User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
জ্যাক এন্ড জিল বইটি অ্যালেক্স ক্রস সিরিজের ৩য় বই। অ্যালেক্স ক্রস একজন তুখোড় গোয়েন্দা। কিন্তু এই তুখোড় গোয়েন্দাকে টক্কর দিতে আসলো জ্যাক এন্ড জিল নামক দুই তুখোড় খুনি। একের পর এক খুন করে যারা বারবারই থেকে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাইরে। খুন করে জ্যাক এন্ড জিল পালিয়ে যেত লোকচক্ষুর আড়ালে। তাদের টিকিরও সন্ধান পেত না গোয়েন্দা পুলিশ। শুধু পেত প্রতিটা খুনের পরে তাদের রেখে যাওয়া একটা নোট। আর সে নোট টাতে কি লেখা থাকতো? বইটা পড়ে আপনারাই জেনে নিন না! তুফান গতির এই থ্রিলার মিস করবেন কেন? বেশ সাজানো গোছানো এক গল্প ফেঁদেছেন জেমস প্যাটারসন। একের পর এক মাথা ঘুরিয়ে দেয়া টুইস্ট। পাঠকরা নিশ্চিন্তে পড়ে ফেলতে পারেন। প্রতিটা অধ্যায়ের শেষে দারুণ দারুণ সব পাঞ্চ লাইন।
Was this review helpful to you?
or
বই : জ্যাক অ্যান্ড জিল লেখক : জেমস প্যাটারসন অনুবাদক : সাঈদ শিহাব প্রকাশনি : আদি প্রকাশন মূল্য : ৩০০ টাকা (মূদ্রিত) প্রচ্ছদ : অনিক বীভৎস ভাবে খুন হলো সোজর্নার ট্রুথ স্কুলের প্রথম গ্রেডের একজন ছাত্রী। খুনি এমনই একজন যে নিজেকে সবার সেরা বলে মানে,যার মাথাতে সব সময় চলতে থাকে হ্যাপি,হ্যাপি,জয়,জয় খুন করে সে থাকতে চাই সবসময় লাইম লাইটে। কিছুটা সাইকো টাইপের খুনি। তদন্তে ডাকা হলো হেমোসাইড গোয়েন্দা ডক্টর এ্যালেক্স ক্রস কে। অথচ এই ঘটনার কুল কিনারা করার আগেই ওয়াশিংটন ডিসির অন্য প্রান্তে খুন হলো বিতর্কিত এক মার্কিন সিনেটর ড্যানিয়েল ফিটসপ্যাট্রিক। এই খুনের মাধ্যমেই ওয়াশিংটন ডিসিতে আবির্ভাব হলো একজোড়া খুনির। যারা নিজেদেরকে জ্যাক এন্ড জিল নামেই তুলে ধরেছে সবার সামনে। যারা রচনা করতে চায় মার্কিন মুলুকে এক নতুন ইতিহাস। সিনেটরের খুনে চাপা পড়ে গেলো সোজর্নার ট্রুথ স্কুলের খুনের ঘটনা, পেপার মিডিয়া সব জায়গায় সিনেটর কে নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয়েছে,রেগে গেলো খুনি,সে চায় সবাই তাকে নিয়ে ভাবুক,তার খুনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করুক। নতুন উদ্যমে আরো নিষ্টুরতার সাথে নেমে পড়লো সে খুনের নেশায়। ওদিকে জ্যাক আর জিলও বসে নেই । তারাও নিখুঁত ভাবে একের পর এক বিখ্যাত ব্যক্তিকে টার্গেট করে খু্ন করতে লাগলো। খুনের শেষে ছোট্র একটি চিরকুট রেখে জানান দিতে থাকলো তাদের ক্ষমতার কথা। এই খেলায় কোনো সূত্র ছাড়াই তারা একের পর এক খুন করতে লাগলো। " জ্যাক এন্ড জিলের খেলায় নোবডি ইজ সেফ এনিমোর-নোবডি " শেষ পর্যন্ত তাদের টার্গেট হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট, নড়েচড়ে বসলো হোয়াইট হাউজ,এফবি আই, সিক্রেট সার্ভিস, সি আই এ। রীতিমত টেলিফোন করে সরাসরি প্রেসিডেন্ট কে খুনের হুমকি দিলো জ্যাক এন্ড জিল! কেনো তারা এই নিষ্ঠুরতার খেলায় মেতেছে? কে জড়িত আছে এর সাথে? শেষ পর্যন্ত কি এ্যালেক্স ক্রস পারবে বাঁচাতে প্রেসিডেন্ট কে? সোজর্নার ট্রুথ স্কুলের খুনি কে? তার সাথে কি জ্যাক আর জিলের কোনো যোগাযোগ আছে? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এই বইতে। ব্যক্তিগত মতামত : এ্যালেক্স ক্রস সিরিজের এটিই আমার পড়া প্রথম বই। বইটা মূলত মার্ডার মিস্ট্রি টাইপের। লেখক দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে নিয়েছেন কাহিনী,একের পর এক রহস্যের জন্ম দিয়েছেন,সেই সাথে টুইস্টের সমাবেশ। পুরো বইটি জুড়ে রয়েছে অনেক গুলো খুনের ঘটনা। মুখোশের আড়ালে আছে অনেক মুখোশ। আপাততো দৃষ্টিতে যাকে রক্ষাকর্তা মনে হবে দেখা যাচ্ছে পেছন থেকে ছুরিটা সেই মারছে। এসব ঘটনার তদন্তে দেখা গেছে সিক্রেট সার্ভিস, সি আইডি সহ বিভিন্ন সংস্থাকে । আর তাদের সাথে আছে প্রধান চরিত্র এ্যালেক্সে। রহস্যের সাথে সাথে অ্যাকশন ও আছে ভরপুর, সাথে কিছুটা রোমান্স ও যোগ করেছেন লেখক। তবে প্যাটারসন সাহেব ফিনিশিং দিতে গিয়ে একদমই হতাশ করেছেন আমাকে। মার্ডার মিস্ট্রি পড়তে গিয়ে যদি শেষ পর্যন্ত আপনি জানতেই না পারেন,কে করলো এতো কিছু,তাহলে বইটা পড়া বৃথা মনে হবে। পুরো বইটা জুড়ে যেই খুনির সন্ধান করা হয়েছে তাদের কে লেখক পুরোপুরি পরিষ্কার করে দেখান নি। শুধু মাত্র এই জন্যই প্যাটারসন সাহেবের উপর প্রচন্ড রাগ রয়েছে। অনুবাদের মান অনেক ভালো। সাঈদ সিহাব অনেক সুন্দর অনুবাদ করেছেন। বইটাতে তেমন কোনো ভুল চোখে পড়েনি। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি বই। রেটিং : 4/5
Was this review helpful to you?
or
ওয়াশিংটন ডিসি তে খুন নিয়ে সাজানো কাহিনী । গল্প সাবলীল , আকর্ষণীয় । অনুবাদ আরও ভাল হতে পারতো । সামগ্রিকভাবে ৩/৫
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ ওয়াশিংটন ডিসি। বেছে বেছে সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি খুন হতে লাগলেন। খুনের পদ্ধতি রীতিমতো নৃশংস। খুনি একজন না, বরং এক জোড়া - দুজন। জ্যাক অ্যান্ড জিল নামে নিজেদের পরিচয় দেয় তারা। শুধু খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি এই জুটি, বরং প্রত্যেকটা খুনের জায়গায় ফেলে আসতে লাগলো আত্মম্ভরিতায় পরিপূর্ণ কবিতা। এ যেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জন্য রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার মতো। ওয়াশিংটন ডিসির সোজর্নার ট্রুথ স্কুল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ এক আতঙ্ক। ম্যানিয়াক এক খুনি কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চাদেরকে নৃশংসভাবে খুন করে চলেছে। নিজেকে পরিচয় দিচ্ছে 'নোবডি' হিসেবে। স্কুলের শিক্ষকরা, বাচ্চারা ও তাদের অভিভাবকদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়া এই জঘন্য শিশুহত্যাকারী যেন যেকোন মূল্যে নিজেকে জাহির করার চেষ্টায় আছে। সোজর্নার ট্রুথ স্কুলের আশেপাশের বাসিন্দাদের প্রত্যেকটা মুহূর্ত হয়ে পড়েছে দুশ্চিন্তাময়। আমেরিকার শহর থেকে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক উন্মাদ ফটোসাংবাদিক। খুন হচ্ছে মানুষ। খুনের কোন সুনির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে কিনা তাও বোঝা যাচ্ছেনা। এই দয়ামায়াহীন ফটোসাংবাদিক সবাইকে অন্ধকারে রেখেই যেন এগিয়ে যাচ্ছে নিজের অভীষ্ট পূরণের লক্ষ্যে। একের পর এক সিরিয়াল কিলারের তাণ্ডবই শেষ কথা না। ওয়াশিংটন ডিসির অধিবাসী সহ পুরো আমেরিকার জনগণের টনক নড়ে উঠলো যখন বোঝা গেলো জ্যাক অ্যান্ড জিল ধীরে ধীরে