User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি খুবই ভালো। তবে ছোটদের না পড়াই ভালো। কিছু জায়গায় লেখা ভালো করে প্রিন্ট হয় নি। বাকি সব ঠিক-ঠাক। ধন্যবাদ ❤️
Was this review helpful to you?
or
অত্যন্ত আবেগময় একটি উপন্যাস,পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসে একটি সাধারণ পরিবারের দৈনন্দিন জীবন ও সম্পর্কের জটিলতার চিত্র ফুটে উঠেছে, যেখানে পারস্পরিক টানাপোড়েন এবং জীবনের নানা সংকটকে ঘিরেই গল্পটি এগিয়ে যায়।
Was this review helpful to you?
or
শুভ্র সিরিজের অন্যতম একটি বই মেঘের ছায়া। সুন্দর একটি বই।হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট শুভ্র চরিত্রটি আমার অসম্ভব প্রিয়। আর মেঘের ছায়া বইটি ও চমৎকার একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
All are great
Was this review helpful to you?
or
শুভ্র তার বন্ধুর বড় বোন নীতুকে বিয়ে করার কথা বলে। এ কথা শোনার পরের দিন নীতু অনেক খারাপ ব্যবহার করে শুভ্রর সাথে। জাহেদ মামার কাছে থেকেই বড় হয়েছে আর কেয়া তার বোনের সংসারে। তাদের বিয়ের রাতেই জাহেদের মামা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। দুজন দুই জায়গায় থাকে। কেয়ার মন সবসময় খারাপ থাকে,সে অসুস্থ হয়ে যায়। এদিকে জাহেদ ও অনেক ঝামেলার ভেতর থাকে। জাহেদকে জড়িয়ে ধরে সারাদিন বসে থাকতে ইচ্ছা করে কেয়ার কিন্তু ভাগ্য তাদের পক্ষে নয়। তাদের ঘটনা থেকে বোঝা যায় বাস্তুব জীবনের কঠোরতা। ইয়াজউদ্দিন সাহেবের মৃত্যুর সময় তার প্রিয় মুখ শুভ্রকে খোঁজে কিন্তু সেই প্রিয় মুখ নেই। "মৃগনাভির গন্ধও একসময় শেষ হয়ে যায়। পড়ে থাকে একখণ্ড পচা মাংসপিণ্ড।" "নগ্ন হয়ে প্রেমিকের সামনে আসা কঠিন নয়। কিন্তু প্রেমিকের সামনে নগ্ন হওয়া বেশ কঠিন।" "My herat leaps up when i behold A rainbow in the sky; So was it when my life began, So is it now i am a man, So be it when i shall grow old, Or let me die!"
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো দুই বন্ধু "শুভ্র" ও "জাহেদ"। আবেগ বা অনুভূতিতে দুজনে এক হলেও জগৎটা তাদের সম্পূর্ণ আলাদা। অভাব-অনটনের মধ্যে থেকেও বাধ্য হয়ে যখন জাহেদকে বিয়ে করতে হয়,তখনই সমাজের নানা অগ্রাহ্যতা ও ধৃষ্টতার শিকার হতে হয় তাকে। আর বিলাসিতার মধ্যে বেড়ে ওঠা শুভ্রর জীবনযাপনটা ঠিক স্বাভাবিক ছিল না,,যদিও বন্ধু জাহেদের প্রতি তার ছিল যথেষ্ট ভালোবাসা। দুজনের দু ধরনের জীবনযাপনের বিস্তৃত নাটকীয়তার মধ্য দিয়েই গল্পটি এগোতে থাকে পরিনতির দিকে। তবে কিছুটা অপূর্ণভাবেই শেষ হয় গল্পটি। এ সমাজে নিম্নবিত্তদের জন্য যেমন কোনো সিমপ্যাথি নেই,,তেমনি উচ্চবিত্তরাও সম্পূর্ণ সুখী মনোভাবে থাকতে পারে না। সমাজের কিছু নির্মম বাস্তবতার কথাই বিস্তৃতভাবে তুলে ধরেছেন লেখক। তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে একটি অপ্রকাশিত আবেদন করে গিয়েছেন,,এ নির্দয় সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছেন।
Was this review helpful to you?
