User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
darun chilo... onek basi valo boi
Was this review helpful to you?
or
সত্যি বলতে কিছুক্ষন এর জন্য আমি নিজেই গয়েন্ডা হয়ে গেছিলাম। আর প্রথমবার ঢাকা কমিক্স বই কিনে রিতি মতো প্রমে পরে গেছি
Was this review helpful to you?
or
বেস্ট ?
Was this review helpful to you?
or
very bad
Was this review helpful to you?
or
"এম রেটেড" এই কমিক্স এর কাহিনী নেওয়া হয়েছে মাসুদ রানার খ্যাতিমান লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের পাঁচটি রোমহর্ষক গল্প থেকে । অসাধারণ গ্রাফিক্সের মাধ্যমে এই কমিক্সের আঁকিয়েরা প্রকাশ করেছেন তাদের কল্পনা শক্তিকে । এই কমিক্সের কিছু গল্প একেবারেই বড়দের জন্যে । তাই ১০-১২ বছরের বাচ্চাদের এই কমিক্স দয়া করে উপহার দেবেন না ।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ- পঞ্চ রোমাঞ্চ - কমিক্স পঞ্চ রোমাঞ্চ বইটি কাজী আনোয়ার হোসেন এর হাত ধরে বের হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। ৪১ বছর পর নতুন প্রজন্মের পাঠকের জন্য কমিক্স রুপে বের করে ঢাকা কমিক্স (বাংলাদেশি কমিক্স)। এখানে মোট ৫টি গল্প রয়েছে। গল্পঃ- অন্য কোনখানে আচ্ছা কেমন হয় যদি এমন একটা জায়গায় সারাটা জীনব থাকতে পারবেন যেখানে জীনটা শান্ত, সহজ। ক্ষমতার লড়াই, যুদ্ধবিগ্রহ, খুনোখুনি, স্বার্থপরতা একেবারেই অনুপুস্থিত।সেখানে আপনি মনের মতো কাজ কাজ করতে পারবেন। সবকিছুর সুযোগ, সম্মান পান। তখন কেমন লাগবে আপনার? কখনো কি ভেবেছেন এমন করে? আমি প্রায়ই ভাবি ইশ্ এমন যদি হতো। কিন্তু আমি জানি সেটা কখনো সম্ভব নয়। আসলেই কী তাই? গল্পের নায়ক একই পদে চাকরি করছে চার বছর ধরে। কোন উন্নতি নেই, হবেও না। বন্ধু-বান্ধব বলতে কেউ নেই। দিনের পর দিন, বছেরর পর বছর, মাসের পর মাস একই খাবার একই থালায়, একই পিঁড়িতে বসে, একই খাবার খায়। একঘেয়ে জীবন আর ভালো লাগছে না তার। একদিন এক মাতালের কাছে জানতে পারে এক ট্র্যাভেল এজেন্সির কথা। তারা এমন এক জাগায় নিয়ে যাবে যেখানে জীবনটা শান্ত, সহজ। ক্ষমতার লড়াই, যুদ্ধবিগ্রহ.......... নেই। এক মাতালের কথা কেউ বিশ্বাস করে! গল্পের নায়কও করতে চায়নি কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাতালের দেয়া ঠিকানায় গিয়ে হাজির হয়। তরপর........! বাকিটা পড়ে ফেলেন। [একবার হারালে জীবনে আর কোনদিন সুযোগ পাবেন না আপনি] গল্পঃ-ঝামেলা ঝামেলা গল্পটা রম্য ধরণের। যাদের নিয়ে গল্প তাদের বলা হয় পানুষ! পরমাণু প্রভাবে পরিবর্তিত মানুষ- সংক্ষেপে পানুষ। গল্পের মূলে দেখা যায় কিশোর বয়সের এক ছেলে সিধু আর তার পরিবার কে। তারা হাজাররো বছর ধরে সবার থেকে আত্মগোপন করেছিল চাটগাঁর পাহাড়ে। কিন্তু পাকিস্তান আর বাঙালি গোলাগোলি শুরু হলে পড়ে যায় ঝামেলা। শুরু হয়ে গেল তাদের ঝামেলা।