User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
লেখক আশির আহমেদের জাপান কাহিনী ৩য় খণ্ড এক বসায় শেষ করলা। বেশ ভালো। পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম তার লেখা। টেকনোলোজি, জাপানের স্বাস্থ্য, জাপানে দুর্ঘটনা ইত্যাদি থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শিখার আছে।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটা বই
Was this review helpful to you?
or
বই পড়েও যে ভ্রমণের এত গভীর স্বাদ পাওয়া যায়...জাপান কাহিনি না পড়লে বুঝতেই পারতাম না...লেখকের জন্য অনেক অনেক দোয়া..
Was this review helpful to you?
or
:)
Was this review helpful to you?
or
হয়তো একদিন আমার দেশেও............... পড়ছিলাম ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত #আশির_আহমেদ এর #জাপান_কাহিনি ৩য় খন্ড। আগের দুই খন্ড থেকে এই খন্ডটা বেশি ভালো ছিল। যারা সব খণ্ড কিনতে ইচ্ছুক না তারা শুধু এই খন্ডটি কিনে পড়তে পারেন। ভালো লাগবে গ্যারান্টি।বইটি পড়তে গিয়ে বার বার আফসোস হচ্ছিলো আমাদের দেশ কেন এমন না? কেন এমন করা হয়না? ২য় বিশ্বযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল জাপান। সেই জাপান আজ কত উন্নত! কিন্তু আমাদের দেশ! কেন পিছিয়ে আছে? জাপান কি করে এতোটা উন্নত দেশ হলো সেই গল্পই ছিল বইটির মূল। চলুন দেখা যাক কি জানলাম বইটি পড়ে আর আপনিও কি জানতে পারবেন। সূচি পত্রের ১ম গল্প জাপানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কি করে শুরু হলো সেই গল্প দিয়ে। ২২ ফ্রেব্রুয়ারি জাপানে বিড়াল দিবস! তারপরে গল্প লেখকের জাপানি ভাষা শিক্ষকের। যিনি পরবর্তীতে লেখকের ছাত্র হয়ে যায় আর লেখক হয়ে যায় বাংলা ভাষা শিক্ষক। সে এক মজার গল্প। সাথে হৃদয়বিদারক ও। তারপরে গল্প জাপানি একান্নবর্তী পরিবার নিয়ে। জাপানের নাগরিক দাবি, চাওয়া, পাওয়া তাদের ক্ষমতার গল্প। আমাদের দেশে নাগরীক ক্ষমতা না থাকলেও জাপান সে ক্ষমতা অনেক। সমস্যা ভুলের জন্য তারা সরকার কে চেয়ার থেকে নামিয়ে দিতে পারে। জাপনে নিরাপদ সড়ক চাই এর মতো আন্দোলন হয়না। সেখানে ছাত্রদের উপর গুলি করাও হয়না! আপনি জানেন জাপান পৃথিবীরর পরিষ্কার দেশ গুলো একটা? এক সময় জাপানও আমাদের দেশের মতোই নোংরা ছিল। যেখানে সেখানে তারা ময়লা ফেলত। দেশের সরকার কি এমন করল যে পুরো দেশই পরিষ্কার হয়ে গেলে? বুদ্ধি গুলো যদি আমাদের দেশে কাজে লাগানো হতো কি এমন হতো ? জাপানে পরিক্ষা হল গুলো কেমন হয়? আমাদের দেশে তো হলে প্রশ্ন পত্র পেয়ে ছাত্র সেলফি তুলে সেই ছবি ফেসবুকে দিয়ে ক্যাপশন দেয় “বন্ধুরা প্রশ্ন হাতে পেলাম। সবাই দোয়া করবেন যেন পরিক্ষা ভালো হয়।” কিন্তু জাপানে টেবিল থেকে পেন্সিল পরে গেলে সেটা উঠানোর নিয়ম নেই। এতো কঠিন সব নিয়ম কানুন যে আপনি হা হয়ে যাবেন পড়তে গিয়ে। আমার মনে হয়েছিল ধুর এতো নিয়মকানুন ফালতু হুদাই। দেখাদেখি করে পরিক্ষা দেওয়া মধ্যে মজাই আলাদা। জানেন জাপানে বছরে একবার সকল নাগরিককে বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরিক্ষা করতে হয় ? জাপানে একটা দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় বার কে নেয়? আমাদের দেশে তো বিরোধী দলের নেতাদের দোষ দেয়। জাপানিদের বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা কি? জাপানে