User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Masrora Ahammed Mahim

      21 Mar 2025 11:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Best?

      By MD Sadman Hossain Saifi

      17 Feb 2025 02:08 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      boita khub taratari paisi...Condition o valo boier... Tnx to Rokomari

      By Ikhtiar Uddin Galib

      20 Nov 2024 02:36 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      স্ত্রীর দৃষ্টিতে মহানায়ক বিবেচিত না হওয়ায় হৃদয়ের এক কোণে সূক্ষ্ম কষ্ট বাসর রাত থেকেই প্রধান চরিত্র মিজানের ছিলো। স্ত্রীর প্রতি ছিল তার অপরিসীম ভালোবাসা। পঞ্চমীর চাঁদ উঠেছে এমন এক রাতে একজন পেশাদার আবৃতিকারকের মত আবৃত্তি করতে না পারার ঈর্ষায় এক বছর ধরে স্ত্রী হত্যার এবং লাশ নিশ্চিহ্ন করার নিখুঁত পরিকল্পনা করে মিজান। পরিকল্পনা মাফিক হত্যা করতে পারলেও লাশ নিশ্চিহ্ন করার আগে তীব্র অনুশোচনা হ্যালুচিনেট করতে থাকে। এভাবেই এগিয়ে যায় গল্পের কাহিনী।

      By Shoeb Crk

      06 Nov 2024 03:35 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রিয় লেখক এবং প্রিয় বই,ধন্যবাদ

      By সিঁথি

      05 Nov 2024 07:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একজন পোসেসিভ হাসব্যান্ড এর অপ্রত্যাশিত এবং ভয়ানক কান্ড নিয়ে লেখা একটা অন্যতম চমকপ্রদ্দ বই এটি ! অবশ্যই পড়ে দেখার মতো.......3

      By Kaiser Jahan

      13 Aug 2024 02:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Boi ta Khub vlo legeche.

      By Shukrity pritha

      04 Sep 2024 08:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Boi ta valo lage ni 1st time Humayun Ahmed er kono boi baje legese

      By Nafiul Alam Rafin

      17 Feb 2024 12:00 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেরা সেরা সেরা সেরা

      By Lamisa Nur

      22 Oct 2022 01:30 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসম্ভব সুন্দর

      By Rejoy

      12 Oct 2022 08:52 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এটা যে হূমায়ুন আহমেদের লেখা বই বিশ্বাসই করা যাবেনা। সাধারণত হুমায়ুন আহমেদ যে ধরনের বই লেখেন সেসব বই থেকে আলাদা বইটা আর লেখনীটা। প্রথম দিকে বেশ থ্রিল লেগেছে, ঘটনা কি হচ্ছিলো কোনদিকে যাবে কিছুই বোঝা যাচ্ছিলোনা বরং একটা থ্রিলিং মোমেন্ট হার্টবিট ওঠানামা করছিলো মনে হচ্ছিলো। সেরা একটা বই।

      By Mushfika Tabassum

      18 Sep 2022 09:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Khub sndr

      By SAD VERSION

      04 Jun 2022 01:07 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মোটামুটি

      By Sheikh Al Zihad

      31 Mar 2022 01:12 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব একটা ভালো লাগেনি।

      By Miftahul Jannat

      26 Oct 2021 08:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      boi ti onk taratari peyechi....thanks rokomari

      By Rakib Hasan

      01 Aug 2021 08:12 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      best

      By Musfika Jannat

      08 Jul 2021 07:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সত্যি বলতে সাধারণ ঘটনাকে কীভাবে আকর্ষণীয়ভাবে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করা যায় তা হুমায়ুন আহমেদ স্যারের থেকে ভালো হয়তো কেউ জানতেন না।তাঁর লেখা পড়ে আমি বরাবরের মতোই মন্ত্রমুগ্ধ।ঘৃণা,ভয়,বিস্ময় সব মিলিয়ে দারুণ অনুভূতি জাগিয়ে বইটি।?

