User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মধ্যবিত্ত নামটা বইয়ের সাথে বড্ড বেমানান মনে হয়েছে, এক যুবক, যার মা'কে কোলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্যে(বাঁচবে না এটা জেনেও), তার জীবনযাত্রার কিছু খণ্ডচিত্র লেখক এঁকেছেন । মাঝে মাঝেই মনে হয়েছে মূল ফোকাস থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন । এসব ওসব, খাওয়া দাওয়ার বর্ণনাটা একটু চোখেই লেগেছে। বর্ণনামূলক অংশগুলো কোন কারণ ছাড়াই টেনে বড় করা। শেষের দিকে মনে হয়, খুব তাড়াহুড়ো করে শেষ করে দিচ্ছেন। আশা করি কিঙ্কর আহসান ভবিষ্যতে তাঁর লেখনীর মাধ্যমে আরও গভীরভাবে পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করতে সমর্থ হবেন
Was this review helpful to you?
or
মধ্যবিত্ত!!!! মধ্যবিত্ত একটি পরিবার শুধু একটি পরিবার না দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ, ভালোবাসা র এক সমন্বয়ক। মধ্যবিত্ত পরিবারের চাপা কান্না তাদের মধ্যেই থাকে, তারা প্রকাশ করতে চায় না। কিঙ্কর আহসান আমার একজন প্রিয় লেখক, তার লেখা ভালো লাগে । তার মধ্যবিত্ত বইটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। বইটিতে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কাহিণী নিয়ে বলা হয়েছে। এবং তা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমার কাছে মনে হলো যেন লেখক নিজেই এই উপন্যাসের নায়ক।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর লেখা। এক কথায় অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
.
Was this review helpful to you?
or
like this book
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি
Was this review helpful to you?
or
কিঙ্কর আহসানের সেরা লেখা মধ্যবিত্ত। দারুণ একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
এত সুন্দরভাবে শব্দের ব্যবহার আর এক মধ্যবিত্ত পরিবারের দুঃখ, অল্পক্ষণের সুখ সব এক সাথে ফুটে উঠেছে ।
Was this review helpful to you?
or
মানুষ বই পড়ে যে কাদতে পারে তা এ বই পড়েই আমি বুজতে পারছি।বইটা এতই আকর্ষণীয় ছিল যে একটানা ১১১ পৃষ্টা পড়েছি।কিন্তু বই পড়ে বুঝতে পারিনি যে বুনোর গর্ভে লেখকের সন্তান কীভাবে??
Was this review helpful to you?
or
মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন হয়ে মধ্যবিত্তকে নিয়ে নতুন করে ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। মধ্যবিত্তদের মানিয়ে নেওয়া আর পিছনের গল্প গুলো ফুটে উঠেছে।
Was this review helpful to you?
or
Onek Valo ekta Boi
Was this review helpful to you?
or
মধ্যবিত্ত গল্পটি বর্তমান মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারের গল্পের সাথে মিলে যায়। অসাধারণ একটা বই। অামি এই গল্পে নিজেকে খুজেছি। এখানে তুলে ধরা হয়েছে মধ্যবিত্তের সংগ্রাম,বিপদ মোকাবেলা করার অসীম সাহস,নানান জটিলতা,ভিন্ন এক দেশে মাকে বাচানোর সংগ্রাম।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া কিঙ্কর আহসানের প্রথম বই। লেখার ধরণ, বাক্যের গঠন অন্যরকম, কিন্তু আকর্ষণী বাংলার সমাজই উঠে এসেছে এই লেখায়। তবে পড়তে পড়তে মনে হয়েছে, জীবন সম্পর্কে খুব স্বচ্ছ একটা ধারণা আছে। লেখকের। নাহলে খুব সূক্ষ্ম যেসব ডিটেইলের বিবরণ আছে - ওগুলাে সম্ভব হতাে না। মন খারাপ হয়েছিল লেখাটা পড়ে। একে অবশ্য লেখকের সার্থকতাই বলা যায়!!
Was this review helpful to you?
