User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইঃইরাবতী লেখকঃহরিশংকর জলদাস প্রকাশনীঃ মাওলা ব্রাদার্স মূল্যঃ১৬০ টাকা হরিশংকর জলদাসের জম্ম চট্টগ্রামের উত্তর পতেংগার জেলেপল্লীতে।সামাজিক ভাবে অপমানিত হয়ে মধ্যবয়সে লিখতে বসেন তিনি।বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় একজন লেখক। তার সব বই অসম্ভব সাড়া পেলেছে পাঠক মহলে।তার জনপ্রিয় বইগুলোর মধ্যে রয়েছেঃদহনকাল,জলপুত্র,ইরাবতী, কসবি,রামগোলাম,আমি মৃণালিনী নই,প্রতিদ্বন্ধী,একলব্য,মোহনা,লুচ্চা, হৃদয়নদী,রঙ্গশালা,সুখলতার ঘর নেই,এখন তুমি কেমন আছ,কোনো এক চন্দ্রাবতী,কৈবর্তকথা,কাঙাল,মৎস্যগন্ধা,প্রস্থানের আগে, অর্ক ইত্যাদি।তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরষ্কার, ২০১৯ সালে একুশে পদক সহ দেশের আরো অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পুরুষশাসিত সমাজে নারীর অবস্থানটা কোথায়, এই আধুনিক যুগেও?এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজেছেন হরিশংকর জলদাস ইরাবতী উপন্যাসে। ইরাবতী উপন্যাস টি প্রেমের আবার অপ্রেমেরও।মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ইরাবতী। পরিচয় হয় সুরজিতের সঙ্গে।প্রেম হয় দুই জনের মধ্যে। সুরজিতের ভেতরের আর বাইরের রূপ এক নয়।সাধারণত ধনীপুত্ররা যেরকম হয়,সুরজিত সেইরকমই।বিয়ে হয় ইরাবতী-সুরজিতের।কন্যা হয় একটি। তারপর ছারখার হয়ে যায় ইরাবতীর জীবন। শুরু হয় টিকে থাকার সংগ্রাম,কন্যাকে বাঁচিয়ে রাখার সংগ্রাম।পুরুষশাসিত বাঙালি সমাজে ইরাবতী কীভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে তারই আখ্যান তুলে ধরেছেন লেখক এই উপন্যাসে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম : ইরাবতী লেখক : হরিশংকর জলদাস মূল্য : ১৬০ টাকা পৃষ্ঠা : ৯৪ কলেজ শিক্ষিকা ইরাবতী হঠাৎ ই একদিন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন পায়। জানতে পারে তার শ্বাশুড়ি মিত্রা দত্ত মারা গেছেন। এই একটি মাত্র কথা এক ঝটকায় তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়, তার ফেলে আসা অতীতে। সুরজিত দত্ত, মিত্রা ও মিহির দত্তের ছোট ছেলে। তার সাথে অনেক বছরের প্রেমের পর বিয়ে হয় ইরাবতীর। স্বপ্নময়ী ইরাবতীর প্রথম কয়েকমাস বেশ ভাল কাটে। ঘুরে-বেড়িয়ে, মধ্যরাতে জ্যোৎস্না দেখে রাত-দিন গুলো পেরিয়ে যেতে থাকে ইরাবতী আর সুরজিতের। তারপর একসময় ইরা বুঝতে পারে, তাদের মধ্যে আসতে চলেছে আরেকজন। সেই সংবাদেও সুখে ভেসে যায় ইরাবতীর বাবার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি। শ্বাশুড়ীর চাপে কয়েকমাস পরই আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জেনে নেয় ইরাবতী, তাদের ঘর আলো করে ছেলে না মেয়ে আসতে চলেছে। আর তারপরই পরিবর্তন হয়ে যায় দৃশ্যপট। বদলাতে থাকে স্বামী, শাশুড়ি, সংসার সব কিছু। ইরাবতী হয়ে ওঠে সকলের চক্ষুশূল। বিপর্যস্ত ইরাবতী বুঝে উঠতে পারেনা কি করবে। না পারে মানিয়ে নিতে, না পারে সেই সংসারে বাস করতে। তারপর কি হয় ইরাবতীর? কি ঘটে জীবনে? পাঠ পতিক্রিয়া : কয়েকদিন আগে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে এনেছিলাম হরিশংকর জলদাসের " ইরাবতী " বইটি। হরিশংকর জলদাস বেশ পরিচিত একটি নাম। অনেক স্থানেই তার লেখার প্রশংসা শুনেছি। তবে এই বইটি পড়ে যারপরনাই হতাশ হলাম। সবার আগে যেই অনুযোগ টি তা হলো, তার লেখনী আমাকে টানতে পারেনি মোটেও। গল্পের কাহিনী গতানুগতিক হলেও, লেখার কৌশল লেখাকে পাঠক কে সেই বইয়ের সাথে আটকে রাখতে পারে। এই বইটি পড়ে মনে হলো নিতান্তই কাঁচা হাতের লেখনী। ভাবলাম, হতে পারে এইটিই লেখকের প্রথম বই। কিন্তু বইয়ের গায়ে দেখলাম প্রথম প্রকাশ ২০১৭ সাল লেখা। যাই হোক, কাহিনী মোটামুটি ভালই ছিল। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থান কেমন সেটাই বুঝাতে চেয়েছেন তিনি। মাঝে মাঝে স্বাদ পরিবর্তনের জন্য আপনারা পড়ে দেখতে পারেন। আমার ভাল না লাগলেও আপনাদের হয়ত ভাল লাগতে পারে
Was this review helpful to you?
