User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলি সিরিজের প্রত্যেকটি গল্পই আপনাকে ভরপুর থ্রীল দেবে। নিষাদে আপনি যে থ্রীল টা পাবেন আপনি যদি মিসির আলি সিরিজের প্রথম বই পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে স্বাগতম মিসির আলি সিরিজের ভক্তমহলে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি খুবই ভালো। অনেক অপেক্ষায় ছিলাম বইটির জন্য,, এব্ং ডেলিভারী সার্ভিস টা স্লো
Was this review helpful to you?
or
আজ ১৫ই শ্রাবন। মুনিরের মৃত্যূর পাচঁ দিন আগে বইটি পড়া শেষ করলাম। বইটির শেষ পাতায় মুনিরের মৃত্যূর তারিখটি দেখা মাত্র বইটি তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করে বাংলা মাস অনুযায়ী আজকের দিনটা বের করে দেখি আজকে ১৫ই শ্রাবন........ . . হুমায়ুন আহমেদ এর প্রত্যেকটা বই এর মতো এই বই এর শেষ টাও ছিল অসম্পূর্ণ কিন্তু ওই অসম্পূর্ণতার মাঝে একটি তৃপ্তি অনুভব করা যায়.....আমিও করেছি.....বেশ ভালো ছিল বইটি.....আমি মিসির আলির ভক্ত, তাই আমার মিসির আলির বই অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়তে বসি। আজ ১৫ই শ্রাবন ১৪৩১, এক বসাতেই বইটি পড়া শেষ করলাম। গল্পের কাহিনি নিয়ে বেশি কিছু বলবো না....পড়ে দেখতে পারেন :)
Was this review helpful to you?
or
সময় মত পণ্য হাতে পেয়েছি৷ সার্ভিস খুবই ভালো ছিলো। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
Onek shundor,miss you my favorite writer ?.
Was this review helpful to you?
or
A masterpiece. ???
Was this review helpful to you?
or
wow
Was this review helpful to you?
or
multidimensional story humayun Ahmed sir er arekta best work..it was a great experience..
Was this review helpful to you?
or
Totally recommended !! ?
Was this review helpful to you?
or
This book is a masterpiece. I was totally amazed and shocked cause this is really awesome ....I am totally in love with this book ❤
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
..
Was this review helpful to you?
or
'নিষাদ' ভালো লাগার অন্যতম কারণ হল এর কনটেন্ট এর জন্য। তুলনামূলক কোনো আলোচনায় যেতে চাচ্ছি না শুধু বলতে চাই মাল্টিপল ইউনিভার্স,টাইম ট্রাভেল, দেজা-ভু নিয়ে আগ্রহ এবং ভালো লাগার কথা। মানুষ হিসেবে একটু আলসে গোছের হওয়ায় আমার খুব একটা ঘেটে দেখা হয়নি ইন্টারনেটে হয়ত এরকম আরো বই আছে। যাই হোক সবাই বইটি পড়ে দেখবেন।
Was this review helpful to you?
or
নিষাদ গল্পের মুল চরিত্র মনির। আমাদের জীবনে অনেক রকম ঘটনা ঘটে থাকে। কিছু কিছু সময় মনে হয় যদি আরেকটা সুযোগ পেতাম বা ভুলটা যদি না করতাম। মনির ও এরকম একটা চরিত্র কিন্তু প্যারালাল ইউনিভার্সের কথা বলে তার মতো আরো একজনের বর্ণনা রয়েছে বইটিতে। যে ২ টা জগতের মানুষের সাথে মিশছে ঘুরছে, তাহলে মিসির আলী কিভাবে সমাধান দিবে? এটার কি কোন উপায় খুঁজে বের করতে পারবে?