User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
AWESOME
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটি থ্রিলার। এ বসাতে শেষ করেছি। শুরু থেকে শেষ অবধি একটা টান, একটা মায়া ছিল। এক কথায় অনন্য।
Was this review helpful to you?
or
তিন কন্যাতে হইল নিখোঁজ খুঁজিয়া নাহি পায় পিতায় কান্দে, মাতা কান্দে পুলিশ নিরুপায় শহর হইতে এল বড়সাব করিবেই সমাধান কে রচিল নিখোঁজকাব্য কেন ঝড়িল তাজা প্রাণ? সংক্ষেপে এই হলো এই বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ, বাতিঘর থেকে প্রকাশিত সালমান হকের প্রথম মৌলিক উপন্যাসের কাহিনি সংক্ষেপ। বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকেঃ উত্তরবঙ্গের ছিমছাম আর শান্তিপূর্ণ এক মফস্বল রতনপুর। কিন্তু এক সময় তিন সপ্তাহের ব্যবধানে একের পর এক উধাও হয়ে গেল কম বয়সি তিন তরুণী। বিপদে পড়ে গেল স্থানীয় প্রশাসন। তদন্তে পাঠানো হলো স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার নাবিদ আল নিয়াজকে। রতনপুর পৌঁছে সে বুঝতে পারলো পরিস্থিতি যতটা মনে হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল। দুই তরুণীর লাশ উদ্ধার হলে নড়েচড়ে বসলো সবাই। তবে কি এরকম এক জায়গায় কোনো সিরিয়াল কিলারের আবির্ভাব ঘটেছে? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন গভীর ষড়যন্ত্র? তদন্তে আরো কিছু চরিত্রের আবির্ভাব ঘটলে ঘটনা জট পাকাতে শুরু করলো। একটা প্রশ্নই ঘুরতে লাগলো তখন- কিভাবে সমাপ্তি ঘটবে এই নিখোঁজকাব্যের? অনুবাদক হিসেবে সালমান হকের মুন্সিয়ানার পরিচয় আমরা আগেই পেয়েছি। এবার মৌলিকের মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে দিলেন স্বকীয়তাও কম যান না। আজকাল যখন থ্রিলার পড়তে বসি, কাহিনির চেয়ে আমি লেখনিকে প্রাধান্য দেই বেশি। নিখোঁজকাব্যে লেখক চমৎকার কাহিনি যেমন বুনেছেন, তেমনি পরিচয় দিয়েছেন তার অসাধারণ লৈখনশৈলির। উপন্যাসের প্লট আকর্ষণীয়। ধীরে ধীরে কাহিনি এগিয়েছে জটিল পরিস্থিতির দিকে। নিখোঁজ রহস্যের খুনের দিকে বাঁক নেয়াটা কাহিনিতে এনেছে নতুন মোড়। চরিত্রগুলোর ক্রমশ ডেভেলপমেন্ট লেখকের দক্ষতার পরিচায়ক। ভাল লেগেছে যে কাহিনি মেদহীন, ঝুলে পড়েনি কোথাও। রহস্যের অনুসন্ধানের পাশাপাশি প্রোটাগনিস্ট নাবিদের চরিত্রের ব্যক্তিগত জীবন তুলে আনার বিষয়টাও চমৎকার লেগেছে। প্রচ্ছদ নজরকাড়া। বিশেষ করে নামের ফন্ট ভাল লেগেছে। ভাল লাগেনি ইন্সপেক্টর জাহিদ চরিত্রটাকে। একটু বেশি আবেগী দেখানো হয়েছে। কয়েকটা বাক্য আছে যেগুলো সম্ভবত নাবিদ মনে মনে ভাবছিল। ওগুলো ইটালিকে লিখলে ভাল দেখাত। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করেছি নিখোঁজকাব্য। একটা পারফেক্ট থ্রিলার। প্রথম বইয়েই বাজিমাত করেছেন লেখক সালমান হক। তার কাছে প্রত্যাশার পারদ আরও উচুতে উঠে গেল। আমি আশা করব তার এই অসাধারণ লেখনি ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে আর পাঠকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবে।
Was this review helpful to you?
