User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By SHEIKH SALMAN

      19 Dec 2022 09:25 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️

      By Leeon Haque

      23 Jun 2022 04:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব ভালো লেগেছে

      By Md. Mushfik faysal

      02 Mar 2022 01:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      i love this

      By Zakaria Minhaz

      25 Feb 2022 04:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #Book_Mortem 12 #অভ্রত্ব লেখকঃ Abul Fattah Munna প্রকাশনীঃ রোদেলা প্রকাশনী মূদ্রিত মূল্যঃ ২২০ টাকা অভ্র আসলে কে?? আমি যদি বলি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের জনপ্রিয় ৩ চরিত্রের মিশেলে তৈরী এক চরিত্র তাহলে কি খুব ভুল কিছু বলা হবে?? শুভ্র এর নামের সাথে মিল, হিমুর কর্মকান্ড এবং ইনট্যুশন ক্ষমতার সাথে মিল আবার মিসির আলীর লজিক খুঁজে বেড়ানোর সাথেও মিল। এই তিনের মিশেলে তৈরী অভ্র নিয়ে লেখা বইগুলোর মধ্যে "অভ্রত্ব" আমার পড়া ১ম বই। কাহিনী সংক্ষেপ লিখতে কেনো যেনো আলসেমি লাগে তাই ছবি দিয়ে দিলাম, কষ্ট করে কারো জানা না থাকলে ছবি থেকে পড়ে নিয়েন ?। #পর্যালোচনাঃ বইয়ের একদম ১ম লাইন পড়তে গিয়েই ধাক্কার মতো খেয়েছি!! আরে এ যে হিমুর মতো করে কথা বলছে!! শুরুর এই ধাক্কা কাটিয়ে বইয়ে মনযোগ দিয়ে বুঝতে পারলাম এটা অবচেতন ভাবে নয়, ইচ্ছাকৃত ভাবেই মিল রেখে লেখা হয়েছে। প্রথমে শুধু এই বইটার ব্যাপারে বলি, এক কথায় চমৎকার একটা উপন্যাসিকা অভ্রত্ব। বইয়ে কিছু সস্তা রসিকতা ছিলো, যা ব্যক্তিগত ভাবে আমি উপভোগ করেছি। কেনো না আমার মতে লাইফ ইজ অল এবাউট এন্টারটেইনমেন্ট। সব বই সিরিয়াস হয়ে পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। এরপর হুট করেই হালকা চালের বই থেকে সিরিয়াস এক রহস্যের মাঝে ঢুকে গেলো বইয়ের কাহিনী। সিরিয়াস একটা রহস্য হলেও সাদামাটা ভাবেই সেটার সমাধান করা হয়েছে। তবে তাতে করে বইয়ের আবেদন এক বিন্দুও কমে যায়নি। এর বড় কারন সম্ভবত বইয়ের চরিত্রগুলো। বড্ড মায়া নিয়ে তৈরী করা হয়েছে এই বইয়ের চরিত্রগুলোকে। অভ্র, চন্দ্রিমা কিংবা আফরীনের মতো বইয়ের বেশ অনেকটা অংশ কাভার করা চরিত্রগুলোর পাশাপাশি মাত্র ২ লাইন, কিংবা ২ পৃষ্টা জুড়ে থাকা অভ্রের মা, বাবা, টুম্পা, জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, আরশী (?) সবার প্রতিই মায়া জন্মানোর মতো করে তাদেরকে উপস্থাপন করেছেন লেখক। এই বইটা মোটেও টানটান উত্তেজনার বই নয়, তবে মন ছুয়ে যাওয়ার মতো বই তো অবশ্যই। বইটা পড়ে আমি উচ্চস্বরে হেসেছি, থ্রিল অনুভব করেছি, ভয় পেয়েছি, রোমাঞ্চ অনুভব করেছ, শেষে ভালো একটা টুইস্টও ছিলো৷ একটা বইয়ের কাছ থেকে এর বেশী আর কি আশা করা যায়?? তাহলে কি এই বইয়ে আক্ষেপের জায়গা নেই?? আছে, তারিক ফয়সাল চরিত্রটাকে নিয়ে আরেকটু কাজ করলে ভালো হতো। রহস্যটাকেও হয়তো আরেকটু জমাট করে এরপর সমাধান করা যেতো। কিন্তু অতিরিক্ত কপচাকপচির বাহুল্যতা বিহীন এবং একটানে পড়ে ফেলার এই গল্পে এইসব গৌণ বিষয় নিয়ে আক্ষেপ রাখার মানে হয় না। #চরিত্রায়নঃ উপরেই বইয়ের চরিত্রগুলো নিয়ে অল্প করে বলেছি। এখানে বরং কন্ট্রোভার্সি নিয়ে কথা বলি ?। এই বইয়ের অভ্র চরিত্রটা নিয়ে কন্ট্রোভার্সির সবচেয়ে বড় জায়গায়টাই বোধহয় কালজয়ী হিমু চরিত্রের সাথে মিল থাকাটা। একজন কট্রর হুমায়ুন স্যারের ফ্যান হয়েও বিষয়টা আমার কাছে খুব একটা খারাপ লাগেনি। তার পিছনে আমার নিজস্ব কিছু যুক্তি আছে। আমি যদি লেখকের আগে কোনো বই না পড়ে স্রেফ এইটাই পড়তাম তাহলে চোখ বন্ধ করে বলে দিতাম যে এই লোকের নিজের ক্যাপাবিলিটিস নাই বলে সে হুমায়ুন স্যারের চরিত্র ধার করে ঘষামাজা করে একটা গল্প ফেঁদে বসেছে। কিন্তু সৌভাগ্যবশত আমি আগেই উনার "ইশতেহার" বইটা পড়ে ফেলেছি। আর সেই কারনে উনার লেখার ক্যাপাবিলিটিস সম্পর্কে আমার বেশ পরিষ্কার ধারণা আছে। এবার প্রশ্ন আসতে পারে এতো ভালো লেখক হলে কি জন্যে দেশের সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্রের আদলে নিজের এক চরিত্র বানাতে হলো?? আমার উত্তর হলো তাতে করে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে? কিছু জিনিসের প্রতি আমাদের প্রবল মায়া কাজ করে। আমরা সেই মায়ার টানকে উপেক্ষা করতে পারি না, পারি না সেই মায়া তৈরী করা জিনিসটাকে ভিন্ন রূপে দেখতে। কিন্তু বাস্তবতা বড্ড নিষ্ঠুর। হুমায়ুন স্যার নেই, আর তাই নতুন করে কখনোই হিমু আসবে না আমাদের মাঝে। এখন অন্য কেউ যদি সেই চরিত্রের আদলটুকু একটু নিজের মতো করে গুছিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে তাতে আমি দোষের কিছু দেখি না। এছাড়া অভ্র এর কিছু জিনিস মিললেও হিমুর সাথে অমিলের অংশও মোটেও কম নয়। তবে রকমারি/গুডরিডস এ কিছু সমালোচনা দেখার কারনেই এইটুকু এক্সপ্লেইন করার চেষ্টা করলাম নিজের মতো করে। আমি চাই অভ্র চরিত্রটা বাংলা সাহিত্যে নিজের একটা ছাপ রেখে যাক। #প্রোডাকশনঃ রোদেলার প্রোডাকশন নিয়ে আমার আর কথা বলার ইচ্ছে হয় না। উনাদের অতি অবশ্যই নিজেদের পরিবর্তন করা উচিত। #রেটিংঃ ০৭/১০ ( টানা থ্রিলার পড়ে ব্রেইনের উপর চাপ ফেলে, কিংবা রিডার্স ব্লকে পরে অনেকেই জানতে চান একটা কি বই পড়া উচিত। বেশিরভাগ সময়েই সাজেশন আসে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইয়ের। হুমায়ুন স্যার তো অদ্বিতীয়। কিন্তু উনার সব বইই কয়েকবার করে পড়া শেষ এমন মানুষও ঢের আছেন। আমি তাদেরকে বলবো হুমায়ুন স্যারের বইয়ের বাইরে, আবুল ফাতাহ ভাইয়ের এই অভ্র সিরিজটা ট্রাই করে দেখার জন্য।) #পরিশিষ্টঃ আজ সকালেই বন্ধু Ov Chowdhury পোস্ট দিয়েছিলো যে, লেখক আবুল ফাতাহ একজন বড্ড আন্ডাররেটেড লেখক। আমি তার সাথে পরিপূর্ণ ভাবে একমত। মেজর সাইফ হাসান আর অভ্র, এই ভিন্নধর্মী ২টা চরিত্রকে নিয়ে কাজ করা এই লেখক আরো বেশী লাইম লাইট প্রাপ্য। আমি এই গ্রুপে একটিভ হওয়ার শুরু থেকেই একটা কথা বলে আসতেছি যে আমি ১০ বছর কোনো বই পড়িনি। আমার এই এতো বড় গ্যাপের অন্যতম বড় কারন ছিলো হুমায়ুন আহমেদ স্যারের মৃত্যু। আমি কোনোভাবেই বিষয়টা মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু আমার এই ১০ বছরের গ্যাপে আমাদের দেশের মৌলিক সাহিত্য যে এতোটা এগিয়ে গিয়েছে তা আমি কল্পনাও করিনি। এটা একটা আশার আলো। এখন দরকার পাঠক তৈরী করা। সেবা প্রকাশনী যেভাবে ঘরে ঘরে পাঠক তৈরী করে দিয়েছিলো, তেমন কিছু করা। আর সেটার জন্য এই জেনারেশনের কাছে মাশুদুল হক, আবুল ফাতাহ, নাজীম উদ দৌলা, তানজীম রহমান, সিদ্দিক আহমেদ, রবিন জামান খান ইনাদেরকে আমাদেরই তুলে ধরতে হবে। হ্যাপি রিডিং।

