User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনেক বেশি সুন্দর একটা বই
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
খুবই সাধারণ ভাষায় লেখা অসাধারণ উপন্যাস আকাশ জোড়া মেঘ। পুরো বই জুড়ে একটা অবসাদ, ভালো লাগা, মন খারাপ লুকিয়ে আছে। চরিত্র গুলো যেনো নিজের মতো করেই এগিয়ে যাচ্ছে অনিশ্চয়তা ও রহস্যের দিকে ।
Was this review helpful to you?
or
আমার মাঝে মাঝে হুমায়ুন আহমেদ এর বই পড়ে ভীষণ অভিমান হয় সে কি কোনো ভালো সমাপ্তি দিতে জানে না।
Was this review helpful to you?
or
খুবই সাধারন একটি পারিবারিক এবং প্রেমের গল্প। মোটামুটি ভালই লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
❝পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই।❞ ফখরুদ্দিন সাহেবের মেয়ে অপালা। বিশ-একুশ বছর বয়েসী তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। বাবার অতি আদরের মেয়ে। রুম ডেকোর করতে গিয়ে পরিচয় হয় উপন্যাসের নায়ক ফিরোজের সাথে। ফিরোজ অপালার প্রতি এক বিশেষ টান অনুভব করে। কিন্তু ফিরোজ জানে এ সম্পর্ক অসম। ধনীর দুলালী অপালা। আর অপালাকে সে বুঝতে পারে না। তার প্রতি এক উদাসীনতা দেখায় অপালা। ফিরোজ ভবঘুরে ধরনের এক মানুষ। সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলা শিল্প হলে ফিরোজ তার শিল্পী। কী দারুণ ভাবেই না সে কথার পিঠে মিথ্যে গল্প ফেঁদে বসে। সেই গল্প ফেঁদেই বাড়িওয়ালা হাফিজের মেয়ের বিয়ের মিথ্যে সম্বন্ধ করার কথা বলে। কিন্তু হাফিজের মেয়ে লতিফার ছবি দেখে তার-ই দিলে লাড্ডু ফুটতে থাকে। একটা মেয়ে এত সুন্দর হয়! অপালাকে দেখার তীব্র বাসনায় নানান ছুতোয় তার বাড়ি যাওয়া আবার লতিফার প্রতি টান অনুভব এক দোলাচলে ঘুরতে থাকে ফিরোজ। ফখরুদ্দিন সাহেব বিশাল বড়লোক। টাকা দিয়ে সব কিছু কিনে নেয়া যায় এই মোটোতে বিশ্বাসী। তিনি কি খলনায়ক, না মেয়ের প্রতি অপার ভালোবাসা নিয়ে থাকা একজন বাবা? ফখরুদ্দিন সাহেবের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে এক বৃদ্ধ লোক মেয়ের বিয়ের দাওয়াত নিয়ে আসেন। অপালা সেই দাওয়াত গ্রহণ করে। এরপরই একদিন তাদের বাসায় বিয়ের আগাম উপহার দিতে গিয়ে অপালার জীবনটাই বদলে যায়। অপালা ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে পাওয়া সেই ডায়েরিতে কলমের খোঁচায় গল্প লিখে যায়। গল্পগুলো অদ্ভুত, গল্পগুলোর কোনো গভীর অর্থ আছে কি? ফিরোজের সাথে অপালা না লতিফা, কার পরিণয় হবে? পাঠ প্রতিক্রিয়া: হুমায়ূন আহমেদের লেখার সব থেকে উপভোগের ব্যাপার হলো গতি। গল্প বলার ধরন এমন যে বই একবার শুরু করলে কীভাবে শেষ হয় যায় বোঝাই যায় না। আর শেষ হবার পর ফাঁকা লাগে। ❝আকাশ জোড়া মেঘ❞ ১০৩ পাতার এক ছোট্ট উপন্যাস। বইতে আশির দশকের মানুষের সামাজিক জীবনের খন্ডচিত্র তুলে ধরেছেন লেখক। চিঠি, ল্যান্ডফোনের দিনগুলোর মানুষের জীবনযাত্রা ছিল অন্যরকম। অপালা, ফিরোজ আর লতিফার গল্পটাকে ত্রিভুজ প্রেম ধরা যায় কি না সেটা পাঠক চিন্তা করবে। অপালার চরিত্রটা আমার খুব ভালো লেগেছে। কিছু জিনিস জেনেও স্বাভাবিক থাকা, ভালো লাগার প্রতি নির্লিপ্ত থাকা অপালা চরিত্রকে এক ধরনের সৌন্দর্য দিয়েছে। বাবার প্রতি অপালার ভালোবাসা আর বাবাকে নিয়ে গল্প লেখা ব্যাপারগুলো খুবই দারুণ ছিল। ফখরুদ্দিন সাহেবকে ঠিক কোন ধরনের মানুষ বলা যায় সেটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক থাকতে পারে। বিশাল ব্যবসা সামনালোর যে দক্ষতা, মালিক হিসেবে কর্মচারীদের এবং ব্যবসার সমস্যা সমাধানের কৌশল তাকে কিছুটা ভিলেন ভাব এনে দিলেও পরক্ষণেই মেয়ের প্রতি তার ভালোবাসা, মেয়ের কিছু হলে এই কঠিন মানুষের চোখের জল তাকে ভালোবাসতেই বাধ্য করে। একজন মানুষের কতো রূপ! ফিরোজকে লেখক ভবঘুরে হিসেবে দেখিয়েছেন। তার মিথ্যা কথা বলার ধরন কখনও খুব মজা লাগছিল। আবার কিছু জায়গায় বেশ বিরক্ত লাগছিল। নায়ক হিসেবে খুব বেশি পছন্দ হয়নি। চড়ুই পাখির চা খাওয়ার ব্যাপারটা আমার অসাধারণ লেগেছে। সবমিলিয়ে সুখপাঠ্য একটি বই ❝আকাশ জোড়া মেঘ❞।
Was this review helpful to you?
or
khub vlo boi
Was this review helpful to you?
or
just amazing
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
সুপ্ত ভালোবাসার অসাধারণ একটি উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদ ?
Was this review helpful to you?
or
Best
Was this review helpful to you?
or
হাহাকার !!!! আমি এমনিতেও গুছিয়ে মনের ভাব লিখতে পারি না । দেখা যায় লিখতে চাই ১০ লাইন টাইপ করে কষ্টে সৃষ্টে ১টা শব্দ বের হয় -_- । বইটা আমি ঠিক যতবার পড়ি ভেতর অপলার জন্য একটা হাহাকার জমা হয় একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে । কোন চরিত্রের জন্য এমন মায়া জন্মানোটা, হাহাকার সৃষ্ট হয়াটা যদি সার্থকতা হয় তাহলে হুমায়ূন আহমেদ অসাধারন সার্থক এক লেখক। © Nu-Jahat-Jabin
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "আকাশ জোড়া মেঘ" আমি মনে করি লেখক হুমায়ূন আহমেদ এ বইটি তার সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে লিখেছেন এটি মনে করার পিছনে অবশ্যই কারণ আছে এ বইটি খুব নিখুঁত। যেকেউ এ বইটি পড়ে বইটির প্রেমে পড়ে যাবে। ফিরুজ ছেলে টার কথা বলি কি অসম্ভব বোকা কিন্তু তার মনটা অনেক বড়?
