User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Ali Mohammad Moyeth

      14 Jul 2021 05:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      pretty good...

      By Masuk Helal

      10 Mar 2021 02:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Nice thriller,little bit too much. But, the storytelling has covered that!

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      06 Dec 2019 12:09 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেকদিন পর জমজমাট একটা এসপিওনাজ থ্রিলারের স্বাদ পেলাম 'বাজিকর' পড়ার মাধ্যমে। এই বইটি লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস হিসেবে ভালোই লেগেছে।

    • Was this review helpful to you?

      or

      বাজিকর গল্পের শুরু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগার প্রাক্কালে ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সিআইএ এজেন্টের মাধ্যমে। তার সাথে রয়েছে দুনিয়া কাঁপিয়ে দেওয়ার মত বিস্ফোরক কিছু তথ্য। তার পালানোর জের ধরেই বিশ্বযুদ্ধের চেহারাই পালটে যাওয়ার দশা। এগুলোর জেরেই সেখানে আরো একটা ঘটনা ঘটলো - যেটার রেশ কখনোই এইদিক পর্যন্ত আসার কথা না। যাত্রিবাহী এক প্লেন নিখোঁজ হয়ে গেল হঠাৎ করে। সেই যাত্রিবাহী প্লেনে ছিল বাংলাদেশের প্রধাণমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা ও দেশের সেরা এজেন্ট বাজিকর জানি। কিন্তু তাদেরকে উদ্ধারও এত সহজ নয়। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে ঘটনা। আন্তর্জাতিক শক্তির কেউই এগিয়ে আসছে না এদিকে। ঐদিকে বাংলাদেশ থেকে পাঠানোর মত যে ছিল সেই বাজিকর জনিই বিপদে। দ্বিতীয় সেরা এজেন্ট কোমায়। তাই বাধ্য হয়েই তৃতীয় সারির এক এজেন্টকে দলনেতা করে ছয়জন এজেন্টের একটা দল পাঠানো হয় ইউক্রেনে। ছয়জন এজেন্ট নয়, পাঁচজন এজেন্ট - আর ষষ্ঠজন তখনো পুরোপুরি এজেন্ট হয়ে উঠেনি, অপারেটিভ, দলের নবীশ সদস্য আহাদ। ইউক্রেনে যাওয়ার পর রেসকিউ মিশনের শুরুতেই ধাক্কা। সেই ধাক্কায় পুরো মিশনের দায়িত্ব এসে পড়ে আহাদের উপর। একজন নবীশ এজেন্টের উপর। যার কিনা মাঠ পর্যায়ে কাজের কোন অভিজ্ঞতাই নেই। যার বেড়ে উঠা এতিমখানায়, ফুটপাতে, পকেট মেরে নিজের খোরাক যোগার করতে হত - যার শৈশবই সংগ্রামের। যার বেড়ে উঠাই সংগ্রাম দিয়ে, তার অভিজ্ঞতা যত কমই হোক - সংগ্রাম ছাড়া তো আর তার পক্ষে হেরে যাওয়া সম্ভব নয়। তার সংগ্রামের সাথে সাথেই জেগে উঠেছে আরো কিছু প্রশ্ন - - তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে প্লেনটা হাইজ্যাক করেছে কারা? - মুখোশ দিয়ে ঢাকা শত্রুসেনার দলপতি আসলে কে? কার চেহারা লুকিয়ে আছে মুখোশের আড়ালে? - আহাদকে যে মিশনে পাঠানো হল - সেটা কি সত্যিই কোন রেসকিউ মিশন নাকি অন্য কিছু? - মুখোশ দিয়ে ঢাকা ঐ দলপতি আসলে কোন পক্ষের? - মুখোশ দিয়ে ঢাকা ঐ সেনার মত কি এই পুরো ঘটনা প্রবাহের আড়ালেও লুকিয়ে আছে তৃতীয় কিছু? যেটা কলকাঠি নেড়ে নাচাচ্ছে অন্য দুই পক্ষকে? কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসার অবস্থা, শুধু সাপই না সাথে সাথে বেরিয়ে আসছে আরো অনেক কিছুই। তবে, এত কিছুর পরও - এই গল্পটা শুধু আহাদের। শুধুই আহাদের। . . . জানিনা কাহিনী সংক্ষেপে কি আসলে স্পয়লার দিয়ে ফেলেছি কিনা। আর যদি স্পয়লার দিয়েও থাকি - তাহলেও গল্পের মূলে যা আছে তার কিছুই বলিনি। কাহিনীটা অসাধারণ। শুধুই অসাধারণ না, অসাধারণ রকমের অসাধারণ। বইটা শুরু করেছিলাম তাড়াতাড়ি করে পড়ে ফেলার জন্য। ৪০/৪৫ পৃষ্ঠা পড়ার পর মনে হল - নাহ, এটা সময় নিয়ে মাথা খাটিয়ে খাটিয়ে পড়তে হবে। অবশ্য তখনো ভাবিনি যে, বই পড়ে শেষ করার পরও মাথা খাটানো অব্যাহত রাখতে হবে। পয়েন্ট বাই পয়েন্ট বই নিয়ে কিছু প্রতিক্রিয়া - - গল্পের প্রতিটি চরিত্রই চমৎকারভাবে ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে। অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী চরিত্রগুলোকেও পূর্ণাঙ্গভাবে দেখানো হয়েছে। তবে, আহাদকে ফুঁটিয়ে তোলাটা ছিল সবচেয়ে ভাল দিক। গল্প পড়তে পড়তে আহাদকে আমার Olympus has Fallen এর জেরার্ড বাটলারের মত মনে হচ্ছিল। - গল্পের থ্রিল জমজমাট। গল্প এগিয়ে চলার গতি অসাধারণ। একটা জায়গায়ও মনে হয়নি যে অতিরিক্ত বা গল্প ঝুলে পড়েছে। তবে, থ্রিলের আধিক্যের কারণে এসপিওনাজ ছাপটা একটু আড়াল হয়ে গিয়েছিল। - লেখনী নিয়ে বলতে গেলে দুই ধরণের কথা বলতে হবে। বইয়ের শুরুর দিকে লেখনী পড়ে মনে হয়েছে - লেখক শব্দ নিয়ে খেলা করছেন। তবে, অর্ধেকের পর থেকে লেখনী কিছুটা বদলে গিয়েছিল। তখন গল্পটাকে একটু কাঠখোট্টা মনে হয়েছে। লেখনীকে সবচেয়ে বেশি দুর্বোধ্য বইয়ের শেষের দিকের একটা অংশে। ঠিক অংশে, একটা বাক্যে। ঐ বাক্যটা আসলে কাহিনীর স্বার্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবমিলিয়ে বলতে গেলে - মোটামুটি। - বইয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক অ্যাকশন দৃশ্যগুলো। দৃশ্যগুলো খুবই রোমাঞ্চকর। অ্যাকশনগুলোর কারণে গল্পের প্রতি আকর্ষণও অনেক বেড়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে, ফ্লাইং এনসিউগিরির দৃশ্যটা জাস্ট মনে দোল দেওয়ার মত। লেখক মনে হয় - রেসলিং-এর বিশেষ ভক্তও। রেসলিং-এর বেশ কিছু মুভ আছে কাহিনীতে। কয়েকজন রেসলারের নামও আছে। যেমন - কেভিন, ওয়ায়েট, সাশা আর দ্য লুনাটিক। লুনাটিকের ক্যারেক্টারাইজশনও WWE এর ঐ লুনাটিকের মতই। রেসলিং পাগল হওয়ায় এগুলো আরো বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছে আমাকে। - বাজে দিকগুলোর মাঝে একটা হল - কয়েক জায়গায় চরিত্রগুলোর নাম উলটপালট হয়ে গেছে। যেমন আহাদের জায়গায় জনি এসে গেছে, সেবাস্তিয়ানের জায়গায় স্কেলক্রভ, আরো কয়েকটা। এটা বেশ দৃষ্টিকটু ছিল। এইভুলগুলো গল্পের দৃশ্যায়ন সৃষ্টি করতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। - সবশেষে আসি গল্পের টুইস্ট নিয়ে। টুইস্টগুলো বিশেষণ হিসেবে আমি একটা শব্দই ব্যবহার করতে পারি - এগুলো 'নোলানীয়' টুইস্ট ছিল। মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মত। মাথায় রেশ থেকে যাওয়ার মত। সবচেয়ে বড় কথা, টুইস্টটা বুঝতে হলে - গল্পটা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভাবতে হবে। পড়লাম আর টুইস্ট বুঝে ফেললাম টাইপের টুইস্ট না। লেখক দক্ষতার সাথে পাঠককেও তদন্তে নামিয়ে দিয়েছেন। বেশ কিছু টুইস্ট আছে। যেহেতু আমি থ্রিলারে অভ্যস্ত তাই গল্প পড়তে পড়তে আগেই টুইস্ট ধরে ফেলি। এই বইয়ের ক্ষেত্রে অল্প কয়েকটা টুইস্ট ধরতে পারলেও - পুরোপুরি পারিনি। কিছু কিছু বেশ চমকে দিয়েছে। এমনকী এগুলোর ক্লুও আগেই দেওয়া ছিল - কিন্তু অতটা গুরুত্বপূর্ণ মনেহয়নি সেগুলোকে। আর, সবচেয়ে বড় টুইস্টটা আমি নিশ্চিত না যে এখনো ধরতে পেরেছি কিনা। টুইস্টটা যদি আমি যেটা ভাবছি সেটাই হয় - তাহলে বলব চমৎকার একটা বই, ভালো বিভ্রম সৃষ্টি করতে পেরেছে, যদিও ঐ টুইস্ট মিলানোর তথ্য নিশ্চিত কোন তথ্য নাই। আর, যদি টুইস্ট ওটা না হয় - তাহলে বই অসম্পূর্ণ আছে। তবে, টুইস্ট যেটাই হোক - বইটা আমাকে পরিপূর্ণ পাঠকস্বত্ত্বাকে তৃপ্তি দিতে পেরেছে। .