or
সালমান হকের সব বই ই ভালো লাগে। এটি তার মধ্যে একটি।
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : নিখোঁজ কাব্য লেখকের নাম : সালমান হক প্রচ্ছদ : সিরাজুল ইসলাম নিউটন ঘরনা : থ্রিলার প্রকাশনী : বাতিঘর প্রকাশনী প্রকাশ কাল : ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মুদ্রিত মূল্য: একশত আশি টাকা মাত্র পৃষ্ঠা সংখ্যা :১৭৬ কাহিনী অালোচনা: নিখোঁজ কাব্য মূলত এক রহস্যধর্মী উপন্যাস। নামের মধ্যেই যার আকর্ষন বিদ্যমান। উত্তরবঙ্গের ছিমছাম আর শান্তিপূর্ণ এক মফস্বল রতনপুর। কিন্তু এক সময় তিন সপ্তাহের ব্যবধানে একের পর এক উধাও হয়ে গেল কম বয়সি তিন তরুণী। বিপদে পড়ে গেল স্থানীয় প্রশাসন। তদন্তে পাঠানো হলো স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার নাবিদ আল নিয়াজকে। রতনপুর পৌঁছে সে বুঝতে পারলো পরিস্থিতি যতটা মনে হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল। দুই তরুণীর লাশ উদ্ধার হলে নড়েচড়ে বসলো সবাই। তবে কি এরকম এক জায়গায় কোনো সিরিয়াল কিলারের আবির্ভাব ঘটেছে? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন গভীর ষড়যন্ত্র? কে বা কারা এমন নিখুঁত প্লান করে একে একে হত্যা করে চলছে কিশোরী বয়সী এ মেয়েদের। কোনো সাইকো কিলারের কাজ নয়তো এমনটাই ভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকে। তদন্তে আবির্ভাব ঘটলো আরো কিছু চরিত্রের। ঘটনা জট পাকাতে শুরু করলো। একটা প্রশ্নই ঘুরতে লাগলো তখন- কিভাবে সমাপ্তি ঘটবে এই নিখোঁজকাব্যের? পাঠ প্রতিক্রিয়া : টান টান থ্রিলে ভরপুর বইটা। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা প্রশ্নই কেবল তাড়া করে বেড়ায়। কর করল খুনগুলো? এটা কি কোন কুচক্রী মহলের কাজ। আবার মধ্য পর্যায়ে এসে মনে হয় প্রেম ঘটিত কোন ত্রিভুজ কাহিনী নয়তো। কিন্তু না লেখক তার লেখনী বলে সে ধারনাও পাল্টে দেয়। একদম শেষ পর্যন্ত সেই ধারবাহিকতা বজায় রেখে পাঠক কে শেষ পর্যন্ত পড়তে বাধ্য করে বইটা। আদালতের মতো চমৎকার রহস্য উন্মোচন ব্যাপারটাও বেশ ভালো লেগেছে। ছোট ছোট ক্লু দিয়ে রহস্য ধরে রাখার ব্যাপারটাও ভালো ছিল। কত সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে এত বড় এক রহস্যময় দুধর্ষ খুনের উতপত্তি পড়তে পড়তে এসব ভাবনা বারবার শিহরিত করে। লেখকের প্রথম উপন্যাস পড়ার সময় তা একবারও মনে হয় নাই। এত চমৎকার বর্ননা শৈলী পাঠকে মুগ্ধ করবে। এছাড়া রহস্য সমাধানের ব্যাপারটাও বেশ আকর্ষনীয় একদম শেষ পর্যন্ত যা পাঠক কে টেনে নিয়ে যেতে বাধ্য করবে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_৩ পর্ব - ৩ বইয়ের নামঃ নিখোঁজকাব্য লেখকঃ সালমান হক প্রকাশনীঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ১৭৬ মূল্যঃ ১৮০ টাকা। ভূমিকাঃ ছোট পরিবারে বসবাসকারী লোকজনের মাঝে একে অপরের সাথে বোঝাপড়া ভালো হয়। একজন আরেকজনকে ভালোভাবে বুঝতে পারে। তেমনি ছোট এলাকায় বসবাসরত মানুষ গুলোও একে অপরের পরিচিত হয়। পরস্পরের সুখদুঃখের ভাগিদার। নিরিবিলি মফস্বল এলাকায় যদি আর্কষিক কোন বিপদ নেমে আসে তখন এলাকার লোকদের মাঝে চাঞ্চল্যের সীমা থাকে না। লেখক পরিচিতিঃ তরুণ থ্রিলার লেখক সালমান হকের লেখালেখির হাতেখড়ি অনুবাদকর্মের মাধ্যমে। আমেরিকান লেখক নিক পিরোগের জনপ্রিয় হেনরি বিনস সিরিজ অনুবাদের মাধ্যমে সালমান সমাধিক পরিচিতি পান। বর্তমানে তিনি ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে অণুজীববিজ্ঞানে অধ্যয়নরত আছেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার নেশায় আসক্ত, সেই থেকে লেখালেখির শুরু। 'নিখোঁজকাব্য' তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার। এছাড়াও লেখালেখি ও অনুবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাহিনী সংক্ষেপেঃ উত্তরবঙ্গের শান্ত ছিমছাম মফস্বল এলাকা রতনপুর৷ ছোট এলাকার সবাই একে অপরের পরিচিত। এখানে তেমন কোন অপরাধ সংঘটিত হয় না। এলাকার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করে। কিন্তু একসময় শান্ত রতনপুর উত্তপ্ত হয়ে উঠলো। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে একএক করে নিখোঁজ হলো কম বয়সী তিন তরুণী। নিখোঁজ তরুণীরা সব সম্ভ্রান্ত বংশের মেয়ে। এলাকায় তাদের পরিবারের বেশ প্রতিপত্তি আছে। প্রথম তরুণী নিখোঁজ হবার পর স্থানীয় প্রশাসন তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করল কিন্তু কোন খোঁজ পেলো না। এই ঘটনার পরপরই যখন আরো দুই তরুণী নিখোঁজ হলো তখন তা রীতিমত আতংকের সৃষ্টি করল। পুরো এলাকায় একটা কালো ছায়া নেমে এলো। ইন্সপেক্টর জাহিদ রতনপুরেরই ছেলে। তার নিজের এলাকায় এত কাণ্ড ঘটে যাচ্ছে কিন্তু সে অনুসন্ধান করার মত কোন সূত্র খুঁজে পাচ্ছে না। নিখোঁজদের পরিবার থেকে ও এলাকাবাসী থেকেও চাপ বাড়ছে। এরই মাঝে যখন নিখোঁজ হওয়া এক তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া গেলো তখন পরিস্থিতি স্থানীয় প্রশাসনের আয়ত্বের বাইরে চলে গেলো। অনভিজ্ঞ স্থানীয় প্রশাসন দিশাহারা হয়ে পড়লো। পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ রূপ নিতে যাচ্ছে তখন তদন্তের জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার নাবিদ আল নিয়াজকে রতনপুরে পাঠানো হলো। নাবিদ রতনপুরে এসে দেখলো পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের অবস্থা নাজুক। সাধারন ভাবে দেখলে এটাকে কোন সিরিয়াল কিলারের কাজ মনে হতে পারে। তবে এর পেছনে শক্তপোক্ত কোন প্রমাণ নেই। সূত্রবিহীন একটা তদন্তে নাবিদের টিম অন্ধকার চোরাগলিতে নেমে ঘুরে ফিরে একই জায়গায় স্থির হতে থাকলো। নিখোঁজ হতভাগ্য তরুণীদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি লেখা আছে? এসব ঘটনার পেছনে মূল হোতা কে বা কারা জানতে মিশে যেতে হবে নিখোঁজকাব্যের জগতে। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ প্রথম মৌলিক বই হিসেবে লেখক প্রশংসার দাবীদার। তবে বেশ কিছু ত্রুটি লক্ষণীয়। থ্রিলার বা রহস্য উপন্যাসের মূল বিষয় হলো শেষ অবধি পাঠককে রহস্যের পিছনে আকৃষ্ট করে রাখা। এই উপন্যাসে সেটি একটু কম দেখা গেছে। মাঝের কিছু পর থেকেই মূল হোতা কে হতে পারে টুকটাক বোঝা যাচ্ছিল। সচেতন পাঠক বিষয়টা বুঝতে পারবেন। উপন্যাসের কলেবর ছোট হলেও অনেক চরিত্রের সমন্বয় ঘটেছে। সেক্ষেত্রে চরিত্রের নাম নির্বাচনে একটু খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন - নাবিদ, জাহিদ, ফাহাদ। তিনটে চরিত্রের নাম প্রায় একই রকমের হওয়ায় একটু গুলিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া কিছু বানান ভুল চোখে পড়েছে। দেশীয় এবং বিশেষ করে মফস্বল প্রেক্ষাপটে থ্রিলার লেখা একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার হলেও লেখক এক্ষেত্রে তার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। বর্ণনা ভঙ্গি ছিল চমকপ্রদ। তার তৈরি প্রেক্ষাপট প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। রহস্য দ্বারা তিনি পাঠককে কতদূর মুগ্ধ করতে পেরেছেন জানি না তবে তার লেখনী সত্যি মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ। কাহিনীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রচ্ছদটি এঁকেছেন সিরাজুল ইসলাম নিউটন। তরুণ লেখক, সবে লেখালেখি শুরু করেছেন। আশাকরি তিনি ভুলত্রুটি শুধরে সাহিত্য অঙ্গনে অনেক পথ পাড়ি দিবেন। ব্যক্তিগত মতামতঃ যারা মফস্বল অঞ্চলের গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য 'নিখোঁজকাব্য' একটি দারুণ থ্রিলার হতে পারে। শহরের কোলাহল থেকে বাইরে নিরিবিলি এলাকায় কিছু সময়ের জন্য আপনিও রহস্যের পিছনে ছুটে বেড়াবেন মনোমুগ্ধকর লেখনীতে। ব্যক্তিগত রেটিং - ৪/৫ রিভিউ লিখেছেনঃ বেখেয়ালি হিমু
Was this review helpful to you?
