User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
"অনিন্দ প্রকাশ"প্রকাশনী হতে প্রকাশিত সাব্বির খান এর চমৎকার একটি বই। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অমর একুশে বই মেলায়।বইটির এক আলাদা ঐতিহ্য ও প্রেক্ষাপট রয়েছে।আর এটিই বইটিকে এত জনপ্রিয় করে তোলেছে। বইটিতে জননী জাহানারা ইমামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে লেখায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। যুদ্ধাপরাধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মৌলবাদ ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও বইটিতে নানা প্রয়োজনীয় কথা লিখা আছে।। এছাড়াও লেখক তার সর্বজনবিদিত অবস্থানকে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে তুলে ধরতে প্রয়াস পেয়েছেন এ বইয়েরই আরো কয়েকটি জায়গায়। বইয়ের প্রতিটি জায়গায় নিজের ধারণ করা আদর্শের পক্ষে অকাট্য যুক্তি তুলে ধরেছেন লেখক। ‘বিএনপিকে জামায়াতের অগ্রবর্তী প্রক্সি দল’ হিসেবে উল্লেখ করে যে বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধটি তিনি লিখেছেন,যার সদুত্তর বিএনপির পক্ষে দেয়া সম্ভব হবে না।বইটিতে হেফাজতে ইসলামীর ১৩ দফা অযৌক্তিক দাবির প্রসঙ্গ যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে বামপন্থীদের রাজনৈতিক দ্বিধাবিভক্তি ও সীমাবদ্ধতার অপ্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণও। সাব্বির খান এর এই বইটি লেখকদের প্রকৃত রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট। সাব্বির খান শুধু একজন সুলেখক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরই নন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় রাজনীতি, ইতিহাস, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে তার রয়েছে অনেক জ্ঞান।আর তার প্রতিচ্ছবি এই বইটিতে আমরা দেখতে পাই।এই বইটি পাঠক মনকে বিমোহিত করার মতো একটি বই যা হৃদয়স্পর্শী।
Was this review helpful to you?
or
বইটির লেখক সাব্বির খান শুধুমাত্র একজন সুলেখক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরই নন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, ইতিহাস, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ ইত্যাদি ইস্যু সম্পর্কে তার রয়েছে গভীর জ্ঞান। বইটিতে লেখক নিজেকে নিরপেক্ষতার যে বলয়ে আবদ্ধ রাখেননি, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির একজন হিসেবে নিজের অবস্থানকে বেশ খোলামেলা ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। বইয়ের প্রতিটি নিবন্ধে নিজের ধারণ করা আদর্শের পক্ষে অকাট্য যুক্তি তুলে ধরেছেন তিনি। ‘বিএনপিকে জামায়াতের অগ্রবর্তী প্রক্সি দল’ হিসেবে উল্লেখ করে যে বিশ্লেষণধর্মী নিবন্ধটি তিনি লিখেছেন, তার সদুত্তর বিএনপির পক্ষে দেয়া সম্ভব হবে না! এ বইতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে লেখায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে যুদ্ধাপরাধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মৌলবাদ ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিত। এছাড়াও তিনি তার সর্বজনবিদিত অবস্থানকে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে তুলে ধরতে প্রয়াস পেয়েছেন এ বইয়েরই আরো কয়েকটি নিবন্ধে। রাজনৈতিক অবস্থানকে অগ্রগণ্য না ধরে আদর্শিকভাবে ১৯৭২-এর সংবিধানের পক্ষে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ঘৃণ্য ও বর্বর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সুস্পষ্টভাবে অভিমত প্রকাশ করেছেন সাব্বির খান। বিভিন্ন প্রসঙ্গের যৌক্তিক দৃষ্টান্ত তুলে ধরে সমালোচনা ও সমালোচনা করেছেন যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের হোতাদের। প্রাঞ্জল ভাষায় যৌক্তিক তথা সত্যাশ্রয়ী তির্যক সমালোচনা থেকে দেশী ও বিদেশী আলোচিত-সমালোচিত বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে এমনকি বিশ্বখ্যাত নিউইয়র্ক টাইমসকেও নিস্তার দেননি তার লেখায়, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। বইটির একটি নিবন্ধে উগ্র ডানপন্থীদের দ্বারা মৌলবাদের উত্থান এবং হেফাজতে ইসলামীর ১৩ দফা অযৌক্তিক দাবির প্রসঙ্গ যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে বামপন্থীদের রাজনৈতিক দ্বিধাবিভক্তি ও সীমাবদ্ধতার চুলচেরা বিশ্লেষণও। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে লিখতে গিয়ে তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘ভোট ব্যাংক’ হিসেবে বিবেচনা না করে এদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করাতে এবং তাদের নিয়ে অপরাজনীতির বন্ধের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।