User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Good enough...
Was this review helpful to you?
or
উত্থান, অন্ধকারের জন্ম, আলোর জন্ম, পরিণতি। দূর্লভ একটি বই, তার চারটি খন্ড। শেষ খন্ড 'পরিণতি' ছিল সিলেটের কেন্দ্রীয় পাঠাগারে। কেউ একজন বইটি ইস্যু করে নিয়েছে, খুঁজে বেড়াচ্ছে আরো অনেকে। বাকি খন্ডগুলোও দরকার ওদের। মহাখালীর বস্তির গলিতে রাস্তায় আঁকা হয়েছে নাম না জানা অক্ষর, বিভিন্ন প্রাণীর অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ, শব্দ - সংখ্যা - বৃত্ত। এইসব আঁকিবুকির মাঝে পরে আছে একটা মৃতদেহ আর এক গামলা ভর্তি রক্ত! ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পশুপাখির কাটা লাশ পাওয়া যাচ্ছে। একটা দুটো নয়, একবারে একশো দুশো মাথা বিহীন মুরগি, ঘাড়ভাঙা বেড়াল। এইসব উদ্ভট বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর জন্য কেস ফাইলগুলো সাধারণত পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিআইডি 'র ডিপার্টমেন্ট অফ এক্সট্রাঅর্ডিনারি কেসেজ-এ, গোয়েন্দা রহমান জুলফিকার আর সঙ্গী শাহজাহান ভুঁইয়ার কাছে। কিন্তু কেসটা কেবল উদ্ভটই নয়, ভয়ংকরও। নিষিদ্ধ কোনো উপাসনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাওয়া প্রাচীন ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশে হাজির হচ্ছে একে একে। তাদের চিহ্ন - কাদ্যুসেয়াস, আলো ও অন্ধকারের প্রতিনিধি। শুভ ও অশুভের মধ্যকার হাজার বছরের দ্বন্দ সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে এবার। রক্তাক্ত, নৃশংস সে যুদ্ধ। উপন্যাসটি পুরোটা চলেছে এরকমই টুকরো টুকরো ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। প্রথমদিকে কিছুই বোঝা যায় না, কে কী করছে, কোথাকার জল কোথায় গড়াচ্ছে। শেষে এসে ভাঙ্গা পাজলগুলো যখন জোড়া লাগতে শুরু করলো, পাতা উল্টে শুরু থেকে মিলিয়ে নিলাম সব। লেখক জাহিদ হোসেনের গল্প বলার ধরণটাই এমন। আমার দূর্ভাগ্য যে আমি ওনার এতো চমৎকার উপন্যাসটি পরে পড়েছি। আগে ওনার লেখার সাথে পরিচয় যে বইটি নিয়ে, সেই অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। এই বইটি পড়তে শুরু করার সময় মনের মধ্যে সেই ছাপ কিছুটা হলেও ছিল, অমূলক আশঙ্কা একটুক্ষণেই উড়ে গেল। গল্পটিই এমন, অন্যকিছু ভাবার অবকাশ ছিল না। শেষ কয়টি অধ্যায় তো শিহরণ জাগিয়ে দিল একেবারে। অকাল্ট, শয়তানের উপাসনা, প্রাচীন ধর্ম নিয়ে লেখা গল্পটিতে অনেকটা ড্যান ব্রাউনের ছাপ পাওয়া যায়। লেখক নিজেও জানিয়েছেন এই অনুপ্রেরণার কথা। তবে বাংলাদেশের পটভূমিতে গল্পটি তিনি সাজিয়েছেন ঠিকঠাক। কিছু কিছু বর্ণনা অস্বস্তিকর, যেমনটা দরকার ছিল। আবার ছোটখাটো হিউমারও ছিল জায়গামতো। গল্পটির রহস্য - রোমাঞ্চের পাশাপাশি জগতে ভালো এবং মন্দের অবস্থান নিয়ে অর্থবহ একটি মেসেজ রেখেছেন লেখক। গল্পের বড় একটি অংশ সিলেটকে কেন্দ্র করে। সিলেটের জৈন্তার রাজা, পথঘাট, পরিচিত অঞ্চল আর গলিগুলো নিয়ে আর কেউ এভাবে লেখেননি। বাজারচলতি গান, নাম, উক্তির ব্যবহার মজা লেগেছে। বইয়ে ছাপার ভুল সহনীয়মাত্রার ছিল। তবে একেবারে ফ্ল্যাপেই যখন ভুল পাওয়া যায়, তখন গোড়ায় গলদ বলতেই হয়। লেখায় না এবং নি, কি এবং কী এর ব্যবহারে ভজঘট লেগে গেছে। তাছাড়া গল্প কখন কার জবানিতে এগোচ্ছে বুঝতে মাঝেমধ্যে অসুবিধা হচ্ছিল। প্রচ্ছদ একেবারে ভালো লাগেনি। থ্রিলার বলে এক জোড়া পা আর রক্তের ছিটে দিয়ে দিলেই হয়ে গেল! গল্পের থিমের সাথে মিলিয়ে, সিম্বল ব্যবহার করে দারুণ একটা প্রচ্ছদ হতে পারতো বইয়ের।
Was this review helpful to you?
