User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আবুল আহসান চৌধুরী এই বইটিতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ভাষা-আন্দোলনের দলিল ও অন্যান্য সকল বিষয় নিয়ে তুলে ধরেছেন। হলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও লোকসাহিত্য বিশারদ। আবুল আহসান চৌধুরী , তাঁর লেখার বিষয়বস্তু লোকসাহিত্য, উনিশ শতকের কবি-সাহিত্যিক, আধুনিক সাহিত্য এবং ইতিহাস। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কয়েকজন বাঙালি তরুণ বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে জীবন দান করেন। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির এই আত্মাহুতিকে পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার প্রশ্নে চূড়ান্ত ফয়সালা হয়েছিল বটে, কিন্তু ভাষার জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছিল পাকিস্তান জন্মলাভের পরপরই, অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টের অব্যবহিত পর থেকে। তারপর ধাপে ধাপে আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতি পায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। ১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে পাকিস্তান শিক্ষা সম্মেলনে প্রাদেশিক ভাষা নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এরই জের ধরে ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বাংলাদেশে দফায় দফায় ক্ষোভ আর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ছাত্র-জনতা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে বাংলা ভাষার সপক্ষে সমাবেশে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেন। স্বার্থান্বেষী মহল বাংলা ভাষার বিপক্ষে উর্দুভাষী ও সরকারের অন্ধ অনুসারীদের দাঁড় করায়। এর ফলে ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। এতে ওই দিন বাঙালি ছাত্র-জনতা একত্র হয়ে বাংলা ভাষার পক্ষে সচিবালয় ও মন্ত্রীদের ঘেরাও করে এবং ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করেন। এই আন্দোলন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। তখনকার সব বড় শহরে এমনকি কিছু ছোট শহরেও সভা, সমিতি ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।