User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
loved it! Amazing way of story telling, good wishes for the writer.
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_ডিসেম্বর বই - সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন লেখক - রাফিউজ্জামান সিফাত প্রকাশনী - আদী প্রকাশন প্রচ্ছদ - তারেক সালাহ্উদ্দিন মুদ্রিত মূল্য - ২০০ টাকা। ভূমিকা - পাখির সাথে মানুষের মন ও নিয়তির বেশ মিল আছে। পাখি যেমন স্বভাবতই চারিদিকে উড়াউড়ি করে তেমনি মানুষের মন ও নিয়তিও অস্থির। কখন যে কি হয় তা বোঝা মুশকিল। জীবন কখনো বিষাদময় হয়ে ওঠে আবার কখনো সুখের। নিয়তি এই সুখ দুঃখ নিয়ে খেলা করে চলে অবিরত। পাখি উড়ে যায় তার পালকে করে জীবনের গল্প নিয়ে। লেখক পরিচিত - তরুণ লেখক রাফিউজ্জামান সিফাতের প্রথম উপন্যাস 'সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন'। এটি তার দ্বিতীয় গ্রন্থ। আহ্সানউলাহ্ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক শেষে কর্মরত আছেন একটি টেলিকমিউনিকেশন এবং সফটওয়্যার তৈরি প্রতিষ্ঠানে। অল্প বয়সে নিজের ডায়েরিতে হাবিজাবি লিখতে লিখতে অনেকটা খেলার ছলে জাতীয় দৈনিকে গল্প পাঠানো, সেই লেখা প্রকাশিত হওয়া, ছাপা অক্ষরে নিজের নাম দেখে আনন্দে মহল্লা দৌড়ে বেড়ানো, এভাবেই লেখালেখির শুরু। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রদায়ক হিসেবে নিয়মিত লেখালেখি করছেন। ভালোবাসেন মানুষ ও তার রহস্য। কাহিনী সংক্ষেপে - সিদ্ধিরগঞ্জ নামের এক মফস্বল শহরকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। আমাদের চেনাজানা জগতের কিছু চরিত্রের মেলবন্ধন। এটা সেই সময়ের গল্প যখন মোবাইলের সহজলভ্যতায় চারিদিকে সয়লাব হয়নি। মানুষ ভার্চুয়ালের মত জগতে আবদ্ধ ছিল না। ছেলেরা রাজনীতি, খেলাধূলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। মেয়েরা ঘরের নানান কাজে লিপ্ত থাকতো। বৃদ্ধেরা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে জীবনের হিসাব নিকাশ মিলাতো। ভিন্ন বয়সের ভিন্ন পেশার বেশকিছু চরিত্র যারা একসময় একই গল্পে আবদ্ধ হয়ে গেলো। চরিত্র নির্ভর কাহিনী এক পর্যায়ে সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়লো। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মুক্তার। প্রত্যয়ী পরিশ্রমী যুবক সে। তার মায়ের নামে নামকরণ করা মনোহরী দোকান 'মোনোয়ারা স্টোর' চালায়। এক সময়ে রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকা এই নির্ভীক যুবক হঠাৎ রাজনীতির মাঠ থেকে মাথা নিচু করে বেরিয়ে যায়। পরিবারের অন্যান্য সদস্য হলেন তার মা, বাবা ইফতেখার জামান, ছোটভাই বাবলু। বাবলু দূর্দান্ত ফুটবল খেলোয়াড়। তার পায়ের জাদু দেখতে পুরো সিদ্ধিরগঞ্জ মুখিয়ে থাকে। তেমনি এলাকার লোকজন অপেক্ষায় আছে রাজনীতির মাঠে মুক্তারের প্রত্যাবর্তনের দিকে চেয়ে। এই উপন্যাসের