User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
একটা নাটকের মাধ্যমে জীবনের নাটক মিশিয়ে খুব সুন্দর একটু গল্প উপস্থাপন করেছেন লেখক। গল্পটি সাদামাটা এবং ছোট হলেও পড়ে বেশ ভাল লাগলো।
Was this review helpful to you?
or
এক অন্য ধরনের উপন্যাস। হূমায়ুন আহমেদের অন্য লিখা গুলো থেকে আলাদা। হয়তো অভিনয়ের প্রতি আমারো শখ অনেক বেশি থাকায়,এ বইয়ের প্রতিটি মূহুর্ত,ব্যাপার,ছোটছোট জিনিস গুলো ও আমি বেশি রিলেট করতে পেরেছি। শেষমেশ বলবো খুব সুন্দর একটি বই,স্বাদটা একটু আলাদা।
Was this review helpful to you?
or
এত সুন্দর বই খুব কমই পড়েছি।হুমায়ুন আহমেদের অন্যান্য কাহিনির মতই সাধারণ হলেও এই বইটা আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়েছে❤️
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটি উপন্যাস। ১৯৮৯ সালের দিকে লেখা, তাই প্রথম দিককার হুমায়ূন আহমেদকে এতে পাওয়া যায়।
Was this review helpful to you?
or
সাজঘর হুমায়ূন আহমেদ পূর্বা নাট্যদলের টি বয় মজনু,তার কাজ হচ্ছে রিহার্সেল চলাকালীন সময়ে একশ থেকে দেড়শ কাপ চা বানানো,এর জন্য সে মাসে নব্বুই টাকা পায়। রিহার্সেল হয় পুরানা প্লটনের জনতা পাবলিক লাইব্রেরি হলে। নাটকের প্রধান নারী চরিত্রে আছেন লীনা ভাবি যাকে সে খুবই পছন্দ করে। ভাবি বলছে কারন লীনা নাটকের প্রধান পুরুষ চরিত্রের অভিনেতা আসিফ ভাইয়ের বউ। আজকাল লীনার মনের মধ্যে অনেক উলটো পালটা চিন্তাভাবনা কাজ করে,কখনো কখনো মনে হয় অাসিফ তাকে ভালোবাসে না,সবটাই হয়তো আসিফের অভিনয়। সে সবসময় পারফেক্ট স্বামী হওয়ার অভিনয় করে। একদম নিখুঁত অভিনয় যাকে বলে! নাট্যদলের সবাই জানে আসিফ অনেক ভালো অভিনেতা,বাস্তব জীবনেও কি আসিফ অভিনয় করে লীনার সাথে! পুষ্প নামের নতুন অভিনয় করতে আসা মেয়েটা মুগ্ধ চোখে আসিফের অভিনয় দেখে কেঁদে ফেলেছিলো। কিন্তু লীনা জানে এই কাঁদার পেছনে অন্যকিছু আছে! একদিন লীনাও পুষ্পর মতো আসিফের অভিনয়ে এমন মুগ্ধ হয়ে ভালোবেসে ফেলেছিলো! লীনার বাবা ডিস্ট্রিক জাজ ওয়াদুদুর রহমান মেয়ের বিয়ে একদমই মেনে নিতে পারেন নি, থার্ডক্লাস পাওয়া ব্যাংকে সামান্য চাকুরিজীবী আসিসফ কে বিয়ে করার সময় মেয়েকে অভিশাপ দিয়েছিলেন তিনি। মাঝে মাঝে লীনার মনে হয় তার বাবার অভিশাপ হয় তো সত্যিই লেগে গেছে,তা না হলে পর পর দুইটা মেয়ে হয়েও মারা গেছে। তৃতীয় বারের মতো লীনা আবারো মা হতে যাচ্ছে। এবারও কি আগের মতোই হবে। লীনা,আসিফ আর পুষ্পের সাথে কি হয়েছিলো,লীনার বাচ্চাটা কি বেঁচে ছিলো? আসিফ কি সত্যিই অভিনয় করতো লীনার সাথে? এসব প্রশ্নের উত্তর আছে উপন্যাসটিতে। সময় কাটানোর জন্য উপযোগী একটি উপন্যাস বলা চলে সাজঘরকে। একটানা পড়ে যাওয়ার মতো একটি বই,আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনারাও চাইলে পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
জীবনটা এক বিশাল রঙ্গমঞ্চ | আর এই বিষয়টিকে অত্যন্ত সুন্দর ও সুচারু রূপে বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক| এমনকি লেখকের জীবনের সঙ্গেও এর অনেক মিল রয়েছে| নাটকের নায়িকা লিনা এবং তার পতিদেবতা আসিফ এর মধ্যকার ভালোবাসা আর পারস্পরিক বোঝাপড়ার বিষয়টি মূলত প্রতিটি স্বাভাবিক দম্পতি র চিত্রায়ন |তবুও এর মাঝেও ব্যতিক্রমী বিষয়টি হলো তাদের জীবনের অন্যরকম সার্থকতা যা মূলত তারা নাটকের মেধ্য খুঁজে পায়| লেখকের এ ধরনের বাস্তবভিত্তিকদৈনন্দ আমাদের দৈনন্দিন সমাজের প্রতিচ্ছবি|
Was this review helpful to you?