or
শান্ত, ছোট্ট, ছিমছাম একটা পৌরসভা রতনপুর। অবস্থান উত্তরবঙ্গে। ঢাকা থেকে মাত্র পাঁচ ঘণ্টার পথ। ছোট এলাকা বলে সবাই সবাইকে চেনে। এখানে অপরাধ বলতে ছোটখাটো চুরি-চামারির ঘটনা কিংবা খুব বেশি হলে ডাকাতি। তাই এই এলাকারই ছেলে ইন্সপেক্টর জাহিদ খুব আরামেই দিন কাটাচ্ছিল জয়েন করার পর থেকে। কিন্তু শান্ত টাউনে হঠাৎই ঝড় উঠল। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই-দুইজন মেয়ে নিখোঁজ। তার মধ্যে একজন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রহমত উল্ল্যাহের মেয়ে। সেই নিখোঁজ হয় প্রথমে। এর কিছুদিন পরেই আপ্যায়ন হোটেলের মালিকের মেয়ে অদিতি নিখোঁজ। তোলপাড় হয়ে ওঠে পুরো রতনপুর শহর। এখন আবার উকিল মোজাম্মেল আলমের মেয়ে বীথিকে পাওয়া যাচ্ছে না। কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা জাহিদ। এই রহস্যের সমাধান করতে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার নাবিদ আল নিয়াজকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হল রতনপুরে। নাবিদ এসে যেন অকুল পাথারে পড়ল। কোন কূলই খুজে পাচ্ছে না সে। এরমধ্যেই বজ্রপাতের মত একটা সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল রতনপুরে। একটা লাশ পাওয়া গেছে। মেয়ের লাশ। কয়েকদিনের ব্যবধানে আরেকটা মেয়ের লাশ পাওয়া গেল। কি হচ্ছে রতনপুরে? এগুলো কি কোন সিরিয়াল কিলারের কাজ? তৃতীয় মেয়েটা কোথায় আছে এখন? তার ভাগ্যেই বা কি লেখা আছে? এ প্রশ্নের উত্তর আছে নিখোঁজকাব্যে। সালমান হকের সাথে পরিচিতি আমার হেনরি বিনস সিরিজের মাধ্যমে। অসাধারন অনুবাদ করেছেন। এই আগ্রহেই নিখোঁজকাব্য সংগ্রহ করা। কাহিনীটাতে মিশে গিয়েছিলাম বলা যায়। অন্যান্য থ্রিলার যেমন পড়তে পড়তে ঘটনা আন্দাজ করে ফেলতে পারতাম, এখানে বারবার সন্দেহ পাল্টে গেছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ঘটনা আগেই ধরতে পেরেছি। তবুও বলব আমাকে বারবার কনফিউজ করা লেখকের একটা দারুণ কৃতিত্ব। আমি হতাশ হয়নি একবারও। এখানেই লেখকের সফলতা। ভালো লেগেছে। খুব ভালো লেগেছে। ছোটখাটো কিছু ভুল বা অসংগতি ইগনোর করাই যায়। লেখকের জন্য শুভকামনা রইল।
Was this review helpful to you?
or
রতনপুর একটা চমৎকার গ্রাম। যেখানে মানুষে মানুষে মিলে মিশে থাকে। সবার সবার পরিচিত। এমন একটা পরিবেশ যেখানে সর্বশেষ কবে ডাকাত এসেছিলো সেটা ভেবে মনে করতে হয়। এমন একটা গ্রামে কিনা তিন তিনটা মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গেলো! তাও সবাই মোটামুটি সম্ভ্রান্ত ঘরের তরুনী। রতনপুর থানার ইন্সপেক্টর জাহিদ এলাকারই ছেলে। সেও এই ঘটনায় ব্যথিত। কিন্তু কিছুতেই কোনো ক্লু পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্তের জন্য রাজশাহী থেকে পাঠানো হলো স্পেশাল ব্রাঞ্চের নাবিদ আল নিয়াজকে। নাবিদ আশার পরে সমস্যা ভয়াবহ রূপ নিলো। কি হতে পারে বলে মনে হয়? হ্যা, যা আশঙ্কা করছেন ঠিক তাই। পরপর দুইটা মেয়ের লাশ পাওয়া গেলো। তাহলে কি রতনপুরের মত এলাকাতেও সিরিয়াল কিলারের আবির্ভাব হলো! কাকে সন্দেহ করবে পুলিশ? সবাই যেখানে মিলেমিশে থাকে! কিন্তু কাওকেউ তো বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। তৃতীয় মেয়েটা বাচবে তো! আশা করতে দোষ কি! আশা করুন যেন মেয়েটা বেচে যায়। আর বইটা হাতে নিয়ে খুনিকে ধরার তদন্তে আপনিও নেমে পড়ুন। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ সালমান ভাইয়ের লেখার সাথে পরিচয় ছিলো ওই থ্রি এএম পর্যন্ত। অধিকাংশ পাঠকের মত আমারও পছন্দের সিরিজ সেটা। তবে সেটা অনুবাদ। এবারই প্রথম তার মৌলিক থ্রিলার বের হলো। প্রথমেই বাজিমাত করেছেন। পড়ার সময় মনেই হবে আপনি লেখকের প্রথম মৌলিক পড়ছেন। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা যতই শেষ করছি ততই টেনশন বাড়ছিলো। খুন, গুম, ভালবাসা, প্রতিহিংসা, নিকৃষ্টতা; সব মিলিয়ে একটা মনের মত বই। শেষে যে টুইস্ট রেখেছেন লেখক তাতে আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে পরবর্তীতে বইটার সেকুয়্যাল আসছে। নিখোঁজকাব্য নামটাই এই বইয়ের জন্য পারফেক্ট। আর প্রচ্ছদের কথাও বলতে হয়। চমৎকার প্রচ্ছদের জন্য নিউটন ভাইকে অভিনন্দন।
Was this review helpful to you?