      By মাদিহা মৌ

      31 Oct 2019 07:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কাহিনি সংক্ষেপ প্রায় বছরখানেক আগে ইউক্রেন নামের এক দেশে অশান্তি শুরু হয়েছে। বর্ডার টপকে দেশটিতে ঢুকে পড়েছে, রাশিয়ানরা। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে কিছু ইউক্রেনীয় লোকজন। সোজা বাংলায় যাকে বলে, রাজাকার। রাশিয়ান, আর তাদের সাথে হাত মেলানো রাজাকারদের দ্বারা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের দোনেৎস্ক শহরের আকাশ থেকে হাইজ্যাক করা হলো একটা যাত্রিবাহী বিমান। যেটায় ছিলো বাংলাদেশের প্রাইম মিনিস্টারের মেয়ে, এবং উপমহাদেশের সেরা এসপিওনাজ এজেন্ট বাজিকর জনি। মহামূল্যবান গোপনীয় কিছু ইনফরমেশন জেনে নিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে এদেশে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সিআইএ এজেন্ট কার্ল। নিজের জীবনের ভার তুলে দিয়ে তিনমাসের পরিচয়ে গড়ে ওঠা বন্ধু, সাব্বিরের হাতে। সাব্বিরের কাছে কি সে নিরাপদ? . ওদিকে হাইজ্যাককারীদের উদ্দেশ্য একটাই। কার্লকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এতো বিশ্বাসঘাতক নয় যে এভাবে কার্লকে তাদের হাতে তুলে দেবে। তাই জিম্মিদের উদ্ধার করার জন্য বাছাই করা ছ’জন এসপিওনাজ এজেন্টকে পাঠানো হলো। যারা মোটেও সেই সিক্রেট এজেন্সির ফার্স্ট চয়েজ নয়। . ইউক্রেনের মাটিতে দলটা আসতে না আসতেই ঝামেলা হয়ে গেল। সেইফ হাউজের প্রথম রাতেই ঘুমন্ত ছয় এজেন্টের উপর আক্রমণ চালানো হলো। সেই বিভীষিকাময় রাত কাটানোর পর পুরো মিশনের দায়িত্ব এসে পড়লো দলের সবচেয়ে ছোট, অপরিপক্ব, অনভিজ্ঞ এজেন্ট আহাদের ওপরে। যে এর আগে কখনো দেশের বাইরের কোন মিশনে যায়নি। যার ট্রেনিং এখনো শেষ হয়নি। যে কেবল মাত্র একজন অপারেটিভ। . বিভীষিকাময় রাত থেকে উদ্ধার পেয়েই ফেসমাস্কে মুখ ঢেকে রাখা লোকটার সাথে দেখা হলো। কে এই লোক? কর্নেল সেবাস্টিয়ান নামধারী ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর লোকটি সবসময় মুখোশের আড়ালে থাকে কেন? একদমই অপরিচিত একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মিশনের কতটুকু সফল করতে পারবে নিঃসঙ্গ আহাদ? কী করেই বা করবে সেটা? যার পিছনে শত্রুপক্ষ হন্যে হয়ে লেগে আছে, সেই আহাদ কি পারবে তার প্রাণপ্রিয় জনিভাই আর প্রধানমন্ত্রীর মেয়েকে উদ্ধার করতে? . পাঠ প্রতিক্রিয়া এই বইয়ের লেখনিকে ঠিক কিসের সাথে তুলনা দিলে যুৎসই হবে, বুঝতে পারছি না। বইটা পড়ার পুরোটা সময়ে, একদম সবটুকু সময়ে, প্রচন্ড মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেওয়ার মত বর্ণনাভঙ্গি। প্রথম অধ্যায় পড়েই অদ্ভুত আগ্রহ জাগানিয়া মোহ জন্মেছে। মোহটা অনেকটা এরকম, যেন পুরো বই পড়া শেষ না করে উঠতেই দেবে না! . এসপিওনাজ থ্রিলারকে আমার পছন্দের তালিকায় ঠিক কোন জায়গায় রাখবো, ঠিক বুঝতে পারছি না। উপরের দিকেই যে থাকবে, সেটা বলাই বাহুল্য। না হলে দম বন্ধ করে দিনের পর দিন মাসুদ রানা পড়ে যেতাম না। কিন্তু বাজিকর সম্ভবত প্রথম এসপিওনাজ মৌলিক থ্রিলার, যেটা আমি বাংলাদেশি লেখকের লেখায় পড়েছি। এর আগে বাংলায় আর কোন এসপিওনাজ থ্রিলার পড়েছি কিনা, মনে করতে পারছি না। . স্পাই, কিংবা সিক্রেট এজেন্ট বলতেই আমরা ভাবি, সুপার হিউম্যান জাতীয় কিছু। ভাবি, এর কারণ আমরা মুভি আর বইগুলোতে স্পাইদের ন্যাচার সুপার হিউম্যান হিসেবেই দেখে এসেছি। সাদামাটা, সাধারণ একজন স্পাইকে আপনার কেমন লাগবে? যে হুট করে অপ্রত্যাশিত বিপদে দিশেহারা হয়ে পড়ে? প্রটোকল অনুযায়ী কাজ করছে, কিন্তু নিশ্চিত আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে এমন একজন সহযোদ্ধাকে জরুরি অবস্থায় বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে? আপাতদৃষ্টিতে দেখে একে কারোর রব্ব্বরব্ব্ব্বভালো লাগার কথা নয়। কিন্তু ছেলেটাকে পুরোপুরি দেখার পর, তার বোকামার্কা সাহসিপনা আমার ভালো লেগেছে। লেখক চেয়েছিলেন, আহাদকে আমরা আপন করে নেব - নিয়েছি। কিন্তু তারপর কী হলো? লেখক তো রীতিমত পাঠকদের ধোঁকা দিলেন। এমনটা করা কি উচিৎ হলো লেখকের? (কীভাবে ধোঁকা দিলেন, সেটা বলতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু বলে দিলে স্পয়েল হয়ে যাবে।) . সাধারণত থ্রিলারের মারপিঠের অংশগুলো আমি ভালো করে পড়ি না। চোখ বুলিয়ে যাই কেবল। মারপিঠে ঘুরে ফিরে গতানুগতিক কিছু ব্যাপার থাকে। খুব অল্পসংখ্যক বই আছে, যেগুলোর মারপিঠের অংশ আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। (যেমন- মাসুদ রানার জিপসি) এই তালিকায় বাজিকরও যুক্ত হলো। এই অংশটা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিলো। . সবশেষে যেটা বলতে চাই, আমার কাছে বাজিকর খুব খুব খুব ভালো লেগেছে। আহাদকেও অনেক ভালো লেগেছে। এই ক্যারেকটারকে আরোও অনেকবার দুই মলাটে দেখতে চাই। অবশ্য বইয়ের কিছু কিছু দিক দেখে মনে হয়েছে, সিরিজ আসলেও আসতে পারে। যেমন: বাবু চরিত্রটা। এমন একটা ইন্টারেস্টিং চরিত্র কি লেখক এমনি এমনিই,তৈরি করেছেন? লেখক চাইলে কেবল বাবু চরিত্রকে মেইন ক্যারেকটার বানিয়ে আরেকটা বই লিখে ফেলতে পারেন। লেখকমশাই যেন দয়া করিয়া আহাদকে নিয়া সিরিজ লেখে, সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করিয়া আমি আমার রিভিউ শেষ করিতেছি … . পজেটিভ দিক: লেখনি। থ্রিলার লেখকেরা সাধারণত লেখনিকে গুরত্ব দেয় না। কিংবা বলা যায়, থ্রিলারে লেখনি তেমন গুরুত্ববহন করে না। কাহিনিই ভালো হলে, কাহিনিই বইকে টেনে নিয়ে যায় শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত। কিন্তু এই বইয়ে চমৎকার কাহিনির সাথে সাথে মনোমুগ্ধকর লেখনি প্লাস পয়েন্ট হিসেবেই থাকবে। . নেগেটিভ দিক: বইয়ের বাঁধাই একদমই ভালো না। একবার পড়তে না পড়তেই বইয়ের কভার আলগা হয়ে গেছে।