      By Mahedi Hassan Rafin

      28 Jan 2021 09:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Not a huge fan of Humayun Ahmed but this book was really awesome. Really brought out the feeling of what happens in a normal man's mind when he murders someone close. Really amazing how he brought it up. Recommend people to play it.

      By Mashrub Mahin

      06 Mar 2020 09:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Awesome Book...

      By Md. Nur Nobi

      16 Jan 2020 08:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লোকটি তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু এ ভালোবাসা সত্ত্বেও সে তার স্ত্রীকে ঠিকভাবে চিনতে পারে নি, বুঝতে পারেনি নিজের স্ত্রীকে। তার স্ত্রীর ছিল অনেক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে মেলামেশা। আর এখানেই লোকটির সন্দেহ। আর এই সন্দেহের আড়ালে লোকটির প্রতি তার স্ত্রীর ভালোবাসা চাপা পড়ে যায়। সে বুঝতেই পারে না তার স্ত্রী তাকে কতটা ভালোবাসে। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সে খুন করে তার নিজের স্ত্রীকে। সেই সাথে খুন করে আরো একটি অনাগত প্রাণ, স্ত্রীর গর্ভে থাকা নিজের সন্তানকেই যার কথা লোকটি নিজেই জানত না। কিন্তু পরে সে তার ভুল বুঝতে পারলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে একটি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ ধ্বংস করে পুরো পরিবারটিকেই।

      By Suraiya Masud

      11 Jan 2020 02:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Book ta age thekei onak famous popular. Onak Keith ei boi kinte o Porte dekhechi. Dam kom thakay kina possible hoyeche. Golpo ta valo chilo mainly same ekta story English writer likhechilo ray banglay likhay amra pore moja peyechi. Humaun age thekei fvrt chilo ache thakbe

      By Maria Kabir

      18 Dec 2019 12:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একটু অন্যরকমের হরোর গল্প। ওথেলো সিনড্রোমে ভোগা একজন মানুষের মানসিক অবস্থা এখানে লেখক তার সুন্দর লেখনী দিয়ে প্রকাশ করেছেন। আমার কাছে বইয়ের শেষ লাইনটা বেশি ভালো লেগেছে।

      By prity das

      15 Dec 2019 12:02 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের কলম থেকে উঠে আসা অনবদ্য এক ভৌতিক উপন্যাস 'যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ'। মিসির আলী সিরিজের মতোই এই উপন্যাসেও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে রহস্য আর মানবমনের জটিল মনস্তত্বের ছাপ। এই উপন্যাসকে যতোটা না ভৌতিক, ঠিক ততোটাই মনস্তাত্বিক হিসেবে আখ্যা দেয়া যায়। একটা খুন করার পর খুনীর সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশন কেমন হতে পারে, সেটার বেশ ভালো একটা ধারণা পাওয়া যায় এই উপন্যাসে। গল্পের মূল চরিত্র, মিজান। যে কিছুক্ষণ আগে তার স্ত্রীকে খুন করেছে। তার স্ত্রী রুবা,প্রচুর সৌখিন ও মজলিসি টাইপের মেয়ে। তার অগণিত বন্ধুবান্ধব। সারাক্ষণ বন্ধুবান্ধব নিয়ে মেতে থাকাটা সহজভাবে নিতে পারে নি স্বামী মিজান। তাছাড়া রুবার সম্পূর্ণ বিপরীত গুণে গুণান্বিত মিজান। বাইরের পরিবেশে নিজেকে গুটিয়ে রাখতো, কারো সাথে কখনো সহজ হয়ে মিশতে পারতো না। আর নিজের চেহারা নিয়ে সারাক্ষণ মনঃকষ্টে ভুগতো। মূলত এই চিন্তা থেকেই তার মনে সন্দেহ আসে, রুবা তাকে ছেড়ে একদিন চলে যাবে। এই চিন্তা থেকেই স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করা এবং শেষ পর্যন্ত রুবার মৃত্যু..!! আসলে সে নিজেও জানে না কেন সে স্ত্রীকে মেরে ফেলতে চাচ্ছে বা মেরে ফেললো..!! যাই হোক, মেরে ফেলার কাজটা খুব সহজেই সম্পন্ন করতে পারলেও লাশটা গুম করাই হলো ব্যাপার। দীর্ঘ এক বছর ধরে পরিকল্পনা করা থাকলেও বিশাল এক সমস্যায় পরে গেলো মিজান। হঠাৎ করেই দেখতে পেলো তার মৃত স্ত্রী উঠে হাটাঁহাটি করছে, কথা বলছে, পানি খেতে চাচ্ছে..!! শুধু এইই নয়, নিজের ফেলে আসা অতীতও চোখের সামনে চলে আসছে। তবে কি এটা মিজানের হ্যালুসিনেশন.!

