User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
‘সহজ যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি’ বইটি প্রফেসর মোঃ শামসুদ্দিন এর লেখা একটি বই । প্রফেসর মোঃ শামসুদ্দিন টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত দেলদুয়ার থানার দেউলী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন । তিনি ১৯৫৫ সালে টাঙ্গাইলের জামুকী হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এস এস সি পাশ করেন । ১৯৫৭ সালে তিনি করটিয়ার সাদত কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচ এস সি পাশ করেন । পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন । ১৯৬১ সাল থেকে তিনি শিক্ষকতার সাথে যুক্ত হন । ঢাকার পাশে মুন্সীগঞ্জ জেলার হরগঙ্গা কলেজে তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন । পরবর্তীতে তিনি আরো কয়েক স্থানে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন । তার লেখা বই এর সংখ্যা ১২ টির অধিক , যা সবগুলোই অত্যন্ত মুল্যবান বই । তার লেখা সহজ যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় আলেয়া বুক ডীপো প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রকাশক কাওছার আহমেদ । প্রচ্ছদ করেছেন মোবারক হোসেন লিটন । উৎপত্তিগত ভাবে যুক্তিবিদ্যার ইংরেজী প্রতিশব্দ Logic- এর উৎপত্তি হয়েছে গ্রীক শব্দ Logike থেকে। Logike শব্দটি আবার গ্রীক Logos শব্দের বিশেষণ। Logos শব্দের অর্থ চিন্তা বা ভাষা। সুতরাং শব্দগত অর্থে যুক্তিবিদ্যা হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা বিষয়ক বিজ্ঞান। মনোবিজ্ঞানে ‘চিন্তা’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু যুক্তিবিদ্যায় ‘চিন্তা’ বলতে আমরা শুধুমাত্র অনুমানকে বুঝে থাকি। যুক্তিবিদ্যার প্রকৃতি সম্পকে যুক্তিবিদদের মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ থাকার ফলে তারা বিভিন্নভাবে যুক্তিবিদ্যার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। যোসেফের মতে, “যুক্তিবিদ্যা হলো চিন্তার বিজ্ঞান।” হোয়েটলি বলেন, “যুক্তিবিদ্যা হলো যুক্তিপদ্ধতির বিজ্ঞান ও কলা।” এই যুক্তিবিদ্যা নিয়ে বিস্তারিতভাবে লিখেছেন লেখক এ বইটি তে যা যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কে আগ্রহী পাঠকদের নিকট অসাধারন লাগবে, এবং সহজে তারা অনেক কিছুই শিখতে পারবে এই বইটি থেকে ।
Was this review helpful to you?
or
মানুষ চিন্তাশীল জীব। মানুষ যেহেতু চিন্তা করতে পারে তাই জানা থেকে অজানাকে জানার কৌতুহল চিরন্তন। জানার মাধ্যমে অজানাকে জানার মানসিক প্রক্রিয়াকে বলা হয় অনুমান। আর অনুমান ও তার সহায়ক প্রক্রিয়াসমূহ নিয়ে যে বিদ্যা আলোচনা করে তাকে বলা হয় যুক্তিবিদ্যা। অর্থাৎ যে ব্যবহারিক বিজ্ঞান ভ্রান্তিকে পরিহার করে সত্যকে অর্জন করার উদ্দেশ্যে যুক্তিপদ্ধতি বা অনুমান এবং তার সহায়ক প্রক্রিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রন করে তাকে যুক্তিবিদ্যা বলে। উৎপত্তিগত ভাবে যুক্তিবিদ্যার ইংরেজী প্রতিশব্দ Logic- এর উৎপত্তি হয়েছে গ্রীক শব্দ Logike থেকে। Logike শব্দটি আবার গ্রীক Logos শব্দের বিশেষণ। Logos শব্দের অর্থ চিন্তা বা ভাষা। সুতরাং শব্দগত অর্থে যুক্তিবিদ্যা হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা বিষয়ক বিজ্ঞান। মনোবিজ্ঞানে ‘চিন্তা’ শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু যুক্তিবিদ্যায় ‘চিন্তা’ বলতে আমরা শুধুমাত্র অনুমানকে বুঝে থাকি। যুক্তিবিদ্যার প্রকৃতি সম্পকে যুক্তিবিদদের মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ থাকার ফলে তারা বিভিন্নভাবে যুক্তিবিদ্যার সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। যোসেফের মতে, “যুক্তিবিদ্যা হলো চিন্তার বিজ্ঞান।” হোয়েটলি বলেন, “যুক্তিবিদ্যা হলো যুক্তিপদ্ধতির বিজ্ঞান ও কলা।” যুক্তিবিদ্যার সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য ও সন্তেষজনক সংজ্ঞা প্রদান করেছেন জে. এস. মিল। তিনি তার সংজ্ঞায় বলেন, “যুক্তিবিদ্যা হচ্ছে ঐ সব চিন্তন প্রক্রিয়ার বিজ্ঞান, যে প্রক্রিয়াগুলো সাক্ষ্য প্রমাণের উপর নির্ভরশীল; অথাৎ জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়া এবং তার সহায়ক অন্যান্য সব প্রক্রিয়া সম্পর্কীত বিজ্ঞান।” প্রফেসর মো. শামসুদ্দিন প্রণীত ‘সহজ যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি’ গ্রন্থটি যুক্তিবিদ্যা পাঠে নতুন এবং অনন্য সংজজন বলা যায়। ‘সহজ যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি’ লেখকের নতুন কোন অবদান নয়। এর আগে প্রকাশিত লেখকের ‘যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি’ বইটিতে যুক্তিবিদ্যার জন্য জরুরী কিছু বিষয়ের সংজোজন সম্ভব হয়নি বলেই তার এ দ্বিতীয় বইয়ের অবতারণা। লেখক আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন যুক্তিবিদ্যার বিষয়বস্তুকে সহজবোধ্য ভাষায় পাঠকের কিংবা অন্যভাবে বললে শিক্ষার্থীদের জন্য উপস্থাপন করতে। যুক্তিবিদ্যার ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপরে বিস্তর আলোচনা নিয়ে ১৬ ভিন্ন ভিন্ন নামে ভাগ করা হয়েছে ‘সহজ যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি’। নামের সাথে সম্পৃক্ত ‘সহজ’ শব্দটির যথাযথ মর্যাদা রাখতে লেখকের সচেষ্ট শ্রম লক্ষ্যনীয়।