or
‘ইরাবতী’ হরিশংকর জলদাসের লেখা একটি বই । হরশংকর জলদাস এর জন্ম ১৯৫৫ সালে চট্রগ্রামের পতেঙ্গায় । তিনি অধ্যাপনার কাজে ছিলে, পরে বিভিন্ন সমস্যার কারনে সেই কাজ ছেড়ে হাতে কলম তুলে নেন এবং একে একে লিখে ফেলেন কয়েকটি অসাধারন বই । তিনি সবসময় দলিত মানুষদের নিয়ে লেখালেখি করেন । তিনি নিজেও প্রান্তিক সমাজের মানুষ, অসাধারন নিজস্ব ভাষা দিয়ে তিনি তার কথাসাহিত্যের জগত তৈরী করেছেন । সাহিত্যকর্মের জন্য পেয়েছেন আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার, ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য ইত্যাদি । কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন ২০১২ সালে । ইরাবতী বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুআরি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক । প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ । আমাদের এই পুরুষ শাষিত সমাজে নারীদের অবস্থান কোথায় ? বর্তমান যুগে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটা বেশ কঠিন ।এই প্রশ্নেরই উত্তর খুজেছেন লেখক ইরাবতী বইটি তে । বইটি একাধারে প্রেমের আবার অপ্রেমেরও । ইরাবতী এক মধ্যবর্তী পরিবারের মেয়ে । তার পরিচয় হয় সুরজিত নামের এক ছেলের সাথে । তাদের মধ্যে এক সময় প্রেমের সম্পর্ক হয় । সুরজিত এর বাইরের আর ভেতরের চরিত্র এক নয় , আলাদা । এক সময়ে তাদের বিয়ে হয় , সংসার হয় , এক মেয়ে জন্ম নেয় তাদের সংসারে । এর পরে ছাড়খার হয়ে যায় ইরাবতীর সংসার । শুরু হয় তার বেচে থাকার সংগ্রাম , মেয়ে কে বাচিয়ে রাখার সংগ্রাম । পুরুষশাষিত এই সংসারে ইরাবতী কি পাবে তার সন্মান ? জানতে হলে পড়তে হবে অসাধারন এ উপন্যাস টি ।
Was this review helpful to you?
or
ইরাবতী বইটি মূলত একটি উপন্যাস, আমার পড়া হরিশংকর জলদাসের প্রথম বই। বইয়ের মূল চরিত্র ইরাবতী, খুব মায়ামাখা নাম- একটি নদীর নামে নাম। ইরাবতী বইয়ের গল্পটি ইরাবতীর প্রেমের গল্প, ইরাবতীর সংগ্রামের গল্প, ইরাবতীর আত্মসম্মানবোধ-বিবেকবোধ এবং ভালোবাসার গল্প। বাবার আদরের মেয়ে ইরাবতী তরুণী বয়সে প্রেমে পরে ধনী পরিবারের ছেলে সুরজিতের। একজন রুচিশীল মেয়েকে আকর্ষণ করার সব যোগ্যতাই ছিলো সুরজিতের। পড়তে উৎসাহ দেয়া, প্রতিষ্ঠিত হতে উৎসাহ দেয়া, কিছুতেই কমতি রাখে নি সুরজিত। এক পর্যায়ে পারিবারিক সম্মতিতেই বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর বেশ কিছুদিন সুখে থাকলেও বিপত্তিটা বাধে তখন যখন জানা যায়, ইরাবতী এক কন্যাসন্তানের মা হতে চলেছে। স্বামী সুরজিতের আসল রূপ বেরিয়ে আসে, শ্বাশুড়ির সংসার অসহনীয় হয়ে ওঠে। একদিকে নিজের ব্যক্তিত্ব, পড়াশোনা, আত্মমর্যাদাবোধ, অন্যদিকে সংসার- কী করবে ইরাবতী? জানতে হলে পড়তে হবে হরিশংকর জলদাসের লেখা এই বইটি। অত্যন্ত সহজ-সাবলীল ভাষা প্রয়োগ, বাহুল্য বিবর্জিত চরিত্র চিত্রায়ন এবং নির্মেদ গদ্যই এ বইয়ের মূল আকর্ষণ। পড়তে পড়তে পাঠকের বিরক্তি বোধ করার সম্ভাবনা নেই, গল্পের স্রোতেই পড়া এগিয়ে যাবে। গল্পের শুরুটা বেশ আকস্মিক এবং চমকপ্রদ, একজন শিক্ষিকা হিসেবে ইরাবতীর বিচক্ষণতা এবং দক্ষতার প্রচ্ছন্ন চিত্রও পাওয়া যায় সেখানে। স্বল্পদৈর্ঘ্য এ বইটি পড়তে খুব বেশি সময়ও নেবার কথা নয়। পুরুষশাসিত এই সমাজে একজন নারীর অবস্থান কোথায়- এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই হরিশংকর জলদাসের এই গল্পের অবতারণা। ইরাবতী এক যোদ্ধা নারীর গল্প, এক হার না মানা নারীর সংগ্রামের কাহিনী। ইরাবতী সেই নারী- যার মত হবার স্বপ্ন দেখি আমরা প্রত্যেক নারীই। কেউ কেউ হতে পারি, কেউ পারি না। পার্থক্য এখানেই।