স্বয়ং মি. প্রেসিডেন্টকে তাদের টার্গেট পয়েন্টে রেখেছে। হোমিসাইড ডিটেকটিভ অ্যালেক্স ক্রস ও তার টিম স্বাভাবিকভাবেই জড়িয়ে গেলো উদ্ভূত এই পরিস্থিতির সঙ্গে। শুধুমাত্র ওয়াশিংটন ডিসিই না, বরং ক্রস সহ অন্যান্যদের তৎপরতা চলতে থাকলো নিউইয়র্কেও। জ্যাক অ্যান্ড জিল তো থাকলোই, আর সেই সাথে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভুঁইফোড় শিশুহত্যাকারী। অ্যালেক্স ক্রস আর এইসব দুর্বৃত্তদের মধ্যে জমে উঠলো দারুন এক শ্বাসরুদ্ধকর খেলা। যেটাকে এক কথায় ইঁদুর-বিড়াল খেলা বললেও বোধহয় ভুল হবেনা। পাঠ প্রতিক্রিয়া : জেমস প্যাটারসনের বই বরাবরই আমার খুব পছন্দের। তাঁর জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র আমেরিকার গণ্ডিতেই আবদ্ধ নেই, বরং সারা পৃথিবীর সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার প্রেমীদের কাছে তাঁর বইগুলো ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে তাঁর সৃষ্ট অ্যালেক্স ক্রস সিরিজ, ওমেন'স মার্ডার ক্লাব সিরিজ, প্রাইভেট সিরিজ, মাইকেল বেনেট, ম্যাক্সিমাম রাইড অতি জনপ্রিয়। 'জ্যাক অ্যান্ড জিল' লেখকের অ্যালেক্স ক্রস সিরিজের তৃতীয় বই। ১৯৯৬ সালে এটা প্রকাশিত হয়। এর আগের দুটো বই 'অ্যালং কেইম এ স্পাইডার' এবং 'কিস দ্য গার্লস' পড়েছি অনেক আগেই। সেই সময় থেকেই আসলে প্যাটারসনের লেখার প্রতি মুগ্ধতার শুরু। অ্যালেক্স ক্রস বিষয়ক এই উপন্যাসটাতে লেখক আবারো একটা রোমাঞ্চকর কাহিনির অবতারণা করেছেন। এক নয়, বরং একাধিক সাইকোপ্যাথ খুনির চাতুর্যময় কার্যক্রম আর তাদেরকে থামানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া একজন হোমিসাইড ডিটেকটিভের দিন রাত এক করে ফেলাকে বেশ সুন্দরভাবে নিজের লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। 'জ্যাক অ্যান্ড জিল'-এর সবচেয়ে যে বিষয়টা আমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে তা হলো অকস্মাৎ উপস্থিত হওয়া টুইস্টগুলো। একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত এইসব টুইস্ট আমার পাঠের আনন্দে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা। এই থ্রিলার উপন্যাসের শেষটাতেও ছিলো আরেক রহস্যের উদিত হওয়ার সঙ্কেত। সেটার ব্যাপারে আর বিস্তারিত না-ই বা বললাম। পাঠক পড়লেই বুঝতে পারবেন। অনুবাদক সাঈদ শিহাবের এর আগের রূপান্তরকর্ম 'দ্য ইনোসেন্ট' ও 'থেরাপি' পড়া হয়েছে আমার। আগের কাজগুলোর মতো 'জ্যাক অ্যান্ড জিল'-এও ছিলো সাবলীলতার ছোঁয়া। পড়তে গিয়ে কোথাও কাঠখোট্টা লাগছে এমন মনে হয়নি। তবে একটা জিনিস সামান্য চোখে লেগেছে। বেশ অনেকগুলো স্থানে খেয়াল করেছি দুটো ভিন্ন ভিন্ন শব্দের মাঝে প্রয়োজনীয় স্পেস দেয়া নেই। যে কারণে দুটো শব্দ একই মাত্রায় হয়ে গেছে। ব্যাপারটাতে খেয়াল রাখা উচিৎ ছিলো। এসব ছাড়াও ছোটখাটো প্রিন্টিং মিসটেক তো ছিলোই। যাই হোক, পরবর্তী মুদ্রণের আগে এসব ভুলভ্রান্তি শুধরে নেয়া হবে এমনটাই আশা। সামিউল ইসলাম অনিকের করা প্রচ্ছদ ভালো লেগেছে। বাঁধাই এবং কাগজের মান নিয়েও কোন কমপ্লেইন নেই। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার প্রেমীরা পড়ে ফেলতে পারেন 'জ্যাক অ্যান্ড জিল।
Was this review helpful to you?