অন্যতম একটি চরিত্র সুমনা। মা মরা মেয়ে বাবার সাথে থাকে। মুক্তারের প্রতি সুমনার মনে আলাদা একটা টান আছে। মুক্তারের সবকিছু তার ভালো লাগে। মুক্তার একথা জানে না। মুখফুটে বলার মত সাহস সুমনার নেই। মুক্তারের ঠিকানায় তার লেখা চিঠি জমতে জমতে পাহাড়সম হতে থাকে কিন্তু প্রাপকের ঠিকানায় তার একটাও পৌঁছে না। মফস্বলের এক লাজুক মেয়ে সুমনা যে নিজের ভিতর ভালোবাসার বীজ বুনে চলে প্রতিনিয়ত। উপন্যাসের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্র রেখা। মা ও প্রতিবন্ধি ভাইকে নিয়ে থাকে সে। আগে তাদের জীবন ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় তারা বাবা মারা গেলে পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। সেই অন্ধকারে আলোর দিশা নিয়ে রেখা পরিবারকে সামলে রাখে। সে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি জব্বার উকিলের চেম্বারে চাকরি নেয়। আমাদের সমাজে কিছু মানুষ থাকে যারা তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে যেকোন গর্হিত কাজ করতে পিছপা হয় না। তেমনি একটি চরিত্র জব্বার উকিল। বিভিন্ন চরিত্রের আবির্ভাবে আপাত দৃষ্টিতে কাহিনী কিছুটা এলোমেলো মনে হলেও এই সব চরিত্রের মিশেলে একটা গল্প তৈরি হয়েছে। যে গল্পে আছে রাজনীতি, খেলাধূলা, বিরহ, ভালোবাসা, স্মৃতিচারণ। মফস্বলের কিছু মানুষের গল্প যা আমাদের সমাজেরই রূপ তা অন্যরকম চোখে ধরা দেবে এই উপন্যাসে। পাঠ প্রতিক্রিয়া - সমকালীন সামাজিক ঘরানার উপন্যাস 'সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন'। উপন্যাসের নামকরণে রূপক ধর্মী নাম রাখা হয়েছে। সুয়া উড়িলো অর্থাৎ পাখি উড়ে গেলো। পাখি যেমন উড়ে যায় তেমনি আমাদের জীবন থেকে সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, বিরহ, ভালোবাসা উড়ে যায়। বাউল ফকির শীতালং শাহ এর একটা গানের লাইন থেকে নামটি নেওয়া হয়েছে। উপন্যাসের প্লট মফস্বল কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। এমনভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে যে বর্ণিত জায়গা গুলো আপনাকে তীব্রভাবে আকর্ষণ করবে। ঘোরাঘুরি করার লিস্টে সেসব স্থান যুক্ত হওয়ার অপেক্ষা রাখে না। উপন্যাসটি চরিত্র কেন্দ্রীক। চরিত্র গুলোকে প্রথমে আলাদা আলাদাভাবে তুলে ধরা হয়েছে তারপর ধাপে ধাপে তাদের একত্রিত করা হয়েছে। তবে লেখক এমনভাবে লিখেছেন যে বিষয়টা খাপছাড়া মনে হবে না। বেশি কিছু শক্তিশালী চরিত্রের আবির্ভাব উপন্যাসের দৃঢ়তা দান করেছে। ছোট ছোট অধ্যায়ে কাহিনী বর্ণিত, এতে করে পড়তে কিছুটা সুবিধা হয়। আমাদের মফস্বল শহর গুলো বা গ্রামের দিকে ফুটবল এখনো সমাধিক জনপ্রিয় খেলা। শহরের রাজনীতি ও মফস্বলের রাজনীতির মাঝে বেশ তফাৎ বিদ্যমান। উপন্যাসে জনপ্রিয় ফুটবল এবং মফস্বলের রাজনীতির অপূর্ব মেলবন্ধন বিশেষ কিছু পাঠককে আকৃষ্ট করবে। এমনকিছু বিষয় আছে যা এখন তুলনামূলক কম চর্চিত হলেও