User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
জাপানি সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ থেকে বইটি পড়েছি। কাহিনি সেই ১৯৭০ এর দিকের। আমার তো মনে হলো এটা লেখকেরই গল্প। উত্তম পুরুষে লেখা। প্রাপ্ত বয়স্ক দৃশ্য আছে কয়েকটা, যা মার্জিত বাঙালি সাহিত্যের সাথে যায়না। কিন্তু জাপানি সাহিত্যে এসব স্বাভাবিক। হুবহু ঘটনা ও বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। গল্পটা বেশ নিঃসঙ্গ ও বিষণ্ণ। হারুকি মুরাকামির অসাধারণ গল্প বলার একটা উদাহরণ এই বই। অনুবাদক কৌশিক জামান চমৎকার অনুবাদ করেছেন। যার জন্য গল্পটা প্রাণবন্ত লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
========= কাহিনী সংক্ষেপ ========== “মৃত্যু জীবনের বিপরীত কিছু নয় বরং জীবনের স্বাভাবিক একটি অংশ।” ষাটের দশকের শেষ দিকের জাপান; বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ছাত্র তরু ওয়াতানাবে ছাত্র হোস্টেলের একঘেঁয়ে, মানসিকভাবে একাকিত্বের জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এক প্রকার যুদ্ধ করে চলছে। কারণ প্রিয় বন্ধুর অকাল আত্মহত্যা তাকে আরোও বেশি একা করে তুলেছে। যেটা ঘোঁচাতে গিয়ে সে ক্রমশঃ আবিষ্কার করলো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত প্রয়াত বন্ধু কিজুকির প্রেমিকা নাওকোকে সঙ্গ দিতে গিয়ে মনের অজান্তেই দুজনেই দুজনকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলেছে! কিন্তু নাওকোর জীবনটা সরলভাবে না গিয়ে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এবং তার ঠাঁই হয় বিশেষ ধরণের এক মানসিক হাসপাতালে। অন্যদিকে নাওকোকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেও আবার তাকে অনাকাঙ্খিতভাবে হারিয়ে ভীষণভাবে একা হয়ে পড়ে ওয়াতানাবে। এমন সময় ওয়াতানাবের সাথে পরিচয় হয় মিদোরির। যে কিনা নাওকোর সম্পূর্ণ বিপরীত একজন মানুষ। মিদোরি স্বাধীনচেতা, ছটফটে এবং প্রাণোচ্ছল একটি মেয়ে। প্রথমদিকে দুজনের বিভিন্ন দিকে অনেক অমিল থাকলেও একসময় মনের অজান্তে ওয়াতানাবে ও মিদোরি দুজনেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু ওয়াতানাবে নাওকোকেও ভুলতে না পারায় তার সাথেও নিয়মিত চিঠি লিখে যোগাযোগ করে এবং তার সাথে অনিন্দ্যসুন্দর কিছু সময়ও কাটায়। মিদোরি নাকি নাওকো এই দোলাচালে বা দ্বিধায় গল্পের কাহিনী এগিয়ে যায়। ========= পাঠ প্রতিক্রিয়া ========== সহজ ভাষায় বললে বইটি মূলত ‘ইয়ং অ্যাডাল্ট রোমান্টিক উপন্যাস'। ছেলে মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালের মনস্তত্ব নিয়ে বইটা লেখা। যেখানে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন টিনএজের প্রেম, একাকীত্ব, বিষণ্নতা, সম্পর্কের টানাপোড়েন, দ্বিধা ও যৌনতাকে। আবার অন্যভাবে দেখলে বইটি আবার ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের মতো। ওয়াতানাবে, নাওকো ও মিদোরি তিনজনই আসলে তাদের সম্পর্ক নিয়ে ছিলো পুরোপুরি দ্বিধাগ্রস্থ। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েরা আসলে যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে দোলাচালে ভোগে সেটাই লেখক তুলে ধরেছেন। তন্মেধ্যে বিদেশের সমাজে সামাজিক বন্ধন আমাদের দেশের তুলনায় শিথিল থাকার কারণে এটা আরোও প্রকটভাবে তাদের কাছে ধরা দেয়। যার ফল মানসিক অসুস্থতা ও অবাধ বা বিকৃত যৌনাচার। গল্পের আরোও কয়েকটি চরিত্র যেমন নাগাসাওয়া ও স্ট্রমট্রুপার আমার কাছে ভালোই লেগেছে। আমার রোমান্টিক উপন্যাস তেমন একটা পড়া হয় না বিধায় বইটি আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। তবে কয়েক জায়গায় বিভিন্ন চরিত্রের যৌনাচারের বর্ণনা আমার কাছে স্রেফ বিরক্ত লেগেছে। বইটির শেষ মূহুর্তে রেইকোর কার্যকলাপ আমার শুধু অদ্ভুতই লাগেনি; বরং অবাক হয়েছি এর প্রয়োজন আদৌ ছিলো কিনা। সবমিলিয়ে বইটি মূলত বয়ঃসন্ধিকালের এক আখ্যান, তবে আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির সাথে অনেক কিছুই খাপ খায় না। সেজন্য বইটি কাউকে উপহার দেয়া/কেনার সময়ে বয়স ২০+ হলেই তবেই তা উপযোগী হতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। প্রোডাকশনঃ কভার ডিজাইন মোটামুটি লেগেছে। কিছু বানান ভুল চোখে পড়েছে, তবে তা নগণ্যই বলা চলে। অনুবাদের মান ভালো; তবে আরোও ভালো হতে পারতো। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৬.৫/১০।
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার প্রাণবন্ত .......
Was this review helpful to you?
or
it was not an amazing book for me, it was more of a journey towards unseen
Was this review helpful to you?
or
I have read almost 5000 books in my life and this the worst book i have ever read. I hate this book so much and I want back my time I spent on it. It gives me such feeling that I have never imagined. I feel like kicking the book and pour some wasted molten human liquid or some worst and stench on it. I will never read a Haruki Murakami book again. Enough of it. Fie fie. I am so angry.
Was this review helpful to you?
or
Delivery work is not good.
Was this review helpful to you?
or
This book is... okay
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
মুরাকামি অত্যন্ত শক্তিশালী লেখক, মানবমনের লুকানো কামনা-বাসনা, অভিব্যক্তি শব্দাকারে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। তবে বইটি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য, তাই কাউকে গিফট করার আহে ভেবে চিন্তে করবেন।
Was this review helpful to you?