or
বই: মধ্যবিত্ত জনরা: উপন্যাস লেখক: কিঙ্কর অাহসান প্রকাশনী: বর্ষাদুপুর প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০১৭ পৃষ্ঠা: ১১২ প্রচ্ছদ: মেহেদি হাসান মুদ্রিত মূল্য: ২০০ কাহিনী সংক্ষেপ: "মধ্যবিত্তদের জীবন খুব প্রেডিক্টেবল, ম্যাজিক্যল কিছু হয় না, এ জীবনে শুধুই টানাপোড়েন, কোন সুখের গল্প নেই, সফলতার গল্প নেই!" হাতে গোনা এ ক'টা শব্দেই যেন পুরো বইয়ের গল্প বলা অাছে। গল্পের শুরু কোলকাতায়, মধ্যবিত্ত পরিবারের এক অসুস্থ মায়ের চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাচিত্র। মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য গল্পের নায়ক তার বাবা, অাদরের ছোট বোন অার মামা এসেছে কোলকাতায়। টানাপোড়নের সংসারে চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে জমিজমা বিক্রির পরও ব্যাপক ধারদেনা করতে হয়েছে। বিদেশ বিভুঁয়ে যখন ডুবন্ত অবস্থা তখন খড়কুটোর মত অাবির্ভাব হয় অাকাশ মামা। প্রথম দিকে মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে শেষে শকুনি মামা হয়ে কেটে পরে। টাকার অভাবে মায়ের চিকিৎসা বন্ধ হবার উপক্রম। সবার মধ্যে যেন একটাই অাতঙ্ক কখন মা মারা যাবে! এদিকে টাকার বন্দোবস্ত করতে বাবা দেশে ফিরে অাসে কিন্তু যতই দিন যায় বাবা যেন এক অন্যমানুষ হয়ে যায়... এতসব প্রতিকূলতা অার ঝামেলার মাঝেও বুনো নামক এক দমকা হাওয়া দোলা দিয়ে যায় তার মনে, মানব মন অান্দোলিত হয় ভালোবাসায়। কী হয় শেষ পর্যন্ত মায়ের চিকিৎসার, অাগাছার মত গজানো সমস্যাগুলোর সমাধানই বা অাসবে কী করে জানতে চোখ বুলাতে হবে বইয়ের পাতায়। নিজস্ব মতামত: মধ্যবিত্তের গল্পটা যেন একান্তই অামার, যে গল্পের প্রতি পদে পদে মধ্যবিত্তের সীমারেখা অাঁকা, পা ফসকে গেলে গ্রহচ্যুত হয়ে ছিটকে হারিয়ে যেতে হবে দুঃখের অতল গহ্বরে। যেখানে মানুষ ভালোবাসার শিকলে অাটকে রাখার প্রতিজ্ঞা করে, পরক্ষণেই অভাবের তাড়নায় প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের সুর তোলে। অাবার সে গল্পেই শেষ সম্বল দান করে হলেও প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে সুখী হতে চায় মানুষ। মায়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা অার মধ্যবিত্তের বড় সন্তান হবার গুরু দায়িত্বের এ গল্প যা পাথরের মতো বোঝা হয়ে থাকে মাথার উপর যাকে না পারা যায় ফেলা না পারা যায় সে বোঝা টানা। লেখক এতটা বাস্তব ভাবে গল্পটা তুলে ধরেছেন যেন প্রতিটা মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে নিজেই অবলোকন করেছি দৃশ্যগুলো।
Was this review helpful to you?
or
যা পড়েছি: মধ্যবিত্ত, লিখেছেন: কিঙ্কর আহসান , প্রকাশ করেছে: বর্ষা দুপুর,প্রচ্ছদে: মেহেদি হাসান, পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১২, গায়ের দাম: ২০০ টাকা। কাহিনী-সারাংশ : মধ্যবিত্ত পরিবারের এক অসুস্থ মাকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাস। মায়ের চিকিৎসার জন্য ছেলে, মেয়ে, বাবা আর মায়ের ভাই মিলে মাকে নিয়ে কোলকাতা যায়। কোলকাতা গিয়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় পরিবারটি। মায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিচিত, অপরিচিত নানা ধরনের মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়। কেউ বন্ধুত্বের সম্পর্কে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে, কেউ দেয় ধোঁকা। এই স্বল্প সময়ে কেউ আবার ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ে। একদিকে মায়ের অপারেশন নিয়ে দুশ্চিন্তা , অন্যদিকে ভালোবাসার মানুষের হঠাৎ দূর সরে যাওয়া – মধ্যবিত্ত পরিবারের দ্বিধাদ্বন্দ্ব। গল্পের শেষে মাকে নিয়ে পুরো পরিবার বাংলাদেশ ফেরত আসে। আমার অনুভূতি: বইয়ের শুরুতে আমার মনোযোগ দিতে কষ্ট হয়েছে। এটা কি ইদানিং ছাপা কাগজে বই পড়া কম হওয়ার কারণে নাকি লেখকের কারণে তা বলতে পারবো না। তবে যতই সময় গিয়েছে , গল্পের ভিতরে প্রবেশ করেছি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে মধ্যবিত্ত পরিবারের টানাটানি, অসহায়ত্ব খুব ভালোভাবে বুঝতে পারি। লেখক সুন্দরভাবে এই বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। বেশ কিছুদিন আগে বাবা অসুস্থ হওয়ার কারণে পুরো পরিবার যে ঝড় ঝাপটার মধ্যে গিয়েছিল, এই গল্পের পরিবারটিও তেমন পরিস্থিতির মাঝে গিয়েছে। পার্থক্য হচ্ছে এখানে অসুস্থ হচ্ছে মা। উপন্যাসটির প্রতিটি অনুচ্ছেদের শুরুতে লেখক দুই লাইন কবিতা সংযোজন করেছেন। এই বিষয়টি ভালো লেগেছে। গল্পের শেষ অংশটুকু কি হতে পারে তা অনুমান করা গেলেও লেখক প্রতিটি ঘটনা এমনভাবে সাজিয়েছেন যে পুরো উপন্যাসটি শেষ করতে কোন একঘেয়েমি পেয়ে বসেনি। এই গল্পে লেখক উপস্থিত হয়েছেন মায়ের একমাত্র বড় ছেলে হিসাবে। মাকে কেন্দ্র করে উপন্যাস হলেও এই গল্পের প্রধান চরিত্র বলা যায় মধ্যবিত্ত পরিবারের এই বড় ছেলে। গল্পে মনে রাখার মতো কয়েকটি চরিত্রের নাম নিলে বলা যায়, আকাশ মামা, বুনো আর বাবা। আকাশ মামার বিশ্বাসঘাতকতা আর বুনোর সাহায্য করার মানসিকতা একই মুদ্রার যেন এপিঠ-ওপিঠ। মন খারাপ হয়েছে বাবার হঠাৎ পালটে যাওয়া , অন্য নারীর সাথে সম্পর্ক দেখে।বুনোর সাথে বড় ছেলের সম্পর্ক যেভাবে দেখানো হয়েছে তা আমার ভালো লাগেনি।লেখক অন্যভাবেও দেখাতে পারতেন। মধ্যবিত্ত চরিত্রের মাঝে প্রতিকূল পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার যে স্বভাব, তার উপস্থিতি দেখেছি বড় ছেলে চরিত্রটির মাঝে। শেষ করি। যাদের মা বেঁচে আছেন, তারা যদি এই বইটি পড়েন, তাহলে মাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে আচ্ছন্ন হবেন।
Was this review helpful to you?
or
‘মধ্যবিত্ত’ বইটির লেখক কিঙ্কর আহসান । দেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকায় লেখালেখির শুরু। টানা পাঁচ বছর বাংলানিউজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, পরিবর্তনসহ দেশের প্রায় সব শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে লিখেছেন ছোটগল্প। কালের কণ্ঠের ‘বাতিঘর’ পাতায় শিক্ষানবিস সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। কে হতে চায় কোটিপতি টিভি শো এর সহকারী স্ক্রিপ্ট রাইটারের কাজ করেছেন। এছাড়া ‘মার্কস অলরাউন্ডার’, ‘হাসতে মানা’, ‘হান্ডসাম দি আলটিমেট ম্যান পাওয়ার্ড বাই বাংলাদেশ নেভী’ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সুপার লীগ-গ্রান্ড লোগো আনভেইলিং’র প্রধান স্ক্রিপ্ট রাইটার ছিলেন। কাজ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখক সংঘ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, কণ্ঠশীলন, মুক্তআসর, বিল্ড বেটার বাংলাদেশসহ আরও অনেকগুলো সংগঠনের সাথে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সঙ্গে ডকুমেন্টারি নির্মাণসহ আরও নানান কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। চ্যানেল আইয়ের ‘আই পজিটিভ কমিউনিকেশন’-এ অ্যাসোসিয়েট গ্রুপ হেড হিসেবে কর্মরত ছিলেন দুই বছর। বর্তমানে কাজ করছেন ‘সান কমিউনিকেশন’ নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। সবকিছুর পরেও লেখালেখিই কিঙ্কর আহ্সানের আসল জায়গা। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় । বইটি প্রকাশিত হয় বর্ষাদুপুর প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রচ্ছদ করেছেন মেহেদি হাসান । পরিবারকে অসম্ভব ভালবাসে যে ছেলেটি ঠিক সেই পরিবারের সবচেয়ে অসহায় সময়ে ছেলেটির কিছুই করার থাকে না। পরিবারকে মায়ার বাঁধনে বেঁধে রাখে যে মা সেই মা যখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করতে থাকে তখন অসহায় ছেলেটি যেন আরও অসহায় হয়ে যায়। নিজের দেশ ছেড়ে অদূরে কলকাতায় ছোট বোন রুবি, বাবা আর মামাকে নিয়ে সে যেন অথৈ সাগরে পরে। মায়ের চিকিৎসার জন্য জোগাড় করা সব টাকাই হাতছাড়া হয়ে যায় দালালের খপ্পরে পরে। এত কিছুর মাঝেও সে দেশে রেখে আসা তার ভালোবাসার মানুষ মাহবুবাকে ভুলতে পারে না। সব সময় মাহবুবার কথা তার মনে পরে। কিন্তু কলকাতায় হাসপাতালে পরিচিত হওয়া বুনো হটাত করেই যেন তার সমস্ত চিন্তায় চলে আসে নতুন করে! এই মেয়েটিকেও সে আপন ভাবতে শুরু করে। এমনি এক দোটানায় চলতে থাকে তার জীবন। মানুষ এর জীবনটিই এমন । হয়ত তার জীবন এর সব আশা , সব মনের ইচ্ছা কখনোই পুরন হয় না । বইয়ের উপন্যাসটি পড়লে মনে হবে যে নিজের জীবন থেকে নেওয়া উপন্যাস । অসাধারন এ উপন্যাসটি সকলেরই ভালো লাগবে ।
Was this review helpful to you?
or
কিছু লেখা থাকে যা পড়লে মনে হয় নিজের জীবনের গল্প পড়ছি। জীবনের টানাপোড়েন,সিদ্ধান্তহীনতা সব কিছুই মিলে যায় লেখার সাথে। কিছু কথায় মিশে থাকে জীবন। এমনি এক লেখা পড়লাম কিঙ্কর আহসানের ‘মধ্যবিত্ত’ বই এ। পরিবারকে অসম্ভব ভালবাসে যে ছেলেটি ঠিক সেই পরিবারের সবচেয়ে অসহায় সময়ে ছেলেটির কিছুই করার থাকে না। পরিবারকে মায়ার বাঁধনে বেঁধে রাখে যে মা সেই মা যখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করতে থাকে তখন অসহায় ছেলেটি যেন আরও অসহায় হয়ে যায়। নিজের দেশ ছেড়ে অদূরে কলকাতায় ছোট বোন রুবি, বাবা আর মামাকে নিয়ে সে যেন অথৈ সাগরে পরে। মায়ের চিকিৎসার জন্য জোগাড় করা সব টাকাই হাতছাড়া হয়ে যায় দালালের খপ্পরে পরে। এত কিছুর মাঝেও সে দেশে রেখে আসা তার ভালোবাসার মানুষ মাহবুবাকে ভুলতে পারে না। সব সময় মাহবুবার কথা তার মনে পরে। কিন্তু কলকাতায় হাসপাতালে পরিচিত হওয়া বুনো হটাত করেই যেন তার সমস্ত চিন্তায় চলে আসে নতুন করে! এই মেয়েটিকেও সে আপন ভাবতে শুরু করে। এমনি এক দোটানায় চলতে থাকে তার জীবন। যে মাকে ছাড়া তাদের চলত না সেই মাকে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়তে দেখে কীভাবে বেঁচে আছে তারা? শেষ পর্যন্ত বুনোর সাথে তার সম্পর্কের কি হয়? আর রুবি? এইসব অজানা কথাগুলো জানতে হলে পড়তে হবে ‘মধ্যবিত্ত’। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ প্রতিটা নতুন অধ্যায়ের আগে একটা করে দুই লাইনের কবিতার মত আছে এটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। পুরো লেখা পড়ে একটা ভিন্ন রকম স্বাদ পেলাম। এক গল্পে শুধু পুরো এক পরিবার এমন লেখা কমই আছে। কিঙ্কর ভাইয়ার লেখা আগে পড়া হয় নি। বইটি ভাল লেগেছে। লেখকের আরও লেখা পড়ব বলে আশা রাখি।
Was this review helpful to you?
