User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সত্যি বলতে বই টা অসাধারণ। আমার অনেক ভালো লাগলো পড়ে।হুমায়ুন আহমেদ এর বই এ আলাদা রকম একটা কাহিনি থাকে যা পড়তেই মজা লাগে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ। ?
Was this review helpful to you?
or
valoi
Was this review helpful to you?
or
Amazing
Was this review helpful to you?
or
আজকাল হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা খুবই ভালো লাগে এই থেকেই বই টি কেনা।"দেবী "আমার একটি প্রিয় বই, এর দ্বিতীয় পর্ব হিসেবে নিশীথিনী পরা। হুমায়ূন আহমেদের লেখায় আমার হস্তক্ষেপ বা মত প্রকাশের সাহস নেই, তিনি সব সময় শ্রেষ্ঠ, ?
Was this review helpful to you?
or
দারুণ! ❤️
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Nishithini boiti debir 2nd part ebong amr boiti pore onk bhalo laglo ☺️ obosshoi recommend korar moto boiti misir alir proti agroho r bhalo laga bariye diye che..
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ গা কাপানো আবেগীয় একটা উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর বইটি আপ্নারা জারা থ্রিলার পচন্দ করেন তারা এই বইটি সংগ্রহ করতে পারেন
Was this review helpful to you?
or
debir 2nd part holo nishithini,,,,,,,,,debi boi ti onk vlo legeche,asha kri ai boi ti o onk vlo lagbe
Was this review helpful to you?
or
প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই রকমারি কে। তাদের সার্ভিস অসাধারণ। একদিনের মধ্যেই বইটি পেয়েছি হাতে। যারা প্যারাসাইকোলজি নিয়ে লেখাপড়া করছেন বা প্যারাসাইকোলজি নিয়ে জানতে চান। তাদের উদ্দেশ্যে আমি একটা কথাই বলবো তারা যদি হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলির সমস্ত বই পড়তে পারে তাহলে তাদের জন্য অনেক সাহায্য কর হবে। কারন প্রতিটা বই আমি পড়েছি এবং প্রতিকার বইয়ের বিষয় ছিল প্যারাসাইকোলজি। প্রতিটি কেস অনেক সূক্ষ্মভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এখানে। যা পাঠকদের কাছে অনেক ভালোই লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
nothing to say..but outstanding
Was this review helpful to you?
or
Recommended !!! ?
Was this review helpful to you?
or
এটি মিসির আলি সিরিজ এর দ্বিতীয় বই;প্রথম বই দেবির সাথে সম্পর্কিত!
Was this review helpful to you?
or
Boita onk valo legeche
Was this review helpful to you?
or
interesting
Was this review helpful to you?
or
GOOD
Was this review helpful to you?
or
Nice book
Was this review helpful to you?
or
রাতের বেলায় সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়েছিল আমি বই টি সেই সময় পড়ে ছিলাম । আর এত রাতে পড়ার কারণে খুব ভয় ও পেয়ে ছিলাম । আমি তখন জানতাম ও না বইটি মিসির আলী সিরিজের আর 'দেবী' সিরিজের পরবর্তীতে পড়তে পড়তে বুঝতে পারি ।তবে নিঃসেন্দহে বইটি অসম্ভব ভৌতিক । আমার কাছে মনে হয় মিসির আলী সিরিজের শ্রেষ্ঠ বই 'নিশীথিনী' । বইটা অবশ্য একবার হলেও পড়ে দেখবেন ।
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলী সিরিজের দ্বিতীয় বই, দেবীর সিক্যুয়েল। আগের বইটির মতো এটিও বেশ ভালো লেগেছে। গা ছমছম করা পরিবেশ, একটার পর একটা ঘনীভূত হওয়া রহস্য আর রহস্যের জট খুলতে থাকা, এক কথায় বাংলায় লেখা ভারী জমজমাট এক সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। যদিও কিছু প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত প্রশ্নই রয়ে যায়। মিসির আলী সিরিজের পরের বইগুলি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। © Shampa Paul
Was this review helpful to you?
or
Misir Ali r ekta odvut kahini holo Nishithini. Firoz tar bondhur barite giyei sekhane tar sriti sokti te somossha hoy r er por thekei se majhe majh. Pagol hoye jeto. Firoz er oi bondhur Bonti chilo onek sundor kintu tar paye somossha thake. Misir Ali nijei ei somossar somadhan korte paren ni. Tahole korlo ke?
Was this review helpful to you?
or
অতৃপ্তি নিয়ে শেষ করতে হল, তবু তাতেই যেন তৃপ্তি। গল্পের মানবিক অংশ গুলো খুব ছুঁয়ে যায়। নীলুর বাবা যখন মেয়ের স্বাভাবিক জীবন চায়, হানিফা বলে “মামি ইট হার্টস” কিংবা ফিরোজের বাবা-মা’র সন্তানের সুস্থতার কামনা পাঠকের অনুভূতি হয়ে যেতে আর বাকি থাকে না।
Was this review helpful to you?
or
নীলু কি পারবে মিসির আলী কে বাঁচাতে???মিসির আলী ই কি পারবে ফিরোজের সমস্যার সমাধান করতে??? ছেলেটিই বা কেন মিসির আলীকে হত্যা করতে চায়??? অলৌকিকতা আর রহস্যময়তার মাঝে কি পার্থক্য আছে নাকি দুটি বিষয় ই একে অপরের সম্পর্কিত?? জানতে হলে পড়ে ফেলুন হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলী সিরিজের দ্বিতীয় বই নিশীথিনী।
Was this review helpful to you?
or
Its an amazing book
Was this review helpful to you?