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃ আকাশ জোড়া মেঘ লেখকের নামঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃপ্রতীক প্রকাশনা সংস্থা মূল্যঃ ১৩২ টাকা মাত্র হুমায়ুন আহমেদ তার বর্ণনায় পাঠক ধরে রাখতে জানেন। এর প্রমাণ মিলেছে এ বইটিতে। আমাদের সমাজে এমনটা প্রায়শই ঘটে, আমারা জীবন টিকাতে সন্তানদের দূরে ঠেলে দেই, দিতে হয়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সে তা কখনোই জানতে পারে না। অপলা জানতে পেরেছিল।সাদামাটা গল্প।একমাত্র হুমায়ুন আহমেদই পারেন তার উপন্যাসের ভিলেন টাইপ চরিত্রকে পাঠকের ভালোবাসা উপহার দিতে। সেটা বাংলাদেশের পাঠক ও দর্শক খুব ভালোভাবেই জানেন সেই 'কোথাও কেউ নেই' এর বাকের ভাই এর চরিত্রের মাধ্যমে। তেমনি এই 'আকাশ জোড়া মেঘ' উপন্যাসের অপলার বাবাকেও একটা সময় আপনার দারুন লাগবে। লোকটা ঠিক ভিলেন না আবার ভিলেন ও বলা যায়। সাথে গলার কাছে কিছু একটা দলা বেধে থাকবে অপলার জন্য। চরিত্র সৃষ্টিতে হুমায়ুন আহমেদ একজন জাদুকর, কি যেন এক মায়ার জাদু ছরিয়ে দিতে পারেন তিনি অবলীলায়।আমার ভালো লাগার অন্যতম একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #অক্টোবর : ২১ বই : আকাশ জোড়া মেঘ লেখক : হুমায়ূন আগমেদ প্রকাশনী : প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা মূল্য : ১৫০ টাকা কাহিনী : বিশাল ধনাঢ্য পরিবারের একমাত্র মেয়ে অপালা। তবে সেই বিশাল বাড়িতে একাকীত্বের সঙ্গী সে । বাবা ফখরুদ্দীন সফল ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে বছরের বেশিরভাগ সময়ই দেশের বাইরে কাটান তিনি। অপালার মা হেলেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনি এখন লন্ডনের একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন। অপালাদের বাড়ির ইন্টিয়ার ডিজাইনিং এর কাজে ফিরোজ আসে তাদের বাসায়। ফিরোজ পেশায় হাউস ডেকোরেটর। সেখানেই তার সাথে অপালার প্রথম পরিচয় ঘটে। ফিরোজ কথায় কথায় মিথ্যা বলে। আপালা বুঝতে পারে, সে মিথ্যেবাদী। তবুও অকারনেই তার প্রেমে পড়ে যায় সে। ফিরোজের দৃষ্টিতে অপালা ভিষণ অহংকারী। কিন্তু তারপরও সে তার প্রতি অন্যরকম এক আকর্ষণ অনুভব করে সে। নানা বাহানায় বারবার ছুটে আসে অপালার কাছে। এর মধ্যেই ঘটে যায় আরেক ঘটনা। বাড়িওয়ালার বাড়ি ছাড়ার নোটিশ বাতিল করানোর জন্য সে এক মিথ্যার আশ্রয় নেয়। তারপর নিজেই জড়িয়ে যায় তার জালে। একাকীত্বের মধ্যে দিন কাটতে থাকে অপালার। এর মধ্যে একদিন তার বাবার অফিসের এক কর্মচারী আসে, তার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে। কোন এক অদ্ভূত কারণে অপালা নিজেই একটি উপহার নিয়ে হাজির হল হয় সেই দরিদ্র লোকটির বাড়ি। আর সেখানেই সে সন্ধান পায় এক ভয়াবহ সত্যের। মুহুর্তেই ওলটপালট হয়ে যায় তার জীবনের সব কিছু। পাঠ প্রতিক্রিয়া : আকাশ জোড়া মেঘ বইটির পরতে পরতে হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাসের চরিত্রগুলোর মনের আকাশের মেঘের ঘটঘটা কে দেখিয়েছেন। তাদের কষ্ট, অভিমান, ব্যাথাগুলো কে উন্মোচন করেছেন। অপালা চরিত্রটি তে আমি ভিষণ মুগ্ধ হয়েছি। কিন্তু ফিরোজ চরিত্রটি কেন যেন ভাল লাগেনি। অপালা নিজের সৌন্দর্যে একাকীই উদ্ভাসিত হয়েছে অনেক খানি। যারা পড়েননি, পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদ উচ্চবিত্তের ভোগবিলাসকে তুলে এনেছেন মধ্যবিত্ত পাঠকদের কাছে।এটাই তার অসাধারন জনপ্রিয়তার অন্যতম কারন বলা যায়।মানুষ যতোটা না নিজেদের কথা শুনতে চায় তারচেয়ে বেশি শুনতে চায় তাদের চেয়ে যারা ভালো আছে তাদের কথা।এভাবেই তিনি তার অসাধারন পর্যবেক্ষন ক্ষমতাকে ব্যবহার করেছেন লেখনীতে।তারই ফসল আকাশ জোড়া মেঘ উপন্যাস!
Was this review helpful to you?
or
good really
Was this review helpful to you?
or
This Book is very good..
