User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Laxmi Akter

      31 Oct 2020 10:44 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অদ্ভুত সব গল্পগুলো আসলেই অদ্ভুত। ৫টি গল্পের সমন্বয়ে বইটি তৈরী। সবগুলো গল্পই আমার কাছে ভাল লেগেছে। অবাস্তব গল্পগুলোকে বাস্তবের রুপ দেয়ার নামই হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদ। স্যারের বই মানেই যেন অন্য এক জগতে হারিয়ে যাওয়া।

      By MD. Alamgir Kabir

      08 May 2020 02:09 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অদ্ভুত সুন্দর গল্পগুলো।

      By mostafizur rahman

      16 Nov 2016 04:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আসলেই সব গুলোই কিরকম অদ্ভুত আর মজাদার। এরকম গল্প শেষ করতে মন চায়না ইচ্ছে করে সারাটি জীবন যদি এই গল্পগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হত তাহলে কি মজাটাই না হত। বইয়ে মোট গল্প আছে ৫ টি। সব গল্পগুলো অসম্ভব রকম অসাধারণ। ১ম গল্প "গুনীন" এই গল্পে বলা হয়েছে একজন জ্বীন সাধকের কথা। যেনার পেশা মন্ত্রবলে জ্বীনদের মাধ্যমে ছড়ানো অসুখ ভালো করা। কিন্তু আসলেই তিনি কোন মন্ত্র জানেন না। তারপরও মিথ্যা বলে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিগত দিনগুলোতে ব্যাবসা করেছেন রমরমা। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা খুবই করুন। নিজের স্ত্রীকে নিয়ে সুখে থাকা তো দূরের কথা দুবেলা আহার জোটানো দায়। স্ত্রী সবসময় গুনীননে গালমন্দ করেন তার বর্তমান পেশার জন্য। সবসময় বলেন যদি তিনি সত্যিই জ্বীন সাধনা করেন তাহলে সোনার কলসি নিয়ে আসতে তার বাধা কোথায়? কিন্তু গুনীন সোনার কলসি নিয়ে আসতে পারেনা কারন তার ব্যাবসা মিথ্যা। তবে তার এই মিথ্যা ব্যবসায় একদিন সত্যি সত্যি এক পরী এসে হাজির। পরীর কারনে পাল্টে গেল গুনীনের জীবনে মোড় ..... এরপরের ঘটনা আরো মজাদার পাল্টে যাওয়া গুনীনের জীবন কেমন ছিল জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে। ২য় গল্পের নাম আয়না। আয়না গল্পে শওকত সাহেবের জীবন কাহীনি বর্ননা করা হয়েছে। এবং সেইসাথে তার কাছে একটা আয়না আছে যে আয়নায় একটা ছোট্ট মেয়ে থাকে এবং কাপড়ের অভাবে শীতে কাপতে থাকে। সেই আয়নার ভিতর মেয়েটিকে নিয়েই মূলত গল্প। ৩য় গল্প : কুদ্দুসের একদিন এই গল্পে কুদ্দুস পত্রিকা অফিসের লোকদের জন্য চা বানায়। মূর্খ এই লোকটির জীবন অনেক দুঃখের তবে বর্তমানে তার অবস্থা একটু ভাল। সবসময় একাকী থাকে দুকুলে কেউ নেই। এই লোক একদিন লিফটের গন্ডগোলের কারনে চলে যায় অন্য এক জগতে আর তারপর ঘটতে থাকে রোমাঞ্চকর সব ঘটনা। এরপর ৪র্থ এবং ৫ম গল্প আরো ইন্টারেস্টিং এবং মজাদার। আশাকরি এইসব গল্প আপনাদের ভীষন ভালো লাগবে।