or
উত্থান, অন্ধকারের জন্ম, আলোর জন্ম, পরিণতি। দূর্লভ একটি বই, তার চারটি খন্ড। শেষ খন্ড 'পরিণতি' ছিল সিলেটের কেন্দ্রীয় পাঠাগারে। কেউ একজন বইটি ইস্যু করে নিয়েছে, খুঁজে বেড়াচ্ছে আরো অনেকে। বাকি খন্ডগুলোও দরকার ওদের। মহাখালীর বস্তির গলিতে রাস্তায় আঁকা হয়েছে নাম না জানা অক্ষর, বিভিন্ন প্রাণীর অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ, শব্দ - সংখ্যা - বৃত্ত। এইসব আঁকিবুকির মাঝে পরে আছে একটা মৃতদেহ আর এক গামলা ভর্তি রক্ত! ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পশুপাখির কাটা লাশ পাওয়া যাচ্ছে। একটা দুটো নয়, একবারে একশো দুশো মাথা বিহীন মুরগি, ঘাড়ভাঙা বেড়াল। এইসব উদ্ভট বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর জন্য কেস ফাইলগুলো সাধারণত পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিআইডি 'র ডিপার্টমেন্ট অফ এক্সট্রাঅর্ডিনারি কেসেজ-এ, গোয়েন্দা রহমান জুলফিকার আর সঙ্গী শাহজাহান ভুঁইয়ার কাছে। কিন্তু কেসটা কেবল উদ্ভটই নয়, ভয়ংকরও। নিষিদ্ধ কোনো উপাসনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাওয়া প্রাচীন ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশে হাজির হচ্ছে একে একে। তাদের চিহ্ন - কাদ্যুসেয়াস, আলো ও অন্ধকারের প্রতিনিধি। শুভ ও অশুভের মধ্যকার হাজার বছরের দ্বন্দ সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে এবার। রক্তাক্ত, নৃশংস সে যুদ্ধ। উপন্যাসটি পুরোটা চলেছে এরকমই টুকরো টুকরো ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। প্রথমদিকে কিছুই বোঝা যায় না, কে কী করছে, কোথাকার জল কোথায় গড়াচ্ছে। শেষে এসে ভাঙ্গা পাজলগুলো যখন জোড়া লাগতে শুরু করলো, পাতা উল্টে শুরু থেকে মিলিয়ে নিলাম সব। লেখক জাহিদ হোসেনের গল্প বলার ধরণটাই এমন। আমার দূর্ভাগ্য যে আমি ওনার এতো চমৎকার উপন্যাসটি পরে পড়েছি। আগে ওনার লেখার সাথে পরিচয় যে বইটি নিয়ে, সেই অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। এই বইটি পড়তে শুরু করার সময় মনের মধ্যে সেই ছাপ কিছুটা হলেও ছিল, অমূলক আশঙ্কা একটুক্ষণেই উড়ে গেল। গল্পটিই এমন, অন্যকিছু ভাবার অবকাশ ছিল না। শেষ কয়টি অধ্যায় তো শিহরণ জাগিয়ে দিল একেবারে। অকাল্ট, শয়তানের উপাসনা, প্রাচীন ধর্ম নিয়ে লেখা গল্পটিতে অনেকটা ড্যান ব্রাউনের ছাপ পাওয়া যায়। লেখক নিজেও জানিয়েছেন এই অনুপ্রেরণার কথা। তবে বাংলাদেশের পটভূমিতে গল্পটি তিনি সাজিয়েছেন ঠিকঠাক। কিছু কিছু বর্ণনা অস্বস্তিকর, যেমনটা দরকার ছিল। আবার ছোটখাটো হিউমারও ছিল জায়গামতো। গল্পটির রহস্য - রোমাঞ্চের পাশাপাশি জগতে ভালো এবং মন্দের অবস্থান নিয়ে অর্থবহ একটি মেসেজ রেখেছেন লেখক। গল্পের বড় একটি অংশ সিলেটকে কেন্দ্র করে। সিলেটের জৈন্তার রাজা, পথঘাট, পরিচিত অঞ্চল আর গলিগুলো নিয়ে আর কেউ এভাবে লেখেননি। বাজারচলতি গান, নাম, উক্তির ব্যবহার মজা লেগেছে। বইয়ে ছাপার ভুল সহনীয়মাত্রার ছিল। তবে একেবারে