or
ইয়াজউদ্দিন সাহেব এবং রেহানা বেগমের একমাত্র ছেলে শুভ্র। সুদর্শন, এলোমেলো চুল আর বড় বড় দুটি কালো চোখ শুভ্রের। কিন্তু শুভ্রের এই কালো দুটি চোখ ঢেকে থাকে মোটা চশমার আড়ালে। হাসলে শুভ্রকে খুব সুন্দর লাগে। আর এজন্যই শুভ্রের মা রেহানা বেগম তার সাতাশ বছর বয়সী সুদর্শন এই ছেলেটির দিকে তাকিয়ে মনে মনে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আর বলেন, ছেলেদের এতো সুন্দর হতে হয় না! শুভ্রের বাবা ইয়াজউদ্দিন সাহেব একজন ব্যবসায়ী। বলা যায়, একজন সফল ব্যবসায়ী। মাত্র তিনশ টাকা নিয়ে এখন তিনি কোটি টাকার মালিক। ইদানিং তিনি শারীরিক অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুভ্রকে ব্যবসার সমস্ত দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে। কিন্তু শুভ্রের শুধু বয়সই বেড়েছে। বাইরের জগৎ সম্পর্কে শুভ্রের তেমন ধারণা নেই বেশি। কারণ শুভ্রের তেমন বন্ধুও নেই। খুব কম বন্ধু তার। এদের মাঝে জাহেদ শুভ্রর খুব ভালো বন্ধু। জাহেদ টিউশনি করে চলে, মামার বাসায় থাকে। হুট করে একদিন কেয়া নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে জাহেদ। এদিকে রেহানা বেগম এবং তার দূর সম্পর্কের এক বোন রিয়া শুভ্রের বিয়ের জন্য মেয়ে খুজেঁ বেড়াচ্ছেন। আর শুভ্র! সে তার বন্ধু সাবেরের বড় বোন নিতুকে পচ্ছন্দ করে। সাবের মারা যাওয়ার পরও শুভ্রের এই বাড়িতে আসা বন্ধ হয়নি। সাবেরের বাবা মাহিন সাহেবের সাথে শুভ্র গল্প করে। শুধু কি গল্প করতেই আসে নাকি নিতুর কাছে আসে শুভ্র? আবার নিতু তার থেকে বড়। শুভ্রের নিতুকে বিয়ে করলে সবাই মেনে নিবে তো? তার থেকে বড় কথা, নিতু কি রাজি হবে? নাকি মা আর খালার পচ্ছন্দের মেয়েকে বিয়ে করবে শুভ্র?
Was this review helpful to you?