or
একজন পিতা মাতা তার সন্তানের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর সেক্রিফাইসের গল্প এটি। নিজে সন্তান কে ভালোবেসে নিজেদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস বিসর্জন. .... আসিফের বাবা তাকে গড়ে তোলো অন্যরকম ভাবে। খুব ছোট থাকতেই পড়াশোনা এত ভাল করে যে শত্রুও প্রশংসা না করে পারেনা। ৫ম শ্রেণীতে জেলার মধ্যে ১ম হয় আসিফ। তবে ৮ম শ্রেনীতে ওঠার পরই তারমধ্যে আসে অস্বভাবিক পরিবর্তন। সে আর পড়াশোনা করতে চায়না। পরিবারের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। আসিফ চায় অভিনয় করতে। কিন্তু তার বাবা আসিফকে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করান যাতে সে কখনো নাটকের নে যায়। নাটকের প্রতি প্রবল আগ্রহের কারনে আসিফ নাটকের যোগ দেয়। নাটকের আসিফ একটা পারদর্শী যে সবার স্থির বিশ্বাস আসিফ অনেক বড় অভিনেতা হবে। এই অভিনয় দিয়েই প্রেম ভালবসা হয় লীনার সাথে। লীনা বাবার অমতে বিয়ে করে সুখী। তবে তাদের সুখের জীবনে কাটা হয়ে দাড়ায় তাদের বাচ্চা। পরপর দুটো বাচ্চা মারা যায় তাদের। তবে এটা নিয়ে পারিবারিক কোন দন্দ তৈরী হয়নি কখনো বরং আসিফের সাথে লিনাও যোগ দেয় অভিনয়ে। খবু ভালোই চলছিল তাদের দিনকাল। তবে এর মাঝেই হঠাৎ করে আসিফের জীবনে আসে প্রবল এক ঝড়। যে ঝড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় আসিফের সমস্ত স্বপ্ন। গল্পে পুষ্প নামে আর একটি চরিত্র আছে, সে মনে মনে ভালোবাসে আসিফ কে। তবে তার মনে মনে ভালোবাসার কথা জেনে যায় লীনা। এটা নিয়ে কি কায়নাত কুরুক্ষেত্র বাধবে?????
Was this review helpful to you?