or
"মধ্যবিত্ত" গল্পটি আমাদের আশেপাশের সত্য কিছু কাহিনী নিয়েই লেখা। যেসব কাহিনীগুলা প্রতিনিয়তই কোন না কোন পরিবারে ঘটছে। গল্পটি এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেকে নিয়ে লেখা। যে কিনা তার মাকে নিয়ে কোলকাতা এসেছে মায়ের অসুস্থতার কারণে। সাথে আছে তার বাবা, মামা, আর পিচ্চি এক পুতুল বোন রুবি। গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো ঘটনাটাই কলকাতার। মায়ের চিকিৎসা হচ্ছে কলকাতার কোঠারি হাসপাতালে। টাকা যোগাড় করতে গিয়ে অবস্থা খারাপ হচ্ছে তাদের। আত্মীয়-স্বজনদের কাছে টাকা ধার করা খুব বেশি পরিমাণ হওয়ায় তারা এখন আর ফিরে তাকাচ্ছে না। এমন মুহূর্তেই তাদের সাথে কলকাতায় পরিচয় হয় আকাশ নামের এক লোকের সাথে। বাবা বিশ্বাস করে তার কাছে ছেলে, মেয়েকে রেখে দেশে আসেন টাকা যোগাড় করতে। কিন্তু বিশ্বাসের মর্যাদা দিলো না লোকটি। সুযোগ বুঝে বিশ্বাসঘাতকতা করে পালিয়ে গেলো। এদিকে বাবা জমি বেচেঁ টাকা যোগাড় করেও পাঠাতে পারছেন না। কারণ তাদের পাসপোর্ট আটকা পড়ে গেছে। তারপরেই পরিচয় হয় সন্দীপ মুখার্জি নামের এক ক্ষমতাধর হুন্ডি ব্যবসায়ীর সাথে। তিনিই তাদের হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা আনতে সাহায্য করেন। এদিকে ছেলেটিও বেশ ভয়ে আছে। মায়ের অপারেশনের টাকা যোগাড় করতে গিয়ে বাবা তাদের বাড়ি বিক্রি করে দিবে না তো। যে বাড়িটার নাম 'আপন ভিলা'। মা সুস্থ হয়ে আপন ভিলায় পা রাখতে পারবেন তো? নাকি ততো দিনে সেই বাড়ি অন্য কারো হয়ে যাবে। বইয়ে আছে আরো কিছু চরিত্র। মাহবুবা, বুনো। মাহবুবা ছেলেটির প্রেমিকা। দেশে থাকতে মেয়েটিকে প্রাইভেট পড়াতো, আর্ট শিখাতো। আবার কলকাতা গিয়ে বুনো মেয়েটির প্রতিও একটু দূর্বল হয়ে পড়ে ছেলেটি। একের পর এক এতসব ঘটতে থাকা ঝামেলা সামাল দিয়ে মায়ের চিকিৎসা হয়। মা কি সুস্থ হোন শেষ পর্যন্ত? ছেলেটি কি পারে তার মাকে সুস্থ করে দেশে ফিরতে?
Was this review helpful to you?
or
মধ্যবিত্ত উপন্যাসে লেখক খুব দারুনভাবে শব্দের খেলায় পাঠকের মন কাড়তে সক্ষম হয়েছে।অসাধারন লেখনি।লেখকের শব্দখেলার ফন্দি আমার অসাধারণ লেগেছে।উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে আমি নিজেও চরত্রের অংশ হয়ে গেছে নিজের অজান্তে।
Was this review helpful to you?