or
শুভ্র অর্থ শ্বেত বা সাদা। ধবধবে গায়ের রঙের জন্য এই নামকরণ। মাথা ভর্তি এলোমেলো চুল, চশমা খুললে দেখা যায় বড়-বড় কালো চোখ। ছেলেদের এত সুন্দর হতে হয়না। শারীরিক সৌন্দর্য ছেলেদের মানায় না। এটা আমার কথা না। শুভ্রর মা রেহানার মনে প্রায়শই একথা উকি দিয়ে যায়। এত সুন্দর বলেই হয়তো ছেলেটার চোখ এত খারাপ। শুভ্রর বাবা ইয়াজউদ্দিন সাহেব নিজের কর্মক্ষমতা ও বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে আজ এতদূরে এসে পৌছেছেন। কিন্তু শরীরটা একটু বেশিই খারাপ যাচ্ছে তার। তাই তিনি চাইছেন তার ছেলে যেন এবার হাল ধরে ব্যবসার। কিন্তু শুভ্রর বয়স 27 হলে কি হবে মনটা তার শিশুর মতই সরল, জগতের কদর্যতার সাথে তার কোন পরিচয়ই নেই। শুভ্রর তেমন কোন বন্ধু-বান্ধব নেই। একজন আছে জাহেদ। নিতান্তই সাধারণ পরিবারের ছেলে। টিউশনি করে খরচ চালায়, থাকে তার ছোটমামার বাসায়। এরমধ্যেই সে সাহস করে বিয়ে করার। নিতান্তই অপারগ হয়ে সে সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ের। কিন্তু কেয়াকে বিয়ে করে সে কোথায় এনে তুলবে তাও সে জানে না। শুভ্রকে সে অনুরোধ জানায় তার বিয়েতে থাকার জন্য। শুভ্র রাজিও ছিল। কিন্তু মায়ের একটা ছোট্ট চালাকির জন্য সে যেতে পারে পা, তেমনি বাবার অমতের জন্য পারেনা বন্ধুর বিয়েতে স্পেশাল একটা গিফট দিতে। শুভ্র মাঝে মাঝেই তার মৃত বন্ধু সাবেরের বাড়িতে যায় সাবেরের বাবা মাহিন সাহেবের সাথে দেখা করার জন্য। ঠিক মাহিন সাহেবের কাছে যায় না সাবেরের বড় বোন নীতু আপার জন্য যায় ব্যাপারটা পরিষ্কার না। নীতু আপাকে শুভ্র খুব পছন্দ করে কিন্তু নীতু আপা তাকে নানা কথা বলে অপমান করে। এদিকে শুভ্রর মায়ের অনুরোধে তার খালাও তার জন্য মেয়ে দেখছেন। শুভ্র কি মায়ের পছন্দ করা মেয়েকেই বিয়ে করবে? নাকি নীতু আপা তার প্রস্তাবে রাজি হবে? আমার কথা : মেঘের ছায়া নামে কোন উপন্যাস আছে এটাই আমি জানতাম না। শুভ্র সমগ্র কেনার পর গ্রুপে পোস্ট করার পর জানতে পারলাম যে আর একটা বই আছে। যাই হোক সংগ্রহ করে এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম পুরোটা। শুভ্রর মায়ের স্বার্থপরতা আর নীতু আপার অসহায়ত্ব খুব কস্ট দিয়েছে। অন্যদিকে বাবা ইয়াজউদ্দিন সাহেবের না বলা কথাগুলো ভাবিয়েছে খুব। বাবারা আসলে এমনই হয়। পরিবারের সকলের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজে কখন যেন সব হিসাবের বাইরে চলে যান তা খেয়াল রাখতে পারেন না। অন্যদিকে মাহিন সাহেবের কথা খুব মনে লেগেছে। একজন অসহায় পঙ্গু বাবা যখন একমাত্র আয়ের উৎস মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজের অসহায় অবস্থার কথা চিন্তা করতে থাকেন তখন তার মনের অবস্থা আমরা কজন বুঝি? কতটুকু অনুভব করতে পারি তার ক্ষোভ? সবাইকে আমন্ত্রণ আরো একটি অসাধারণ মানবিক উপন্যাসে।।। হ্যাপি রিডিং।।।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ মেঘের ছায়া লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনীঃপ্রতীক প্রকাশন সংস্থা ধরনঃসমকানীন উপন্যাস মূল্যঃ১৫০ টাকা( রকমারি মূল্যঃ ১১৩ টাকা) . হুমায়ূন আহমেদ এর সৃষ্ট অত্যন্ত জনপ্রিয় চরিত্র শুভ্রকে নিয়ে এই উপন্যাসের কাহিনী।