or
আমি সাধারণত থ্রিলার ক্যাটাগরির বই পড়তে পছন্দ করি, রোমান্টিক ক্যাটাগরির বই পড়ি না বলতে গেলে তারপরও কেন জানি নরওয়েজিয়ান বইটি সামনে পাওয়ায় পড়ে ফেললাম। বইটি যে অনুবাদ করা হয়েছে বিশ্বাস করুন তা পড়ার সময় একবারও মনে হয় নি। কৌশিক জামান এর এই অনুবাদটি এক কথায় সত্যিই অসাধারণ। এবার আসি মূল গল্পের প্লটে, গল্পের কেন্দ্রীয় চরিএ হচ্ছে তরু। তরুর একমাত্র ফ্রেন্ড কিজুকি, যাকে ছাড়া তরু নিজেকে কল্পনাও করতে পারে না। সেই কিজুকিই একদিন আত্মহত্যা করে বসলো। মাএ ১৭ বছর বয়সে কিজুকির আত্মহত্যার পিছনে কি কারণ থাকতে পারে তা তরু কল্পনাও করতে পারে না। কিজুকির প্রেমিকা নাওকো তরুর ওপর ভিষণ রেগে ছিল কারন কিজুকিকে লাস্ট জীবিত তরুই দেখেছিল। কিজুকিকে ভুলে থাকার জন্য তরু তার শহর ছেড়ে শত শত মাইল দূরে হোস্টেল জীবন শুরু করে। সেখানে নাওকোর সাথে তরুর আবার দেখা হয়। তরু তার নতুন জীবন থেকে নাওকোকে সরাতে পারলো না। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে এক গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়। তাদের সম্পর্কটা হয়তো বিয়ে অবদি গড়াতে পারতো যদি না তরুর সাথে রেইকোর দেখা হত। নরওয়েজিয়ান বইটিতে মজার একটি চরিএ হছে ট্রুপার। ট্রুপারের কয়েকটি বিষয় না বলেই নয়, তরু যে হোস্টেলে থাকত সেখানের রুম আর রাস্তার ডাস্টবিনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু তরুর রুম অবশ্য ঝকঝকে পরিষ্কার থাকত তার পিছনে অবশ্য ট্রুপারের ভূমিকা ছিল। অন্যদিকে হোস্টেলের স্মার্ট একজন মানুষ নাগাসাওয়া যার সাথে তরুর কোন মিল নাই তবু্ও তাদের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক হয় কারণ দুইজনেই ছিল বইপড়ুয়া। আসলে এই বইটি নিয়ে লিখলে লিখে শেষ করা যাবে না, তাই আর বেশি কিছু লিখতে চাই না। তবে আরো একবার লেখকের প্রশংসা না করলেই নয়, লেখক বইটিতে একসাথে দুঃখ, হাসি, আনন্দ, বেদনা সবকিছু এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছে যে ভালো না লাগার মত বিষয় খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর।
Was this review helpful to you?
or
Best
Was this review helpful to you?
or
নরওয়েজিয়ান উড একটি "Coming of age romantic" উপন্যাস। গল্পের প্রধান চরিত্র "Hopeless Romantic " এবং "Heroic Lover"
Was this review helpful to you?
or
বই রিভিউ : নরওয়েজিয়ান উড লেখক : হারুকি মুরাকামি (মূল জাপানিজ) এটা কি ব্যক্তিত্বের প্রবল বিপরীতমুখী স্রোতের গল্প? এটা কি অস্তিত্বের মূল্যহীনতার আখ্যান? নাকি এটা অব্যক্ত কথামালা বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ানোর যন্ত্রণার ফিরিস্তি? দিনশেষে আমার কাছে নরওয়েজিয়ান উড একটা প্রেমের গল্প। অদ্ভূত বিষন্ন সে প্রেম যার প্রতি পাতায়, প্রতিটা শব্দে আনন্দহীনতা ছড়িয়ে আছে, অথচ সেই আনন্দহীনতার কী দুর্নিবার আকর্ষণ! তিনজন জাপানি কিশোর-কিশোরী। যাদের দুইজন পরস্পরকে ভালবাসে। আর সেই জুটির প্রেমিকের সবচেয়ে কাছের বন্ধু গল্পকথক। কিন্তু সদা হাস্যোজ্জ্বল সেই প্রেমিক ছেলেটি একদিন আত্মহত্যা করে। কেন? কিছুই জানা যায় না। এ যেন জীবনানন্দের সেই বিপন্ন বিস্ময়। গল্পকথক আর মারা যাওয়া ছেলেটির প্রেমিকার কাছে সবচেয়ে কাছের বন্ধু আর প্রেমিকের এই অকাল মৃত্যুটা ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠে। তারা ভুলে থাকতে চায় সেই ছোট্ট শহর ছেড়ে পালিয়ে। একসময় তারা পরস্পরের কাছে আসে - বিষণ্নতা নতুন প্রেমের উন্মেষ ঘটায় বলেই কিনা সে প্রেমজুড়েও থাকে বিবিধ বিষণ্নতাই। বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরায় গল্পটা এগিয়ে চলে। অসাধারণ ভাষা উপন্যাসটির অলংকার। সহজ শব্দে দার্শনিক সত্য উন্মোচন এর একটা প্রধান আকর্ষণ। প্রায় পঞ্চাশটির বেশি ভাষায় উপন্যাসটি অনুদিত হয়েছে। তন্মধ্যে হার্ভার্ডে জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজের অধ্যাপক জে রুবিনের করা ইংরেজি অনুবাদটি প্রণিধানযোগ্য।
Was this review helpful to you?
or
‘নরওয়েজিয়ান উড’ হারুকি মুরাকামি এর লেখা অসাধারন একটি উপন্যাস । তিনি জাপান এর অন্যতম সেরা লেখক । তার রচিত কথাসাহিত্য তাকে জাপান ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমালোচকদের প্রশংসা ও অনেক পুরস্কার এনে দিয়েছে। এইসকল পুরষ্কারের মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ফ্যান্টাসি অ্যাওয়ার্ড , ফ্রাংক ও'কনার আন্তর্জাতিক ছোটগল্প পুরস্কার অপরদিকে তার সমস্ত শিল্পসম্ভারের জন্য ফ্রান্ৎস কাফকা পুরষ্কার এবং জেরুজালেম পুরষ্কার অন্যতম। সমালোচকেরা অনেকেই হারুকির কথাসাহিত্যগুলো ফ্রান্ৎস কাফকার একাকীত্বে ভরা উন্মাদনা, শূন্যতা ও অর্থহীনতায় ভরা কথাশিল্প হিসেবে উল্লেখ করেন । হারুকি মুরাকামি উত্তর আধুনিক সাহিত্যের একজন অন্যতম প্রভাবশালী লেখক। দি গার্ডিয়েনের স্টিভেন পুল সাহিত্যকর্মের জন্য হারুকি মুরাকামিতা কে তার পৃথিবীর জীবিত সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম বলে আখ্যা দেন । হারুকি মুরাকামি এর লেখা এই বইটির অনুবাদ করেছেন কৌশিক জামান । বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় বাতিঘর প্রকাশনী থেকে । একমাত্র ফ্রেন্ড কিজুকির আত্নহত্যা বদলে দিল তরু কে।