or
'জানি শোকের বয়স অল্প হই' সত্যি বলতে এই লাইনটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। কারণ যেকোনো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যে এই কথাটা নিরেট সত্য৷ শোকের ছায়া নেমে আসলেও তার জন্যে বিলাপ খুব অল্প দিন ই করতে হই। আমার পারসোনালি মধ্যবিত্ত বইটা ভালো লেগেছে৷ তবে কিঙ্কর ভাই আরো সুন্দর করে হইতো লিখতে পারতেন৷ প্রকৃতিটাকে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ বর্ণনাও ছিলো সহজ সাবলীল।কনসেপ্ট টা ভালোই লেগেছে৷ গল্পটা যেভাবে এগিয়েছে৷ মা এর চিকিৎসা,নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেয়া,বিশ্বাসঘাতকতার ছোবলে পড়া,ভালোবাসায় পড়া,বিচ্ছেদ,আত্মদ্বন্দ নিয়ে ভালোই এগিয়েছে। তবে কোথাও যেনো একটা ফাক তিনি রেখে গেছেন৷ অপূর্ণতা অনুভব হয়েছে শেষমেষ পড়া শেষ করে৷ মা এর প্রতি ভালোবাসা খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে৷ তবে পারিপার্শ্বিক আরো অনেক জিনিসে পুরাপুরি ফুটে উঠতস আমি দেখিনি৷ মর্মাহত হইনি৷ তবে আরেকটু আশা করেছিলাম৷ মধ্যবিত্তের পরিবারের মতো অপূর্ণতা৷ হইতো এটা লেখকের ট্রিক্স ও হতে পারে৷ কে জানে?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা #Book_Review বইয়ের নামঃ মধ্যবিত্ত বইয়ের ধরণঃ সমকালীন উপন্যাস বইয়ের লেখকঃ কিঙ্কর আহসান প্রচ্ছদঃ মেহেদি হাসান প্রকাশকালঃ অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭ প্রকাশনীঃ বর্ষাদুপুর প্রকাশনী পৃষ্ঠাঃ ১১২ মূদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা লেখক পরিচিতিঃ লেখকের নাম কিঙ্কর আহসান। তার সম্পর্কে এক কথায় বলতে গেলে তার বুবুর কাছ থেকে শোনা কথাটাই বলতে হবে, ‘মাটির মানুষ ছেলেটা তবুও আকাশে ডানা মেলে ওড়ার আজন্ম সাধ তার।’লেখকের জন্মস্থান বা বেড়ে ওঠা সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। তবে তিনি লেখালেখির পাশাপাশি অনেক সৃষ্টিশীল কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। ‘পাতার নৌকা’, ‘ক্রিং ক্রিং’ ও ‘জলপরানি’ টেলিফিল্মের কাজ করে হয়েছেন প্রশংসিত। ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ টিভি শো’র সহকারী স্ক্রিপ্ট রাইটারের কাজ করেছেন। এছাড়া ‘মার্কস অলরাউন্ডার’, ‘হাসতে মানা’, ‘হান্ডসাম দি আলটিমেট ম্যান পাওয়ার্ড বাই বাংলাদেশ নেভী’ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সুপার লীগ-গ্রান্ড লোগো আনভেইলিং’র প্রধান স্ক্রিপ্ট রাইটার ছিলেন। তাছাড়া তার আরো অনেক যোগ্যতা আছে। লেখক হিসেবে তিনি এখন পর্যন্ত ৭টি বইয়ের অধিকারী। সার-সংক্ষেপঃ মধ্যবিত্ত উপন্যাসটি উত্তম পুরুষে লেখা। একজন গল্পকথক পুরো উপন্যাসটি বর্ণনা করেছেন। উপন্যাসে গল্পকথকের নাম উল্লেখ করা নেই। উপন্যাসটির গল্প এগিয়েছে গল্পকথকের অসুস্থ মা’কে ঘীরে। এখানে দেখা যায়, গল্পকথক তার পরিবারসহ কোলকাতায় আসেন তার মায়ের চিকিৎসা করাতে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে তিনি। তাই জীবনের সর্বস্ব দিয়ে তারা আসেন তার মায়ের চিকিৎসা করতে। আর সেখানেই দৈনন্দিন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ভেসে একদল মধ্যবিত্ত জীবনের কাহিনী! পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ “কোলাহলের কারাগারে- দেশলাই বাকসো, মুঠো ভরা কুয়াশা, মোহর জমাচ্ছো?” সুপ্রিয় পাঠক, আপনাকে যদি কেউ ১ টা মিষ্টি খাইয়ে বলে, বলুন তো স্বাদ কেমন? আপনি কি বলবেন? মিষ্টি? কিন্তু মিষ্টি তো মিষ্টি হবেই। মিষ্টির স্বাদ মিষ্টি বললে তো আসল অনুভূতিটা আপনি প্রকাশ করতে পারলেন না। তাহলে কি বলবেন? আসলে কিছুই বলার নেই। একটি মিষ্টির স্বাদ কেমন তা কখনো বলে বোঝানো সম্ভব না। শুধুমাত্র চোখ বন্ধ করে আরামে স্বাদটা অনুভব করা যায়। আলোচ্য