or
বই : জ্যাক অ্যান্ড জিল। মূল : জেমস প্যাটারসন। অনুবাদ : সাঈদ শিহাব। প্রকাশনী : আদী। প্রচ্ছদ : অনিক। মূল্য : ৩০০ টাকা। জনরা : থ্রিলার। #কাহিনী_সংক্ষেপ আমেরিকার ইতিহাসে লেখা হতে যাচ্ছে এক নতুন কাহিনী। যে নাটক টা মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে, অনেকেই এটাকে নাটুকে বলবে, যার মূল অভিনেতা হচ্ছে জ্যাক। সে নিজের পরিচয় দেয় স্যাম হ্যারিসন বলে। যদিও সে স্যামও নয়, হ্যারিসনও নয়। তার কাঁধের ব্যাগ টা এদিক ওদিক দুলছে। ভেতরে একটা ক্যামকর্ডার আছে। ইতিহাস লেখা হতে যাচ্ছে! যতটুক সম্ভব ভিডিও করে রাখতে চায় সে। তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ থাকা উচিত। ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে চলছে - শতাব্দীর শেষ প্রান্তে পৌঁছে আমেরিকা আজ ধ্বংসের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক বারোটা বাজার দশ মিনিট আগে আমেরিকান সিনেটর ড্যানিয়েল ফিটসপ্যাট্রিকের অ্যাপার্টমেন্টের এসে দাঁড়াল স্যাম। দরজা খুলে গেল। "জ্যাক" ফিসফিসিয়ে বললো রমণী। "জিল" হেসে উত্তর দিলো স্যাম। খাটের সাথে বেঁধে রাখা সিনেটরের কয়েক ইঞ্চি দূর থেকে গুলি করল সে। পরপর দুইবার। রচিত হলো ইতিহাস। খেলা শুরু হয়ে গেছে। জ্যাক অ্যান্ড জিল। ওদিকে ওয়াশিংটনের অন্য প্রান্তে গারফিল্ড পার্কে খুন হয় ছয় বছরের ছোট্ট এক কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চামেয়ে! তদন্তে নামে ওয়াশিংটন পুলিশের চীফ অ্যালেক্স ক্রস ও তার বন্ধ স্যাম্পসন। কিন্তু কোনো ক্লু ই খুঁজে পায় না! কে এই খুনি? সে কি চায়? নিজের ক্ষমতার প্রদর্শন করতে? নাকি সে জ্যাক অ্যান্ড জিলকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে? তারা কি শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নেমেছে? নাকি ওয়াশিংটন পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে? পাঁচ দিনের মাথায় তারা তাদের দ্বিতীয় খুন টা করল! ন্যাটালি শিহান, সুন্দরী সংবাদ পাঠিকাকে। জ্যাক অ্যান্ড জিলের তৃতীয় শিকার হলো মাইকেল রবিনসন, হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা। একটা খুনের রহস্য সুরাহা করার আগেই কাঁধে এসে পড়েছে আরো দুইটা খুনের রহস্য! ড্রাগনস্লেয়ার নামে খ্যাত অ্যালেক্সকে ডাকা হয়েছে হোয়াইট হাউজে! ব্যাপার কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝাই যাচ্ছে। হোয়াইট হাউজে একত্রিত হয়েছে- ড্রাগনস্লেয়ার খ্যাত ওয়াশিংটন পুলিশের চীফ অ্যালেক্স, সিক্রেট সার্ভিস এর এজেন্ট অ্যানা রেপার ও মাইকেল ফেসকো, এফবিআইর ডিরেক্টর হ্যাটফিল্ড, মার্কিন সেনাবাহিনীর জেনারেল অ্যাইডেন কর্নওয়াল , জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল কেইন এবং হোয়াইট হাউজের চীফ অব স্টাফ ডন হ্যামারম্যানসহ সিআইএ এর ইনস্পেকটর জেনারেল জিন স্ট্রালিং। তারা কি পারবে এই খুনের রহস্যভেদ করতে? খুঁজে বের করতে পারবে কি জ্যাক অ্যান্ড জিল নামের খুনিদের? আর গারফিল্ডের খুনের সাথেই বা এর