br শুভ্র শুদ্ধতম মানুষ।পৃথিবীর সবচেয়ে রুপবান ছেলেটি হল শুভ্র।শুভ্র তার জীবনের কোন পরীক্ষাতে প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি। তার চোখ খুব খারাপ, চোখ থেকে চশমা খুলে ফেললে সে প্রায় অন্ধ; ফলে তার ক্লাসের বন্ধুরা তাকে কানাবাবা নামে ডাকত। . শুভ্রের বাবা ইয়াজুউদ্দিন সাহেব বিশাল বড়লোক ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যবসায়ী। তিনি তার বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। তবে ইদানিং তার শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা, তাই তিনি তার সমস্ত দায়িত্ব্ব ছেলেকে বুঝিয়ে দিয়ে অবসরে যেতে চান। কিন্তু শুভ্র সাতাশ বছর বয়স হলেও জাগতিক জটিলতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এই যুবককে আগাগোড়া মোড়ে রেখেছে শিশুর সারল্য। . বন্ধুবান্ধব খুবই সাধারণ এবং সংখ্যা ও কম।তার বন্ধুবান্ধবদের বেশির ভাগ গরীব তাই শুভ্রের মা,বাবা চান না শুভ্র এদের সাথে চলুক।তাদের ধারনা শুভ্রের অটেল সম্পত্তির জন্য তার সাথে বন্ধুত্ব করেছে। তেমন দুই বন্ধুর কথা এই উপন্যাস এ ওঠে এসেছে। #জাহেদঃ শুভ্রের বন্ধু জাহেদ, প্রাইভেট টিউশনি করেই যার জীবনধারন, আর আশ্রয় বলতে মামার বাসার বারান্দা। এরকম নিঃস্ব অবস্থায় থেকেও কেয়াকে বিয়ে করার মত সাহস সঞ্চয় করে ফেললো জাহেদ। জাহেদের বিয়েতে শুভ্রর বরযাত্রী যাবার কথা থাকলেও মায়ের ইচ্ছাকৃত ভুলের কারনে যাওয়া হয়ে উঠেনা; জাহেদ-কেয়াকে বিয়ের উপহার হিসেবে খুব সুন্দর একটা জিনিস দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও বাবার অমতে সেটাও বাতিল হয়ে যায়। . #সাবেরঃ শুভ্রের আরেক বন্ধু।আই.এ পাশ করার পর সাবের মারা যায়।সাবেরের মারা যাওয়ার পর শুভ্র তার বাড়িতে যায়।সাবেরের বাবার সাথে গল্প করতে।ওনি প্যারালাইজড হয়ে দীর্ঘদিন বিছানায় পরে আছেন। তিনি তার সব কথা জমিয়ে রাখেন শুভ্রকে বলার জন্য, আর শুভ্রও অসীম ধৈর্যসহকারে শোনে পুত্রশোকে জর্জরিত এক অসুস্থ পিতার হাহাকার।এছাড়া ও সাবেরের একটা বোন আছে তার তিন বছরের বড় তার নাম নীতু। শুভ্র তাকে নীতু আপা বলে ডাকে। . এদিকে রিয়া খালার মাধ্যমে নীতুর সাথে শুভ্রর পরিচয়, অবশ্য এই পরিচয়ের পেছনে কলকাটি নাড়ছেন শুভ্রর বাবা ইয়াজুদ্দিন সাহেব।শুভ্রের ও নীতুকে পছন্দ তবে কোন নীতু? অবশেষ কোন নীতু কি আসবে শুভ্রের জীবনে? পড়ার পর নায়হ জানবেন। . #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃশুদ্ধতম মানুষ কেমন হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে খুজতে হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্টি করেন শুভ্র চরিত্রটির। শুভ্র কে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের ৬ টি উপন্যাস রয়েছে।হুমায়ূন আহমেদের এই জনপ্রিয় চরিত্রটিকে টেলিভিশন ও চলচিত্রের পর্দায় বেশ কয়েকবার নিয়ে আসা হয়েছে। শুভ্র সিরিজের অন্যতম একটি বই মেঘের ছায়া। সুন্দর একটি বই।হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট শুভ্র চরিত্রটি আমার অসম্ভব প্রিয়। আর মেঘের ছায়া বইটি ও চমৎকার একটি বই।পড়ে দেখতে পারেব আশা করি ভাল লাগবে। হাপি রিডিং....