তা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তেমনকিছু মেয়েদের জগতের বিষয় পাঠককে স্মৃতিচারণে বাধ্য করবে। টুইস্টে ভরপুর ছিল পুরো উপন্যাস। পড়ার সাথে সাথে ভিন্নরকম অনুভূতি পাওয়া যাবে। সমাপ্তি সবসময় আকর্ষক হওয়া জরুরি যেনো পাঠকের মনে জায়গা করে নেয়। এক্ষেত্রে লেখককে সফল বলা যায়। পাঠকের চিন্তার কল্পনাতীত একটা সমাপ্তি উপন্যাসের পরিপূর্নতা দান করেছে। প্রচুর বানান ভুল ছিল। বর্ণনা ভঙ্গি সাবলীল হলেও বানান ভুলের মত ব্যাপার পাঠকের জন্য যেমন বিরক্তিকর তেমনি বইয়ের মান কমিয়ে দেয়। লেখকের প্রথম উপন্যাস হিসেবে খারাপ বলব না, ভালোই। আরেকটু সম্পাদনা করলে বেশ ভালো হতো। তবে একটা বিষয় হলো কমবেশি সব চরিত্রই প্রথম থেকে শেষ অবধি তাদের নিজ নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে। অর্থাৎ চরিত্রের অভ্যন্তরে কোন পরিবর্তন হয়নি। সামাজিক উপন্যাসে এমনটা হতেই পারে। বিশেষ মুহূর্তে চরিত্র গুলো তাদের সর্বোচ্চ রূপ প্রকাশ করেছে। পরিশেষে প্রচ্ছদের বিষয়ে একটু বলি। অসাধারণ একটা প্রচ্ছদ যা যেকোন পাঠককে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। প্রচ্ছদের ছবিটা ময়মনসিংহের বিখ্যাত 'শশী লজ' এর। যদি কেউ মফস্বলের গল্প পড়তে ভালোবাসেন সাথে রাজনীতি, খেলাধূলা ও রোমান্টিকতা পছন্দ করেন তবে তার জন্য উৎকৃষ্ট একটি উপন্যাস 'সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন'।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_পাঠক_সমাগম_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা মাসঃ জুলাই সপ্তাহঃ তৃতীয় সপ্তাহ পর্বঃ ১ বইয়ের নামঃ সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন লেখকঃ রাফিউজ্জামান সিফাত প্রকাশনীঃ আদী প্রকাশন পৃষ্ঠাঃ ১২০ মূল্যঃ ২০০ টাকা প্রচ্ছদঃ তারেক সালাহউদ্দিন মুদ্রিত মূল্য-২০০ #কাহিনী_সংক্ষেপঃ গল্পের শুরু সিদ্ধিরগঞ্জ নামের এক মফস্বল শহরে।রোজ বৃহস্পতিবার সুমনা ঠিক পাঁচটায় বেলকনিতে এসে যেখানে অপেক্ষা করে কখন মুক্তার সাইকেলে চেপে তার মুদির দোকানের দিকে যাবে, আর সেই ফাঁকে তার মুখখানা একবার দেখবে।মুক্তারের এই অগোছালো চেহারাটাই যেন সুমনার প্রাণ।এমন ছোট ছোট অনেক সাদামাটা চরিত্র।কারো স্বপ্ন ছাত্র রাজনীতি, কারো স্বপ্ন ফুটবল নিয়ে, দুর্দান্ত কৈশোর কেটেছে এমন মানুষ আজ আর তেমন উৎফুল্ল থাকেন না সংসারের ভার বহন করতে গিয়ে, আর কারো শুধু খেয়ে পড়ে জীবনটা পার করলেই হয়।এই একপৌরে জীবনে মেয়েরা ঘর কন্যার কাজের মধ্যে খুঁজে নিয়েছে শৌখিনতা, নতুন নতুন রান্নার রেসিপি নিয়ে কিংবা হাত ভর্তি মেহেদী দিয়ে অপেক্ষারত ভরদুপুরের চিত্র।পাড়ার-মহল্লার এ যেন আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক চিত্র। সহজ সবলীল একটা জীবনের চিত্র। মুক্তার যাকে নিয়ে গল্পের শুরু, সে দেখভাল করে 'মনোয়ারা সুপার স্টোর' -একটি মনিহারীর দোকানের। মুক্তারের আশেপাশে তার পরিচিত মহলের টুকরো চরিত্রগুলোই যেন একজন গল্পকথক একের পর এক চরিত্রের সাথে পরিচয়ের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছেন স্বাভাবিক একটা জীবনের উত্তরের খোঁজে।