User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
বই আলোচনা-যৌবন মানুষের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।এই যৌবন বয়সেই জীবনকে যতটা পারা যায় উপভোগ করে নেয়া যায়।আর এজন্যই মানুষের আকাঙ্খা থাকে চিরযৌবন পাবার।কোন উপায়ে চিরযৌবন পাওয়া যায় সেই পথই খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা।আর এমনই একটি তরল আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী নটরাজ।আর এই বইয়ের মূলবিষয়বস্তুই হচ্ছে এই তরল।বিজ্ঞানী নটরাজ যখন এই তরল আবিষ্কার করেন তখন দেখা দেয় তার জীবন সংশয় এবং তার কিছুদিন পরেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আর বৃক্ষের উপর আন্তরিক মায়া ও ভালোবাসা থেকেই বৃক্ষ নিয়ে গবেষণা করেন তুহিন।যিনি একজন গাছ গবেষক।তুহিন তার বন্ধুর বাবার কাছ থেকেই বিজ্ঞানী নটরাজের কথা জানতে পারেন এবং কিছু ফর্মুলা তার কাছ থেকে পান।তাই তুহিন নটরাজের দেখা পাবার আশায় এবং নটরাজের গবেষণা সম্পর্কে জানার জন্য পৌঁছে যান স্বন্দীপে।স্বন্দীপে যাত্রার সময় পরিচয় ঘটে কয়েকজন মানুষের সাথে।তারমধ্যে রয়েছেন একজন জনপ্রিয় লেখক,তার মেয়ে মিলি(যাকে পরবর্তিতে তুহিন গবেষণায় সহযাত্রি হিসেবে পেয়েছেন),এবং হঠাৎ করে পরিচিত হন বকবকম্যান।তবে বকবকম্যানের প্রকৃত নাম এবিসিডি খান।বেশি কথা বলার জন্য মিলি তাকে এই নাম দিয়েছেন। স্বন্দীপে পৌঁছে তুহিন,মিলি এবং তুহিনের বন্ধু মিলে নটরাজের বাড়ি খুঁজে পান।যেটা এখন ভূতের বাড়ি নামে পরিচিত।এই বাড়িতে প্রবেশ পথে দেখা যায় মৃত মানুষের হাত মাটি ফেটে বাহিরে বের হয়ে আছে এবং বাড়ির ভেতর থেকে ভয়ংকর রকমের শব্দ শোনা যায়।তারা আর সাহস করতে পারে নাহ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করার এবং ফিরে আসে।আর ফিরে এসে তুহিনের কাছে থাকা ফর্মুলার গাছগাছালির খোঁজ করতে থাকে।আর এসব খুঁজতে গিয়ে এক দোকানদার ফর্মুলা দেখে বলে এখানে কিছু ভুল আছে।তবে কী ভুল আছে সেটা তিনি বলতে পারবেন নাহ।তখন মিলি ও তুহিনের বুঝতে বাকি থাকে নাহ ইনিই বিজ্ঞানী নটরাজ।আর তখন নটরাজ স্বীকার করেন তার আত্নগোপনের কথা।পরে তিনিই তুহিনের সব গাছের যোগাড় করে দেন।তবে নটরাজ বলে দেন এই ফর্মুলায় ভুল আছে,খুবই সাবধানে বিপদ ঘটতে পারে।তুহিন বাসায় এসে সব গাছগাছালি দিয়ে ফর্মুলা তৈরি করে এবং পরীক্ষার জন্য নিজেই একটু খেয়ে নেয়।আর তখন থেকেই তার শরীর খারাপ হতে শুরু করে ও কয়েকদিনের মধ্যেই তার পুরো শরীরে বাকল জন্মাতে থাকে।আর নটরাজের কাছে এর কোন ঔষধ নাহ থাকায় তুহিন মারা যায়। আর মিলির বিয়ে হয় এবিসিডি সাহেবের ছেলের সাথে। ____________________________ সমালোচনা: *লেখকের মেয়ে একজন মানুষের সাথে একদিনের পরিচয়ে তার সাথে রাত-দিন থাকছে এতে তার কোন নজর নেই।একজন বাবা হিসেবে নিজের মেয়ের প্রতি উদাসীনতা একটু বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। *গল্পের শেষে মিলির মেয়ে অদ্রির শরীরে বইছে তরু-নৃর রক্ত।মানে বৃক্ষপ্রেমিক তুহিনের।তবে বইয়ের কাহিনীতে এমন কোন ঘটনার আবাস দেয়া হয়নি। পরিশেষে বইটি উপভোগ করেছি।আশা করছি একজন পাঠক রহস্য নিয়ে বইটি শেষ করবেন। হ্যাপি রিডিং।
Was this review helpful to you?
or
I am very stupid guy. After reading this book I am more stupid.
Was this review helpful to you?
or
বেশ ভিন্ন ধাচের ফিকশন এটি। এতে রয়েছে যেমন রোমাঞ্চকর ঘটনা তেমনই রয়েছে উত্তেজনা ও রহস্য,যা পাঠকের মনে কৌতূহল সৃষ্টি করবেই। একবার পড়া শুরু করলে লেখকের অসাধারন লেখনীর জালে আটকে পড়তে বাধ্য আপনি। শেষ না করে উঠতে পারবেন না।আর গল্পের সাসপেন্স ধরে রাখার ক্ষেত্রে লেখক সত্যিই কুশলী একজন। "মানুষের রহস্যময় মন আর গাছের রহস্যময় ভুবন নিয়ে পৃথিবীর বুকে বেড়ে উঠবে অদ্রি।" লাইনটি দিয়ে লেখক কিন্তু গল্পের শেষ করেননি।নতুন আরেক অধ্যায়ের নতুন রহস্যের সূচনা করেছেন। সকলের প্রতি অনুরোধ রইল রইল বইটি সংগ্রহ করার।
Was this review helpful to you?
