User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই: ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া জনরা: শিশুতোষ লেখক: মোঃ ফরহাদ চৌধুরী শিহাব প্রকাশনী: অাদী প্রকাশন প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০১৭ পৃষ্ঠা: ১৭৩ প্রচ্ছদ: মুহিব মুদ্রিত মূল্য: ২৬০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: জাহিদ ও নভেরা দম্পতির প্রথম সন্তান বাবাই, বয়স পাঁচ বছর। নানা রকম দুষ্টামি কর্মকান্ডে ব্যস্ত থাকে সারক্ষণ, এমন কোন কর্ম নাই যাতে বাবাইয়ের হাত নাই। বাবাই নামটা তার তেমন পছন্দ না তাই নিজেই নিজের নাম দিয়েছে "ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া"। সারাক্ষণ মাথায় নীল হেলমেট পরে গম্ভীর মুখে পুরো বাসায় ঘুরে বেড়ায়। ক্যাপ্টেন বলে কথা তার তো অাবার যেমন তেমন ভাবে চললে হয় না। ক্যাপ্টেন বাবাকোয়ার অাছে বিশ্বস্ত কিছু কমরেড, তার ছোট বোন, মুরগি, ব্যাগ, কুকুর এমনকি ইঁদুরও তার সৈন্যদলের অন্তর্ভুক্ত। নিজের তত্ত্বাবধায়নে ইঁদুরগুলোকে খাওয়ায় সে, কখনোবা ছোটবোন তার খাবার সেদ্ধ অালু দিয়ে তাদের খাবার দেয়। এমন সব অদ্ভুত অদ্ভুত কর্মকান্ড করে যায় বাবাই, ফলে মায়ের হাতের ধোলাই কখনো মিস হয় না তবুও বাবাই তার গোপন মিশনে কখনো থেমে থাকে না। তার সব কাজে সহায়তা করে এমনকি কখনো কখনো নতুন বুদ্ধিও দেয় খালামনি অার বাবা। তাই মায়ের থেকে খালামনিকেই বেশি ভালোলাগে বাবাকোয়ার। ছোট হলেও বাবার মত একটা গুন বাবাকোয়ার অাছে সে তার গোপন মিশনের সব খুঁটিনাটি নিজ হাতে তার ডায়রির পাতায় লিখে রাখে। তার ব্যক্তিগত ডায়েরি "ক্যাপ্টেন বাবাকোয়ার গোপন মিশনসমূহ" যা সব সময় মায়ের চোখের অাড়ালে রাখতে হয়। তার কর্মকান্ডগুলো যেমন বড়দের কাছে হাস্যকর তেমনি অাবার শিক্ষনীয়ও বটে। এতসব দুষ্টামির মধ্যেও বাবাকোয়া কখনোবা বাসায় চোর ধরে ফেলে কখনো ভীনগ্রহের প্রাণির পিছু ছোটে। বাবাকোয়ার মজার মজার কাহিনী নিয়ে ছড়াটাও তেমন মজার.. "তেলেপুকা তেলেপুকা কুথায় তুমি যাউ? এত্ত কাগুজ কেমুন করে চিবিয়ে তুমি খাউ? খাচ্ছো কেনু বই খাতা আর জুতার কালো ফিতা- বুটের কালি খাউ নাকি ভাই- মিষ্টি নাকি তিতা? আমিও খাই শাদা রাবার- লাল কলমের কালি, কেরসিনের তেল খেয়ে ভাই- পট করেছি খালি! আম্মা মারে ধুরুম ধারুম- আব্বা হাসে তাই বাবাকোয়ার সৈন্য নিয়ে- কুথায় আমি যাই?" নিজস্ব মতামত: নিজের ছেলেবেলা কিংবা বাসার ছোট ভাই-বোনদের মজার স্মৃতিময় ছেলেবেলায় হারিয়ে যাওয়ার মত বই। শিশুতোষ গ্রন্থ হলেও বড়রা পড়ে বেশি অানন্দ পাবে বলে