      By K.M. Ettahad

      16 Jul 2019 02:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুলাই #বই_রিভিউ_২০ #বাজিকর #লেখক: নাবিল মুহতাসিম #বইয়ের_ধরণ: একশন থ্রিলার, স্পাই থ্রিলার #প্রকাশনী: বাতিঘর #পৃষ্ঠা: ২৫৩ #মুদ্রিত_মূল্য: ২৫০ টাকা #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৮/১০ . . ইউক্রেনে মুখোমুখি হলো আমেরিকা আর রাশিয়ার মত শক্তিধর দুটি রাষ্ট্র। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলো বলে। এর মাঝেই বাংলাদেশের একটি প্লেন অপহরন হয়ে যায় যাতে ছিল দেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা আনিলা আর বাজিকর জনি। ইউক্রেনে অপহরণকৃত প্লেনটি লুকিয়ে রাখা হয় আর বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি করা হয় কার্ল নামের এক যুবক কে। যে কিনা সিআইএ এর আইটি স্পেশালিষ্ট এবং বর্তমানে বাংলাদেশেই ঘাপটি মেরে আছে। এমন কিছু তথ্য তার কাছে আছে যেটা প্রকাশ হয়ে যাবার আগেই তাকে খুজে পেতে মরিয়া রাশিয়া! . . ওদিকে বাজিকর জনি এবং প্রধানমন্ত্রী কন্যা আনিলাকে উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ থেকে ইউক্রেনে পাঠানো হয় বাংলাদেশ এর সিক্রেট সার্ভিস 'দ্য এজেন্ট' এর ছয় সদস্যকে। যারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিষয়ে স্পেশালিষ্ট। এর মধ্যে শিক্ষানবিশ আহাদ ও ছিল। এটাই তার প্রথম মিশন। কিন্তু ইউক্রেনের মাটিতে পা রেখেই একের পর এক বিপদের সম্মুখীন হয় আহাদ। ক্রমে ক্রমে এমন কিছু সত্যের মুখোমুখি হয় যেই তথ্য জানতে পেরে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে সি আই এ এজেন্ট কার্ল কে। . . এমন এক সংস্থা যেটা কিনা আমেরিকা, রাশিয়া সহ বিশ্বের সব রাষ্ট্রের ই কলকাঠি নাড়ছে গোপনে কি সেই সংগঠন? আহাদ কি শেষমেশ পারে আনিলা আর বাজিকর জনিকে উদ্ধার করতে? . . বইটা পড়ে সবথেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছি বা বলা যেতে পারে সব থেকে বড় টুইস্ট ছিল বাজিকর জনির আসল পরিচয় জানতে পেরে! আমি সত্যি সত্যিই এরকম টুইস্ট আশা করিনি। গল্পের প্লট ও চমৎকার। লেখক 'আহাদ' চরিত্রের প্রতি সত্যিই একটা ভালোবাসা জন্মাতে বাধ্য করেছেন। এই উপন্যাসে আরেকটা ক্যারেক্টার ছিল নাম 'আলী হায়দার'। যেটা কিছুটা হলেও নাজিম উদ্দিনের 'কেউ কেউ কথা রাখে' থ্রিলারের হায়দারভায়ের ক্যারেক্টারকে মনে করিয়ে দিয়েছে। নামেও মিল। ক্যারেক্টার এর থিম ও অনেকটা একরকম। . . বইতে প্রচুর বানান ভুল ছিল, ক্যারেক্টার এর নাম ও জায়গায় জায়গায় ওলট পালট হয়েছে। কিছু জায়গায় কখনো 'তুমি' কে 'তুই', আবার 'তুই' কে 'তুমি' বলে সম্বোধন করা হয়েছে যা ছিল বিরক্তিকর। প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং, পেজ কোয়ালিটি ভালো ছিল। . #হ্যাপী_রিডিং

      By naim kajol

      06 Nov 2017 10:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই:বাজিকর লেখক: নাবিল মুহতাসিম ইউক্রেন এর মাটিতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগলো বলে। সেই যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পালিয়ে এলো বাংলাদেশি বংশদ্ভুত এক সিয়াইএ এজেন্ট। জেনে গেছে সে এক মহাশক্তিধর গোপন সংস্থা এর সব তথ্য! প্রধানমমন্ত্রী কন্যা আনিলা আর দেশ সেরা স্পাই বাজিকর জনি যখন সবে প্রণয় জাল বুন্তে শুরু পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করে তাদের দুইজন সহ ইউক্রেন এর আকাশ থেকে হাইজ্যাক হল। যাত্রীবাহি বিমান। দাবি একটাই সি আই এ এজেন্ট কে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে! কিন্তু তাদের সম্পর্কে কারো কোনো ধারনাই নেই। জিম্মি উদ্ধারে বাছাই করা ৬ জন এসপিওনাজ এজেন্ট কে পাঠানো হলো। কিন্তু ইউক্রেন এর মাটিতে পা দিতেই সেফ হাউজ এই ঘটলো বিপত্তি। গোটা মিশন এর দায়িত্ব এসে পড়ল সসর্বকনিষ্ঠ এজেন্ট আাহাদ এর উপরে। যার ছোটোবেলা কেটেছে এতিমখানায়। যার ট্রেনিং এখনো শেষই হয়নি। চারিদিক এ জাল ফেলে আছে শত্রু। পদে পদে আক্রমণ হচ্ছে, একা সে কতটুকু পারবে আহাদ? চারিদিক এ শত্রুর এই ঘেরাও এর মদ্ধে কি সে পারবে প্লেনটা কে হাইজ্যাক করেছে বের করতে? অনেক গুলো প্রশ্ন এর উত্তর বের করতে হবে তার। এই মমহাশক্তিধর সংস্থা চালাচ্চে কে? তার মিশনের উদ্দেশ্য ই তার অজানা! আসলেই কি জিম্মি উদ্ধার করতে পাঠানো হয়েছে নাকি সম্পুর্ন অন্য রকম কিছু! রুদ্ধশ্বাস এ পড়ার মত একটা বই। পুরো বইটা পড়ার সময় একবার ও মনযোগ অন্যদিক এ যায়নি! এতিমখানা এ বড় হওয়া আহাদ, তার সাথে একি এজেন্সি তে কাজ করা মানুষ গুলা, আদর শাসন এর আরালে অক্রিতিম একটা বন্ধন যেটার জন্য হাজার বার মৃত্যুর মুখে যাওয়া যায়! পড়তে গেলে আপনি আহাদকে আপন করে নিতে বাধ্য। সবমিলিয়ে এসপিওনাজ আর থৃলারের সংমিশ্রণ এ অসাধারণ একটা বই।