ফ্ল্যাপেই যখন ভুল পাওয়া যায়, তখন গোড়ায় গলদ বলতেই হয়। লেখায় না এবং নি, কি এবং কী এর ব্যবহারে ভজঘট লেগে গেছে। তাছাড়া গল্প কখন কার জবানিতে এগোচ্ছে বুঝতে মাঝেমধ্যে অসুবিধা হচ্ছিল। প্রচ্ছদ একেবারে ভালো লাগেনি। থ্রিলার বলে এক জোড়া পা আর রক্তের ছিটে দিয়ে দিলেই হয়ে গেল! গল্পের থিমের সাথে মিলিয়ে, সিম্বল ব্যবহার করে দারুণ একটা প্রচ্ছদ হতে পারতো বইয়ের। বই: কাদ্যুসেয়াস লেখক: জাহিদ হোসেন প্রকাশনায়: বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল: ২০১৭ প্রচ্ছদ: ডিলান পৃষ্ঠাসংখ্যা: ২৮৭ মুদ্রিত মূল্য: ২৭০ টাকা
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম দিয়েই শুরু করি। কাদ্যুসেয়াস কি? কাদ্যুসেয়াস হলো একটা সিম্বল। একটা দন্ডকে দুপাশ থেকে পেচিয়ে ধরে আছে দুটো সাপ। সিম্বলটা অনেকেই দেখে থাকবেন। মেডিকেলে এই সিম্বল দেখা যায়। তবে এটা শুধু মেডিকেলের সিম্বল না। এর পিছনে আরও অনেক ইতিহাস আছে। এবার ইতিহাস থেকে একটু বর্তমানে আসি। বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়েই বইটা শুরু। তবে ধারাবাহিক ভাবেই বলি। মহাখালির এক নির্জন গলিতে একটা লাশ পাওয়া গেলো। খুনটা একটু অস্বাভাবিক। অস্বাভাবিক না বলে অদ্ভুত বলা উচিত। লাশকে ঘিরে বিচিত্র সব আঁকিবুঁকি। একপাশে একটা চেয়ার, তার উপরে এক গামলা রক্ত। মৃত্যুর কারন রক্তক্ষরণ। কোনো বিশেষ পদ্ধতিতে লাশের শরীরের সমস্ত রক্ত বের করে ফেলা হয়েছে। ভাবতেই কেমন লাগে!! লাশটা কোনো সাধারন মানুষের না। দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি আজমত উল্ল্যাহর ছেলে ওয়াসিফ উল্ল্যাহ। সে আবার একটা ব্যান্ডের লিড ভোকালিস্ট। কেসের দায়িত্ব পরে সিআইডির ডিপার্টমেন্ট অব এক্সট্রা অর্ডিনারি কেসেজ নামে এক ডিপার্টমেন্টের উপর। আড়ালে যাকে সবাই আবজাব ডিপার্টমেন্ট বলেই চেনে। তদন্তে আছেন আবজাব ডিপার্টমেন্টের গোয়েন্দা রহমান জুলফিকার ও সহযোগী হিসেবে আছেন কনসালটেন্ট শাহজাহান ভূঁইয়া। এদিকে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে কিছু স্থানে অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। পরিত্যক্ত দালানে পাওয়া যায় শত শত মুন্ডুহীন মুরগি, বিড়াল আর ছাগল। তাও ঝুলন্ত অবস্থায়। হোটেল উজানভাটি চিনেন? যারা ঢাকা-সিলেট রূটে যাতায়াত করেছেন তারা আশুগঞ্জের এই হোটেল চিনবেন। এই হোটেলেই একদিন রক্তগঙ্গা বয়ে যায়। কারন! একজন নির্দিষ্ট ব্যাক্তিকে খুজছে হামলাকারীরা। নাম হাইঞ্জ বেকার। কোনো সাধারন ব্যাক্তি নয় এই বেকার। হাজার বছরের পুরোনো বিলুপ্তপ্রায় একটি ধর্মের প্রধান পুরোহিত এই বেকার। তিনি আশুগঞ্জে কি করছেন?? শহরে নতুন এক সিরিয়াল কিলারের আবির্ভাব ঘটেছে। নাম "ম্যাড ডগ"। কুকুর লেলিয়ে দিয়ে মানুষ খুন করে। আরেকটি রহস্যময় চরিত্রের কথা তো এখনো বল নাই। ভদ্রলোক স্যুট-বুট আর গোলাপি টাই পরে ঘুরে বেড়ান। খুজে বেড়াচ্ছেন হাজার বছরের পুরাতন একটা বই। ভদ্রলোক যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই রক্তের নদী বয়ে যাচ্ছে। উপরের প্রত্যেকটা ঘটনা আলাদা করে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে হতে পারে। কিন্তু আদৌ কি বিচ্ছিন্ন!! আলামত সুবিধার মনে হয় না। লেখক জাহিদ হোসেনের বই প্রথম পড়লাম। এটাকে থ্রিলার বলবো নাকি ফ্যান্টাসি সেটা নিয়ে confused. তবে প্লটটা অসাধারন। সেই সাথে লেখকের বর্ণনা। সিরিয়াস একটা গল্পকে লেখক খুব সহজভাবে লিখেছেন। ছোটছোট হিউমার। কিন্তু তাতে গল্পের ভাবগাম্ভির্য মোটেও কমেনি। প্রথমদিকে খুব সাধারন মনে হলেও যত আগাবেন ততই উত্তেজনা বাড়বে। পুরো গল্পটা একটা সিক্রেট ধর্মকে ঘিরে। "এনশিয়েন্ট অর্ডার অভ সেক্রেট মাউন্টেন"। লেখক প্রথমেই বলে দিয়েছেন ধর্মটা পুরোপুরি লেখকের কল্পনাপ্রসূত। সময় থাকলে বইটা পড়ে ফেলুন। সময়টা ভালো কাটবে। "ভালোবাসাই বিমার, আবার ভালোবাসাই দাওয়াই"
Was this review helpful to you?
or
এই গল্পের সূচনা কিন্তু আজকের যুগে না, এর সূচনা হয়েছিল কয়েক হাজার বছর আগে। প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসা ধর্মবিশ্বাস আর ধ্যানধারণার প্রকাশ এই গল্প। প্রখ্যাত ব্যবসায়ী উল্ল্যাহ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আজমত উল্ল্যাহের একমাত্র ছেলে ওয়াসিফ উল্ল্যাহ। মহাখালীর ব্যস্ত এলাকার প্রায় নির্জন এক গলিতে বিচিত্র অবস্থায় পাওয়া গেছে তার লাশ। রাস্তায় আকা বিচিত্র কিছু প্রতীক, গোল বৃত্ত। তার মাঝখানে ওয়াসিফের নিশ্প্রাণ দেহ। সামনে একটা নরম গদিওয়ালা কাঠের চেয়ার। চেয়ারের সামনে একটা গামলা ভর্তি রক্ত। সিআইডির অদ্ভুত কেসগুলা হ্যান্ডল করার জন্য আলাদা একটা ডিপার্টমেন্ট আছে। পোশাকি নামটা খুব সুন্দর - ডিপার্টমেন্ট অব একস্ট্রাঅর্ডিনারি কেসেস। নাম সুন্দর হলেও সবসময় লো প্রফাইল কেসগুলো জোটে তাদের। যেমন তাদের হাতে আছে এখন মুন্ডুহীন শ'খানেক মুরগি, ঘাড়ভাঙ্গা কয়েক'শ বিড়াল আর বাড়িভর্তি জবাই করা ছাগলের কেস। এই জন্য তাচ্ছিল্য করে সবাই আবজাব ডিপার্টমেন্ট বলে ভেঙ্গায়। ওয়াসিফ উল্ল্যাহের কেস হ্যান্ডল করার দায়িত্ব তাই পড়ল এই ডিপার্টমেন্টের ঘাড়ত্যাড়া গোয়েন্দা রহমান জুলফিকার আর ক্ষ্যাপাটে কনসালটেন্ট শাহজাহান ভূঁইয়ার কাধে। ধোপদুরস্ত স্যুটকোট, ব্যাকব্রাশ করা চুল, চোখে রঙিন চশমা, গলায় সরু গোলাপি টাই পড়া এক লোক খুঁজে বেড়াচ্ছে একটা বহু পুরনো মূল্যবান বই। সে যেখানেই যাচ্ছে লাশের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। কি সেই বই? কি আছে তাতে? কেনইবা সেটা এত মূল্যবান? বিলুপ্তপ্রায় প্রাচীন ধর্মীয় সংগঠন "অ্যানসিয়েন্ট অর্ডার অব দ্য সেক্রেড মাউন্টেন"। তার প্রধান ধর্মগুরু হাইঞ্জ বেকার বাংলাদেশে আসে গোপন খবর পেয়ে। আশুগঞ্জের এক হোটেলে কালো আলখেল্লাধারীরা হামলা চালায় তার উপর। হত্যা করে তার সঙ্গীদের। অপহরণ করে তাকে। এমনকি দেশে তার স্ত্রী সন্তানকেও অপহরণ করে। নৃশংস এক সিরিয়াল কিলার "ম্যাড ডগ"। অভিনব পন্থায় কুকুর লেলিয়ে হত্যা করে তার শিকারকে। নারী পুরুষ কেউ তার হাত