      By Md Rakib Hasan

      09 Feb 2022 10:16 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাংলার বইপ্রেমীদের কাছে হুমায়ুন স্যারের হিমু সিরিজ অত্যন্ত পরিচিত এবং অবশ্যই হিমু একটি জনপ্রিয় চরিত্র। বইটি পড়ার শুরুতেই যেকোন পাঠকের অবশ্যই সেই হিমু চরিত্রের কথা মনে পড়বেই। অভ্র চরিত্রটি সৃষ্টির ক্ষেত্রে লেখক হিমু হতেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলেই আমার বিশ্বাস। পাঠক ধীরে ধীরে হিমুকে অবচেতন মনে ধারন করলেও অভ্রই হয়ে উঠে উপন্যাসের নায়ক। বিশিষ্ট এবং ক্ষমতাবান ব্যবসায়ী জুলফিকার হায়দার চৌধুরী যার অঢেল ধন-সম্পদ থাকলেও তিন যুগ আগে সংঘটিত তার সাত দিন বয়সী শিশুকন্যার মৃত্যু নিয়ে তিনি এখনো একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছেন। তার নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যু কি আসলেই যুগ যুগ ধরে তার বংশানুক্রমে চলে আসা অত্যাচারিতের অভিশাপের ফল নাকি অন্যকিছু গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে এর পেছনে। সেটা বের করার দায়িত্ব তিনি দেন অভ্রের উপর। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে, এর সমাধান একমাত্র অভ্রের মাধ্যমে করা সম্ভব। এই রহস্যের সমাধান করতে হলে অভ্রকে শত বছরের জমিদার পরিবারের ইতিহাস খুঁড়তে হবে, যে পরিবারের সাথে জড়িয়ে আছে এক অভিশাপের গল্প। আফরীন ও নতুন পোষ মানা কুকুর ভ্যানগগকে নিয়ে অভ্র যখন জুলফিকার সাহেবের গ্রামের বাড়িতে গেল তখন সেও আবিষ্কার করলো শুধু রহস্যই নয় সাথে যেন আরোও কিছু যুগ যুগ ধরে লুকিয়ে আড়াল করা আছে। “মানুষ সত্যের মত করে বলা মিথ্যা বিশ্বাস করলেও মিথ্যার মত করে বলা সত্য বিশ্বাস করে না।” বইয়ের সমাপ্তিটা খুব উত্তেজনাপূর্ণ না হলেও আমাদের চারপাশের একসময়ের পারিবারিক আর সামাজিক জীবনের কিছু গভীর অন্ধকার দিক ঠিকই তুলে ধরে হয়েছে। লেখক বইটিতে হাস্যরস সৃষ্টির সাথে সাথে রহস্য ও রোমাঞ্চ ফুটিয়ে তুলেছেন, পাঠকের কাছে অভ্রের গল্পটি আশা করি ভালোই লাগবে। প্রোডাকশনঃ কভার ডিজাইন, পেপার কোয়ালিটি, ফন্ট সাইজ আমার পছন্দ হয়েছে। তবে রোদেলার বাইন্ডিং আরোও উন্নত করা প্রয়োজন বলে মনে করি।