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_এপ্রিল বই: নিষাদ জনরা: সমকালীন উপন্যাস লেখক: হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশনী: প্রতীক প্রকাশনা প্রকাশ কাল: ৬ষ্ঠ মুদ্রণ, জানুয়ারি ২০০৪ প্রচ্ছদ: বিদেশী তৈলচিত্র মুদ্রিত মূল্য: ৫৫৳ লেখক পরিচিতিঃ হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ – ১৯ জুলাই, ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। বই আলোচনাঃ মিসির আলি আগ্রহ নিয়ে তাকে দেখছেন। রোগী লম্বা এক জন মানুষ। মুখ দেখা যাচ্ছে না, কারণ লোকটি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এই গরমেও ফুল হাতা ফ্লানেলের শার্ট, ফুলপ্যান্টটি চকচকে কাপড়ের তৈরী; ছাঁটের ধরন দেখে মনে হয় সেকেণ্ডহ্যাণ্ড মার্কেট থেকে কেনা। এ ধরনের ছাঁটের প্যান্ট ঢাকায় এখন চালু নেই। পায়ের জুতা জোড়া ঝকঝকি করছে। মনে হচ্ছে এখানে আসবার আগে জুতা পালিশ করেছে। মিসির আলি লোকটির বয়স আন্দাজ করবার চেষ্টা করলেন। কুড়ি থেকে পাঁচিশের মধ্যে হবার কথা। এই বয়সের যুবকদের চেহারায় এক ধরনের আভা থাকে। যৌবনের আভা। এর তা নেই। অল্প বয়সে চুলও পৌঁকেছে বলে মনে হচ্ছে। কানের পাশে রুপোলি ছোঁয়া। মিসির আলি বললেন, আপনি কি আমার কাছে এসেছেন?? আমার ডাক নাম টুলু। আমার একটা ছোট্ট বোন ছিল, ওর নাম ছিল নুন্টু টুনু উলটো করলে হয় নুটু। বাবা এই নাম রাখলেন। কারণ ওর স্বভাব ছিল আমার একেবারে উলটো। আমি ছোটবেলা থেকেই খুব শান্ত প্ৰকৃতির। কারো সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলতাম না! কেউ ধমক দিয়ে কিছু বললে সঙ্গে-সঙ্গে কেঁদে ফেলতাম। আর নুটু ছোটবেলা থেকেই হৈচৈ স্বভাবের মেয়ে! আমাদের বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া একটা জামগাছ ছিল। নুটু ঐ জামগাছ বেয়ে ছাদে উঠে যেতে পারত। আমাদের বাড়িটা ছিল পুরনো ধরনের, ছাদে ওঠার কোনো সিঁড়ি ছিল না। ছাদে কোনো রেলিং ছিল না! বর্ষাকালের ভেজা ছাদে সে দৌড়াত, লাফালাফি করত। কারো কোনো কথা শুনত না। আমার মা এই জন্যে তাকে খুব মারধোর করতেন। তাতে কোনো লাভ হত না। শেষ পর্যন্ত এক বর্ষাকালে আমার মা কাঠমিস্ত্ৰি লাগিয়ে জামগাছটা কেটে ফেললেন। এই পর্যন্ত বলতেই মিসির আলি তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, আপনি তো নিতান্তই পারিবারিক গল্প শুরু করেছেন। আপনার যে-সমস্যা, তা তো আমার মনে হচ্ছে বর্তমান সময়ের সমস্যা। শৈশব থেকে শুরু করেছেন কেন বুঝতে পারছিনা। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ মিসির আলীর বইগুলা কেমন যেন অস্বাভাবিক, খুব সহজ ভঙ্গীতে লেখা কিন্তু পড়তে পড়তে একেক সময়ে গায়ে কাটা দিয়ে উঠে! এই গল্পটাও তেমনই! শুরুর দিকে লেখক আপনাকে কল্পনার গভীর স্তরে নিয়ে চলে যবেন।যখন আপনি কল্পনার গভীর স্তরে হাবুডুবু খাবেন ঠিক তখনই আপনি আবিষ্কার করবেন বইটা শেষ হয়ে গেছে ,অনেকটা শুরু হতেই শেষ হয়ে যাওয়ার মত করে।
Was this review helpful to you?
or
কিছু গল্প আছে যার ধারা পাঠককে বইয়ের ভেতর টেনে নিয়ে যায়। যে বইটি সম্পর্কে বলতে চলছি তা এমনি একটি গল্প যার ধারা আপনাকে মোহিত করবে। হৃদয়ের কোণে লুকিয়ে থাকা মুক্ত সত্তাকে নাড়া দেবে, নিঃশব্দে বলে যাবে অনেক কিছু ।
Was this review helpful to you?
