User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
এটা কোনো সায়েন্স ফিকশন নয়। ৩৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত লেখক গল্পের চরিত্রগুলোর বর্ণনা দিয়ে গেছে। কিন্তু তিন জন চরিত্র ছাড়া বাকি চরিত্রের সাথে গল্পের কী সম্পর্ক রয়েছে তার কোনো কুল কিনারা খুঁজে পেলাম না। লেখক যখন তখন অযথা একটা ঘটনা টেনে এনে অযথাই গল্পের ব্যাপ্তি বাড়িয়েছে। মনে হয় লেখক নিজেই কনফিউজড। আর লজিক ছাড়া অনেক কিছুই এই গল্পে রয়েছে। টাকা গচ্ছা যাক সেটা ব্যাপার না। কিন্তু, আড়াই ঘন্টা গচ্চা গেছে আমার।
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
সত্যিকারের সুপারম্যানরা মিডিয়ার রূপালী পর্দায় থাকে না। তারা থাকে আমাদেরই খুব কাছে। অতি সাধারণ একজন মানুষের ভিতরেও থাকতে পারে একজন অতি অসাধারণ একজন স্বত্বা। যেমনটা এই গল্পের "হরিপদ"। হরিপদ। অতি সাধারণ একজন মানুষ। একটি অফিসে কেরানির চাকরী করে। আপনজন বলতে তার কেউ নেই। একটি ভাড়া বাসায় থাকে সে। যেহেতু তার আপন কেউ নেই, তাই সে তার চারপাশের সবকিছুকেই আপন করে নেয়। এর মধ্যে আছে একটি ইঁদুর, একটি পিঁপড়া আর তেলাপোকা ও। তবে তার সবথেকে আপন হলো পরী। ছোট্ট একটি মেয়ে যে কিনা হরিপদর সাথে একই বাসায় তার বাবা মায়ের সাথে থাকে। কিন্তু পরীর খুবই খারাপ অসুখ আছে। বাঁচে-মরে অবস্থা। তবে তার বাবা মায়ের সামর্থ্য নেই তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলার। আশেপাশের মানুষ থেকে পরীর বাবা যা সাহায্য পায় তার বেশীরভাগই সে নেশা করে খরচ করে ফেলে। এই দেখে হরিপদর খুব মন খারাপ। এভাবে চলতে থাকলে পরীর চিকিৎসা কিভাবে হবে? পরী বাঁচবেই বা কিভাবে? জানতে হলে পড়ে নিতে হবে এই বইটি। সবকিছু মিলিয়ে বইটি ভালোই লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
অন্যসব দিনের মত সেদিনও হরিপদ লোকাল বাস ধরে রওনা দিয়েছিল অফিসে। বাস ছাড়তেই দেখে কখন যেন পিপলিও সাথে চলে এসেছে। এখন ওকে একলা রেখে তো আর অফিসে যাওয়া যায় না। অগত্যা আবার বাসায় ফিরতে হল। পিপলিকে চিনলে না। পিপলি।।। একটা ছোট্ট পিপড়া। হরিপদর অনেক আদরের পিপড়া। আরো আছে তেচু, নেপাল আর ফুডুক্কু। চিনলে না তো? পিপলি, ধেড়ে ইদুর নেপাল আর পাঁচপেয়ে তেলাপোকা তেচুকে নিয়ে হরিপদর সংসার। আর আছে উপর তলার ছোট্ট মেয়ে পরী। সত্যিই যেন একটা ফুটফুটে পরী। কিন্তু কঠিন এক অসুখে আক্রান্ত ছোট্ট মেয়ে পরী। অনেক অনেক টাকা লাগবে তার চিকিৎসায়। তবুও কি অনাবিল প্রাণোচ্ছন্দে মেয়েটা ভেসে বেড়ায়। হরিপদর কাছে তার একমাত্র দাবি একটা পিঙ্ক কালারের নেলপলিশ। আর কিচ্ছু চাইনা তার। সরকারি অফিসের সামান্য কর্মচারী হরিপদ। চুপচাপ কাজ করে আর একলা একলা বাসায় সময় কাটায়। তার আশেপাশের চরিত্রগুলো একেকটা একেকরকম। ভাল মন্দে মিলিয়ে কেটে যাচ্ছিল হরিপদর জীবন। এরপর একরাতে ঘুমিয়ে পড়ার সময় তার চোখের পর্দায় কী একটা উজ্জল আলো এসে পড়ল। এই আলোতে ঘুম তো ভাঙ্গলোই না বরং আরো আমেজে ঘুমিয়ে পড়ল হরিপদ। ঘুম ভেঙ্গে তার দেখা হল গেলিয়েনদের সাথে। গেলিয়েনরা এলিয়েনদেরই একটা প্রজাতি। তারা সবসময় মানুষের ভাল চায়। তাই তারা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে হরিপদকে অতিমানবিয় শক্তি দিয়ে পৃথিবীর ভালোর জন্য পাঠাতে চায়। এত বড় দায়িত্ব কি নিতে পারবে হরিপদ? আর ক্ষমতাটাই বা কি? কি কাজ করতে হবে তাকে? আর এত সহজেই কি মানুষের সব দুঃখ দূর করা যাবে? অন্যের রিভিউ পড়ে বই খুব কমই কিনি আমি। এটা অনেকদিন পর নেয়া এমন একটা বই যা আমি এই গ্রুপের একজনের রিভিউ পড়ে নিলাম। হতাশ হইনি। প্রচ্ছদ থেকে কিশোরোপযোগী মনে হলেও এই লেখা বড়রাও নির্দিধায় পড়তে পারেন। খুব ভাল কিছু সময় নির্মল আনন্দে কাটানোর জন্য খুব উপযোগী। গেলিয়েন শব্দটা এই প্রথম শুনলাম। এলিয়েন আর গেলিয়েনদের বর্ণনা পড়ে খুব মজা পেয়েছি। "এই গেলি" এই তাচ্ছিল্যকর শব্দটা থেকেই গেলিয়েন শব্দের উৎপত্তি। আর তারা বাস করে অন্ড্রোমিতা গ্যালাক্সিতে, এন্ড্রোমিডা নয় কিন্তু। আশা আছে ভাল লাগবে সবার।।।
Was this review helpful to you?
or
একটা মানুষ যখন প্রতিটা সময় অপমান আর লান্চনার শিকার হয় তখন জীবনে একটা মুহুর্ত আসে যখন অপমান, অত্যাচার গুলো গা সওয়া হয়ে যায়। হরিপদ ঠিক তেমনই। খুবই সাদাসিধে একজন মানুষ।সরকারি চাকুরী করেন। সবসময় এক একা থাকতে ভালোবাসেন। ঠিক একা একা না তার কিছু বন্ধু আছে। তাদের সাথে কাটানো সময়গুলোই হরিপদর কাছে সবচেয়ে ভালো মুহুর্ত। কিন্তু অদ্ভুত হলেও সত্য তার বন্ধু মহলে জায়গা করে নিয়েছে পিঁপড়ে ইদুর সহ আরও ক্ষুদে প্রানী! তাদের সাথে কথা বলেই হয়তো সারাটা জীবন কাটিয়ে দেয়া যেত যদি না "পরী" নামে বাচ্চা একটা মেয়ের সাথে জড়িয়ে না যেত হদিপদ। পরীর ভীষন অসুখ, হয়তো বেশীদিন বাচবে না সে। তাকে বাচানোর জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু পরীর মা বাবার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় তবে হরিপদর মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে এক ব্যাগ টাকা পরীদের বাসায় রেখে আসতে। কিন্তু বিষয়টা যে সম্ভব নয় হরিপদ সেটা ভালো করেই জানে। কিন্তু সে জানেনা তার জীবনে আচমকা একটা মোড় আসতে চলেছে। একদিন রাতে ঘুমাবার ঠিক আগে রঙিন আলোয় ভরে ওঠে হরিপদর ঘর। গভীর ঘুমে তলিয়ে যাওয়ায় হরিপদ বিষয়টা খেয়াল করেনা কিন্তু পরদিন থেকে নিজের মাঝে অদ্ভুত এক পরিবর্তন লক্ষ করে সে। চমকপ্রদ এক ক্ষমতা পেয়েছে হরিপদ। সেই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে পৃথিবী থেকে সমস্ত অন্যায় অবিচার দুর করতে হবে। কিন্তু হরিপদের মনে অন্য চিন্তা, কোনভাবেই কি এই ক্ষমতা দিয়ে পরীকে ভালো করা যাবেনা? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া : হরিপদকে যারা ক্ষমতা দিয়েছিলো তারা গেলিয়েন। গেলিয়েন আগে এলিয়েন ছিল। কেন তারা গেলিয়েন হলো বিষয়টা বেশ রহস্যময়। তবে আমার মাঝে মাঝে আমার মনে হয় হরিপরদ মত ক্ষমতা যদি আমার থাকতো তাহলে সত্যিই অনেক মজা হতো। কারো উপকার কিংবা পৃথিবীকে পাল্টাতে পারতাম কিনা জানিনা অন্তত কালো মুখোশধারী মানুষ গুলোকে চিনতে পারতাম আর হাসতাম। প্রথমেই বলে নেই আমি লেখকের নাম দেখে বই পড়তে পছন্দ করার আগে প্রচ্ছদ আর গল্পের নাম দেখি। প্রচ্ছদ আর নাম পছন্দ হয়েছে বলেই বইটা পড়া শুরু করি। সম্পূর্ণ পড়া শেষ করে যখন শেষ পাতায় লেখক পরিচিতি দেখলাম তখন পুরাই অবাক। কেননা লেখক আমাদের এলাকার। আমি ভাবতেই পারছিলাম না এত সুন্দর একটা সায়েন্স ফিকশান লেখার যোগ্যতা দিনাজপুরের কারো থাকতে পারে। বইপড়ে লেখকের আইডি খুজে বের করে আবদার করলাম ফ্রেন্ডলিস্টে জায়গা পাওয়া যাবে কিনা। লেখক কথা না বাড়িয়ে নিজের অনলাইন জগতে আমাকে সঙ্গে নিলেন। বই বিষয়ে আলদা করে কিছু বলছি না, কারন এমন খুব অল্প বই আছে যেটায় একই সাথে সুখ, দুঃখ, হাসি কান্না, রহস্য, রম্য, সায়েন্স ফিকশান থাকে। কিন্তু এ বইটায় সব ছিল। আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে। লেখক আমার নিজের এলাকার সেজন্য বলছি না। সত্যিই আমার অনেক ভালো লেগেছে। যদি বইয়ের মজা মিস করতে না চান তাহলে এক্ষুনি অর্ডার করুন
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
হরিপদ। সাধারণ একজন মানুষ। কেরানির চাকরি করে। তবে তার জীবনটা সাধারণ নয়। আপন কেউ না থাকার কারণে যেখানে তার অফিস থেকে ফিরে আসার অপেক্ষায় কারও থাকার কথা নয়,সেখানেও তার জন্য অপেক্ষা করে বেশ কয়েকজন। পিপলি নামে এক পিঁপড়া,নেপাল নামে এক ধেড়ে ইঁদুর, তেচু নামের এক তেলাপোকা-এদের নিয়েই হরিপদের সংসার। তবে তাছাড়াও পরি নামে এক পরির মতো মেয়েও প্রতিদিন হরিকার অফিস থেকে আসার অপেক্ষা করে থাকে,যার ভীষণ অসুখ। অসুখ সারাতে লাগবে অনেক টাকা। অফিসে হরিপদ কেরানিকে নিয়ে তুমুল হাসাহাসি। ভীষণ সৎ, তার উপর একটু পাগল কিসিমের-এ কারণেই হরিপদকে নিয়ে মজা নিতে পছন্দ করে তার অফিসের কলিগরা। প্রতিদিন বাসের কোণে মাথা নিচু করে অফিসে যাওয়া,মাথা নিচু করে কাজ করা,তারপর আবার বাসের কোণার সিটে বসে ফিরে আসা ছোটখাটো মানুষটার