      By Nira jahan

      03 Sep 2017 10:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃবাজিকর লেখকের নামঃনাবিল মুহতাসিম ঘরানারঃথ্রিলার রেটিং:-৪.৫/৫ রিভিউঃ ইউক্রেন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে সি আই এ এর প্রাক্তন আইটি স্পেশালিষ্ট কার্ল হাসান সেভার্স। এখানে এসেছে সিলেটের পরিচিত বন্ধু সাব্বিরের কাছে আশ্রয়ের জন্য। পালিয়ে আশার কারন হলো, তার কাছে রয়েছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। যা প্রকাশ হলে বিশ্বজুড়ে অনেক কিছু ঘটে যাবার সম্ভাবনা। অথচ সে এখানে নিরাপদ কিনা, বা সাব্বির যাকে সে এতটা বিশ্বাস করেছে সে কি আসলে তাকে নিরাপদে রাখতে পারবে! ইউক্রেনে তখন চলছে যুদ্ধ। আর হার্ভাস এই যুদ্ধ থেকেই পালিয়েছে। ইউক্রেনের তখন বিরূপ অবস্থা রাশিয়ানরা বর্ডার ক্রস করে ইউক্রেনে হামলা চালায়। এই আবস্থায় ইউক্রেনের আকাশ থেকে নিখোঁজ হলো বাংলাদেশি বিমান। সেখানে ছিলো প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে আর দেশের সেরা স্পাই এজেন্ট জনি ওরফে বাজিকর। অনেক তল্লাসী শেষে, তাদের খোঁজ পাওয়া গেলো তবে অপহরণকারীদের ছিলো বিনময় প্রথা দাবী। তাদের দাবী ছিলো সেভার্সের বিনিময়ে তারা দুজনকে ফেরত দেবে। এবার কি হবে! প্রধানমন্ত্রী তাদের উদ্ধারে ছয় জনের একটা গ্রুপ এজেন্ট পাঠান। কিন্তু শত্রুদের আক্রমেন সেই ছয়জনের মধ্যে কেবল মাত্র একজন বেঁচে থাকে। আর আশ্চর্য জনক হলেও সত্যি এ ছিলো এজেন্টদের মাঝে সব থেকে কনিষ্ট। সে পুরোদস্তুর এজেন্ট হয়ে উঠতে পারেনি এখনো। এই বিপন্ন পরিস্থিতিতে কি করে তার পক্ষে সম্ভব হবে একা এই ভিনদেশে এত এত শত্রু পক্ষের সাথে মোকাবেলা করে বাজিকর জনি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়েকে উদ্ধার করা! প্রকাশনীঃবাতিঘর পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ২৫৩ মূল্যঃ২৫০ প্রথম প্রকাশঃ২০১৭ নাবিল মুহতাসিম রংপুরের ছেলে। পড়াশোনা করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ছোটবেলা থেকে লেখালেখিতে তার বেশ ঝোক ছিলো। বাজিকর তার ২য় মৌলিক থ্রিলার। ব্যক্তিগত মতামতঃ বাজিকর মূলত একটা ধুলোমাটি থেকে উঠে আসা এক চরিত্রের উত্থান পর্ব। আর এতে বর্ণনা করা হয়েছে, কিভাবে বাজিকর তার নিজের পজিশনে অবস্থান গেরেছে। বাজিকর কোন চরিত্র নয় এটা মূলত উপাধি। বাজিকর জনি ছাড়াও আরো যে ছয় জন এজেন্টকে গল্পের জন্য নিয়ে আসা হয়। তাদেরকেও লেখক বেশ ভালোভাবেই উপস্থাপন করেছেন । লেখকের বর্ণনা বেশ তীব্র ছিলো বলে, ভেতর থেকে উত্তেজনা টের পাওয়া যাচ্ছিলো। এ হিসেবে বলতে হয় লেখকের লেখনী বেশ ভালো ছিলো। সাধারন এজেন্ট থেকে বাজিকরে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াও দেখার মতো। লেখনীর সাথে কাহিনীর ছিলো জমজমাট উপস্থাপন। তবে বেশ কিছু চরিত্রে তিনি শেষাংশ দেখান নি। মানে শেষ পর্যন্ত তাদের পরিনতির খোঁজে পাওয়া যায় নি। এদিক থেকে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। এছাড়া বাকি সবটুকু গল্পই বেশ ভালো ভাবে এগিয়ে গিয়েছে। প্রিন্টিক মিস্টেক ছিলো খুব। নাম কিছুটা উল্টাপাল্টা ছিলো। এছাড়া পাঠক বেশ আগ্রহ নিয়ে পুরো বই শেষ করবেন বলেই আশা করি। https://www.rokomari.com/book/129287/বাজিকর?ref=srbr_pg0_p1