      By Raiyan

      24 Apr 2021 05:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব ভালো

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      10 Jan 2020 10:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অভ্র চরিত্রটি হুমায়ূন আহমেদের 'হিমু' চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেছে। লেখকের বর্ণনাশৈলি সহজ এবং সাবলীল ছিল ফলে পড়ে বেশ আরাম পেয়েছি। রহস্য গল্প হলেও খুব একটা গায়ে কাঁটা দেয়া ধরণের লেখনী ছিলো না৷ তবুও পড়তে ভালো লেগেছে। শেষের দিকের টুইস্টও ভালোই ছিলো।

      By Rean Sharker

      20 Oct 2019 10:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      “শহর হলো চরিত্রহীনা সন্দরী নারীর মতো, আর গ্রাম হলো সতীসাবিত্রী আটপৌরে স্ত্রী। চরিত্রহীনাকে সবাই দুই চারটা করে গালি দিলেও সৌন্দর্যের আকর্ষণ এড়াতে পারে না। যদিও মনে প্রাণে ওই আটপৌরে স্ত্রী কামনা করে। ” হুমায়ূন আহমেদ মারা গেছেন। তার সাথে মারা গেছে হিমু আর মিসির আলি। তারা আর ফিরবে না এটা ভক্তদের মেনে নেওয়া একটু কষ্টের। এখন যদি অন্য কোন লেখক তার লেখার ক্ষমতা দিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনতে চান তাতে দোষের কিছু নেই। হিমু আর মিসির আলিকে চুরি করে লেখা অভ্র সিরিজ এমনটাই শুনে ছিলাম। কিন্তু আমার কাছে তা মনে হয়নি। ফেন ফিকশন বলা যেতে পারে অভ্রত্বকে। অভ্র ঠিক হিমুর মতো মহাপুরুষ নয়। তারা বাবা তাকে মহাপুরুষ করার স্কুলও খুলেনি। অভ্রের বাবা, মা এবং বোন আছে। তবে কিছুটা বাউন্ডুলে আর হিমুর মতো সস্থা রসিকতা করে। মানুষকে একটু বিভ্রান্ত করে ফেলে। হুমায়ূন আহমেদ যেভাবে হিমুকে নিয়ে লেখেছিলেন এই বই এর লেখক ঠিক সেভাবে অভ্রকে লেখেছেন। তাই হিমু হিমু একটা ভাব চলে এসেছে। চলে এসেছে কুকুর। সেই কুকুর যেটা মধ্য রাতে হিমুর পেছন পেছন আসত। অভ্র কুকুরের নাম দিয়েছে ভ্যানগগ! বইটা আমি তিন ভাগে ভাগ করেছি। সেই তিন ভাগেই রিভিউ লেখার চেষ্টা করব। ঠিক রিভিউ না পাঠপ্রতিক্রিয়া বলা যেতে পারে। প্রথম অংশে দেখা যায় অভ্র পুলিশের সাথে রসিকতা করে এরেস্ট হয়েছে। তাকে ভ্যানে তোলার পর সে আবিষ্কার করে অপূর্ব সুন্দরী এক মেয়ে বসে আছে সেখানে! তারা, মানে অভ্র আর মেয়েটি যার নাম চন্দ্রিমা থানা থেকে পালায়। গভীর রাতে তারা রাস্তায় হাটতে থাকে। পেছনে ভ্যানগগ। হাটতে হাটতে জানতে পারে মেয়েটির গল্প। কোন আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল? আত্মহত্যা করতে গিয়েই সে এরেস্ট হয়ে ছিল। এর পেছনের কারণ কি সেটা নিয়েই গল্প করতে লাগলো হাটতে হাটতে। অভ্র মাঝেমধ্যে রসিককাও করতে লাগল। মেয়েটির গল্পটা না হয় পড়ে নিবেন বইতে। দ্বিতীয় ভাগ কে দুই অংশে ভাগ করা যাক। প্রথম ভাগে দেখা যায় অভ্র বিশাল বড় লোক একজনের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে একটা কাজ করে দেয়ার জন্য। টাকাটা অভ্র এক গরীব অসুস্থকে দিয়ে দিয়েছে। এখন তার আর সেই কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। তাই তিন দিন ধরে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কাজটা কি সেটা নিয়ে তৃতীয় অংশে আলোচনা করব। দ্বিতীয় অংশের ২য় ভাগে রুপাকে টেনে আনতে হয়। নাম তার আফরীন। কলেজ পড়ুয়া মেয়েটি অভ্রর টিউশনির ছাত্রী। রুপাকে এই মেয়ের মধ্যে খুজলে হতাশ হতে হবে। এ অন্য মেরুর মানুষ। আফরীনের কথাবার্তা মনে হবে সে অভ্রর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে কিন্তু বুঝতে দিতে চাচ্ছে না কিশোরী মেয়েটি। আমি এই মেয়েটির প্রেমে পরে গিয়েছি। পুরো গল্প জুড়ে মেয়েটি শক্ত ভূমিকা পালন করেছে। এই মেয়ে না থাকলে গল্পটা ভালো লাগতো না আমার কাছে। তৃতীয় অংশ দেখা যায় অভ্রকে মোটা অঙ্কের টাকা লোকটা কি জন্য দিয়েছিল সেটা। তার পরিবার ছিল বিশাল জমিদার। সেখানে এক মেয়ে তাদের পরিবারের উপর অভিশাপ দেয়। সেই অভিশাপ জন্যই কি তার মেয়ে ৬ দিনের দিন মারা গেল? নাকি এর পেছনে অন্য রহস্য আছে। সেটা খুজে বের করার দায়িত্ব দিয়েছে অভ্রকে। অভ্র কোন গোয়েন্দা না। কিন্তু লোকটার মনে হলো সেই পারবে এই রহস্য খুজে বের করতে। আফরিন কে নিয়ে অভ্র চলে গেল গ্রামের রাজবাড়িতে রহস্যের পেছনের গল্প খুজতে। তারপর জানতে পারে এমন এক সত্য যেটা খুবই জঘণ্য। রম্য,প্রেম প্রেম ভাব এবং রহস্য নিয়ে অভ্রত্বের জগত। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। হয়তো আপনারও লাগবে। অভ্রত্বের জগতে আপনাকে স্বাগতম। প্রচ্ছদটা অ সা ধা র ণ। যদি কারো কাছে অসাধারণ মনে না হয় তবে বইটি পড়ার পর অবশ্যই মনে হবে। প্রচ্ছদেই বইটির রিভিউ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রচ্ছদ লেখক নিজেই করেছেন। আমি মনে করি সেসব লেখক খুবই ভাগ্যবান যারা নিজের বই এর প্রচ্ছদ নিজেই করতে পারে। আমার রেটিং ৪/৫ “আমরা ভাবি অভিমান খুবই মধুর একটা অনূভূতি, আসলে তা না। বেশিভাগ আত্মহত্যার উৎপত্তী আসলে অভিমান থেকে।মানুষ রাগের মাথায় অন্যকে খুন করতে পারে কিন্তু আত্মহত্যা রাগের মাথায় করা যায় না।”