জীবনের রুটিন। তবে এই রুটিনে হঠাৎ ঘটলো পরিবর্তন। ‘গেলিয়েন’ নামের এলিয়েনেরা হঠাৎ করেই পাকড়াও করলো হরিপদকে। তারপর দিল এক সুপার পাওয়ার। সাধারণ কেরানি হরিপদ হঠাৎ হয়ে উঠলো সুপার হিউম্যান। কিন্তু কী সেই পাওয়ার? কী-ই বা করলো হরিপদ সেই পাওয়ার দিয়ে? জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। বইটিতে লেখক ভালোবাসার এক পৃথিবী দেখাতে চেয়েছেন। পুরো বইটির প্রতিটি লাইনেই ফুটে উঠেছে সে কথা। যেখানে হিংসা,ঘৃণা, অহংকারে মত্ত পুরো পৃথিবী, সেখানে লেখক দেখাতে চেয়েছেন এসব সত্যি নয়; আসল সত্যি হলো ভালোবাসা। পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে আসলে কোনো সুপার পাওয়ার দরকার নেই,দরকার শুধু ভালোবাসা। মানুষের ভেতরকার গভীর ভালোবাসাই বাঁচিয়ে রাখতে পারে পৃথিবীকে।
Was this review helpful to you?
or
valo ekti boi
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মে সাধারণত আমার মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে লেখা বইগুলো খুব পড়তে ভালো লাগে। তেমনি একটা বই হল হরিপদ ও গেলিয়েন। লিখেছেন রাজীব হাসান। তিনি আমার প্রিয় লেখক এর মধ্যে একজন। রকমারি থেকে বইটি আমি ১৭৬ টাকায় কিনেছিলাম। বইটির নাম : হরিপদ ও গেলিয়েন লেখক : রাজীব হাসান প্রকাশনীর নাম : প্রথমা প্রকাশন বইয়ের ধরন : হার্ডকভার আসল মূল্য : 200 টাকা ক্রয় মূল্য :176 টাকা (12% ছাড়) অনলাইনে বই কেনার লিংক: rokomari.com কাহিনীর একাংশ ## সাধারন একজন অফিসের কেরানি হরিপদ। কেরানি হলেও রোজ সবার আগে চলে যায় অফিসে। নিজের বলতে কেউ নেই হরিপদের। তবে প্রতিবেশীদের আপন করে নিয়েছে সে। তার প্রতিবেশীদের মধ্যে আছে ভুলু, হরকা, মোশারফ করিম(মশা করিম) আর সবচেয়ে প্রিয় ছিল যে মেয়ে তার নাম হলো পরী। হরিপদ যে বাড়িতে ভাড়া থাকে পরীরাও সে বাড়িতে ভাড়া থাকে। পরিরা থাকে চিলেকোঠার ঘরে। সাথে থাকে তার মা। তার বাবা আছে। কিন্তু বাসা থেকে বাইরে সময় কাটান বেশি। হরিপদও কয়েকটা বন্ধু আছে তারা হল পিপলি, তেচু, নেপাল আর ফুড়ুক্কু। তারা যথাক্রমে পিপঁড়া, ইঁদুর, নেপালের কথাটা জানিনা আর শেষেরটা হল তেলাপোকা। একদিন পিপলিকে নিয়ে অফিসে জানাজানি হয়ে গেলে সবাই হরিপদ কে নিয়ে হাসাহাসি করে। অপমান হয় তার। তবে অপমান গায়ে মাখানোর লোক হরিপদ না। হরিপদের অন্যতম প্রতিবেশীর মধ্যে একজন হল ভুলু। তার নাম ভুলু কারণ সে সবকিছু ভুলে যায়৷ নিজের নাম পর্যন্ত মাঝে মাঝে ভুলে যাই সে। তাদের বাসায় একটা ছোট্ট বুড়িও থাকে তাকেও খুব ভালোবাসে হরিপদ। পরী হল সেই ছোট্ট বুড়ি যার 6 বছর হওয়া সত্ত্বেও 40 বছর বুড়ির মত কথা বলে। পরী অনেকদিন আগে হরিপদকে একটা