১৭ বছরের কিজুকির আত্নহত্যার পিছনে কি কারন থাকতে পারে এটা কল্পনাও করতে পারছে না তরু। তবে এটা বুঝতে পারছে একমাত্র বন্ধুর প্রেমিকা নাওকো তার ওপর ভীষন রেগে আছে কেননা তরুই লাস্ট জীবিত দেখেছিলো কিজুকিকে। তরু তখন ভাবতেও পারেনি যে ফ্রেন্ড কে ছাড়া এক মুহুর্ত নিজেকে কল্পনা করতে পারেনা তাকে ছাড়াই বাকীটা জীবন কাটাতে হবে। যদি সত্যিই কিজুকিকে ছাড়াই কাটাতে হয় তাহলে তাকে ভূলে থাকাই ভালো ভেবে শত শত মাইল দুরে চলে আসে তরু। শুরু হলো নতুন হোস্টেলের জীবন। কিন্তু নতুন জীবন থেকে সরাতে পারলো না নাওকে কে। সব ভূলতে চেয়ে আরো গভীর সম্পর্ক তৈরী হচ্ছে দুজনার। এই সম্পর্ক হয়তো বিয়ে পর্যন্ত যেত যদি না তরুর জীবনে আসতো আরেক চরিত্র "রেইকো"। অসাধারন একটি প্লটের উপর লেখা হয়েছে এই বইটি , যা কৌশিক জামান এর দারুন অনুবাদে পাঠকের নিকট হয়েছে আরো অসাধারন । অনুভাব বইয়ের অনুবাদ ভালো না হলে সেই বইয়ের মজা ঠিক মত পাওয়া যায় না । অসাধারন একটি রোমান্টিক উপন্যাসের স্বাদ পেতে চাইলে পড়তে হবে এই বইটি ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা রিভিউ: ডিসেম্বর ০১ বইয়ের নাম : নরওয়েজিয়ান উড লেখক : হারুকি মুরাকামি অনুবাদক : কৌশিক জামান প্রচ্ছদ : ডিলান পৃষ্ঠা : ৩৩৪ মুদ্রিত মূল্য : ৩২০ টাকা রকমারি মূল্য : ২২৪ (৩০%) And when I awoke I was alone This bird had flown So I lit a fire Isn't it good Norwegian wood..! হুম,বিটলস এর 'নরওয়েজিয়ান উড' গানটার নামেই এই বই! প্রথমেই একটু নিজের কথা বলা যাক, আমি এই বইটা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। শপিং এর টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম বই কিনতে।তাই এত্ত ভেবে কেনার দরকার ছিলো না,যা পছন্দ হয়েছে,তাই কিনেছি। বইটা আসলে আমার মূলত পছন্দ হয়েছিলো প্রচ্ছদ দেখে ♥ অনেক বই একসাথে কেনার কারণে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না কোনটা পড়বো,তখন এই সাদা বইটা নিয়ে বসা,তখনই প্রথম জানতে পারলাম,এইটা রোমান্টিক উপন্যাস। আমার আসলে রোমান্টিকতার নামে লুতুপুতু প্রেম পছন্দ হয়না,তবে এই বইটা না কি জাপানের সব পাঠকই পড়ে ফেলেছেন। তবে এই বইয়ের রোমান্টিকতা লুতুপুতু ছিলো কি না,সেটা নিয়ে নিজের মতামত আর নাই বা দিলাম। এইবার বইয়ের প্রসঙ্গে আসি, একবার শুধু ভাবুন,২০ বছর পর যদি আমরা আমাদের এই ২০১৭ এর জীবন কেমন ছিলো,এই স্মৃতিচারণ করতে বসি,তাহলে বিষয়টা কেমন হবে? হ্যাঁ,ওয়াতানাবে, যার ডাক নাম তরু,সে তার ৩৭ বছর বয়সে এসে এত বছর আগের স্মৃতিচারণ করতে বসে।সেই স্মৃতিচারণ নিয়েই এই বই। অন্তর্মুখী স্বভাবের ছেলে তরুর একমাত্র বন্ধু হচ্ছে কিজুকি,আর কিজুকির গার্ল ফ্রেন্ড নাওকো। কিজুকি আর নাওকোর বেড়ে ওঠাও ছিলো একই সাথে,তার পর প্রেম। সেই কিজুকি হঠাৎ তার ১৭ বছর বয়সে আত্মহত্যা করে ফেলে।কেন? সেটা তোলা থাক।কিন্তু কিজুকির মৃত্যুর কারণের গল্পের মোড় পাল্টাতে শুরু করে। নাওকো পুরো ভেঙে পড়ে, তরুর অবস্থাও খারাপের দিকে যায়। পরিস্থিতি থেকে পালাতেই হোক আর যে কারণই হোক,দুজনই তাদের ছোট শহর থেকে তারা চলে যায় টোকিওতে।কিন্তু দুজনই যে টোকিওতে আছে সে খবর দুজনের কেউই জানতো না। পৃথিবী যেহেতু খুবই ছোট,একসময় নাওকো আর তরুর দেখা হয়ে যায়। মৃত বন্ধুর গার্ল ফ্রেন্ড একটা সহানুভূতির জায়গা থেকেই হোক আর যাই হোক,নাওকোর প্রতি তরুর মায়া বাড়তেই থাকে। একসময় সেটা প্রেমে রূপান্তরিত হয়েও যায়,তবে প্রেমটা দুজনের না কি শুধু তরুর দিক থেকে সেটা একটা প্রশ্ন। এরই মধ্যে হঠাৎ করে নাওকো উধাও হয়ে যায়।কিছু না বলেই চলে যায় যে।এর অনেক দিন পর তরুর কাছে চিঠি আসে 'আমি হোস্টেল' থেকে।নামটা বেশ অদ্ভুত হলেও এটাই ছিলো মানসিক ভারসাম্য হারানোর পর নাওকোর ঠিকানা। তবে এটাকে ঠিক ভারসাম্যহীন বলা যায়না,নাওকো ছিলো কিছুটা অস্বাভাবিক, তবে তাকে পাগল বলা যায়না। তরু ঠিকানা পেয়ে নাওকোকে নিয়মিত চিঠি লিখে,এক সময় সে নাওকোকে দেখতে যাওয়া শুরু করে।সেই সময় তরুর সাথে পরিচয় হয় রেইকোর,নাওকোর রুমমেট সে।তার জীবনেও থাকে একটা গল্প। এর মধ্যেই ঘটনা চক্রে তরুর জীবনে চলে আসে মিদোরি নামের এক মেয়ে। নাওকো,মিদোরি দুজন বিপরীতধর্মী নারী। একজন মৃতবন্ধুর প্রেমিকা।সুন্দরী কিন্তু মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। অন্যজন বন্ধুত্বপূর্ণ, প্রাণোচ্ছল আর স্বাধীনচেতা। মিদোরির সাথে কি প্রেমের সম্পর্কে জড়াবে তরু? এরকম কিছু হয়ে গেলে,শেষ মুহূর্তে কাকে বেছে নেবে সে? পাঠ প্রতিক্রিয়া : এই গল্পে তরু,নাওকোর বয়ঃসন্ধি, কৈশোরকাল এর একাকিত্ব থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে কৈশোর পেরিয়ে তরুণ হয়ে ওঠার কথা বলা হয়েছে। এই গল্পের প্রত্যেকটা চরিত্রেরই একটা গল্প আছে,লেখক সব গল্পগুলোই সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রত্যেকটা মানুষের জীবন দর্শন আলাদা।কৈশোর পেরিয়ে তরুন হবার সাথে সাথে চিন্তাধারার কতখানি পার্থক্য হয় লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন। অনুবাদও ভালো ছিলো। তবে যেহেতু বিদেশি লেখকের বই,সম্পর্কের জটিলতার সাথে যৌনতা নিয়েও কিছু লাইন থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে আমার মতন যাদের অনুবাদ পড়ার অভ্যাস কম,এই বিষয়গুলোতে অস্বস্তি লাগাটাই স্বাভাবিক।
Was this review helpful to you?
or
when you read this book you can feel the emotions of the writer amd his every word it seems like piercing through your heart this book was amazing at times I even cried as I was so into it overall I loved it
Was this review helpful to you?
or
খুব কম বই আমার মনে দাগ কেটেছে তন্মধ্যে এটি একটি। ধন্যবাদ কৌশিক ভাইকে বইটি এত সুন্দর করে অনুবাদ করার জন্য। জাপানি বই সম্পর্কে নিজের চিন্তা ভাবনা অনেক পরিবর্তন ঘটছে। লেখক হারুকি মুরাকামি এমন একটি অমর সৃষ্টি সত্যি অনেক প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে উনার চরিত্র গুলো। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পর এমন কোন লেখকের কোন চরিত্র আমাকে ভাবাই নি। মিদোরি চরিত্রটার কিছু পাগলামি, কিছু বিষয় নিজের সাথে অনেক মিলে যায়। তরু ওতানেয়বল কিছুটা কনফিউজড চরিত্র। I once had a girl Or should I say she once had me She showed me her room Isn't it good Norwegian wood? She asked me to stay And she told me to sit anywhere So I looked around And I noticed there wasn't a chair I sat on a rug biding my time Drinking her wine We talked until two and then she said "It's time for bed" She told me she worked In the morning and started to laugh I told her I didn't And crawled off to sleep in the bath And when I awoke I was alone This bird had flown So I lit a fire Isn't it good Norwegian wood?