or
বই: নিষাদ জনরা: সমকালীন উপন্যাস লেখক: হুমায়ূন অাহমেদ প্রকাশনী: প্রতীক প্রকাশনা প্রকাশ কাল: ৬ষ্ঠ মুদ্রণ, জানুয়ারি ২০০৪ প্রচ্ছদ: বিদেশী তৈলচিত্র অবলম্বনে মুদ্রিত মূল্য: ৫৫৳ কাহিনী সংক্ষেপ: জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই অার্বতে ঘেরা হলেও অামাদের জীবনটা চক্রাকার। একজন মানুষ হয়ত মৃত্যুর মধ্য দিয়েই ইহজাগতিক ক্রিয়া সাঙ্গ করে। কিন্তু জীবনের চলার পথে কখনো কখনো মনে হয় যদি অার একবার এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হত তবে হয়তো কোন ভুল কিংবা পরাজয়ের গ্লানিটা মুছে নতুন করে জীবনটা সাজানো যেত নতুন ভাবে। 'নিষাদ' গল্পটা এমনই এক প্যারালাল জীবনে বসবাসকারী মনিরের গল্প, যার ডাকনাম টুনু। অামাদেরও কিন্তু কখনো কখনো তার মনে হয় এঘটনাটা অামরা অাগে থেকেই জানতাম বা এমন ঘটনা অামার সাথে অাগেই ঘটেছে। ঠিক তেমন মনিরের জীবনেও এমন ঘটনা বারবার হতে থাকে। ছোট বেলায় তার বাবার মারা যাওয়ার ঘটনা থেকেই এমন রহস্যময় জীবনের শুরু হয়। প্যারালার জীবনে কখনো মনিরের বাবা বেঁচে যায় অাবার অন্য জীবনেই তার বাবা নেই। বড় হবার পরও এ সমস্যার সমাধান হয় না একজীবনে সে স্ত্রী, পুত্র নিয়ে সংসার করে, অন্যজীবনে পুত্রহারা। এসব সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে দ্বারগ্রস্থ হয় মিসির অালী। কিন্তু এ অদ্ভুত রহস্যময় জীবন থেকে শেষ পর্যন্ত কী মুক্তি মেলে টুনু তথা মনিরের জানতে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত বইটা পড়তে হবে। নিজস্ব মতামত: কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সে প্যারালাল জগতের উল্লেখ থাকলেও তার কতটা বাস্তবিক সে সম্পর্বে তেমন ধারনা নাই অামার। তবে এই প্যারালাল জীবনের ঘটনাগুলো বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে। বইটাও তাই বেশ উপভোগ্য ছিল। ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর যদি দুঃস্বপ্নটা সত্যি হয়ে যায় এমন এক শিহরণের মত ছিল বইয়ের গল্পটা। 'ডেজাভ্যু' অর্থাৎ ভবিষ্যতের কিছু ঘটনা অাগে থেকেই ঘটে যাওয়ার মত যে অনুভূতি সেটা সত্যিই কখনো কখনো বেশ অসস্তিকর হতে পারে যদি না তার সঠিক ব্যাখা পাওয়া যায়। পরিশেষে বলব প্যারালাল চগত সম্পর্কে যাদের অাগ্রহ তারা নিঃসন্দেহে পড়তে পারেন ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
Shariar Mahamud Kabbo . #রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট . ধরন :- সায়েন্স ফিকশন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলি সিরিজের তৃতীয় বই "নিষাদ" মুলত ছন্নছাড়া ভবঘুরে একটা ছেলের জীবনের উপাক্ষান নিয়ে গল্পকার কিছুটা ফিকশন নিয়ে আসার চেষ্ঠা করেছেন নিষাদ উপন্যাসে। হুমায়ুন আহমেদের প্রতিটি গল্পেই একটা করে টুইস্ট থাকে আর পাঠক সেটা খুজে বের করে বই পড়ার প্রকৃত মজা পায়। . আর যারা হুমায়ুন এর পাগল পাঠক তারা মিসির আলী কিংবা হিমুকে নিজের মাঝে ধারণ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। বরাবরের মতই মিসির আলী সিরিজে লেখক তাকে ভিন্ন মাত্রায় উপস্থাপন করার চেষ্ঠা করেন। তিনি স্বীয় মহিমায় উজ্জ্বল, সর্বদা নতুন নতুন রহস্য উন্মোচনে সদা ব্যস্ত। আর সে রহস্যে লেখক এবং মিসির আলী দুজনে মিলে পাঠককে প্রভাবিত করেন। এবং শেষ পর্যন্ত এমন একটা জায়গায় গিয়ে চিন্তাধারা আটকে যায়। যেখানে বার বার মনে হতে থাকে সত্যিই এমন হয়! হতে পারে? সম্ভব! সে যাই হোক, এবারের ব্যক্তিটির নাম মো.