Was this review helpful to you?
or
শুভ্র, অর্থাৎ সাদা, পবিত্রতার প্রতীক। অর্থের কারনেই কিনা কে জানে, নামটার মধ্যে এক ধরনের শুচি-স্নিগ্ধ ভাব আছে, যার খানিকটা ছড়িয়ে পড়েছে শুভ্র নামের ছেলেটির মধ্যে। সাতাশ বছর বয়স হলেও জাগতিক জটিলতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এই যুবককে আগাগোড়া মোড়ে রেখেছে শিশুর সারল্য। শুভ্রর বাবা ইয়াজুদ্দিন সাহেব তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যবসায়ী। তিনি তার বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে গড়ে তুলেছেন অঢেল বৈভবের পাহাড়। তবে ইদানিং তার শরীরটা ভাল যাচ্ছেনা, তাই তিনি তার সমস্ত দায়িত্ব্ব ছেলেকে বুঝিয়ে দিয়ে অবসরে যেতে চান। কিন্তু শুভ্রও কি তাই চায়? শুভ্রর বন্ধু জাহেদ, প্রাইভেট টিউশনি করেই যার জীবনধারন, আর আশ্রয় বলতে মামার বাসার বারান্দা। এরকম নিঃস্ব অবস্থায় থেকেও কেয়াকে বিয়ে করার মত সাহস সঞ্চয় করে ফেললো জাহেদ। জাহেদের বিয়েতে শুভ্রর বরযাত্রী যাবার কথা থাকলেও মায়ের ইচ্ছাকৃত ভুলের কারনে যাওয়া হয়ে উঠেনা; জাহেদ-কেয়াকে বিয়ের উপহার হিসেবে খুব সুন্দর একটা জিনিস দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও বাবার অমতে সেটাও বাতিল হয়ে যায়। শুভ্র তার মৃত বন্ধু সাবেরের বাবার একজন চমৎকার সঙ্গী। পঙ্গু এই ভদ্রলোক শুভ্রকে খুবই পছন্দ করেন। তিনি তার সব কথা জমিয়ে রাখেন শুভ্রকে বলার জন্য, আর শুভ্রও অসীম ধৈর্যসহকারে শোনে পুত্রশোকে জর্জরিত এক অসুস্থ পিতার হাহাকার। রিয়া খালার মাধ্যমে নীতুর সাথে শুভ্রর পরিচয়, অবশ্য এই পরিচয়ের পেছনে কলকাটি নাড়ছেন শুভ্রর বাবা ইয়াজুদ্দিন সাহেব। শুভ্রও নীতুকে পছন্দ করে, তবে এই নীতু না, সাবেরের বড় বোন নীতু আপা। অবশেষে কি কোন নীতু এসেছিল শুভ্রের শুচি-স্নিগ্ধ জীবনে???
Was this review helpful to you?