কি তেলাপোকা আছে ? জাপানে কি সন্ত্রাসী আছে? তাদের কি করে দমন করা হয়? বিদেশে বসে প্রিয় জনের মৃত্যু সংবাদ শুনলে কেমন লাগে ? এই লেখা পড়তে গিয়ে আমার চোখে পানি চলে এসেছিল প্রায়। প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য আছে রোমান্স করার অসাধারণ কিছু জায়গা। কি করে যাবেন? কি কি করবেন? সব কিছু লেখক লিখে দিছেন সেখানে। জাপানে মতো আমাদের দেশে না কেন? কেন তাদের মতো কিছু নেই আমাদের? একদিন আমারদের ও হবে! সেটা কবে? এমন মন খারাপ নিয়ে শেষ করতে দেন নি বইটি লেখক। আমাদের কি আছে তা নিয়ে গল্প করলেন। আমাদের গর্ব, আমাদের রত্ন ড. ইউনুস। চেনেন তাকে ? বর্তমানে আমাদের দেশে খুব সামন্য মানুষই চিনেন। কিন্তু দেশের বাইরে তাকে চেনেন অনেক মানুষ। জাপানে তিনি জনপ্রিয় একজন। প্রতি বছর তিনি ৫ দিনের জন্য জাপান যান। তার জন্য এক বছর থেকে চলে নানা প্রস্তুতি! বিশ্বাস হয় ? বইটি শেষ করে গর্বের সাথে বলতে পারলাম আমাদের দেশেও কিছু আছে। পাবি তোরা ড. ইউনুসের মতো কাউকে? পাবি না। ইউনুস একটাই জন্মায়। এবং সেটা আমাদের দেশে জন্ম নিয়ে ফেলেছে। আমার রেটিং ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
‘জাপান কাহিনী- ৩য় খন্ড’ বইটির লেখক আশির আহমেদ । আশির আহমেদ জাপানের কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক । গবেষণা করছেন তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে । গবেষণাগার খুলেছেন বাংলাদেশে। সামাজিক সমস্যা সমাধানের গবেষণাগার গ্রামীণ কমিউনিকেসান্স এর গ্লোবাল কমিউনিকেশন সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। জন্ম সিলেটে হলেও শৈশব আর প্রাইমারি স্কুল কেটেছে মতলব থানার এখলাছপুর গ্রামে । তারপর কুমিল্লা জিলা স্কুল আর ঢাকা কলেজ। বুয়েটে অল্প কিছুদিন ক্লাস করার পর ১৯৮৮ সালের অক্টোবরে জাপান শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বৃত্তি নিয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট কলেজ অব টেকনোলজি গ্রুপের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে জাপানে আসেন । জাপানের ৪৭ টি প্রিফেকচারের ৪৭টিই চষে বেড়িয়েছেন, বানিয়েছেন হাজারো জাপানি বন্ধু। দীর্ঘ ২৮ বছরের জাপানের অভিজ্ঞতা বাংলাভাষীদের জন্য লিখে যাচ্ছেন আশির ঢঙের জাপান কাহিনি ।জাপান কাহিনী বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রচ্ছদ করেছেন তানভীর ইমন । লেখক যখন জাপানে পড়তে গিয়েছিলেন তিনি তখন ছাত্র। পুরো আলাদা একটা সংস্কৃতিক থেকে সেখানে গিয়ে সে দেশের নানা কিছু দেথে ও স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছেন। বিচিত্র বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত ঢঙে লেখা এই বইয়ের ছোট ছোট রচনাগুলো তার সেই অবাক হওয়ার গল্প।দেশটিকে সে টুরিস্টদের মতো বাইরে থেকে দেথেননি, দেখেছেন একজন বিদেশি হিসেবে যে বহুদিন সে দেশে থাকতে থাকতে নানা বাস্তব ও মানবিক অভিজ্ঞতায় ভরে উঠেছে। এ বই তারই উষ্ণ সজীব বিবরণ। এজন্যে বইটিতে জাপানের অন্তর্জীবনের খবর মেলে। জাপান সম্পর্কে অসাধারন এ বইটি সকলকেই মুগ্ধ করবে । পড়ার সময়ে পাঠকদের মনে হবে তারা জাপান এ আছেন , ঘুড়ে বেরাচ্ছেন জাপান এর বিভিন্ন স্থান । অসাধারন এ বইটি সকলের নিকটই দারুন লাগবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায় ।