কি রহস্য? উন্মোচন করতে পারবে কি অ্যালেক্স ক্রস? সময় কিন্তু খুবই কম! সে পারবে কি? #পাঠপ্রতিক্রিয়া আমি চরম বিরক্ত প্যাটারসনের উপরে! সে একটা জঘন্য । এমন একটা টানটান উত্তেজনাকর বইয়ের এন্ডিং এমন বাজে হয় কি করে! নিঃশ্বাস বন্ধ করে পড়েছি! অথচ সমাপ্তি টা আমাকে হতাশ করেছে। সমাপ্তি আমার একটুও পছন্দ হয়নি। অনুবাদক খুব ভালো কাজ করলেও ঘাপলা করছে প্রকাশনা সংস্থা। বানানের অবস্থা যাচ্ছেতাই! আর এরা স্পেসের এর ব্যবহার টাই হয়ত ঠিক জানেনা। দুই তিনটা শব্দ এক সাথে জোড়া লেগে গেছে। কোনটা যে কি বুঝতে হিমসিম খেতে হয়েছে। কারণ আমেরিকা আমার জন্মভূমি নয় যে তার সব রাস্তাঘাট, পার্ক এভিনিউ বা প্রতিষ্ঠান সমূহের নামধাম আমার জানা থাকবে! এই ব্যাপার টায় তাদের সচেতন হওয়া উচিত। এছাড়া তাদের বইয়ের প্রচ্ছদ, বাঁধাই আর পেজ যথেষ্ট সুন্দর। সো গাইজ বি কেয়ারফুল। এত্ত কিছুর পরেও কেনো জানি বইটা আমার খুব ভালো লেগেছে। পাঠক চাইলে পড়ে দেখতে পারেন। দারুণ থ্রিল পাবেন। বই হোক ভালোবাসার প্রতীক।
Was this review helpful to you?
or
ওয়াশিংটন ডিসি। বেছে বেছে সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি খুন হতে লাগলেন। খুনের পদ্ধতি রীতিমতো নৃশংস। খুনি একজন না, বরং এক জোড়া - দুজন। জ্যাক অ্যান্ড জিল নামে নিজেদের পরিচয় দেয় তারা। শুধু খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি এই জুটি, বরং প্রত্যেকটা খুনের জায়গায় ফেলে আসতে লাগলো আত্মম্ভরিতায় পরিপূর্ণ কবিতা। এ যেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জন্য রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার মতো। ওয়াশিংটন ডিসির সোজর্নার ট্রুথ স্কুল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ এক আতঙ্ক। ম্যানিয়াক এক খুনি কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চাদেরকে নৃশংসভাবে খুন করে চলেছে। নিজেকে পরিচয় দিচ্ছে 'নোবডি' হিসেবে। স্কুলের শিক্ষকরা, বাচ্চারা ও তাদের অভিভাবকদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়া এই জঘন্য শিশুহত্যাকারী যেন যেকোন মূল্যে নিজেকে জাহির করার চেষ্টায় আছে। সোজর্নার ট্রুথ স্কুলের আশেপাশের বাসিন্দাদের প্রত্যেকটা মুহূর্ত হয়ে পড়েছে দুশ্চিন্তাময়। আমেরিকার শহর থেকে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক উন্মাদ ফটোসাংবাদিক। খুন হচ্ছে মানুষ। খুনের কোন সুনির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে কিনা তাও বোঝা যাচ্ছেনা। এই দয়ামায়াহীন ফটোসাংবাদিক সবাইকে অন্ধকারে রেখেই যেন এগিয়ে যাচ্ছে নিজের অভীষ্ট পূরণের লক্ষ্যে। একের পর এক সিরিয়াল কিলারের তাণ্ডবই শেষ কথা না। ওয়াশিংটন ডিসির অধিবাসী সহ পুরো আমেরিকার জনগণের টনক নড়ে উঠলো যখন বোঝা গেলো জ্যাক অ্যান্ড জিল ধীরে ধীরে স্বয়ং মি. প্রেসিডেন্টকে তাদের টার্গেট পয়েন্টে রেখেছে। হোমিসাইড ডিটেকটিভ অ্যালেক্স ক্রস ও তার টিম স্বাভাবিকভাবেই জড়িয়ে গেলো উদ্ভূত এই পরিস্থিতির সঙ্গে। শুধুমাত্র