বিশ্বাস অামার। লেখকের এটাই অামার পড়া প্রথম বই কিন্তু এত এত বেশি ভালো লাগছে যে অারো দুইটা বই এটার পর কিনে নিছি। লেখনশৈলী নিয়ে তাই বলার মত কিছু নাই। মজার কিছু বইয়ের নাম যা অনেকদিন পর্যন্ত মনকে ফ্রেস রাখবে জানতে চাইলে নিঃসন্দেহে "ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া" পড়তে বলব। যে বইয়ের কাহিনী এত সুন্দর সে বইয়ে খারাপ লাগার মত কিছু থাকতে পারে না, থাকলেও চোখে লাগে না।
Was this review helpful to you?
or
প্রথম প্রশ্ন- আপনি কি বাচ্চাকাচ্চা অপছন্দ করেন? তাদের কৌতুহলী প্রশ্নে বিরক্ত বোধ করেন? দ্বিতীয় প্রশ্ন - ছোটদের কাজকে আপনার অযৌক্তিক বলে মনে হয়? অল্প বয়সেই বেশি বুদ্ধিমান বাচ্চাকে ইঁচড়েপাকা বলে মনে হয়?তবে প্লিজ আপনি এই বই পড়বেন না। বইটি আপনার জন্য না। আপনি বরং আপনার বুড়ো মন আর রাশভারী মেজাজ নিয়েই থাকুন আর এদিকে আমরা "বাবাকোয়া" দের পৃথিবীতে উঁকি দিয়ে আসি। ছোট্ট বাবাই। বয়স যার মাত্র ৫ বছর, সে নিজেকে সবার কাছে "ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া" হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি পছন্দ করে। প্রতিদিন বাবাকোয়া কোন না কোন এডভেঞ্চার মিশন সম্পন্ন করে থাকে। অবশ্য এসব মিশনের মাঝে স্টোর রুমের ইঁদুর গুলিকে দেখাশোনার পর্বও আছে! না, এতে হাসির কিছু নেই। বাবাকোয়া সকল জীবের প্রতি খুবই সহানুভূতিশীল! শুধু এসব মিশনে অংশ নিয়েই সে থেমে থাকেনা। তার সমস্ত মিশন এর পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এবং পরবর্তী মিশন এর কর্মশালা সে কাগজে লিপিবদ্ধ করে থাকে। তার ব্যক্তিগত ডায়েরীর উপরে বড় বড় করে লিখা " ক্যাপ্টেন বাবাকোয়ার গোপন মিশনসমূহ"! যদিও বাবাই এসব এডভেঞ্জার রূপী কর্মকান্ড তার মা নভেরা দু'চোক্ষে দেখতে পারেননা এবং সুযোগ পেলেই বাবাইকে ধোলাই দিতেও পিছপা করেন না, তবুও বাবাই থেমে থাকেনা! দুর্বার গতিতে সে এগিয়ে চলে তার মিশনে! তাকে কিছুটা সাহায্য করে খালামণি মিথিলা। এবং বাবা জাহিদ উৎসাহ এবং পরামর্শ দিয়ে সব সময় পাশে থাকে বাবাইয়ের। "ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া" বইটি বাবাইয়ের অতি মজাদার সব ঘটনার নথিপত্র। যেখানে প্রতিটি গল্প অদ্ভুত, সেই সাথে হাস্যকর কিন্তু শিক্ষামূলক। কৈশোরে জাফর ইকবাল এর স্যার কিশোর উপন্যাস পড়ার দীর্ঘদিন পর আবার বাচ্চাদের এত চমৎকার এই বইটি পড়লাম। আমার ধারণা বাচ্চাদের পছন্দ করেন না এমন মানুষ হাতে গোণা। পছন্দের মাত্রা কমবেশি হতে পারে। কেও অতিরিক্ত পছন্দ করে,কেওবা কম। কিন্তু একেবারেই পছন্দ করেনা এমন মানুষ সংখ্যায় নগণ্য। এক শিশুর মুখের হাসি দেখে অতি পাষাণের মন টাও গলে যাবে এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম। যদিও এই যুগে এসে কচি বাচ্চারাও বিকৃত মানুষের বর্বরতা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা! এরা মানুষ রূপী জানোয়ার। এদের হিসেব আলাদা। ব্যক্তিগত ভাবে আমি বাচ্চাদের খুব পছন্দ করি। অতিরিক্ত পছন্দ! এজন্যেই আমি যখন কাহিনী গুলি পড়ি তখন বারবার এটাই মনে হচ্ছিলো, ইস্! বাবাই কেন আমার ছেলে না! এমনকি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার ছেলে বা মেয়েকে বাবাইয়ের মতো নীল হেলমেট পরিয়ে রাখবো সব সময়। সে গম্ভীর মুখে আমার পুরো বাড়িতে হেলমেট মাথায় ঘুরাঘুরি করবে, এই দৃশ্য ভাবতেই এক অন্যরকম অনুভূতি হয়। লেখক এর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিলো "অমিয়েন্দ্র" বইটি পড়ার মাধ্যমে। তখনি মুগ্ধতা এসেছিলো। "ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া"তে এসে লেখকের আলাদা এক লিখনীর সাথে পরিচয় হলো। আমার মনে হয় বাচ্চাদের বই লিখা অনেক কঠিন। কারণ এজন্য আপনাকে একটি বাচ্চার মতো করে চিন্তাভাবনা করতে হবে। জীবনের স্রোতে ভেসে শৈশবকে পেছনে ফেলে বাস্তবতার স্পর্শে পুড়ে খাক হবার এই বয়সে এসে একটি নিষ্পাপ বাচ্চার চোখে সব কিছু দেখা চাট্টিখানি কথা নয়। আর যদি বাচ্চাদের নিয়ে লিখা বইটি বড়দের কেও সমান ভাবে আনন্দ দিতে পারে,তবে বুঝতে হবে লেখক সার্থক। ফরহাদ ভাই এক্ষেত্রে সফল পুরোপুরি তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। লেখক এর জন্য শুভকামনা রইলো। ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া বইটির প্রচ্ছদ দেখেই আমি মূলত বইটির প্রতি আগ্রহী হই। দারুণ এক প্রচ্ছদ! দেখতেই শান্তি শান্তি লাগে। বেশ কিছু বানান ভুল ছিলো,প্রিন্টিং মিসটেক। আর যেটা খারাপ লেগেছে তা হলো, সংলাপে লেখ্য আর কথ্য ভাষার সংমিশ্রন। এক জায়গায় বাবাই বলছে,"খাইছি" তো আরেক জায়গায় বলছে "খেয়েছি"। যেকোন একটা বজায় রাখলেই বেশি ভালো লাগতো।বাবাকোয়াদের জন্যেই আসলে পৃথিবীটা সুন্দর। হাফধরা প্রাপ্তবয়স্ক মনের আড়ালেই শিশু মনকে বাবাকোয়ারা নাড়া দিতে পারে। আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় শৈশবের স্মৃতিময় সেইসব ছেলেমানুষির দিনগুলিতে। নিজেই অজান্তেই ঠোটের কোণে ফুটে উঠবে হাসি।