or
নিখোঁজকাব্য হচ্ছে আমাদের চারপাশের স্বাভাবিকতার মাঝে যে অস্বাভাবিকতা আছে তারই প্রতিফলন। একটি অপরাধকে ঢাকতে যেয়ে কিভাবে আরও অনেক গুলো অপরাধ চলে আসে তা দেখা যাবে এখানে। আরও আছে কিভাবে সাধারণ মানুষকে সহজে ফাঁসিয়ে পাড় পেয়ে যায় ক্ষমতাবানরা, আরও আছে হিংসা, ধোঁকা, হতাশা থেকে সৃষ্ট অপরাধ। কাহিনী শুরু হয় রতনপুরে কয়েক সপ্তাহের ব্যাবধানে তিন তিনটি মেয়ে অপহৃত হবের মধ্য দিয়ে। বলে রাখা ভাল, রতনপুর এমন এক যায়গা যেখানে বড় অপরাধ বলতে ছোটখাট ডাকাতি আর সেখানেই কয়েক দিনের ব্যাবধানে তিনটি মেয়ে অপহরন! থানার দায়িত্তে আছে জাহিদ যে কিনা সেই এলাকারই ছেলে তাই এরকম ঘটনায় তার আবেগ একটু বেশিই। কিন্তু এর মাঝে কোন কুল কিনারা না পেয়ে রাজশাহী স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে পাঠানও হয় নাবিদ আল নিয়াজ কে। সে আশার পর অবস্থার কোন কিনারা তো হয়ই না উল্টা দেখা যায় একটি মেয়ের লাশ পাওয়া যায়। অবস্থা আরও ঘোলা হতে থাকে, শহর থেকে ফরেনসিক এক্সপার্ট আশে, আইটি স্পেশালিষ্ট আশে...সব কিছু পড়ে ধরা পড়ে একজন। কিন্তু নাবিদের মন বলে আসল কাঠি অন্য কেউ নাড়ছে, আরও একটু খোঁচাখুঁচি করা হয় শেষে দেখা যায় একটা পারফেক্ট ক্রাইমের একটি ক্রাইম চাপা দিতে গিয়ে হয় আরও কয়েকটি। কিন্তু একটি ছোট ভুলকে ক্লু হিসেবে কাজে লাগিয়ে ধরা হয় মুল হোতা/হোতাদের কে। কিন্তু কি সেইটা? ভুলটা কি? আর কেন এরকম সাধারণ একটা গ্রামে এতগুলো খুন/অপহরন ঘটানো হয়? সব প্রশ্নের উত্তর আছে নিখোঁজকাব্যে। মতামতঃ প্রথম কথা হচ্ছে বইয়ের নামটা অসাধারণ, সুন্দর এবং কাহিনীর জন্য একদম মানানসই একটা নাম। এর পরের কথা হচ্ছে প্রচ্ছদও শুধু অসাধারণ বললে কম হবে। এর পর বাকি কথা হলো, লেখকের যে প্রথম মৌলিক উপন্যাস তা পড়ে বুঝা যায়নি মনে হয়েছে ঝানু কোনো লেখকের লেখা। যদিও আগে অনেক গুলো অনুবাদের কাজও সালমান ভাই করেছেন। তাও সাবলীল লিখা পুরা, অহেতুক কোনও গুরুগম্ভীর কথাবার্তা লিখেন নি। চরিত্র গুলোর বর্ননা, প্লটের বর্ননা সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন আর বড় ব্যাপার হোল, থ্রিলটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছেন। বইয়ের সমস্যা বলতে। এক যায়গায় আগস্ট ২৫ এর যায়গায় ৩৫ লিখা হয়েছে আর এক যায়গায় নাবিদ এর যায়গায় জাহিদ লিখা হয়ছে আশা করি পরবর্তিতে এটা ঠিক করে ছাপানো হবে। আর নাবিদের সম্পর্কে আরও জানালে ভাল হত, উপন্যাসটা আরও বড় করা যেত কিন্তু একটু শর্টকাটেই যেন শেষ হলো। লেখককে অভিনন্দন এরকম একটা বই উপহার দেওয়ার জন্য আর হ্যা আপনার বুকশেলফের বই গুলোর সাথে মিশে থাকার যোগ্য এ বইটি।
Was this review helpful to you?