মা, বাবা ইফতেখার জামান আর ছোট ভাই বাবলু এই হলো মুক্তারের পরিবার। গল্পের অন্যতম নারী চরিত্র সুমনা।মুক্তারের প্রেমে যে পাগল প্রায়, বাবা গোলাম রাব্বানী।বাবার কাছে বড় সুমনা মা হারা। কিছুটা ভয় আর সংকোচ মুক্তারের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা প্রকাশে যেন বাঁধা। এদিকে বাবলু, মুক্তারেরই ছোট ভাই, শহরের আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা যাকে বলে সিদ্ধিরগঞ্জের ম্যারাডোনা, আর ব্রাজিল সমর্থকের কাছে যেন সাক্ষাৎ কালো মানিক পেলে।বাবলুর পরিচিতিতে বোঝাই যাচ্ছে ফুটবল খেলা যেন বাবলুর প্রাণ। আরেকটি নারী চরিত্র রেখা। যাকে বলে সরল রেখা।ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা মারা যায় হঠাৎ করে।পরিবার বলতে মা আর এক প্রতিবন্ধী ভাই আছে।সংসারের উপার্জনের দায়িত্ব এই মেয়েটির কাঁধে।জব্বার উকিলের চেম্বারে হিসাবপত্রের কাজ।ভাই ইকবাল প্রতিবন্ধী।তবু তাকে নিয়ে রেখার এক বুক স্বপ্ন। আছে সমাজের রাজনৈতিক অবস্থা, অর্থনৈতিক টানাপোড়নের মাঝে মধ্যবিত্ত পরিবারের টিকে থাকার আকুল আবেদন, ফুটবলপ্রীতি, অব্যক্ত ভালোবাসার সরল নিমন্ত্রণ।আর আছে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকা এক নারীর গল্প।আমাদের চেনা-জানা সমাজেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন। #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ একের ভেতর অনেক প্রেক্ষাপট, যদিও রাজনৈতিক প্রক্ষাপট-ই কাহিনীর মূল তবুও একটা ছোট মফস্বল শহরের অনেকগুলো মানুষ যার যার জায়গা থেকে প্রাণবন্ত ও স্বকীয়।তারুণ্যের শক্তির জয়গান সব থেকে আকর্ষণ করেছে। সকলের আলাদা আলাদা গল্প রয়েছে।যে গল্পটার নামই জীবন।যাকে তার জায়গা থেকেই শুধু সংজ্ঞায়িত করা যায়। সবথেকে ভালোদিক সব চরিত্র আলাদা করে বর্ণনা করা হয়েছে। নামের প্রতি আকর্ষণ থেকেই বইটি পড়া। বাউল গানের প্রতি লেখকের ব্যক্তিগত ভক্তিই নামকরণের কারণ হলেও কাহিনীর উপসংহার কিন্তু বলছে অন্য কথা।নামের মাঝেই আছে গল্পটা কেন সাধারণ জীবনের অসাধারণ মঞ্চায়ন।অবাক হতে হয় সেই জায়গা থেকেই। গল্পের প্লট নিয়ে কিছু বলি।গল্পের প্লট একেবারেই নতুন। ছকেবাঁধা সাধারণ জীবনের গল্প হলেও আপনি ঠিক চাইলেই অনুমান করতে পারবেন না এরপরে কি হতে চলেছে।এই ব্যাপারটা সত্যি প্রশংসনীয়। ছোট ছোট বাক্য এইটা ভালো দিক হলেও, ছোট ছোট অধ্যায় এইটা অতিরিক্ত আরামের দিক।কারণটা বলি। একটা কি দুইটা অধ্যায় পড়ে আপনি রেখে দিতে পারলেন।আরামের সাথে আবার গল্পের ভেতরে সহজেই ঢুকে যেতে পারবেন। গল্পটা খুব ঝরঝরে, সতেজ। গল্পটা কখনো প্রেমিকার লালিত ভবিষ্যতের, কখনো রিটায়ার্ড বাবার, কখনো দায়িত্ব কাঁধে নেয়া মেয়ের, ভবিষ্যৎ ফুটবলারের, ক্ষমতার লোভী রাজনীতিকের, মায়ের মমতার।