সবশেষে বলবো, বাবাইরা ভালো থাকুক,সুস্থ থাকুক। পৃথিবীর, সমাজের নোংরামির কবল থেকে বাবাইরা মুক্ত থাকুক। আর আমরাও যেন বাবাইদের স্পর্শে কিছুটা পবিত্র হওয়ার সুযোগ পাই। ভালবাসা তাদের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জুন মোঃ ফরহাদ চৌধুরী শিহাবের উপন্যাস "অমিয়েন্দ্র" পড়ে এতটাই মুগ্ধ হয়েছি, যে ঠিক করলাম লেখকের বাকি বইগুলোও পড়ে ফেলতে হবে। Goodreads এ গিয়ে দেখি লেখকের স্বতন্ত্র বই মোট ৬টি। সবগুলোই বেশ হাইলি রেটেড! এরপর এতকিছু চিন্তা না করে সবচেয়ে হাইলি রেটেড বই দুইটি রকমারি থেকে অর্ডার করে ফেললাম। "ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া" আর "অসমাপ্ত ঠিকানা"। বই হাতে পেয়ে, ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া'র প্রচ্ছদ দেখে ভুরু কিছুটা কুঞ্চিত হলো। বই খুলে মাথায় হাত! এ যে বাচ্চাদের বই! কোনো খোজখবর না নিয়ে বই কিনে ফেলার এত বড় মাশুল। :'( তার উপর আবার বইয়ের শেষ পেজ ছেঁড়া। বই নেয়ার সময় চেক করে নেয়া হয় নি। বোকামির চূড়ান্ত!! (পরবর্তীতে অবশ্য শেষ পেজের ছবি তুলে দিয়ে লেখক সহযোগিতা করেছেন। লেখককে ধন্যবাদ।) সেদিন রাতে কি মনে করে মাথার কাছে "ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া" বইটি নিয়ে শুয়েছি। একটু পড়ে দেখা যাক, কেমন লাগে বাচ্চাদের বই! সোজাসাপ্টা শুরু। জাহেদ এবং নোভেরার প্রথম সন্তান 'বাবাই'। ৫/৬বছর বয়সী বাবাই এর নিজের রাখা একটি ছদ্মনাম আছে 'বাবাকোয়া'। বাবাই এর আরো আছে নিজস্ব মিলিটারি বাহিনী! সেই মিলিটারি বাহিনীর ক্যাপ্টেন হলো বাবাকোয়া। ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া! কিছুদিন পরেই ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া নিজেকে প্রমোশন দিয়ে হয়ে যান "কর্ণেল বাবাকোয়া"! সেই মিলিটারি বাহিনীতে আরো আছে হাবিলদার ভুট্টো (কুকুর), কমান্ডার ইন চিফ গেছো ব্যাঙ, ফ্ল্যাইট লেফটেন্যান্ট কাক, স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিবেশী মেয়ে বিন্তি। বাবাই এর ছোটবোন সমাজকর্মী, মানবদরদী, একুশে পদকপ্রাপ্ত বাবলি! বাবাকোয়ার একটি ব্যক্তিগত ডাইরি আছে। ডাইনিং টেবিলের নিচে বসে নীল হেলমেট মাথায় দিয়ে, যেখানে সে তার নানা মিশনের কথা লিখে রাখে৷ সেই ডাইরি পড়ার ইখতিয়ার আছে একমাত্র বাবাকোয়ার খালামণি মিথিলার। এক পর্যায়ে নিবেদিত মিলিটারি কর্ণেল বাবাকোয়া, তার মিলিটারি বাহিনী বন্ধ করে দেয়! সে তখন হয়ে যায়, মহাপোলা। সে যেহেতু এখনো ছোট, পুরুষ হয়ে উঠে নি। তাই মহাপুরুষ না হয়ে মহাপোলা। বাবাকোয়ার বিভিন্ন মিশন, এডভেঞ্চার এবং ছেলেমানুষী কান্ডকারখানা নিয়ে বইটি। নিখাদ আনন্দের জন্য, সময় কাটানোর জন্য দারুন এক বই। পুরোটা ইঞ্জয় করেছি৷ ছোটদের