or
মেডিকেল ছাত্র ফিরোজ তার বন্ধুর সাথে তাদের গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে তার সাথে শুরু হলো একটি সমস্যা। অবশ্য ফিরোজ এর বন্ধু চেয়েছিলো তার বোনের সাথে ফিরোজের বিয়ে দিবে কারন মেয়েটির পায়ে সমস্যা তাই বিয়ে হচ্ছে না। কিন্তু মেয়েটি অসাধারণ রুপবতি। তাছাড়া তার বন্ধুর জানানতে ফিরোজ অনেক ভালো ছেলে। এই ভাবেই শুরু হয় কাহিনী। পরে মিসির আালির সাহায্য নিয়ে ফিরোজের চিকিৎসা করার চেষ্টা করে তার বাবা।
Was this review helpful to you?
or
নিশীথিনী দেবী'র দ্বিতীয় পর্ব।হুমায়ূন আহমেদের যুক্তিবাদী লেখার একটি এই বই।বইয়ের প্রধান চরিত্র মিসির আলী।যিনি বিশ্বাস করেন পৃথিবীতে কোন রহস্য থাকতে পারেনা। গল্পের প্রথমদিকেই ভার্সিটির ক্লাসে নীলুর সাথে দেখা মিসির আলীর।যে দেখতে দেবী গল্পের রানুর চরিত্রের মত।তার কথাবার্তা, চালচলন,আচড়ন অবিকল রানুর মত। অন্যদিকে ফিরোজ নামের এক অসুস্থ মানুষের মানসিক চিকিৎসা করছেন মিসির আলী।প্রায় এক বছর ধরে ফিরোজের চিকিৎসা করছেন তিনি।প্রতি সপ্তাহে একদিন তিনি ফিরোজের সাথে সেশনে বসেন।একদিন তিনি বাসায় ফিরার আগেই ফিরোজ তার বাসায় চলে আসে।মিসির আলি বাসায় ফিরে দেখেন যে ফিরোজ রড হাতে তার কাজের মেয়ে হানিফা কে মারতে গিয়েছিলো।রহস্য সেখান থেকেই জট পাকাতে শুরু করে। ফিরোজের ভয়ানক আচড়নে ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে হানিফা।এক পর্যায়ে মিসির আলি অনুভব করেন হানিফা কোন বড়লোক পরিবারের মেয়ে। তিনি হানিফাকে চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন এবং তার পরিচয়ের সন্ধান করতে তার পুলিশ বন্ধু সাজ্জাদের সাথে দেখা করেন। ফিরোজের রহস্যের ঝট খুলতে তিনি ছুটে যান ফিরোজের বন্ধু আজমলের জমিদারবাড়িতে।সেখানে আজমলের বোন নাজনীন একদিন তাদের জমিদারবাড়ির পুরোনো ছবি দেখাতে নিয়ে যায় মিসির আলিকে।যেখানে তিনি একটি ছবি দেখে অবাক হন।আজমলের দাদার বাবা একটি কালো প্যান্ট এবং গোল্ড রিমের চশমা পড়ে একটি ঘোড়াতে বসে আছে।ঘটনাক্রমে তিনি জানতে পারেন তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে গ্রামের প্রজারা একদিন তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। অন্যদিকে শহরে এক নতুন ত্রাসের সৃষ্টি হয়।এক নগ্নপাত্র কালো প্যান্ট পড়ে,লোহার রড হাতে প্রায় প্রতি রাতেই শহরে হামলা চালায়।কে এই অগ্যাত নগ্নপাত্র? এদিকে নীলুর মাঝে বেশ পরিবর্তন দেখতে পায় মিসির আলী ও নীলুর বাবা জাহিদ সাহেব। নীলু আগে থেকেই ভবিষ্যৎ বলতে পারে।এমনকি মিসির আলীর বেলায় ও সে ভবিষ্যৎ বলতে পারে!নীলু বিশ্বাস করে তার মাঝে একজন দেবী আছে যে কিনা রানুর মাঝেও ছিলো।কিন্তু মিসির আলী তা মানতে নারাজ। একদিন নীলু মিসির আলীকে জানায় হানিফার আসল নাম "ইমা"।কি সম্পর্ক হানিফার সাথে নীলুর? নীলু মিসির আলীকে জানায় ফিরোজ মিসির আলীকে মেরে ফেলার চেষ্টা করবে।কিন্তু ফিরোজ অসুস্থ থাকায় তাকে তালাবন্ধি করে রাখা হয়েছে।তাহলে সে কিভাবে মিসির আলীকে খুন করবে? তবে কি সেই নগ্নপাত্রের সাথে ফিরোজের কোন মিল রয়েছে? মিসির আলীকে নীলু জানায় দেবী তাকে ভবিষ্যৎ জানতে সাহায্য করে।কিন্তু মিসির আলী মনে করেন দেবী চরিত্রটি নীলুর হেলুশিনেসন। শেষ অবধী নীলু কি তার রহস্যময় জীবন থেকে সুস্থ জীবনে ফিরতে পারবে? পরিশিষ্ট ঃ সত্যি নগ্নপাত্র মিসির আলীকে খুন করার চেষ্টা চালায়।কিন্তু তাকে বাঁ চায় দেবী।এবং শেষ অবধি দেবী মিসির আলীকে জানায় নীলুর সাথে একদিন মিসির আলীর বিয়ে হবে! মিসির আলী কি সত্যি দেবী রহস্যের সমাধান করতে পারে? হানিফার পরিচয় কি? ফিরোজ কে কি সুস্থ করে তুলতে পারেন মিসির আলী? সব জানার জন্য রুদ্ধশ্বাস উপন্যাস নিশীথিনী বইটি পড়ার আহ্বান জানাই। কিছু কথাঃ প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের লজিক্যাল সৃষ্টি মিসির আলী।লজিকবিহীন চরিত্র হিমুর মতই লজিক্যাল চরিত্র মিসির আলীকেও বরাবরই আমার রহস্যময় মনে হয়।উপন্যাসে বিশেষ সময়ে মিসির আলীর রসিকতা বরাবরেই মতই পাঠককে আনন্দ দেবে। রহস্য আর যুক্তিতে নির্ভর উপন্যাসটি পড়ার আমন্ত্রন রইলো।
Was this review helpful to you?