      By jami jahan

      30 Jun 2017 02:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-বাজিকর লেখক-নাবিল মুহতাসিম ধরন-থ্রিলার পৃষ্ঠা-২৫৬ মূল্য-২৫০ প্রকাশনী-বাতিঘর কার্ল হাসান সের্ভাস। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। তরুন, ২৮ টা বসন্ত পার করেছে সে। বাংলাদেশে এসেছে তিনমাসের পরিচিত বন্ধু সাব্বির কায়সারের কাছে। এমনি এমনি নয়, তার পিছনে আছে মস্তবড় কাহিনী। দেশের বাইরে ইউক্রেনে তখন রাশিয়ান তান্ডব। আমেরিকা আর রাশিয়ার যুদ্ধে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা। ইউক্রেন বিক্ষোভ, ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া আলাদা হয়ে রাশিয়ার সাথে জুড়েছে, রাশিয়ার আগ্রাশন,রাশিয়া সমর্থকদের মিলিমিশিয়া গঠন, গনহত্যা, ইউক্রেনের আকাশে মালোশিয়া এইয়ারলাইন্সের প্লেন ধংস্ব হওয়া.... এসবেই তখন ইউক্রেনের চিত্র। সে সময় কার্ল সেখান থেকে পলায়ন করেছে। তার ভাষ্য মতে, একজন সিআই এজেন্ট হিসেবে তার যতোটুকু জানার কথা তার থেকে অনেক বেশি সে জেনে গেছে। আর একজন দেশপ্রেমিক বিবেকবান মানুষ হিসেবে তার উচিৎ সব কিছুই মিডিয়ার কাছে তুলে ধরা। কিন্তু ব্যপারটা কি এতোই সহজ! এই তথ্য প্রকাশ হলে পাল্টে যাবে পুরো বিশ্বের চিত্র। সাব্বির বুঝতে পারেছে কার্ল তার দোরগোড়ায় আসার আগেই , ঘটে গেছে অনেক কিছু। আর বদলেও গেছে অনেক কিছু! কিন্তু কার্লকে কি সেইফ জায়গাটা দিতে পারবে সাব্বির। নাকি কোথাও আরো কিছু গোলযোগ হবে! সংসয়ে থাকলো কার্ল এমন কি আমিও। এদিকে এই যুদ্ধের তান্ডবের সময় ইউক্রেনের দোনেৎস্ক শহরের আকাশ থেকে হাইজ্যাক করা হলো একটা যাত্রিবাহী বিমান। সেখানে আর কেউ নয়। যাত্রী হিসেবে ছিলো বাংলাদেশের প্রাইম মিনিস্টারের মেয়ে, এবং উপমহাদেশের সেরা এসপিওনাজ এজেন্ট বাজিকর জনি। সরকার তখন জিম্মিদের উদ্ধার করার জন্য বাছাই করা ছয়জন এসপিওনাজ এজেন্ট পাঠান। যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনের মাটিতে পা ফেলার সাথে সাথে দলটা বুঝে গেলো, যে এখানে ঠিকে থাকাটা সহজ হবে না। এখানে আসতে না আসতেই ঝামেলা শুরু গেলো। প্রথম রাতেই সেইফ হাউজে ঘুমানোর সময়ই ছয় জনের উপর আক্রমণ হয় । কোন মতে পার হলো সে ভয়ংকর রাত। কিন্তু রাত পার হলেই পুরো মিশনের দায়িত্ব পড়লো এ দলের সবথেকে বয়সে এবং কর্মে ছোট আহাদের ওপরে। আশ্চর্য হলেও সত্যি আহাদের ট্রেনিং এখনো শেষ হয় নি। সে শুধু মাত্র একজন অপারেটিভ। আহাদের পরিচয় সে এতিমখানায় বড় হয়েছে। পকেটমারতে গিয়ে বাজিকর জনির সান্নিধ্য পায়। তিনিই তাকে দ্যা এজেন্সীতে কাজ করার সুযোগ দেন। কিন্তু আজ যে কিনা আহাদের গুরু তারই সংকটপন্ন অবস্থা! তাকে বাঁচাতে চেষ্টার কি ত্রুটি থাকবে কোন! যাই হোক, সে রাতের পর দেখা হলো, গ্যাসমাস্কে মুখ ঢেকে রাখা কর্নেল সেবাস্টিয়ানের সাথে। ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর লোকটি সবসময় মুখোশের আড়ালে থাকে। কিন্তু কেন? একেবারেই অচেনা একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। কতটুকুই বা বুঝতে পারে সে এ নতুন দেশ সম্পর্কে। কী করেইবা এত বড় গুরু দায়িত্ব পালন করবে আহাদ । কিন্তু না পারলেও যে হারাতে হবে তার প্রিয় বাজিকর জনি ভাইকে। তাই বা কি করে সম্ভব। এত বড় একটা শত্রুপক্ষ যার কোনই পরিচয় নেই এই অপরিপক্ক আহাদের কাছে। সেখানে যুক্ত হয়েছে- কর্নেল সেবাস্তিয়ান, স্নাইপার আন্দ্রেই গুলিন, এক্সপ্লোসিভ এক্সপার্ট কাজিমির ব্লাতভ, মাস্টার অ্যানলিস্ট সার্গেই গুসেভ, মার্সনারি ক্রিস ইভান্স, সুলেমান মালিক। আহাদ কি পারবে তাদের চোখ এড়িয়ে মিশন কমপ্লিট করতে? তার চেষ্টা কি আদৌ সফল হবে! ফিরে আসবে বাজিকর জনি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে? শেষ পর্যন্ত কাহিনী কি এ পর্যন্তই ছিলো, নাকি হয়ে উঠেছিলো আরো রহস্যময়! একটা সময় মাসুদ রানা আর তিনগোয়েন্দার খুব বেশি ভক্ত ছিলাম। সেবার ছোট ছোট বই।, নোট বা বইয়ের ভাঁজে নিয়ে দিব্যি পড়া যেতো। স্টাডিজ বাদ দিয়ে বুম হয়ে থাকতাম এসবে। এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না থ্রিলারে এসপিওনাজ কতোটা আকর্ষণ করতে পারতো তখন আমাকে । যদিও গ্যাপ গেছে অনেক দিন। এখন আর আগের মতো মত্ত হয়ে থাকি না। বাজিকর নিয়ে বলতে গেলে, পড়ার আগেই আমি এর একটা নেগেটিভ রিভিউ পড়েছিলাম। বলা যায় উনি আমার ব্রেইন ওয়াশ করেছিলেন বেশ ভালো ভাবে। তবুও অনেক ধাক্কা টেলা এড়িয়ে যখন হাতে এলো, একটু একটু আগ্রহ নিয়ে পড়ছিলাম। টেস্ট আমার যাচ্ছে তাই রকম, একারনে যে কোন কিছুতে জানান না দিয়েই ডুবে পড়ি। যা হোক শেষ করলাম, ইদানিং সময়ের বাংলাদেশের এতো মৌলিক থ্রিলারের মধ্যে অন্যতম এসপিওনাজ মৌলিক থ্রিলার বাজিকর। যদিও লেখকের এটা ২য় বই। কিন্তু প্রথমটা আমার পড়া হয় নি। সাধারনত এসকল বইয়ে আমি কোন রকম ফাঁকি দেই না। এই বইয়েও দেই নি। যেহেতু দেই নি, সেহেতু বইটা আমার বেশ ভালোই লেগেছে। তবে আহাদের প্রথম দিককার দিশেহারা ভাবটা আমার মাঝেও চলে এসেছিলো । ঠিক শেষ করবো নাকি রেখে দিবো বুঝতে পারছিলাম না। একটা সময় এই ভাব কেটে যাওয়ায় শেষ করেদিলাম। এবং সেখানে আমার পূর্ণ মনোযোগ ছিলো। লেখকের লেখনি এবং কাহিনী দুই ই ভালো ছিলো । চমৎকার লেখনীর সাথে বইয়ের সুন্দর একটা কাহিনী এক হয়েছে। তবুও শেষ পর্যন্ত কিছু ধোয়াশার মতো প্রশ্ন রয়ে গেছে। এগুলোর বোধহয় আরো একটু সাজানো ইন্ডিং বা উত্তর হলে ভালো হতো। রেটিং৪.৫/৫ রকমারি লিংক- https://www.rokomari.com/book/129287/বাজিকর

      By Hosneara Yeasmin Ami

      08 Apr 2017 06:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সিলেটের শহরতলীতে এসে হাজির হলো আধা বাঙালী আধা ককেশিয়ান কার্ল হাসান সেভার্স। উদ্দেশ্য বন্ধুর কাছে যাওয়া। তার বন্ধু সাব্বির কায়সার। পরিচয় হয়েছিল আমেরিকায় একটা ট্রেনিং এ। এই স্বল্প-পরিচয়েই ইউক্রেন থেকে বিপদ মাথায় করে পালিয়ে আসা কার্ল আশ্রয় নিতে দ্বিধাবোধ করে না। অন্যদিকে ইউক্রেনের মাটিতে দুই পরাক্রমশালী শক্তি আমেরিকা আর রাশিয়া মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। যুদ্ধ লাগলো বলে। এরমাঝেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে আর দেশের সেরা এসপিওনাজ এজেন্ট জনি, বাজিকর জনি যাত্রীবাহী বিমানসহ অপহরণ হল ইউক্রেনের আকাশে। প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে কার্লকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আর পদত্যাগ করার জন্য। কথা না মানলে মেয়েকে আর কখনো দেখবেন না তিনি। শেষ চেষ্টা হিসেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রেসকিউ মিশন চালানো হবে। জিম্মি উদ্ধারের জন্য বাছাই করা হল স্পেশাল এজেন্ট আলী হায়দার, ডেমোলিশন এক্সপার্ট শামসুল আলম, ফায়ারআর্ম এক্সপার্ট শংকর সাহা, ফ্রি হ্যান্ড কমব্যাট এক্সপার্ট রুস্তম আলী, মেডিকেল স্পেশালিস্ট সাইফ ফারহান আর হাই পারফরমেন্স অপারেটিভ আহাদকে। ছয়জনের দল। প্রত্যেকে তাদের নিজের অবস্থানে সেরা। কিন্তু ইউক্রেনের মাটিতে পা দিয়েই শুরু বিপত্তি। গোটা মিশনটাই ভেস্তে গেল। শুধু অপারেটিভ আহাদের উপর দায়িত্ব পরল মিশন চালিয়ে নেয়ার। শত্রু পিছু নিয়ে তাড়িয়ে বেড়াতে লাগল তাকে। অর্ডার তাকে জ্যান্ত ধরে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু কেন? কে দিয়েছে এই অর্ডার? নাটের গুরু কে? গ্যাস মাস্কের আড়ালে কে লুকিয়ে আছে? পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কে? তার মিশন কি শুধুই জিম্মি উদ্ধার? নাকি এর মাঝে আরো কোন রহস্য লুকিয়ে আছে? এসপিওনাজ শব্দটা শুনলেই আমার মাসুদ রানার কথা মনে হয়। সেই কোন ছোট্টবেলায় মাসুদ রানা দিয়েই আমার বইপোকা জীবন শুরু হয়। তার আগে আম্মু রূপকথার গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াত, ভাত খাওয়াত। আর নিজে যখন থেকে পড়া শুরু করলাম তখন মাসুদ রানা দিয়েই হাতেখড়ি। তাই প্রথম থেকেই একটা এক্সপেকটেশন ছিল। আমাকে হতাশ হতে হয়নি। নাবিল ভাই চমৎকার লিখেছেন। উনার লেখা পড়া এটাই প্রথম আমার। কাহিনী ভালো লেগেছে এটাই বলব। সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে আহাদকে।সাধারণ এক তরুণের অসাধারণ হয়ে উঠাটাকে। আহাদের বিপদে ভয় পেয়ে পিছিয়ে না পড়াটাকে। তীব্র হতাশার মাঝে আশার আলোটাকে নিভতে না দেয়াটাকে। সর্বোপরি তার আত্মত্যাগ আর কর্তব্যনিষ্ঠাকে। আমি আশা করব আপনাদেরও ভালো লাগবে আহাদকে। বাজিকরকে।