Was this review helpful to you?
or
অপলা উপন্যাসের নায়িকা । প্রথম দিকে একটু কেমন লাগে যে শুরু টা ধরতে পারছি লাম না , তবে কাহিনী আগানোর পরে বুঝতে পারলাম কাহিনী তখন ভাল লেগেছে। ফখরুদ্দিন সাহেবের জীবনে অপলা কেমন তা থেকে মেয়ে দের প্রতি বাবা দের অসীম ভালবাসা তা কিছু টা অনুভব করতে পেরেছি । সবার কেমন লাগবে জানি না , আমার ভাল লেগেছে , সাধারণ গল্প কিন্তু অন্যরকম আর অসাধারন শেষের জন্য পড়ে দেখতে পারেন ।
Was this review helpful to you?
or
amar kace boita osadharon legece.
Was this review helpful to you?
or
Humaiyun Sir er আকাশ জোড়া মেঘ boi ti anek valo lagse...Asomvov sundor Valobashar Upoonnash... Five out of Five..................
Was this review helpful to you?
or
It’s a story of a trigonal love story between Opala, Firoz and Latifa. The story was narreted firoz as a very ordinery youth with a rich women opala. Also lotifa was a very beautiful girl, in whom firoz had a crush. The story runs with this this three cherecters. The story telling was always awesome by sir Humayun Ahmed. It will also able to meet the need of the readers i think. Happy reading.
Was this review helpful to you?
or
একমাত্র হুমায়ুন আহমেদই পারেন তার উপন্যাসের ভিলেন টাইপ চরিত্রকে পাঠকের ভালোবাসা উপহার দিতে। সেটা বাংলাদেশের পাঠক ও দর্শক খুব ভালোভাবেই জানেন সেই 'কোথাও কেউ নেই' এর বাকের ভাই এর চরিত্রের মাধ্যমে। তেমনি এই 'আকাশ জোড়া মেঘ' উপন্যাসের অপলার বাবাকেও একটা সময় আপনার দারুন লাগবে। লোকটা ঠিক ভিলেন না আবার ভিলেন ও বলা যায়। সাথে গলার কাছে কিছু একটা দলা বেধে থাকবে অপলার জন্য। চরিত্র সৃষ্টিতে হুমায়ুন আহমেদ একজন জাদুকর, কি যেন এক মায়ার জাদু ছরিয়ে দিতে পারেন তিনি অবলীলায়
Was this review helpful to you?
or
এই উপন্যাসের নায়িকা অপালা। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। অপালার বাবা ফখরুদ্দীন একজন ধনী ব্যক্তি। অপালার মা হেলেনা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য তিনি এখন লন্ডন আছেন। এই বাবা আর মা কে নিয়েই অপালার জগৎ। উপন্যাসের নায়ক ফিরোজ। ফিরোজ পেশায় একজন হাউস ডেকোরেটর। অপালার বাবাই ফিরোজকে তাদের ড্রইংরুমটা নতুন করে সাজানোর দায়িত্বটা দেয়। আর এই বাসাটা সাজাতে এসেই পরিচয় হয় অপালার সাথে। এই স্বল্প পরিচয় থেকেই দূর্বল হয়ে পড়ে ফিরোজ। আর তাই বিভিন্ন বাহানায় বিভিন্ন অজুহাতে ছুটে আসে অপালার কাছে। এদিকে ফিরোজের বাসা ভাড়া দিতে হবে। প্রচুর টাকা বাকি পড়ে আছে। বাড়িওয়ালা নোটিশও দিয়ে দিয়েছে বাড়ি ছাড়ার। বাড়িওয়ালার হাত থেকে বাচারঁ জন্যই মিথ্যে ফাদঁ তৈরী করে। আর সেই ফাদেঁ নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে ফিরোজ নিজেই। বাবা তার ব্যবসায়ের কাজে দেশের বাইরে, মা হসপিটালে- এই একাকিত্বের ভেতরই কেটে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু হটাৎই এক ঘটনায় উলটপালট হয়ে যায় অপালার জীবন। বাবার অফিসের এক দরিদ্র কর্মচারী তার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত নিয়ে আসে অপালাদের বাড়িতে। অপালা কি ভেবে যেন সেই বাড়িতে যায়। সেই লোকটির মেয়েদের সাথে কথা বলে, গল্প করে। জানতে পারে এক রহস্যজনক কাহিনী। আর এরপরই সবকিছু কেমন যেন হয়ে যায় অপালার কাছে। এরপর? কি হয় অপালার? আর কি এমন কথাই সে জানতে পারে যার কারণে অপালার সাজানো জীবনটাকে উলটপালট করে দেয়?