or
সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে মোড়ানো মিষ্টি এক প্রেমের কাহিনী এবং চিরতারুণ্য ঔষধ 'মহাতরল" তৈরি করার জন্য এক তরুণ বিজ্ঞানীর অভিযান নিয়ে রচিত হয়েছে আসিফ মেহেদী উপন্যাস "তরু-নৃ"।অসাধারণ কাহিনির আলোকে রচিত হয়েছে উপন্যাসের প্লট, কিছুটা ব্যতিক্রমী গল্পের আয়োজনের মাধ্যমে সৃষ্ট এই উপন্যাস পড়ে লেখকের বাকি উপন্যাস পড়ার জন্য এক অদম্য আগ্রহ জন্মেছে। উপন্যাসের মূল নায়ক তুহিন একজন তরুণ বিজ্ঞানী। গাছ নিয়ে গবেষণা করা তরুণ এই বিজ্ঞানী আরেক বৃক্ষবিজ্ঞানী নটরাজের উদ্ভাবিত চিরতারুণ্যর ঔষধ " মহাতরল" ঔষধের সন্ধানে সন্ধীপ যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তুহিনের সাথে পরিচয় হয় লেখক রায়হান চৌধুরী আর তাঁর মেয়ে মিলির সাথে। এভাবেই গল্পের গতিতে গল্প ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যায়। প্রেম হয় মিলি আর তুহিনের।এভাবেই সন্ধীপে গিয়ে বিজ্ঞানী নটরাজের ল্যাবরেটরির সন্ধান করতে গিয়ে একে একে ঘটতে থাকে আধিভৌতিক ও রোমাঞ্চকর ঘটনা যা পাঠক হৃদয়ে সৃষ্টি করে নিরবিচ্ছিন্ন কৌতুহল। সন্ধীপে গিয়ে তুহিন একসময় বৃক্ষবিজ্ঞানী নটরাজের সন্ধান পায় এবং তার পর থেকেই ঘটতে থাকে অকল্পনীয় ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা যা একসময় তরুণ বিজ্ঞানী তুহিনের জীবনে নিয়ে আসে এক ব্যতিক্রমী পরিবর্তন, যা পাঠক উপন্যাস পড়া শেষেই বুঝতে পারবেন। "তরু-নৃ" উপন্যাসটি ছোট হলেও কাহিনির দিক দিয়ে এটি বেশ সুন্দর একটি বার্তা দিয়ে গেছে। লেখকের এই উপন্যাসে হুমায়ূন সাহিত্যের স্বাদ পেয়েছি অনেকটা;যেটা উপন্যাস শেষ করার আগ পর্যন্ত মনোযোগ ধরে রাখতে যথার্থ ভূমিকা রেখেছে। ব্যতিক্রমী ভালবাসার রোমাঞ্চকর কাহিনী দিয়ে লেখক গল্পের ইতি টেনেছেন যা ছিল আসলেই অনন্যসাধারণ। চেনা গল্পের আড়ালে পেয়েছি অচেনা এক ভালবাসার উৎস। মানুষের রহস্যময় মন আর গাছের রহস্যময় ভুবন নিয়ে রচিত এই উপন্যাস নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার দাবীদার। লেখকের হাতের যাদুকরী স্পর্শে এই উপন্যাস হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত। তরু-নৃ উপন্যাসের প্রচ্ছদটি বেশ আকর্ষণীয় যা আমার মতো সাধারণ পাঠকের কাছে বেশ দৃষ্টিনন্দন মনে হয়েছে। সবশেষে লেখকের কাছে অনুরোধ থাকবে পাঠককে আরও সুন্দর উপন্যাস উপহার দেওয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
'রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ' কী সেই মহাতরল! যা খেলে আজীবন ধরে রাখা যায় তারুণ্য, যার জনক হলেন বিজ্ঞানী নটরাজ। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো আবিষ্কারের পর থেকেই তিনি নিখোঁজ । আদৌ বেঁচে আছেন কিনা কিংবা কোথায় আছেন কেউ তা জানেন না। তার সেই বিস্ময়কর আবিষ্কার মহাতরলই বা কোথায়? প্রতিক্রিয়াঃ বিজ্ঞানী নটরাজের সন্ধানে বের হতে গিয়ে পরিচয় হয় বিখ্যাত লেখক রায়হান চৌধুরীর সাথে, তার মেয়ে মিলি এবং পরবর্তীতে বিজ্ঞানী তুহিনের সাথে। আর সেই সাথেই অনেকগুলো প্রশ্নের সমাধানেই এই থ্রিলারের আসল মজা। কখনো ভয়, কখনো শঙ্কা আর রহস্যের বেড়াজালে এই বইটিকে শুধু সায়েন্স ফিকশন বলা যায় না। সায়েন্স আর থ্রিলারের অসাধারণ সমন্বয়। কিন্তু রহস্য যেভাবে জট পাকিয়েছে এর সমাধান ছিল ততটাই সরল। সেক্ষেত্রে আরেকটু শক্ত ও যুতসই এভিডেন্স প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া পুরো গল্পটি জুড়েই ছিল টানটান উত্তেজনা।
Was this review helpful to you?
or
সব এক! মানুষ আর গাছ এক! মানুষ আর গাছ! সব এক! সত্যিই কি মানুষ আর গাছ এক!! হারিয়ে যাওয়া এক বিজ্ঞানী তার ডকুমেন্টারিতে তেরোটি উদ্ভিদের কথা বলে গেছেন যেগুলো দিয়ে তৈরী করা যাবে চির তারুণ্যের এক "মহাতরল" । বিজ্ঞানী আর উদ্ভিদের খোঁজে সন্দীপে এসেছে তুহিন। পথে পরিচয় হয়েছে মিলির সাথে। বন্ধু তাজোয়ার,মিলি আর তুহিন তিনজন মিলে নেমে পড়লো মহাতরলের খোঁজে। দ্বীপের মাঝেই আছে ভুতুড়ে এক বাড়ি,যেখানে পারতপক্ষে কেও যায় না । অদ্ভুত সব আওয়াজ আর রক্তহিম করা পরিবেশ । তিনজন মিলে উপস্থিত হলো সেই বাড়ির সামনে। তার পর. ? রহস্যময় এক ভেষজ ডাক্তারের সাথে পরিচয় হলো ওদের,যার বউয়ের মাঝে রয়েছে অস্বাভাবিকতা। তার বারণ সত্বেও ভুল মহাতরল বানিয়ে পান করলো তুহিন। যার ফলাফল হলো ভয়ঙ্কর কিছু। তারপর..... #পাঠ_প্রতিক্রিয়া : বইটির নাম তরু-নৃ । অদ্ভুত একটা নাম কিন্তু অর্থটা একদম সোজা। তরু অর্থ গাছ আর নৃ অর্থ মানব। পুরোটা অর্থ করলে দাড়ায় বৃক্ষমানব। বইটির মূল প্লট রচিত হয়েছে বৃক্ষ আর মানবের যোগ সূত্র নিয়ে। পুরো বইটিতে লেখক গাছ আর মানুষের মাঝে যোগসূত্র দেখিয়েছেন। সেই সাথে যোগ করেছেন রহস্য এবং কিছুটা ভৌতিক আবহ। যদিও বইটি সাইন্স ফিকশন,তবুও পুরো বইটি জুড়ে পেয়েছি রহস্যের গন্ধ। একটু পর পরই মনে হয়েছে,এর পরে কি হবে! সম্পূর্ণ দেশি প্লটে চমৎকার একটি বই। এক বসাতেই শেষ করে ফেলার মতো। বই : তরু-নৃ লেখক : আসিফ মেহ্দী প্রকাশনী: অনিন্দ্য প্রকাশ মূল্য : ১৫০ পৃষ্ঠা : ৭৯ রেটিং: 4/5
Was this review helpful to you?
or
বইঃ- তরু-নৃ লেখকঃআসিফ মেহেদী ধরণ-সায়েন্স ফিকশন প্রকাশণীঃ-অনিন্দ্য প্রকাশ পৃষ্ঠাঃ-৭৯ প্রচ্ছদঃআহসান হাবীব বৃক্ষ কে না ভালোবাসে?কিন্তু সেই গাছ কেটে ফেলার দায়ে যেমন দেখা যায় জেল হয়, তেমনি গাছকে ভালোবেসে কেউ নিজেকে উৎসর্গও করে।তরু-নৃ গল্পের নায়ক তুহিন গাছপ্রেমী। মিলি ও তুহিন কেন্দ্রীয় চরিত্র। তরুণ বিজ্ঞানী তুহিন তার বাবার বন্ধুর মাধ্যমে একটি ডকুমেন্ট পায়,যাতে মহাআবিষ্কার "মহাতরল" তাকে কৌতুহলী করে তুলে। যার আবিষ্কারক বিজ্ঞানী নটরাজ,যিনি গাছ ভালোবাসেতন। এত চমকপ্রদ জিনিস "মহাতরল" যার ফলে চিরযৌবন ধরে রাখা সম্ভব সেই ফর্মুলা আবিষ্কার করেই বিজ্ঞানী নিখোঁজ হন,কেউ জানে না তিনি এবং তার স্ত্রী কোথায়! বিষয়টা তুহিনের মনে খটকা দেয়,তখন এই বিজ্ঞানীকে খুঁজতেই সন্দ্বীপ ছুটে যায় তুহিন কারণ গবেষণাকালে এখানেই ছিলেন তিনি। সন্দ্বীপে ঘুরতে যাওয়ার পথে পরিচয় হয় খামখেয়ালি লেখক রায়হান চৌধুরী ও তার মেয়ে মিলির সাথে। মিলি দ্রুত মিশে যায় তুহিনের সাথে,তাদের বন্ধুত্ব একটা সময় ভালোবাসায় রূপ নেয়। এদিকে সন্দ্বীপ পৌঁছে গবেষণা নিজের উপর চালিয়ে তুহিন হয়ে উঠে বৃক্ষমানব! কিভাবে? কি এমন ঘটে সেখানে?অন্যদিকে বিজ্ঞানীকে খুঁজতে গিয়ে কি পাওয়া হলো?তুহিনের কি হলো?মিলির পরিণতি কি ছিলো? গল্পের প্লট বেশ ভালো। সাধারণত বৃক্ষ নিয়ে লিখা দেখা যায় না,সেদিক থেকে প্লট নির্বাচন প্রশংশনীয়। গল্পের কিছু অংশে এসে হালকা নমনীয়তা চোখে পরে, মিলির গায়ে পরে তুহিনের সাথে মিলামিশা অদ্ভুত,বেখেয়ালি বাবার মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত হতে দেখা যায় না,হঠাৎ মিডিয়ার লোকেদের খবর শোনে চিন্তিত হওয়ার বিষয়টা এভাবে না দাঁড় করালে লেখনিটা জোরালো হতো। লেখকের বইগুলো পড়ে বুঝেছি তিনি নামের ক্ষেত্রে বেশ অন্যরকম নাম বেছে নেন। তরু-নৃ তেমনি একটি গা ছমছমে রহস্যে ঘেরা সামঞ্জস্যপূর্ণ নাম।সবমিলিয়ে ভালো একটি সায়েন্স ফিকশান উপহার দিয়েছেন লেখক।
Was this review helpful to you?
or
★রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ বই: তরু-নৃ; লেখক: আসিফ মেহ্দী; ধরন: সায়েন্স ফিকশন। যুগে যুগে জগতে গীত হয়েছে তারুণ্যের জয়গান। তারুণ্য কে না ধরে রাখতে চায়? যদি এমন কোনো ঔষধ আবিষ্কৃত হতো যা খেলে বা পান করলে চিরতারুণ্য বজায় থাকবে,তাহলে কি ভালোই না হতো,তাই না? গভীর রাতে প্রচন্ড গতিতে ছুটে চলেছে বাস। আর ঐ বাসের যাত্রীদের মধ্যে আছে তুহিন। তরুন বিজ্ঞানী,গাছ নিয়ে গবেষণা করে। এখন যাচ্ছে সন্দ্বীপ। উদ্দেশ্য বৃক্ষবিজ্ঞানী নটরাজকে খুঁজে বের করা। এই বিজ্ঞানী নটরাজ ই হলো চিরতারুণ্যের মহৌষধ "মহাতরল" এর আবিষ্কারক। কিন্তু অদ্ভূতভাবে এই "মহাতরল" আবিষ্কারের পর ই গুম হয়ে যান তিনি। তাই তার খোঁজেই সন্দ্বীপ যাচ্ছে তুহিন। কারণ সন্দ্বীপে ই ছিলো নটরাজের ল্যাবরেটরি। সন্দ্বীপে পৌঁছানোর পর তুহিন জানতে পারে বিজ্ঞানী নটরাজের ল্যাবরেটরি ঐ এলাকায় ভূতের বাড়ি বলে ই পরিচিত। কথাটা শুনে তুহিনের যেন পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়,হাত পা গুলো যেন অসার হয়ে পড়ে। প্রচন্ড ভয় নিয়ে সে ফিরে আসে। কিন্তু কিসের ভয় সেখানে? তুহিন কি পারবে সেই রহস্যন্মোচন করতে? পারবে বিজ্ঞানী নটরাজ কে খুঁজে বের করতে? কোথায় আছে সে এখন? প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে আজই সংগ্রহ করুন আর পড়ে ফেলুন মেহ্দী ভাইয়ের অসাধারণ এই বইটি। আর হ্যাঁ,বই পড়ে কেমন লাগলো তা লিখে জানাতে ভূলবেন না কিন্তু।
Was this review helpful to you?
