Our User Product Reviews

nice story, nice characters, the ending was a bit confusing though

Khob valo

nice

বইটি খুব আনন্দ পেলাম

আমার পড়া ভৌতিক গল্পের মাঝে সবচেয়ে বাজে ভৌতিক গল্প এটি, ভূত ধরলো কিভাবে, কেনো ধরলো, আসলেই মেয়েটি পজেস্ট নাকি মানুষিক সমস্যা আর পজেস্ট হলেও শেষে সে কিভাবে ঠিক হলো তার কিছুই উল্লেখ নেই। গল্পের শুরুটা দারুন ছিলো, মানুষিক রোগ নাকি পিচাশ ভর করেছে তা নিয়ে বই এর মাঝামাঝিতে অনেক কনফ্লিক্ট হয়েছে, কিন্তু শেষে এসে গল্পটি সম্পূর্ণ বদহজম এর কাজ করেছে। হুট করেই সমস্যা শুরু হুট করেই শেষ। এক কথায় থার্ডক্লাস

Good Service

like

onk taratari delivery peyechi,,,,,,,,,,,akhono pore dekhini,mone hochche onk beshi interesting hbe.....................thanks rokomari

nice

Nice

ক্লাসিক উপন্যাস, হুমায়ুন আহমেদের স্বাদে ...

ভাল অনুবাদ!

প্রথমত বলি হূমায়ুন আহমেদের অনুবাদের কথা, অনেক সুন্দর করে অনুবাদ করেছেন তিনি। এরপর আসি গল্পটা সত্যি অনেক রোমাঞ্চকর, শেষ অবধি খুব উত্তেজনার মধ্যে ছিলাম।

অসাধারন একটি বই। হুমায়ূন আহমেদ চিরচরিত লিখার ধরন থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি লিখা। বইটি পড়ার সময় গা ছম ছম ও ভৌতিক অনুভূতির সৃস্টি হয়।

Valo chilo

বেস্ট

ভাল

এই বই অনেক সুন্দর . আমার ভালো লাগছে. এাটার ভেতরে কিছুটা ভয় আর রহস্যের ব্যপার রয়েছে . এই বই পড়লে ভালো লাগবে আমি আশা করি .

Awesome Book...

nice book

I don't even know why I bought this. I watched the film prior and still bought it. unfortunately Humayun Ahmed failed to capture the essense of the original even with his killer writing accent.

গা ছমছমে ?

হুমায়ূন স্যারের ভাবানুবাদ বেশ লেগেছে। বইটি পড়তে বসে প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। ❤️

nice book

বইয়ের নাম:দি একসরসিস্ট পৃষ্ঠা:১০২ মধ্য রাতে শুয়ে শুয়ে চিত্রনাট্যের সংলাপ মুখস্থ করছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ক্রিস ম্যাকনীল।হঠাৎ তিনি শুনতে পেলেন, তার মেয়ে রেগানের ঘর থেকে অদ্ভুত রকমের শব্দ শুনা যাচ্ছে। অদ্ভুত রকমের এই শব্দের উৎস খোঁজার জন্য তিনি রেগানের ঘরের সামনে যান,এবং একটানে দরজা খুলে ফেলেন।আর আশ্চর্য;চারিদিক চুপচাপ হয়ে গেল সঙ্গে সঙ্গে। এই ঘটনার কিছুদিন পর তিনি রেগানের মধ্যে অদ্ভুত রকমের পরিবর্তন দেখলেন। রেগানের মধ্যে পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে তাদের সাথে অদ্ভুত ও আধ্যাত্মিক কিছু ভৌতিক কান্ড ঘটতে শুরু করল যা বইয়ের শেষ পর্যন্ত ছিল। বইটিতে ভৌতিক ব্যাপারগুলির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করা হয়েছে, যা আমার ভালো লেগেছে।