      By Nahid Farhana

      17 Oct 2016 04:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পাঁচটি ছোট ছোট গল্পের সমাহারে রচিত এই বইয়ের প্রতিটি গল্পেই আছে রহস্যের ছোঁয়া, তাইতো বইয়ের নাম ‘অদ্ভূত সব গল্প’। কিছুটা বাস্তব, কিছুটা অতিপ্রাকৃত এই গল্পগুলির পরিসর খুব বেশি বড় না হলেও রহস্যের কোন কমতি ছিলনা; লেখক অল্প কথায় ব্যক্ত করেছেন জটিল সব পরিস্থিতি। গুণীন চান্দ শাহ ফকিরকে দিয়ে এই বইটির শুরু। অসুস্থ স্ত্রী ফুলবানু আর এক কিশোর সাগরেদ মোবারককে নিয়ে তার অভাবের সংসার। তেলপড়া, কড়িচালান, বাটিচালান, চুনপড়া, তাবিজ, বশীকরণ, জ্বীনসাধনা, পরীসাধনা, যাদুটোনা, মারণ, উচাটন কি না জানে এই চান্দ শাহ্ ফকির, কিন্তু তবু তার কদর নাই; লোকমুখে তার তাচ্ছিল্যের নাম চান্দু। এমনকি স্ত্রী ফুলবানুও তার তন্ত্রমন্ত্র-জ্বীনসাধনার কথা শুনলে বারুদের মত জ্বলে উঠে। তার একমাত্র ভক্ত মোবারক; মোবারক সত্যিই বিশ্বাস করে যে তার ওস্তাদ খাটি গুণীন, কিন্তু ফুলবানুর মতে সে ঠগ, ভন্ড, প্রতারক ছাড়া আর কিছুই না। চান্দ শাহ্ ফকির নিজেও কি তা মন থেকে অস্বীকার করতে পারে? কিন্তু সে যাই হোক, শ্রাবন মাসের এক মধ্যরাতে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে দিশাহারা হয় এই ভন্ড গুণীন। বইয়ের দ্বিতীয় গল্পের নাম আয়না। এই গল্পের মূল চরিত্র হচ্ছেন মধ্যবয়স্ক শওকত আলী আর এক ছোট্ট মেয়ে চিত্রলেখা। চাকরি আর টানাটানির সংসার নিয়ে জেরবার শওকত আলীর সুখ-সুবিধার দিকে খেয়াল রাখার সময় কারো নেই। এমতাবস্থায় এক রহস্যজনক উপায়ে চিত্রলেখার সাথে তার পরিচয়; ছোট্ট এই মেয়েটির প্রতি এক প্রগাড় মমতা অনুভব করেন এই নিঃসঙ্গ প্রৌঢ়, যদিও চিত্রলেখার অস্তিত্ব নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। কিন্তু “অদ্ভুত সব গল্প” শিরোনামের বইয়ের গল্পগুলোও কিছুটা অদ্ভুত হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। ‘কুদ্দুসের একদিন’ গল্পে দেখা যায় যে কিভাবে বাহান্ন বছরের কুদ্দুস এলিভেটরের মাধ্যমে ভুল করে চলে যায় ভিন্ন এক জগতে। ত্রিমাত্রিক জগত থেকে চতুর্মাত্রিক জগতে পদার্পণ তার জন্য শুভ না অশুভ তা বই পড়লেই জানা যাবে। নুরুদ্দিনকে ঘিরে ‘ভাইরাস’ গল্পের আবর্তন। আপাতদৃষ্টিতে সুখী এই মানুষ ভিড়ভাট্টা একদম পছন্দ করেন না, তাই খাওয়ার সময়ও নির্জনতা খোজেন। আশ্বিনের এক দুপুরে সেই নির্জনতায় ব্যাঘাত ঘটায় অচেনা এক লোক, যে নিজেকে ভ্যাম্পায়ার বলে দাবী করে। সেই সাথে নুরুদ্দিন সম্পর্কে জানায় একটি বিস্ময়কর অজানা তথ্য। এই বইয়ের সর্বশেষ গল্প ‘নিজাম সাহেবের ভূত’। নাম দেখেই কাহিনী কিছুটা আন্দাজ করে নেয়া যায়। এখানে দেখা যায় যে বাজার ফেরত নিজাম সাহেবের উপর দিয়ে দশ টনি এক ট্রাক চলে যাওয়ার পর তিনি আবিষ্কার করলেন যে তিনি মরে ভূত হয়ে গেছেন। তারপর মোতালেব নামের এক আত্মার কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন ভূতজীবনের নানা দিক। কাহিনী কিন্তু এখানেই শেষ নয়, শেষের চমকটা নাহয় বই পড়েই জেনে নিন। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ হুমায়ূন আহমেদের অতিপ্রাকৃত গল্প-উপন্যাস আমার সবসময়েরই প্রিয়। তার সাবলীল ভাষায় ফুটে উঠে ভয়াল পরিবেশের চিত্র, তাই তাঁর অন্যান্য রহস্য গল্পের মত এই বইটিও আমার খুব ভাল লেগেছে। আর সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে ‘ভাইরাস’ গল্পটি।