or
দুই দিকে অপ যার = দ্বীপ। সন্ধিবিচ্ছেদের সন্দ্বীপের লক্ষ্যে বাসে চেপেছেন লেখক রায়হান চৌধুরী এবং তার মা-মরা কন্যা মিলি। তাদের পাশেই বসেছে নোটপত্রে মুখ গুঁজে জগৎ-সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া তরুণ তুহিন। সপ্রতিভ বুদ্ধিমান তরুণের সাথে পরিচিত হয় মিলি। নেশায় বিজ্ঞানী তুহিন ছুটেছে মহাতরলের সন্ধানে। নটরাজ- না ইনি শিবের মত নৃত্যে পারদর্শী নন। প্রতিভাধর এই বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন এমন ওষুধ যা মানুষকে আমৃত্যু মুক্তি দেবে জরা থেকে। আবিষ্কারের কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সস্ত্রীক গুম হয়ে যান। মহাতরল পুনরাবিষ্কারের লক্ষ্যেই সন্দ্বীপ পানে ছুটেছে তুহিন। পথে তাদের পরিচয় হয় বাচাল প্রকৃতির এবিসিডি খানের সঙ্গে। দ্বীপে পৌছে তারা সন্ধান পায় নটরাজের পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়ির। অশরীরি সব কর্মকান্ডে ভর্তি বাড়িটিতে সুবিধা করতে না পারলেও তারা সন্ধান পায় একটি ভেষজ ঔষধালয়ের। সেখানে সন্দেহজনক বৃদ্ধ ভেষজ ডাক্তার এবং তার মাথাখারাপ স্ত্রীর দেখা পায় তারা; সঙ্গে মহাতরল বানাবার সব উপকরণ। ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তুহিন সফল হয় মহাতরল প্রস্তুতিতে। নেমে আসে অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। তরু শব্দটির অর্থ গাছ এবং নৃ অর্থ মানুষ। নাম থেকে কি কিছু আঁচ করা যায়? সম্পূর্ণ বইয়ে লেখকের রহস্যপ্রিয়তা দেখা গিয়েছে। স্থান ও চরিত্রের বর্ণনায় লেখক মনোযোগী ছিলেন। কিছু ব্যাপার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। লেখাতে যত মগ্নই থাকুন না কেন কোন বাবা তার মেয়েকে রাস্তায় পরিচিত এক তরুণের সাথে দু তিন রাত থাকাকে সহজভাবে নেবেন আমার জানা নেই। কিছু জায়গায় মিলি ও তুহিনের আলাপচারিতাকে গ্রাস করেছে কৃত্রিমতা। তাদের কেমিস্ট্রিটা একেবারেই জমে নি। সারাদিন বিজ্ঞানের কথা নিয়ে মেতে থাকা তুহিন যে কিনা সামান্য রোমান্টিকতার ধার ধারে নি তার এবং মিলির ব্যাপারে লেখক শেষে যে তথ্য দিয়েছেন তা একেবারেই বেমানান। বর্ণনা সবমিলিয়ে ঝরঝরে ছিলো। স্বল্প কলেবরের মেদবিহীন লেখা। লেখক বলেছেন ইনফোটেইনমেন্টের জন্য তিনি লেখেন। একইসঙ্গে ইনফরমেশন এবং এন্টারটেইনমেন্ট দেয়াই তার উদ্দেশ্য। ইনফোটেইনমেন্টের জগতে তার প্রতি শুভকামনা রইলো।
Was this review helpful to you?
or
"রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ" বইঃ তরু-নৃ ধরনঃ সায়েন্স ফিকশন লেখকঃ আসিফ মেহদী পৃষ্ঠাঃ ৭৯ প্রকাশকঃ অনিন্দ্য প্রকাশনী প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ চির তারুণ্যের মহৌষধ "মহাতরল" আবিষ্কারের পর পরই গুম হয় যান বিখ্যাত বৃক্ষবিজ্ঞানী নটরাজ। বিভিন্ন ভেষজ গাছের সমন্বয়ে তিনি এক বিস্ময়কর দ্রবণ "মহাতরল" তৈরি করেন যা খেলে বার্ধক্য কোন মানুষকে স্পর্শ করতে পারবে না। ডকুমেন্ট ঘাটাঘাটি করে জানা যায় সন্দ্বীপে ল্যাবরোটরি ছিলো বিজ্ঞানীর। শেষ জীবনে তিনি সেখানেই থাকতেন। গাছপালা নিয়েই ছিলো তার গবেষণা। প্রায় এক যুগ পরে সেই গুম হয়ে যাওয়া বিজ্ঞানীর খোঁজে সন্দ্বীপ যাচ্ছে তরুণ বিজ্ঞানী তুহিন। বন্ধুর বাবার কাছ থেকে পেয়েছে সেই "মহাতরল"এর ডকুমেন্টসহ প্রস্তুত প্রণালী। কনকনে শীতে সন্দ্বীপ যাওয়ার পথে বাসে তার সাথে পরিচয় হয় বিখ্যাত লেখক রায়হান চৌধুরি ও তার মেয়ে মিলির সাথে। শীতকালীন ছুটি কাটাতে তারা সন্দ্বীপে যাচ্ছে । সন্দ্বীপে পৌছে তুহিন তার মিশন শুরু করে। মিশনে তার সহযোগী মিলি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ল্যাবরেটরির খোঁজ মিললেও সেটা ভূতের বাড়ি বলেই এলাকায় পরিচিত । একরাতে চুপিচুপি তুহিন, তুহিনের বন্ধু ও মিলি সেই ভুতের বাড়িতে গেলো । কিন্তু তিনজনই প্রচন্ড ভয় পেয়ে সেখান থেকে ফিরে এলো । কিন্তু কেন, সেখানে কিসের ভয় ? তুহিন কি পারবে নটরাজের আবিষ্কৃত ফর্মুলা দিয়ে "মহাতরল" তৈরি করতে ?? সে কি পারবে বিজ্ঞানী নটরাজের গুম হওয়ার রহস্য উদঘাটন করতে ?? উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর চমৎকারভাবে বর্ননা করা হয়েছে বইটিতে । সুতরাং এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে পড়ে ফেলুন চমৎকার বইটি । পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ- লেখক Asif Mehdi ভাইয়ের বইগুলো বরাবরই ভালো লাগে, ভালো লাগে তার ব্যক্তিসত্ত্বাকেও । "তরু-নৃ" মূলত সাইন্স ফিকশন ক্যাটাগরির হলেও বইটি থ্রিলিং রোমান্সে ভরপুর । বইটির প্রতিটি প্লটেই ভয়, রহস্য আর রোমান্সের টান টান উত্তেজনা বিরাজমান । ♥️??