or
'দেবী' বইয়ের সিকুয়েল 'নিশিথীনি'। যারা দেবী বই পড়েছেন শেষটা নিশ্চয়ই মনে আছে। 'নিশিথীনি' বইটাতেও রয়েছে হরর এলিমেন্ট। 'দেবীর' মতো হরর রহ্যসের স্বাদ এই বইটাতেও পাবেন। তবে এবার বইয়ে এক নতুন চরিত্র যুক্ত হয়েছে চরিত্রের নাম ফিরোজ। ফিরোজ মেডিকেল পড়ে। তার বন্ধু আজমলের বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে এক অদ্ভুত ঘটনায় সে হঠাৎ হঠাৎ হিংস্র হয়ে পড়ে। তবে তার হিংস্রতা পশুর মতো ই বলা চলে। মিসির আলি এবার ফিরোজ এর রহস্য উদঘাটন করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। তবে নিলু যে কিনা রানুর মৃত্যুরপর রানুর মতো হয়ে গিয়েছে সে বারবার মিসির আলিকে সাবধান করে। কারণ সে বুঝতে পারে মিসির আলির বিপদ। 'নিশিথীনি' বইটিতে হরর এলিমেন্ট, রহস্য, এক্সসাইটমেন্ট শুরুর দিকে ক্রমাগতো বাড়তে থাকলেও শেষটা আরও সুন্দরহতে পারতো বলে আমার মনে হয়। কিন্তু শেষটা খারাপ না মোটেও। কিন্তু গল্পেট শুরুর দিকের প্লটের তুলনায় শেষটা ভীষণ তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে। ১৫৮ টাকার বইটি চমৎকার তবে 'নিশীথিনী' পড়ার আগে অব্যশই দেবি পড়ে নিবেন। এছাড়া বই টি কিনে পড়ে ফেলুন আর ডুবে যান ভৌতিক রহ্যসে।
Was this review helpful to you?
or
নিশিথীনি হুমায়ুন আহমেদ রচিত দেবী বইটির দ্বিতীয় সিরিজ। দেবী বইটিতে তার পেশেন্ট ছিলো রানু, ঠিক তেমন এই বইটিতে তার নতুন পেশেন্ট ফিরোজ। এর চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে মিসির আলী জানতে পারে যে ফিরোজ বেড়াতে গিয়ে একটা কিছু দেখে ভয় পেয়েছে, এর মধ্যে মিসির আলীর তার কাজের মেয়ে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে জানতে চায় মেয়েটির আসল পরিচ। বইটি শেষ তো হয় কিন্তু রেখে যায় দেবীর থেকেও অনেক জটিল কিছু প্রশ্ন।
Was this review helpful to you?
or
This book is part 2 of Debi book.I read this book on online. It is a book of Misir Ali. When I read Debi I just can not wait to read Debi part 2 So I read this book on online. Debi and Nishithini/Debi2 both are amazing.Among Humayun ahmed book character Misir Alis all book I love those two book much.
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ হলেন বাংলাদেশের একজন অন্যতম জনপ্রিয় লেখক । তিনি বাংলাদেশের পাঠকদের কাছ অনেক জনপ্রিয় একজন লেখক ।পাঠকদের কাছে তার লেখা 'মিসির আলি' এবং 'হিমু' সিরিজ খুবই জনপ্রিয় ।নিশীথিনী হচ্ছে মিসির আলি সিরিজের দ্বিতীয় বই । এই বইটি আমার পড়া প্রিয় বই গুলোর একটি। বইটি পড়তে আমার ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
☆☆☆☆
Was this review helpful to you?