      By Imam Abu Hanifa

      01 Apr 2017 02:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রিভিউ বইয়ের নামঃ বাজিকর লেখকঃ নাবিল মুহতাসিম প্রকাশনঃ বাতিঘর প্রকাশনী পৃষ্ঠাঃ ২৫৩ মূল্যঃ ২৫০ টাকা প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ এডওয়ার্ড স্নোডেনের কথা মনে আছে তো! সিআইডির সেই পালাতক এজেন্ট। যে বিপুল তথ্য ফাস করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এবার ভয়াবহ তথ্য চুরি করে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সিআইডির এজেন্ট কার্ল হাসান সেভার্স। যে তথ্য প্রকাশ পেলে পুরো দুনিয়া কেঁপে উঠবে। বাংলাদেশে এসে কি ঠিক করলো! নিজেকে শত্রুর হাতে তুলে দিলো না তো! ইউক্রেনের মাটিতে পরষ্পরের মুখোমুখি হয়েছে আমেরিকা আর রাশিয়া। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে একটা চক্র। এই অবস্থায় ইউক্রেনের আকাশ থেকে হাইজ্যাক হলো বাংলাদেশি বিমান। বিমানের যাত্রী কারা জানেন? প্রধানমন্ত্রীর কন্যা অ্যানিলা ও দেশসেরা এজেন্ট বাজিকর জনি। তাদেরকে জিম্মি রেখেছে একটা দল। জিম্মি উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের অতি গোপনীয় একটি এজেন্সির বাছাই করা ছয়জন এসপিওনাজ এজেন্টকে পাঠানো হলো। মিশন শুরু করার আগেই সেফহাউসে এমবুশে মারা গেলো পাঁচজন দুর্ধর্ষ এজেন্ট। বেচে গেলো টিমের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আহাদ। যে এখনো এজেন্ট হতে পারে নি। অপারেটিভ। ট্রেনিং চলছে। এমন একজনের উপর পুরো মিশনের দায়িত্ব এসে পড়লো। তবে আহাদ যে তার চেষ্টায় কমতি করবে না সেটা বলাই যায়। কারন রাস্তার ফুটপাত থেকে তাকে তুলে এনেছিলো এই বাজিকর জনিই। সেই জনি আজ বিপদে। কিন্তু কিভাবে অগ্রসর হবে সে? যেখানে রাস্তাঘাটই চেনে না সেখানে এতবড় মিশন কমপ্লিট করা অলিক কল্পনা ছাড়া কি হতে পারে? তাছাড়া জমা হয়েছে একগাদা প্রশ্ন। কোন গ্রুপ হাইজ্যাক করলো প্লেনটা? তাতে তাদের স্বার্থ কোথায়? নীল স্যুট আর গ্যাস মাস্ক পড়া এই কর্ণেল সেবাস্তিয়ান কে? কি তার পরিচয়? এত ক্ষমতা কার কাছ থেকে পায় সে? আমেরিকা? রাশিয়া? নাকি এর পিছনে হাত আছে মহাশক্তিধর কোনো সংস্থার! এই মিশনের মুল উদ্দেশ্য কি? শুধুই কি জিম্মি উদ্ধার? নামকরনঃ বাজিকর একটা উপাধি। যেটা একটা ট্রেডিশন। এক দেশে একজনই বাজিকর হয়। দেশের সবচেয়ে সেরা এজেন্টকে বলা হয় বাজিকর। একজন বাজিকর যদি রিটায়ার করে বি স্কিলে অন্য স্পাইয়ের কাছে হেরে যায় বা হেড টু হেট লড়াইয়ে অপর এজেন্টের হাতে মারা যায় তাহলে সেই জয়ী স্পাই বাজিকর খেতাব পাবে। পড়ার শুরুতে মনে হচ্ছিল বাজিকর জনি যখন জিম্মি তখন গল্পটার নাম বাজিকর রাখা কি দরকার। কিন্তু গল্পটা আসলে বাজিকর জনির না। একজন সামান্য অপারেটরের বাজিকর হয়ে ওঠার গল্প। বইটা শেষ করার পরে মনে হবে এটাই এই বইয়ের জন্য পারফেক্ট নাম। ব্যাক্তিগত মতামতঃ ছোটবেলা থেকে মাসুদ রানার ভক্ত। মাসুদ রানার বাইরে বাংলায় এসপিওনাজ নভেল পাই নি। এটা পুরোপুরি একটা এসপিওনাজ নভেল। তবে ভিন্ন স্বাদে ভালোই লাগলো। পুরো বইটা টানটান উত্তেজনা নিয়ে শেষ করছি। টুইস্ট খুব বেশি ছিলো তা বলবো না কিন্তু যা ছিলো তাতেই যথেষ্ট। লেখকের লেখনি ছিলো অসাধারন। একশনের বর্ণনাগুলো চমৎকার ছিলো। বানান ভুল খুব চোখে পড়ে নি। এক জায়গায় বাজিকর জনির স্থানে বাজিকর রাসেল লেখা হয়েছে। বইয়ের ফ্লাপেও ভুল ছিলো একটা। সেখানে বাজিকর জনির স্থানে বাজিকর আহাদ লেখা হয়েছে। সব মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর একটা নভেল। যারা আমার মত একসময় মাসুদ রানার ডাইহার্ড ফ্যান ছিলেন বা আছেন তাদের জন্য বইটা পড়া বাধ্যতামুলক। এবছর বইমেলায় আসা বইগুলোর প্রায় প্রত্যেকটি বইয়ের প্রচ্ছদ নজর কেড়েছে। বাজিকর তার ব্যাতিক্রম না। এজন্য নিউটন ভাইয়ের ধন্যবাদ প্রাপ্য।