Was this review helpful to you?
or
"রকমারি ন্যানো রিভিউ প্রতিযোগ" একটা ঔষুধ খেলে মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারুণ্য ধরে রাখতে পারবে। কোন চটকদার বিজ্ঞাপন নয়; সত্য কথা। বৃক্ষ বিজ্ঞানী নটরাজ সেই চিরতারুণ্যের ঔষুধ “মহাতরল”-এর প্রস্তুতপ্রণালী উদ্ভাবন করেন। কিন্তু এরপরই নটরাজ গুম হয়ে যান। তবে কি মানুষ পাবে না সেই ঔষুধ? তরুণ বিজ্ঞানী তুহিন কাগজপত্র ঘেঁটে জানতে পারে নটরাজের ল্যাবরেটরি ছিলো সন্দ্বীপের কালাপানিয়া নামক এক জায়গায়। তাই তুহিন সন্দ্বীপ যায় বিজ্ঞানী নটরাজের খুঁজে। যাত্রাপথে সঙ্গী হিসেবে পায় লেখক রায়হান চৌধুরী ও মিলিকে। সন্দ্বীপ পৌঁছলে যোগ দেয় সেখানকার বন্ধু তাজোয়ার। শুরু হয় অভিযান। একসময় তারা খুঁজে পায় নটরাজের ল্যাবরেটরি। কিন্তু ততদিনে তা ভূতের বাড়ি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। একরাতে তিনজন চুপিচুপি সেই বাড়িতে যায়। কিন্তু ফিরে আসে প্রচন্ড ভয় নিয়ে। সেখানে ঘটে যায় কিছু অপ্রত্যাশিত ও আধিভৌতিক ঘটনা। তারা শুনতে পায় চাপা গোঙানি; দেখতে পায় মরা মানুষের হাত। বইটি মূলত সাইন্স ফিকশন হলেও গতানুগতিক সাইন্স ফিকশন থেকে একেবারেই আলাদা। চমৎকার একটা কাহিনী থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চারের সংমিশ্রণে ফুটে উঠেছে। আছে হালকা রোমাঞ্চের আবেশ। সুন্দর শব্দচয়ন, অনবদ্য লেখনী লেখাকে উপভোগ্য করে তুলেছে। লেখকের সেন্স অব হিউমার, কমিক রিলিফ অসাধারণ। পড়তে গিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করবেন সেই দুর্দান্ত অভিযানের একজন হিসেবে। কাহিনীবিন্যাস এতটাই সাজানো গোছানো যে পাঠককে বুঁদ করে রাখবে। সাবলীল লিখনশৈলী, টানটান উত্তেজনা, রহস্যঘেরা প্লট, দারুণ সাসপেন্স। পড়ে শেষ করার পরও মোহ থেকে যাবে বহুক্ষণ।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ তরু-নৃ লেখকঃ আসিফ মেহদী প্রকাশনঃ অনিন্দ্য প্রকাশ প্রচ্ছদঃ আহসান হাবীব মুদ্রণ মূল্যঃ ১৫০ পৃষ্ঠাঃ ৭৯ এমন এক মহাতরল যা খেলে তারুণ্য ধরে রাখা যায় সারাজীবন। কিন্ত এই মহাতরল আবিষ্কারের পর পরই গুম হয়ে যান বিখ্যাত বৃক্ষ বিজ্ঞানী নটরাজ। নটরাজ কোথায় আছে, কেমন আছে কেউ জানে না। কেউ জানে না তার সেই বিখ্যাত আবিষ্কার মহাতরল কোথায় আছে! একসময়ের বিখ্যাত লেখক রায়হান চৌধুরী ছুটি কাটাতে সন্দীপ যাচ্ছেন তার মেয়ে মিলিকে নিয়ে। বাসে করে যাওয়ার সময় তাদের সাথে পরিচয় হয় তরুন বিজ্ঞানী তুহিনের সাথে। তুহিন কথায় কথায় জানায় সেও সন্দীপ যাচ্ছে তবে সে অন্য কারনে। বৃক্ষ বিজ্ঞানী নটরাজের খোঁজে! এক যুগ আগে গুম হয়ে যাওয়া সেই নটরাজের রহস্য উদঘাটনই তার উদ্দেশ্য। কাজের সঙ্গী হয় তার বন্ধু তজোয়ার ও লেখক রায়হান চৌধুরীর মেয়ে মিলি। তারা সবাই মিলে খুজে বের করলো নটরাজের ল্যাবরেটরি। কিন্তু চাঁদের আলোতে রহস্যময় এই বাড়িটা দেখে তারা ভয় পেয়েগেলো। আর্তনাদের শব্দ, মৃত মানুষের হাত তাদের আরো ভয় পায়িয়ে দিলো।এই মৃত হাতগুলোর রহস্য আসলে কি? আর এই আর্তনাদের শব্দটাও বা কিসের? এই গহীন বনে কি আছে? এই জায়গাটা সবার কাছে ভুতুড়ে বাড়ি হিসেবে পরিচিত কেনো? আর নটরাজেই বা কোথায়?আর তার তৈরী মহাতরলই বা কোথায়? কি হলো এগুলোর। আর তুহিনই বা কি নটরাজের রহস্য ভেদ করতে পেরেছিল? মিলিরই বা কি হয়েছিল? তরু-নৃ বইটিকে শুধু সাইন্স ফিকশন বই বলা যাবে না। সাইন্স ফিকশন আর থ্রিলারের মিশ্রণে অসাধারন একটা বই লিখেছেন লেখক। এই বইটা যেমন আপনাকে সাইন্স ফিকশনের স্বাদ দিবে তেমনই থ্রিলারের স্বাদও দিবে। রহস্যময় গল্পের প্লট টাও অসাধারণ। খুব সুন্দর একটা কাহিনী। যারা পড়েননি তারা পড়ে ফেলতে পারুন নিরাশ হবেন না।
Was this review helpful to you?