      By Naeemul Ahsan

      21 Nov 2019 10:54 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই এর প্লট এত টা বিস্তৃত না। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর কলমের যাদুতে বইটা তাঁর থ্রিলার জনরার অন্যতম বইগুলোর একটি হয়ে গেছে। বইটার কাহিনী শুধু একটি রাত কে ঘিরে। পুরো বই জুড়ে থ্রিল এর vibe রয়েছে । বইয়ের ডিটেইলিং আর প্যারানরমালিটির একটা ছাপ বইটিকে আর বেশি প্রাঞ্জল করেছে

      By Syed Brinto

      19 Nov 2019 02:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একটি অসামান্য বোধ ছিল, গল্পের শুরুটা ঠিক কোথা থেকে করলে তা সম্পূর্ণরূপে পাঠক আকর্ষক হবে তা তিনি খুব ভাল করেই জানতেন। এই গল্পটিকে তার সেই বোধের উৎকৃষ্ট প্রমাণ হিসেবে ধরা যায়। মূল ঘটনাপ্রবাহে প্রবেশ করতে লেখক অতিরিক্ত একটি শব্দও ব্যবহার করেননি এখানে। এতকিছু থাকতে কবি জীবনানন্দের "আট বছর আগের একদিন" কবিতার লাইনকেই হুমায়ূন আহমেদ কেন গল্পটির নাম হিসেবে ব্যবহার করলেন? এর একটি সার্বজনীন উত্তর হলো আদ্যোপান্ত দুর্ভেদ্য বিষাদময়তা দুটো রচনাকেই একসূত্রে গেঁথেছে, সেক্ষেত্রে গল্পটির এরচেয়ে আর উপযুক্ত নাম দেয়া সম্ভব ছিল না। আর ভাবগত দিক থেকেও গল্প আর কবিতাটির মাঝে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে, কবিতাটি যারা পড়েছেন তারা সহজেই বুঝতে পারবেন। জনরার দিক থেকে গল্পটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের কাতারে পড়ে। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, থ্রিলার লিখতে বসেও লেখক তাঁর স্বভাবসুলভ প্রেম, আবেগ কিংবা হাস্যরসকে উপেক্ষা করেননি। একজন হুমায়ূনের ছোঁয়া যে গল্পটিতে আছে তা স্পষ্টতই বোঝা যায়। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে সুখকর মানসিক পীড়নের মধ্য দিয়ে পাঠককে যেতে হবে তা এক অর্থে উৎকৃষ্ট সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারেরই বৈশিষ্ট্য। চৌষট্টি পৃষ্ঠার গল্পের প্লটটি খুবই সীমিত পরিসরের, ব্যপ্তি এর ভাবগত গভীরতায়। শুরুতেই দেখা যাবে পেশায় একাউন্টেন্ট মিজান তার স্ত্রীকে খুন করে ফেলেছেন। এ খুন আকস্মিক রাগ বা দুর্ঘটনাজনিত নয়, বরং ঠাণ্ডা মাথার দীর্ঘসময়ের পরিকল্পনার ফল। পুরো গল্পটি উত্তম পুরুষে মিজানের কণ্ঠেই বর্ণিত। খুনের পর ক্রমাগত