      By Rafsan Chowdhury

      24 Feb 2019 03:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবই অসাধারণ এক বই।এ লেখকের লেখনি এর আগে পড়িনি তবে এই বইটি এবারের বই মেলায় কিনেছি।পাঠকদের নিজের লেখনি দিয়ে আটকে রাখার প্রবণতা দেখলাম এ বইটিতে।

      By Tasnim Rime

      29 Dec 2018 03:50 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই: অভ্রত্ব জনরা: রহস্য উপন্যাস লেখক: অাবুল ফাতাহ প্রকাশনী: রোদেলা প্রকাশ কাল: বইমেলা ২০১৭ পৃষ্ঠা: ১৬০ প্রচ্ছদ: মুন্না মুদ্রিত মূল্য: ২২০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: গল্পের প্রধান চরিত্র অভ্র মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ভ্যাগাবন্ড প্রকৃতির ছেলে। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে ভ্যানগগ নামক কুকুরকে সঙ্গী করে যে হেঁটে বেড়ায়। এই অাত্মভোলা অভ্রকে এক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য অগ্রীম দশলাখ টাকা দেন জুলফিকার চৌধুরী। কিন্তু পরোপোকারী অভ্র টাকাটা খরচ করে ফেলে অন্য একজনের চিকিৎসায় তাই কাজ না করতে পারায় জুলফিকার সাহেবের থেকে পালিয়ে বেড়ায়। ঘটনাক্রমে সাক্ষাৎ হয় চন্দ্রিমা নামক এক মেয়ের সাথে। সারা রাত রাস্তার নিয়ন অালোতে তাদের সস্তা দর্শন কপচানো হয়। অবশেষে চন্দ্রিমার কথায় কাজটা করার স্বীদ্ধান্ত নেয় অভ্র। একপর্যায়ে অভ্রের ছাত্রী তথা নায়িকা অাফরিন অার ভানগগকে নিয়ে চলে যায় রহস্যের সন্ধান করার জন্য। শতবর্ষী রহস্যের তল খুঁজতে হাজির হয় জুলফিকার সাহেবের গ্রামের বাড়িতে। কী ছিল সেই রহস্য! জুলফিকার সাহেবের পূর্বপুরুষ ছিলেন জমিদার, একদিন এক হিন্দু পন্ডিত ও তার মেয়ে আশ্রয় চায় জমিদার বাড়িতে। কিন্তু জমিদার মেয়েটিকে ধর্ষন করতে চাইলে সে দীঘির জলে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর সময় তার হাতে ছিল একগোছা নীলচুড়ি। শোকে মুহ্যমান মেয়েটার বাবা হিন্দু পন্ডিত অভিশাপ দেয় যে, এ বংশের মেয়েদের বিয়ে হবার অাগেই তাদের মৃত্যু হবে। এর কিছুদিন পরই রক্তবমি করে সেই জমিদার মারা যায়। কাকতালীয় ভাবে পরবর্তী বংশধর আরো দুই মেয়ে মারা যায় সেই দিঘীতে, তাদের হাতেও থাকে নীল চুড়ি। জুলফিকার সাহেবের কাছ থেকে শোনা যায় তার একমাত্র বংশধর তার মেয়ের লাশ ছ'মাস বয়সে দীঘীর জলে ভেসে ওঠে, যার হাতে ছিল একগোছা নীল চুড়ি। লোকমুখে শোনা যায় এটা অভিশাপের ফল। এটা কী কেবলই অভিশাপ নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্যকোন কাহিনী সেই রহস্য উদঘাটনে নেমে পড়ে অভ্র। তাই রহস্য জানতে হলে অভ্রত্বকে নিয়ে বসতে হবে। নিজস্বমতামত : লেখকের অভ্র সিরিজের 'এই নগরের পথে' গল্পের শেষে যার ইঙ্গিত দেয়া হয় সেটা নিয়েই এ গল্পের কাহিনী। তবে অাগের পর্বের বই পড়া না থাকলেও পাঠকের কাহিনী বুঝতে কোন সমস্যা হবে না। হিমু, মিশির অালী চরিত্রের মতই অাবুল ফাতাহর সৃষ্ট এক চরিত্র অভ্র। খুব একটা প্রচার না থাকলেও অভ্র পড়ে হিমু অার মিশির অালী দুজনের অনুভূতি একসাথে পাওয়া যায়। রহস্য- রোমাঞ্চকর কাহিনীর সাথে হালকা হাস্যরসাত্মক কাহিনী নিয়ে রচিত অভ্রত্ব এক সুখপাঠ্য বই। যা পাঠক মনে অালোড়ন সৃষ্টি করে।

      By Tultul Zabin

      26 Sep 2017 01:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘অভ্রত্ব’ বইটি আবুল ফাত্তাহ এর লেখা একটি উপন্যাস । আবুল ফাত্তাহ ১৯৯১ সালের ৭ এপ্রিল জন্মগ্রহন করেন । তিনি সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন , বর্তমানে ঢাকায় বসবাস । তার লেখা অভ্রত্ব বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়াসি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় রোদেলা প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রকাসক রিয়াজ খান । প্রচ্ছদ করেছেন মুন্না । বইয়ের কাহিণী এমন , তিন দশক পুরনো একটা হত্যা রহস্য। যার সাথে জড়িয়ে আছে শতাব্দী পুরনো এক অভিশাপের গল্প। সেই অভিশাপের ফলে বর্তমান প্রজন্মও ভুক্তভোগী। কি সেই অভিশাপ? শতাব্দী প্রাচীন জমিদারবংশের শেষ জীবিত সদস্য জুলফিকার হায়দার চৌধুরী। জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে তার মনে হয় বহুদিন আগে তার পরদাদা জুলমত চৌধুরীর রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ তার জানতেই হবে। সেই সাথে সেই খুজে বের করতে হবে তার পরিবারের উপর ভর করে থাকা অভিশাপের স্বরূপ। আদৌ কি কোন অভিশাপ ছিল? নাকি তিন দশক আগে তার সন্তানের মৃত্যুটার পেছনে গভীর কোন ষড়যন্ত্র আছে? বৃদ্ধ জুলফিকার হায়দার চৌধুরী শতাব্দী প্রাচীন এই রহস্য সমাধানের জন্য অনুরোধ করলেন অভ্রকে । অভ্রকে মনে আছে তো? মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান অভ্র। বাবা, মা আর ছোট বোনকে নিয়ে প্রায় একটা সুখের সংসার। অন্তত টিউশনিটা পাওয়ার আগ পর্যন্ত। আর আফরিনকে সময় দেয়া শুরু করার পর থেকে সত্যি সত্যিই সুখের সংসার যার। অভ্র কি পারবে এই রহস্যের সমাধান করতে? পারবে কি এক অসহায় পিতার কাছে তার সন্তানের মৃত্যুর কারণ বলতে? নাকি রহস্য রহস্যই থেকে যাবে? উল্লেখ্য যে লেখকের লেখা এই নগরের পথে বইটির শেষে একটি কাহিনীর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল , সেই কাহিনী হচ্ছে এই বইটি । যারা হাস্যরসের সাথে রোমাঞ্চকর গল্প পছন্দ করেন , তাদের কাছে এই বইটি অসাধারন লাগবে ।