      By Wasifa Zannat

      03 Aug 2016 08:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গুণীন : যে সব ফকির মন্ত্র তন্ত্র নিয়ে কাজ করে,তাদের সাধারণ মানুষদের মত হলে চলে না। তাদের দেখে যাতে সাধারণ মানুষ ভয় ভীতি পায়, ভক্তি শ্রদ্ধা করে সেভাবে চলতে হয়। গুণীন চান্দ শাহ্ ফকির, এটি অবশ্য তার আসল নাম না। তার আসল নাম সেকান্দর আলি।গ্রামের কেউ তাকে গুণীন হিসেবে ভক্তি শ্রদ্ধা করে না। এতে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলতে ফেলতে বউ এর কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করে।---আয়না : শওকত সাহেব সকালে দাড়ি সেভ করতে গিয়ে গাল কেটে ফেলেন। এই এক মাসে তিনি চারবার গাল কাটলেন।সমস্যাটা আয়নার।ভাল দেখা যায় না।অনেকবার তার স্ত্রীকে বলেছেন নতুন একটা আয়না কিনতে কিন্তু তার স্ত্রীরর মনে থাকে না। মনে না থাকার কারণ আয়না অন্য কেউ ব্যবহার করে না শওকত সাহেব একাই করেন ছোট এই আয়নাটা।---কুদ্দুসের এক দিন : মোহম্মদ আব্দুল কিদ্দুস খুবই ছোট একটা কাজ করে।এক পত্রিকা অফিসে সম্পাদকের চা সিগারেট আনা নিয়া।তিনি ষোলো বছর ধরে এই রকম ছোট খাটো কাজ করে।কিছু দিন এক চোরের অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেছে।---ভাইরাস : নুরুজ্জামান সাহেব একা মানুষ। স্ত্রী গত হয়েছেন, দুই মেয়ে দেশের বাইরে থাকে।নুরুজ্জমান সাহেব সারাদিন এখানে সেখানে ঘুরে বেরান। একা একা তার খারাপ লাগে না অভাস হয়ে গেছে একা থাকার।---নিজাম সাহেবের ভূত: নিজাম সাহেব একদিন বাজার করে ফিরবার সময় অ্যাকসিডেন্ট করেন।তার উপর দিয়ে একটি ট্রাক চলে যায়। নিজাম সাহেব মরে গিয়ে ভূত হয়ে যান।