or
ধরুন আপনি একটা ছোট্ট মফস্বল শহরে থাকেন। শান্ত এবং নির্ঝঞ্ঝাট। ছোট হওয়াতে সবাই সবাইকে চেনেন। এরকম একটা শান্ত পরিবেশ যদি হঠাৎ করেই অশান্ত হয়ে পড়ে? কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে যদি তিন তিনটা কমবয়সী মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়? কি করবেন আপনি? উত্তরবঙ্গের এরকম একটা মফস্বল শহর রতনপুর। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন তিনটা মেয়ে নিখোঁজ। সাধারণ কোনো মেয়েও না, এলাকার সবথেকে প্রভাবশালী তিন ব্যক্তির মেয়ে। রতনপুর থানার ইন্সপেক্টর জাহিদ এই এলাকারই ছেলে। যাদের মেয়ে হারানো গেছে তাদেরও খুব পরিচিত। কিন্তু, জাহিদ কোনো কুল কিনারাই করতে পারছে। এমনকি সন্দেহজনক কাউকেও পাচ্ছেনা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এলাকার প্রতিটি মানুষ ওর পরিচিত, ওদের মধ্যে কেউ এই কাজ করতে পারেনা। এই কেস হ্যান্ডেল করতে রাজশাহী থেকে পাঠানো হল স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার নাবিদকে। নাবিদ আসার পর পরই একটা মেয়ের লাশ পাওয়া গেল! কাহিনী শুরু এখান থেকেই। সাবধান থাকবেন! কাউকেই বিশ্বাস করবেন না। কোনো রকম প্রেডিকশনও করতে যাবেন না, গেলেই ধরা খাবেন। সালমান হকের অনুবাদ পড়া হয়েছে বেশ কয়েকটা । তার অনুবাদ করা থ্রি এ এম সিরিজের ফ্যান আমি। এবারই প্রথম মৌলিক বের করেছে, এবং প্রথম বইয়েই বাজিমাত করে ফেলেছে। যুগ যুগ ধরে মনে রাখার মত কাহিনী? না, সেরকম কিছুই না। কমন একটা কাহিনী। যারা নিয়মিত থ্রিলার পড়েন, তারা ধরে নিন এরকম গল্প আগেও পড়েছেন। তাহলে? বাজিটা মাত করল কিভাবে? লেখনী তে। জ্বি, সাধারণ একটা গল্পকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তার লেখনীর যাদু দিয়ে। বইটি পড়ার পর কারো যদি মনে হয়, ধুর সময় নষ্ট করলাম হুদাই, তারা আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। বাতিঘরের বইয়ে বানান ভুলের পরিমাণ কমেছে আগের থেকে। প্রচ্ছদেও এসেছে বিশাল পরিবর্তন। এবারের বইমেলায় বের হওয়া প্রত্যেকটা প্রচ্ছদই নজড় কেড়েছে আমার। এই বইয়ের প্রচ্ছদটার জন্য ধন্যবাদ সিরাজুল ইসলাম নিউটনকে। তাছাড়া বইয়ের নামকরণটা চমৎকার হয়েছে। বইয়ের গল্পটার সাথে এই নামটা ছাড়া অন্য কোনো নাম খাপ খেতো না। এই হিসেবে বলা যায় নিখোঁজকাব্য পারফেক্ট একটা নাম।
Was this review helpful to you?
or
সালমান হকের প্রথম মৌলিক হিসেবে এই বইটি এক কথায় সেরা । সবার জন্যেই রেকমেন্ডেড।
Was this review helpful to you?