Was this review helpful to you?
or
হারুকি মুরাকামির জন্ম ১২ জানুয়ারী ১৯৪৯ জাপানে। ওয়াতানাবে তরু টোকিয় শহরে পড়াশুনা করতে আসে। নাওকো ছিল তরুর বেস্ট ফ্রেন্ড, কিজুকির গার্লফ্রেন্ড।কিজুকি ও তরু এরাও খুব ভালো বন্ধু ছিল।একদিন হঠাৎ করেই কিজুকি তাদের গ্যারেজে আত্নহত্যা করে।কোন কিছুই লিখে যায়নি।তরু খুব ভেঙ্গে পরে কিজুকির মৃত্যুতে, সে তাঁর মৃত্যুর কোন কারন খুজে পেলনা।তাঁর চেয়েও ভেঙ্গে পরলো নাওকো।কারন তাঁরা দুজনে একসাথেই বড় হয়েছে, একে অপরকে ভীষন ভালোবাসত।কিজুকির এই মৃত্যু নাওকোর মনে বিশেষ প্রভাব ফেলে।যদিও পরবর্তীতে নাওকো তরুকে ভালোবাসতে শুরু করেছিল আর তরু নাওকো কে। তাঁর পরেও নাওকো কিজুকিকে কিছুতেই ভুলতে পারছিলনা।একসময় সে ভীষণ ভাবে অসুস্থ হয়ে পরে এবং টোকিও থেকে অনেক দূরে যেতে হয় চিকিৎসার জন্যে।তরু মাঝে মাঝে তাঁকে দেখতে যেত।সে নাওকো কে ভালোবাসত এবং তাঁকে আপন করে পেতে চাইত।কিন্তু নাওকো তখনও পুরোপুরি কিজুকিকে ভুলতে পারছিলনা।তাই নাওকো তরুকে বলেছিলো যে, সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে।তরু তাতে রাজি ছিল।এরই মাঝে মিদরি নামে এক জনের সাথে তরুর পরিচয় হয়।তরুর সহজ সরল আচরণ তাঁকে মুগ্ধ করে।এভাবে অনেক সময় পার হয়ে যায়, নাওকো আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পরতে থাকে।তরুও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরতে থাকে।হঠাৎ করেই একদিন খবর আসে নাওকো মারা গেছে।তরু এবার পুরোপুরি ভেঙ্গে পরে, সে তাঁর পড়াশুনা কাজ কর্ম ছেড়ে দিয়ে শহর থেকে শহরে, সুমুদ্র তীরে, পাহাড়ে, ষ্টেশনে সবখানে উদ্দেশ্য হীনভাবে ঘুরে বেরাতে লাগলো।এভাবে একমাস পথে পথে ঘুড়ার পরেও তাঁর মন থেকে কিছুই মুছে যায়নি।এদিকে মিদরি তাঁর জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে।সে জানে মিদরি তাঁকে সত্যিই ভালোবাসে।পরবর্তীতে তরু নিজেই মিদরির সাথে যোগাযোগ করে। অনেক চমৎকার একটি উপন্যাস।যা পড়ার পরে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে হয়। বন্ধুত,প্রেম,রমাঞ্ছ,দুঃখ, যন্ত্রণা,না পাওয়ার বেদনা সবকিছুর মধ্যে দিয়ে অনেক সুনিপুণ ভাবে লেখক এগিয়ে গেছেন।যা পাঠক মনে দোল দিয়ে যেতে বাধ্য। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
এনিমে এবং মাঙ্গা বেশ জনপ্রিয় সারা বিশ্বে । অনেকে ভাবেন যে এসবের মাধ্যমে জাপানের সমাজ ব্যবস্থার সম্পূর্ণটা জানা যায় । কিন্তু বাস্তবে তা না । জাপানের সাধারন মানুষরাও অসাধারন । তাদের জীবনের অনেক কথাই এমনকি অন্য জাপানিরাও জানে না । বেশ বৈচিত্রময় এই দেশের সমাজ , শিল্প, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে নরওয়েজিয়ান উড উপন্যাসে । উপন্যাশটির মূল চরিত্র তিনটি । তরু ওয়াতানাবে, নওকো, মিদোরি কোবায়েশি। প্রাণবন্তো চরিত্রগুলির আবেগের ভিত্তিতে কাহীনি এগোতে থাকে । প্রেমই এ উপন্যাশের মূল প্রতিপাদ্য, যদিও রাজনীতি, সাহিত্য ও সমাজকেও বিষয় হিসেবে বিবেচনা কুরতে হয় । ষাটের দশকের বিশ্ব রাজনিতির প্রভাব রয়েছে এ উপন্যাশে । তৎকালীন সমাজতন্ত্র ও গনতন্ত্রের বিবাদের আভাশ পাওয়া যায় এখানে । ব্যাক্তি জীবনকে ছাপিয়ে যায় এ বইটি। সবমিলিয়ে আপনার পড়া সেরা উপন্যাশের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারবে এ উপন্যাশটি ।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটা বই এর যথাযোগ্য অনুবাদ
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ প্রাণবন্ত ।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-নরওয়েজিয়ান উড লেখক-হারুকি মুরাকামি অনুবাদ-কৌশিক জামান ধরন- রোমান্টিক উপন্যাস পৃষ্ঠা-৩৩৪ মূল্য-৩২০ প্রকাশনী-বাতিঘর জাপানী লেখক হারুকি মুরাকামি রচিত অন্যতম রোমান্টিক উপন্যাস "নরওয়েজিয়ান উড"। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৮৭ সালে। এ গল্পের মূল থিম প্রেম,যৌনতা, বয়োসন্ধি, একাকিত্ব, সম্পর্কের জটিলতা , প্রিয়জন হারানোর ব্যথা। যা লেখক বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন। উপন্যাসটি বর্ণনা করা হয় তরু ওয়াতানাবে নামের একজন চরিত্রের মাধ্যমে যে টোকিওতে থাকাকালীন তার কলেজ জীবনের পিছনের দিনগুলোতে ফিরে তাকায়। তার স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে লেখক আমাদের দেখান,সে সময় তরু দুজন ভিন্ন প্রকৃতির নারীর সাথে তার সম্পর্ক গড়ে তুলে। যার একজন সুন্দরী কিন্তু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নাওকো, সে একসময় তার বন্ধু কিজুকির বান্ধবী ছিলো। আর একজন খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ, প্রাণবন্ত ও স্বাধীনচেতা মিরুদি। পরাবাস্তবতা ও জাদুবাস্তবতার অন্যতম কথাসাহিত্যিক জাপানি লেখক হারুকি মুরাকামি। কিন্তু তার এই উপন্যাস সম্পূর্ন বাস্তবতায় পূর্ন একটি রোমান্টিক উপন্যাস হিসেবে প্রকাশ পায়। লেখকের অন্যান্য লেখা গুলোর মধ্যে দ্য উইন্ড-আপ বার্ড ক্রনিকল, আফটার দ্য কুয়েক, স্পুটনিক সুইটহার্ট অনেক আলোচিত গ্রন্থ হলেও সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও পঠিত প্রেমের উপন্যাস, নরওয়েজিয়ান উড। বলা হয়, জাপানের প্রতিটি মানুষ এই উপন্যাস পড়েছে। লেখকের অধিকাংশ লেখার মতোই এ গল্পও উত্তম পুরুষে লেখা। নরওয়েজিয়ান উড প্রকাশিত হওয়ার পর সারাবিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়।