Was this review helpful to you?
or
প্রাচুর্য়ের পাহাড়ে বেড়ে উঠা উনিশ-কুড়ি বছরের তরুনী অপালা। বিশাল বাড়িতে নিঃসঙ্গ এক প্রাণী। বাবা ফখরুদ্দীন বিখ্যাত ব্যবসায়ী, ব্যবসার কাজে বছরের বেশিরভাগ সময়ই দেশের বাইরে কাটাতে হয়। অসুস্থ মা হেলেনা বেগম লন্ডনের একটি নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন। অপালাদের ড্রইংরুম ডেকোরেশনের সূত্র ধরে ফিরোজের সাথে অপালার পরিচয়। ফিরোজ পেশায় হাউস ডেকোরেটর। তার দৃষ্টিতে অপালা নামের এই ধনীর দুলালী একটি চরম মাত্রার অহংকারী মেয়ে; কিন্তু তারপরও এই মেয়ের প্রতি এক দুর্নিবার আকর্ষণ অনুভব করে সে, নানা বাহানায় বারবার ছুটে আসে নিঃসঙ্গ এই তরুনীর কাছে। মিথ্যা বলা ফিরোজের চরিত্রের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাড়িওয়ালার বাড়ি ছাড়ার নোটিশ বাতিল করানোর জন্য একটা বেশ বড় ধরনের মিথ্যার খেলায় জড়িয়ে পড়ে সে, তারপর নিজেই আটকে যায় নিজের জালে, যদিও জালটা তার কাছে মোটেই অনভিপ্রেত নয়। অপালার দিনগুলি কেটে যাচ্ছিল তার নিজের মত করে। এরমধ্যে একদিন এক হতদরিদ্র লোক এল তার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে। কোন এক অদ্ভূত কারণে অপালা প্রচন্ড কৌতুহল অনুভব করল ঐ অভাবী লোকটির প্রতি। বাবা-মা কেউ দেশে না থাকায় সে নিজেই একটি উপহার নিয়ে হাজির হল সেই লোকটির বাড়ি। অজানা এক রহস্যের দ্বার উন্মোচিত হল, ওলটপালট করে দিল তার নিস্তরঙ্গ পৃথিবী। কি ছিল সেই রহস্য??? জানতে চাইলে চটপট পড়ে ফেলেন বইটি। পাঠ প্রতিক্রিয়া: এই বই শুরুতে আমার কাছে অতোটা ভাল লাগেনি। সংলাপ ভাল ছিল, কিন্তু কাহিনীর মধ্যে কোন বিশেষত্ব খুজেঁ পাচ্ছিলাম না। তবে শেষের দিকের চমক টা পুরো গল্পকে অসাধারণ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। গল্পের মূল দুটি চরিত্রকে আমার ভালও লাগেনি, আবার খারাপও লাগেনি। ফিরোজের মত আমার কাছেও আপালাকে বেশ অহংকারী মেয়ে বলে মনে হয়েছে। আবার কখনো কখনো খুব বিনয়ী। ফিরোজকেও আমার ভাল লাগেনি তার অতচালাকির জন্য। তবে উপন্যাস ভাল লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
It's a good romantic book.....
Was this review helpful to you?
or
Moral of the story - never lie
Was this review helpful to you?