থেকে সুরক্ষিত নয়। প্রাচীন রাজবংশ বা জমিদারবংশের বর্তমান সদস্যের প্রতি তার যেন ক্ষোভ বেশি। তদন্তে বেড়িয়ে এলো শুধু বাংলাদেশ না পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও তার অবাধ বিচরণ। আপাতদৃষ্টিতে ছাড়া ছাড়া ঘটনা মনে হলেও কি জানি একটা সম্পর্ক আছে ঘটনাগুলোর। ঠিক ধরা যাচ্ছে না। নাকি আসলেই এতগুলো ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই? এই নিয়ে জাহিদ হোসেনের তৃতীয় মৌলিক উপন্যাস "কাদ্যুসেয়াস"। কাদ্যুসেয়াস একটি ধর্মবিশ্বাস। কাদ্যুসেয়াস একটি সিম্বল। একটি দন্ডের চারপাশে পেচিঁয়ে থাকা দুটি সাপ। যার উল্লেখ প্রাচীন অনেক ধর্মবিশ্বাসে পাওয়া যায়। এমনকি বর্তমানে ডাক্তারীশাস্ত্রেও এই প্রতীক দেখা যায়। এই প্রতীক আলো-আধারের প্রতীক, ভালো-মন্দের প্রতীক, জীবন-মৃত্যুর প্রতীক। জাহিদ হোসেনের লেখা এটা তৃতীয় উপন্যাস হলেও আমার পড়া এটাই প্রথম। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত একটা লেখা। যদিও সংসারের চাপে পড়ে একটানা পড়তে পারিনি। চমৎকার সাবলিল বর্ণনা দিয়েছেন লেখক। মাঝে মাঝেই জটিল সব তাত্ত্বিক বর্ণনা ছিলো যা ঘটনার প্রয়োজন দিয়েছেন। তাও ভালো লেগেছে। যারা ড্যান ব্রাউনের লেখা পছন্দ করেন, তাদের ভালো লাগবে এতটুকু বলতে পারি।।।
Was this review helpful to you?
or
Starting was good...climax ending was totally layman... Narration was moderate....link with the climax was complete meeting.. it was not totally a happy reading. ... writing language was not up to the mark... Ending was like a forceful ending. Not worth the time spent...
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : কাদ্যুসেয়াস (Caduceus) লেখক : জাহিদ হোসেন প্রকাশক : বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ঘরানা : কাল্ট থ্রিলার/মার্ডার মিস্ট্রি/সুপারন্যাচারাল থ্রিলার পৃষ্ঠা : ২৮৮ প্রচ্ছদ : ডিলান মুদ্রিত মূল্য : ২৭০ টাকা ডিপার্টমেন্ট অব এক্সট্রাঅর্ডিনারি কেসেজ-কে আড়ালে আবডালে আবজাব ডিপার্টমেন্ট বলে ডাকা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর অন্য সব ডিপার্টমেন্ট একে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করে সবসময়। যে সব কেস প্রচলিত অপরাধের ধারাগুলোর বাইরে, সেগুলোই এসে পড়ে ডিপার্টমেন্ট অব এক্সট্রাঅর্ডিনারি কেসেজ-এর ঘাড়ে। এই সংস্থার গোয়েন্দা রহমান জুলফিকার এবার একটা অদ্ভুত কেসের মুখোমুখি হলো। আর এই কেসটা যে চারিদিকে কতোটা আলোড়ন সৃষ্টি করবে, তা সে নিজেও বুঝতে পারলোনা পাগলাটে স্বভাবের শাহজাহান ভূঁইয়া ডিপার্টমেন্ট অব এক্সট্রাঅর্ডিনারি কেসেজ-এর অস্থায়ী কনসালটেন্ট। অত্যন্ত জ্ঞানী এই মানুষটা সর্বক্ষেত্রেই রহমান জুলফিকারকে সাহায্য করে আসছেন। তিনিও বোধহয় জানতেননা, কিসের সাথে জড়াতে যাচ্ছেন এবার। বিখ্যাত শিল্পপতি আজমত উল্ল্যাহ'র একমাত্র ছেলে ওয়াসিফ উল্ল্যাহ'র লাশ পাওয়া গেলো বিভৎস অবস্থায়। লাশের