রইসুদ্দিন। রোগা মতন একটা লোক যিনি মিসির আলীর সামনে মাথা নিচু করে বসে আছেন। এর আগেও তিনি দু একবার এসেছিলেন এবং চিঠি দিয়ে আগাম জানিয়ে দিয়ে গেছিলেন সোমবার আসবেন বলে। কিন্তু তিনি আসেন নি। আজ এসেছেন। অথচ কেন এসেছেন সেটা তিনি বলতে চাইতেছেন না। মিসির আলী অনেক বার বলার পর তিনি বসলেন, তবুও অনেকটা অসস্তিতে। তার থেকেও একটি আশ্চর্য জনক কথা হলো। লোকটি প্রথমেই মিথ্যা বলেছেন। আর মিসির আলী সেটা খুব ভালো ভাবে ধরে ফেলেন। সে তার নাম নিয়ে মিথ্যা বলেছেন, তার ভালো নাম মূলত মনির। ডাক নাম টুনু। তো, এই মনির আমাদের মিসির আলীর নতুন পেসেন্ট। উনার সমস্যা সম্পর্কে জানা যাক এবার। মনির আমাদের মতো সাধারণ কেউ নয়। কেননা আমাদের সাধারণ মানুষের তো একটা জীবন থাকে। যে সময়টা আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকি। একটা অবস্থান থাকে আমাদের। জন্ম থেকে ধীরে ধীরে বড় হই। এক সময় পৃথিবীতে আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে আমরা মারা যায়।. . এই গল্পের মনির ওরফে টুনু মিয়া বড় হয়েছেন একটা এতিম খানায়। বাবা মা তাকে ছোট রেখে মারা যায়। অথচ অন্যদিকে তার বাবা আছে। তার বাবা নতুন একজনকে বিয়ে করেছেন সেখানে তার সন্তান ও আছে। এবং প্রতিনিয়ত সে তার বাবার অস্তিত্ব অনুভব করে। সে স্বপ্ন দেখে অন্য জগতের। যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নাই। এমন দোটানায় মনির স্বপ্ন আর বাস্তবের পার্থক্য বুঝতে পারে না, এসব ভাবতে ভাবতে মনির ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তার কাছে মনে হচ্ছে সে দিনকে দিন পাগল হয়ে যাচ্ছে। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য মিসির আলীর কাছে আসা। মিসির আলীর কাছে প্রথমে বিশ্বাস যোগ্য না হলেও তিনি অনেক বাস্তব বাদী লোক তাই এই নিয়ে বিস্তর পরাশুনা শুরু করেন, মানুষ কিভাবে তার জীবনে একই সাথে ভিন্ন জগতে বাস করতে পারেন। শেষ পর্যন্ত, মনিরের কি অবস্থা হয়েছিলো। বা মিসির আলী কি সেই রহস্য উদ্ধার করতে পেরেছিলেন? শুধুই কি চাপে পড়ে বিশ্বাস নাকি আরো কিছু জেনেছিলেন তিনি। . হুমায়ূন আহমেদ এই গল্পটিকে একটু ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন। সর্বোপরি বলতে চাই, নিষাদ বেশ ভালোই লেগেছে। তবে এই গল্পে লেখক মনিরকেই বেশি ফোকাস করেছেন, মিসির আলী যে ছিলেন না তা নয়। তবে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে মনিরকেই বলা যায়। যাই হোক, মিসির আলী তার যুক্তির জায়গা থেকে কি করে মনিরের সমস্যা সমাধান করেছিলেন, বা পেরেছিলেন কিনা। তা জানতে পাঠককে একেবারে শেষ পর্যন্ত যেতে হবে। বলতে গেলে পাতায় পাতায় রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা অনুভব করবে পাঠক। তাহলে প্রিয় পাঠক, সুযোগ পেলে অবশ্যই নিষাদ বইটি পড়বেন। আশাকরি আপনাদের সময়টা অপচয় হবে না। ***নিষাদ শব্দের অর্থ সম্ভবত শিকারী বা ব্যাধ, যিনি তীর-ধনুক সহযোগে শিকার করেন.....