      By jami jahan

      24 Jan 2017 09:56 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অদ্ভূত সব গল্প! নাম টাই কেমন জানি! কিন্তু না, কথা টাই সত্যি। কেমন জানি গল্প গুলো। অন্যরকম, একেবারে অন্যরকম।বইটি ছোট, কিন্তু পাঁচটি গল্প আছে। আর সব গুলোই অন্যরকম অদ্ভূত টাইপ।বইয়ের শুরুর গল্পটা এক ফকির এর। গল্পের নাম "গুনীন"।ফকির কিন্তু মন্ত্র জানতো, তার নাকি দুইটা জ্বীন ও ছিলো। ফকির এর নাম চান্দ শাহ। তবে এটা তার সত্যিকার নাম নয়। এছাড়া তার আরও একটা নাম আছে। কিন্তু ফকির কে কেউ দাম দেয় না। কেউ তার তন্ত্র মন্ত্র বা জ্বিন কে ভয় পায় না। কেন না ফকির এর মতো ওগুলোও ছিলো নিষ্ক্রিয়। তার স্ত্রী ফুলবানু অসুস্থ। সারাদিন বিছানায় পরে থাকে। সেও ফকির কে কথা শোনায়। আগে একটু কম শোনাইতো কিন্তু দিন দিন বাড়ছে। এখন আর কোন লাগাম নেই। কিন্তু একদিন হলো কি...কি হলো...? গল্প পড়লেই জানা যাবে। তারপরের গল্প "আয়না"শওকত সাহেব ইস্টার্ন কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার। সকাল বেলায় দাড়ি কাটতে গিয়ে, গাল কেটে ফেলেছেন।আসলে উনি যে আয়না দেখে দাড়ি শেইভ করেন, এটা অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। তাই ঝাপসা দেখায়, এর ফলে তিনি রেজার আন্দাজে টান দিয়েছেন। আর তাতেই গাল কেটে গেছে। তিনি গালে হাত দিয়ে বসে আছেন। ভাবছেন একদিন ও মনে থাকে না তার আয়না কিনে আনতে। আর পুরোনো আয়না দিয়ে দাড়ি কাটতে গিয়ে তিনি বারবার গাল কেটে বসে থাকেন। গাল থেকে হাত নামিয়ে দেখতে চাইলেন রক্ত পরা কমল কিনা। আয়নায় তাকিয়ে দেখেন একটা ছোট ফুটফুটে মেয়ে লাল ফ্রক পরে বসে আছে। তিনি ঘাড় উল্টো করে দেখলেন কেউ আছে কিনা। কিন্তু না নেই। আবার তাকাতেই মেয়েটি তাকে বলল, আপনার গাল কেটে গেছে। তিনি অবাক হলেন। তিনি তো পাগল হয়ে যান নি। আসলেই কি আয়না তে এই মেয়েটা ছিল...? কি জানি..তিন নাম্বার গল্প টার নাম "কুদ্দুসের এক দিন" মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস, তার নামেই নাম করন এই গল্পের। তিনি পত্রিকা অফিসে কাজ করেন। তার বয়স বাহান্ন। গত ৩৬ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন চাকরি করেছেন। সবই ফালতু কাজ। কিছু দিন তিনি এক চোরের অ্যাসিসটেন্ট ও ছিলেন। তবে এত কাজের মধ্য পত্রিকা অফিসে কাজ টা বেশ ভালো। তেমন কোন কাজ না, ছোট কাজ।চা বানানো, সম্পাদক সাহেবের জন্য চা বানানো, ড্রাইভার তেল নেবে তার সঙ্গে যাওয়া এরকম টালটু ফালটু কাজ। সে রাতে পত্রিকা অফিসেই ঘুমায়। সকাল বেলা উঠেই সদ্য খবর কাগজ পড়ে, তাও আবার বিনা পয়সায়। আর একারনে সে নিজেকে খুব হিংসা করে। এক সকালে পত্রিকার কালামে দেখল আজকের দিন কেমন যাবে। কুদ্দুস ধনু রাশি আর তার রাশি মতো সে পড়ে দেখল কেমন যাবে তার দিন। গল্প পড়তে পড়তে আমরাও জানবো তার দিন টা কি করে গিয়েছিলো।চারনাম্বার গল্প টা হলো "ভাইরাস" গল্পটা নুরুজ্জামান সাহেবের। বর্তমানে তিনি খুব সুখী মানুষ। বীমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। অবসর পেয়েছেন। আশ্বিন এর এক দুপরে লালবাগের কেল্লা দেখে। একটা রেস্টুরেন্ট ঢুকলেন খাবেন বলে। তখনি এক লোক এসে তার টেবিলে বসলেন। এইলোক টার সাথে কিছু কথা হলো। সে কথা গুলোও অদ্ভূত। পাঁচ নাম্বার গল্পের নাম "নিজাম সাহেবের ভূত"এই গল্পটার কথা নাই বললাম। বই পড়ার সময়ই জানা যাবে নিজাম সাহেব এর ভূতের কথা। আর তার অদ্ভূত সব কর্মকান্ড। গল্পগুলো পাঠক পড়লেই বুঝতে পারবেন, কত টা অদ্ভূত এর কাহিনী গুলো। সব থেকে মজা লাগছে আয়না গল্পটা। এই গল্পের পিচ্চি মেয়েটার জন্য খারাপ লাগছে। আবার নিজাম সাহেবের ভূত গল্পটাও বেশ আকর্ষনীয়। হুমায়ুন আহমেদ বাংলাদেশ এর অন্যতম কথাসাহিত্যিক।তিনি উপন্যাস, নাটক, গল্প ইত্যাদি রচনা করেছেন।তাঁর গল্প গুলো শুধু মাত্র শিশুতোষ বলা যায় না, কেন না এই গল্প গুলো সব বয়সী পাঠকদের জন্য। এবং এগুলো বেশ উপভোগ্য। তার গল্পের রস সকলকেই সমান ভাবেই আকর্ষন করে।