পাশে একটা চেয়ার রাখা, আর সেই চেয়ারে বসানো গামলা ভর্তি রক্ত! লাশের আশেপাশে অদ্ভুত কিছু সিম্বল আর নকশা। দেয়ালে দুর্বোধ্য লেখা। অদ্ভুত এই খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসলো রহমান জুলফিকার ও শাহজাহান ভূঁইয়া। হঠাৎ-ই যে অতি আগ্রহী হয়ে উঠলেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওপরমহল থেকে চাপ আসতে থাকলো অদ্ভুত এই কেসটা সমাধান করার জন্য। অকুল পাথারে পড়লো আমাদের গোয়েন্দাযুগল। হাজার বছরের প্রাচীন এক বইয়ের পেছনে দৌড়ে চলেছে স্যুট ও গোলাপি টাই পরিহিত এক সুবেশী লোক। কাঁধে তার লম্বা ব্যাগ ও সেই ব্যাগে গলফ স্টিক। যেখানেই যাচ্ছে, ধ্বংস ও রক্তের দাগ রেখে যাচ্ছে সে। সর্বদা ছায়ার মতো তার সাথে থাকছে এক বিশালদেহী মানুষ। পুরো সিলেট জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো তাদের কর্মকাণ্ডে। তারা যা চায়, তা না পেলে বইবে আরো রক্ত। এদিকে বিকৃতমস্তিষ্ক এক খুনীর আবির্ভাব ঘটেছে বাংলাদেশে। তরুণ-তরুণীদের প্রথমে অপহরণ করছে সে। তারপর ভয়াবহ অত্যাচার করে তাদের পেছনে লেলিয়ে দিচ্ছে হিংস্র কুকুর! অদ্ভুত এই সিরিয়াল কিলার নিজেকে পরিচয় দিচ্ছে 'ম্যাড ডগ' হিসেবে। প্রাচীন ও বিলুপ্তপ্রায় ধর্মীয় সংগঠন অ্যানশিয়েন্ট অর্ডার অব দ্য সেক্রেড মাউন্টেন-এর প্রধান ধর্মগুরু হাইঞ্জ বেকারের জীবন হঠাৎ-ই সঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠলো। হামলা হলো তাঁর দলের ওপর। আশুগঞ্জের একটা হোটেলে বইলো রক্তগঙ্গা। যাওয়ার আগে হামলাকারীরা দেয়ালে অদ্ভুত এক সিম্বল এঁকে রেখে গেলো। ওদিকে সিলিকন ভ্যালির এক উন্মাদ টেক মুঘল মরিয়া হয়ে উঠেছে একটা নির্দিষ্ট বইয়ের জন্য। আপাতদৃষ্টিতে পরস্পর সম্পর্কহীন এই ঘটনাগুলো কি তবে এক সুতোয় গাঁথা? সুতোর শেষমাথায় বহু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কাদ্যুসেয়াস সিম্বল কি সেই দিকেই নির্দেশ করে? হাজার বছর আগে শুরু হওয়া আলো আর অন্ধকারের সেই অলৌকিক দ্বন্দ্ব হয়তো আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে আজকের এই আধুনিক পৃথিবীর বুকে। যার সাথে মানবজাতির টিকে থাকা বা না থাকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ব্যক্তিগত মতামত : এই সময়ের প্রমিসিং থ্রিলার লেখকদের মধ্যে জাহিদ হোসেন অন্যতম। গতো দুই বছরে উনার কিবোর্ড থেকে উঠে এসেছে 'ঈশ্বরের মুখোশ' ও 'ফিনিক্স'। দুটো থ্রিলারই ছিলো মানসম্মত ও সুখপাঠ্য। তাই এবারের বইমেলার আগে থেকেই জাহিদ হোসেনের নতুন মৌলিক থ্রিলারকে নিয়ে আশা একটু বেশিই ছিলো। সেই সাথে একটা ভয়ও কাজ করছিলো। আশাহত হওয়ার ভয়। তবে 'কাদ্যুসেয়াস' আমার সেই ভয়কে অমূলক প্রমাণ করেছে। তৃতীয় মৌলিক থ্রিলার উপন্যাসে জাহিদ হোসেন যেন নিজেকেও ছাড়িয়ে গেছেন। জাহিদ হোসেনের গল্প বলার ধরণ পুরোপুরি স্বতন্ত্র। সাবলীল লেখনী ও দারুন হিউমার 'কাদ্যুসেয়াস' উপভোগে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। লেখক যেমন অসাধারণ একটা প্লট বেছে নিয়েছেন এই উপন্যাসের জন্য, তেমনি দক্ষভাবে সেই প্লটকে ধীরে ধীরে করেছেন বিস্তৃত। আর ট্যুইস্টগুলোর ব্যাপারে একটা কথাই বোধহয় যথেষ্ট। শাব্বাশ! অচিন্তনীয় ও অভাবনীয় কিছুই তো ট্যুইস্ট, তাইনা? 