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-নিষাদ লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-সায়েন্স ফিকশন পৃষ্ঠা-৭২ মূল্য-১৪০ প্রকাশনী-প্রতীক মিসির আলী সিরিজের তিন নাম্বার বই "নিষাদ"। আর অত্যাবশকীয় ভাবে মিসির আলীর উপস্থিতি বিদ্যমান। তিনি আছেন তাঁর স্বীয় অবস্থানে। এবং তার কাছে, আবারো নতুন মানুষ। আবারো নতুন রহস্য। সে রহস্যে লেখক এবং মিসির আলী দুজনে মিলে পাঠককে প্রভাবিত করেন। এবং শেষ পর্যন্ত এমন একটা জায়গায় গিয়ে চিন্তাধারা আটকে যায়। যেখানে বার বার মনে হতে থাকে সত্যিই এমন হয়! হতে পারে? সম্ভব! যাই হোক, এবারের ব্যক্তির নাম মো.রইসুদ্দিন। রোগা মতন একটা লোক যিনি মিসির আলীর সামনে মাথা নিচু করে বসে আছেন। এর আগেও তিনি একবার এসেছিলেন এবং চিঠি দিয়ে গেছিলেন সোমবার আসবেন বলে। কিন্তু তিনি আসেন নি। আজ এসেছেন। অথচ কেন এসেছেন সেটা তিনি বলতে চাইতেছেন না। মিসির আলী অনেক বার বলার পর তিনি বসলেন, তবুও অনেকটা অসস্তিতে। তার থেকেও একটি আশ্চর্য জনক কথা হলো। লোকটি প্রথমেই মিথ্যা বলেছেন। আর মিসির আলী সেটা ধরে ফেলেন। সে তার নাম নিয়ে মিথ্যা বলেছেন, তার ভালো নাম মূলত মনির। ডাক নাম টুনু। তো, এই মনির আমাদের মিসির আলীর নতুন পেসেন্ট। উনার সমস্যা সম্পর্কে জানা যাক এবার। মনির আমাদের মতো সাধারণ কেউ নয়। কেননা আমাদের সাধারণ মানুষের তো একটা জীবন থাকে। যে সময়টা আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকি। একটা অবস্থান থাকে আমাদের। জন্ম থেকে ধীরে ধীরে বড় হই। এক সময় পৃথিবীতে আমাদের কাজ ফুড়িয়ে যায়। আমরা মারা যাই। আমাদের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা চান্স থাকে, যে সময় চলে যায় তাতে আর আমরা ফিরে যেতে পারি না। স্বভাবতই আমরা আমাদের অতীতের কোন ভুল শোধরাতে পারি না। এমন কি নিজের ভূলে কোন বড় ধরনের এক্সিডেন্ট করে থাকি তাও এড়িয়ে যেতে পারি না। সময় চলে গেলে আবার যে ফিরে গিয়ে সব গুলো সমাধান করতে পারবো সে চান্সও নেই। তাই বলা যায় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা একই ভাবে বেড়ে উঠি এবং তা এক সময় সমাপ্ত হয়। কিন্তু মনিরের বেলায় ভিন্ন। সে এক জগতে বাস করে না। তার বসবাসের জগত কয়েকটা । অবাক হওয়ার মতোই বিষয়। এটা কি করে সম্ভব? কিন্তু তাই তো হচ্ছে মনিরের সাথে। আর এখানেই মনির আমাদের থেকে আলাদা এবং অদ্ভূত একজন মানুষ। এমনকি একেক জগতে সে একেক রকম।যেমন -এক জায়গায় সে অসহায় এতিম। তার মা বাবা নেই। কিন্তু অন্য এক জায়গায় তার বাবা আছেন। আবার কোথাও সে বিয়ে করেছে এমনকি তার সন্তানও আছে। আর অন্য জায়গায় সে পুত্র হারা। একই সাথে এতো গুলো জায়গায় বিচরণ করতে করতে সে ক্লান্ত। এবং সে এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। তাই মিসির আলীর কাছে আসা। কিন্তু এসবের কিছুই মিসির আলী বিশ্বাস করেন নি। তিনি সমাধান এভাবে দেখালেন যে, মনির একই সাথে ভিন্ন জীবনের স্বপ্ন দেখছে। আর এগুলো তার কাছে সত্যি অনুভব হচ্ছে। তাই সে ভাবছে একই সাথে কয়েককটি জগতে সে বাস করছে। এরপর মিসির আলীর অবাক হওয়ার পালা কারন, মনির যে অন্য জগতে যেতে-আসতে পারে তার প্রমাণ দেখাতে অন্য জগত থেকে আনা প্রেসক্রিপশন মিসির আলীকে দেখালেন। এটা আরো বেশি দৃঢ় করতে আরো অনেক কিছু তিনি অন্যজগত থেকে নিয়ে আসতে থাকলেন। এক সময় ইচ্ছা না থাকা স্বত্বেও মিসির আলী এটা বিশ্বাস না করে এড়িয়ে যেতে