এরপর থেকে আসতেই থাকল ঝামেলা। গল্পের কিশোর কে সুপার ম্যান মনে হলো। আকাশে উড়া, চোখ দিয়ে আগুন সবই পারে সে। বাকিটা পড়ে দেখতে পারেন। তবে আমি অাপনাদের বলবো কমিক্স না পড়ে গল্পটা পড়ুন আরো বেশি ভালো লাগবে.. গল্প কেমন যেন গুলিয়ে দিয়েছে কমিক্সএ। এছাড়াও বইতে আছে ক্যানসার, ওস্তাদ আর পরকিয়া গল্প। এই তিনটি গল্প বেশ ভালো। পাঁচটি গল্পের মধ্যে পরকিয়া গল্পের আঁকনি বেশ ভালো হয়েছে। আমি বলছিঃ- কমিক্স পড়া দিয়েই বই পড়া শুরু। সেই মিনা কার্টুন কমিক্স গুলো দিয়ে শুরু করা, তারপর শুধু শাহরিয়ারের কমিক্স গুলো পড়া । খুব ভালো লাগতো একসময় কমিক্স। ১৬ এর বই মেলায় ঢাকা কমিক্স এর ৮ টা কমিক্স কিনে ছিলাম। ১৭ তে এই বই। এবার আর কেনা হয়নি। আর হবেনা কোন দিন। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম কমিক্স আঁকা ছবি গুলোর চেয়ে আমার কল্পনায় আঁকা ছবি গুলো বেশি সুন্দর হয়। আর কল্পনা করতে আমার বেশ ভালো লাগে। আমার মতো মানুষদের কল্পনাশক্তি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি ভালো। এটা আমার কথা নয়... মনোবিজ্ঞানী দের কথা..! (আসলেই!) যারা ভাবছেন বইটা কিনবেন। কিনতে পারেন তবে কিছুটা হতাশ হবেন। আঁকনি ভালো হলেও. গল্পে তালগোল পাঁকিয়ে দিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
"ঢাকা কমিক্স" হতে প্রকাশিত "পঞ্চরোমাঞ্চ" একটি বৃহৎ কমিক্স বই।আর এটির প্রধান সংকলক হলেন কাজী আনোয়ার হোসেন।অসাধারণ কিছু মজার গল্প নিয়ে এই কমিক্সটি ২০১৭ সালেই প্রকাশিত হয়। কাজী আনোয়ার হোসেন এদেশের নামকরা লেখকদের মধ্যে একজন।তিনি হলেন জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা। সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে তিনি ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। ডাক নাম 'নবাব'। তিনি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তার লেখা দিয়ে পাঠক মনকে জয় করেছেন সময়ে সময়ে। কাজী আনোয়ার হোসেনের গল্প সংকলন 'পঞ্চ রোমাঞ্চ' অবলম্বনে ঢাকা কমিক্স এর এই কমিক্স রূপান্তর। পাঁচটি দূর্দান্ত ভিন্ন স্বাদের গল্প নিয়ে ১৮০ পৃষ্ঠাত বৃহৎ এই কমিক্স। গল্পগুলি যথাক্রমে - অন্য কোনখানে, ঝামেলা, ক্যান্সার, ওস্তাদ ও পরকীয়া। তুলনামূলক প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যে এই গ্রাফিক সঙ্কলনটির মুখবন্ধ লিখে দিয়েছেন কাজীদা; স্বয়ং। গল্পগুলি, সাই-ফাই, রোমান্স ও থ্রিলার ক্যাটাগরির, পড়তে বসলে শেষ না করে ওঠা যাবে না।কেননা কেও পড়তে শুরু করলে তার সময়ের দিকে কোনো খেয়াল থাকবে না।যত খেয়াল থাকবে সব কমিক্সের গল্পের উপর।।আর এর মধ্যে পাঠক নিজেকে গল্পের চরিত্রের মধ্যে খুজে পাবে।আর গল্পের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিবে।৫টি গল্পেই রয়েছে অসাধারণ বাস্তবতা ও রোমাঞ্চ এর ছাপ।আর এই রোমাঞ্চই পাঠকদের এই কমিক্স এর প্রতি আকর্ষিত করে।মনমুগ্ধকর এই কমিক্সটি কমিক্স প্রেমিকদের স্বর্গরাজ্য। কেননা এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কমিক্স।আর এটিই এর বড় পরিচয়।
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
পুরা ফালতু বই
Was this review helpful to you?
