User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
লেখক এম টি উল্লাহ তার মা আমেনা বেগমের মুখে শোনা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। আমেনা হোসেনের মুখেই শুনি তা, ’ তারিক ঊল্যাহ আমার কথাগুলোকে বইয়ে বেঁধে ফেলবে এটা কখনো চিন্তা করিনি। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যে অশান্তি ও বিপদের মধ্য দিয়ে আমরা সময় পার করেছি তা যতই বলি বোঝানো যাবে না ৷ সম্ভবও না। জ্যান্ত ভেসে ওঠে প্রতিনিয়ত। যুদ্ধ কী জিনিস তা তখন যারা বেঁচে ছিল তারা বুঝতে পারবে। ‘ ঘটনার শুরুতে বন্যার তান্ডব লীলার চিত্র। প্রতিটি বাড়িতে লাশের বহর। এক অসহায়ত্বের লীলা খেলা। আমেনা বেগমের তখন নতুন সংসার। ছাত্র হওয়ায় স্বামীর রুজিও নাই। তাঁর আব্বা লাহোর থেকে ট্রেনিং করে আসছেন তিন বছর হলো। তিনি ঢাকা থেকে ছুটে এলেন বন্যার পরদিনই ৷ এসে দেখলেন আমেনা বেগম ও পরিবারের সবাই খেজুরের পাতা বিছিয়ে পুরনো মশারির কাপড় পায়ে দিয়ে সবাই জড়ো হয়ে আছে। অসুস্থ শরীর নিয়ে অনেক কষ্টে বন্যার তিন দিন পরই সবাই ঢাকায় এসে উঠলেন তাঁর আব্বার ক্যান্টনমেন্টের বাসায় ৷ জয়দেবপুর ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে আশঙ্কা ছিল মনে। তাঁরা মনে করতেন ঢাকা মানে ইট-পাথরের শহর ৷ অপরিচিত মানুষ সবাই ৷ এই রকম পরিবেশে কীভাবে বাঁচা যায় ৷ কিন্তু এসে ভুল ভাঙল। ক্যান্টনমেন্টের পরিবেশ বাড়ির মতোই। গাছ-গাছালি, মাঠ সবকিছু কী সুন্দর করে সাজ্যানা ৷ ক্যারূম্পর অফিসারদের বউরা কিংবা পরিবারের মহিলারা গ্রামের মতো একসাথে হয়ে গল্প করে কিংবা কাঁথায় ফুল তুলে আর বিভিন্ন শখের কাজ করে সময় পার করত ৷ কিন্তু জীবন ঠিক এরকম ছবির মত থাকলো না। এসে পড়লো সেই দিন। ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ যারা জানতে চান তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য একটি বই এটি।