পারলেন না। প্রচন্ড যুক্তিবাদী মানুষ, বিশ্বাস করতে বাধ্য হলেন। মানুষ তার জীবনে একই সাথে ভিন্ন জগতে বাস করতে পারেন। কিন্তু এনিয়ে চলল তার বিস্তর পড়াশোনা। শেষ পর্যন্ত, মনিরের কি অবস্থা হয়েছিলো। বা মিসির আলী কি সেই রহস্য উদ্ধার করতে পেরেছিলেন? শুধুই কি চাপে পড়ে বিশ্বাস নাকি আরো কিছু জেনেছিলেন তিনি! প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যতম সায়েন্স ফিকশন টাইপ গল্প "নিষাদ"। অবাস্তব হলেও লেখক যে দ্বৈত জীবন দেখিয়েছেন তা কিন্তু সত্য। কিন্তু কিভাবে সত্য তা মিসির আলীই দেখাবেন। হুমায়ূন আহমেদ এই গল্পে আশ্চর্য একটি জিনিস দেখিয়েছেন। সর্বোপরি, নিষাদ বেশ ভালোই লেগেছে। তবে একটু জায়গায় কিছুটা টান আছে। এই গল্পে ফোকাস বেশি মনিরের উপরেই ছিলো, মিসির আলী যে ছিলেন না তা নয়। তবে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে মনিরকেই বলা যায়। যাই হোক, মিসির আলী তার যুক্তির জায়গা থেকে কি করে মনিরের সমস্যা সমাধান করেছিলেন। বা পেরেছিলেন কিনা। তা জানতে পাঠককে একেবারে শেষ পর্যন্ত যেতে হবে। প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে যাদের আগ্রহ বেশি তাদের বেশ ভালো লাগবে। রেটিং-৪/৫ রকমারি লিংক- https://www.rokomari.com/book/1281/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%A6;jsessionid=263D934475A42EAE3427F648E32C92B9#
Was this review helpful to you?
or
আসাধারন!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ রহস্যময় এক জগতের উত্তেজনাকর ইঙ্গিত। অজানাকে জানার কৌতুহল জাগিয়ে তুলে।
Was this review helpful to you?
or
নিষাদ হুমায়ুন আহমেদ এর মিসির আলী সিরিজ এর তৃতীয় বই। আমরা যে মিসির আলীকে পড়ে মুগ্ধ, আমরা যে মিসির মিসির করি, এই বইতে তিনি সেভাবেই উপস্থিত।তার পর্যবেক্ষন অসম্ভব। তিনি ভাবেন অসম্ভব। মুনিরের রহস্যের ও তিনি এক অসম্ভব সম্ভব সমাধানের খোজে ছিলেন। বলুন তো মনে মনে আমরা কে নাই চাই-যদি এরকম হত। সারা জীবনেই দুর্ঘটনা থাকবেই, কেউ ছেড়ে যাবে, কেউ উড়ে এসে জুড়ে বসবে। তখন মনে মনে বলি ইশ যদি এরকম হত। হয়তো parallel universe এ তা সম্ভব। যে একসাথে ৭ জগত চলছে। তার কোনটিতে হয়তো আমি এই রিভিউ দিচ্ছি, আর কোনটিতে হয়তো আমার কেউ ঘর সংসার করে চলেছে, কেউ হয়তো প্রেম করছে, কেউ হয়তো রোগের সাথে যুদ্ধ করছে। কোনটা ভালো বলা মুশকিল। butterfly effect নামে একটা মুভি আছে। তিনটা না চারটা বের হয়েছিল। ঠিক এরকম কনসেপ্টই বলা চলে। Premature ejaculation নামে একটা ফানি মুভিও আছে ইউটিউবে। টিনেজ মুভি। যাই হোক হুমায়ুন আহমেদ আমাদের অবশ্য বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য করেছেন। আমাদের তাতে মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছে। নিষাদ তাই এক হিসেবে মন খারাপের বই। আগের মত তেমন ভুত ভুত ভাব নেই। একদম খাটি মিসির আলি।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ নিষাদ লেখকঃহুমায়ুন আহমেদ ধরনঃ সমকালীন উপন্যাস মূল্যঃ ১০৫ টাকা মনির অদ্ভুত এক মানুষ। আমাদের মত সাধারণ মানুষ নয় একারনে যে তার একাধিক জীবন আছে। বিষয়টা ভালো করে পরিষ্কার করছি। আমাদের জীবন একটি, একটি জীবনে আমাদের জন্ম হয় এবং মৃত্যু হয়। জন্ম মৃত্যুর মাঝে বিবাহ, অসুখ হয়।