দ্যা এক্সরসিস্ট পিটার ব্লেটি অনুবাদঃ হুমায়ূন আহমেদ লজিক আর অ্যান্টি লজিকের দোলাচলের মধ্য দিয়ে এগোতে থাকা এক পিশাচ কাহিনী। এটি মূলত পিটার ব্লেটির পিশাচ কাহিনীর হুমায়ূন আহমেদ কর্তৃক ভাবানুবাদ। এক বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী ক্রিসের মেয়ে রেগান। বয়স এগারো। হঠাৎ করে তার মধ্যে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিতে লাগল। প্রথমদিকে সে এক কাল্পনিক চরিত্রের সাথে একা একা কথা বলত। কিছুদিন পর অস্বাভাবিকতার মাত্রা বাড়ল। মানসিকভাবে সে একেবারেই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ল। তার ঘরেও যেন কিছু একটা আছে যেজন্য ঘর সবসময় শীতল হয়ে থাকে। রাতে ঘুমের মধ্যে তার খাট কাঁপে। ক্রিস তার মেয়েকে ডাক্তার দেখাল। ডাক্তারেরা রেগানের শারীরিক সবধরনের সম্ভাব্য রোগ বিশ্লেষণ করলেন। পাওয়া গেল না কিছুই। সাইক্রিয়াটিস্টের শরণাপন্ন হয়েও লাভ হল না কোন। ওদিকে ক্রিসের বাড়িতে এক সন্ধ্যায় খুন হয়ে গেল এক চলচ্চিত্র পরিচালক। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, মানসিক ভারসাম্যহীন রেগানের হাতেই খুনটা হয়েছে। কিন্তু রেগানের সমস্যাটা কি? শারীরিক বা মানসিক সমস্যা না থাকার মানে তো তার ওপর শয়তান আছর করেছে। শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে তার দরকার এক্সরসিজম বা তার ওপর গুণ করা। এক নাস্তিক পাদ্রী কারাস যে কিনা একজন মনোবিদও, অস্বীকৃতি জানাল এক্সরসিজম করতে। সে নতুন করে বৈজ্ঞানিকভাবে বের করার চেষ্টা করতে লাগল রেগানের সমস্যার সমাধান। বিভিন্ন থিওরিও দাঁড় করাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই এক্সরসিজমই করতে হয় রেগানকে। পাদ্রী মেরিন এবং কারাসের মতো দক্ষ লোকেরাও হার মেনে যায় এই পিশাচের কাছে। শেষে তাঁদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে রেগান ফিরে পায় তার স্বাভাবিক জীবন।

এক বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী ক্রিসের মেয়ে রেগান। বয়স এগারো। হঠাৎ করে তার মধ্যে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিতে লাগল। প্রথমদিকে সে এক কাল্পনিক চরিত্রের সাথে একা একা কথা বলত। কিছুদিন পর অস্বাভাবিকতার মাত্রা বাড়ল। মানসিকভাবে সে একেবারেই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ল। তার ঘরেও যেন কিছু একটা আছে যেজন্য ঘর সবসময় শীতল হয়ে থাকে। রাতে ঘুমের মধ্যে তার খাট কাঁপে। ক্রিস তার মেয়েকে ডাক্তার দেখাল। ডাক্তারেরা রেগানের শারীরিক সবধরনের সম্ভাব্য রোগ বিশ্লেষণ করলেন। পাওয়া গেল না কিছুই। সাইক্রিয়াটিস্টের শরণাপন্ন হয়েও লাভ হল না কোন। ওদিকে ক্রিসের বাড়িতে এক সন্ধ্যায় খুন হয়ে গেল এক চলচ্চিত্র পরিচালক। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, মানসিক ভারসাম্যহীন রেগানের হাতেই খুনটা হয়েছে। কিন্তু রেগানের সমস্যাটা কি? শারীরিক বা মানসিক সমস্যা না থাকার মানে তো তার ওপর শয়তান আছর করেছে। শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে তার দরকার এক্সরসিজম বা তার ওপর গুণ করা। এক নাস্তিক পাদ্রী কারাস যে কিনা একজন মনোবিদও, অস্বীকৃতি জানাল এক্সরসিজম করতে। সে নতুন করে বৈজ্ঞানিকভাবে বের করার চেষ্টা করতে লাগল রেগানের সমস্যার সমাধান। বিভিন্ন থিওরিও দাঁড় করাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই এক্সরসিজমই করতে হয় রেগানকে। পাদ্রী মেরিন এবং কারাসের মতো দক্ষ লোকেরাও হার মেনে যায় এই পিশাচের কাছে। শেষে তাঁদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে রেগান ফিরে পায় তার স্বাভাবিক জীবন।