মধ্যবিত্তের গল্পটা ঠিক সেই মিষ্টির মত। স্বাদটা বলে বোঝানো যায় না, শুধুমাত্র অনুভব করা যায়। লেখক কিঙ্কর আহসানের বই এই প্রথমবার পড়লাম। চমৎকার লেখনী। কিছুটা ভিন্নতরও। ছোট ছোট বাক্য ও ঘটনার মধ্য দিয়ে লেখক অনেক কথা বলতে পারেন। তাছাড়া একটি দৃশ্য নিয়ে বেশি ত্যানাও পেচাতে দেখিনি তাকে। বাহুল্য বর্জিত লেখা। বাস্তবতার ছোঁয়াও ছিল বেশ উল্লেখ করার মত। তবে লেখক গল্পের নায়ককে সহনশীল করতে গিয়ে কিছু কিছু জায়গায় অনুভূতিহীন আবার কিছু জায়াগায় কিছূটা ছেলেমানুষই করিয়েছেন বলে মনে হয়েছে আমার। গল্পের ছোট ছোট কিছু কথা ভালো লেগেছে। ঘটনার প্রবাহের মাঝে মাঝে লেখক মধ্যবিত্তদের কিছু দৈনন্দিন দিকও তুলে ধরেছেন। তাদের জীবন ধরণ, চিন্তা চেতনা, অভ্যাস ইত্যাদি দিক খুব অল্প কথায় বেশ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক। কিন্তু এত কিছুর পরেও কিছু জায়গায় চোখে লেগেছে... গল্পের প্লটটা তৈরী হয়েছে কোলকাতাকে ঘীরে। ব্যাপারটা আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে নি। আমাদের দেশে কি মধ্যবিত্ত জীবনসংগ্রাম দেখা যায় না? গল্পের শেষে “বুনো” চরিত্রের সাথে গল্প কথকের একটি সম্পর্কের কথা উল্লেখ আছে। এবং সেখানে লেখাও আছে, যে গল্প কথক কিছুটা অপরাধবোধে ভুগছেন। অথচ গোটা উপন্যাসে সেরকম কোন ঘটনার উল্লেখ নেই। শেষের দিকটা তাই স্পষ্ট হয়নি আমার কাছে। বইয়ে বানান ও ছাপার ভূল ছিল বেশ চোখে পড়ার মত। “কোঠারি হাসপাতাল” কোথাও হয়েছে “কোটারি হাসপাতাল”, অপুদা হয়েছে অপু ভাই ইত্যাদি। এছাড়া বইয়ের অন্য সব দিকই প্রশংসা করার মত। বিশেষ করে প্রচ্ছদ ও অলংকরণ। বইয়ের প্রচ্ছদের ও ভেতরের প্রতি অধ্যায়ের শুরুর ছবি বেশ ভালো লেগেছে। তার উপর আরও মধু যোগ করেছে প্রতি অধ্যায়ের শুরুতে লেখা ২ লাইনের পংক্তি। লেখক ও প্রচ্ছদ শিল্পীকে সেজন্য জানাই বিশেষ ধন্যবাদ। সবশেষে তাই বলতে চাই, বইটি পড়ে দেখুন। বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা। কথা দিচ্ছি, এক অদ্ভুত আয়না দেখতে পাবেন, যেখানে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে আপনার নিজেরই প্রতিচ্ছবি! প্রিয় উক্তিঃ -“মধ্যবিত্ত ছেলেদের এমন হয়। তারা ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পায়। বিদেশ তাদের কাছে অনেক দূর, ভয়ের আর অজানার... তারা তুচ্ছ জিনিসের প্রেমে পড়ে। নিজের ঘর, নিজের বাড়ি এইসব অনেক জরুরি বিষয় হয়ে ওঠে!” - “বাটা মধ্যবিত্তদের জুতো। এই জুতোর প্রতি মধ্যবিত্তদের এক ধরনের মোহ কাজ করে। ডিজাইন যাই হোক না কেন টেকে বেশিদিন। লং লাস্টিং বিষয়টাই মধ্যবিত্তদের জন্য সবচেয়ে জরুরী!” রেটিংঃ ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
'মধ্যবিত্ত' আমাদের গল্প। এ গল্প বারবার মনে করার, ভালবাসার, চোখের জলে ভেজার।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ সুন্দর প্রচ্ছদের লেখাটা আমি তিনবার করে পড়বার পর 'মধ্যবিত্ত' উপন্যাস পড়া শুরু করেছিলাম। * রাত। বাইরে চাঁদ উঠেছে মুগ্ধ হয়ে মরে যাবার ইচ্ছা জাগার মতন চাঁদ।আমার নানুর ভাত খাবার থালার মতন চাঁদটা। অনেক বড়। অনেকটা বড়। মাটির পৃথিবীর কাছাকাছি খুব। লেখকের লেখায় এই দিয়ে মুগ্ধতা শুরু। নকুলদানা,কলিজা সিঙারা সাথে নিজাম চাচার চা,সাইকেলে করে শিকারপুরের চড়ুইভাতি আমার মনে উপন্যাসের নায়কের জায়গা নেওয়ার ইচ্ছা জাগিয়েছে।মনে হচ্ছিল ইশ!! আমি যদি ঐ জায়গায় থাকতে পারতাম। ইলিশ মাছের ডিম,কলমি শাক,জলপাই,আচারের তেল,ঘন ডাল মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন মায়ের রান্না করা এসব আমার মায়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। একজন মধ্যবিত্ত ছেলের স্বাভাবিক জীবনে বাটার জুতো প্রিয়তা,ব্যাংকে লাইন দাঁড়ানো এগুলোর মধ্যেও নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। "আমার মাকে,জীবনের কোনো যুক্তি দিয়ে বাঁচতে বাঁধতে চাই না,আমার জীবনের সবচেয়ে জরুরি মা।