or
awesome
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_এপ্রিল বই-নিশীথিনী লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-ভৌতিক উপন্যাস পৃষ্ঠা-১০১ মূল্য-১৬০ প্রকাশনী-প্রতীক লেখক পরিচিতিঃ হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ – ১৯ জুলাই, ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। বই আলোচনাঃ মিসির আলির ধারণা ছিল, তিনি সহজে বিরক্ত হন না। এই ধারণাটা আজ ভেঙে যেতে শুরু করেছে। ঠিক এই মুহূর্তে তিনি অসম্ভব বিরক্ত। যে-রিকশায় তিনি উঠেছেন, তার সীটটা ঢালু। বসে থাকা কষ্ট্রের ব্যাপার। তার চেয়েও বড় কথা, দু মিনিট পরপর রিকশার চেইন পড়ে যাচ্ছে।এখন বাজছে দশটা তেইশ। সাড়ে দশটায় থার্ড ইয়ার অনার্সের সঙ্গে তাঁর একটা টিউটরিঅ্যাল আছে। এটা কোনোক্রমেই ধরা যাবে না। যে-হারে রিকশা এগুচ্ছে, তাতে ইউনিভার্সিটিতে পৌঁছতে তাঁর আরো পনের মিনিট লাগবে। এ-কালের ছাত্ররা এতক্ষণ তাদের টীচারদের জন্যে অপেক্ষা করে না। মিসির আলি তাঁর বিরক্তি ঢাকবার জন্যে একটা সিগারেট ধরালেন। ঠিক তখন পঞ্চম বারের মতো রিকশার চেইন পড়ে গেল। রিকশাওয়ালার ভাব-ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে চেইন পড়ার ব্যাপারটায় সে আনন্দিত। গদাইলশকরী চালে সে নামল এবং সামনের চাকাটা তুলে ঝাঁকাঝাঁকি করতে লাগল। চেইন পড়ে গেলে কেউ চাকা তুলে ঝাঁকাঝাঁকি করে বলে তাঁর জানা ছিল না। রুক্ষ গলায় বললেন, এ রকম করছি কেন? জবাব দিল না। গরম চোখে তাকাল এবং মিসির আলিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে একটা বিড়ি ধরাল। মিসির আলি রাগ সামলাবার চেষ্টা করতে লাগলেন। কুড়ি থেকে এক পর্যন্ত উল্টো দিকে গুনলেন। জীবনানন্দ দাশের মনে হয় একদিন কবিতার প্রথম চার লাইন মৃদু স্বরে আওড়ালেন। মিসির আলির ধারণা, কিছু-কিছু কবিতা মানুষের অস্থিরতা কমিয়ে দেয়। মনে হয় একদিন এমন একটি কবিতা। কিন্তু আজ তাঁর রাগ কমছে না। রিকশাওয়ালা কঠিন মুখ করে নির্বিকার ভঙ্গিতে বিড়ি টানছে। মিসির আলির দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করে না।–কথাটা কি সত্যি? তাঁর মনে হল, সত্যি নয়। কাজই হচ্ছে নানান রকম রহস্য সৃষ্টি করা-মানুষের কাজ হচ্ছে সেই রহস্যের কুয়াশা সরিয়ে দেয়। এমন একদিন কি আসবে, যখন কেউ বলবে না।– দেয়ার আর মেনি থিংকস ইন হেভেন অ্যাণ্ড আর্থ। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অনবদ্য এক সৃষ্টি 'মিসির আলী।' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মিসির আলী যুক্তির সাহায্যে প্রতিনিয়ত কাটাকুটি করেন ভ্রান্ত ধারণা, অযাচিত জমে থাকা ভয়। দেবী-র পরবর্তী পর্ব নিশীথিনী। রাণুর মৃত্যুর পর নীলুর মধ্যে রানুর ছায়া পড়ে, নীলু রাণুর অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা বা ESP অর্জন করে। যে দেবী রানুর মধ্যে বাস করত সে নীলুর শরীরে ঢুকে পড়ে - যা মিশির আলীকে বিষ্মিত করে, কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন না। তবে এ গল্প ফিরোজকে নিয়ে। ফিরোজ মোহনগঞ্জে তার বন্ধু আজমলের বাড়ী বেড়াতে গিয়ে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে ফিরে আসে। কারণ অজ্ঞাত। হঠাৎ হঠাৎ সে হিংস্র হয়ে পড়ে। তার মাথায় খুন চেপে যায়। হিংস্র অবস্থায় তার কাছে একটি মানুষ আসে, তার সাথে কথা বলে। মিশির আলীর টেপ রেকর্ডারে তার আওয়াজও ধরা পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
আপনি যদি মিসির আলীকে চিনতে চান তবে এই বইটি পড়ুন, অনবদ্য মাস্টারপিস।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন স্যারের অনবদ্য অনেক উপন্যাস আছে। সেগুলোর মধ্যে "দেবী" ও "নিশিথিনী"র কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতেই হবে। এক লহমায় অন্য ভূবনে নিয়ে যাওয়ার মতো বিষয়বস্তু আছে দুটো গল্পেই। অবশ্যপাঠ্য। আরিফ
Was this review helpful to you?
or
নিশিথিনীঃ বুক মিভিউ দেবীর পরেই পর্বই নিশিথিনী। বলাই বাহুল্য দেবী সিনেমা দেখে ফেলার কারনে-নতুন করে কিছু কল্পনা করতে ইচ্ছে করছিল না। মাথায় এমনিতেই সব চলে আসছিল। নিলুর চেহারায় রানুর ছাপ। মনে হচ্ছে পরের পর্বে নীলুর চরিত্রে জয়া আহসান চলে আসবেন। মিসির আলি কিন্তু মিসির আলী না। ভৌতিক উপন্যাস। মিসির আলীকে আমরা যেভাবে কল্পনা করি বা যেভাবে তিনি খ্যাতি পেয়েছেন-এই উপন্যাসে এখনো তা আসেনি। হয়তো মিসির আলী এরকম মগা মার্কা থাকলে চরিত্র হিসেবে তেমন জনপ্রিয় হতেন না। সিনেমাটোগ্রাফী যদি কল্পনা করি তবে বলতে হবে এখানে ভৌতিক চরিত্র কম পাওয়া যাবে। হাতে আছে মিসির আলী অমনিবাস-দেখা যাক কতদুর গড়ায়।