দি একসরসিস্ট এমন একটি কাহিনি যার পুরোটা জুড়ে রয়েছে রহস্য আর ভৌতিকতায় ঠাসা। কাহিনীর প্রধান চরিত্র রেগান। রেগান হচ্ছে বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী ক্রিসের মেয়ে।রেগানের বয়স এগারো বছর। এখান থেকে রহস্য আর ভৌতিকতার বেগ পেতে থাকে।আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, মানসিক ভারসাম্যহীন রেগানের হাতেই খুনটা হয়েছে। কিন্তু রেগানের সমস্যাটা কি? শারীরিক বা মানসিক সমস্যা না থাকার মানে তো তার ওপর শয়তানের প্রকোপ রয়েছে, শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে তার দরকার একসরসিস্ট করা। এক নাস্তিক পাদ্রী কারাস যে কিনা একজন মনোবিদও, অস্বীকৃতি জানাল একসরসিস্ট করতে। সে নতুন করে বৈজ্ঞানিকভাবে বের করার চেষ্টা করতে লাগল রেগানের সমস্যার সমাধান। বিভিন্ন থিওরিও দাঁড় করাল। কিন্তু শেষ অব্দি কি রেগানের সমস্যাটাকে যুক্তি দিয়ে বিচার করা যাবে নাকি একসরসিস্ট করতে হবে? শেষে রেগান আর কারাসের পরিণতিই বা হবে? কাহিনীর শেষে কি নতুন করে আবির্ভাব হবে কারো? এসবের উত্তর পেতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে দি একসরসিস্ট উপন্যাস। দি এক্সরসিস্ট' এর ফিনিশিং নিয়ে আমি সন্তুষ্ট হতে পারিনি☹। একটি যুক্তিবাদী ফিনিশিং আশা করছিলাম কিন্তু বাস্তবে দেখা মিলল তার সম্পূর্ণ বিপরীত ফলাফলের।

ভালোই বইটা

খুবই ভাল

wow

Boita niachilam kamkiali kore boita hate paoar por bes valoi lagchilo. Boita bes interesting firstly porte birokto lagcilo tarpor o porlam. boita step step keo jodi dorjo sohokare anek kisu jante parbe.Amar akta bad habit ase ami horror fiction porle anek problem hoto rate ghum hoto na aro anek kisu jai hok boitar bapera kisu bola Zak boitai father karas ar character ta and father Marin er character ta amar bes valo legese.?

১ টি স্টার, বই টা অসম্পূর্ণ ... নাকি আমি ভুল বুঝতে পারছি না। হয়তো আমার কপিতে পৃষ্ঠা কিছু বাদ পড়ে গেছে। লেখকের / লেখনি নিয়ে লেখার ধৃষ্টতা নাই। গল্পের গতি সত্যি আকর্ষণীয় ...

দারুণ বইটি। হুমায়ুন স্যার কিছুটা ছোট করে লিখেছেন। বইটা পরার পর মুভি দেখার অনুরোধ রইল।

ভালো ছিল না। হুমায়ুন আহমেদের এই একটা বই পড়েই হতাশ হলাম। তিনিও বলেছেন শুধুমাত্র টাকার জন্য এক রাতের মধ্যে অনুবাদ করেছিলেন বইটি। যাই হোক, এক রাতের অনুবাদ ভালো হয়নি। তাও এই বই বিক্রি হবে। কেমন খারাপ অনুবাদ এটা বোঝার জন্য হলেও কিনবে অনেকে। স্বাগতম তাহাদের!

বইটি পিশাচ কাহিনী হলেও ভৌতিক ব্যাপার গুলো বেশ যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। দি একসরসিস্ট মূল লেখক পিটার ব্লেটি। আমার ভৌতিক কাহিনীর প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। বইটি হুমায়ূন আহমেদ অনুবাদ করেছিলেন মিসির আলী চরিত্রটি সৃষ্ঠির আগে। মিসির আলীর বইগুলোতে যেমন লজিক আর অ্যান্টি লজিকের কথা আছে, তেমন এই উপন্যাসেও কিন্তু লজিক আর অ্যান্টি লজিকের পরস্পর বিরোধিতা আছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এই উপন্যাসে কারাস চরিত্রটি একেবারে মিসির আলীর মত করেই ভৌতিক বিষয়গুলোর যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পাদ্রী কারাসের চরিত্রটিকে আমার খুব আকর্ষনিয় মনে হয়েছে। রেগান নামের ছোট একটি মেয়ে হঠাৎ অস্বাভাবিক আচরন করতে আরাম্ভ করে। মানসিকভাবে সে একাবারেই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে রেগানের সমস্যার সমাধান জন্য পাদ্রী কারাসের দৃশ্যপটে আগমন ঘটে। লজিক আর অ্যান্টি লজিকের মধ্য দিয়ে এগোতে থাকা এক আশ্চর্য পিশাচ কাহিনী।