মাকে নিয়ে কোনো হেলাফেলা,কোন পরীক্ষা,কোনো সূত্রে আমি যেতে রাজি নই"- ভালবাসা জুগিয়েছে মনের মধ্যে,কথাটা। * মধ্যবিত্তের ছেলেদের ভালো থাকার ওষুধ একটাই। ইচ্ছেটা ভূলে থাকা।ভূলে থাকলেই ভালো থাকা যায়। *নষ্ট শহরে চায়ের কাপের ধোঁয়া না হয়ে বেঁচে থাকার স্বাদ পেতে পান্তার সাথে সালুন হতে চেয়েছিলাম। আমার হয়নি। হলোনা। যাওয়ার কথা ছিল অরণ্যে। হওয়ার কথা ছিল সুতানালি সাপ,বুনো হনুমান,চিত্রা হরিণ কিংবা ভেজা ঘড়িয়াল। আমার এমন হয়নি। হলোনা। লেখকের বর্ণনা করা এমন অসম্ভব সুন্দর কথাগুলি আমাকে এক অতি সুন্দর ঘোরের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছে। পঁচাত্তর নম্বর পৃষ্ঠায় মাহবুবার টেলিফোন আমাকে 'ভালোবাসা' শব্দ শুনিয়েছে। আহা! ভালবাসা। অপু,মামা,রুবি,সন্দীপ মুখার্জি,মাহবুবা,বুনো সবাই অনেক ভালবাসার চরিত্র। অপুদার আবির্ভাব যেন দুঃখের সময় এক ভাইয়ের কাজ করেছে। সন্দীপ মুখার্জির জন্য ভালবাসা। মামা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সবটা সামলে রেখেছিলেন। রুবি সবচেয়ে সুন্দর,সবচেয়ে নিষ্পাপ।ছোট মেয়েটার জন্য মায়া হয়। বাবা,বুনো,আকাশ মামা কাজগুলো ঠিক করেনি। একদম ঠিক করেনি। আফসোস। মা যেন হাসপাতালের বেডে থেকেও সবচেয়ে ভালবাসার। * কালাই রুটি দরকার। মাষকলাই আর চাল দিয়ে তৈরি রুটি। সাথে থাকবে বেগুন ভর্তা,কাঁচা মরিচের ভর্তা আর ধনে পাতার রস। মা একটা কালাই রুটি খেয়ে শেষ করতে পারেন না। বাকিটা আমাকে খেতে হবে।তিনি বলেছিলেন,"মরার আগে আমার পাশে থাকবি কালাই রুটি নিয়ে। বানেশ্বর দিয়ে রাজশাহী যাওয়ার পথে খাওয়া হইল একবার। কি স্বাদ!" *মা বলেছে,"আমারে গ্রামে মাটি দিস। কবরের পাশে গাছ লাগাবি। ছায়া-ছায়া,ঠান্ডা থাকবে।আমার গরম সহ্য হয়না বাবা।" চোখ জল চলে আসল এই দুটো পড়ার পর। মা,মা ও মা। মাগো, ওমা। ডাক হয়তো থেমে যাবে,মাহবুবার সাথে কীর্তনখোলার পাড়ে চওমিন খাওয়া হবে না,রুবি হয়তো চকলেট খাওয়া ছেড়ে দেবে,শিকারপুরে আর হয়তো চড়ুইভাতি হবে না। 'মধ্যবিত্ত' আমাদের গল্প। আমাদের নিজেদের। এ গল্প ভূলবার নয়,বারবার মনে করার,বারবার ভালবাসার,বারবার চোখের জলে ভেজার। 'মধ্যবিত্ত' ভালো থাক। ভালবাসা রইল।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া কিঙ্কর আহসানের প্রথম বই। লেখার ধরণ, বাক্যের গঠন অন্যরকম, কিন্তু আকর্ষণীয়। দুই বাংলার সমাজই উঠে এসেছে এই লেখায়। তবে পড়তে পড়তে মনে হয়েছে, জীবন সম্পর্কে খুব স্বচ্ছ একটা ধারণা আছে লেখকের। নাহলে খুব সূক্ষ্ম যেসব ডিটেইলের বিবরণ আছে - ওগুলো সম্ভব হতো না। মন খারাপ হয়েছিল লেখাটা পড়ে। একে অবশ্য লেখকের সার্থকতাই বলা যায়!!
Was this review helpful to you?
or
মধ্যবিত্ত-বুক মিভিউ জানতাম-তাই কষ্ট হয়নি। কষ্ট হয়েছে সেই মধ্যবিত্তের জন্য, নিজের জন্য। জলেশ্বরী তলা, বৃষ্টিটা সবে শেষ হল। প্রকৃতি, বাতাস এখনো বৃষ্টি বৃষ্টি কথা বলছে। পাশ দিয়ে ড্রেনের হালকা পানি, দোকানের লাইটগুলো তাতে কেপে কেপে উঠছে। গাড়ি ঘোড়া কম। তুমি আর আমি। হাতে হাত । দূরে মন্দির। তুমি বললে জানো-আজ মাকে আমাদের কথা বলেছি। আমি হাত ছেড়ে দিয়ে সামনে হাটতে থাকলাম। আমি মধ্যবিত্ত --বইয়ের চোখ তো আমি। ডাক্তার হিসেবে সমসময় সেই ব্যস্ত চরিত্র আমি। আমি স্বজনদের লাল চোখ দেখি। মন খারাপ করে বলি-দেখেন অন্য কোথাও কিছু পারেন কিনা। তাই বইয়ের চোখ হিসেবে অন্য দিকটাও দেখা হল। আগে লেখকের দুইটা বই পড়েছি। তেমন গোছালো ছিল না। ফর্মা হিসেবে বই মনে হচ্ছিল। এবারে এসে তাই একদম মন মত মধ্যবিত্ত। সেই হুমায়ুনের পেন্সিলে আকা-বাসার ছাদ, ছাদের উপর চেনা পরিচিত মেঘের