বই বলে অতিরিক্ত ন্যাকামি লেখক আ্যড করেন নি। তাই পড়তেও বিরক্ত লাগে নি। তবে "মহাপোলা"র কন্সেপ্টটা ভালো লাগে নি। কিছুটা বিরক্তিকর এবং ক্লিশে। ছোট ছোট ৯টি গল্পের সংকলন এই বইটি। মন খারাপ থাকলে মন ভালো করার ডোজ হিসেবেও বইটি কাজ করতে পারে। বাচ্চাদের বই হলেও লেখক প্রতিটা চরিত্র এবং গল্প বেশ যত্নের সাথে তৈরি করেছেন। উদ্ভট, অযৌক্তিক গল্প কমই ফেদেছেন। ছোটদের জন্য লেখা বই, যখন বড়দেরও আনন্দ দেয় তখন লেখককে স্বার্থক বলতেই হয়। আরেকটা যেই জিনিস ভালো লেগেছে, লেখক মোটা দাগে কোনো উপদেশ দিতে বা কিছু শেখানোর চেস্টা করেন নি। গল্পে খুবই হালকাভাবে সুক্ষ্ম কিছু ম্যাসেজ দিয়ে দিয়েছেন। উপদেশ দেয়া হচ্ছে বুঝতে পারলেই, ছোটরা সেখান থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এই বইয়ে নিজের অজানতেই পাঠকের কাছে কিছু ম্যাসেজ চলে যাবে। এটা বইয়ের অন্যতম সেরা একটি দিক। জাফর ইকবাল, হুমায়ুন আহমেদ, আনিসুল হক - এদের পর ছোটদের জন্য লিখেন এমন ভালো কোনো লেখক তেমন আসছিল না। সেখানে ফরহাদ চৌধুরির " ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া" বইটি একটি ভালো সংযোজন। ছোটদের বইয়ের ক্ষেত্রে আরেকটি যেটি সমস্যা দেখা যায়, সেটি হলো লাগামছাড়া বইয়ের দাম। যেহেতু ছোটদের বইয়ের চাহিদা অনেক, তবে সেই চাহিদার যোগান দেয়ার মত লেখকের অভাব। তাই এসব বইয়ের দাম হয় অতিরিক্ত! লেখার ফন্ট কয়েকগুন বাড়িয়ে পৃষ্ঠা বৃদ্ধি করে, অসহনীয় দাম রাখা হয়। "ক্যাপ্টেন বাবাকোয়া" বইয়ে দৃস্টিকটু কাজটি করা হয় নি। ১৭৪ পেজের বইয়ের মুদ্রিত মূল্য ২৬০টাকা। বইটি ২০১৭ সালে আদী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। বইয়ের প্রচ্ছদ সুন্দর, চোখে পড়ার মত। ছোটদের বইটি পড়তে আগ্রহী করবে। পেজ কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড। বাইন্ডিং সুন্দর। বানান ভুল অনেক বেশি না হলেও, খানিকটা ছিল। বইটি পড়ে আমি আনন্দ পেয়েছি। প্রথমে বাচ্চাদের বই দেখে, যেরকম হতাশ হয়েছি, তা অমূলক প্রমাণিত হয়েছে। গুডরিডসে কেন বইটি এত হাইলি রেটেড তা উপলব্ধি করেছি। টাকা জলে যায় নি দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছি। বইটি মূলত ১৩/১৪ বছরের নিচের বাচ্চাদের টার্গেট অডিয়েন্স ধরে লেখা। তবে যেকোনো বয়সী পাঠকই যদি খানিকটা শিশুমনা হয়ে থাকেন, তবে বইটি আপনাকে আনন্দ দিবে। পড়ার সময় ৭/৮ বছর আগের আমিতে চলে গিয়ে দেখতে ইচ্ছা করেছে, ঐ সময়ে বইটি পড়লে এখনকার থেকে কতগুন বেশি আনন্দ পেতাম! Goodreads Rating: 4.58 / 5 Personal Rating: 4.5 / 5