User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
‘দূর দ্বীপবাসিনী’ বইটির লেখক সাফুল ইসলাম জুয়েল । লেখক এর জন্ম ২১ নভেম্বর, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী গ্রামে। খুব অল্প বয়সেই তার লেখালেখির হাতেখড়ি। সাহিত্যের ছোটকাগজ ‘বাংলা’ এবং রহস্যধর্মী ছোটকাগজ ‘মরীচিকা’র সম্পাদক। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। পাশাপাশি একটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ফান সাপ্লিমেন্টের দায়িত্বে আছেন। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন ‘মহীয়সী স্মারক সম্মাননা ১৪২২’। তার লেখা প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা আট টি । যার মধ্যে রয়েছে উপন্যাস , কিশোর গোয়েন্দা কাহিণী , রোমান্টিক উপন্যাস , গল্পগ্রন্থ , রম্যগল্প , শিশুতোষ গ্রন্থ সবকিছুই । তার লেখা দূর দ্বীপবাসিনী বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় অনিন্দ্য প্রকাশ প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রকাশক আফজাল হোসেন । প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ । এটি একটি রোমান্টিক উপন্যাস । উপন্যাসের মুল চরিত্র হোসেন ও শাকেরা , একজন আরেকজন কে ভালোবাসে । তাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে । কিন্তু হোসেন এতো তারাতারি বিয়ে করতে চায় না । সে তার পারিবারিক মাছ ধরার ছোট্র জাহাজ এ চড়ে বসে । গভীর সাগরে গিয়ে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এ ঝড়ের কবলে পড়ে সে । যখন তার জ্ঞান ফিরে , নিজেকে আবিষ্কার করে ভারম মহাসাগর এর নাম না জানা কোন দ্বীপে । সেখানে তার স্থান হয় আদিবাসীদের এক কুটিরে , সেখানে সে দেখে অনিন্দ্যসুন্দরী সামুরাই কে । সেখানে তাদের মন দেওয়া নেওয়া হয় । সেই মেয়ের প্রেমে সে এই ছোট দ্বীপে তার জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয় । এখানের মানুষেরা সকলেই খুব সহজ সরল । কিন্তু তাতেও তাদের প্রেমের পরিণতি পাওয়া এতো সহজ কিছু না । দুইজনকেই দিতে হবে কঠিস পরীক্ষা । তারা কি পারবে সেই পরীক্ষায় বিজয়ী হতে? অন্যদিকে শাকেরা পন করেছে যে সে হোসেন কে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবেনা , তার ভাগ্যেই বা কি আছে? জানতে চাইলে পড়তে হবে অসাধারন এ রোমান্টিক উপন্যাসটি ।
Was this review helpful to you?
or
‘‘উহ, কী বিভৎস সেই দৃশ্য। প্রথম প্রথম লোকটি কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করলেও ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে গেল তার দেহ। এবার যা দেখলাম, তাতে হতবাক হয়ে গেছি বললেও আসলে কম বলা হবে। লোকগুলো তার শরীর থেকে মাংস কেটে কেটে খাচ্ছে! নর খাদক! থ মেরে বসে রইলাম আমি। হঠাৎ আমার সঙ্গীদের ধাক্কায় হুঁশ হলো। তাকিয়ে দেখি-কিছু জংলি কানুতে চড়ে আমাদের তাড়া করে আসছে। নরখাদকের দল ধরতে পারলে এবারে আমাদেরকেও ঝলসিয়ে খাবে। জংলিরা আমাদের কাছাকাছি চলে এসেছে প্রায়। কয়েকটা তীর কানের পাশ দিয়ে সাঁই সাঁই করে চলে গেল...’’ জাহাজ ডুবির পরে রহস্যময় এক দ্বীপে গিয়ে আশ্রয় এবং সেখানকার অনিন্দ্যসুন্দরী সামুরাইয়ের সাথে প্রেম! কিন্তু সহজ নয় সেই প্রেমের পরিণতি। অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি হতে হলো-দ্বীপের রূপসিনী সামুরাইকে। তারপরও কি প্রকৃতি মুখ তুলে তাকিয়েছিল? আজ এতদিন পরে সামুরাইয়ের খোঁজ করছে কেউ। খুঁজে বেড়ানো হচ্ছে তার গোষ্ঠীর লোকদেরও। কিন্তু মহাকাল কী লিখে রেখেছে? একটু সময় নিয়ে হলেও প্রকৃতি কিন্তু ঠিকই প্রকৃত ভালোবাসার মূল্য দেয়!