or
রঙ্গমঞ্চের অভিনয় পৃথিবীটা একটা অভিনয়ের মঞ্চ আর সেই মঞ্চের অভিনেতা হল মানবজাতি।আমরা যা করি সবই খুব সাজানো ঘুছানো নিখুত অভিনয়।বিভিন্ন জন বিভিন্ন ধরনের চরিত্র নিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছি আমরা।মানুষের এই চরিত্র গুলো লেখক হুমায়ন আহমেদ তার উপন্যাসগুলোতে বেশ সুন্দর ভাবে তুলে ধরেন।তার এই অভিনয় নিয়েই “সাজঘর” উপন্যাসটি রচিত।উপন্যাসটিতে হুমায়ন আহমেদ তার অসাধারন লেখনীধারা ফুটিয়ে তুলেছেন এক ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী।উপন্যাসটির নায়ক যদি ধরি তাহলে আসিফকে বলা যায় যে কিনা অভিনয় পাগল একজন ব্যাক্তি।নিজের সবকিছু বিসর্জন দিতে পারেন এই অভিনয়ের জন্য।তার ধ্যান জ্ঞান সব কিছুতেই অভিনয়।তার চমৎকার অভিনয় দেখে প্রেমে পড়েন লিনা নামের একটি মেয়ে।আসিফের প্রেমে এতটাই মুগ্ধ সে যে কিনা নিজের বাবা মায়ের অমতে বিয়ে করে ফেলে আসিফকে।চলতে থাকে তাদের অমায়িক প্রেম ভালবাসা ভরপুর দাম্পত্য জীবন।একসময় লিনাও আসিফের নাট্যদলে যোগ দেয়।তাদের সুখের সংসারে আগুন লাগতে থাকে পুষ্প নামের এক অভিনেত্রীর আগমনে।আসিফের সাথে অভিনয়করতে গিয়ে পুষ্পও আসিফের প্রেমে পড়ে যান।পালটাতে থাকে প্রেক্ষাপট।আসিফ একসময় বুঝতে পারে সে লীনার সাথে যা করে গেছে সব সাজানো অভিনয়। তবে এইসব তাত্ত্বিক বিষয়ের আড়ালে লেখক একটি অসাধারণ গল্পও বলেছেন এবং সেখানেই উপস্থিত হয়েছে পুষ্প চরিত্রটি। তাছাড়াও আছে আসিফ-লীনার মারা যাওয়া দুইটি কন্যাশিশু। পুষ্প আর ঐ দুই মৃত কন্যাশিশুই শেষ পর্যন্ত কাহিনীতে সবচেয়ে বড় বাঁকবদলের জন্ম দেয় এবং উপন্যাসটি পূর্নাংগতা লাভ করে।হুমায়ন আহমেদ এই উপন্যাসটিতে সবগুলো চরিত্রকেই অসাধারন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সত্যিই পড়তে অনেক ভাল লেগেছে।আপনারা যারা এধরনের মননশীল উপন্যাস পড়তে ভালবাসেন তাদের জন্য অনেক ভাল লেখুনি এই উপন্যাসটি।মিস করবেন না আশাকরি।
Was this review helpful to you?
or
'সাজঘর' উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্র কোন মানুষ নয়। সে দুটি হল নাটক আর অভিনয়। আর এই দুই চরিত্রে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতেই উপন্যাসে এসেছে বেশ কিছু মানুষের চরিত্র। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনটি চরিত্র হল আসিফ, লীনা আর পুষ্প। আসিফের জীবনের ধ্যানজ্ঞান সবই অভিনয়। সে অভিনয়কে খুব ভালোবাসে। অভিনয়ের স্বার্থে সে তার জীবনের অন্য সব সুখ-দুঃখ ত্যাগ করেছে। লীনা হল আসিফের স্ত্রী, যে আসিফের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েই তার প্রেমে পড়ে এবং এক সময়ে পরিবারের অমতে তাকে বিয়ে করে বসে এবং একসময় আসিফের সাথে তার নাট্যদলেও যোগ দেয়। আর পুষ্প হল এক সদ্য যৌবনা তরুণী যে এক নাটকে লীনার পরিবর্তে জায়গা পায় আর সেই জায়গায় অভিনয় করতে গিয়ে আসিফের প্রতি তারও একধরণের বিশেষ আবেগ জন্মায়। এই তিন চরিত্রকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে উপন্যাসের কাহিনী। সবচেয়ে বেশি হাইলাইটেড করা হয়েছে অবশ্য আসিফ-লীনা দম্পতিকেই। পাশাপাশি এই উপন্যাসে একটি নাটকের কিছু দৃশ্যও সংযোজিত হয়েছে যেখানে দেখানো