      By Fardin Helal

      19 Aug 2017 09:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিত া মাঝরাতে রাস্তায় ঘুরঘুর করতে দেখে মাদক সেবন, সহজ কথায় গাঁজা খাওয়ার সন্দেহে অভ্র নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। রাতদুপুরে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার কারন সে তিন দিন ধরে বাসা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বাসায় তার জন্য অপেক্ষা করছে মিস্টার ম্যানিয়াক নামের এক ব্যক্তি। এই লোক হচ্ছে জুলফিকার চৌধুরি নামের এক ভদ্রলোকের ডান হাত। অভ্রকে ধরে আনার জন্য তাকে পাঠানো হয়েছে। অভ্রর অপরাধ গুরুতর। জুলফিকার সাহেবের দশ লক্ষ টাকা নিয়ে ডুব দিয়েছে সে। এই দশ লাখ টাকা নিয়েছিলো তাঁর একটা বিশেষ কাজ করে দেবে এই শর্তে। বলাই বাহুল্য, কাজটা না করেই হাওয়া হয়েছে সে। যাই হোক, টাকাটা বড় কথা না। জুলফিকার সাহেবের বদ্ধমূল ধারণা অভ্র ছাড়া তাঁর ওই কাজ আর কেউ সমাধা করতে পারবে না। কি এমন বিশেষ কাজ? — তিন যুগ আগের একটি মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে হবে। এই রহস্যের সাথে জড়িয়ে আছে আরো একাধিক রহস্য এবং শত বছরের পুরাতন একটি অভিশাপ! জুলফিকার সাহেব এই রহস্যের সমাধান জানতে মরিয়া— তার নিজের ভাষায় ডেস্পারেট। অভ্রকে তার চাই। শেষপর্যন্ত বিশেষ এক কারনে জুলফিকার চৌধুরির পারিবারিক রহস্যটা উন্মোচন করার সিদ্ধান্ত নেয় অভ্র। তদন্তের খাতিরে যায় ওনার পুর্বপুরুষদের ভিটায়। সঙ্গী হিসেবে আছে অভ্রর জেদি ছাত্রী আফরীন। এই গেলো কাহিনী। এবার বইয়ের কথা বলি। ঘরানার দিক থেকে এটা উপন্যাস ধারার। কেউ কেউ রহস্যোপন্যাস হিসেবে জোর করে চালিয়ে দিতে চাইবে। কিন্তু আমার তা মনে হয় না। এমনকি লেখকেরও এমন ইচ্ছা আছে কিনা সন্দেহ। তাহলে বইয়ের নাম অভ্রত্ব না হয়ে জমিদার বাড়ির রহস্য টাইপের কিছু রাখতে পারতেন। অভ্রত্ব রাখার মানে অভ্রই গল্পের প্রধান আকর্ষণ। গল্পটা অভ্রের মুখ থেকে উত্তম পুরুষে বর্ণিত। পুরো কাহিনীটা আবর্তিত হয়েছে অভ্রকে ঘিরে। অভ্রর মজার মজার কাজকারবারই বইয়ের মূল উপজীব্য। লেখক আবুল ফাতাহ মুন্নার একজন পাঠক একবার বলেছিলো তার বইয়ে বুক রিবন দেয়ার কোনো দরকার নেই। লাগে না কোনো কাজে। কিন্তু আমি বলবো কথাটা ভুল। আমার মোট দুইবার রিবনটা ব্যবহার করতে হয়েছে। তবে দুইবারই ছিলো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার প্রয়োজনে। সহজ কথায় টয়লেটে যাওয়া ছাড়া বইটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর কোনোদিকে মনোযোগ দিতে পারি নি। পাক্কা দুই ঘণ্টা আমাকে চুম্বকের মত আটকে রেখেছেন লেখক। এমনই তার লেখনশৈলী। শেষ কবে এমন টানা পড়েছিলাম মনে পড়ে না। টানা পড়ার কারন আছে। একদম প্রথম লাইন থেকেই হাস্যরসে ভরা। এমন কোনো পাতা নেই যেখানে পড়ার সময় ঠোঁটের কোণায় হাসি ছিলো না। হিউমারে ঠাসা সংলাপের কারনেই মূলত বইটার প্রতি এই আকর্ষণবোধ কাজ করেছে আমার। বইয়ের প্লটটা বেশ সাদামাঠা। সত্যি বলতে কি রহস্যটা তেমন একটা আহামরি লাগে নি আমার কাছে। নতুনত্বের অভাব ছিলো যথেষ্ট। গোয়েন্দা অভ্রর তদন্ত প্রক্রিয়াটাও স্পষ্ট না। মোটকথায়, রহস্যোপন্যাস হিসেবে পুরোই ব্যর্থ বলা যায়। ভাগ্য ভালো যে এটা কোনো রহস্যোপন্যাস না — কথাসাহিত্য! সহজ, সাবলীল, বুদ্ধিদীপ্ত লেখনীর জোরে লেখক গুণগত মানের পরীক্ষায় উতরে গেছেন ভালোভাবেই। হালকা মেজাজের লেখা হিসেবে পাঁচ তারকা পাওয়ার উপযুক্ত লেখা। আর আমি দিতেও কার্পণ্য করবো না। কেননা পুরো সময়টা উপভোগ করেছি আমি — একদম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। আমার মতে রহস্য নিয়ে আরেকটু কম পেঁচালেও চলতো। তবে তাই বলে কাহিনী ঝুলে পড়ে নি এক ফোঁটা। এখানেই লেখকের সার্থকতা আমার মতে। একটা কথা না বললেই নয়, পুরো লেখা জুড়ে হুমায়ূনীয় সাহিত্যের প্রভাব উল্লেখযোগ্য রকম। শুরুতে হিমু আর শেষের দিকে মিসির আলির ফ্লেভার যে কোনো অন্ধ ব্যক্তিরও চোখে পড়বে! প্লটে নতুনত্বের ঘাটতির পাশাপাশি লেখার স্টাইলে স্বকীয়তার অভাব কিছুটা হতাশাজনকই। দেশে পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের বই আর অনুবাদগ্রন্থের ভিড়ে যাও দু-চারটে মৌলিক উপন্যাস প্রকাশিত হয় তার মধ্যেও হুমায়ূনীয় প্রভাব এত প্রকট হলে বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যতের জন্য এটা একটা চিন্তার বিষয় বটে। যাই হোক, কোন ধাঁচে, কার মত, কিভাবে লিখবে এটা একদমই লেখকের ব্যক্তিগত অভিরুচি। এর মধ্যে আমার বাড়া দেওয়ার অধিকার সিকি আনাও নেই। বইটা পড়ে ভালো লেগেছে এতেই খুশি আমি। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইলো। .

      By Hosneara Yeasmin Ami

      17 Apr 2017 10:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      তিন দশক পুরনো একটা হত্যা রহস্য। যার সাথে জড়িয়ে আছে শতাব্দী পুরনো এক অভিশাপের গল্প। সেই অভিশাপের ফলে বর্তমান প্রজন্মও ভুক্তভোগী। কি সেই অভিশাপ? শতাব্দী প্রাচীন জমিদারবংশের শেষ জীবিত সদস্য জুলফিকার হায়দার চৌধুরী। জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে তার মনে হয় বহুদিন আগে তার পরদাদা জুলমত চৌধুরীর রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ তার জানতেই হবে। সেই সাথে সেই খুজে বের করতে হবে তার পরিবারের উপর ভর করে থাকা অভিশাপের স্বরূপ। আদৌ কি কোন অভিশাপ ছিল? নাকি তিন দশক আগে তার সন্তানের মৃত্যুটার পেছনে গভীর কোন ষড়যন্ত্র আছে? বৃদ্ধ জুলফিকার হায়দার চৌধুরী শতাব্দী প্রাচীন এই রহস্য সমাধানের জন্য অনুরোধ করলেন অভ্রকে। অভ্রকে মনে আছে তো? মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান অভ্র। বাবা, মা আর ছোট বোনকে নিয়ে প্রায় একটা সুখের সংসার। অন্তত টিউশনিটা পাওয়ার আগ পর্যন্ত। আর আফরিনকে সময় দেয়া শুরু করার পর থেকে সত্যি সত্যিই সুখের সংসার যার। জুলফিকার হায়দার চৌধুরীর লোকের সাথে দেখা না করার মানসে রাতবিরেত রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে পুলিশের হাতে পরে অভ্র। ফলাফল হাজতবাস। আর সেখানে রহস্য মানবী চন্দ্রিমার সাথে পরিচয়। চন্দিমার কথায় প্রভাবিত হয়ে অভ্র রাজি হয় জুলফিকার সাহেবকে সাহায্য করতে। কিন্তু সেতো আর গোয়েন্দা না। তাই একজন পেশেদার গোয়েন্দা তারেক ফয়সালের সাহায্য নিয়ে একধাপ এগিয়ে যায়। বাকিটা সমাধানের জন্যে ছাত্রী আফরীন আর কুকুর ভ্যান গগকে নিয়ে পাড়ি জমায় জুলফিকার সাহেবের পৈতৃক নিবাস সূর্যনগরে। অভ্র কি পারবে এই রহস্যের সমাধান করতে? পারবে কি এক অসহায় পিতার কাছে তার সন্তানের মৃত্যুর কারণ বলতে? নাকি রহস্য রহস্যই থেকে যাবে? অভ্র সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি লেখকের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে। সামান্য কিছু অংশ পড়েই প্রবলভাবে আকর্ষিত হয়েছিলাম। অতি উৎসাহে বই অর্ডার করে লেখকের টাইমলাইন থেকে এর আগের লেখাগুলো পিডিএফে পড়েও ফেলেছি। যদিও স্ট্যান্ড অ্যালোন উপন্যাস। তারপরও আগের লেখা আগে পড়তেই ভাল লাগে। অনেকেই বলে হিমু আর মিসির আলির সংমিশ্রণে অভ্র চরিত্র তৈরি। কিন্তু আমার মনে হয়নি তা। একদম ইউনিক না, তারপরও হিমু হিমুই আর মিসির আলি মিসির আলিই। তাদের তুলনা শুধু তারাই। অভ্রর প্রতি একটা অন্যরকম টান অনুভব করেছি। রহস্য আর হিউমার যাদের পছন্দ তাদের ভাল লাগবে। যেমন আমার লেগেছে।।। হ্যাপি রিডিং।।।