When I was 12, the movie was forbidden. What my parents matter-of-factly declared too scary, friends confirmed with added notes of hysteria: "Nothing more terrifying!" "The most horrifying film ever made!" "People pass out!" In Provo, Utah, where I grew up, Mormon children — and in my world that meant all of my friends — reported how just a glimpse resulted in actual, irreversible possession. No one, though, had explicitly forbidden the book. And one day I found it — on one of those unvisited shelves that at some point cross over from being a place about reading to a plank consigned to storage — beside a copy of The Joy of Sex and something called Slaughterhouse-Five. Still, I was careful not to let my parents know that I was now in possession of this Bantam edition with its glossy purple cover framing a curiously enigmatic image. It had hues of apricot, and was gauzy in a way that was vaguely feminine, even erotic. It was nothing like the movie poster — with that silhouette of Father Merrin, the Jesuit priest, about to enter the house of the possessed girl, brim hat on, valise in hand, caught in a hazy beam of light. In another context the illumination might have suggested something promising and welcoming rather than the dim dread that poster still evokes in me.

‘দি একসরসিস্ট’ পিটার ব্লেচির পিশাচ কাহিনীর ভাবানুবাদ। বইটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্তই লজিক আর এন্টি লজিক এর খেলা দিয়ে ভরা যা অত্যান্ত রোমাঞ্চকর লাগবে পড়লে । বইটি অনুবাদ করেছেন বিংশ শতাব্দীর বাঙালী জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মাঝে অন্যতম হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা কয়েকটি উপন্যাস একত্রিত করে সম্পাদন করা একটি বই । লেখক হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের লেখক দের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক । তিনি কিছু বিখ্যাত উপন্যাস চরিত্রের স্রষ্টা । তার সৃষ্ট চরিত্র হিমু, মিসির আলী, শুভ্র ইত্যাদি পাঠক দের মাঝে অত্যান্ত জনপ্রিয় । লেখক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় জন্মগ্রহন করেন । তিনি একাধারে একজন লেখক , নাট্যকার গীতিকার ছোটগল্পকার । তিনি তার কর্মক্ষেত্রের সবখানেই তার প্রতিভার ছাপ রেখে গেছেন । অনূদিত এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে ১৯৯২ সালের একুশে বইমেলা তে । বইটির প্রকাশক শরীফ হাসান তরফদার এবং প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ । বইটিতে ভৌতিক ব্যাপারগুলোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করা হয়েছে যা ভালো লাগবে । এক বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী ক্রিসের মেয়ে রেগান। বয়স এগারো। হঠাৎ করে তার মধ্যে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিতে লাগল। প্রথমদিকে যে এক কাল্পনিক চরিত্রের সাথে একা একা কথা বলত। কিছুদিন পর অস্বাভাবিকতার মাত্রা বাড়ল। মানসিকভাবে সে একাবারেই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ল। তার ঘরেও যেন কিছু একটা আছে যেজন্য ঘর সবসময় শীতল হয়ে থাকে। রাতে ঘুমের মধ্যে তার খাট কাঁপে। ক্রিস তার মেয়েকে ডাক্তার দেখাল। ডাক্তারেরা রেগানের শারীরিক সবধরনের সম্ভাব্য রোগ বিশ্লেষণ করলেন। পাওয়া গেল না কিছুই। সাইক্রিয়াটিস্টের শরণাপন্ন হয়েও লাভ হল না কোনো । এভাবেই গল্পটি এগিয়ে যায় লজিক আর এন্টি লজিকের ব্যাপার নিয়ে যা পাঠকদের কনফিউজড করে দিতে পারে । অসাধারন এ অনুবাদ গ্রন্থটি যে কারো কাছেই ভালো লাগবে ।