'কাদ্যুসেয়াস'-এ সামান্য পরিমাণ টাইপিং মিসটেক ছিলো। এটা স্বাভাবিক। বাতিঘর প্রকাশনী বোধহয় ভুলের মাত্রা কমিয়ে আনছে আগের চেয়ে। ব্যাপারটা ভালো লেগেছে। সেই সাথে ভালো লেগেছে ডিলান সাহেবের নজরকাড়া প্রচ্ছদ। রেটিং : ৪.৯/৫ © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
কাদ্যুসেয়াস (caduceus) মানে কী? কাদ্যুসেয়াস একটা সিম্বল। সিম্বলটা সবাই চেনেন। একটা লোহার দন্ডকে পেঁচিয়ে আছে দুটা সাপ। মনে পড়ছে না? মেডিকেলের সিম্বল। আসলে এই সিম্বলটা শুধুমাত্র মেডিকেলের না। এর বিস্তৃতি বিশাল। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে দিন পার হয়ে যাবে। আমি বরং উইকির একটা লিঙ্ক দিয়ে দিই সেখান থেকে দেখে নিবেন। তবে এই বইয়ে কাদ্যুসেয়াস ব্যবহার করা হয়েছে একটা ধর্মের সিম্বল হিসেবে। সুপ্রাচীন এবং বিলুপ্তপ্রায় একটা ধর্ম। "এনশিয়েন্ট অর্ডার অভ সেক্রেড মাউন্টেইন"। ধর্মটা লেখকের মনগড়া। মানে, গল্পের খাতিরে কাল্পনিক একটা ধর্মের অবতারণা করা হয়েছে এখানে। লেখক তো অনুরোধ করেছেনই, আমিও করছি.... "কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না"। আইনস্টাইনের ঐ কথাটা মনে আছে? "ইমাজিনেশন ইজ মোর ইম্পোর্ট্যান্ট দ্যান নলেজ" কাহিনী কোত্থেকে শুরু করব তা নিয়ে আমি নিজেও একটু দ্বিধায় আছি। কারণ টুকরো টুকরো অনেকগুলো গল্প জোড়া দিয়ে এই বইটি লেখা হয়েছে। প্রথমদিকে গল্পগুলো আলাদা মনে হলেও শেষের দিকে দেখবেন সব একই সূতোয় গাথা। এই ব্যাপারগুলো আমার খুব ভাল্লাগে। মাথা খাটানোর সুযোগ পাওয়া যায়। কাহিনীর শুরুটা ধরা যাক একটা মার্ডার দিয়ে। যেনতেন মার্ডার না। কিছুটা অস্বাভাবিক। কিছুটা না বলে পুরোটাই অস্বাভাবিক বলা ভালো। মহাখালীর এক নির্জন গলিতে খুন করা হয় বিশিষ্ট শিল্পপতি আজমতউল্ল্যাহর ছেলে ওয়াসিফ উল্ল্যাহকে। লাশ ঘিরে বিচিত্র সব আঁকিবুঁকি। একপাশে একটা চেয়ার, তার সামনে একটা গামলা রাখা। গামলা ভর্তি রক্ত। ওয়াসিফ উল্ল্যাহর কজ অভ ডেথ রক্তক্ষরণ। সাধারণত মানবদেহের অর্ধেক বা দুই তৃতীয়াংশ রক্তক্ষরণ হলে মানুষ মারা যায়। আর ওয়াসিফের শরির থেকে সব রক্তই বের করে ফেলা হয়েছে! এই কেসের দায়িত্ব পড়ে সিআইডি'র ডিপার্টমেন্ট অভ এক্সট্রা অর্ডিনারি কেসেজ এর উপর। গালভরা নাম থাকলেও আড়ালে সবাই আবজাব ডিপার্টমেন্ট বলে টিটকারি মারে। আবজাব ডিপার্টমেন্ট মোটে তিনজন মানুষ নিয়ে গঠিত। একরোখা গোয়েন্দা রহমান জুলফিকার, কনসালটেন্ট শাজাহান ভূঁইয়া এবং পিয়ন বাশার। শাজাহান ভূঁইয়াকে নিয়ে তদন্তে নামে জুলফি। এদিকে ম্যাড ডগ নামে এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার একের পর এক খুন করে যাচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে। তার খুন করার পন্থাটাও অস্বাভাবিক। কুকুর দিয়ে খুন