or
------------ উপমা ----------- আপনার ঘরে আছে যে শত্রু তারে আগে করো জয়, ভাঙো সে দেয়াল, প্রদীপের আলো যাহা আগুলিয়া রয়। ---------কাজী নজরুল ইসলাম গল্পটা এমন এক গ্রামের, যেখানে ক্রাইম শব্দটা নিছক পুঁচকে চুরি ডাকাতির আরেক নাম। খুন, কিডন্যাপ এধরনের কিছুর নাম গন্ধও সেখানে নেই। কিন্তু হঠাৎ যদি গ্রামে নিখোঁজ হবার ঘটনাটা ফেনিয়ে রসিয়ে ওঠে? যদি সেটা হয় পর পর তিনটা অপহরণ! তিনজন প্রভাবশালী লোকের উঠতি বয়সের মেয়েদের! তখন সেটা কি নিখোঁজকাব্য রচনা করবে না? আসুন প্রবেশ করি নিখোঁজকাব্যের রহস্যের কানাগলিতে........ -------------------------- একটু গল্প জানি -------------------------- সুত্রপাত উত্তরবঙ্গের রতনপুরে। প্রথম একটা নিখোঁজ হবার গল্পের কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। গ্রাম মানেই গল্প। আর গল্প মানেই রটনা। কথা হচ্ছিল মেয়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে। টনক নড়ল দ্বিতীয় নিখোঁজের পর। তারপর আরেকটা। এদের দুজন আবার বান্ধবী। এরা সবাই উঠতি বয়সের। তবে কি সিরিয়াল কিলার? এরকম গন্ডগ্রামে সিরিয়াল কিলার বেমানান বটে। প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে। অতঃপর পাঠানো হলো ক্রাইম ব্রাঞ্চের নাবিদ আল নিয়াজকে। অতীতের কোনো এক ঘটনার একটা ভারী দীর্ঘশ্বাস বয়ে বেড়ানো, রাফ টাফ একজন মানুষ। এসেই সে কাজে লেগে গেল। একে একে সাসপেক্টদের জিঙ্গাসাবাদ করতে থাকল। কিন্তু গ্রামে বাহুবল ও প্রতাপ বলে যে ব্যাপারটা আছে তাতে বাধা খাচ্ছিল সে। ইনস্পেক্টর জাহিদ, রতনপুরের ই ছেলে। সে প্রতিনিয়ত গ্রামের হোমড়া চোমড়াদের কড়াল গ্রাসে পড়ছে। ওদিকে নাবিদও পিছু হটবার নয়। পরিস্থিতি খারাপ হলো যখন সেখানে পাওয়া গেল এক নিখোঁজ মেয়ের লাশ। এদিকে সেলফি ইসমাইল যাকে পায় তার সাথেই ছবি তোলে। এদিকে বারবার সাসপেক্টদের সাথে কথা বলে নাবিদ যারপরনাই বিস্মিত। কখনো সুত্র হাতে আসছে কিন্তু হিসেবে মিলছে না। এরকম একটা পরিস্থিতি হঠাৎই বদলে গেল। চমকের পর চমক। কি হলো আসলে? কোথায় পৌঁছল এই নিখোঁজকাব্য? নাবিদ বা জাহিদ এদেরই বা কি হলো? কি হলো নিখোঁজ মেয়েদের আর তাদের পরিবারের? যবনিকাপাত কোথায় গিয়ে ঠেকল? --------------------------------- ভালো লাগা যা কিছু --------------------------------- বইটাতে থ্রিল দেয়ার সব উপাদান ছিল। একটা ভালো প্লট, চরিত্রের প্রতুলতা, বর্ণনার সারল্য সব দিক থেকেই ভালো ছিল। অধ্যায় এ ভাগ করা বইটার প্রতিটা অধ্যায়ের শেষে পাঞ্চ লাইন দেয়া যাতে আকর্ষনটা বাড়তে থাকে শেষটার জন্য। মুল চরিত্র ও পার্শ্ব চরিত্রের বেশ ভালো মেলবন্ধন দেখানো হয়েছে বইটাতে। কিছু ছোটখাট বিষয়ের বর্ণনা বইটাকে আকর্ষনীয় করে তোলেছে। গড়পড়তা রহস্যোপন্যাসের মত না এটাতে ভিন্ন স্বাদ পাওয়া গেছে। কখনো নাবিদ বা কখনো সেই গ্রামের লোকগুলোর ওপর ফোকাস রেখে একটা দারুণ বাচনভঙ্গিতে লেখা হয়েছে। ---------------------------------------------- বইটাতে যা ভালো লাগেনি --------------------------------------------- প্রথমত রহস্যটা কি তা শুরু থেকে বলা ছিল। আরেকটু রাখডাক করে রহস্যটা রিভিল করলেই পারতেন। গল্পে অতিরিক্ত জিঙ্গাসাবাদ দেখানো হয়েছে। এত বেশি কেন? আমি কি বই