লেখকের এই উপন্যাস বিশটি ভাষায় অনূদিত হয়। বাংলা ভাষায় অনূদিত হয় কৌশিক জামানের হাত দিয়ে। উপন্যাসের মূল চরিত্র হলো ৩৭ বছরের ওয়াতানাবে তরু। সে জার্মানিতে যাওয়ার সময় বিটল্স সঙ্গীত দলের নরওয়েজিয়ান উড গান শুনতে শুনতে স্মৃতিকাতর হয়ে ফিরে যান তার আঠারো বছরের জীবনে। সে সময় বিষাদে মাখা সময়গুলোর বর্ণনা উপন্যাস জুড়ে। তরুর প্রাণপ্রিয় বন্ধু কিজুকি। কিজুকির বান্ধবী নাওকো। কিজুকি আর নাওকো একে অপরের অবিচ্ছেদ অংশ। কিন্তু অকস্মাৎ কিজুকির আত্মহত্যা নাওকোর জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দেয় । কেন, কি কারনে কিজুকি আত্মহত্যা করে তার কোন উত্তর নেই। প্রিয় বন্ধু কিজুকিকে পিছনে ফেলে তরু চলে আসে টকিওতে। এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিটা থেকে পড়াশোনা শুরু করে। কিন্তু নাওকোর সাথে তার সম্পর্ক রয়ে যায়। তারা একে অপরের শুভাকাঙ্খী হলেও ধীরে ধীরে একে অন্যকে ভালোবাসার কথা জানায়। গল্প ধীর গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে। হঠাৎ তরুর জীবনে আরো একটি মেয়ের ছায়া পরে সে হলো মিরুদি। প্রেম-ভালোবাসা, শারীরিক সম্পর্ক এবং মনস্তাত্ত্বিক টানাপড়েন এই উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। চরিত্র নাওকো মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলো । তার কারন, নাওকোর সাথে কিজুকির সম্পর্ক তিন বছর বয়স থেকে। এমন কি তারা বড় হয়েছে একই সাথে। সেই সুত্রে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিলো বেশ ।এ দিক থেকে কিজুকির আত্মহত্যা এবং তার জন্য কিছুটা নিজের উপর দোষারূপ কারণেই হয়তো তার মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা যায়। যা বেশ সুক্ষভাবেই উপন্যাসে বুঝা যায়। উপন্যাসের যে চিত্র লেখক দিয়েছেন যেমন - আত্মহত্যা, যৌনতা, মদ্যপান, ছাত্র-আন্দোলন প্রভৃতি সে সময়কার জাপানেরই চিত্র। অনেক সমালোচক মনে করেন, উপন্যাসের তরু চরিত্রের উপর লেখকের নিজের ছাপ রয়েছে। যদিও তিনি তা কখনই স্বীকার করেন নি। পুরো উপন্যাসটিতে তরুর নাওকো, ১৯ বছরের বড় রেইকো, মিরুদিসহ আরও অনেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গুলোর বর্ণনা খোলামেলা ও বেশ সাবলীল ভাষায়। যা আমাদের বাংলাভাষার কোন উপন্যাসে চোখে পড়বে বলো মনে হয় না। যদিও বা থাকে তবুও একেবারে অল্পবিস্তর। চরিত্র নাওকো ও রেইকো দুজনই মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগী। তবে দুজনের মানসিক সংকট দুরকম। তরু একাধারে নাওকো এবং মিরুদির সঙ্গে প্রেম করলেও তাদের যৌনতা বেশ ভাবে প্রকাশ করেন। আরো একটা ব্যপার হলো অন্য মেয়েদের সঙ্গে তরুর রাত্রিযাপনের কথা অবলীলায় সে নাওকো ও মিরুদিকে শেয়ার করতো। কোন প্রকার জড়তা ছাড়াই। মিরুদি চরিত্রে বাস্তব দিক বেশি। আবেগের এতো বেশি ছড়াছড়ি নেই। তবে যাই হোক, নরওয়েজিয়ান উড শেষ করার পর বিষাদে পাঠকের মন ছেয়ে যাবে।উপন্যাস শেষ করার পরও তরু, নাগাসাওয়া, রিকো ও মিরুদির শেষ অবস্থা জানার তৃষ্ণা পাঠকের থেকেই যায়। কেননা লেখক বেশ সর্থপনে, পাঠকের এই আগ্রহটুকু হাতে রেখেই উপন্যাস শেষ করে দেন। উপন্যাসের প্রথম দিকেই লেখকের লেখায় আবাস মেলে পাঠক হিসেবে কিছু চোখের জল খরচ করতেই। হবে, এবং তা কিছু দূর যেতেই প্রতিফলিত হতে থাকে। ৩৩৪ পৃষ্ঠার বই তিন ভাগের এক ভাগ শেষ করতে করতেই চোখে জল কয়েকবার ঘোরাফেরা করে গেছে। খুব কঠিন হয়ে নামতে দেইনি আরকি। একদলা কষ্ট দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিলো। তবে কোথাও কোথাও যৌনাবেদনময়ী বর্ণনা বিরক্তিকর ছিলো। তবে লেখকের এতো সাবলীল লেখা , 'নরওয়েজিয়ান উড' বইটার অনুবাদক কৌশিক জামান, তার আরো বেশি সাবলীল অনুবাদ করেছেন। নিঃসন্দেহে অনুবাদ চমৎকার ছিলো। তাই চুপচাপ পাতার পর পাতা উল্টাতে একটুও কষ্ট হয় নি। মূলত বইটা ১৮+ এবং পুরোটাই যৌনতা। আর বর্ণনাতেও কোন রাখঢাক নেই। কিন্তু এর ভেতরেও লেখক দেখিয়েছেন প্রেম। তার সাথে দর্শনের অবস্থানও বিদ্যমান। রেটিং৪.৫/৫ রকমারি লিংক-https://www.rokomari.com/book/127783/নরওয়েজিয়ান-উড
Was this review helpful to you?
or
It's totally unbelievable truth that this book takes whole six days to finish. The reasons behind that I wanted to consume whole life intellection from this book. Though it's included much sexual ingredients, but all other contents management fulfill main theme wisely. Dynamic and facile writings of Haruki Murakami make the book real worthy for me. It's the first Japanese book that I read. Now I find myself how ignorant I was for my late to introduce in Japanese literature.