মিজানের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন এবং অভিযোজনই গল্পের মূল উপজীব্য। আগেই বলেছি, গল্পের প্লটটি খুব বেশি বিস্তৃত নয়, কাজেই কাহিনী নিয়ে খুব বেশি ধারণা দিতে পারছি না- শেষে আবার স্পয়লার না লিখে ফেলি এই ভয়ে! বইটি শেষ করে প্রথমেই যে প্রশ্নটি আমার মাথায় আসল তা হলো- নিজেই একজন খুনি না হলে হুমায়ূন আহমেদ খুনিদের মনস্তত্ত্বকে এত নিখুঁতভাবে বুঝলেন কি করে? অবশ্য পরক্ষণেই মন আমাকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল- বিভূতিভূষণ যদি জীবদ্দশায় আফ্রিকায় পা না ফেলেও "চাঁদের পাহাড়" লিখে যেতে পারেন, তাহলে খুন না করেও খুনির মনস্তত্ত্ব বোঝা হুমায়ূনের জন্য কঠিন হবে কেন? প্রসঙ্গটা তুললাম এজন্যই কারণ মনস্তাত্ত্বিক বিবরণের ক্ষেত্রে লেখক যে সূক্ষ্মতার পরিচয় দিয়েছেন তা এককথায় চমৎকার। পাঠক উপযোগিতার প্রসঙ্গে আসি। এটি পুরোপুরি প্রাপ্তবয়স্কদের বই। দাম্পত্য সম্পর্কের জটিল বিষয়াবলি, সেই সাথে খুনের বিবরণ এবং আরও কিছু বীভৎসতা- সবমিলিয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও যারা মানসিকভাবে সবল, শুধুমাত্র তাদেরই বইটি পড়া সার্থক হবে। মানসিক সবলতার কথা বললাম এইজন্য যে, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের মজাটাই মানসিক অবস্থার অভিযোজনে। আর যারা বইয়ের চরিত্রের ভেতরে ঢুকতে পারেন না, তাদের কাছে একঘেয়েমিই মনে হবে সবকিছু। জ্ঞানকোষ থেকে প্রকাশিত বইয়ের বাঁধাই বেশ ভালো মানের, মুদ্রণজনিত ভুলও চোখে পড়ার মতো নয়। তবে প্রচ্ছদটি আমার বিশেষ ভালো লাগেনি। সর্বোপরি, আমার ব্যক্তিগত রেটিং ৪.৮/৫ ***যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ*** লেখক: হুমায়ূন আহমেদ ধরণ: মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার প্রকাশক: জ্ঞানকোষ প্রকাশনী প্রথম প্রকাশ: ১৯৯৪ ( ১১তম সংস্করণ: ২০১৫) মুদ্রিত মূল্য: ১০০ টাকা পৃষ্ঠাসংখ্যা: ৬৪

      By Bushra

      13 Nov 2019 09:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      kotha gulo mone lege ache...shuvo jonmodin prio lekhok... ajibon amader mone lekhok jibonto thakben.. again shuvo jonmodin golper jadukor aj aapni beche thakle hoyto aro ojosro lekha upohar petam.. keno valo manushera hariye jay.. golper shuru ekti khun diye