      By Shakib Joy

      07 Mar 2017 11:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‪#‎রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা‬ জামার ভিতর থিকা যাদুমন্ত্রে বারায় ডাহুক, চুলের ভিতর থিকা আকবর বাদশার মোহর, মানুষ বেবাক চুপ, হাটবারে সকলে দেখুক কেমন মোচড় দিয়া টাকা নিয়া যায় বাজিকর.... সৈয়দ শামসুল হকের এই লাইনগুলো হয়তো অপ্রয়োজনীয় হয়তো অপ্রয়োজনীয় নয়। সেটা আপনার উপর পুরোপুরি নির্ভর করবে। বাদ দিন.................. একটা রেসকিউ মিশন। গো এন্ড চেক। সিকিয়োর দ্য পেরিমিটার। সিকিয়োর দ্য হোস্টেজ। ব্যাক টু ব্যাক এট বেজ। সাধারণ ভাষার রেসকিউ মিশনের সাথে এমন ভাবেই পরিচিত হয়েছি আমরা। কিন্তু আপনাকে কে বললো এটা একটা সাধারণ রেসকিউ মিশন। হোস্টেজ লিস্টে আছে প্রাইম মিনিস্টারের আদুরে কন্যা আর বেশ কয়েকজন গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিত্ব। ওহ আরেকজনের কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলাম। বাজিকর জনিও ছিল সেই হোস্টেজ সিচুয়েশনের ভেতরে। বুঝতেই পারছেন অবস্থা বেশ শোচনীয়। কিন্তু তাই বলে তো আর বসে থাকা যায় না। তাই হারাধনের ছয়টি ছেলে কে পাঠিয়ে দেয়া হলো মাদার রাশিয়াতে থুক্কু রাশিয়ার প্রতিবেশী এলাকা ইউক্রেনে। কিন্তু .................. ঢুম ঢুম , ঠুস ঠাস, ঢিচকিয়াও শেষে বুউউউম। বাকি রইলো হারাধনের একটি ছেলে। কিন্তু মনের দুঃখে বনে যেতে নারাজ যে ও। হবেই না বা কেন ? বাঙালীর রক্ত বলে কথা। শেষ পর্যন্ত কি মনের দুঃখে বনেই গেল হারাধনের বংশের শেষ প্রদীপ শিখা। রাশিয়া আর আমেরিকা 3 এদের মধ্যে ভালোবাসার তৃতীয় উপখ্যান হতে যাচ্ছে ইউক্রেনের মাটিতে। সেই ভালোবাসার জমিন ছেড়ে বাংলাদেশের মাটিতে পাড়ি জমায় বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত এক সি আই এ এজেন্ট। তার কাছে আছে প্রেম ভালোবাসার পেছনে কলকাঠি নাড়তে থাকা গোপন তাবিজ। বেচারা দেশে এসে ঠেকেও গিয়েছে। বিশ্বাস করতে পারছে না কাউকেই। তাহলে এখন? হারাধনের একটি ছেলে একলা একলা ইউক্রেনে ঘোরে। কাঁদতে পারে না ভেউ ভেউ করে। দলের সবাইকে হারিয়ে মাথা খারাপ হবার জোগার বেচারার। কিন্তু বাঙালীর রক্ত মিশে আছে যে ওর রক্তে। মরার আগে মরতে নারাজ ও । তাইতো............... আরে কিছুনা বই পড়ে নিয়েন তাহলে হবে। মুখোশের আড়ালে মুখ হাসে। আর গ্যাসম্যাস্কের আড়ালে কর্ণেল সেবাস্তিয়ান। কিন্তু কে এই কর্ণের সেবাস্তিয়ান? উত্তর মেলে না। আচ্ছা তাবিজের ভেতরের গুপ্ত রহস্য টা তো জানা হল না???? তাই না। এত জেনে কি করবেন। পরে দেখবেন আপনাকে ধাওয়া করতে ঠুস ঠাস গুলি শুরু হয়ে গিয়েছে। এসপিওনাজ জগতে সবচেয়ে কমন টার্ম হচ্ছে ট্রাস্ট এন্ড বিট্রেয়াল। বিশ্বাস আর বিশ্বাসঘাতকতা লেপ্টে আছে একে অপরের সাথে। ঠিক যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। আর দুটো মিলে মুদ্রাটাকে করেছে পরিপূর্ণ। আমাদের আজকের গল্পটাও বিশ্বাস আর বিশ্বাস ভঙ্গের। নিজে শুরু থেকেই স্পাই থ্রিলারের ভক্ত। বইকে নিজের পেতে শুরু করি কাজী আনোয়ার হোসেনের নিজ শৈল্পিক হাতে গড়া মাসুদ রানাকে দিয়ে। সেই সুবাদে বেশীর ভাগ সময়ই চেষ্টা করি স্পাই থ্রিলারের উপর যতটা পারি বই পড়তে। শুধু স্পাই থ্রিলার নয়, গতানুগতিক থ্রিলারও বেশ টানে। আর সবচাইতে বেশী টানে দেশীয় পটভূমির রূপরেখাতে তৈরী হওয়া গল্প গুলো। আর এইবারের বইমেলাতে প্রথম টার্গেট ছিল এই ক্যাটাগরীর বই গুলো। দেখা যাচ্ছে এই বই কিনে আসলেও ঠকি নি। নিজের ভেতরের পাঠক সত্তাটাকে অনুভব করতে পারছি অনেএএক দিন বাদে। ফরটি রুলস অভ লাভ আর মৃগতৃষার মুগ্ধতার রেশ থাকতে থাকতেই তুলে নেই এই মেলার আরেকটি বই ‘বাজিকর’। যার ভেলকিতে মুগ্ধ ছিলাম বইটা শুরু করার কিছু দূর এগুনোর পরই। চাঁদের গুনগান বেশ গাওয়া হয়েছে। এইবার গাওয়া যাক তার কলঙ্ক সম্পর্কে। গ্যাসমাস্ক রহস্য উদঘাটন টা জুতসুই লাগে নি। শ্বাপদ সনের মতো এইখানেও লেখক এই খেল দেখিয়েছে লেখক জানে , চরিত্রও জানে কিন্তু পাঠকের সামনে আনা হয়েছে মুখোশ মানুষটাকে হুট করেই। আবার ঐ দিকে তাবিজ রহস্যের ব্যপারেও বলতে হয়। তাবিজের ব্যাপারে আরো ডিটেইলের দরকার ছিল বলে মনে হয়েছে। বানান ভুল আছে বেশ কয়েকটা। আসল ঝামেলাটা পেছনের পাতাতে। বইয়ের পেছনে প্রথমেই বাজিকর হিসেবে আহাদের নাম তুলে দিয়েছেন লেখক। এনিওয়ে পুরোদস্ত স্পাই থ্রিলার হিসেবে বইটিকে দাবী করেন নি লেখক বইটিকে। শুধু থ্রিলার হিসেবে নিলেই ভালো হবে। এসপিওনাজের মসলাদি খুব কমই ব্যবহৃত হয়েছে বইটির ভেতরে। সব মিলিয়ে উপভোগ করার মতো বই। এক নজরে বইঃ বাজিকর লেখকঃ নাবিল মুহতাসিম জনরাঃ কিঞ্চিত স্পাই বাকিটা থ্রিলার। প্রকাশনাঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশ কালঃ একুশে বইমেলা ,২০১৭ পৃষ্ঠাঃ ২৫৩ মুদ্রিত মুল্যঃ২৫০ টাকা রকমারী লিংক https://www.rokomari.com/book/129287/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B0

      By Sheikhe Mohammad Rayhan

      18 Mar 2020 04:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      স্পাই থ্রিলার। আমার পড়া প্রথম এবং একসময়ের সবচেয়ে প্রিয় জঁরা এটি। টানটান উত্তেজনা আর শিহরণের ভালোলাগাটা যদিও এখন আর আগের মতো নেই। ইন জেনারালি আগের মতো বইই পড়া হয় না তেমন একটা। তবুও হাতের সামনে পেলে না পড়েও ওঠা হয় না। এবার হাতে পড়েছে নাবিল মুহতাসিমের বাজিকর। না, আমি এভাবে বলবো না যে স্পাই থ্রিলারের প্রতি আমার পুরাতন প্রেম ফিরে এসেছে এই উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে। আসলে এখন এই জঁরাটি কিছুটা আদিখ্যেতা টাইপের লাগে আমার কাছে। ক্লাসিক স্পাই থ্রিলার পর্যন্ত মোটামুটি সবই ভালো লাগে, কিন্তু হালের উপন্যাসগুলো রীতিমতো মেজাজ বিগড়ে দেয়। আকাশে বাজ পড়লে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায়। চায়ের দোকানী পাওনা টাকা ফেরত না পেলে পৃথিবী দখলের পায়তারা করে ফেলে। বেশ প্রিয় একটা থ্রিলার সিরিজ পড়া বাদ দিয়েছি শুধুমাত্র এইসব আধুনিক "ভুগিচুগি" কন্টেন্টের কারণে। বাজিকরেও এই কমন, অতিব্যবহৃত পটভূমির দেখা কিছুটা হলেও আছে। কিন্তু উপন্যাসটির ইতিবাচক দিক হলো অন্যান্য স্পাই থ্রিলার থেকে এটা অনেক বেশী বাস্তবিকভাবে লেখা। গল্পে কোথাও অদূর ভবিষ্যতের প্রযুক্তির ঝনঝনানি নেই, কোন প্রায়-অমর চরিত্রের দেখা নেই। কোন অতিনাটুকে ফাইটিং নেই। এমনকি এই উপন্যাসের স্পাই লেডিকিলার টাইপের কোন মানুষ নয়। এই উপন্যাসের স্পাই বেদম মার খাচ্ছে, ফিরে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, আবারও বেদম মার খাচ্ছে। হাতে একটা হ্যান্ডগান বাদে আর কিছুই নেই তার কাছে। সেটাও খুব কাজে লাগছে না। পুরো উপন্যাসজুড়ে আহাদ নামের স্পাইটি কঠিন, পাহাড়সম সব বাঁধা অতিক্রম করতে বাধ্য হয়েছে। এই বাঁধাগুলো লেখক তার দারুণ লেখনী দিয়ে ফুটিয়েছেন বেশ সাবলীলভাবে। লেখকের দ্বিতীয় মৌলিক উপন্যাস এটি৷ আমি এখনই বলে দিতে পারি, উনার হাত থেকে একসময় বাংলা সাহিত্যের সেরা প্রটাগনিস্ট বেরিয়ে আসার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার প্রথম আর দ্বিতীয় মৌলিক উপন্যাসের অ্যান্টাগনিস্টের মধ্যে মিল আছে একটা জায়গায়। স্পয়লারের জন্য সেটি বলছি না আমি। শুধু এটুকু বলতে চাই, খারাপ লাগেনি মিলটা আমার কাছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এটা আবার ব্যবহার না করাটাই ভালো। খারাপ লেগেছে অ্যান্টাগনিস্ট এবং অন্যান্য চরিত্রদের বেলায় এসেও। জন সেবাস্তিয়ান অ্যান্টাগনিস্ট হিসেবে খারাপ ছিলো না। কিন্তু আহাদকে যেভাবে আলো দেওয়া হয়েছে, তার অর্ধেকও সে পায়নি। অথচ তার প্রতি আরও বেশী মনোযোগ দরকার ছিলো। বিশেষ করে প্লট টুইস্টের পরে এটা আরও বেশী করে মনে হয়েছে। একই কথা অন্যান্য চরিত্রদের ক্ষেত্রেও খাটে। বিশেষ করে আহাদের টিমমেট এবং সাশা নামের মেয়েটার প্রতি। মেয়েটাকে উপন্যাসে আর দেখাই যায়নি। যেটা ভালো লাগেনি আমার কাছে। তবে এই সমস্যাগুলোর মাঝে থেকেও উপন্যাসটি এগিয়ে গেছে, এবং সেটিও বেশ ভালো গতিতেই। লেখকের প্রথম উপন্যাস নিয়ে বলেছিলাম যে সেটার একটা বড় অংশ বেশ ধীরগতির। একদম হঠাৎ করে সেটি সাইকেল থেকে পরিণত হয়েছে রকেটে। বাজিকর ঠিক সেরকম নয়। পুরো উপন্যাসটি আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মোটামুটি একইরকম গতি নিয়ে চলেছে। সেটি শ্বাপদ সনের প্রথম আর দ্বিতীয় ভাগ থেকে গতিশীল কিন্তু আবার তৃতীয় ভাগ থেকে ধীরগতির। সেটা সমস্যা নয়। বরং পুরো কাহিনীর পেসিং ঠিক থাকায় আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। একইসাথে স্পাই থ্রিলারে যে অ্যাড্রেনালিন রাশ যে আসলেই সামান্য একটা টেকনিক, কোন ম্যান্ডেটরি এলিমেন্ট নয়; সেটিও বেশ ভালোভাবে বোঝা যাবে এই বইয়ে। কেউকেউ আরেকটু গতি আশা করতে পারেন। আমিও করেছিলাম, তবে যা পেয়েছি তাতেই আমি সন্তুষ্ট। আর শ্বাপদ সনে পড়েই লেখকের অসাধারণ ন্যারেশনের ভক্ত আমি৷ তাই এই ব্যাপারটা নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলছি না। প্রাচিন অভিশাপ কিংবা অযৌক্তিক বিজ্ঞানের কপচানো থেকে অনেকাংশে বের হয়ে আসা উপন্যাস বাজিকর। আপনি যদি জেমস রোলিন্স কিংবা ম্যাথিউ রাইলী এর একইরকম এবং একঘেয়ে থ্রিলার থেকে বের হতে চান তাহলে বাজিকর আপনার জন্য সুখপাঠ্য। আমার তরফ থেকে বাজিকর পাবে ৭/১০।