আর তাই কোন না কোনভাবে মিলেই যেন যায় আমাদের সাথে।ইকবাল আর রেখার ভাই-বোনের সম্পর্ক আমার খুব মনে ধরেছে।মা হিসেবে মনোয়ারা মমতাময়ী আশ্রয়। প্রুফ রিডিং-এ বেশ সমস্যা ছিল।বানান ভুল সবসময়ই দৃষ্টিকটু।তবে মার্জিনটা ভালো না।আমার পুস্তকটাই কিনা তা জানিনা লেখা যেন পৃষ্ঠা থেকে বেরিয়ে যেতে চাচ্ছে।তবে লেখনির কোথাও খাপছাড়া, খামখেয়ালি বা ছন্দপতন চোখে পড়ে নি l ফুটবল প্রেমীদের জন্য ভালো বই হলেও সারাটা বই জুড়ে রাজনীতি আর ফুটবলই যেন খেলেছি।কোথায় যেন লেখক এই সব খেলা আর জীবনের খেলাঘর এককরতে চেয়েছেন বলে মনে হয়েছে। যদিও পাঠকের জন্য প্রচ্ছদ একটা বড় আকর্ষণ।সেই অনুভূতি থেকে বলি সবুজ সতেজ প্রাকৃতিক পরিবেশের একটা ফিলিংস আছে যেটা অনেকদিন ধরে খুজছিলাম।খুব সুন্দর।মনোরম। খুব মজার একটা দিক বলি। এক নং অধ্যায় পড়লে মুক্তার আর সুমনা কে চেনা যায়।দুই পড়লে বাবুলকে।কিন্তু একটার সাথে আরেকটা গল্পের সংযোগ হলো চার-পাঁচ করে এগোতে থাকলে বুঝবেন পেছনে কারো না কারো অতীতের টুইস্ট আছে।গল্পের শেষে আছে চমক।ভালো-মন্দ মিশিয়ে হলেও তৃপ্তির একটা স্বাদ আছে।সুমনার জন্য মনটা খুব খারাপ লেগেছে। ফুরফুরে আমেজ আছে শেষটায় সিলেটের বাউল ফকির শীতলং শাহের গানের মতোই --- ''সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন।...........'' #পার্সোনাল_রেটিং :৮.৫/১০ রুপন্তি সাহরিন
Was this review helpful to you?
or
After a long time I have read a book with huge interest and attraction after reading the first page of the book. And i surprised that i finished it within 3 hours and with out any break. The story was full of thriller, rural love, excitement and curiosity. The writer's writing quality is matured enough, simple and tidy. I wish successful mission of সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন.
Was this review helpful to you?
or
রাফিউজ্জামান সিফাত এর সাবলিল লেখার ধরনেই তার সব গুলো লেখা নিজের গল্প বলে মনে হয়। এই বই অর্থাৎ তার প্রথম উপন্যাস এর মাঝেও সেই ব্যাপারটি পরিলিখিত হয়েছে। পড়তে পড়তে চরিত্র মুক্তার হয়ে উঠেছিলো আমার অন্যরকম আপন সত্যা। কখনো বা সুমনার মনের কথা গুলো বলে ঊঠছিলো আমার মন। ভালো লেগেছে সহজে মাথার ভেতরে চরিত্র গুলোকে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য। এছাড়া ফুটবলের অংশটির বর্ননার মাঝেও লেখক নিপুনতা দেখিছেন। রাজনীতি, প্রেম, মতাদর্শ ও নানা টানটান উত্তেজনা বজায় রাখা মূহূর্ত করেছে উপন্যাসটিকে আরো আকর্ষনীয়। আমাকে আমার মফসস্বল শহরে বেড়ে ঊঠার অনুভূতি ফিরিয়ে দিতে পেরেছে, প্রেমে পড়ার মূহূর্তগুলোকে মনে করিয়ে দিয়েছে। হয়তো এটাই লেখকের অন্যতম সার্থকতা। অনেক শুভ কামনা রইলো ও আশা রাখি এমন উপন্যাস তার কাছ থেকে নিয়োমিত পাবো। শুয়া উড়ুক.....আরো উপড়ে উড়ুক।
Was this review helpful to you?