পড়ছি না সনি চ্যানেলের সিআইডি দেখছি? বাতিঘরের বানান ভুল এবং প্রিন্টিং মিস্টেক নিয়ে নাই বলি। অহেতুক গল্পের বর্ণনাকে টেনে টেনে বড় করার প্রবণতা দেখা গেছে। যে জিনিসটাকে দুই পেইজে বলা যেত সেটাকে টেনে টেনে পাঁচ পেইজ করা হয়েছে। সবচেয়ে বিরক্ত লেগেছে শেষটাতে যেখানে লেখক টুইস্ট দিতে গিয়ে পুরোটাই হাস্যকর করে ফেলেছেন। গল্পের বেশ অনেকটা জিনিস একজন পাঠক সহজেই প্রেডিক্ট করতে পারেন। অতিবর্ণনা বেশ অনেকটা গল্পে ভরে দিয়েছে বিরক্তি । ----------------- প্রতিক্রিয়া ---------------- প্রথমত লেখকের অনুবাদগুলোর চেয়ে মৌলিক লেখাটা বেশ ভালো। কিন্তু সেখানে বেশ কিছু সমস্যা চোখে পড়ল। বেশ কিছু জায়গা আরো ছোট করা যেত। গল্পের প্লট ভালো ছিল। টুইস্টও দিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই। এতটুকু লেখকের সফলতা। কিন্তু ভাষাগত দিকটা নিয়ে আরো খাটতে পারতেন তিনি। মনে হচ্ছিল সনি চ্যানেলের সিআইডির গল্প পড়ছি। গল্পের শেষদিকে এসে তিনি যেন একটু গুলিয়ে ফেলেছেন। তারপরেও বেশ ভালোই ছিল মৌলিক হিসেবে। চেখে দেখতেই পারেন। ভালো লাগবে আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
খুব সুন্দর প্রচ্ছদ। প্রচ্ছদ শিল্পীকে আন্তরিক ধন্যবাদ। মৌলিক উপন্যাস হিসাবে সার্থক। লেখার ধরণ, গল্পের গাঁথুনী ভালো। কাহিণী নতুন নয়। উপস্থাপনা নতুন। শুভ কামনা রইলো লেখকের প্রতি। লেখা চালিয়ে যান। ভবিষ্যতে আরো ভালো উপন্যাস চাই।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা নিখোঁজকাব্য লেখক:- সালমান হক মূল্য:-১২৬ পৃষ্ঠা:-১৭৬ উত্তরবঙ্গের ছিমছাম আর শান্তিপূর্ণ এক মফস্বল রতরপুর। কিন্তু হঠাৎ কিছু সময়ের ব্যাবধানে রতনপুরে নেমে আসে অন্ধকারের কালো ছায়া।একে একে নিখোঁজ হয়ে যায় তিনটি মেয়ে তাও আবার তিন সপ্তাহের ব্যাবধানে। স্থানীয় প্রশাসন হিমশিম খায় ব্যাপারটি সামাল দিতে। দিশেহারা হয়ে পড়েন ইন্সপেক্টর জাহিদ ও তার পুরো টিম। যারা নিখোঁজ হয়েছেন, প্রত্যেকের বাবা আবার এলাকায় প্রচন্ড প্রভাবশালী। 'কি করি কি করি' সময় রতনপুরে আগমন হয় স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার নাবিদ আল নিয়াজের। যার কাছে সময়টা অনেকটা 'ডু অর ডাই' টাইপের। নাবিদ আল নিয়াজের তদন্তের শুরুতেই মেলে নিখোঁজ হওয়া প্রথম তরুণীর লাশ। সকলেই বসেন নড়েচড়ে। আবারো জোড়ালোভাবে চলে তদন্তের কাজ। তবে অগ্রগতি হয় কিঞ্চিৎ। কিছুদিনের ব্যাবধানেই মেলে আরেক তরুনীর লাশ।'তবে কি এই মফস্বলে এক সিরিয়াল কিলারের আগমন ঘটলো?' এই প্রশ্ন দানাবাঁধে প্রতিটি মানুষের মনে।তৃতীয় মেয়েটিকে বাঁচানো সম্ভব, নাবিদ আর জাহিদের পক্ষে? প্রশ্ন রইল! পাঠ প্রতিক্রিয়া:- মার্ডার মিস্ট্রি কার না ভাল লাগে? আশপাশ অতিরঞ্জিত রক্তের রঙে, নিস্তর হয়ে পড়ে আছে একটি দেহ, আলামত বলতে কিছুই নেই, খুজে বের কর কে করেছে। ওফ!এক চমৎকার মিশ্রন। তবে 'নিখোঁজকাব্যে' রক্তের ছিটেফঁটাও নেই, আছে ইউনিক পদ্ধতিতে খুনের নমুনা। অবশ্যই যা প্রতিটি থ্রিলারপ্রেমিকে পৌছে দেবে রোমাঞ্চের গুরু শিমায়। বইটির কাহিনী এত দ্রুত আর একেরপর এক ঘটতে থাকে যে পড়ার পর যে কেউ বলবে, "সালমান ভাই রাইতের শুরুতে ল্যাপটপ নিয়া বসছে, রাইত গরাইছে আর ভাইএর লেখা শেষ হইছে।" পড়ার মত একটা বই।