      By Abir Yeasar

      10 Jan 2021 12:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই কাহিনী দিয়া বড়জোর "স্পাই নাম্বার ওয়ান" নামের তামিল সিনেমা বানানো যাবে। পুরা টাকাটাই লস। টয়লেট পেপার হিসেবেও ব্যবহার করার যোগ্য না।

      By mahmud shafayet zamil

      31 May 2017 03:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখক ও পাঠকের মধ্যে মিল আর পার্থক্য কোথায়? আমার কাছে লেখক ও পাঠকের মধ্যে সবচাইতে বড় মিল হচ্ছে উভয় প্রজাতির মানুষ প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরণের বই পড়ে। আমার কাছে তারা হচ্ছেন বই খাদক। বই পড়াতে কোন মতেই তারা পরিশ্রান্ত হন না। আর পার্থক্য হচ্ছে লেখক তার স্বপ্ন, চিন্তা, চেতনা, উপলব্ধি লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন। এই প্রকাশের শক্তি কিন্তু অচিন্তনীয়। লেখকেরা হচ্ছেন শব্দের জাদুকর। আমার কাছে লেখার চাইতে পড়া অনেক সহজ কাজ। তাই আমি পাঠক, লেখক নই। বইয়ের রিভিউ লেখার আগে এই সুদীর্ঘ সূচনার প্রয়োজন ছিল তাই লিখলাম। পাঠক হতে পারে পাঠক কিন্তু তার জ্ঞান লেখকের চাইতে কম তা কিন্তু নয়। বাজিকর উপন্যাসের লেখক উপন্যাসের শুরুতে লেখকের কথায় এসপিওনাজ উপন্যাস সম্পর্কে পাঠককে ভুল ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেছেন। এসপিওনাজ জগৎ দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমটা হলো তথ্য সংগ্রহ; যেটা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। দ্বিতীয়টা হচ্ছে প্রাপ্ত তথ্যর ভিত্তিতে গোপনে স্বল্প পরিসরে সামরিক অভিযান চালানো। তাই বাস্তবে ও পূর্ণাঙ্গ এসপিওনাজ উপন্যাসে তথ্য সংগ্রহ এবং গোপনে সামরিক অভিযান দুটোই থাকে। সাধারণত বিশ্বের সেরা এসপিওনাজ উপন্যাসে তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারটা স্বল্প কলেবরে উপস্থাপন করা হয়, গোপন সামরিক অভিযানের বর্ণনা থাকে বেশি। আর সামরিক অভিযান মানেই সেখানে থাকবে অ্যাকশন, থ্রিলার। এ জন্য এসপিওনাজ উপন্যাসগুলো স্পাই থ্রিলার নামেই বেশি পরিচিত। তাই এই বাজিকর বই পড়ে হার্ডকোর এসপিওনাজ উপন্যাস ভক্তদের ভুরু কুঁচকে উঠবে, লেখকের এই ধারনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এবার আসি উপন্যাসের ব্যাপারে। একটা সুন্দর আইডিয়াকে কিভাবে অকাল অপমৃত্যুর দিকে এগিয়ে নেয়া যায় তার সার্থক উদাহরণ এই উপন্যাস। লেখকের গল্পের ভিত্তি বা আইডিয়াটা আকর্ষণীয়, কিন্তু লেখকের শিশুসুলভ অপরিপক্কতার জন্য তা পূর্ণতা পায়নি। দ্যা এজেন্সি'র যে দক্ষতা লেখক উপন্যাসে বর্ণনা করেছেন তার কিছুই কাজের ক্ষেত্রে খুঁজে পাওয়া যায় নি। একটা দেশের টপ সিক্রেট মিশন পরিচালনা করা হবে অন্য একটা দেশে অথচ সেই দেশে এত দক্ষ একটা এজেন্সি'র নিজের কোন স্টেশন চিফ নেই; নেই কোন স্লিপিং এজেন্ট, দক্ষ অপারেটিভ অথবা সেফ হাউস। ভাই আপনি যদি মনে করেন পাঠকেরা ঘাস খান তারপরেও তাদের গাধা মনে করার কোন কারণ নেই। যে ধরনের মিশনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে তা সাধারনত টপ সিক্রেট মিশন হয়। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র আহাদ দ্যা এজেন্সির কাছে এমন প্রশিক্ষণ পেয়েছেন যে তিনি টপ সিক্রেটের বদলে ওপেন সিক্রেট মনে করে মিশনের বিস্তারিত ইউক্রেনের জনৈক নারী ও আমেরিকান লুনাটিক এজেন্ট দুই জনের কাছেই বিস্তারিত বলে গেছেন তার নিজের জীবনী সহ। আহাদকে কেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা হলো তার যুক্তিযুক্ত কারণ লেখক দেখাতে পারেন নি। জনি সব কিছুর পিছনে থাকলে আহাদকে বাঁচিয়ে রেখেছিল কিসের জন্য? আহাদ একজন সাধারণ মানুষ; যিনি ভয় পান আবার দেশের স্বার্থে রুখে দাঁড়াতে দ্বিধা করেন না। খুবই ভালো কথা। কিন্তু লেখক তো সাধারন মানুষ না সুপারম্যান সৃষ্টি করেছেন। লেখক নিজে একজন ডাক্তার। তার কাছে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, একজন মানুষ পেটে গুলি খাবার পরও কিভাবে এত মারামারি করতে পারে। কারণ আহাদ সুপারম্যান। লেখকের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরো সুন্দর সুন্দর দক্ষ হাতের বই আশা করছি, শিশুতোষ, ভুল ব্যাখ্যায় ভর্তি উপন্যাস নয়।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!