Was this review helpful to you?
or
সত্যি বলতে বইটি হারুকি মুরাকামির অন্যতম একটি সৃষ্টি। বর্তমান তরুণ সমাজে অনেককিছু শেখার আছে বইটি থেকে।যদিও বইয়ের কিছু অংশ আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থার সাথে যায় না।কিন্তু এক কথায় বইটি অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
"মৃত্যু আস্তে আস্তে ছায়া ফেলে জীবনের অংশ খেতে থাকবে। তুমি বুঝে উঠার আগেই চারপাশ অন্ধকার, কিছু আর দেখতে পাবে না, আর লোকজন মনে করবে তুমি জীবিত'র চেয়েও মৃতই বেশী"......!! বয়োঃসন্ধিকাল। জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। নিজেকে গঠন করার, নিজেকে জানার, নিজেকে বোঝার বয়স। বেশীরভাগ মানুষের এই সময়টাতে যৌবনের তাড়নায় প্রেম আসে জীবনে। তখন নিত্যদিন অনেক সুন্দর মনে হলেও আস্তে আস্তে সম্পর্কের জটিলতায় জীবন হয়ে উঠে অতিষ্ঠ। রাগ, মান-অভিমান, দুঃখ থেকে মনে জমে ক্ষোভ। ক্ষোভ নিয়ে চলে প্রতিশোধের দিকে আর তাই মনের দিক থেকে দুর্বল হয়ে নিতান্ত অসহায়ের মতো মানুষ যৌনতার মাঝে অতৃপ্ত সুখ খুঁজতে চায়। মাস্টারবেট হোক কিংবা কোন সঙ্গিনীর সাথে রাতযাপন একসময় তা অভ্যস্ততায় চলে আসে। অথচ একটা সময় উপলদ্ধি করতে পারে 'সেক্স, শুধুমাত্র সেক্স করার জন্যই করা'। নিঃসঙ্গতা আর একাকীত্ব আঁকড়ে ধরে তাদের। এমন সময় জীবনে কিছু অসাধারণ পরিবর্তন ঘটলেও তা একই রকম নিঃসঙ্গতা আর একাকীত্বের ভিড়ে কোথাউ হারিয়ে যায়। চেনা রাস্তা অচেনা হয়ে যায়, চেনা মানুষকে অচেনা আর নিজেকে এক উদ্ভ্রান্ত, পথভ্রষ্ট পথিক মনে হয় যার কোথায় যেতে হবে সেটা জানা নেই। "And when I awoke, I was alone, This bird had flown So I lit a fire, isn't it good..? Norwegian Wood".........!! নরওয়েজিয়ান উড। এসময়ের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক হারুকি মুরাকামির অন্যতম সেরা এবং শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এটি। এটি একটি অনবদ্য মৌলিক উপন্যাস যার পাতায় পাতায় আপনি পাবেন বিষণ্ণতা, বেদনা, যন্ত্রণা, যৌনতৃপ্তি, প্রেম, অসম সম্পর্ক সহ আরো বিভিন্ন গোপনীয় বিষয় যা সবাই বুঝে অনুভব করলেও মুরাকামি তা প্রকাশ করেছে। প্রেম, সম্পর্কের জটিলতা, যৌনতা, বয়োঃসন্ধি, একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতা আর প্রিয়জন হারানোর ব্যথা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন হারুকি মুরাকামি। "মৃত্যুর অস্তিত্ব আছে, কিন্তু জীবনের বিপরীত হিসেবে নয় বরং জীবনের অংশ হিসেবে".......!! গল্পপ্রসঙ্গ : গল্পের পটভূমিটা ষাটের দশকের শেষদিকের টোকিও শহর। জাপানের ব্যস্ত নগরী খ্যাত এই শহরে মানুষ শুধুমাত্র ব্যস্ততাই খুঁজে ফিরে। কারো দিকে ফিরে তাকাবার সময় নেই কারো। এমন এক শহরে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে আসে বিষণ্ণ আর গম্ভীর প্রকৃতির তরু ওয়াতানাবে। ভর্তি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে আর উঠে সাধারণ মানের একটা ডর্মে। যেখানের রুমের দেয়ালগুলোতে সস্তা মানের নারীদের যৌন-আবেদনময়ী পোস্টার লাগানো, মাস্টারবেট কিংবা সেক্স যেখানের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার, কড়াকড়ি নিয়মের বেড়াজালে ঘেরা এ ডর্মে নাট্যকলার ছাত্র তরু ওয়াতানাবে নিজের জীবনকে নিঃসঙ্গ আর একাকীত্বের সাথে খাপ খাইয়ে নেবার চেষ্টায় ব্যস্ত। এমন সময় পরিচিত হয় কিজুকি এর সাথে। যে কিনা খুব চমৎকার একজন বন্ধুই নয় বরং চমৎকার একজন মানুষ। কিজুকির সাথে কাটানো দিনগুলোতে তরু ওয়াতানাবে তার বিষন্নতাগুলো কাটিয়ে উঠতে শুরু করে। কিজুকির গার্লফ্রেন্ড নাওকো। যে কিনা অত্যন্ত সুন্দরী তবে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। কিজুকি, নাওকো আর তরু ওয়াতানাবের দিনগুলো ভালোই যাচ্ছিলো এমন এক দিন হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে কিজুকি আত্মহত্যা করে। কিজুকিকে হারিয়ে নাওকো পাগলের মতো হয়ে যায়। বন্ধুত্বের খাতিরে তরু ওয়াতানাবে নাওকোকে প্রচুর সময় দিতে শুরু করে। প্রতিদিন শহরের এমাথা থেকে ওমাথা হেটে বেড়ায় তারা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করে তারা। তরু ওয়াতানাবে নাওকোকে ডর্মের ছেলেগুলার কথা বলে, তাদের উদ্ভট কাণ্ডকারখানার গল্প শোনায়। এছাড়াও, তরু ওয়াতানাবের রুমমেট যার নিকনেম স্ট্রর্মট্রুপার তার গল্প শোনায়। যে কিনা একজন শুচিবায়ুগ্রস্ত। সপ্তাহের একদিন যে রুমের দরজা, জানালার পর্দা ধুয়ে দেয়, প্রতিদিন সকাল-বিকাল ঘর ঝাড়ু দেয়, আর প্রতি ভোরে ঘুম থেকে উঠে লাফিয়ে লাফিয়ে ব্যায়াম করে। একটা সময় এই হাটাহাটি, দেখা করা আর স্টর্মট্রুপার এর গল্প শোনানোটা অভ্যাসে পরিণত হয় নাওকো আর তরু ওয়াতানাবের। আর হঠাৎ এক রাতে কিভাবে যেন তারা যৌনমিলনে মিলিত হয়ে যায়। কিন্তু নাওকোর মানসিক সমস্যা বাড়তে থাকলে নাওকো মুক্তি চায় তরুর কাছে। নাওকো চলে যায় দূরে কোথাউ নির্জনে সুস্থ হতে। তরু ওয়াতানাবে আবার একাকী আর নিঃসঙ্গ জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে ব্যস্ত হতে চায় কিন্তু ঘুরেফিরে নাওকোর স্মৃতি ভেসে বেড়ায় তার সামনে। দিশেহারা, একাকী, নিঃসঙ্গ তরু ওয়াতানাবে একরাতে বের হয় তার ডর্মের পাশের রুমে থাকা নাগাসাওয়ার সাথে। একটা বারে যেয়ে মদ খেয়ে চুর হয়ে দুজন মিলে দুজন রমণীকে পটিয়ে তাদের সাথে শুয়ে যৌনতৃপ্তি নিয়ে রাত কাটায়। নাগাসাওয়ার অদ্ভুত মানবতাবোধ, অনন্য দর্শন, বিকেন্দ্রিক নৈতিকতা ইত্যাদি তরু ওয়াতানাবের ভালো লাগে। তাই নাওকোর স্মৃতি ভুলতে তরু প্রায় প্রায়ই নাগাসাওয়ার সাথে বের হয় রাতে নারী শিকারে। কিন্তু একটা সময় তরু ওয়াতানাবে উপলদ্ধি করে এ যে শুধুই 'সেক্স করার জন্যই সেক্স করা'। আবারও সেই বিষণ্ণতা। ফিরে আসে নাওকোর স্মৃতি। এমনই এক সময় পরিচিত হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মেয়ে মিদোরির সাথে। বন্ধুত্বপূর্ণ, প্রাণোচ্ছল আর স্বাধীনচেতা মিদোরিকে ভালো লেগে যায় তরু ওয়াতানাবের। নাওকোর স্মৃতি ভুলতে মিদোরিকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠে তরু। মিদোরির সাথে প্রচুর সময় কাটাতে শুরু করে তরু। ধীরে ধীরে তরুর মনের গহীন কোনে মিদোরি একটা বিশাল জায়গা জুড়ে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে নিজের কিন্তু নাওকোকে কিভাবে ভুলে যাবে তরু...? তরু ওয়াতানাবের মৃতবন্ধুর প্রেমিকা নাওকো যাকে তরুর প্রচন্ড ভালো লাগে, যার স্পর্শে উত্তেজিত আর আনন্দিত হয় ওয়াতানাবে, যে কিনা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত অথচ চায় তরুর সাথে সুখে দিন কাটাতে আর তরুও তাইই চায় মনেপ্রাণে। এদিকে মিদোরি স্বাধীনচেতা এক মেয়ে। যার কিনা একজন বয়ফ্রেন্ডও আছে কিন্তু সংকীর্ণ মনের তাই নিজের বয়ফ্রেন্ডের থেকে তরু ওয়াতানাবের সাথে সময় কাটাতে বেশী ভালো লাগে ওর। তরুর ও কিন্তু একাকীত্বের জীবনে মিদোরির উপস্থিতি অনেক বেশী ভালো লাগে। কিন্তু তরু নাওকোর মানসিক কিংবা শারীরিক প্রেম থেকে মুক্ত হতে পারছে না। আর মিদোরির সঙ্গ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারছে না। কাকে বেছে নেবে তরু ওয়াতানাবে...? মৃতবন্ধুর প্রেমিকা নাওকো নাকি স্বাধীনচেতা মিদোরিকে..? নাকি তরু ওয়াতানাবে কাউকে গ্রহণ করতে না পেরে হারিয়ে যাবে মহাকালে মঞ্চে পথভ্রষ্ট পথিক হয়ে...? এসব জানতে হলে ধৈর্য নিয়ে পড়তে হবে ৩৩৩ পৃষ্ঠার হারুকি মুরাকামির নরওয়েজিয়ান উড বইটি। "এই মিলন, কিছু আসে যায় না এসবে। আমরা যা বলছি বা যা করছি তা হল স্রেফ দুটি অপরিপূর্ণ মাংস পিন্ডের ঘষাঘষি। এসব করে শুধুই নিজেদের অপূর্ণতা ভাগাভাগি করছি আমরা"......!! লেখকপ্রসঙ্গ : বিশ্ববিখ্যাত জাপানি লেখক হারুকি মুরাকামি সারা পৃথিবী জুড়েই তুমুল জনপ্রিয়। ৫০ টিরও অধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে তার গ্রন্থ। অথচ তিনি কোনদিন ভাবেন নি যে তিনি লেখক হবেন। হ্যা সত্যিই, একদিন স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যেয়ে তার মাথায় একটা গল্প এলো, বাসায় ফিরে গল্পটা লিখা শুরু করলো। এই 'নরওয়েজিয়ান উড' তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দিলো। ইংরেজী সাহিত্যের বেশ কিছু বই জাপানি ভাষায় অনুবাদ সহ বেশ কিছু গ্রন্থও আছে হারুকি মুরাকামির লেখালেখির ঝুলিতে। ফ্রানৎজ কাফকা পুরষ্কার সহ বিভিন্ন পুরষ্কারে ভূষিত এবং স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী পাওয়া হারুকি মুরাকামি নরওয়েজিয়ান উড দিয়ে এতটাই খ্যাতি পেয়েছে যে ২০১৫ সালে টাইমস ম্যাগাজিন তাকে এ বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। এছাড়া, যে বই গুলো সমাদৃত হয়েছে তার - অ্যা ওয়াইল্ড শিপ চেইজ, কাফকা অন দি শোর, ওয়ান কিউ এইট ফোর, মেন উইদাউট ওমেন ইত্যাদি। অনুবাদপ্রসঙ্গ : অনুবাদক কৌশিক জামান। পেশাদার অনুবাদক নয় তবে শখের বসে করা প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ এটি তার। তার অনুবাদে জাপানি থ্রিলার কানায়ে মিনাতোর কনফেশন্স পড়া হয়েছে। সেই বইয়ের রিভিউতেও বলেছি অনেক সহজ আর সাবলীল ভাবেই অনুবাদ করতে পারেন তিনি। শব্দগঠন, বাক্যগঠন কিংবা শব্দচয়নে এতটা জোড় দিয়ে কি লাভ যদি না আপনার অনুবাদ এতটা সাবলীল না হয়...? তার চাইতে আপনার বলার ভাষা, আপনার শোনা ভাষা আর আপনার জানা ভাষাতে অনুবাদটা আপনার কাছে অনেক বেশীই সহজ আর সাবলীল মনে হবে তাই নয় কি..? কৌশিক জামান এর অনুবাদটা ঠিক এরকমই। শুধুমাত্র শব্দগত ভুল ছাড়া তেমন কিছুই চোখে পড়েনি। এমন না যে খুব বাড়িয়ে বলছি। আমি ইংলিশটা পড়ে তারপর অনুবাদটা পড়েছি বলেই এইভাবে বলা। যদিও অনুবাদক বইয়ের শুরতেই বলে দিয়েছেন ভালো লাগার কৃতিত্ব মুরাকামির। সে যাই হোক, এই অনুবাদক এর নতুন একটা অনুবাদ আসলো ২০১৮ সালের মানে এই বছরের বইমেলায়। অবসর প্রকাশনী থেকে হারুকি মুরাকামির মেন উইদাউট উইমেন। আশা করি একইরকম সহজ আর সাবলীল ভাষাতে অনুবাদিত। "যেই মানচিত্র সব কিছু বেশী বেশী দেখায় সেটা কখনও কখনও অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে".....!! নরওয়েজিয়ান উড একটি এডাল্ট রোমান্স ফিকশন ঘরানার বই। আমি কখনোই এই টাইপ বই পড়ে অভ্যস্ত নই। আর ভালোও লাগে না তেমন একটা। তবে এই বইটা পড়া শুধুমাত্র এই তুমুল জনপ্রিয়তার কারন জানার জন্য। এখন দেখা যায় বইটা নিয়ে দুভাগে বিভক্ত মানুষদের তর্কাতর্কি করতে। একপক্ষ মুরাকামি অসাধারণ লিখেছে আরেকপক্ষ শুধুমাত্র যৌনতার উপর ভিত্তি লেখা এই বই কিভাবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়..? আমি কোন পক্ষেই নই। একদিকে বইটা খানিকটা ভালো লাগলেও বিরক্ত লেগেছে কেননা আমি এই ঘরানার বই পড়া লোক না। তবে কয়েকটা কথা না বললেই নয়। নরওয়েজিয়ান উড কোন যৌনতার উপর ভিত্তি করে লেখা বই না। আপনার বিষণ্ণতা, একাকীত্ব আর নিঃসঙ্গতা আপনাকে বয়োঃসন্ধিকালীন সময়ে অবশ্যই যৌনতার ভিড়ে অতৃপ্ত সুখ খুঁজতে বাধ্য করবে। সময়টা তখন এমন যায় যে না বলা যায় না সহ্য করা যায়। জীবনকে গড়ে নেয়ার ঠিক সময়টাতেই এইসব ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে ঘটে থাকে। আর বিশেষ করে আমাদের এই যুগটা তথা এই প্রজন্মটাই এমন হতাশা আর বিষণ্ণতায় সময় পার করছে তাই বলছি মুরাকামির এই বইটি এই প্রজন্মের ব্যক্তিগত লুকায়িত মৌলিকতায় ভরপুর। যা আমরা কেবল অনুভব করে উত্তেজিত হয়ে কিংবা শান্ত হয়ে নিজেকে বুঝাতে পারি অথচ কাউকে বুঝাতে পারি না। ঠিক সেই ব্যাপারটিই খুব সুন্দরভাবে সহজ আর সাবলীলভাবে প্রেম, যৌনতা আর সম্পর্কের জটিলতায় ফুটিয়ে তুলেছেন হারুকি মুরাকামি। হয়তো এই জন্যই বইটা এত বেশী সমাদৃত আর জাপানে নাকি এমন কেউ নেই যে এই বইটি পড়েনি।
Was this review helpful to you?