      By Mutasim Uddin

      16 Apr 2014 12:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদের ‘অদ্ভুত সব গল্প’ বইটি ১৯৯৬ সালের মে মাসে পার্ল প্রকাশনী থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। ‘অদ্ভুত সব গল্প’ বইটি পাঁচটি অতিপ্রাকৃত ছোটগল্পের এক অসাধারণ সংকলন। জীবনের সৌন্দর্য আর প্রকৃতির রহস্যের ব্যাপারে হুমায়ূন আহমেদের আজীবন আগ্রহ সর্বজনবিদিত। তাই তাঁর লেখা গল্প-উপন্যাসে বার বার এই রহস্যময়তার আখ্যান উঠে এসেছে। ‘অদ্ভুত সব গল্প’ বইটিও সে রকমই একটি সংকলন। এখানে স্থান পাওয়া পাঁচটি ছোটগল্প হল ‘গুণীন’, ‘আয়না’, ‘কুদ্দুসের এক দিন’, ‘ভাইরাস’, ‘নিজাম সাহেবের ভূত’। ‘গুনীন’ গল্পটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হল চান্দ শাহ ফকির। এটা অবশ্য তার আসল নাম না – নকল নাম। তার আসল নাম হল সেকান্দর আলী। চান্দ শাহ ফকিরের পায়ে কিছু সমস্যা থাকার কারণে সে বেশি চলাফেরা করতে পারে না। বাড়ির সামনের গাছের নিচে বসে থেকেই তার বেশিরভাগ সময় কাটে। তবে তার মুখ খুব সচল। সে যাকে পায় তার সাথেই তার যৌবনকালের গুণীন জীবনের গল্প রসিয়ে রসিয়ে খুব আগ্রহ নিয়ে বলে। অবশ্য তাকে কেউই খুব বেশি পাত্তা দেয় না। তার স্ত্রী ফুলবানু তো তার উপর রীতিমত বিরক্ত। তবে এক রাতে, যখন আকাশে ছিল কৃষ্ণপক্ষের মরা চাঁদ তখন চান্দ শাহ ফকিরের জীবনে সত্যি সত্যি-ই এক আজব ঘটনা ঘটে। কী হয়েছিলো সে রাতে, তা জানতে হলে গুণীন গল্পটি পড়তে হবে। ‘আয়না’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র শওকত সাহেব মাঝবয়েসী মানুষ। বেশ স্বাভাবিক চলছিলো তার জীবন-যাপন। কিন্তু হঠাৎ একদিন এক পুরনো আয়নায় তিনি আবিস্কার করেন চিত্রলেখা নামের একটি ছোট্ট মেয়েকে। যে কিনা, আয়নাতেই থাকে! এরপর সৃষ্টি হয় এক অসাধারণ রহস্যের ধুম্রজাল। এই রহস্যের ব্যাপারে জানতে হলে পড়তে হবে ‘আয়না’ গল্পটি। ‘কুদ্দুসের এক দিন’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস একটি পত্রিকা অফিসে ছোট-খাট কাজ করে। একদিন কুদ্দুসের সম্পাদক সাহেবের একটা চিঠি একজনের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্যে ইস্টার্ন প্লাজার নয়তলায় যাবার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কুদ্দুস মূল সমস্যায় পড়ে লিফটে উঠে। লিফট কুদ্দুসকে নিয়ে এক আশ্চর্য জগতে এসে পৌঁছায়। এই জগত হল চতুর্মাত্রিক বস্তুজগত। সেই জগতের প্রাণীরাও কুদ্দুসকে নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে যায় এই ভেবে যে, সে কীভাবে তাদের জগতে এলো। তাকে কীভাবে ফেরত পাঠানো যায়। এই সমস্যার শেষে কী সমাধান হয় তা জানার জন্যে পাঠককে ‘কুদ্দুসের এক দিন’ গল্পটি পড়তে হবে। ‘ভাইরাস’ এবং ‘নিজাম সাহেবের ভূত’ গল্প দুইটির কোন কাহিনী সংক্ষেপ আর আমি দিলাম না। কারণ গল্পগুলোর কাহিনী সংক্ষেপ তুলে ধরার পিছনে আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল এই ছোটগল্পগুলোর আঙ্গিক সম্পর্কে পাঠককে অবগত করা যাতে তারা এই বইটি পাঠে আগ্রহী হয়ে ওঠে। আমার ধারণা এই তিনটি গল্পের কাহিনী সংক্ষেপ পড়েই উৎসাহী পাঠকদের নড়েচড়ে উঠার কথা। তবে শেষ দুইটি গল্পের ব্যাপারে এতটুকু বলতে পারি, এই দুটি গল্পও আগের তিনটি গল্পের মতই অদ্ভুতুড়ে প্রকৃতির। সব পাঠকদের এক অদ্ভুত, রহস্যময় আনন্দের জগত থেকে ঘুরে আসার জন্যে আমার নিমন্ত্রণ থাকলো।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!