or
শুভ্রকে লেখক শুদ্ধ কেউ হিসেবে দেখাতে চান। কিন্তু, ভুল দিয়ে শুরু হয় তার শুরু। অনেক ধরনের ভুল হতে থাকে। শুভ্রর সবকিছুই ভুল। শুভ্রর বাবা এতো ধনী লোক - এটা ভুল। শুভ্র স্বাধীন না - এটা ভুল। জাহেদও ভুল করেছে। আয় রোজগার নেই। মামার বাসায় থেকে টিউশানি করে কোনো রকমে চলে। এর মধ্যে আবার কেয়াকে ভুল করে বিয়ে করে ফেলে। কেয়াও বুঝতে পারে - সেও ভুল করেছে। জাহেদকে বিয়ে করে সে ভুল করেছে। বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়ি যেতে পারে নি। শ্বশুর ই তো নেই। মামা শ্বশুর আছে, যে ভুল করে পাগল হয়ে যায়। কেয়াকে সেই দুলাভাইয়ের বাড়িতেই থাকতে হয়। ভুল করেন ইয়াজউদ্দিনও। তিনি ছেলেকে বন্ধুকে উপহার দিতে দেন না। ভুল করেন আনুশকার সাথে ছেলেকে বিয়ে দিতে চেয়েও। রেহানাও ভুল করেন। ছেলেকে ভালোবাসতে গিয়ে বারবার ভুল করে ফেলেন। ছেলেকে বন্ধুর বিয়েতে যেতে দেন না। ছেলেকে বেশি রকমের কাছে পেতে চান। ছেলের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেন না। শুভ্রও ভুল করে। নীতু আপাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। নীতু আপাও ভুল করে। বিয়ে প্রত্যাখ্যান করে দেন। শুভ্র ভুল বুঝতে পেরে বাচ্চাদের মতো কাঁদতে থাকে। মহীবও ভুল করেন। না খেয়ে চৈনিক কবি লিয়াওসিনের এর মতো মারা যেতে চান। সবার মধ্যে একটাই ভুল - সবাই সবাইকে ভালোবাসেন। ইয়াজুদ্দিন শুভ্রকে ভালোবাসেন - কিন্তু বলে বোঝাতে পারেন না। তার উপড়ে মেঘের ছায়া নেমে আসে। তিনি অসুস্থ হয়ে যান। মৃত্যুর আগে বলে যান, ছেলেকে অন্যদশটা বাবার চেয়েও বেশী ভালোবাসেন। তার এতো সম্পদ দিয়ে ছেলে কি করে তা দেখতে চান। কিন্তু সে ইচ্ছা পূরণ হবে না। তিনি মৃত্যুর আগে ছেলে পাশে দেখতে পাচ্ছেন না। শুভ্র ভুল করে। মহীব সাহেব এর দ্বায়িত্ব নিতে চায়। জাহেদকে চাকরী দিতে চায়। কিন্তু এই ভুল গুলো শুভ্রকে শুদ্ধ করে দেয় । পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ পাঠক তখনই একটা রিভিউ লিখতে বসে যখন বইটা তার কাছে অসম্ভব ভালো অথবা প্রচণ্ড খারাপ লাগে। বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই বইটা আমার ভালো লেগেছে। এরপরেও কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জাহেদকে দেখানো হয় টিউটর হিসেবে। কিন্তু, গল্পের কোথাও বলা হয় না, টিউশনি ঠিকমতো চলছে কিনা। হুমায়ূন আহমেদ এর অন্য লেখার ভঙ্গির সাথে শুভ্র লেখার মধ্যে একটা বিস্তার পার্থক্য দেখতে পাই। আমি শুভ্র পড়তে আগ্রহ পাই না। লেখার ভঙ্গিতে একটা অপছন্দের ভাব লাগে। তবে এতোটা না।
Was this review helpful to you?
or
#রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট By: Mohammad Abdur Rahman হুমায়ুন আহমেদ অবিসংবাদিত ভাবে তরুন প্রজন্মের পছন্দের লেখকদের মধ্যে প্রথম কাতারে থাকবেন। তিনি একাধারে ২০টি বছর দুই বাংলায় অগণিত ভক্ত সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার লেখা দিয়ে। উনার অনবদ্য, অমর সৃষ্টি হিমু,মিসির আলি যারা উপন্যাস/গল্পের চরিত্র হলেও স্রেফ রক্তমাংসের মানুষে পরিনত হয়েছে অগণিত মানুষের ভালবাসায়। "শুভ্র" হুমায়ুন আহমেদ এর সৃষ্টি একটি চরিত্র যাকে তিনি রূপ,মেধা,বুদ্ধি,চরিত্র,নৈতিকতা কোন কিছু দিতেই কার্পন্য করেন নি।শুভ্রকে তিনি গড়ে তুলেছেন পরম মমতায়,শুদ্ধতম মানুষ হিসেবে যে সাধারণ মানুষের পংকিলতা থেকে মুক্ত।(যদিওবা শুভ্রের জনপ্রিয়তা হিমু ও মিসির আলি অপেক্ষা বেশ কম) মেঘের ছায়া শুভ্র সিরিজের বই যাতে বরাবরের মতই শুভ্র তার সকল বিশেষণের যথার্থতা প্রমাণ করে এবং শুভ্রকে ঘিরে যাদের ঘটনা গড়ে উঠে তাদের অংশও পূর্ণতা পায়। ইয়াজউদ্দিন সাহেব, রেহানা,জাহিদ,কেয়া,সাবের,মাহিন সাহেব,নীতু,রিয়া,মিজান সাহেব,মনোয়ারা............ চরিত্র গুলো গল্পটিকে বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে দেয় আর গল্পের শেষেও রেশ রেখে যায়। হুমায়ুন আহমেদ এর লেখার সবচেয়ে বড়গুন(আমার মতে) তিনি বাস্তবতাকে অসাধারণ ভাবে কাল্পনিক উপাখ্যান দিয়ে তুলে ধরতেন, আবেগে মোড়া বাস্তব জীবনের পাওয়া না পাওয়াকে,হাহাকার প্রাপ্তিকে গল্পের ফোড়ে ফুটিয়ে তুলতেন চমৎকারভাবে। আবেগ ও বাস্তবতার সহবস্থান দেখানোতে হুমায়ুন আহমেদ এর তুলনা পাওয়া ভার। "মেঘের ছায়া" এর মূল আকর্ষক এর বাচনভঙ্গি অথবা আরও ভেঙে বললে এর কিছু কথোপকথন যা হৃদয়ছুয়ে যায়, যা কেবল অনুধাবন করা যায়, অনুভব করা যায়। মেঘের ছায়া কেবল শুভ্রের গল্প নয় এতে ছেলের প্রতি বাবার ভালোবাসা, ছেলের জন্য মায়ের উদ্বেগ, মধ্যবিত্ত পরিবারে অসুস্থ প্রধানের উপলব্ধি, ব্যবসায়িক কুটিলতা,ভালোবাসলেই ঘর বাধা যায় না এর বাস্তবতা................. বলা হয়ে থাকে ভালো বই বাস্তবতাকেও হার মানায় কিন্তু আমি মনে করি ভালো বই বাস্তবতাকে আরও ভালো ভাবে বুঝতে,অনুভব করতে সাহায্য করে। মেঘের ছায়া তেমনি একটি বই। (কিছু অতিরঞ্জন থাক্তেই পারে )
Was this review helpful to you?
or
মেঘের ছায়া এলোমেলো চুলে, মোটা ফ্রেমের চশমা পড়া ছেলেটি হচ্ছে শুভ্র যার পড়াশোনা বাদে বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে খুব কম হিতাহিত জ্ঞান রয়েছে। ইয়াজউদ্দীন সাহেবের একমাত্র ছেলে হলো শুভ্র। ছেলে কি করে না করে, কোথায় যায়, কাদের সাথে মেলামেশা করে এগুলোর খুটিনাটি খবর রাখে শুভ্রর বাবা। অন্যদিকে মা রেহানা বেগমেরও ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই, সবকিছুতেই যেন একটু বাড়াবাড়ি রকমের খেয়াল করে তিনি। শুভ্র সাধারনত বন্ধুদের সাথে খুব কম মেলামেশা করে। তাই তার বন্ধুর সংখ্যা একেবারে কম। এই কম সংখ্যক বন্ধুর মধ্যেই একজনের নাম হলো জাহেদ এবং অন্যজনের নাম হলো তাহের।। দুই বন্ধুই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। এদিকে জাহেদ নিজেই থাকে মামার বাড়িতে সেখানে প্রতিনিয়ত তাকে তাচ্ছিল্য করা হয়ে থাকে, এর মধ্যেই ডে আবার পছন্দের মানুষ টা কে বিয়ে করে ফেলে। জহেদের কও আদৌ জায়গা হবে এখন মামার বাড়িতে