      By Sumaiya yeasmin

      31 Oct 2019 01:39 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সুন্দর

      By Pie

      28 Oct 2019 08:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ হুমায়ূন আহমেদ জীবনানন্দের খুব প্রিয় একটা কবিতার প্রিয় একটা লাইন দিয়েই বইটার নাম। মনস্তাত্তিক ঘরানার বই। উপন্যাসিকা বা বড় গল্প বলা যায়। এত বই পড়ে এসে কাহিনী অত আহামরি লাগার কথা না, কিন্তু ইনি তো হুমায়ূন আহমেদ, যার বই পড়ে ভেতরে আলোড়ন একরকমের তৈরী হবেই... খুনের একটি রাত। অসহ্য যন্ত্রণার একটি রাত... সেই রাত ছোট, কিন্তু যথারীতি হুমায়ূন আহমেদ এর নিদারুণ রসবোধ আর অকপট বর্ণনায় সেই রাতের বেশ খানিকটা পাঠকের ভেতরে ঢুকে যাবে। এবং আবার, গল্পের ভেতর যন্ত্রণায় কাতর মানুষটির জন্যে আমার সমবেদনা ছাড়া আর কিছু নেই, যে ভালোবাসা আর নৈকট্য বোঝা বা পাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে, হারিয়েছে সর্বশেষ কাছের মানুষটাকেও... তার জন্যেও দুঃখবোধ ছাড়া আর কী আছে?

      By Ifsad Shadhin

      21 Sep 2019 10:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘শোনা গেল লাসকাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে— ফাল্গুনের রাতের আঁধারে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ মরিবার হ’লো তার সাধ’ তিন তারকা প্রাপ্তি নিশ্চিত ছিল শুধুমাত্র জীবনানন্দ দাশের কবিতার জন্য– উপন্যাস ভালো হোক আর খারাপ। এবং ভালো আমার লেগেছে যথেষ্ট। হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর অন্যতম স্বার্থকতা বলবো এই বইকে। সাইকোলজিকাল থ্রিলার বাংলায় এখনো বেশ অপ্রতুল। এজন্য সাদামাটা কাহিনীর এই উপন্যাস পড়তে পড়তে সাহিত্য মান নিয়ে সন্দিহান থাকতে পারেন বোদ্ধারা, তবে লেখনীর জোরে আর জীবনানন্দ দাশের কবিতার সঠিক প্রয়োগে (আমার মতে, জীবনানন্দ দাশ বলে কথা!) যেমন উপভোগ্য হয়েছে, তেমনি পাঠ শেষে তৃপ্তির ঢেকুর (!) তুলতে পারবেন পাঠক। আগেই বলেছি, সাধারণ কাহিনী। শুরু থেকেই আউটকাম প্রেডিক্টেবল। কিন্তু মানব মনের ছোট খাটো ইচ্ছা, ইচ্ছার বাস্তব জীবনে প্রতিফলন– সব কিছু এক করে লেখক যেন একটা কবিতা লিখেছেন। ছন্দময় কবিতা, সাবলীল কবিতা। মানব মনস্তত্ত্ব সব সময়ই আমাকে আকৃষ্ট করে। নিজের মধ্যে বৈপরীত্য দেখে মাঝে মাঝে যেমন আমি নিজেই অবাক হই, তেমনি আরেকজন ব্যক্তির চিন্তাধারার সুতা ধরে টানাটানি করতে তেমন একটা খারাপ লাগে না। আর সুতা ধরেই টানাটানি করেছেন লেখক, অণু-পরমাণু কিছু বাদ দেননি। সাথের আধোভৌতিক আবহ তো যেন বোনাস! না পড়ে থাকলে পড়ে ফেলতে পারেন। কাহিনী খারাপ লাগতে পারে, হতে পারে এটা আপনার ‘টাইপের’ উপন্যাস না। কিন্তু এই শিল্পের রস আস্বাদন করে নাক কুঁচকাবেন না এক রত্তিও।