or
এই বই শুরুতে আমার কাছে অতোটা ভাল লাগেনি। সংলাপ ভাল ছিল, কিন্তু কাহিনীর মধ্যে কোন বিশেষত্ব খুজেঁ পাচ্ছিলাম না। তবে শেষের দিকের চমক টা পুরো গল্পকে অসাধারণ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।এমনকি অভিভূত। গল্পে ফিরোজ চরিত্রটিকে কিছুটা হিমু চরিত্রের মত মনে হয়। ফিরোজের হিমুর মত বাউন্ডুলে স্বভাব আছে, অকারণে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করার বাতিক আছে। মানুষকে হঠাৎ হঠাৎ চমকে দিয়ে মজা দেখার প্রবণতা আছে। তবে হিমুর মধ্যে মহাপুরুষের কিছু গুণাবলী আছে যা ফিরোজের মধ্যে নেই। ফিরোজ অহরহ মিথ্যা কথা বলে। যেটা নায়কের চরিত্রের সাথে খুব বেমানান হতে পারে তবে বাস্তবসম্মত।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের ‘আকাশ জোড়া মেঘ’ একাধারে নিখাদ প্রেমের উপন্যাস এবং তৎকালীন সময়ের শহুরে সামাজিক জীবনের বাস্তব প্রতিবিম্ব। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অপালা ফখরুদ্দিন নামক এক অত্যন্ত ধনাঢ্য ব্যক্তির কন্যা। অপালার সাথে আকস্মিকভাবে পরিচয় হয় ফিরোজের। ফিরোজ অপালাদের বাড়ির বসার ঘরের ডেকোরেশন করার জন্যে এসেছিল। তখনই তাদের প্রথম কথা হয়। ফিরোজের প্রথম দেখাতেই অপালার প্রতি একটা ভাললাগা কাজ করতে থাকে। কিন্তু এ যে বড় অসম সম্পর্ক। তাই ফিরোজ বেশি দূর এগোনোর সাহস পায় না। কিন্তু বারবার ঘুরে-ফিরে নানা ছুতোয় অপালার কাছে আসতে থাকে। ওদিকে অপালা ফিরোজের প্রতি এক সহজাত ঔদাসীন্য দেখাতে থাকে। এমন অবস্থায় ফিরোজের বাড়িওয়ালার মেয়ে লতিফার আবির্ভাব ঘটে গল্পে। ফিরোজের বাড়িওয়ালা কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা হাজি সাহেবকে তার মেয়ের বিয়ের পাত্র খুঁজে দেয়ার আশ্বাস দেয় ফিরোজ। কিন্তু হাজি সাহেবের মেয়ে লতিফার ছবি দেখে ফিরোজ বিস্মিত হয়ে যায়। এত সুন্দর মানুষ হতে পারে। এভাবে ফিরোজের সাথে অপালা আর লতিফা দুজনের কাহিনীই সমান্তরালভাবে চলতে থাকে। গল্পের শেষে আরও কিছু টুইস্ট আছে। সেসব পাঠক গল্প পড়লেই বুঝতে পারবেন। এখন বলে দেয়া ঠিক হবে না। গল্পে ফিরোজ চরিত্রটিকে কিছুটা হিমু চরিত্রের মত মনে হয়। ফিরোজের হিমুর মত বাউন্ডুলে স্বভাব আছে, অকারণে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করার বাতিক আছে। মানুষকে হঠাৎ হঠাৎ চমকে দিয়ে মজা দেখার প্রবণতা আছে। তবে হিমুর মধ্যে মহাপুরুষের কিছু গুণাবলী আছে যা ফিরোজের মধ্যে নেই। ফিরোজ অহরহ মিথ্যা কথা বলে। যেটা নায়কের চরিত্রের সাথে খুব বেমানান হতে পারে তবে বাস্তবসম্মত। এই উপন্যাসে অপালাকে ফিরোজের কাছে চিঠি লিখতে দেখা যায়। এছাড়া কয়েকবার ল্যান্ডফোনের কথাও উঠে আসে, যা আমাদেরকে আশির দশকের শেষ বা নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিনগুলোর শহুরে জীবনের কথা মনে করিয়ে দেয়। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য সকল উপন্যাসের মতই ‘আকাশ জোড়া মেঘ’ উপন্যাসটিও অত্যন্ত সুখপাঠ্য। লেখকের লেখনী খুবই সাবলীল এবং প্রায় অনায়াসেই পাঠককে গল্পের ভেতর টেনে নিয়ে যায়। এই উপন্যাস একবার পড়া শুরু করলে পুরোটা শেষ না করে উঠতে পারবে এমন পাঠক মনে হয় খুব একটা পাওয়া যাবে না। পরিশেষে বলতে হয়, ‘আকাশ জোড়া মেঘ’ অসাধারণ একটি উপন্যাস। সব উপন্যাসপ্রেমীদের ‘আকাশ জোড়া মেঘ’ পড়ার নিমন্ত্রণ থাকলো। আর যারা আমার মত হুমায়ূনভক্ত তাদের জন্যে তো এই উপন্যাসটি অবশ্যপাঠ্য।