নাকি নতুন বউ নিয়ে শুরু হবে তার অন্যরকম জীবন?? সেই জীবনে কি শুভ্র বন্ধু হিসেবে কোন উপকার করতে পারবে?? অন্যদিকে আরেক বন্ধু তাহের সে মৃত। কিন্তু তাহেরের বাবা শুভ্রকে নিজের ছেলের মতোই পছন্দ করে বলে শুভ্রর তাহেরের বাড়িতে প্রায় আসা যাওয়া হয়। এদিকে শুভ্র পছন্দ করে তাহেরের বড় আপা কে।। কি হবে এই সম্পর্কের পরিনতি!!!!! আর শুভ্রর পরিবার কি এতো সহজে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েটা কে আপন করে নেবে?? আর তাহেরের বড় বোন নিতু কি, মতামত দিবে এই ব্যাপারে!!!! এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে পড়তে হবে শুভ্র সিরিজের "মেঘের ছায়া" বইটি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_নভেম্বর_২০১৮ উপন্যাস:মেঘের ছায়া লেখক: হুমায়ুন আহমেদ প্রকাশনাঃপ্রতীক ধরনঃসমকালীন মুল্যঃ১৫০ টাকা হুমায়ুন আহমেদের লেখনী নিয়ে আমার নতুন করে কিছু বলার নেই, তার সবগুলো সৃষ্ট চরিত্রের মধ্যে আমি সবসময় "শুভ্র" কে ধরি পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে। এলোমেলো চুলে, মোটা ফ্রেমের চশমা পড়া ছেলেটি হচ্ছে শুভ্র যার পড়াশোনা বাদে বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে খুব কম হিতাহিত জ্ঞান রয়েছে। ইয়াজউদ্দীন সাহেবের একমাত্র ছেলে হলো শুভ্র। ছেলে কি করে না করে, কোথায় যায়, কাদের সাথে মেলামেশা করে এগুলোর খুটিনাটি খবর রাখে শুভ্রর বাবা। অন্যদিকে মা রেহানা বেগমেরও ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই, সবকিছুতেই যেন একটু বাড়াবাড়ি রকমের খেয়াল করে তিনি। শুভ্র সাধারনত বন্ধুদের সাথে খুব কম মেলামেশা করে। তাই তার বন্ধুর সংখ্যা একেবারে কম। এই কম সংখ্যক বন্ধুর মধ্যেই একজনের নাম হলো জাহেদ এবং অন্যজনের নাম হলো তাহের।। দুই বন্ধুই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। এদিকে জাহেদ নিজেই থাকে মামার বাড়িতে সেখানে প্রতিনিয়ত তাকে তাচ্ছিল্য করা হয়ে থাকে, এর মধ্যেই ডে আবার পছন্দের মানুষ টা কে বিয়ে করে ফেলে। জহেদের কও আদৌ জায়গা হবে এখন মামার বাড়িতে নাকি নতুন বউ নিয়ে শুরু হবে তার অন্যরকম জীবন?? সেই জীবনে কি শুভ্র বন্ধু হিসেবে কোন উপকার করতে পারবে?? অন্যদিকে আরেক বন্ধু তাহের সে মৃত। কিন্তু তাহেরের বাবা শুভ্রকে নিজের ছেলের মতোই পছন্দ করে বলে শুভ্রর তাহেরের বাড়িতে প্রায় আসা যাওয়া হয়। এদিকে শুভ্র পছন্দ করে তাহেরের বড় আপা কে।। কি হবে এই সম্পর্কের পরিনতি!!!!! আর শুভ্রর পরিবার কি এতো সহজে মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েটা কে আপন করে নেবে?? আর তাহেরের বড় বোন নিতু কি, মতামত দিবে এই ব্যাপারে!!!! এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে পড়তে হবে শুভ্র সিরিজের "মেঘের ছায়া" বইটি। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ শুভ্র চরিত্রটি বরাবরের মতোই আমার পছন্দের, যখন ই সিরিজের বইগুলো নিয়ে বসি, মুগ্ধহয়ে পড়তে থাকি।