      By Sultan

      18 Sep 2019 08:47 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘শোনা গেল লাসকাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে— ফাল্গুনের রাতের আঁধারে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ মরিবার হ’লো তার সাধ’ চার তারকা, পাঁচের মধ্যে। তিন তারকা প্রাপ্তি নিশ্চিত ছিল শুধুমাত্র জীবনানন্দ দাশের কবিতার জন্য– উপন্যাস ভালো হোক আর খারাপ। এবং ভালো আমার লেগেছে যথেষ্ট। বইঃ যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ। জনরাঃ সাইকোলজিকাল থ্রিলার। হুমায়ূন আহমেদের লেখনীর অন্যতম স্বার্থকতা বলবো এই বইকে। সাইকোলজিকাল থ্রিলার বাংলায় এখনো বেশ অপ্রতুল। এজন্য সাদামাটা কাহিনীর এই উপন্যাস পড়তে পড়তে সাহিত্য মান নিয়ে সন্দিহান থাকতে পারেন বোদ্ধারা, তবে লেখনীর জোরে আর জীবনানন্দ দাশের কবিতার সঠিক প্রয়োগে (আমার মতে, জীবনানন্দ দাশ বলে কথা!) যেমন উপভোগ্য হয়েছে, তেমনি পাঠ শেষে তৃপ্তির ঢেকুর (!) তুলতে পারবেন পাঠক। আগেই বলেছি, সাধারণ কাহিনী। কাহিনী সংক্ষেপ পড়তে একদম নিচে ঢু মারুন। শুরু থেকেই আউটকাম প্রেডিক্টেবল। কিন্তু মানব মনের ছোট খাটো ইচ্ছা, ইচ্ছার বাস্তব জীবনে প্রতিফলন– সব কিছু এক করে লেখক যেন একটা কবিতা লিখেছেন। ছন্দময় কবিতা, সাবলীল কবিতা। মানব মনস্তত্ত্ব সব সময়ই আমাকে আকৃষ্ট করে। নিজের মধ্যে বৈপরীত্য দেখে মাঝে মাঝে যেমন আমি নিজেই অবাক হই, তেমনি আরেকজন ব্যক্তির চিন্তাধারার সুতা ধরে টানাটানি করতে তেমন একটা খারাপ লাগে না। আর সুতা ধরেই টানাটানি করেছেন লেখক, অণু-পরমাণু কিছু বাদ দেননি। সাথের আধোভৌতিক আবহ তো যেন বোনাস! না পড়ে থাকলে পড়ে ফেলতে পারেন। কাহিনী খারাপ লাগতে পারে, হতে পারে এটা আপনার ‘টাইপের’ উপন্যাস না। কিন্তু এই শিল্পের রস আস্বাদন করে নাক কুঁচকাবেন না এক রত্তিও। (ফ্লাপে লেখা কথা) একটা মানুষ মারা তেমন কোন জটিল ব্যাপার না। ডেডবডির গতি করাই সবচেয়ে জটিল কাজ। তবে সব ব্যবস্থা আছে। আমি হুট করে কিছু করি না, যা করি ভেবে-চিন্তে করি। রুবাকে কি করে মারব তা নিয়ে খুব কম করে হলেও এক মাস ভেবেছি। এরপর? হেলুসিনেশন না কি অন্য কিছু? লোমের গোড়ায় শিহরণ জাগানো ভয় বা উদ্বেগ। এই নিয়ে উপন্যাস - যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ। (আরো সংক্ষেপে, নিজের বউকে মেরে ফেলে লাশ গুম করে প্রোটাগনিস্ট)

