User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মহিউদ্দিন কাদেরের লেখা ‘বাংলাদেশের সমুদ্রজয়’। বইটি লেখার প্রেক্ষাপট বাংলাংদশ মিয়ানমার-ভারত বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা তিন প্রতিবেশী দেশ ৷ এই দুই দেশের সাথেই রয়েছে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ ৷ এই সমুদ্রসীমা বিরোধের সূত্রপাত ১৯৭8 সাল থেকে ৷ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ‘দি টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড ম্যারিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪’ নামে একটি আইন পাস হয় ৷ আইনের ৩ ধারায় বাংলাদেশের সরকারকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্থলভাগের পর রাষ্ট্রীয় সমুদ্র অঞ্চল ঘোষণার ক্ষমতা প্রদান করা হয় ৷ পরে নোটিফিকেশন অনুযায়ী বাংলাদেশ ১২ নটিক্যাল মাইল টেরিটোরিয়াল সি এবং তার সাথে আরো ৬ নটিক্যাল মাইল কন্টিজিয়াস জোন দাবি করে ৷ বাংলাদেশ বেজলাইন থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনও দাবি করে ৷ ওইসময়ই ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের ঘোষিত বেজলাইন বা ভিত্তিরেখা ও সমুদ্রের অঞ্চলের দাবির বিষয়ে বিরোধিতা করে। সীমাহীন জলরাশির এক অপূর্ব আধার সমুদ্র৷ সীমাহীন হয়েও সার্বভৌম সীমার আবদ্ধ এরই কিছু অংশ৷ ক্ষেত্র বিশেষে এ সীমা নিয়েও বিরোধ দেখা যায় উপকূলবর্তী দেশসমূহের মধ্যে৷ উপকূলবর্তী দেশ বা'ৎলাদেশ-ভারত মিয়ানমারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমা বিরোধ এমনই এক উদাহরণ ৷ ২০১২ সালে ইটলস'-এর রায় এবং ২০১৪ সালে স্থায়ী সালিশ আদালতের রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে বাংলাদেশের এই বিরোধ নিষ্পত্তি হয়৷ এর ফলে বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চলা সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটায় বাংলাদেশ লাভ করে একটি স্থায়ী সমুদ্রসীমা, যার যেটি আয়তন এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার ৷