      By Kazi Asifuzzaman

      02 Apr 2017 07:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা #Book_Review বইয়ের নামঃ অভ্রত্ব বইয়ের ধরণঃ রহস্য উপন্যাস বইয়ের লেখকঃ আবুল ফাতাহ প্রচ্ছদ ও অলংকরণঃ আবুল ফাতাহ প্রকাশকালঃ অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭ প্রকাশনীঃ রোদেলা প্রকাশনী পৃষ্ঠাঃ ১৬০ মূদ্রিত মূল্যঃ ২২০ টাকা লেখক পরিচিতিঃ লেখক আবুল ফাতাহ’র জন্ম সিরাজগঞ্জে ১৯৯১ সালে। বর্তমানে ঢাকায় থাকেন। শখের বশে লেখালেখি করেন। সেই সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপরও আগ্রহ আছে তার খুব। আলোচ্য বইয়ের প্রচ্ছদটিও তার নিজের করা। বইয়ের প্রচ্ছদ হিসেবে এটিই তার প্রথম কাজ। এখন পর্যন্ত তার লিখিত বইয়ের সংখ্যা ৫ টি। তাছাড়া অনলাইনে তার অসংখ্য ছোট গল্প, উপন্যাস, উপন্যাসিকা ছড়িয়ে আছে! সার-সংক্ষেপঃ 'আমার দাদী বাচ্চা মেয়েটাকে দুপুরে খাইয়ে দাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে নিজেও একটু চোখ বুজছিলেন। জুলমত চৌধুরির অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর বাড়তি একটা সতর্কতার উদ্ভব ঘটেছিল জমিদার বাড়িতে। ভেতর থেকে দরজা আটকেই শুয়েছিলেন দাদী। বিকেলের দিকে আচমকা হই-হল্লার আওয়াজে ঘুম ভাঙতেই দেখেন, পাশে বাচ্চাটা নেই। দরজা হা হা করছে। দাদী দৌড়ে উঠানে যেতেই দেখেন তার নয় বছর বয়সী বাচ্চাটা দিঘির জলে ভাসছে। ছোট্ট হাতে এক গাছি নীল চুড়ি। ঠিক তখন থেকেই অভিশাপ টা পাকাপোক্ত হয়ে বসলো আমাদের পরিবারে....।' প্রায় তিন যুগ আগের এক মৃত্যু রহস্যের সমাধান পেতে মরিয়া জুলফিকার হায়দার চৌধুরি রহস্য সমাধানের দায়িত্ব দিলেন ততোধিক রহস্যময় যুবক কে। শত বছরের জমিদার পতিবারের ইতিহাস খুঁড়তে হবে,যে পরিবারের সাথে জড়িয়ে আছে এক অভিশাপের গল্প। এটি একটি নিছক রহস্য গল্প হয়েই থাকতে পারতো, কিন্তু আফরীন, চন্দ্রিমা আর ভাগ্যবান রা গল্পটাকে নিজের করে নেয়। তবুও সব কিছু ছাপিয়ে এইই গল্পটা অভ্র'র, অভ্রত্বের। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ “অভ্রত্ব” একটি রহস্য উপন্যাস। তবে সাধারণ থ্রিলার বই হিসেবে এটিকে ধরা যাবে না। সাধারণ থ্রিলার গল্পের একধরণের ছক থাকে। লেখক সেই ছকের ভেতরে কাজ করেন। কিন্তু আলোচ্য বইটিতে রহস্যের পাশাপাশি হিউমারও ছিল প্রচুর। গল্পের মূল চরিত্রের নাম অভ্র। লেখক এর আগেও এই চরিত্রটিকে নিয়ে বেশ লেখালেখি করেছেন। বিশেষ করে অনলাইনে। গল্প অনুযায়ী “অভ্র” সাধারণ একজন তরুণ। চাল চলনে হাল্কা হিমুভাব আছে। কিন্তু সেই সাথে লজিকও আছে তার ভেতর। আজব আজব ঘটনার সম্মুখিন হয় সে। হিমুর মত তারও কিছু বাঁধা “ভক্ত” আছে। তার অনুমাণ ক্ষমতা ভালো। রহস্যময়ী ও হাল্কা রসিকতা ভরা কথাবার্তা। তবে লেখক তাকে পুরোপুরি “হিমু” বানাননি। তিনি অভ্র’র যাবতীয় কর্মকান্ডের পেছনের লজিকও ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন। তাছাড়া চরিত্রটি সম্পর্কে লেখক নিজেই বলেছেন, “অভ্র এমন একট চরিত্র যাকে আসলে পুরোপুরি ছকে ফেলা যায় না!” গল্পে সাবলীলতা ছিল বেশ ভালো লাগার মত। উপন্যাসটি যে কোন ছকে বাঁধা নিয়মে লেখা হয়নি তা পড়লেই বোঝা যায়। চিরায়ত রহস্য গল্পের তদন্ত পদ্ধতি বা মারকাট এতে নেই। এখানে লেখক রহস্যের এক আবহ সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। প্রথমে হাল্কা হাল্কা রসিকতা, অদ্ভুত ও মজার পরিবেশ সৃষ্টি, তারপর আস্তে আস্তে এক অদ্ভুত রহস্যে জড়িয়ে যাওয়া, অতঃপর বেশ স্বাভাবিকভাবেই তার সমাধান হওয়া। কোথাও তেমন একটা অতিকথন বা গল্প টেনে লম্বা করা মনে হয়নি। গল্পের আফরীন চরিত্রটিকেও বেশ ভালো লেগেছে। বেশ সুন্দর ও চমৎকার একটি চরিত্র। তদন্তকারীর সাথে থাকলেও “গোয়েন্দা সহকারী” নয় সে। বরং আফরীন পাশের বাড়িতে থাকা সেই সাধারণ মেয়েটিই, যাকে দেখলেই প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করে। তবে লেখক তার লেখনীতে কিছুটা “হুমায়ুনীয় মশলা” দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। খুব ব্যর্থ হয়েছেন তাও না। কিন্তু অনেক পাঠকের কাছে ব্যাপারটি ভালো নাও লাগতে পারে। তবে আমার কাছে একেবারে খারাপ লাগেনি। গল্পটি বেশ উপভোগ্য ছিল। বইয়ে বানান তেমন একটা ভুল ছিল না। ১ টা কি ২ টা জায়গায় ছাপার ভুল চোখে পড়েছে। বইয়ের প্রচ্ছদটি বেশ সুন্দর। আলোচ্য উপন্যাসের সাথে বেশ চমৎকারভাবে মানিয়ে গেছে প্রচ্ছদের ছবিটি। সেজন্য লেখককে আরও একবার অভিনন্দন জানাই। এছাড়া বইয়ের দাম, কাগজের মান, বাঁধাই, ছাপা বেশ ভালো ছিল। সবশেষে তাই এটাই বলব, অভ্রত্ব একটি ভিন্ন স্বাদের উপন্যাস। পড়ে দেখুন। ভালো লাগবে! রেটিংঃ ৪.৫/৫

