User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অত্যাচারী পাক শাসকগোষ্ঠীর কবল থেকে বের করে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমেদ। গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলার এই কৃতিসন্তান। স্কুল জীবন থেকেই তিনি ছিলেন রাজনীতি সচেতন। শান্ত, সংযমী, মিতভাষী, দায়িত্বশীল ও স্নেহপরায়ন এক অনন্য গুণাবলী সম্পন্ন তাজউদ্দিন আহমেদ হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্রে। দেশ ও বঙ্গবন্ধু অন্তপ্রাণ তাজউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে এক অসামান্য গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন তাঁর কন্যা শারমিন আহমেদ ; বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ সম্বন্ধে জানতে এই গ্রন্থের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
Was this review helpful to you?
or
‘মুক্তির কান্ডারী তাজউদ্দিনঃ কন্যার অভিবাদন’ বইটি শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ এর কন্যা শারমিন আহমেদের লেখা একটি বই । শারমিন আহমদের জন্ম ঢাকা শহরে। ১৯৮৪ সাল থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী। তিনি ১৯৯০ সালে ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেলোশিপ ও উইমেন্স স্টাডিজ ল্কলারস অ্যাওয়ার্ডসহ উইমেন্স সন্টাডিজে মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি শিশু শিক্ষার ওপরেও মাসটার্স কোর্স সম্পন্ন করেন। বিশ্বের পেশাজীবী নারীদের অন্যতম বৃহত্তম মানব উন্নয়ন সংগঠন দ্য সোরপটিমিস্ট ইন্টারন্যাশনাল অব দ্য আমেরিকাস, ওয়াশিংটন ডিসি, “আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছা ও পারস্পরিক সমঝোতা রচনার ক্ষেত্রে ডিস্টিংশন” অ্যাওয়ার্ড প্ৰদান করে। তার লেখা এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রচ্ছদ করেছেন সৈয়দ এনায়েত হোসেন । তাজউদ্দীন আহমদ ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুর জেলার অন্তর্গত কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।আবুল হাশিম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর ১৯৪৩ সালে তাজউদ্দীন আহমদ মুসলিম লীগের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হন। ১৯৪৪ সালে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠিত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের (বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৪৮-এর ১১ এবং ১৩ মার্চ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ধর্মঘট-কর্মসূচী ও বৈঠক করেন৷ ২৪ মার্চ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারাসহ তিনি বৈঠক করেন৷ তিনি ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। একটি অসাধারন জীবন এর উদাহরণ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ এর জীবন । তিনি আমাদের দেশের জন্য যা করে গিয়েছেন , বাঙ্গালী জাতি তাকে সারাজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরন করবে । এই বইটি তাকে নিয়ে লেখা তার কন্যার তৃতীয় বই । বইটি পড়লে তার সম্পর্কে আমরা ভালোভাবে জানতে পারবো । অসাধারন এ মানুষটি কে নিয়ে লেখা অসাধারন এ বইটি সকলেরই ভালো লাগবে ।