এই জীবনে হয় আমরা দারিদ্র্য কিংবা ধনী। মনিরের সাথে আমদের এখানেই তফাৎ। অর্থাৎ আমাদের মত মনিরের একটি জীবন না বরং অসখ্য জীবন। কোন জীবনে সে অসহায় মাতা পিতা হারা। আবার কোন জীবনে তার বাবা বেচে আছেন। কোন জীবনে মনির বিয়ে করেছে তার সন্তান আছে। মনির চায় তার এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আর তাই মিসির আলীর কাছে আসা। সবশুনে মিসির আলী মনে করেন মনিরের বিষয়টা হচ্ছে স্বপ্ন। সে স্বপ্ন দেখে একাধিক জীবনের। মিসির আলীর এই কথাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে মনির বের করলে একটা প্রেসক্রিপশন। যে প্রেসক্রিপশন সে নিয়ে এসেছে অন্য জগত থেকে। শুধু এটা নয় আরো বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসা শুরু করলো। ফলে মিসির আলী বিশ্বাস করলেন এমনা হতেই পারে। তিনি চাপ দিতে থাকলেন তাকে আরো অজানা তথ্য জানার জন্য। সেইসথে অন্য জগতে পাওয়া তথ্যে গুলোর ব্যাপারে জানতে ছোটাছুটি এবং বিস্তর পড়াশোনা করতে লাগলেন। এভাবেই এগোয় কাহিনী। ব্যক্তিগত মতামতঃহুমায়ূন আহমেদ এই গল্পটিকে একটু ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন। সর্বোপরি বলতে চাই, নিষাদ বেশ ভালোই লেগেছে। তবে এই গল্পে লেখক মনিরকেই বেশি ফোকাস করেছেন, মিসির আলী যে ছিলেন না তা নয়। তবে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে মনিরকেই বলা যায়। যাই হোক, মিসির আলী তার যুক্তির জায়গা থেকে কি করে মনিরের সমস্যা সমাধান করেছিলেন, বা পেরেছিলেন কিনা। তা জানতে পাঠককে একেবারে শেষ পর্যন্ত যেতে হবে। বলতে গেলে পাতায় পাতায় রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা অনুভব করবে পাঠক। তাহলে প্রিয় পাঠক, সুযোগ পেলে অবশ্যই নিষাদ বইটি পড়বেন। আশাকরি আপনাদের সময়টা অপচয় হবে না।
Was this review helpful to you?
or
মনির অদ্ভুত এক মানুষ। আমাদের মত সাধারণ মানুষ নয় একারনে যে তার একাধিক জীবন আছে। বিষয়টা ভালো করে পরিষ্কার করছি। আমাদের জীবন একটি, একটি জীবনে আমাদের জন্ম হয় এবং মৃত্যু হয়। জন্ম মৃত্যুর মাঝে বিবাহ, অসুখ হয়।এই জীবনে হয় আমরা দারিদ্র্য কিংবা ধনী। মনিরের সাথে আমদের এখানেই তফাৎ। অর্থাৎ আমাদের মত মনিরের একটি জীবন না বরং অসখ্য জীবন। কোন জীবনে সে অসহায় মাতা পিতা হারা। আবার কোন জীবনে তার বাবা বেচে আছেন। কোন জীবনে মনির বিয়ে করেছে তার সন্তান আছে। মনির চায় তার এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আর তাই মিসির আলীর কাছে আসা। সবশুনে মিসির আলী মনে করেন মনিরের বিষয়টা হচ্ছে স্বপ্ন। সে স্বপ্ন দেখে একাধিক জীবনের। মিসির আলীর এই কথাকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে মনির বের করলে একটা প্রেসক্রিপশন। যে প্রেসক্রিপশন সে নিয়ে এসেছে অন্য জগত থেকে। শুধু এটা নয় আরো বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আসা শুরু করলো। ফলে মিসির আলী বিশ্বাস করলেন এমনা হতেই পারে। তিনি চাপ দিতে থাকলেন তাকে আরো অজানা তথ্য জানার জন্য। সেইসথে অন্য জগতে পাওয়া তথ্যে গুলোর ব্যাপারে জানতে ছোটাছুটি এবং বিস্তর পড়াশোনা করতে লাগলেন। এভাবেই এগোয় কাহিনী। কাহিনী আমার দারুন লেগেছে আশাকরি আপনাদেরও দারন লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