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ নিশীথিনী লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ধরনঃ উপন্যাস নিশীথিনী" হচ্ছে "দেবী" এর দ্বিতীয় পর্ব। রহস্য এবং আধিভৌতিক টাইপের বই। রাণুর মৃত্যুর পর নীলুর মধ্যে রানুর ছায়া পড়ে, নীলু রাণুর অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা বা ESP অর্জন করে। যে দেবী রানুর মধ্যে বাস করত সে নীলুর শরীরে ঢুকে পড়ে - যা মিসির আলীকে বিষ্মিত করে, কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন না। তবে এ গল্প ফিরোজকে নিয়ে। ফিরোজ মোহনগঞ্জে তার বন্ধু আজমলের বাড়ী বেড়াতে গিয়ে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে ফিরে আসে। কারণ অজ্ঞাত। হঠাৎ হঠাৎ সে হিংস্র হয়ে পড়ে। তার মাথায় খুন চেপে যায়। হিংস্র অবস্থায় তার কাছে একটি মানুষ আসে, তার সাথে কথা বলে। মিসির আলীর টেপ রেকর্ডারে তার আওয়াজও ধরা পড়ে। ফিরোজের সেকেন্ড পার্সোনালিটি - ছোট চৌধুরী। হানিফা মিসির আলীর বাড়ীর কাজের মেয়ে। এক রাত্রে জ্বরের ঘোরে সে ইংরাজীতে কথা বলে উঠলে মিসির আলী বুঝতে পারে সে বড় ঘরের মেয়ে। তিনি তার বন্ধু পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদের সাহায্য চান। তিনি হানিফা আর ফিরোজ দুজনের ব্যাপারেই খোঁজ শুরু করেন। মিশির আলী ফিরোজের রহস্য উদ্ধারে মোহনগঞ্জে যান। আর এদিকে ফিরোজ একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটাতে থাকে। নীলু বুঝতে পারে ফিরোজ এবার মিশির আলীকে হত্যা করবে। মিসির আলীকে কেন্দ্র করে নীলু আর ফিরোজ - এবার লড়াই তাদের মধ্যে; দেবী আর ছোট চৌধুরীর মধ্যে - যাদের অস্তিত্ব মিসির আলীর কাছে নেই। সত্যিই কী নেই? ব্যক্তিগত অভিমতঃ দেবী থেকে অনেকগুন বেশি ভৌতিক লাগে নিশীথিনী। এখানে দুই চরিত্রের দুই অস্তিত্ব সত্যিই বেশ ভয় লাগে। লেখক বেশ সহজ সরল বর্ণনার মধ্যে দিয়ে ভৌতিক একটা অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। যেখানে চোখ খুলে তাকাতেও পারছিলাম না, আবার অতি আগ্রহের ফলে বন্ধও রাখতে পারছিলাম না। পড়ার পরও ভয়ের চিত্র গুলো মাথা থেকে সড়াতে পারিনী। বিশেষ করে ফিরোজের আচরণ। যতবার বইটার কথা মনে হয়। ততবার ওই চিত্র। আর ততবার চমকে যাই। মিসির আলী এই ভয়ের রহস্য ভেদ করেছেন আরো বেশি চমৎকার ভাবে। আলো আঁধারিতে পড়ার জন্য অসম্ভব একটা বই। হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্র মিসির আলী বেশ রহস্যময়। দেবী উপন্যাসের মধ্যদিয়ে তার আগমন। লেখক এই চরিত্রটাকে গড়ে তুলেছেন লজিক দিয়ে। মিসির আলী সম্পর্কিত সকল কাহিনীগুলো থাকে প্রচন্ড যুক্তি নির্ভর। আর এই যুক্তি দিয়ে ভেদ করেন রহস্যের ভূতুরে দেয়াল। চারপাশের রহস্যময় কাহিনীগুলোকে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে খুব সহজ ভাবে তুলে ধরেন। যেমন টা হয়েছে নিশীথিনীতে। রেটিংঃ ৪.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ : নিশীথিনী
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলি সিরিজের বই। "নিশীথিনী" হচ্ছে "দেবী" এর দ্বিতীয় পর্ব। মিসির আলী সিরিজের বই। "নিশীথিনী" হচ্ছে "দেবী" এর দ্বিতীয় পর্ব। রহস্য এবং আধিভৌতিক টাইপের বই। রাণুর মৃত্যুর পর নীলুর মধ্যে রানুর ছায়া পড়ে, নীলু রাণুর অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা বা ESP অর্জন করে। যে দেবী রানুর মধ্যে বাস করত সে নীলুর শরীরে ঢুকে পড়ে - যা মিশির আলীকে বিষ্মিত করে, কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন না। তবে এ গল্প ফিরোজকে নিয়ে। ফিরোজ মোহনগঞ্জে তার বন্ধু আজমলের বাড়ী বেড়াতে গিয়ে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে ফিরে আসে। কারণ অজ্ঞাত। হঠাৎ হঠাৎ সে হিংস্র হয়ে পড়ে। তার মাথায় খুন চেপে যায়। হিংস্র অবস্থায় তার কাছে একটি মানুষ আসে, তার সাথে কথা বলে। মিশির আলীর টেপ রেকর্ডারে তার আওয়াজও ধরা পড়ে। ফিরোজের সেকেন্ড পার্সোনালিটি - ছোট চৌধুরী। হানিফা মিশির আলীর বাড়ীর কাজের মেয়ে। এক রাত্রে জ্বরের ঘোরে সে ইংরাজীতে কথা বলে উঠলে মিশির আলী বুঝতে পারে সে বড় ঘরের মেয়ে। তিনি তার বন্ধু পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদের সাহায্য চান। তিনি হানিফা আর ফিরোজ দুজনের ব্যাপারেই খোঁজ শুরু করেন। মিশির আলী ফিরোজের রহস্য উদ্ধারে মোহনগঞ্জে যান। আর এদিকে ফিরোজ একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটাতে থাকে। নীলু বুঝতে পারে ফিরোজ এবার মিশির আলীকে হত্যা করবে। মিশির আলীকে কেন্দ্র করে নীলু আর ফিরোজ - এবার লড়াই তাদের মধ্যে; দেবী আর ছোট চৌধুরীর মধ্যে - যাদের অস্তিত্ব মিশীর আলীর কাছে নেই। সত্যিই কী নেই?