এক বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী ক্রিসের মেয়ে রেগান। বয়স এগারো। হঠাৎ করে তার মধ্যে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিতে লাগল। প্রথমদিকে যে এক কাল্পনিক চরিত্রের সাথে একা একা কথা বলত। কিছুদিন পর অস্বাভাবিকতার মাত্রা বাড়ল। মানসিকভাবে সে একাবারেই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ল। তার ঘরেও যেন কিছু একটা আছে যেজন্য ঘর সবসময় শীতল হয়ে থাকে। রাতে ঘুমের মধ্যে তার খাট কাঁপে। ক্রিস তার মেয়েকে ডাক্তার দেখাল। ডাক্তারেরা রেগানের শারীরিক সবধরনের সম্ভাব্য রোগ বিশ্লেষণ করলেন। পাওয়া গেল না কিছুই। সাইক্রিয়াটিস্টের শরণাপন্ন হয়েও লাভ হল না কোন। ওদিকে ক্রিসের বাড়িতে এক সন্ধ্যায় খুন হয়ে গেল এক চলচ্চিত্র পরিচালক। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, মানসিক ভারসাম্যহীন রেগানের হাতেই খুনটা হয়েছে। কিন্তু রেগানের সমস্যাটা কি? শারীরিক বা মানসিক সমস্যা না থাকার মানে তো তার ওপর শয়তান আছর করেছে। শয়তানের হাত থেকে বাঁচতে তার দরকার এক্সরসিজম বা তার ওপর গুণ করা। এক নাস্তিক পাদ্রী কারাস যে কিনা একজন মনোবিদও, অস্বীকৃতি জানাল এক্সরসিজম করতে। সে নতুন করে বৈজ্ঞানিকভাবে বের করার চেষ্টা করতে লাগল রেগানের সমস্যার সমাধান। বিভিন্ন থিওরিও দাঁড় করাল। কিন্তু শেষ অব্দি কি রেগানের সমস্যাটাকে যুক্তি দিয়ে বিচার করা যাবে নাকি এক্সরসিজমই করতে হবে? শেষে রেগান আর কারাসের পরিণতিই বা হবে? কাহিনীর শেষে কি নতুন করে আবির্ভাব হবে কারো? এসবের উত্তর পাওয়া যাবে এক্সরসিজম উপন্যাসে। এটি মূলত পিটার ব্লেটির পিশাচ কাহিনীর হুমায়ুন আহমেদ কর্তৃক ভাবানুবাদ। প্রথমেই বলতে হবে, অনুবাদটি হয়েছে সর্বোচ্চমানের। হুমায়ুন আহমেদ যদি সাহিত্যের এই শাখার সাথে নিয়মিতভাবে জড়িত থাকতেন, তবে এদেশের অনুবাদশিল্প যে এতদিনে অনেকদূর এগিয়ে যেত তা বলাই বাহুল্য। যাইহোক, এবার 'দি এক্সরসিস্ট' এর মূল কাহিনী নিয়ে কথা বলি। অনেকেই হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলী বিষয়ক রচনাগুলোর সাথে মিল পাবেন এই উপন্যাসের। মূলত 'দি এক্সরসিস্ট' এর অনুবাদের অভিজ্ঞতাই কিন্তু হুমায়ুন আহমেদকে অনুপ্রাণিত করেছিল এইধরণের আদিভৌতিক বিষয়কে যুক্তিসঙ্গতভাবে মিসির আলী সিরিজের মাধ্যমে তুলে ধরতে। মিসির আলীর রচনায় যেমন লজিক আর অ্যান্টি লজিক বিশেষ জায়গা পেয়েছে, তেমন এই উপন্যাসেও কিন্তু লজিক আর অ্যান্টি লজিকের পরস্পর বিরোধিতা এবং এ বিষয়ে কারাস চরিত্রের মাধ্যমে সিদ্ধান্তহীনতার দোলাচল ফুটে উঠেছে। কারাস চরিত্রটি একেবারে মিসির আলীর মত করেই ভৌতিক বিষয়গুলোর বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা প্রদানের চেষ্টা করেছে, যদিও কারাস চরিত্রের জন্ম আসলে মিসির আলীর আগেই। এ থেকেও পাঠক নিজেরা একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারেন। সে ব্যাপারে আমি নতুন করে কিছু নাই বা বললাম। কিন্তু এ কথা অনস্বীকার্য যে, হুমায়ুন আহমেদ নিজে যেমন আকর্ষিত হয়েছিলেন নাস্তিক পাদ্রী কারাসের চরিত্রের ব্যাপারে, তেমন অন্য পাঠকেরাও এই চরিত্রটিকে পছন্দ করবে। পাশাপাশি পুলিশ ইনভেস্টিগেটর মিঃ কিণ্ডারম্যানের চরিত্রটিও বেশ মনোমুগ্ধকর। তবে সার্বিকভাবে 'দি এক্সরসিস্ট' এর ফিনিশিং নিয়ে আমি সন্তুষ্ট হতে পারি নাই। একটি যুক্তিবাদী ফিনিশিং আশা করছিলাম কিন্তু বাস্তবে দেখা মিলল তার সম্পূর্ণ বিপরীত ফলাফলের। তাই তো এই 'দি এক্সরসিস্ট' এর জনরা হিসেবে বেছে নিতে হচ্ছে 'ভৌতিক' বা 'আদিভৌতিক'।