নিষাদ শব্দের অর্থ শিকারী বা ব্যাধ, যিনি তীর-ধনুক সহযোগে শিকার করেন। প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ লেখা উপন্যাস “নিষাদ”।উপন্যাসের নায়ক টুনুর জীবনে প্রথম যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেটা হল এখনকার ২৫ বছর বয়স থেকে অতীতের ১৫ বছর বয়সে ফিরে যাওয়া। একটি জীবনে সে তার বাবার জীবন রক্ষা করেছিল। আবার বাস্তব জীবনে সে একজন অসহায় নিঃসঙ্গ যুবক। কোন এক জীবনে সে এক ছেলের পিতা আবার কোন এক জীবনে সে সন্তানহারা। বইটি মূলত "কোয়ান্টাম মেকানিক্স" কে ভিত্তি করে গল্পের ডালপালা ছড়িয়েছে।"কোয়ান্টাম মেকানিক্স" কিন্তু আমাদের দ্বৈত জীবনের অবস্থাকে মেনে নেয়! যেখানে একাধিক জীবন প্যারালাল অবস্থানে চলতে থাকে কিন্তু কখনোই কারো সাথে কারো দেখা হয়না। এই উপন্যাসের মূল চরিত্রের পাশাপাশি জীবনগুলোর দেখা হয়ে যায়। স্বপ্ন তো আমরা সবাই দেখি কিন্তু ঘুম ভাঙার আগে কি বুঝতে পারি যে সেটা স্বপ্ন ছিল? স্বপ্ন ছাড়া আরও একটা ব্যাপার আমাদের প্রায়ই ঘটে যার নাম "ডেজাভ্যু"। ডেজাভ্যু দেখতে হলে ঘুমানো লাগে না, শুধু চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা খুব পরিচিত লাগে। কেমন হবে যদি এই ডেজাভ্যুর মাধ্যমেই চলে যাই অন্য কোন জীবনে, অন্যকোন ভূবনে যেখানকার অতীত অন্যরকম ছিল বিধায় বর্তমানও অন্যরকম? আবার ডেজাভ্যু কেটে গেলে ফিরে আসি সেই আগের জীবনে। এই বইটিতে সেভাবেই "কারেন্ট টাইমলাইন" থেকে "প্রিভিয়াস টাইমলাইনে" চলে যাওয়া অর্থাৎ বর্তমানের এই সময় থেকে অতীতে চলে যাওয়া দেখানো হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃনিষাদ লেখকের নামঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃপ্রতীক প্রকাশনা সংস্থা মূল্যঃ১২৩ টাকা মাত্র হুমায়ূন আহমেদ তার সেরাটাতে। গল্পটি শুরু হয় সমস্ত মিসির আলির গল্পের মতো তাঁর সাথে, উদ্ভট রোগীর সাথে দেখা হয়েছিল যে দুটি বিকল্প জগতে দুটি জীবনযাপন করার অভিযোগ করে। যদিও অন্য গল্পগুলিতে মিসির আলি রহস্যের গভীর গভীরে খনন করেছেন, এই বইয়ে এটি সবেমাত্র পৃষ্ঠটি আঁচড়েছে। তবে গল্পটি অসম্পূর্ণ বলে মনে হলেও এটি আমি প্রচুর উপভোগ করেছি।এই বইটিতে আমার প্রত্যাশা সমান ছিল এবং আমি অবশ্যই বলব যে শুরুটি সত্যই রোমাঞ্চকর ছিল। মিসির আলি মামলার জন্য একটি আত্ম সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিয়েছেন।উপসংহারে আমাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, এটি আমার প্রিয় যৌক্তিক মিসির আলির মধ্যে অন্যতম।।আমি নিজেকে মিসির আলি সিরিজের বড় ভক্ত হিসাবে ভাবতে পছন্দ করি। মিসির আলি যুক্তি দিয়ে রহস্য সমাধানের চেষ্টা করেছেন; আমি তাকে যুক্তি এবং বিজ্ঞানের মাধ্যমে জটিল রহস্য সমাধান করার যে প্রয়াস তা সত্যিই অভাবনীয়।একবার পড়লেই বুঝতে পারবেন।
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলী চরিত্রের উপন্যাস পড়লে সেটা শেষ করা ছাড়া ইদানীং ঘুম হয় না। শেষ করতেই হবে। এবারের উপন্যাসের নাম নিষাদ। একটা বাস্তব বিষয় হচ্ছে এই উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত। মনে হচ্ছে এই উপন্যাসের ঘটনাটির কোনো সঠিক ব্যাখ্যা নাই। একজন মানুষ একসাথে কয়েকটি জীবনে যেতে পারে। এরকমই একটি ঘটনা নিয়ে এই উপন্যাস। এই উপন্যাস নিয়ে ভাবলেই মনে হচ্ছে উপন্যাসের চরিত্র গুলো আমার সামনে বসে আছে। কি অদ্ভুত কাহিনী। উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র মুনির। যার সমস্যা নিয়েই এই উপন্যাস এগুতে থাকে। আশাকরি হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলী চরিত্রের উপন্যাস যারা পড়েছেন তাদের জন্য এটা অসাধারণ একটা উপন্যাস হবে।