হয় এক লেখক সারাদিন তার লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে তার স্ত্রীকে সময় দিতে পারছে না। ঠিক এমন ঘটনাই একটু অন্যভাবে হলেও ঘটে আসিফের নিজের জীবনেও। দেখা যায় সে তার অভিনয়-প্রেমে এতটাই আসক্ত যে তার সব কাজকর্মই ঐ অভিনয়কে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে। এমনকি একটা সময় উপন্যাসে এটাও দেখানো হয় যে আসিফের প্রতিটা কাজকর্মই আসলে অভিনয়। লীনার প্রতি তার যে ভালোবাসা, সেটাও লীনার কাছে একটা সময়ে আসিফের নিখুঁত অভিনয় বলে মনে হতে থাকে। মূলত এই কাহিনীর মাধ্যমে লেখক দেখাতে চেয়েছেন যে গোটা জীবনটাই যেন একটা রঙ্গমঞ্চ আর শুধু আসিফই নয়, প্রকৃতপক্ষে প্রতিটা মানুষই নিজ নিজ জীবনে নিজেদের মত করে নিজের ভূমিকায় অভিনয় করে চলেছে। তবে এইসব তাত্ত্বিক বিষয়ের আড়ালে লেখক একটি অসাধারণ গল্পও বলেছেন এবং সেখানেই উপস্থিত হয়েছে পুষ্প চরিত্রটি। তাছাড়াও আছে আসিফ-লীনার মারা যাওয়া দুইটি কন্যাশিশু। পুষ্প আর ঐ দুই মৃত কন্যাশিশুই শেষ পর্যন্ত কাহিনীতে সবচেয়ে বড় বাঁকবদলের জন্ম দেয় এবং উপন্যাসটি পূর্নাংগতা লাভ করে। এই উপন্যাসের সমাপ্তিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কাহিনী যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, সেখান থেকে পনের বছরের একটা চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে লেখক যেভাবে চরিত্রদের পরিণতি দেখিয়েছেন এবং তার মাধ্যমে গভীর জীবনবোধকে উৎসারিত করেছেন, তা স্রেফ অতুলনীয়। এত সুন্দরভাবে, সাবলীল ভাষায় জীবনটাকে অনেক বড় একটা ক্যানভাসে দেখাতে পেরেছিলেন বলেই বোধ হয় হুমায়ুন আহমেদ আজ বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র!
Was this review helpful to you?
or
মানুষের জীবন এক বিশাল রঙ্গমঞ্চ আর মানুষ সেই মঞ্চের এক ক্ষুদ্র অভিনেতা।এই কথাটাই যেন বারবার মনে করিয়ে দেয় হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর লিখা " সাজঘর " বইটি।অনেক ভাবেই জীবনের প্রেম ভালবাসা কে ফুটিয়ে তোলা যায়।কিন্তু স্যার বিবাহ পরবর্তী এক দম্পতির মাঝের প্রেম ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার এক অনবদ্য গল্প আমাদের উপহার দিয়েছেন। গল্পের শুরুতেই মজনু নামক ১৩/১৪ বছরের ছেলেটির জীবন দেখা যায় যা পুরপুরি ঘিরে আছে 'পূর্বা নাট্য দল' কে।হয়ত সে গল্পের জন্য তেমন প্রয়োজনীয় কেউ নয় তবুও সে জীবনের নাটকে এক পোর খাওয়া সৈনিক যে প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও অবাঞ্চিত। নাটকের প্রধান চরিত্র আসিফ আর তার স্ত্রী লিনার জীবনটা এক জটিল সমীকরণের ন্যায় কঠিন।দুর্দান্ত ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও আসিফ তার জীবনের প্রকৃত সুখ খুঁজে পায় নাটকের মঞ্চে আর তার সাথী লিনাও তার প্রকৃত প্রেমকে খুঁজে পায় এই নাটকের মঞ্চেই।কিন্তু জীবনের এই সুখকে বিসর্জনের মধ্য দিয়েই একদিন লিনা আর আসিফ খুঁজে পায় তাদের জীবনের নক্ষত্র চন্দ্রশিলা কে।আর পাই আমরা পুষ্পা কে যে জীবনের এক অসমাপ্ত গল্প থেকেই সাজিয়ে নেয় জীবন।এদের সকলের জীবনের এই গল্প থেকেই বুঝা যায় জীবনের এই রঙ্গমঞ্চে আমরা শুধুই ঈশ্বরের হাতের কাঠের পুতুল ।