User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রের বিবর্তন, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে একটি বিশ্লেষণমূলক রচনা। বইটিতে কৃষি খাতের বিভিন্ন সময়ের পরিবর্তন, আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং কৃষকের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। লেখক অত্যন্ত দক্ষভাবে কৃষির বিভিন্ন পর্যায়ে প্রয়োগকৃত নীতি ও পদ্ধতির কার্যকারিতা এবং টেকসই কৃষি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
‘সময়ের আবর্তে কৃষি’ বইটি কৃষিবিজ্ঞানী জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস এর লেখা একটি বই । তিনি বাংলাদেশের ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা থেকে মহাপরিচালক পর্যন্ত প্রত্যেকটি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন । তিন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন । স্নতোকত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে । আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট এর স্কলার হিসেবে পি এইচ ডি প্রাপ্ত হন সেন্ট্রাল লুজন স্টেটস ইউনিভার্সিটি এবং IIRI থেকে । জাপানের ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের Post PhD গবেষনা সম্পাদন করেন । তিনি উদ্ভিদ শরীরতত্ত্ববিদ হিসেবে ৩৩ বছরের বেশী সময় ধরে ধান নিয়ে কাজ করেছেন । তিনি এছাড়াও বিভন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য । কৃষি গবেষনা ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ডীরেক্টরস এবং জেনারেল বডির সাবেক সদস্য । উচ্চশিক্ষা , প্রশিক্ষন এবং ওয়ার্কশপে অংশগ্রহনের জন্য একাধিকবার থাইল্যান্ড , ভিয়েতনাম , ইন্দোনেশিয়া , ভারত , জার্মান , রোয়ান্ডা , চীন ও হংকং ভ্রমন করেছেন , অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী করেছেন । লেখক বাংলাতে লেখালেখিতে অভুস্ত , তবে ইংরেজীতে লেখালেখি ও করেন। তার লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরুপ পেয়েছেন অনেক অর্জন , ব্যক্তিগত অর্জনের সাথে রয়েছে প্রতিষ্ঠানিক অর্জন । তিনি বাংলাদেশ একাডেমী অফ এগ্রিকালচার স্বর্নপদক পেয়েছেন । তার লেখা সময়ের আবর্তে কৃষি বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় নবরাগ প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রকাশক আবদুল মালেক ।প্রচ্ছদ করেছেন সহিদুল ইসলাম রনি । বইয়ের লেখাসমুহ সমসাময়িক কৃষি নিয়ে লেখা হয়েছে । একটি দৈনিক সংবাদে এতি লেখা হয়েছিল কলাম আকারে কয়েক বছর আগে । লেখকের কৃষির সঙ্গে সম্পর্ক আজন্ম । তিনি তার পেশা জীবনেও বেছে নিয়েছেন কৃষি , যা বেশ কষ্টসাধ্য ও ঝুকিপুর্ন । তিনি তার পেশা জীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে লিখেছেন এই বই , যার পাঠক হতে পারে কৃষক , কৃষিবিদ , ছাত্র , শিক্ষক , সাধারন যে কোন মানুষ । কারন কৃষি সম্পর্কে সকলেরই জানার আগ্রহ থাকতে পারে । অসাধারন এ কৃষি নির্ভর বই সকলেরই উপকারে আসবে ।
Was this review helpful to you?
or
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাসের লেখা ”সময়ের আবর্তে কৃষি”।বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের মানুষের প্রধান পেশা তাই কৃষি। আমাদের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে এই কৃষির উপর নির্ভর করেই। কৃষিপ্রধান দেশ হলেও আমাদের কৃষি ও কৃষকের সমস্যার শেষ নেই। একটি জাতীয় দৈনিকের কৃষিবিষয়ক বিভাগ পরিচালনা করতে গিয়ে সারাদেশের চাষিভাইদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সমস্যাকেন্দ্রিক অগণিত চিঠি পাই। এ সব চিঠি থেকে দেখা যায়, চাষবাস কিংবা খামার করার আধুনিক করাকৌশল সম্পর্কে ধারণা নেই অনেক চাষিভাইদেরই। কোন কাজ কখন কীভাবে করলে বেশি ফলন পা্ওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কেও অনেকে খুব একটা অবগত নয়। কৃষি খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠা ‘শ্রমিক সংকট’ মোকাবেলায় জোর দেয়া হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির ওপর। জমি চাষ থেকে ফসল মাড়াই- সমগ্র প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি। ‘কৃষি বিপ্লব’ বেগবান করতে সরকারের নজর এখন প্রযুক্তির দিকে। বর্তমানে কৃষি প্রযুক্তিতে বিপ্লব আনতে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। কৃষি খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠা ‘শ্রমিক সংকট’ মোকাবেলায় জোর দেয়া হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির ওপর। জমি চাষ থেকে ফসল মাড়াই- সমগ্র প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক যন্ত্রাংশের ব্যবহারে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। এখন কম জমিতে চাষাবাদ করে অনেক বেশি ফসল পাওয়া যাচ্ছে। আর এসব প্রযুক্তির বড় অংশই দেশে উদ্ভাবিত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম সংযোজনের একটি হচ্ছে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল কাটা, খোসা থেকে দানা আলাদা করা যায়। এ কারণে বিভিন্ন স্থানে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনায় কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। ছোট আকৃতির ধানি জমি চাষেও রয়েছে এর ব্যবহার। এছাড়া বীজ বপন, সার প্রয়োগ ও কীটনাশক ছিটানোর জন্যও রয়েছে ব্রডকাস্ট সিডার। নির্দিষ্ট অবস্থানে বীজ বপনের জন্য আছে সিডড্রিল। জমির শক্ত মাটি কর্ষণের জন্য সাব সয়লার, ধান কিংবা অন্যান্য ফসলী বীজ শুকানোর জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রায়ার যন্ত্র। ধান, গম, ভুট্টা শুকাতেও ব্যাচ ড্রায়ার নামক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া শস্য কাটার জন্য রয়েছে পাওয়ার রিপার মেশিন। বীজ ঝেড়ে পরিষ্কারের জন্য আছে ইউনার যন্ত্র। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে প্রতিবছর গড়ে ৩ কোটি মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়। তবে উৎপাদন থেকে বাজারজাত পর্যন্ত এর প্রায় ১৪ শতাংশই নষ্ট হয়। এর পরিমাণ প্রায় ৪২ লাখ টনের মতো। যদি চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তি শতভাগ ব্যবহার সম্ভব হয়, তাহলে এ ক্ষতি দূর করা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।