or
হৃদয়গ্রাহী, মার্জিত এবং সাবলীল লেখনী। পরিপূর্ণ বাঙালিয়ানায় সম্মৃদ্ধ উপন্যাস। এই ফাগুনে নিজেকে এবং প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য উত্তম একটি বই। লেখকের দীর্ঘায়ু কামনা করি এবং প্রতি বছর যেন তিনি এই ভাবেই পাঠকদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সৃষ্টিকর্ম উপহার দিয়ে যান সেই আশা করি
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটি পড়ে ভালো লেগেছে। এক কিশোরী মেয়ের প্রেমে পড়বার মুহুর্ত, রাজনৈতিক পরিমন্ডলে দুই যুবকের ভিন্নধর্মী জীবন, ফুটবল প্রেমী বালক, অতীতে বুকে চলে ফেরা কিছু মানুষ, লড়াকু এক তরুনী। গল্পের ভিতর গল্প, কৌতূহল , উত্তেজনা। অসাধারণ এক উপন্যাস- সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন :)
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই- সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন লেখক-রাফিউজ্জামান সিফাত ধরন-উপন্যাস পৃষ্ঠা-১২০ মূল্য-২০০ প্রচ্ছদ-তারেক সালাহউদ্দিন আদী প্রকাশন প্রকাশ-২০১৭ সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন, সিদ্ধিরগঞ্জ নামে এক শহরের গল্প। লেখক গল্পে যে চিত্র এঁকেছেন তা হলো একটা মফস্বল শহর। প্রতিটা মানুষ নিজের নিজের মতো। তাদের মধ্য থেকে তিনি কিছু চরিত্র বের করে এনেছেন। সময় টা তখনকার যখন এখনকার মতো মানুষ এতটা যান্ত্রিক ছিলো না।ফোন, ফেইসবুক, ভাইবার, হোয়াটসএ্যাপ এর মতো ভার্চুয়াল জীবনে অভ্যস্ত ছিলো না। ছেলে গুলো তখন মেতে থাকত রাজনীতি আর ফুটবল নিয়ে। আর মেয়েরা ঘর কন্যার কাজ বা নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে। সহজ সবলীল একটা জীবনের চিত্র। কেন্দ্রীয় চরিত্রে দাড় করানো যায় মুক্তার নামে এক যুবককে। লেখক তাকে প্রথমেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তবে মুক্তারের পরেই যার পরিচয় মিলে সে হলো সুমনা। গল্পের নারী চরিত্রের অন্যতম। লেখক উপন্যাসে এই নারীর ভালবাসার একটা আঁচল ছড়িয়ে দিয়েছেন। সংসারে মা নেই, বাবা গোলাম রাব্বানীর কাছে সে বড় হয়। সুমনা ভালোবাসে মুক্তারকে, কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না। কিছুটা ভয়, আর অনেকটা সংকোচে। মুক্তারের একটা মনোহরি দোকান আছে, নাম মনোয়ারা সুপার স্টোর। মায়ের নামে দোকান। মা ছাড়াও পরিবারে আছে তার বাবা ইফতেখার জামান আর ছোট ভাই বাবলু। সিদ্ধিরগঞ্জ শহরের মানুষ যে ফুটবলারের পায়ের জাদু দেখার জন্য অধীর আগ্রহ প্রকাশ করে সে হলো বাবলু। এইতো হলো শুরু, গল্পের পথে দেখা হয় রেখার সাথে। এ এক পোড় খাওয়া চরিত্র। পুরো উপন্যাসে নিবে যাবে যাবে করেও জ্বলে থাকে শেষ পর্যন্ত। বাবা মারা যায় হঠাৎ করেই। সংসারে মা আর এক প্রতিবন্ধী ভাই আছে। ভেঙ্গে যাওয়া সংসারের হাল ধরতেই সে কাজ নেয় জাব্বার উকিলের চেম্বারে। ভাই ইকবাল প্রতিবন্ধী হলেও রেখা তাকে পড়াশোনা করাতে চায়। স্কুলে ভর্তি করাতে গেলে শিক্ষকরা তাকে ফিরিয়ে দেয়। পরে জাব্বার উকিলের ছেলে জাফর মোল্লার কথায় শিক্ষক রাজি হন ভর্তি করাতে। অনেকটা কৃতজ্ঞতার বশেই রেখা তখন থেকেই জাফরের অধীন। একটা সম্পর্কের চিত্রও উপন্যাসে লেখক তুলে ধরেন। সমাজে কিছু মানুষ তার প্রতিপত্তির জোরে সব কিছু দখল করে নিতে পারে। তেমনি একটা চরিত্র হলো জব্বার উকিল। শোনা যায় উকালতিটা তিনি শিখেছিলেন তাঁর শ্বশুরের কাছে। এরকম