টুকরো। সুখের দিনগুলো-মায়ের বকা-বাবার হাসি। আবার মোমবাতি নিভে গেলে-সব এলোমেলো। --মা বাবা, রুবি, মামা আর আমি। এই ঘর, বাড়ি-ঘরকুনো বইয়ের ঘরকুনো আমি। ছোট ছোট স্বপ্ন। কাউকে ভেবে বেচে থাকা। লেখক ছোট ছোট বাক্যে বায়োস্কোপের সেই ছোট ছোট খোপ বানিয়ে নিয়েছেন। ঘুরতে ঘুরতে চোখের সামনে চলন্ত হয়ে উঠে। --ঘরকুনো আমি। আমি সিনেমার নায়ক নই। আমি সিনেমায় রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া মানুষ মাত্র। মনে পড়ে তোমার। কাউকে একবার বলেছিলাম-ভালোবাসি। সে হাসতে হাসতে এক আঙ্গুল দিয়ে আরেক হাতের আঙ্গুল খটকাতে খটকাতে বলেছিল-কই ভালোবাসার তো কোন লক্ষন দেখিনা। তুমি তো সিরিয়াস না। কোন দিন তো কোথাও খেতে ডাকলে না। সেদিন উত্তর জানা ছিল না। তার উত্তর আজ পেয়ে গিয়েছি। “জীবন তো এখন ধার করা। আমরা মুগ্ধ হবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। সব শিখিয়ে পড়িয়ে দেয়্ টিভি সিনেমা নাটক, বিজ্ঞাপন। কিভাবে ভালোবাসি বলতে হবে, কিভাবে বুলাতে হবে মমতার পরশ, কিভাবে দুঃখ পেতে হবে, আনন্দের সময়ে দু-হাত ছড়িয়ে দিতে হবে। আকাশে সব, সব আমরা শিখে নিচ্ছি, মেকি লাগে-পরিমিত সব” --ভালোই হল। রিলেশন শিপ স্ট্যাটাস টা আমার নাম দিয়ে তোকে পরিবর্তন করতে হয়নি। আপাতত প্রকাশককে দ্রুত ও দুর্বল বাধাইয়ের জন্য বকা দেয়া ছাড়া –লেখকে কোন দেবার মত দোষ পাচ্ছিনা। সময়ে সময়ে লেখক আরো সুন্দর লেখা দিবেন আশা করি। পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের প্লট ছিলো একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঘিরে। সেখানে কহিনী বর্ণনার ক্ষেত্রে লেখক আরেকটু ভিন্নতা আনতে পারলে ভালো হতো। মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন শুধুমাত্র হাসপাতালকে ঘিরে নয়। তাদের কর্মজীবন শিক্ষা, সমাজিক অবস্থান সবকিছু বেশ বৈচিত্র্যময়। সেক্ষেত্রে উপন্যাসের কাহিনীও বৈচিত্র্যের দাবিদার। লেখকের বর্ণনাভঙ্গি ভালো। বর্ণনাহীনতা যেমন উপন্যাসকে নির্জীব করে তোলে। তেমনি বর্ণনার অাধিক্যতা পাঠকে বিরক্ত করে তোলে। এই উপন্যাসে দ্বিতীয়টা বেশ লক্ষণীয়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে পরিচ্ছেদ গুলোর হুট করে শেষ হয়ে যাওয়া এবং পরবর্তী পরিচ্ছদ খাপছাড়াভাবে শুরু হওয়া। তাছাড়া পূর্ববর্তী পরিচ্ছেদের সাথে পরবর্তী পরিচ্ছেদের যোগসূত্র খুঁজতে পাঠককে পরবর্তী পরিচ্ছেদের দু-তিন পৃষ্ঠা পড়তে হবে যা খুবই বিরক্তিকর। যেমন; এক পরিচ্ছেদের শেষে বইয়ের প্রধান চরিত্র আকাশ নামক একজনকে দেখে ধরতে দৌড় দিলো। এখানেই পরিচ্ছেদ শেষ। পরবর্তী পরিচ্ছদ শুরু হয় প্রধান চরিত্র হয়তো মুড়ি চাবাচ্ছে নয়তো হাসপাতালে বসে আছে এসব বর্ণনা। যেহেতু একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে তাই টুইস্টের আধিক্যতা না থাকাই স্বাভাবিক। গল্পের প্রয়োজনে যেসব চরিত্র এসেছিলো। সেগুলো হঠাৎই এসে আবার হঠাৎই চলে যায়। তাছাড়া চরিত্রগুলোর মধ্যে আলাদা কোন বিশেষত্ব ছিলো না। মাহবুবা নামের এক চরিত্র সবসময় অদৃশ্য থেকে গিয়েছে। গল্পের বর্ণনায় তিনি প্রধান চরিত্রের ভালোবাসার মানুষ ছিলেন। অথচ কোন পরিণতি না দিয়েই উপন্যাস শেষ হয়ে যাওয়া বিরক্তিকর বটে। উপন্যাসে কিছু বাক্য গঠনকে বিশেষত্ব আনতে গিয়ে গোলমাল বেঁধে গিয়েছে। যেমন: "খুশি দেখলে কাউকে তার মন ভালো হয়ে যায়।" এটা এভাবে হলে সুন্দর দেখাতো, " কাউকে খুশি দেখলে তার মন ভালো হয়ে যায়।" যেমন আরেক জয়গায় আছে, " রুপিতে মিললেও ফ্যামিলি পাওয়া যাচ্ছিলো না ভালো।" এটা এভাবে হলে ভালো হতো, " রুপিতে মিললেও ভালো ফ্যামিলি পাওয়া যাচ্ছিলো না।" এরকম আরো কিছু বাক্য আছে। এখানে দু- একটা দেখালাম। বইয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বানান সমস্যা এবং টাইপিং মিস্টেক।