or
"অনিন্দ্য প্রকাশ প্রকাশনী" হতে প্রকাশিত "তরু-নৃ" বইটি একটি সায়েন্স ফিকশন বই।আর এটি লিখেছেন আসিফ মেহেদি। আসিফ মেহেদী হলেন একজন জনপ্রিয় লেখক।দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে রম্যলেখক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন আগেই।আর ঠিক সেই সূত্রেই প্রথম বইটাও রম্যগল্পের। ‘বেতাল রম্য’ নামের সেই বইয়েই আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এরপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বই শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেনি, উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়।আর তিনি ক্রমে ক্রমে জনপ্রিয়তা লাভ করছে।আর এমন উদয়ীমান লেখকের লিখা এই "তরু-নৃ" বইটি। বই পরিচিতি হতে পাই- চিরতারুণ্যের ঔষধ ‘মহাতরল’-এর প্রস্তুতপ্রণালি উদ্ভাবনের পর বৃক্ষবিজ্ঞানী নটরাজ গুম হয়ে যান! ‘মহাতরল’ তৈরি করার জন্য এবং বৃক্ষবিজ্ঞানীর খোঁজে অভিযান শুরু করে এক তরুণ বিজ্ঞানী। ঘটতে থাকে একের পর এক আধিভৌতিক, অকল্পনীয়, অপ্রত্যাশিত ও রোমাঞ্চকর ঘটনা! এসব কাহিনির ঘটনাস্থল এদেশেরই একটি দ্বীপ-সন্দ্বীপ! এইসব বর্ণনা করেই এই বইটি লিখা।।।বইটির কাহিনীতে রয়েছে চমৎকার মহিমা।তাছাড়া এইউপন্যাসটিতে যেমন আছে রম্য ও রোমান্স, তেমনি আছে ভয়-গুম-খুনসহ ভিন্ন ধাঁচের অ্যাডভেঞ্চার! বর্ণিত হয়েছে নানা ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক ও বৈজ্ঞানিক সত্য! এছাড়াও ‘তরু-নৃ’তে পাঠক পাবেন এই বিস্ময়কর মহাবিশ্ব ও বিচিত্র সৃষ্টিজগৎ নিয়ে নতুনভাবে ভাবনার খোরাক! জীবনঘনিষ্ঠ, বিজ্ঞানভিত্তিক, ব্যতিক্রমধর্মী কাহিনির জন্য বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। অসাধারণ এই বইটি পাঠক প্রিয়তা ইতিমধ্যেই পেয়েছে।।আর খুব ভালো একটি বই যা হৃদয় কেড়ে নিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
মিলি তার বাবার সঙ্গে স্বন্দীপ যাচ্ছে। তার বাবা বিখ্যাত লেখক রায়হান চৌধুরী এখন আর উদীয়মান লেখক নন, বরং তাকে অস্তায়মান লেখক বলা যায়। জনপ্রিয়তা কমতে থাকলেও তার লেখালেখির প্রতি আগ্রহের কিন্তু কোন কমতি নেই। মাঝে মাঝেই নির্জনে লেখার জন্য তিনি বেড়িয়ে পরেন। এবারো এক ভক্তের আমন্ত্রণে তিনি সন্দ্বীপ যাচ্ছেন। বরাবরের মত সাথে যাচ্ছে মিলি। বাসেই পরিচয় হয় তুহিনের সাথে। সেও যাচ্ছে সন্দ্বীপে। কথায় কথায় জানা গেল তুহিন যাচ্ছে বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া এক বৃক্ষবিজ্ঞানীর খোঁজে। প্রায় এক যুগ আগে গুম হয়ে গেছেন প্রখ্যাত বৃক্ষবিজ্ঞানী নটরাজ। শেষ তথ্যে জানা যায় সন্দ্বীপে ল্যাবরেটরি ছিলো এই বিজ্ঞানীর। গাছ নিয়েই ছিলো তার গবেষণা। বিভিন্ন ভেষজ গাছের সমন্বয়ে তিনি তৈরি করেন বিস্ময়কর দ্রবণ "মহাতরল"। এই তরল খেলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারুণ্য ধরে রাখবে মানুষ। কিন্তু এরপরই গুম হয়ে যান বিজ্ঞানী নটরাজ। চট্টগ্রাম থেকে তাদের সাথে যোগ দেয় এবিসিডি খান। ভদ্রলোক এতো কথা বলেন যে কি বলবো? মিলির বাবা রায়হান সাহেব কিভাবে যে সহ্য করছেন উনার বকবক কে জানে! সন্দ্বীপে পৌঁছে তুহিন সন্দ্বীপে থাকা বন্ধু তাজোয়ার আর মিলিকে নিয়ে শুরু করে বৃক্ষবিজ্ঞানী নটরাজকে খুঁজে বের করার অভিযান। বৃক্ষবিজ্ঞানীর ল্যাবরএটরি ছিল দ্বীপের কালাপানিয়া নামের এক জায়গায়। কিন্তু পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। চাঁদের আলোয় বাড়িটার দিকে তাকিয়ে ছ্যাঁত করে উঠলো ওদের মন। একি ভুতুড়ে জায়গা বাবা… হঠাৎ এক ধরনের চাঁপা আর্তনাদে কেপে উঠলো তারা। আবার মিলির চিৎকারে চমকে উঠলো তুহিন আর তাজোয়ার, “মরা মানুষের হাত!”… কি ছিল ওগুলো? সত্যিই কি মরা মানুষের হাত দেখেছিল মিলি? কালাপানিয়ার সেই গহীন বনে কি রহস্য লুকিয়ে আছে? তুহিন, মিলি কি পারবে সেই রহস্য ভেদ করতে??? আমার কথাঃ “তরু-নৃ” তরুন লেখক আসিফ মেহ্দীর লেখা আমার পড়া প্রথম বই। বহুদিন বই পড়ার জগত থেকে দূরে থাকায় কত কিছু যে আমি মিস করেছি, ভাবতেও অনেক কষ্ট লাগে। যাক, সব ভাল তার শেষ ভাল যার। দেরিতে হলেও একে একে সব ভালো ভালো লেখাগুলো পড়ছি এটাই আমার জন্য অনেক। বইটা মূলত সাইন্স ফিকশন হলেও থ্রিলার থেকে কোন অংশে কম না। আর আছে হালকা রোমাঞ্চের আবেশ। গতানুগতিক সাইন্স ফিকশন থেকে একটু আলাদাই মনে হয়েছে আমার কাছে। কিন্তু “তরু-নৃ” নিঃসন্দেহে সাইন্স ফিকশন ভক্তদের ভিন্নতার স্বাদ দিবে। তাই এটাকে শুধু সাইন্স ফিকশন ভক্তদের বই বলবো না। আসিফ মেহ্দী ভাইকে ধন্যবাদ এত চমৎকার একটা বই উপহার দেওয়ার জন্য। তবে শেষটায় খুব ড্রামাটিক একটা কিছুর জন্য মনটা খুব আকুলিবিকুলি করছিলো। সেইজন্য আমি সামান্য একটু হতাশ। ব্যাপার না… হ্যাপি রিডিং...