or
একমাত্র ফ্রেন্ড কিজুকির আত্নহত্যা বদলে দিল তরু কে।১৭ বছরের কিজুকির আত্নহত্যার পিছনে কি কারন থাকতে পারে এটা কল্পনাও করতে পারছে না তরু। তবে এটা বুঝতে পারছে একমাত্র বন্ধুর প্রেমিকা নাওকো তার ওপর ভীষন রেগে আছে কেননা তরুই লাস্ট জীবিত দেখেছিলো কিজুকিকে। তরু তখন ভাবতেও পারেনি যে ফ্রেন্ড কে ছাড়া এক মুহুর্ত নিজেকে কল্পনা করতে পারেনা তাকে ছাড়াই বাকীটা জীবন কাটাতে হবে। যদি সত্যিই কিজুকিকে ছাড়াই কাটাতে হয় তাহলে তাকে ভূলে থাকাই ভালো ভেবে শত শত মাইল দুরে চলে আসে তরু। শুরু হলো নতুন হোস্টেলের জীবন। কিন্তু নতুন জীবন থেকে সরাতে পারলো না নাওকে কে। সব ভূলতে চেয়ে আরো গভীর সম্পর্ক তৈরী হচ্ছে দুজনার। এই সম্পর্ক হয়তো বিয়ে পর্যন্ত যেত যদি না তরুর জীবনে আসতো আরেক চরিত্র "রেইকো"। আমাকে যদি বলা হয় আমি কাকে বেস্ট অনুবাদক স্বর্নপদক দেবো। তাহলে আমি শুধু একটি নামই বলবো "কৌশিক জামান"। আমি অনুবাদ খুব একটা পছন্দ করিনা, অনেক বেশি অনুবাদ এজন্য পড়িনি কিন্তু তাই বলে একেবারেই যে পড়িনি তা না। বর্তমান সময়ের আলোচিত অনুবাদ গুলো পড়ার চেষ্টা করি। অনুবাদ পড়ার আগে ভালো অনুবাদ আর কাঠখোট্টা অনুবাদ কিভাবে বুঝবো সেটা নিয়ে চিন্তা করতাম। প্রথম প্রথম কাটখোট্টা অনুবাদ ভালোই লাগছিল কিন্তু তারপর যখন ভালো অনুবাদের খোজ পেলাম তখন পার্থক্য ধরতে পারলাম। কিন্তু আজ আমার মনে হচ্ছে কৌশিক ভায়ের চেয়ে ভালো অনুবাদ আমি আগে আর কখনো পড়িনি আবার এমনটাও হতে পারে ভবিষ্যতে আর কোনদিন পড়বো না। পড়তে গিয়ে নামগুলো উচ্চারণ করার সময় ছাড়া আমার একটিবারের জন্যও মনে হয়নি আমি অনুবাদ পড়ছি বরং মৌলিক ছাড়া কিছুই নয়। অনুবাদ কত ফাটাফাটি এটা জাস্ট বলে বোঝাতে পারবো না। শুধু এতটুকুই বলবো আপনারা পড়ে দেখেন তাহলেই আমার কথা কতটুকু সত্যি সেটা বুঝতে পারবেন। এবার কাহিনী প্লট বিষয়ে আসি।আমি সাধারণত রোমান্টিক ক্যাটাগরির বই পছন্দ করি না। কিন্তু এ ধরনের বই পেলে বলতে রাজি আছি রোমান্টিক আমার প্রিয় ক্যাটেগরি। পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই চোখের কোনায় পানি আসবে সেটা প্রথম পাতা গুলোই পড়ে ঠিক করে নিয়েছিলাম। যেটাকে বলে আয়োজন করে কান্না। বলা হয়েছে লেখক বিশ্বসেরা। কথা টা নিছক কোন কথা নয় সেটা বইটা পড়ে উপলব্ধি করলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম না এত সুন্দর করে বিষয়গুলো কিভাবে কেউ উপস্থাপন করতে পারে। একই সাথে দুঃখ, হাসি, আনন্দ, বেদনা। ভালো না লাগার মত কোন বিষয় আমি খুঁজেই পায়নি। মাঝে মাঝে লেখক ট্রুপার, নাগাসাওয়ার মত মজার কিছু চরিত্র নিয়ে এসেছেন। চরিত্র গুলোর বর্ননা এত নিখুন, স্পষ্ট আর ঝরঝরে যে কল্পনা করতে আমার কোন অসুবিধাই হয়নি। ট্রুাপার বিষয়ে কয়েকটা লাইন না বললেই নয়, "তরু যে হোস্টেলে থাকে তার রুম গুলোর সাথে ডাস্টবিনের কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু তরুর রুম একেবারেই ঝকঝকে পরিষ্কার। এর পিছনে অবশ্য তরুর কোন অবদান নাই সবটাই ট্রুপারের। কিছু মানুষ থাকেনা যাদের শুচিবাই আছে? ট্রুপার তাদের দলে। তরুর মাঝে মাঝে মনে হয় ট্রুপার মুখ থেকে একটা একটা দাত বের করে পরিষ্কার করে। অন্যদিকে নাগাসাওয়া খুব স্মার্ট একজন মানুষ। তরুর সাথে তার সম্পর্ক হওয়ার কোন কথাই ছিলনা কিন্তু সম্পর্ক হয়েছে আর এর পিছনে কারন নাগাসাওয়া একজন বইপোকা। তরু নিজেও বইপোকা প্রচুর বই পড়া। তবে নাগাসা সম্পর্কে আর যেসব তথ্য দেয়া আছে তা লিখতে চাই না। তবে তার মুখ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা লাইন আমার ভীষণ ভালো লেগেছে সেটা হল আমরা যখন সবাই শুধুমাত্র আলোচিত বইগুলো পড়ি তখন আমাদের চিন্তা ধারা গুলো প্রায়ই একই রকম হয় একারনে বইপোকাদের উচিত এমন বই পড়া যেগুলো লোকে সাধারণত পড়ে না। নতুন করে আর কি বলি, শুধু এতটুকুই বলবো রোমান্টিক উপন্যাস পড়ে হতাশ তো হবেন না উল্টে ফিদা হয়ে যাবেন। বিঃদ্রঃ ১ অনুবাদক বলেছেন অনুবাদ খারাপ হলে তার দোষ আর ভালো হলে লেখকের। বিষয়টা নিয়ে কনফিউজড। কৃতিত্ব অনুবাদককে দিয়ে মুনচায়। বিঃদ্রঃ ০২ বিদেশ মানেই খোলামেলা, ১৮ বছর বয়সেই তারা অবাধ যৌনতার সাথে পরিচয়। এমনকি এসব বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতেও লজ্জা বোধ করে না। কিন্তু আমরা যেহেতু বাঙালি এবং মুসলিম তাই আমাদের পড়তে লজ্জা হওয়াটা স্বাভাবিক।