or
কাজী আনোয়ার হোসেন এর সাথে পরিচয় সম্ভবত রহস্যপত্রিকা দিয়ে, কারণ মাসুদ রানা প্রথম হাতে নেই ক্লাস ফাইভে মনে হয়, আর রহস্যপত্রিকা ক্লাস থ্রিতে। এক পরিচিত আপুর বাসায় গুদামের মত করে রাখা ছিল গাদা গাদা রহস্য পত্রিকা, আমি গিয়ে সারাদিন সেখানে পরে থাকতাম সময় পেলেই। এক সময় সে দেখল যে এই ছেলে তো তার বাসায় খুঁটি গেড়ে বসছে, আর বেশিদিন হলে নড়ানো যাবে না, তখন থেকে সে পত্রিকা বাসায় নিয়ে যেতে দেয়া শুরু করল। পঞ্চ রোমাঞ্চ আসলে বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে রহস্যপত্রিকার জন্য লেখা পাঁচটি রোমাঞ্চ-গল্প, এগুলো বিভিন্ন সময় রহস্যপত্রিকায় বের হয়েছে। আমার যেহেতু রোজ দুটা করে রহস্য পত্রিকা খাবার অভ্যাস হয়ে গেল একটা সময়, তাই এই সবগুলো গল্পই পড়ে নিতে বেশি সময় লাগেনি। ক্লাস থ্রি এর মানুষ, সব হয়ত বুঝি নি, তবে পড়ে মজাটুকু পেতে মনে হয় বয়স জিনিসটা অত বড় ফ্যাক্ট না। এরপরে ক্লাস এইটে আবার গল্পগুলোর দেখা পাই, এক মলাটে। পঞ্চ-রোমাঞ্চ নামে। আমি তখন ক্লাস ফাকি দিয়ে রোজ রোজ এক বই এর দোকানে অনারারী দোকানদার হিসেবে কাজ করছি, দোকানে বসে মাছি তাড়ানো আর দোকানের সব বই পড়ে ফেলাই ছিল আমার কাজ। সেই একই পঞ্চ রোমাঞ্চ আবার ফিরে এলো আমার জীবনে, এই বই মেলায়। রুমী ভাই বেশ অনেক দিন থেকেই বলছিলেন যে গ্রাফিক নভেল নিয়ে বাংলাদেশে ইতিহাস ঘটিয়ে দেয়ার মত কিছু একটা করবেন, অপেক্ষায় থাকতে থাকতে বুড়োই হয়ে যাব কি না ভাবতে ভাবতেই দেখি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন চলে এসেছে ঢাকা কমিক্স এর তরফ থেকে। কিভাবে কিভাবে যেন একটা বই বিশেষ আকর্ষণসহ আমার হাতেও চলে এলো, আর আমিও আবার ফিরে গেলাম আমার সেই রহস্যপত্রিকা আর অনারারী দোকানদারীর দিনগুলোতে! হাতে পাবার পরে এক বসায় বইটি শেষ করিনি। উহু! এক দিনে একটা করে গল্প, ধীরে ধীরে রয়ে সয়ে পড়েছি। সব শেষ করে আজ তাই সেটা নিয়ে লিখতে বসলাম, শুনলাম ঢাকা কমিক্স নাকি রিভিউ লিখলে পরের কমিক্সগুলো দেবে বিশাল কপাল-ওয়ালা মানুষদের! নিজের কপালের আকার ছোট, তাও ভাবলাম একটা চেষ্টা নেয়া যাক। একটা গ্রাফিক নভেল এর প্রথম এবং প্রধান সক্ষমতা হল এটা এক টানে গল্পের ভেতরে নিয়ে যেতে পারে, যদি সেটা সঠিকভাবে আকা হয়। এই কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করেছেন বইটির সাথে জড়িত শিল্পীগন এ কথা আমি বুক ঠুকে বলতে পারি। একটা গল্পকে কমিকে রূপান্তর আর সেটাকে মুভিতে রূপান্তরের বেসিক প্রসেসটা মোটামুটি একই। আর তাই