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলী সারিজের একটি বই হলো নিশীথিনী। বইটি দেবী এর দ্বিতীয় অংশ।যারা আগে দেবী না পড়ে বইটি পড়বে তারা হয়তো অনেক কিছুই বুঝতে পারবে না।দেবী এর শেষ অংশে রানুর মৃত্যু হয় এবং রানুর মধ্যে থাকা দেবী নিলুর মধ্যে আসে।এখান থেকেই গল্পের শুরু। আমার মতে বইটি অসাধারণ। গল্পের শেষে দেখা যায় ফিরোজ নামের অস্বাভাবিক ছেলে টি সুস্থ্য হয়ে যায় এবং নিলুর সাথে মিশির আলীর বিয়ে হওয়ার ইঙ্গিত করে দেবী।বইয়ে মিশির আলী দেবীর প্রতি বিশ্বাস না রাখলেও শেষে দেবীই মিশির আলী কে বাঁচিয়ে তোলে।
Was this review helpful to you?
or
দেবী বইটির পরের ভার্সন হচ্ছে নিশীথিনী। তুলনা করলে বলতে হবে আমার কাছে দেবী বইটিই বেশী ভাল লেগেছিল। তবে এই বইটিকে খারাপ বলা যায়না। আমার কাছে ভালই লেগেছে। ঘটনা রিলেট করা বা সমাপ্তি সব কিছুই সুন্দর আর গোছানো ছিল।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা ::::::::::৩৩::::::::::: বই:- নিশীথিনী লেখক:- হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী:- প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা ঘরানা:- হরর উপন্যাস পৃষ্ঠা:- ১০১ রকমারি মূল্য:- ১৪১ টাকা আমার প্রিয় মিসির আলী সিরিজের পথচলা শুরু হয় দেবী উপন্যাসের মাধ্যমে। মিসির আলী সিরিজের দ্বিতীয় বই এবং দেবী উপন্যারের পরের অংশ এই "নিশীথিনী" উপন্যাসটি। এই পর্বে নতুন চরিত্র ফিরোজ। সে ডাক্তারী পড়ে। ময়মনসিংহের মোহনগঞ্জে তার বন্ধু আজমলের বাড়ীতে ঘুরতে যায়। সেখানেই প্রথম তার অাচরণে অস্বাভাবিক কিছু পরিবর্তন চোখে পরলে তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। ঢাকায় অাসার পরে আরো কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। হঠাৎ করেই হিংস্র হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় তার কাছে একটি মানুষ আসে, তার সাথে কথা বলে। কে আসে ফিরোজের কাছে??? কি কারনে আসে??? দেবী উপন্যাসের রানুর মধ্যে যে অতিপ্রাকৃত শক্তি দেখা যায় এই উপন্যাসে তা চলে আসে নীলুর কাছে। সেও ঠিক রানুর মতো বিভিন্ন অস্তিত্বের উপস্থিতি বুঝতে পারে। যে কোন বিপদের আসার আগেই সে সব বুঝতে পেরে যায়। আবার মিসির আলী সাহেব বুঝতে পারেন তার বাড়ির কাজের মেয়ে হানিফা অনেক বড় ঘরের মেয়ে। সে সময় ঢাকায় এক ধরনের আতংক সৃষ্টি হয়। প্যান্ট পড়া একটি ছেলে, রড দিয়ে একের পর এক খুন করতে থাকে। সমগ্র ঢাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। নীলু বুঝতে পারে এবার মিসির আলীকে হত্যা করা হবে। মিসির আলীর চারদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ের আছে নানা রকম রহস্য। কি করবেন এখন মিসির আলী????? প্রাণ বাঁচাতে আত্নগোপন করবেন??? নাকি সকল রহস্য ভেদ করার জন্য তার যক্তি দিয়ে বিশ্লেষন করবেন সকল রহস্য?????? #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- দেবী উপন্যাসে প্রচুর সারা পায় হুমায়ূন স্যার সেই অনুপ্রেরণা থেকেই দেবীর ২য় অংশ "নিশীথিন"। দেবীর থথেকে অনেক বেশি ভৌতিক এই উপন্যাসটি। হুমায়ূন স্যার তার লেখার জাদু দিয়ে কিছু ভৌতিক অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। আমি পড়ে ভাগ্নীকে শোনাচ্ছিলাম কিছু কিছু জায়গায় পড়ার সময় ও চোখ বন্ধ করে ফেলতো ওর মুখ দেখে বুঝতে পারছিলাম ও ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলছে কিন্তু উত্তেজনায় চোখ বন্ধ করে রাখতেও পারছে না। আমি চুপ করে থাকলে আবার বলতো মামা পড় না ক্যান? পরও ভয়ের চিত্র গুলো মাথা থেকে সড়াতে পারিনী। বিশেষ করে ফিরোজের আচরণ। যতবার বইটার কথা মনে হয়। ততবার ওই চিত্র। আর ততবার চমকে যাই। মিসির আলী এই ভয়ের রহস্য ভেদ করেছেন আরো বেশি চমৎকার ভাবে। আলো আঁধারিতে পড়ার জন্য অসম্ভব একটা বই। যুক্তির জন্যই মিসির আলীকে ভালো লাগে। আমার মনে হয় হুমায়ূন স্যার এই চরিত্রের মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
