সম্ভব না। উপর্যুক্তভাবেই হুমায়ুন আহমেদ একটা কিশোর উপন্যাসের মাধ্যমেই চমৎকারভাবে সমাজের শ্রেণি বৈষম্যের উপর আলোকপাত করতে সমর্থ হয়েছেন। 'পুতুল' আমার পড়া অন্যতম সেরা কিশোর উপন্যাস। সকল পাঠককেই বলছি, আপনার বয়স যতই হোক না কেন, প্লিজ এই উপন্যাসটি একবার পড়ে দেখবেন।

      By Tasnimul Hasan Rakib

      02 Sep 2023 09:45 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মুটামুটি ভালোই লাগছে বইটা

      By Olive Orthy's Kitchen

      02 Nov 2021 12:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      simply outstanding ✨✨

      By md ramiz

      28 Oct 2019 03:17 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      পুতুল শিশুতোষ উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদ যে অসাধারণ এবং সেটা সব ধরনের লেখার ক্ষেত্রেই তা আর বলাই বাহুল্য। তবে যেটি না বললেই নয় সেটা হচ্ছে, হুমায়ূন আহমেদের শিশুতোষ লেখাগুলো আমার বেশ লাগে। বড়রাও তার শিশুতোষ লেখা পড়ে আনন্দ পাবেন। আর আনন্দের পাশাপাশি একটা সামাজিক ম্যাসেজও পাওয়া যায় হুমায়ূন স্যারের শিশুতোষ লেখায়। পুতুলও তার ব্যতিক্রম নয়।

    • Was this review helpful to you?

      or

      পুতুলের হার্টের ভাল্বে কিজানি সমস্যা। সেটা ঠিক করতে আগামীবছর আমেরিকায় যাওয়া হবে। পুতুলের একা একা সিঁড়ি ভেঙ্গে দোতলায় উঠাও নিষেধ। পুতুলের মা বাবা দুজনেই কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকেন। পুতুলের দিকে তেমন নজর দেয়ার সময় পাননা। তাছাড়া সবসময়ই দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে, যেটা পুতুল একদম পছন্দ করেনা। পুতুল নিজের মনে একা একা বাগানে হাটাহাটি করে। তাদের বাড়ির সামনে চমৎকার একটি বাগান। বাগানে দুটি বিশাল কদম গাছ আর একটি রেইনট্রি গাছ। কদম গাছ দুটা পুতুলের খুব পছন্দের। কিন্তু পুতুলের মা কদম গাছ পছন্দ করেন না। তিনি লোক ঠিক করে রেখেছেন, এই সোমবার তারা গাছদুটা কেটে ফেলবে। যেদিন গাছকাটার কথা সেদিন ভোরে পুতুল বাসা থেকে একা একা বের হয়ে যায়। প্রথমে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে অন্তু নামে এক টোকাই ছেলের সাথে ভাব হয়। তার সাথে সারাদিন নানারকম মজার মজার কান্ড করতে থাকে। দুপুরে আবার অন্তুর বোন মরিয়মের সাথেও পরিচয় হয় পুতুলের। সে অবাক হয়ে লক্ষ করে অন্তু আর মরিয়ম কত কিছু জানে, সে প্রায় কিছুই জানেনা। ট্রেনে করে তারা ময়মনসিংহ রওনা হয়। ট্রেনে মজার মজার কান্ড দেখতে দেখতে যায় পুতুল। এদিকে পুতুলের বাবা মা ওকে খুঁজে না পেয়ে অস্থির। তারা থানায় ডায়রি করে, এলাকায় মাইকিং করে এবং শেষপর্যন্ত পত্রিকায় এক লাখ টাকা পুরষ্কারও ঘোষনা করে। ব্যক্তিগত মতামতঃ বাচ্চাদের নিয়ে লেখা হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সব বইই আমার ভালো লেগেছে, এটাও ব্যতিক্রম নয়। ছোটবেলায় এই কাহিনী নিয়ে বানানো একটা ছবিও দেখেছি। খুব সম্ভবত সেটার নাম ছিল "দূরত্ব"।