ওয়াশিংটন ডিসিই না, বরং ক্রস সহ অন্যান্যদের তৎপরতা চলতে থাকলো নিউইয়র্কেও। জ্যাক অ্যান্ড জিল তো থাকলোই, আর সেই সাথে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভুঁইফোড় শিশুহত্যাকারী। অ্যালেক্স ক্রস আর এইসব দুর্বৃত্তদের মধ্যে জমে উঠলো দারুন এক শ্বাসরুদ্ধকর খেলা। যেটাকে এক কথায় ইঁদুর-বিড়াল খেলা বললেও বোধহয় ভুল হবেনা। পাঠ প্রতিক্রিয়া : জেমস প্যাটারসনের বই বরাবরই আমার খুব পছন্দের। তাঁর জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র আমেরিকার গণ্ডিতেই আবদ্ধ নেই, বরং সারা পৃথিবীর সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার প্রেমীদের কাছে তাঁর বইগুলো ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে তাঁর সৃষ্ট অ্যালেক্স ক্রস সিরিজ, ওমেন'স মার্ডার ক্লাব সিরিজ, প্রাইভেট সিরিজ, মাইকেল বেনেট, ম্যাক্সিমাম রাইড অতি জনপ্রিয়। 'জ্যাক অ্যান্ড জিল' লেখকের অ্যালেক্স ক্রস সিরিজের তৃতীয় বই। ১৯৯৬ সালে এটা প্রকাশিত হয়। এর আগের দুটো বই 'অ্যালং কেইম এ স্পাইডার' এবং 'কিস দ্য গার্লস' পড়েছি অনেক আগেই। সেই সময় থেকেই আসলে প্যাটারসনের লেখার প্রতি মুগ্ধতার শুরু। অ্যালেক্স ক্রস বিষয়ক এই উপন্যাসটাতে লেখক আবারো একটা রোমাঞ্চকর কাহিনির অবতারণা করেছেন। এক নয়, বরং একাধিক সাইকোপ্যাথ খুনির চাতুর্যময় কার্যক্রম আর তাদেরকে থামানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া একজন হোমিসাইড ডিটেকটিভের দিন রাত এক করে ফেলাকে বেশ সুন্দরভাবে নিজের লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। 'জ্যাক অ্যান্ড জিল'-এর সবচেয়ে যে বিষয়টা আমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে তা হলো অকস্মাৎ উপস্থিত হওয়া টুইস্টগুলো। একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত এইসব টুইস্ট আমার পাঠের আনন্দে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা। এই থ্রিলার উপন্যাসের শেষটাতেও ছিলো আরেক রহস্যের উদিত হওয়ার সঙ্কেত। সেটার ব্যাপারে আর বিস্তারিত না-ই বা বললাম। পাঠক পড়লেই বুঝতে পারবেন। অনুবাদক সাঈদ শিহাবের এর আগের রূপান্তরকর্ম 'দ্য ইনোসেন্ট' ও 'থেরাপি' পড়া হয়েছে আমার। আগের কাজগুলোর মতো 'জ্যাক অ্যান্ড জিল'-এও ছিলো সাবলীলতার ছোঁয়া। পড়তে গিয়ে কোথাও কাঠখোট্টা লাগছে এমন মনে হয়নি। তবে একটা জিনিস সামান্য চোখে লেগেছে। বেশ অনেকগুলো স্থানে খেয়াল করেছি দুটো ভিন্ন ভিন্ন শব্দের মাঝে প্রয়োজনীয় স্পেস দেয়া নেই। যে কারণে দুটো শব্দ একই মাত্রায় হয়ে গেছে। ব্যাপারটাতে খেয়াল রাখা উচিৎ ছিলো। এসব ছাড়াও ছোটখাটো প্রিন্টিং মিসটেক তো ছিলোই। যাই হোক, পরবর্তী মুদ্রণের আগে এসব ভুলভ্রান্তি শুধরে নেয়া হবে এমনটাই আশা। সামিউল ইসলাম অনিকের করা প্রচ্ছদ ভালো লেগেছে। বাঁধাই এবং কাগজের মান নিয়েও কোন কমপ্লেইন নেই। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার প্রেমীরা পড়ে ফেলতে পারেন 'জ্যাক অ্যান্ড জিল।
Was this review helpful to you?