সেটার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার সম্ভাবনাটুকুও ঠিক একই রকম। বিখ্যাত অনেক উপন্যাস/গল্প যেমন এই ব্যর্থতার কারণে অখাদ্যে পরিণত হয়েছে, সেই ভয় নিয়েই বইটা প্রথম খুলি আমি। কিন্তু না, তারা এখানেও খুব ভালভাবে সফল। রূপান্তরের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় গল্প থেকে খানিক সরে আসতে হয়েছে, সেই বিষয়টাও ঠিকঠাক ভাবে হয়েছে, অন্তত স্মৃতি তাই বলে। পড়তে গিয়ে কোথাও খাপছাড়া লাগেনি। তবে আরও যে জিনিসটা নজরে এসেছে, অন্তত তিন চার জায়গায় বানান ভুল হয়েছে, এক দু জায়গায় শব্দই গায়েব হয়ে গেছে। একটা গ্রাফিক নভেল এর পেছনে অনেক মানুষের শত শত ঘণ্টা পরিশ্রম থাকে, সেটাকে আর কিছু ঘণ্টা সময় দিয়ে বানান এবং অন্যান্য বিষয় গুলো নিখুঁত করার চেষ্টা নেয়া যেতেই পারত। আশা করা যায় পরের মুদ্রণ গুলোতে এই সমস্যা থাকবে না। কাজী আনোয়ার হোসেন নিজেও এক সময় এটা নিয়ে গ্রাফিক নভেল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সত্তরের দশকে হাতে আঁকার যে জটিলতা ছিল, সেটা যে পরিমাণে সময়-সাধ্য ছিল, সেটা চিন্তা করে তিনি শেষে পিছিয়ে আসেন। সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল গ্রাফিক ডিজাইন এবং ডিজিটাল আঁকিয়ে যন্ত্রের উদ্ভব অনেক কিছুই অনেক সহজ করে দিয়েছে। তাই হয়ত তিনি এবারে রাজি হলেন তার এই গল্পগুলোকে মেহেদী হক এর তত্বাবধায়নে, রুমী ভাই এর নেতৃত্বে কমিক রূপ দিতে। বাংলাদেশে এক সময় প্রচুর কমিক চলত, কিন্তু দুঃখের বিষয় ছিল সেটা ছিল ভারতীয় কমিক, বাংলাদেশের নিজস্ব কমিক ট্রেন্ড কেবল আহসান হাবীব এবং আরও দু একজনের হাত ধরে কোনমতে লাইফ সাপোর্ট এ টিকে ছিল। সেখান থেকে সবকিছু যে কতখানি উন্নত হয়েছে, তা আসলেই আশার বাইরে ছিল। চিন্তাও করিনি কোনদিন, একটা প্রকাশনী বাংলাদেশে কেবল কমিক্স নিয়েই কাজ করবে, কমিক্স এবং গ্রাফিক নভেল প্রকাশ করে টিকে যাবে। সেটাই হয়েছে, আমরা আশা করতেই পারি শুধু ঢাকা কমিক্স নয়, আরও কয়েকটি কমিক্স ও গ্রাফিক নভেল প্রকাশনী তৈরি হবে, সেখানে মার্ভেল আর ডিসি কমিক্স এর মত ফাইট হবে, আর সেই প্রকাশনা প্রতিযোগিতা থেকে আমরা পেতে থাকব একের পর এক অসাধারণ সব কমিক্স। সব দেশের সুপারহিরোরা কিন্তু এসেছে কমিক্স থেকেই। বাংলাদেশের সুপার হিরো ছিল না এই দুখে আমার মত যাদের সময় কাটছিল, তারা হয়ত এখন আমার মতই আশাবাদী হতে পারবেন... জমি প্রস্তুত। ফসল বোনা হয়ে গেছে। বাংলাদেশের সুপার হিরোরা আসলো বলে! ধন্যবাদ ঢাকা কমিক্স। একটা আশা জাগিয়ে দেবার জন্য।