প্রতিপত্তির জোরেই মোল্লাবাড়ির নাম ডাক। এই জব্বার মোল্লা একরকম কুড়িয়ে এনেছিলো আলীকে। এদের নিয়ে গল্পের চলাফেরা। কিন্তু গল্পের ভেতরেও যেমন গল্প থাকে, এই চরিত্র গুলো দিয়েই লেখক তৈরি করেছেন ভেতরকার গল্প। অতীতের গল্প। অতীতের সাথে বর্তমানের এক গল্প থেকে অন্য গল্পের সেতু। আরো কিছু চরিত্রও যোগ হয়েছে তাতে। উপন্যাস ধীর লয়ের, এতে স্থান পেয়েছে রাজনৈতিক অবস্থা, ফুটবলপ্রীতি, অমলিন ভালোবাসা। আর ঘাতে প্রতিঘাতে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকা এক নারীর গল্প। রাজনৈতিক প্রক্ষাপটেই লেখক তুলে ধরেছেন গল্পের মূল অংশ। তবে শেষ পর্যন্ত লেখক কতটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন তাহলো পাঠকের কাছে। নামকরণ নিয়ে কিছুটা অবাক হতে হয়। ব্যক্তিগত ভাবে লেখক বাউল গানের ভক্ত। তিনি মূলত নামে চমক আনতে চেয়েছেন। ব্যপারটা এমন যে, ঘ্রাণ শুনেই উপলব্ধি করার মতো। গল্পের একটা সুক্ষ আভা যেন গল্পের নামে পাওয়া যায়। কারো কারো নিজের জীবনের আলোতে অন্যকে আলোকিত করার মতো ব্যাপার। সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন, কথা গুলো হলো সিলেটের বাউল ফকির শীতলং শাহের গানের। তবে গল্পের প্লট একেবারেই নতুন। আপনি চাইলেই পরের পৃষ্ঠা আন্দাজ করতে পারবেন না। গল্পের শেষে ধীর চমক আছে। সব থেকে বড় কথা চরিত্রে কোন হুমায়ূনীয় ছাপ নেই। চরিত্র গুলোকে শেষ পর্যন্ত একটা দিক নির্দশনা লেখক দিতে পেরেছেন। আরেকটা কথা না বললেই নয়, চরিত্র গুলো একেকজন নিজ জায়গা থেকে উজ্জ্বল এবং দৃঢ়। কোথাও কোন ফাঁক ফোকর নেই। এভাবে দেখতে গেলে চরিত্র তৈরীতেও লেখক বেশ সচেতন ছিলেন। মা হিসেবে মনোয়ারা চরিত্র আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। প্রচ্ছদ বেশ সুন্দর।এটা ময়মনসিংহের রাজবাড়ির পুকুর ঘাট। সত্যিই সুন্দর। কেমন জানি পুরো সবুজে সতেজ সতেজ ভাব। ২০১৬ সালে লেখকের একটা ছোট গল্প সংকলন প্রকাশিত হয়েছিলো, নাম "সে আমার গোপন"।২০১৭ সালে দ্বিতীয় বই এবং প্রথম উপন্যাস হিসেবে "সুয়া উড়িলো উড়িলো জীবেরও জীবন প্রকাশিত হয়"। গল্পে লেখকের কোন প্রকার খাপছাড়া প্রকাশ পায় নি, সে হিসেবে প্রুফ রিডিং এ বেশ কিছুটা প্রবলেম ছিলো। বানান ভুল ছিলো প্রচুর। কিছু লাইনের হেরফের ছিলো। প্রথম উপন্যাস হিসেব গল্পের প্লট এবং চরিত্র বেশ পছন্দ হয়েছে। যদিও লেখক রাজনীতির সাথে ফুটবলটাও তুলে ধরেছেন, তবুও কেন জানি রাজনীতিটাই বেশি ফোকাস করবে পাঠকের কাছে। সব মিলে আমি গল্পের ইন্ডিং এ সন্তুষ্ট, তবুও একটুকরো ফাঁকা বাতাসের অভাব বোধ করেছি। তবে মন্দের ভালো একটা কথা আছে। অনেকটা সে রকম। চিঠি লিখে জমাবার ব্যপারটা আমার ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
দারুন একটা বই , পুরোপুরি রোমান্টিক ঘরানার নয় , তবে বৈচিত্রময় এক একটি চরিত্র । খুব ভালো লাগসে পড়ে । অনেকদিন পর এমন একটা উপন্যাস পড়লাম যেন সব চোখের সামনে ভাসছে !!! অসংখ্য ধন্যবাদ এই উপন্যাসটির জন্য লেখক ও প্রকাশক কে !!
Was this review helpful to you?
or
পরিপাটী ও সাবলীল লেখনী। ৪/৫ পৃষ্ঠার পর থেকেই কৌতুহল নিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম , তারপর এক নি:শ্বাসে শেষ করলাম , অসাধারন লাগলো। বহুদিন পর এরকম মফস্বল শহরের জীবন নিয়ে কোনো সুন্দর গল্প পেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখক'কে।