or
‘জ্যাক আন্ড জিল’ বইটি বিখ্যাত লেখক জেমস প্যাটারসনের লেখা অসাধারন একটি থ্রিলার বই । জেমস প্যাটারসন একজন জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক । তিনি ১৯৪৭ সালের ২২ মার্চ জন্মগ্রহন করেন । তিনি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চাকরি করলেও পরবর্তীতে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন । তিনি মার্ডার মিস্ট্রি থেকে শুরু করে ফ্যান্টাসি এ্যাডভেঞ্চার সকল স্থানেই তার প্রতিভার ছাপ রেখে পাঠক সমাজে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ।তিনি ৭১ টি উপন্যাস লিখেছেন যার মধ্যে ১৯ টি উপন্যাস নিউইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার হিসেবে ঠাই পেয়েছে । জ্যাক আন্ড জিল বইটি বাংলাতে অনুবাদ করেছেন সাঈদ শিহাব । বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় আদী প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রকাশক নাফিসা বেগম । প্রচ্ছদ করেছেন অনিক । লাল বেলুন নিতে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলো ছোট্ট মেয়েটা। পেছনে লুকিয়ে রাখা ব্যাটটা সজোরে ঘুরিয়ে আনলো সামনে দুর্বৃত্ত। শহরের অন্যদিকে মাঝরাতে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেল সিনেটর ড্যানিয়েল ফিটসপ্যাট্রিক। জন্ম নিল একজোড়া নৃশংস খুনির। জ্যাক অ্যান্ড জিল। বিতর্কিত সব সেলিব্রেটিদের অপেন চ্যালেঞ্জ দিল তারা। এতদিন তাদের অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য করেছে সাধারণ মানুষ। এবার তাদের প্রতিশোধের পালা। মূল্য চোকাতে হবে তাদের। রক্তের নদী বইবে এখন। এমনকি খোদ প্রেসিডেন্টকেও তাদের হুমকির মুখে পড়তে হল। তোলপাড় পুরো হোয়াইট হাউজের রক্ষার কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো। ছোট্ট মেয়ে শ্যানেলের মৃতদেহটা খুনি ফেলে গেছে সোর্জনার ট্রুথের সামনে। যেন সে জাহির করতে চায় তার কর্মের। তার কিছুদিনের মধ্যেই আরো একটা বাচ্চার লাশ পাওয়া গেল। সুন্দর কালো বাচ্চাগুলোর পেছনে লেগেছে কোন বিকৃতমনস্ক খুনী । কি তার লক্ষ ? সে কি চায় ? তার ভয়াবহ আক্রমন থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউই । এই কেসে অ্যালেক্সকে অন্তর্ভূক্ত করা হল তার কাজের ধরনের জন্য। অপরাধীর মনস্তত্ত্ব পরিমাপ করে সমস্যা সমাধান করে সে। একদিকে জ্যাক আর জিল অন্যদিকে সোর্জনার ট্রুথের খুনি কোনটাকে বেশি গুরুত্ব দেবে সে? মনযোগ কোথায় আগে দেবে? একসাথে দুইটা উল্লেখযোগ্য কেসে টিকে থাকতে পারবে তো সে? নাকি অপরাধীরা হারিয়ে দেবে তাকে? অসাধারন এ থ্রিলার বইটি পড়লে জানতে পারবেন । থ্রিলারপ্রেমী পাঠকদের নিকট অসাধারন লাগবে এই বইটি তা নিঃসন্দেহে বলা যায় ।
Was this review helpful to you?
