User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
‘গুড্ডুবুড়ার হাসিসমগ্র’ বইটি বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের অন্যতম সুপরিচিত কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক এর লেখা একটি রম্য বই । আনিসুল হক এর জন্ম ১৯৬৫ সালের ৪ মার্চ । আনিসুল হকের জন্ম রংপুর বিভাগের নীলফামারীতে। তিনি একাধারে একজন বাংলাদেশী কবি, লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক এবং কিশোর আলোর সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সত্য ঘটনা নিয়ে তাঁর লেখা মা বইটি বেশ জনপ্রিয় । বাংলা ভাষার পাশাপাশি বইটি দিল্লী থেকে ইংরেজি ভাষায় এবং ভুবনেশ্বর থেকে উড়ে ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে । তিনি রংপুর জিলা স্কুল থেকে ১৯৮১ সালে এস.এস.সি. এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এইচ.এস.সি. পাস করেন। উভয় পরীক্ষাতেই রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের মেধাতালিকায় স্থান পান। এসএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় তিনি ৩য় এবং এইচএসসিতে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৮ম স্থান লাভ করেন। এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেন। তিনি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য লেখক ।তার লেখা এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় অনন্যা প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রকাশক মনিরুল হক । প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ । গুড্ডাবুড়া ছেলেটা কোনকিছুই খেতে চায়না, খেতে চায়না বলে সমস্ত সমস্যা তাকে নিয়েই। মাথায় বিন্দু পরিমাণ বুদ্ধি নাই। ফুটবল কে তরমুজ আর তরমুজ কে ফুটবল ভেবে যে কান্ড টা করলো তাতে না হেসে পারি? শুধু কি তাই? দয়া পরবশত হয়ে মাটির হাড়িতে রাখা জীবন্ত মাছের ঠান্ডা লাগবে বলে হাড়ি চুলায় চড়িতে গরম করার ঘটনাটা কি কম বোকামির পরিচয়? নাকি বলবেন চকলেট ভেবে রংপেনসিল খেয়ে বিভিন্ন রংয়ের প্রস্রাব করা বেশি বোকামি? গুড্ডুবুড়াকে নিয়ে লেখক এর লেখালেখির শেষ নেই , লেখকের লেখা গুড্ডূবুড়ার কয়েকটি হাসির গল্প নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে এই বইটি । অসাধারন কিছু হাসির গল্পের স্বাদ পেতে চাইলে পড়তে হবে অসাধারন এ বইটি ।
Was this review helpful to you?
or
গুড্ডাবুড়াকে চেনেন তো আপনি? ওই যে ,যে ছেলেটা কোনকিছুই খেতে চায়না, খেতে চায়না বলে সমস্ত সমস্যা তাকে নিয়েই। মাথায় বিন্দু পরিমাণ বুদ্ধি নাই। ফুটবল কে তরমুজ আর তরমুজ কে ফুটবল ভেবে যে কান্ড টা করলো তাতে না হেসে পারি? শুধু কি তাই? দয়া পরবশত হয়ে মাটির হাড়িতে রাখা জীবন্ত মাছের ঠান্ডা লাগবে বলে হাড়ি চুলায় চড়িতে গরম করার ঘটনাটা কি কম বোকামির পরিচয়? নাকি বলবেন চকলেট ভেবে রংপেনসিল খেয়ে বিভিন্ন রংয়ের প্রস্রাব করা বেশি বোকামি? গুড্ডার বোকামির কথা যেমন লেখক লিখে শেষ করতে পারেন নি তেমনি আমিও বোঝাতে পারবোনা সে কত বড় বোকা। তবে এই বোকামির পিছনে কারন গুড্ডা বুড়ার অরুচি। কিছুই খেতে চায়না। যারফলে দিন দিন পাটকাঠি হয়ে যাচ্ছে সে। ব্যপার টা নিয়ে তার মা বাবার দুঃশ্চিন্তার কোন শেষ নেই। তারা সবসময় চিন্তিত, গুড্ডাবুড়ার বর্তমান অবস্থা যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে ভবিষ্যতের গুড্ডা কেমন হবে ভেবেই শিওরে ওঠেন তারা। কিন্তু তারা তখনো জানতো না গুড্ডাবুড়াকে নিয়ে কি বিপদে পড়তে যাচ্ছেন তারা। কিডন্যাপারের কবলে পড়ে গুড্ডাবুড়া। গুড্ডাবুড়া নিয়ে যতগুলো ঘটনা লেখক লিখেছেন তার সবগুলোই এই বইয়ে স্থান পেয়েছে। অন্য ঘটনা গুলো কিশোর আলো সহ বই আকারে প্রকাশিত হয়েছিল যার কারনে বইয়ের অধিকাংশ গল্প আমার আগেই পড়া ছিল। আমি সহ যারা এই গুড্ডাবুড়ার গল্প গুলো পড়েছেন তাদের মনে একটাই প্রশ্ন সব গল্পের শুরুতে গুড্ডাবুডা বোকা থাকে কেন? এমনকি এই একই প্রশ্ন কিশোর আলোতেও এসেছিল। তবে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ লেখকের। ওনি কিভাবে লিখবেন সেটা ওনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আর আমাদের ভালো লাগবে কিনা সেটাও আমাদের ব্যাপার। সত্যি বলতে আমার ভালো লেগেছে।যদিও প্রত্যেক গল্পের মূল বক্তব্য একই। লেখক হয়তো বাবা হওয়ার পর এটাই আবিষ্কার করেছেন বাচ্চারা খেতে চায়না, আর না খেলে তারা বোকা হয়। এ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য খাওয়া ছাড়া অন্য কোন অপশন নাই। আর সেসব বিষয়গুলো তিনি গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আমার মতো আরো অসখ্য পাঠকের গল্প গুলো ভালো লেগেছে বিধায় লেখক অনুপ্রাণিত হয়ে সিরিজ বানিয়েছেন। যদিও বা এসব গল্পের পাঠক ছোট ছেলেমেয়ে। আমার মনে হয় যারা বাচ্চা সামলাতে পারেন না, তাদের জন্য বইটা খুবই উপযোগী সেইসাথে আমি আর একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি আনিসুল হকের নাম শুনলেই বলে তার বই ভালো না, মা বইটা ছাড়া সবকিছু বাজে। আমার মনে হয় যারা এ ধরনের কথা বলে তারা অধিকাংশই অন্যের মন্তব্য কপি করে বলে। যদি মন্তব্য করতেই হয় তাহলে আগে পড়ুন তারপর বিচার করুন। বইয়ের মান, বাধাই সবকিছু ভালো লেগেছে। আর একটা বিষয় আমি প্রায় বলি সেটা হল বানান। আর সবাই বানান বিষয় টা বেশ বড় করে দেখে, হয়তো এটা বড় করার মত বিষয় কিন্তু আমার কাছে বিষয়টা বাড়াবাড়ি। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ শব্দের মাঝে ১০০ টা শব্দ ভূল হওয়া কি স্বাভাবিক লাগে আমার কাছে। যদি কয়েক লাইনের মাঝে বানান ভূল হয় সেটা আলাদা কথা তাই মনে হয় বানান ভূল বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার আগে শব্দের দিকে তাকানো উচিত। আশাকরি বইটা ভালো লাগবে।