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ বইয়ের নামঃ তরু-নৃ লেখকঃ আসিফ মেহ্দী (Asif Mehdi) প্রকাশনঃ অনিন্দ্য প্রকাশ মুদ্রণ মূল্যঃ ১৫০ পৃষ্ঠাঃ ৭৯ প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ প্রায় এক যুগ আগে গুম হয়ে যান বৃক্ষবিজ্ঞানী নটরাজ। ডকুমেন্ট ঘাটাঘাটি করে জানা যায় সন্দ্বীপে ল্যাবরোটরি ছিলো বিজ্ঞানীর। শেষ জীবনে সেখানেই থাকতেন। গাছ নিয়েই ছিলো তার গবেষণা। বিভিন্ন ভেষজ গাছের সমন্বয়ে তিনি তৈরি করেন বিস্ময়কর দ্রবণ "মহাতরল"। এই তরল খেলে বার্ধক্য স্পর্শ করতে পারবে না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারুণ্য ধরে রাখবে মানুষ। এই তরল আবিষ্কারের পরেই গুম হয়ে যান বিজ্ঞানী। এক যুগ পরে সেই বিজ্ঞানীর খোজে সন্দ্বীপ যাচ্ছে তরুণ বিজ্ঞানী তুহিন। বন্ধুর বাবার কাছ থেকে পেয়েছে সেই "মহাতরল"এর ডকুমেন্টসহ প্রস্তুত প্রক্রিয়া। সন্দ্বীপ যাওয়ার পথে বাসে পরিচয় হয় বিখ্যাত লেখক রায়হান চৌধুরি ও তার মেয়ে মিলির সাথে। তারা সন্দ্বীপ যাচ্ছে ছুটি কাটাতে। সন্দ্বীপে পৌছে তুহিন তার মিশন শুরু করে। মিশনে তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী মিলি। নটরাজের ল্যাবরেটরি খুজে পেলেও সেটা এখন ওই এলাকায় ভুতের বাড়ি নামে পরিচিত। সেই ভুতের বাড়িতেই একরাতে গেলো তুহিন, তুহিনের বন্ধু ও মিলি। কিন্তু প্রচন্ড ভয় নিয়ে ফিরে এলো তিনজন। কিন্তু কেন? ল্যাবরেটরির পাশে চাপা গোঙানি আর তীব্র গর্জন কিসের? মাটির উপরে সারি সারি শুধু মানুষের হাত কেন? গ্রামের ভেষজ উদ্ভিদের ডাক্তারের রহস্যময় ব্যবহারের কারন কী? তুহিন কি পারবে নটরাজের ফর্মুলা দিয়ে "মহাতরল" তৈরি করতে? সে কি সমাধান করতে পারবে বিজ্ঞানী নটরাজের গুম হওয়ার রহস্য? উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে। আমি নিশ্চয়ই রিবিউয়ের নামে স্পয়লার দিবো না! সুতরাং এত প্রশ্নের উত্তর পেতে পড়ে ফেলুন চমৎকার বইটি। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ আসিফ মেহ্দী ভাই দ্বিতীয় বই পড়লাম। এই বইটা মূলত সাইন্স ফিকশন হলেও থ্রিলিংও পাওয়া যাবে কিছুটা। আর আছে হালকা রোমাঞ্চের আচড়। গতানুগতিক সাইন্স ফিকশন পড়তে পড়তে এই জেনেরার উপর আগ্রহ কমে গেছে। কিন্তু তরু-নৃ এর মত বই নিঃসন্দেহে সাইন্স ফিকশন প্রেমিদের ভিন্নতার স্বাদ দিবে। তবে এটাকে শুধু সাইন্স ফিকশন প্রেমিদের বই বলবো না। আসিফ ভাইকে ধন্যবাদ এত চমৎকার একটা বই উপহার দেওয়ার জন্য। আর এই রিভিএর পাঠকদের বলছি, তরু-নৃ এক কপি কিনেই দেখেন। ঠকবেন না কথা দিচ্ছি।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম: তরু-নৃ লেখক: আসিফ মেহ্দী ধরন:সায়েন্স ফিকশন। প্রকাশনী: অনিন্দ্য প্রকাশ প্রচ্ছদ: আহসান হাবিব ১ম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারী ২০১৭ মুদ্রিত মূল্য:১৫০ টাকা প্রাপ্তিস্থান: বইমেলা ২০১৭(আনিন্দ্যপ্রকাশ), rokomari.com. রেটিং: ৪/৫ রকমারি লিংক : https://www.rokomari.com/book/127644/%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%A8%E0%A7%83 #কাহিনী_সংক্ষেপ: গভীর রাতে একটি বাস প্রচন্ড গতিতে ছুটে চলেছে। এসি বাস, ভেতরে বেশ ঠান্ডা। যাএীরা কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে।এসি বাসে উঠলেই সবসময় এক অদ্ভুত ব্যাপার দেখা যায়। সবসময় যাএী সংখ্যার তুলনায় কম্বলসংখ্যা দুএকটা কম থাকে। আজ এই বাসে কষ্ট করছে এক তরুণ, সে ছাড়া সবার ভাগ্যে জুটেছে কম্বল। মিলি তার বাবার সাথে যাচ্ছে সন্দীপে। ছোটকাল থেকেই দ্বীপ মানে তার কাছে আবছায়া স্বপ্নপুরী। মিলির বাবা রায়য়হান সাহেব বাসের ক্ষেত্রে একজন 'ডানপন্থি মানুষ'। কোন এক বিচিত্র কারণে তিনি সবসময় বাসের ডানদিকে জানালার পাশে বসেন।ভদ্রলোক লেখালেখি করেন। উদীমান লেখক নয় বরং বলা চলে অস্তায়মান লেখক। এক ভক্তের নিমন্ত্রণে এবার তার সন্দীপ যাওয়া। বাসের সেই তরুণটি মোবাইলের আলোতে ব্যাগে কিছু খুঁজে যাচ্ছে। অনেকক্ষণ হাতড়ানোর পর সে নোট মতো কিছু কাগজ খুঁজে পেল। মিলি ছেলেটাকে পর্যবেক্ষণ করছিল। সে মনে মনে ছেলেটার নাম দিয়ে ফেলেছে 'নোটম্যান'। স্পাইডারম্যান যেমন মাকড়শার মতো লাফ ঝাঁপে ব্যস্ত থাকে তেমনি নোট ম্যান নোটপত্র হড়বড় করে পড়ায়। যাএা বিরতিতে ছেলেটির সাথে তাদের কথা হয়। ছেলেটি তরুণ বিজ্ঞানী, নাম তুহিন। গাছ নিয়ে গবেষণা করে। সন্দীপ যাচ্ছে তার বন্ধু তাজোয়ারের কাছে, উদ্দেশ্য বৃক্ষবিজ্ঞানী নটরাজকে খুঁজে বের করা। যিনি চিরতারুণ্যের ঔষুধ 'মহাতরল' এর প্রস্তুতপ্রণালী আবিষ্কারের পর গুম হয়ে যান। তুহিন, মিলি,তাজোয়ার এই বিজ্ঞানীকে খুঁজতে গিয়ে তার বাড়ি খুঁজে পায় যেটা ভূতের বাড়ি হিসেবেই এখন পরিচিত। সেই বাড়ির চারপাশে গাছে ভরা এবং মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে মরা মানুষের হাত। এভাবেই এগিয়ে চলে ঘটনা। তুহিন মহাতরল আবিষ্কারের উপাদান জোগাড় করে মহাতরল তৈরী করে এবং সেটা নিজে পান করে পরীক্ষা করে। তারপরের টুকু জানতে হলে আপনাকে বইটি পড়তে হবে। :) #পাঠ_প্রতিক্রিয়া : গল্পের শুরুটায় মনে হয় খুব সাধারন কিছু কিন্তু যতই গল্প এগুতে থাকে কাহিনীর রহস্যময়তা বাড়তে থাকে। গল্পে গাছের সাথে মানুষের সাদৃশ্যতা ও বৈসাদৃশ্যতাও উঠে এসেছে। গল্পটিতে বৃক্ষবিজ্ঞানী নটরাজ কেন গুম হয়েছিলেন? তার স্এী কেন পাগল হয়ে গিয়েছিল? তার বাড়িটাকে মানুষ ভূতের বাড়ি কেন বলে? তুহিনের মহাতরল তৈরী এবং তা পান করার পর কি ঘটে? মিলিরই বা পরিণতি কি ছিল? গল্পের নাম তরু-নৃ হওয়ার কারণ কি? এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে গল্পের শেষে এসে। তবে পুরোটা শেষ করে এসে একটু আফসোস হয়েছে। মনে হয়েছে তুহিনের মহাতরল পানের পরের ঘটনাগুলোতে এতো সহজ সমাপ্তি না হয়ে আরও কিছুটা রহস্যে মুড়ানো থাকলে ভালো হতো। তবে সবমিলিয়ে গল্পটা বেশ ভালো। :) যারা পড়েছেন তারা তো জানেনই আর যারা পড়েন নি তারা পড়ার চেষ্টা করবেন। আশা রাখছি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ তরুনৃ, ভালালাগায় ভরপুর সবই!
