User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
"মাঝে মাঝে তব" ওয়াসিকা আপুর প্রকাশিত দ্বিতীয় উপন্যাসগ্রন্থ। উপন্যাসের শুরু হয়েছে শুভ্র নামের এক বুয়েট পড়ুয়া ছেলের বাড়ি ছেড়ে প্রথম ঢাকায় আসার ঘটনা দিয়ে। রিক্সা থেকে নেমেই সাদা রঙের একটা দোতলা বাড়ি আর তার ছাদ বেয়ে ঝুলে পড়া লাল সাদা বাগানবিলাস দেখে সে মুগ্ধ হয়। এরপর তার চোখে বাড়ির এমন এক সৌন্দর্য ধরা পড়ে যা তার জীবনে এক আমূল পরিবর্তন এনে দেয়। এই উপন্যাসে নায়ক চরিত্র শুভ্র বুয়েটে পড়তে এসে তার এক মামার বাড়িতে উঠে। তারপর তার জীবনে আসে প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোলাগা। যা প্রতিটি মানুষের জীবনে বহু প্রতিক্ষিত কিন্তু সে প্রতিক্ষিত প্রেমের স্বীকৃতি কি সে পাবে???? আমরা প্রত্যেকে একটা সমাজে বাস করি। আমরা সবাই সমাজের কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে বাধ্য থাকি, কিন্তু তবুও সেই সব সাজানো নিয়ম নীতির ফাঁক গলে মাঝে মাঝে জীবনে আসে কিছু প্লাবন। যা জীবনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। মাঝে মাঝে তব এমনই একটি উপন্যাস যা শুভ্রের জীবনে নিয়ে আসে বাঁধ ভাঙ্গা প্লাবন, যা ভাসিয়ে নিয়ে যায় শুভ্রর বর্তমান, তার ভবিষ্যৎ। শেষ পর্যন্ত শুভ্র কি ফিরে পায় জীবনের সঠিক বাঁক, নাকি ভেসে যায় সেই বাঁধ ভাঙ্গা প্লাবনে তা জানতে হলে পড়তে হবে মাঝে মাঝে তব বইটি। উপন্যাসে সকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, সকালকে পুরোটা জানতে গিয়ে আমার মাঝে মাঝে ওর জন্য খুব কষ্ট হয়েছে, কখনও ওর জন্য মন খারাপ হয়েছে, কখনও কখনও আবার ওর কাজগুলো খুব দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে, মনে হয়েছে ও অপরাধী। কিন্তু দিনশেষে শুধুমাত্র ওর জন্যই আমার মনে এক হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। মকবুল চরিত্রটি এককথায় অসাধারণ ছিলো, গল্পের পাতা থেকে বাস্তবে উঠে এসেছিলো যেনো। ওয়াসিকা আপুর লিখার ধরণটাই এমন যে সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিসগুলো এতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলে যে তা বইয়ের পাতা থেকে বাস্তবে উঠে আসে। মকবুল চরিত্রটি তার জায়গায় একদম স্বার্থক, কিছু কিছু জায়গায় মকবুলকে আমার খুব খারাপ মনে হয়েছে, অসহ্য লেগেছে কিন্তু তারপর আবার মনে হয়েছে সে যা করেছে তাই হয়তো করা উচিত, না করাটাই বরং অস্বাভাবিক হতো, এই চরিত্রটির জন্যও একসময় খুব মায়া হয়েছে আমার। মাঝে মাঝে তব উপন্যাসে উঠে এসেছে একটা সমাজ, সমাজের নিয়ম-কানুন, পরিবার, পারিবারিক মূল্যবোধ, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, ভুল, অপেক্ষার গল্প। এই উপন্যাসে লেখিকা আমাদের সমাজের একটি সমকালীন ঘটনা তুলে ধরেছেন। যা কারো কারো চোখে সঠিক আবার কারো কারো চোখে ঘোর অন্যায়। মাঝে মাঝে তব পড়ার সময় আপনি উপন্যাসের প্রতি পাতায় ডুবে থাকবেন, আর উপন্যাসের শেষে পাবেন এক চমক। সে চমক আপনাকে বইটির ঘোর থেকে বের হতে দেবে না। বই শেষ হওয়ার আমার মনে হয়েছে এ যেন শেষ হয়েও হয় নাই শেষ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #অক্টোবর : ৩ বইয়ের নামঃ মাঝে মাঝে তব ধরণ : উপন্যাস প্রকাশনী : বাংলার কবিতা প্রকাশনী মলাট মূল্য-২০০ সদ্য বুয়েটে ভর্তি হওয়া শুভ্র, ঢাকায় এসে মামার বাসায় ওঠে। আর তখনই তার সাথে পরিচয় হয় মায়াবতী সকালের। মেয়েটি নামেই শুধু সকাল নয়, তার কাছে সে হয়ে ওঠে সত্যিই এক সিগ্ধ,পবিত্র সকালের মত। প্রথম দিকে কিছুটা মনমালিন্য দেখা দিলেও অল্প কয়েকদিনের মধ্যে তারা হয়ে ওঠে খুব ভাল বন্ধু। তারপর সে বন্ধুত্ব এগিয়ে যায় প্রেমের দিকে। ভালোবাসার অনুভূতি যখন তাদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে, ঠিক তখনই তারা আবিষ্কার করে এক নিষিদ্ধ সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে তারা। এই সমাজ যে সম্পর্ক কোনদিন মেনে নিবে না। এই সম্পর্কের জোরে নিজের কাছের লোকেরাই হয়ে ওঠে তাদের শত্রু সম। তারপর কি করবে তারা? ভালবাসার জোরে থাকবে একসাথে? নাকি সামাজিকতার দায়ে ছেড়ে যাবে একে অন্যকে? পাঠ পতিক্রিয়া : লেখিকা ওয়াসিকা নুযহাতের প্রথম উপন্যাস যখন পড়েছিলাম, তখনও আমি তার লেখার সাথে পরিচিত নই। সম্পূর্ণ অপরিচিত লেখক,তার উপরে আবার প্রথম বই,ব্যাপারটা আমাকে অবাক করেছিল প্রচন্ড। প্রথম বই বলতে, আক্ষরিক অর্থেই আমরা এমন ধরে নিই,যে সে বইতে প্রত্যাশার তেমন কিছুই নেই। কিন্তু আমার ধারণা পালটে যায়,তার বই পড়ে। সেই ধারাবাহিতায় এই বার পড়লাম "মাঝে মাঝে তব"। বইটি যতই পড়েছি,ততই মুগ্ধ হয়েছি। কখনো বা মুগ্ধ হয়েছি শুভ্রর আচরণে,কখনো বা সকালের মায়ামোহে। উপন্যাসের মকবুল চরিত্রটি কে বোধহয় ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। সময়ে তিনি কখনো কোমল, আবার কখনো দৃঢ়, কঠোর।জীবনের সকল ক্ষেত্রে জেতার নেশা তাকে বদলে দিয়েছে সময়ের সাথে। মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়নে সত্যিই লেখক মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে। সময়ের বর্ণনা গুলো কল্পনায় চোখের সামনে দৃশ্যপট তৈরি করেছে। আর উপন্যাসের শেষ টা চমক দেখিয়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রথম থেকে যেভাবে এগিয়েছে,তাতে ওই এইরকম পরিসমাপ্তি ভাবিনি। এই রকম পরিসমাপ্তির জন্যই বোধহয় অনেক দিন মনে থাকবে উপন্যাসটি। তবে উপন্যাসের ক কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিনাটকীয়তাও মনে হয়েছে( ব্যক্তিগত অভিমত। অন্যদের নাও লাগতে পারে) তবে নতুন লেখক হিসেবে সেটুকু না ধরলেও চলে। বাকিটা সত্যিই উপভোগ্য। যারা নতুন লেখকদের বই পড়তে দ্বিধায় ভোগের, তারা এটি পড়ে দেখতে পারেন। নিঃসন্দেহে ভাল লাগবে
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাস সারাংশ- সদ্য এইচএসসি পাশ করে বুয়েটে চান্স পেয়ে ঢাকায় এক দুঃসম্পর্কের মামার বাসায় উঠে শুভ্র। মামার বাসায় প্রথম দিনই ধাক্কা খায় প্রথমদিনই। পঞ্চাশ এর বেশি বয়স্ক বিপত্নীক মামার বাসায় কম বয়সি এই মেয়ে কোথা থেকে এল? love at first sight যাকে বলে তাই হল শুভ্রর। দ্বিতীয়দিনই জানতে পারলো মেয়েটি তার মামা মকবুলের বিবাহিতা স্ত্রী। সকাল ২২/২৩ বছর বয়সি মিষ্টি একটা মেয়ে। তার চোখ মুখের লাবণ্য আর মুগ্ধতা ছড়ানো চোখ দেখে যে কেউই প্রেমে পড়ে যাবে। শুভ্র কোন ছাড়! তবুও নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করে যায় শুভ্র। বাসা ছেড়ে দিতে চায়। কিন্তু হঠাৎই সব এলোমেলো করে দিয়ে সকালের সাথে ভালো একটা বন্ধুত্ব হয়ে যায় শুভ্রর। বন্ধুত্ব থেকেই প্রেমের জন্ম নেয় দুজনার মাঝে। আর তাদের সম্পর্ক এর জন্য শুভ্র ও তার মামার মাঝে খুব নিরবেই গড়ে উঠে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা। সমাজে উচ্চশিখর এ থাকা ৫০ উর্ধ বয়স্ক দাম্ভিক মকবুল এক প্রতিযোগিতায় নেমে গেলেন শুভ্র সাথে। এভাবেই চলতে থাকে উপন্যাসটি। পাঠক প্রতিক্রিয়া- মাঝে মাঝে সকল বাস্তবতা, পরিবার সমাজ রীতিনীতি সব মন ছুটতে থাকে নিজের মত। নিজের ভালোলাগাকে ছাড়া আর কোন বাঁধা মন মানতে চায় না। লেখিকার লেখায় এমন একটি ভূমিকায় থাকা ক্যারেক্টার হল শুভ্র এবং সকাল। তিনি তার লেখায় প্রতিটি মুহূর্ত এর মনের অবস্থা এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন যে প্রতি বাক্য নিজের মনের কথা মনে হয়। আমাদের মনের কথাই লেখিকা তার উপন্যাসে ক্যারেক্টার গুলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। লেখিকার প্রতিটি বাক্যে রয়েছে মুগ্ধতা। প্রতিটি ক্যারেক্টার, প্রতিটি স্থানের বর্ণনা এত সুক্ষ্ম আর চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন যে সবকিছুই যেন চোখের সামনে ভাসতে থাকে। উপন্যাসটি সকলের মনেই দাঁগ কাটবে।