User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
খুব ভাল বই
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ- বিরাজ বৌ লেখক- শরৎচন্দ্র চট্যোপাধ্যায় উপন্যাসটির নাম বিরাজ বৌ রাখা হয়েছে গল্পের প্রধান চরিত্র বিরাজ অবলম্বনে।যাকে নিয়ে গল্পের পট পরিবর্তন হয়েছে সেই বিরাজ হলেন নীলাম্বর এর বউ।নীলাম্বর ও পীতাম্বর দুই ভাই।নীলাম্বর বড় আর পীতাম্বর ছোট।নীলাম্বর মড়া পোড়ানো, কীর্তন গাওয়া, খোল বাজানো এবং গাঁজা খাইত। সে খুব পরোপকারী। আর অপরদিকে ছোটভাই পীতাম্বর আদালতের আর্জি লিখিয়া সময় কাটাত। সে ভীতু প্রকৃতির ও স্বার্থপর। তাদের ছোট একটি বোন যে কিনা নীলাম্বর আর বিরাজের আদরেই বড় হয়েছে। স্বচ্ছল পরিবার বলে খুব ভালই চলছিল দিনকাল।বিরাজ স্বামীকে খুব ভালবাসত।দৃষ্টিগোচর হতে দিত না স্বামীকে।তার ধ্যান ধারনা ,কাজ কর্ম সব ছিল স্বামীর জন্য্ । হঠাৎ পুটিকে বিয়ে দেওয়ার পর সংসারে অভাবের ছায়া পড়তে শুরু করে। কেননা পুটিকে বিয়ে দেওয়ার সময় কথা ছিল পুটর জামাইকে মেডিকেলে পড়ার খরচ দিতে হবে ।এই খরচ টানতে গিয়ে ভিভিন্ন দেনা করে বসে নীলাম্বর।তার ভাই পীতাম্বর সামান্য সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। এদিকে স্বামীর দৈন্যদশায় স্ত্রী বিরাজের মন সারাক্ষন খারাপ থাকে। হঠাৎ নীলাম্বরের অসুস্থতায় বিরাজ উপোস করে নীলাম্বরের সুস্থতার জন্য। এদিকে সংসারের অবস্থা এমন দাড়ায় যে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আর এদিকে বিরাজের উপর গ্রামের জমিদারের ছেলের বদনজরে পড়ে।তাকে পাওয়ার জন্য বিরাজের কাজের মেয়ে সুন্দরিকে হাত করে জমিদারের ছেলে । জমিদারের ছেলে নদীর ঘাটে নৌকা বেধে অপেক্ষা ঐ জমিদারের ছেলে।একদিন বিরাজ আর পীতাম্বরের বৌ মোহিনী পানি নিয়ে ফেরার পথে বিরাজ জমিদারের ছেলেকে কতক কথা শুনিয়ে আসে।এ দৃশ্য পীতাম্বর দেখে তার বউকে মারতে শুরু করে।বউকে মারতে দেখে নীলাম্বর এগিয়ে এসে জোড় গলায ধমক দেয়। সব ঘটনা পীতাম্বর খুলে বলে কিন্তু সামান্য কোন প্রতিক্রিয়া করেনি নীলাম্বর।বিরাজের প্রতি তার অটল বিশ্বাস। ঘরে ফিরে কিছুই বলেনি নীলাম্বর।এভাবে দিনকাল চলতে থাকে।অপরদিকে মহাজনরা টাকার ব্যাপারে নালিশ করে যায় বারবার ।এতে বিরাজ আরো ভেঙে পড়ে কি করবে ভেবে পাংয় না। আর এদিকে কলকাতায চাকরি করতে যেতে বলে নীলাম্বর। একদিন কাজের সন্ধানে বেরুনোর পর দুদিন পর মড়া পোড়ায়ে নেশা খেয়ে ফিরে দেখে গরে বিরাজ নেই ।রাতে বিরাজ ঘরে চাল ছিল না বলে পাশের বাড়ি যায় চাল আনতে। এদিকের বিরাজ ফিরে এলে মদ্যপ নীলাম্বর ওকে চরিত্রহীন বলে আখ্যা দেওয়ায় কাঁদতে কাঁদতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় বিরাজ । লোকে বলাবলি করতে থাকে,সে নাকি চরিত্রহীন ।পরপুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। কিন্তু সে সুন্দরীর আশ্রয়ে জমিদারের ছেলের জাহাজে ছড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে চেয়েছিল ।কিন্তু এক পর্যািয়ে চরিত্রহরণের ভয়ে নদীতে ঝাপ দেয় বিরাজ।জ্ঞান ফিরে এলে এক হাসপাতালে নিজেকে আবিষ্কার কর্।পরে সে ঘটনাক্রমে ভিক্ষুকের মত জীবন যাপন করতে উদ্যত হয়।আর এদিকে মোহিনীর সহায়তায় দুইভাই মিলে যায়। অপরদিকে পুটির শাশুরী মারা যাওযায পুটি এ বাড়ি আসার মনস্থ করে।এদিকে নীলাম্বর দিন দিন অসুস্থ হয়ে যেতে থাকে ।বায়ু পরিবর্তনে কলকাতায যায় তারা সেখানে একদিন ঘটনাক্রমে দেখা হয় বিরাজের সাথে। সবঘটনা জেনে অত্যন্ত ব্যতিথ হয় সবাই ।কিন্তু বিরাজ তখন মৃত্যুশয্যায়।কোন এক সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিরাজ স্বামীর দেহে মাথা রাখিয়া পরলোকগমন করল।