Was this review helpful to you?
or
কে না চায় তারুণ্যকে ধরে রাখতে? অশীতিপর বৃদ্ধও জরাকে জয় করে ফিরে পেতে চায় যৌবনের ফেলে আসা দিনগুলোকে। পৃথিবীর ইতিহাসে আদি থেকে অবধি তারুণ্য ধরে রাখার এবং অমর হবার উপায় খুঁজে চলেছে মানুষ। চিরযৌবনা গাছ থেকে বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রনে তৈরি চিরতারুণ্যের ঔষধ 'মহাতরল' আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী নটরাজ। কিন্তু তার পরেই নিখোঁজ হন তিনি। তাকে খুঁজে পেতে ঘর ছাড়ে তরুন গাছ গবেষক তুহিন। খুঁজতে খুঁজতে স্বন্দীপে গিয়ে পৌছে সে। ঘটনাচক্রে একদল সঙ্গীসাথীও জুটে যায় তার। কৌতুহলী, আন্তরিক, হাস্যরসাত্মক, বিচিত্র এই সঙ্গীদের সঙ্গে বিচিত্র সব ঘটনা আর হাস্যরসের মাধ্যমে এগিয়ে চলে কাহিনী। বিজ্ঞানীর বাড়ি খুঁজতে গিয়ে ভূতের বাড়ির সন্ধান মেলে তুহিন ও তার সঙ্গীদের। রক্তহিম করে দেয়া আর্তনাদ আর মাটিফুঁড়ে বের হয়ে আসা মরা মানুষের হাত দেখে আত্মা খাঁচাছাড়া হবার যোগাড় হয় তাদের। এক বৃদ্ধের সাহায্যে কোনরকমে জান নিয়ে পালাতে পারে। তুহিন কি পেরেছিল তার মিশন পূরণ করতে? ভূতের বাড়িতে ও কিসের ভয়ানক শব্দ? বৃক্ষবিজ্ঞানীর কি হয়েছিল? তিনি কি বেঁচে আছেন? সব কিছুই এক সূত্রে গাঁথার চেষ্টা করেছেন লেখক। লেখকের সবচে' বড় গুণ যেটি চোখে পড়ার মত তা হলো পাঠককে লেখার মাঝে আটকে ফেলা। একবার বই হাতে নিয়ে শেষ না করা পর্যন্ত নামাতে পারবেন না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক ধারায় লিখে গেছেন লেখক। কাহিনীর গতি অতিমাত্রায় সাবলীল। বইয়ের ঢেউঢেউয়ানি, উলুমভুলুম, প্যাঁকানি-কাদানি, অজাতশ্মশ্রু কতগুলো নতুন শব্দ খুব মজা লেগেছে। কিছু অসংগতি আছে চোখে পড়ার মত। উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র মিলিকে একটু বেশিরকম হ্যাংলা মনে হয়েছে। একই বাসের সহযাত্রী হিসেবে তরুণ ছেলেটি বিশেষত যে কিনা অন্ধকারে মোবাইলের আলো ফেলে কাগজপত্র পড়ায় ডুবে থাকে তার প্রতি কৌতুহল থাকতে পারে। কিন্তু তা বলে সদ্য পরিচিত ছেলেটি অনবরত তার সঙ্গে গল্প না করায় অভিমানে গাল ফুলোনো একটু বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে। নতুন জায়গায় এসে মিলি যে সারারাত এলো না, বিষয়টি মিলির বাবাকে বিচলিত করেনি। এসব পার্থিব বিষয় নিয়ে ভাবার ফুরসত নেই তার! এমনকি সম্পূর্ণ অজানা অচেনা একটি তরুণের সঙ্গে যার সঙ্গে কিনা মোটেকালে ৩দিন হল পরিচয় হয়েছে তার সঙ্গে মেয়ে দিনের পর দিন গবেষণার নামে একসাথে এমনকি একই ঘরে (!) বসবাস করছে তা নিয়ে বেখেয়ালি লেখক বাবার কোনই মাথাব্যথা নেই! তিনি নিশ্চিন্তে বসবাস করছেন পাশের শহরে। আধঘন্টা মারামারির সিন শেষে বাংলা সিনেমার পুলিশদের মতন "আইন হাতে তুলে নেবেন না"-এর মতই উপন্যাসের প্রায় শেষ পাতায় এসে মেয়েকে অতিমাত্রায় বেখেয়ালি লেখক সাহেব যখন বলেন, "পরিচিত কেউ যদি টেলিভিশনে দেখে ফেলে যে তুই ঐ বাড়িতে, তাহলে কী ভাববে বল তো?" তখন না হেসে একদম পারি নি। এ বিষয়টি শুধু ছোট একটা অসংগতি নয় বরং সায়েন্স ফিকশন হওয়া স্বত্ত্বেও অতীত এমনকি দূর ভবিষ্যতের সামাজিক জীবন ও বাংলা সাহিত্যের নিরীখেও অস্বাভাবিক। পাঠক হিসেবে আমার মনে হয়েছে কাহিনীকে স্বাভাবিক ও বাস্তবিক করে তোলার জন্য তুহিন-মিলিকে নব বিবাহিত দম্পতি হিসেবে উপস্থাপন করলে সায়েন্স ফিকশন, রহস্য এবং রোমান্সের যে সম্মিলন লেখক ঘটাতে চেয়েছেন তা পরিপূর্ণ হত। লেখকের দায়বদ্ধতা থেকে এ বিষয়টি তিনি একটু নজর দেবেন এ আমার আন্তরিক আশা। বইয়ের নাম হিসেবে তরু নৃ একশো ভাগ সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর প্রচ্ছদের ব্যাপারে বলব বইয়ের নাম ও প্লটের বিচারে আহসান হাবীবের করা এই প্রচ্ছদটির চেয়ে ভাল আর কিছু হতে পারে আমার ত মনে হয় না। এককথায় দারুণ! পাঠক আনন্দ ও গা ছমছমানো অনুভূতির এই সায়েন্স ফিকশনে আপনাকে স্বাগতম।