জিনিস আনতে বলেছিল। আর সেটা হলো পিংক কালারের নেলপালিশ। হরিপদ প্রতিদিন বাড়ি থেকে বের হয় কিন্তু আসার সময় তার আর সেটা মনে থাকে না। আর যদি মনে পড়ে সেদিন খুব রাত হয়ে যায়। দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়৷ আর এমনিতেও সে খুব একটা কসমেটিকের দোকান চিনে না। অনেক কষ্টে একদিন সে একটা কসমেটিকের দোকান খুঁজে পেয়েছিল বটে। তবে নেলপলিশের খোঁজ নিতে গিয়ে সে দেখে নেলপালিশ আছে তবে পিংক কালার টা শেষ হয়ে গেছে। দোকানদার বলল পিংক কালার ছোট বাচ্চারা বুঝবে না। দোকানদার একটা উপদেশ দিল। দোকানদার বলল একটা হালকা লাল রঙের নেলপালিশ নিয়ে যেতে। তবে পরি এক নাম্বারের পাকনা বুড়ি। সেদিন হরিপদ পরীর কাছে কান ধরে উঠবস করে। একদিন হরিপদো ঘুম থেকে উঠে দেখে সে নতুন কোন শহরে চলে এসেছে তার সামনে কয়েকটা গেলিয়েন( ভালো এলিয়েনদের দিলেন বলে) দাঁড়িয়ে আছে। তারা হরিপদকে একটা সুপার পাওয়ার দিয়েছে। আর সেটা হলো মানুষের মনের কথা শুনতে পারা। তার কারণ একটাই। কারণ হরিপদ ছিল কোন হিংসা বিদ্বেষহীন মানুষ। কেবল সেই পারবে মানুষের মনের কথা বুঝে তার কষ্ট দূর করে দিতে৷ যাতে মানুষ কোন হিংসা বিদ্বেষের না পরে৷ তবে সুপার পাওয়ার টা একদিনের জন্য স্থায়ী ছিল৷পরির একটা রোগ ছিল। আর তা হলো দিনে দিনে তার লিভার বড় হয়ে যাচ্ছে। আর সে কারণে তার পেট ফুলে উঠছে। তাই নিয়েও মেয়েটা আনন্দে থাকে। বাবা মাকে বুঝতে দেয়না যে তার কষ্ট হচ্ছে। কেননা তার এই চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। হরিপদ জানতে পারে যে পরীর বাবা তার মেয়ের জন্য যে টাকা সাহায্য হিসেবে প্রতিবেশীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন তার একাংশ তিনি তার জন্য ব্যয় করছেন তার নেশার কার্যে জন্য। আর অল্প অংশ তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য।হরিপদ এ দেখে খুব মন খারাপ করলো। আর গেলিয়েন সম্প্রদায় কে মিনতি করল যে তার সুপার পাওয়ার এর বদলে যাতে পরী সুস্থ হয়ে যায়৷ কেননা সে পরীর চাওয়ার পিংক কালারের নেলপালিশ টা দিতে পারিনি। এমতাবস্থায় পরি না ফেরার দেশে চলে গেলে হরিপদ নিজেকে অপদার্থ মনে করত৷ একদিন পরির খুব শরির খারাপ করল৷ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। তারপর কি হল পরির??? সেটা আর বললাম না। ##বইটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। প্রথমে বইটি হাস্যকৌতুক সংবলিত বই মনে করেছিলাম৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরার পর আমার চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনি। বইটি আমাকে একেবারে হৃদয়ের গভীরে আঘাত দিয়েছে। বইটি এককথায় অসাধারণ।।