      By neloy ahmed

      05 Mar 2017 09:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মাঝ রাত্রে রাস্তায় হাটে দুই প্রজাতির মানুষ, হয় পাগল নাহলে নেশাখোর। অভ্র ও রাস্তায় হাঁটছে এই মাঝ রাতে তবে সে দুইটার কোনোটিই নয়, সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে জুলমত চৌধুরীর কাছ থেকে। রাতের বেলা অভ্রকে আবার টহল পুলিশ ধরে, ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই শুরু করে দেয় অভ্রগিরী (অভ্রগিরী কি টা পড়ে বলছি)। কিন্তু কপাল খারাপ, অভ্রগিরীতে লাভ হয় না। তাকে তুলা হয় পুলিশ ভ্যান এ, সেখানে পরিচয় হয়ে যায় এক আঙ্গার সুন্দরীর সাথে নাম চন্দ্রিমা। যাইহোক, এখানে কিছু কাহিনীর পরে অভ্র সেই জুলমত চৌধুরীর কাজ করতে আগ্রহী হয়। কাজটা হচ্ছে, তাদের পরিবারে একটা অভিশাপ আছে জার জন্য অনেকগুলো মৃত্যুও হয় এবং তার মধ্যে জুলমত চৌধুরীর মেয়েও আছে। কিন্তু মৃত্যুটা কি ঐ অভিশাপের জন্য নাকি অন্য কোনও কাহিনী আছে টা বের করতে হবে অভ্রর। রহস্য সমাধান করতে তার সাথে থাকে তার ছাত্রী আফরীন, এবং ভ্যানগগ(অভ্রর একান্ত অনুগত কুকুর)। পরবর্তিতে তারা দেখে যে রহস্যের পেছনে আছে আরও অনেক বড় রহস্য এবং সেটা কি? তা জানতে হলেই পড়তে হবে অভ্রত্ত্ব... প্রতিক্রিয়াঃ রহস্য ছাড়াও কিছুক্ষণ নিজের মত করে উপোভোগ করার মত একটা গল্প হচ্ছে অভ্রত্ব। অভ্রগিরী বলতে এখানে আমার হিমুর একটা পরিপক্ক রুপ মনে হয়েছে তবে কপি করেছেন এমন কিছু মনে হয়নি, আর লেখক কোনও তালগোল পাকাননি ব্যাপারটাতে। গল্পের কাহিনী ভীষন উপভোগ করেছি প্রথম থেকেই আর মৃদু মৃদু হাসির সংলাপ গুলো গল্পকে গতিশীল রেখছে। আর অভ্রের সাথে তার বাসার মানুষ জনের সম্পর্ক, আফরীন এর সম্পর্ক গুলও বেশ সুন্দর ভাবেই উপস্থাপন করেছেন লেখক। মাঝ পথে দুএক বার ভেবেছিলাম কাহিনী আমি নিজেই সমাধান করে ফেলেছি কিন্তু পরে পরে নিজের উপর হতাশ হই, যেভাবে শেষ করেছেন তা অসাধারণ বলতেই হবে, গতানুগতিক ধাচের না।পাঠক ভিন্য স্বাদ পাবেন। তবে একটা কথা হল, এখানে রহস্যের চাইতে অন্যান্য ব্যাপার গুলো সামনে এসেছে বেশি কিন্তু থ্রিল যাই ছিল তাই পাঠককে ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট। আর আবুল ফাতাহ মুন্না ভাইয়ের লিখা অনেক ভাল লেগেছে আর লিখাও বেশ সাবলীল। প্রছদটাও অসাধারণ। তবে বই এর দামটা আরও একটু কম হতেও পারত।আশা করি অভ্রের অভ্রত্ত্ব আর এমন সুন্দর সুন্দর প্রচ্ছদ সামনে আরও পাব।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!