“মিসির আলী”কে নিয়ে লেখা হুমায়ন আহমেদের দ্বিতীয় উপন্যাস “নিশীথিনী”। ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ মিসির আলি চরিত্রটির ধারণা প্রথম পান যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটার ফার্গো শহরে, স্ত্রীর সাথে গাড়িতে ভ্রমণের সময়।চরিত্রটির ধারণা মাথায় চলে এলেও তিনি মিসির আলি চরিত্রের প্রথম উপন্যাস "দেবী" লিখেন এই ঘটনার অনেকদিন পর।”দেবী”-র পরবর্তী পর্ব নিশীথিনী। এই উপন্যাসে আমার খুব প্রিয় এটি উদ্ধৃতি-"যা আমরা বিশ্বাস করি না অথচ বিশ্বাস করতে চাই, তাই আমরা বারবার বলি।" এই গল্পটি ফিরোজকে নিয়ে। ফিরোজ মোহনগঞ্জে তার বন্ধু আজমলের বাড়ী বেড়াতে গিয়ে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে ফিরে আসে। কারণ অজ্ঞাত। হঠাৎ হঠাৎ সে হিংস্র হয়ে পড়ে। তার মাথায় খুন চেপে যায়। হিংস্র অবস্থায় তার কাছে একটি মানুষ আসে, তার সাথে কথা বলে। রাণুর মৃত্যুর পর নীলুর মধ্যে রানুর ছায়া পড়ে, নীলু রাণুর অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা বা ESP অর্জন করে।নীলু বুঝতে পারে ফিরোজ এবার মিসির আলীকে হত্যা করবে।/মিসির আলি চরিত্রটি এতোটাই পাঠক জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, অনেকেই তাঁকে রক্তমাংসের মানুষ ভাবতে শুরু করেছেন। হুমায়ূন আহমেদ প্রায়ই জিজ্ঞাসিত হন যে, মিসির আলি কি কোনো বাস্তব চরিত্রকে দেখে লেখা কিনা। এর নেতিবাচক উত্তর পেয়ে অনেকেই আবার মিসির আলি চরিত্রটির মধ্যে লেখকেরই ছায়া খুঁজে পান। এপ্রসঙ্গে স্বয়ং হুমায়ূন আহমেদই উত্তর করেন: “না, মিসির আলিকে আমি দেখিনি। অনেকে মনে করেন লেখক নিজেই হয়তো মিসির আলি। তাঁদেরকে বিনীতভাবে জানাচ্ছি- আমি মিসির আলি নই। আমি যুক্তির প্রাসাদ তৈরি করতে পারি না এবং আমি কখনও মিসির আলির মতো মনে করিনা প্রকৃতিতে কোনো রহস্য নেই। আমার কাছে সব সময় প্রকৃতিকে অসীম রহস্যময় বলে মনে হয়।“
Was this review helpful to you?
or
মিসির আলী সিরিজের ২য় বই নিশীথিনী । মাত্র ২ দিনের মধ্যেই হাতে পেয়ে গেলাম । আলহামদুলিল্লাহ । বইয়ের মান অনেক ভালো নিতে পারেন আপনিও...
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-নিশীথিনী লেখক-হুমায়ূন আহমেদ ধরন-ভৌতিক উপন্যাস পৃষ্ঠা-১০১ মূল্য-১৬০ প্রকাশনী-প্রতীক নিশীথিনী, মিসির আলী সম্পর্কিত দেবী সিরিজের দ্বিতীয় বই। তবে এবারের গল্প নতুন চরিত্র ফিরোজকে নিয়ে। সে ডাক্তারী পড়াশোনা করে। ময়মনসিংহের মোহনগঞ্জে তার বন্ধু আজমলের বাড়ী। ফিরোজ সেখানে ঘুরতে যায়। সেখানে গিয়ে সে এমন কিছু দেখে তাতে পুরোপুরি অস্বাভাবিক হয়ে যায় । তাকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। তারপর থেকেই হঠাৎ হঠাৎ সে হিংস্র হয়ে পড়ে। তার মাথায় খুন চেপে যায়। হিংস্র অবস্থায় তার কাছে একটি মানুষ আসে, তার সাথে কথা বলে। মিসির আলী ফিরোজের এ রহস্যের ভার নেন। ফিরোজ যার সাথে কথা বলে, মিসির আলীর দেওয়া টেপ রেকর্ডারে তার আওয়াজও ধরা পড়ে। ফিরোজের সাথে কথা বলা এ অস্তিত্ব টি হলো মোহনগঞ্জের ছোট চৌধুরী। তিনি হলেন আজমলের দাদার বাবা। দেবী উপন্যাসের নীলুকে এই উপন্যাসেও দেখা যায়। তবে আশ্চর্যজনক তথ্য হলো, নীলুও রানুর মতো আচরণ করছে। তার মাঝেও অতিপ্রাকৃত ব্যাপারটা ভর করছে আর সেও ঠিক রানুর মতো বিভিন্ন অস্তিত্ব টের পায়। যে কোন বিপদের সময় সে আগে থেকেই, সব জানতে পারে। মিসির আলীর বাড়ির কাজের মেয়ে হানিফা হঠাৎ রাতে ঘুমের ঘোরে ইংরেজী বলে উঠে। মিসির আলী বুঝতে পারেন। এ মেয়ে বেশ ভালো শিক্ষিত ঘরের। তখন তার মা বাবার খোজে তার কমিশনার বন্ধুর সাহায্য চান। সে সময় হঠাৎ করেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এক আতংক সৃষ্টি হয়। তা হলো শুধু মাত্র প্যান্ট পড়া যুবক, তার হাতে রড এবং সে এই রড দিয়ে মানুষকে খুন করে বেড়ায়। রাজধানীতে যখন একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটাতে থাকে।