or
সোর্জনার ট্রুথ এলিমেন্টারি স্কুলটার পাশের ক্যান্ডি শপে ভিড় জমিয়েছে ছোট্ট ছোট্ট কিউট বাচ্চারা। আর বাচ্চাদেরকে নিষ্ঠার সাথে ঘৃণা করে সে। তার কাছে বাচ্চারা ঘৃণ্য পোকামাকড় ছাড়া আর কিছুই না। লাল বেলুন নিতে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলো ছোট্ট মেয়েটা। পেছনে লুকিয়ে রাখা ব্যাটটা সজোরে ঘুরিয়ে আনলো সামনে দুর্বৃত্ত। শহরের অন্যদিকে মাঝরাতে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেল সিনেটর ড্যানিয়েল ফিটসপ্যাট্রিক। জন্ম নিল একজোড়া নৃশংস খুনির। জ্যাক অ্যান্ড জিল। বিতর্কিত সব সেলিব্রেটিদের অপেন চ্যালেঞ্জ দিল তারা। এতদিন তাদের অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য করেছে সাধারণ মানুষ। এবার তাদের প্রতিশোধের পালা। মূল্য চোকাতে হবে তাদের। রক্তের নদী বইবে এখন। এমনকি খোদ প্রেসিডেন্টকেও তাদের হুমকির মুখে পড়তে হল। তোলপাড় পুরো হোয়াইট হাউজের রক্ষার কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো। ছোট্ট মেয়ে শ্যানেলের মৃতদেহটা খুনি ফেলে গেছে সোর্জনার ট্রুথের সামনে। যেন সে জাহির করতে চায় তার কর্মের। তার কিছুদিনের মধ্যেই আরো একটা বাচ্চার লাশ পাওয়া গেল। সুন্দর কালো বাচ্চাগুলোর পেছনে লেগেছে কোন বিকৃতমনস্ক খুনী। তদন্তের ভার পড়ল বিখ্যাত ডিটেকটিভ ডঃ অ্যালেক্স ক্রসের উপর। ক্রসের নিজের ছেলেই পড়ে সোর্জনারে। তাই দায়িত্বটা যেন আরো চেপে বসছে তার উপর। অন্যদিকে পুরো ওয়াশিংটন শহরটা কেপে উঠছে জ্যাক আর জিলের একেক আঘাতে। প্রথমে সিনেটর, তারপর সংবাদ কর্মী, তারপর সিনেমার নায়ক, একে একে তাদের রোষের শিকার হল। হুমকি দিয়েছে তার খোদ প্রেসিডেন্টকে। এই কেসেও অ্যালেক্সকে অন্তর্ভূক্ত করা হল তার কাজের ধরনের জন্য। অপরাধীর মনস্তত্ত্ব পরিমাপ করে সমস্যা সমাধান করে সে। একদিকে জ্যাক আর জিল অন্যদিকে সোর্জনার ট্রুথের খুনি কোনটাকে বেশি গুরুত্ব দেবে সে? মনযোগ কোথায় আগে দেবে? একসাথে দুইটা উল্লেখযোগ্য কেসে টিকে থাকতে পারবে তো সে? নাকি অপরাধীরা হারিয়ে দেবে তাকে? আমার কথা : লেখক এবং অনুবাদক দুইজনেরই প্রথম লেখা পড়া আমার এটা। জেমস প্যাটারসন তো থ্রিলার সাম্রাজ্যের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তাকে নিয়ে কিছু না বলাই ভাল। তাকে আমি প্রথম দেখি ক্যাসল টিভি সিরিজে। তখন থেকেই মনের গভীরে একটা ইচ্ছা ছিল প্যাটারসনের থ্রিলারগুলো পড়ার। এতদিনে ইচ্ছাটা পূরণ হল। অনুবাদক প্রথমেই বলে দিয়েছেন যে এটা অ্যাডাল্ট থ্রিলার। তাই কিছু রগরগে বর্ণনা আছে। অনুবাদক যতটা সম্ভব তা ঢেকে রেখেছেন। বাকিটা কাহিনীর প্রয়োজনে রাখতে হয়েছে। কিন্তু পুরো উপন্যাস পড়ে তেমন কোন কিছু পেলাম না যা আমার জন্য খুব ভাল হয়েছে। প্রাইভেট কিছু ব্যাপার প্রাইভেট থাকলেই আমার ভাল লাগে। কাহিনী প্রথম থেকেই গতিশীল ছিল। কোথায় একটু থামতে হয়নি বা ট্র্যাক মিস হয়নি। মার্ডার মিস্ট্রি যারা পছন্দ করেন তাদের জন্য আদর্শ। আর সবশেষে কিছু ভুলের কথা বলি। বানান ভুল অল্পই ছিল কিন্তু বেশ কিছু শব্দের মাঝে কোন ফাকা ছিল না। মানে দুই শব্দ এক হয়ে গিয়েছিল যা একটু বিরক্তিকর ছিল। এছাড়া ঠিকঠাক আছে। হ্যাপি রিডিং