      By Tanzila

      20 May 2014 03:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ব্যতীত হুমায়ুন আহমেদ এর সমস্ত শিশু সাহিত্য এর মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় হয়তো পুতুল উপন্যাস টি। সমাজের উচ্চ উচ্চ বিত্ত এবং নিম্ন নিম্ন বিত্তদের মধ্যকার পার্থক্য যে শিশুদের দৃষ্টিতে কেমন তাই লেখক প্রকাশ করতে চেয়েছেন পুতুল উপ্ন্যাস্টির মাধ্যমে। পুতুল। এগারো বছরের বালক। কোটিপতি পিতা মাতার একমাত্র সন্তান। অসুস্থ। স্কুলে যাওয়া দূরে থাক বাসার বাইরে যাওয়া তার জন্যে নিষেধ। সবার ধারনা কোনো কাজ বাদ সে কোনো উত্তেজনাও নিতে পারবেনা। সে একা।একা একটি বাচ্চা। যার বাবা মা তাকে সময় দিতে পারেনা। কোনো বন্ধু নেই। বাসায় সবসময় তাকে কাজের লোকের তত্তাব্ধায়নে থাকতে হয়। যার নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছায় কোনো কাজ করতে পারেনা। তার পৃথিবী তার দুনিয়া তার বাসা।এমন অবস্থায় একদিন খুব ভোরবেলায় সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এবং উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে থাকে। এভাবেই ঘুরতে ঘুরতে পারকে তার পরিচয় হয় অন্তু নামে এক টোকাই ছেলে এর সাথে ।আস্তে আস্তে অন্তুর সাথে তার সখ্যতা বাড়ে। অন্তুর সাথে সে এমন সব কাজ করতে থাকে তার কল্পনায় ও ছিলনা। কুকুর নিয়ে খেলা, রিকশার পাম ছাড়া, লেকের পানিতে মাছ ধরা, সিগারেট এর খালি প্যকেট কুড়ানো। এভাবেই অন্ত এর সাথে ঘুরতে ঘুরতে পরিচয় হয় অন্তুর বোন মরিয়মের সাথে। মরিয়ম ষ্টেশনে পানি বিক্রি করে।পুতু্ল অন্তু মরিয়মের সাথে ভিক্ষা করে হোটেল এর খাবার ও খেলো। অন্তু দের সঙ্গ পুতুল এর এতই ভালো লাগা শুরু করল সে ট্রেনে করে অন্তু দের সাথে ময়মনসিংহ চলে গেলো। সেখানে অন্তু দের বাবা থাকে। ট্রেন ে পুতুল দেখলো মানুষ ছোট বাচ্চা হলেও টোকাই গরিব বাচ্চা দের সাথে কেমন নিষ্ঠুর ব্যভার করে।এদিকে পুতুল এর বাবা মা পুতুল এর চিন্তায় অস্থির।তারা পুলিশের সবচাইতে বড় কর্মকর্তা এর সাথে যোগাযোগ ,পেপারে লক্ষ টাকার পুরস্কার এর ঘোষণা দিচ্ছে। একসময় অন্তুর বাবা বুঝতে পারে পুতুল কোনো সাধারন ছেলে নয় সে অনেক বড়লোক এর ছেলে। ত খনই দের কে বলে পুতুল কে ঢাকায় দিয়ে আস্তে।তারা ঢাকা আসে। পুতুল দের বাড়ী দেখে তারা অবাক হয়। পুতুল তাদের বিদায় দিতে যেয়ে চোখে পানি চলে আসে। সে জানে এসব বন্ধুদের সে খনই বাসার ভিতরে নিতে পারবেনা।।অন্য দিকে অন্তু ও মরিয়ম পুতুল দের দেখে কষট পায়।লেখকের ভাষায় যে কষ্টের কারন তারা জানেনা। জানার কথাও না। যখন বড় হবে হয়তো জানবে বা কন্দিন জানবেনা

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!