তখন নীলু হঠাৎ বুঝতে পারে এবার মিসির আলীর পালা। সেই আততায়ী এবার মিসির আলীকে পাকড়াও করবে। নীলু যায় মিসির কাছে। প্রছন্ড যুক্তিবাদী মিসির আলী কি কখনও এসব সমর্থন করবেন? তিনি কি পারবেন ফিরোজের ভেতরকার রহস্য, নীলুর রহস্য ভেদ করতে। মিসির আলীরকে নিয়ে নীলু আর ফিরোজ। তাদের মধ্যকার দুই অস্তিত্ব দেবী আর ছোট চৌধুরী। যাদের অস্তিত্ব মিসির আলীর কাছে নেই, সত্যিই কি নেই! দেবী থেকে অনেকগুন বেশি ভৌতিক লাগে নিশীথিনী। এখানে দুই চরিত্রের দুই অস্তিত্ব সত্যিই বেশ ভয় লাগে। লেখক বেশ সহজ সরল বর্ণনার মধ্যে দিয়ে ভৌতিক একটা অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। যেখানে চোখ খুলে তাকাতেও পারছিলাম না, আবার অতি আগ্রহের ফলে বন্ধও রাখতে পারছিলাম না। পড়ার পরও ভয়ের চিত্র গুলো মাথা থেকে সড়াতে পারিনী। বিশেষ করে ফিরোজের আচরণ। যতবার বইটার কথা মনে হয়। ততবার ওই চিত্র। আর ততবার চমকে যাই। মিসির আলী এই ভয়ের রহস্য ভেদ করেছেন আরো বেশি চমৎকার ভাবে। আলো আঁধারিতে পড়ার জন্য অসম্ভব একটা বই। হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্র মিসির আলী বেশ রহস্যময়। দেবী উপন্যাসের মধ্যদিয়ে তার আগমন। লেখক এই চরিত্রটাকে গড়ে তুলেছেন লজিক দিয়ে। মিসির আলী সম্পর্কিত সকল কাহিনীগুলো থাকে প্রচন্ড যুক্তি নির্ভর। আর এই যুক্তি দিয়ে ভেদ করেন রহস্যের ভূতুরে দেয়াল। চারপাশের রহস্যময় কাহিনীগুলোকে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে খুব সহজ ভাবে তুলে ধরেন। যেমন টা হয়েছে নিশীথিনীতে। রেটিং-৫/৫ রকমারি লিংক-https://www.rokomari.com/book/1280/নিশীথিনী
Was this review helpful to you?
or
নিশীথিনী বইটি হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা দেবী সিরিজের একটি জনপ্রিয় বই । বইটিতে লেখক খুব সহজ সরল ভাষায় ঘটনাবলি উপস্থাপন করেছেন । বইটির কাহিনি আসাধারন । আমার কাছে বইটি খুবই ভালো লেগেছে । বইটি পড়ার সময় প্রতিটি মুহূর্তে পুলকিত হতে হয় । হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা আমার খুবই ভালো লাগে । এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয় । বইটি পড়তে পারেন ,আমার মনে হয় বইটি পড়ার পর আপনার ভালো লাগবে...............।
Was this review helpful to you?
or
humayun ahmeder pora shobcheye kharap boi
Was this review helpful to you?
or
ফিরোজের সমস্যাটা শুরু হয় এইভাবে-- সে দুই বছর আগে জানুয়ারি মাসে তার এক বন্দুর বাড়ি গিয়েছিল। যাবার উদ্দেশ্য ছিল একটাই গ্রাম দেখা। বন্দুর বাড়ি ময়মনসিংহের মোহনগঞ্জে। চমৎকার একটা জায়গা। ভোরবেলা আকাসের গায়ে নীলাভ গারো পাহাড় দেখা যায়। চারিদিকে ধূ-ধূ প্রান্তর, বর্ষা আসামাত্রই যা পানিতে ডুবে যায় ।সেই পানি সমুদ্রের মত গর্জন করতে থাকে। এখন অবশ্যি শুকনো খটখটে চারিদিক। তবু ফিরোজ মুগ্ধ হয়ে গেল। সবচেয়ে মুগ্ধ হল বন্দূর বাড়ি দেখে--বিশাল এক দালান। সিনেমাতে পুরনো আমলের জমিদার বাড়ির মতো বাড়ি। একেকটি ঘর এত উচু এবং এত বিশাল যে, কথা বললেই প্রতিধ্বনী হয়। ফিরোজের বন্দুর নাম আজমল চৌধূরী। ফিরোজের বিস্ময়ের সীমা রইলনা। কী কান্ড। সে মুগ্ধ কণ্ঠে বলল,'এ তো হুলস্তুল ব্যাপাররে আজমল!তোরা রাজা-মহারাজা ছিলি-- তা তো কোনোদিন বলিসনি।' 'এখন কিছুই নেই । দালানটাই আছে আর কিছুই নেই। সেই দালানটাই ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে। আরেকটা ভূমিকম্প হলে গোটা দালানটাই ভেঙ্গে পড়বে। তাছাড়া খুব সাপের উপদ্রব।' বড় আনন্দে সময় কাটতে লাগল। গ্রাম যে এত ইন্টারেস্টিং হবে তা তার ধারনার বাইরে ছিল। শুদু একটা খটকা লেগে থাকল মনে। আজমলের বোনের সাথে তার দেখা হলনা, যদিও মেয়েটি এবাড়িতেই থাকে। মেয়েটির নাম নাজ। সাজ্জাদ হোসেন দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন। টর্চের আলো ফেললেন মিসির আলির মুখে। সাজ্জাদ হোসেনের মুখে এক ধরনের প্রশান্তি লক্ষ করা গেল। কারণ, নগ্নগাত্র আগন্তুককে কিছুক্ষণ আাগেই ধরা হয়েছে। খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার, পুলিশকে সে প্রথম যে কথাগুলি বলে তা হচ্ছে,' আপনারা স্যারকে বাচানোর চেষ্টা করুন। এক্ষুনি হাসপাতালে নিয়ে যান।আর আমার বাবাকে ফোন করে বলুন আমি ভাল হয়ে গেছি। স্যারের বাসায় একজনের সাথে দেখা হয়েছিল। সে আমাকে ভাল করে দিয়েছে।।। যুক্তি আর আদি-ভৌতিকের যুগলবন্দী। উপন্যাসটা আপনাকে এক বসাতে পড়তেই হবে।।।