করায় সে। বিলুপ্তপ্রায় এক সুপ্রাচীন ধর্ম "এনশিয়েন্ট অর্ডার অভ সেক্রেড মাউন্টেইন" এর ধর্মগুরু হাইঞ্জ বেকারের উপর আক্রমণ হয় আশুগঞ্জের এক হোটেলে। রক্তবন্যা বয়ে যায় হোটেলে। হোটেলের দেয়ালে অদ্ভূত সব সিম্বল এবং দুর্বোধ্য কিছু কথা। এদিকে আবার ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের কয়েক জায়গায় উদ্ভট কিছু কান্ড ঘটে। কয়েকশ মুন্ডুহীন বেড়াল, কয়েকশ মুন্ডুহীন মুরগি এবং কয়েকশ মুন্ডুহীন ছাগলের দেহ ঝুলতে থাকে পরিত্যাক্ত কয়েকটি বাড়িতে। স্যুট বুট এবং গোলাপি টাই পড়া একজন লোক হন্যে হয়ে ঘুরছে হাজার বছরের প্রাচীন একটা বইয়ের খোঁজে। যেখানেই যাচ্ছে রক্তের ধারা রেখে যাচ্ছে। এসব কিসের আলামত রে ভাই? আমার তো রিভিউ লিখতেও গা শিওরে উঠছে! জাহিদ হোসেনের লেখার সাথে আমি পরিচিত ছিলামনা। এটাই আমার পড়া তার প্রথম বই। তার লেখনীর ধরণটা আমার পছন্দ হয়েছে, সিরিয়াস কথাবার্তার মধ্যেও কিছুটা বিনোদন দিতে চেষ্টা করেছেন এবং সফলও হয়েছেন। তবে কিছু কিছু জায়গায় আমার খটকা লেগেছে। বইয়ের বেশিরভাগ অংশই উত্তমপুরুষে লেখা। জুলফি'র জবানিতে। কিন্তু শাজাহান ভূঁইয়ার কিছু কার্যকলাপও জুলফির জবানিতে লেখা হয়েছে। যেমন ধরুন, শাজাহান ভূঁইয়া একটা কাজে যাচ্ছে কোথাও, তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে জুলফির জবানিতে। এই ব্যাপারটা খাপছাড়া মনে হয়েছে আমার কাছে। তাছাড়া অনেক জায়গায় কার জবানিতে বর্ণনা দেয়া হচ্ছে তা ক্লিয়ার ছিলনা। অনেকটাই ধোঁয়াশা ছিল। আরেকটা ব্যাপার যেটা খটকা লেগেছে সেটা হল "অথবা এবং হয়তোবা"র ব্যবহার। বানান ভুলও রয়েছে অনেক। তবে গল্পের আকর্ষণে ওগুলো তেমন একটা চোখে পড়েনা। গল্পটা আমার কেমন লেগেছে? যদি এক কথায় বলি, তাহলে বলতে হবে "অসাধারণ"। বইমেলার সময় যখন লেখকের ফেসবুক আইডিতে এই বইয়ের প্রিভিউ পড়ি, তখনই বইটা সংগ্রহের জন্য পাগল হয়ে উঠি। বইয়ের কাহিনী প্রথম দিকে একটু স্লো মনে হতে পারে, তবে ধৈর্য্য ধরে এগোতে পারলে মজাই মজা। প্রথম দিকে অনেকগুলো টুকরো গল্পের অবতারণা করা হয়েছে, যেগুলো আস্তে আস্তে জোড়া লাগতে থাকে। মজা শুরু সেখান থেকেই। আমি এর আগে বাংলা কোনো থ্রিলার বইকে রোলার কোষ্টার বলিনি। এই বইটাকে বললাম। রোলার কোষ্টার যেমন প্রথমে আস্তে আস্তে উপরদিকে উঠে, এবং তারপর ধুম করে স্পিড বেড়ে যায়, আরোহীরা উত্তেজনায় নিশ্বাস নিতে ভুলে যায়, এই বইটাও ঠিক তেমন। পুরোটা গল্পই আবর্তিত হয়েছে সুপ্রাচীন একটি ধর্মকে ঘিরে। আগেও বলেছি, এটি লেখকের কল্পনাপ্রসূত। লেখক নিজে যেমন স্বীকার করেছেন তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন ড্যান ব্রাউন, ক্যাথরিন নেভিল এবং উমবার্তো ইকো'র, তেমনি আমিও ড্যান ব্রাউনের ছাঁপ লক্ষ্য করেছি। বাকি দুজনের বই আমি পড়িনি বলে সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারছিনা। সব শেষে একটাই কথা বলবঃ সময় থাকলে উঠে পড়ুন রোলার কোষ্টারে। সময়টা বৃথা যাবেনা। ভালোবাসাই বিমার, আবার ভালোবাসাই দাওয়াই :)