      By Nayem Hasan Showrab

      05 Apr 2019 10:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      তার লেখা আরো একটি ভালোবাসা

      By Mahbuba Supti

      25 Dec 2017 11:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পের শুরুটা একটা খুনের ঘটনা দিয়ে। নিজের হাতে নিজের স্ত্রীকে খুন। তাও হুট করে খুন করা না। একটা মাস ধরে পরিকল্পনা করেই তবে খুন করা। কিভাবে খুন করবে, লাশ কিভাবে গুম করবে সমস্ত কিছুর পরিকল্পনা করেই কাজে নেমেছে খুনী। গল্পের লোকটার নাম মিজান। পেশায় একাউন্ট্যান্ট। স্ত্রী রুবা। ভীষণ হাসিখুশি মেয়ে আর ভীষণ বন্ধুপ্রিয়। দেখতেও সুন্দরী। সারাক্ষণ বন্ধুবান্ধব নিয়ে মেতে থাকাটা সহজভাবে নিতে পারে নি স্বামী মিজান। তাছাড়া রুবার সম্পূর্ণ বিপরীত গুণে গুণান্বিত মিজান। বাইরের পরিবেশে নিজেকে গুটিয়ে রাখতো, কারো সাথে কখনো সহজ হয়ে মিশতে পারতো না। আর নিজের চেহারা নিয়ে সারাক্ষণ মনঃকষ্টে ভুগতো। মূলতঃ এই চিন্তা থেকেই তার মনে সন্দেহ আসে, রুবা তাকে ছেড়ে একদিন চলে যাবে। এই চিন্তা থেকেই স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করা এবং শেষ পর্যন্ত রুবার মৃত্যু..!! আসলে সে নিজেও জানে না কেন সে স্ত্রীকে মেরে ফেলতে চাচ্ছে বা মেরে ফেললো..!! যাই হোক, মেরে ফেলার কাজটা খুব সহজেই সম্পন্ন করতে পারলেও লাশটা গুম করাই হলো ব্যাপার। এতদিন ধরে পরিকল্পনা করা থাকলেও বিশাল এক সমস্যায় পরে গেলো মিজান। হটাৎ করেই দেখতে পেলো তার মৃত স্ত্রী উঠে হাটাঁহাটি করছে, কথা বলছে, পানি খেতে চাচ্ছে..!! শুধু এইই নয়, নিজের ফেলে আসা অতীতও চোখের সামনে চলে আসছে। তবে কি এটা মিজানের হ্যালুসিনেশন.!!!! হুমায়ূন আহমেদের এক অনবদ্য উপন্যাস "যখন গিয়েছে পঞ্চমীর চাদঁ ডুবে"। বইয়ের নাম শুনে বই সম্পর্কে ধারণা করাটা বেশ কঠিন ব্যাপার। এই বইটা আগে পড়েছিলাম কিনা মনে নেই। খুব ছোট্ট একটি বই। মাত্র ৬৪ পৃষ্ঠার একটি বই। এই বইয়ের নামকরণ খুব সম্ভবতঃ জীবনানন্দ দাশের "আট বছর আগের এক দিন" কবিতা থেকে। কবিতাটার সমস্ত জুড়ে যেমন হাহাকারের ছাপ বিদ্যমান তেমনি হুমায়ূন আহমেদের এই বইতেও আছে গভীর এক শূন্যতা....!! যে শূন্যতা কখনও পূরণ হয় না; কোনভাবেও না...!!!!! "শোনা গেল লাশকাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে, কাল রাতে- ফাল্গুনের রাতের আধাঁরে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাদঁ মরিবার হলো তার সাধ। বধূ শুয়ে ছিলো পাশে- শিশুটিও ছিল; প্রেম ছিল, আশা ছিল- জোৎস্নায় তবে সে দেখিলো কোন ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেলো তার? অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল- লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার। এই ঘুম চেয়েছিলো বুঝি!!!"

      By Shafaeat hasan

      20 Sep 2016 04:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমাইয়ান আহমেদ এর অন্যতম সেরা বই এটি ।এক রাতের একটি ঠাণ্ডা মাথার খুন ।নিজের স্ত্রী কে খুন করার পর গল্পের নায়ক হালুসিলেসন এর কারণে দেখতে থাকে তার স্ত্রী কে জীবিত ।এভাবেই এগুতে থাকে ঘটনা................

      By 880****661

      10 Sep 2024 04:27 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাজে কাহিনি।কোনো আগ্রহ পেলাম না।টান নেই কোনো। এক কথা বার বার লেখা

      By ASIF

      06 Mar 2020 12:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      শুরুতে হাস্যরসে জমে উঠলেও পরে বেশ বিরক্তি নিয়েই শেষ করতে হয়েছে।

      By Farhan Mahin

      06 Dec 2019 12:08 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      জনরা হরর হলেও আমার কাছে মোটেও তা মনে হয়নি। সাধারণ একটা গল্প। কমন প্লট। তবে লেখকের লেখনীর জাদুতে অবশ্য পাঠ্য একটা বই হিসেবে মানতে হবে। বইটা খুব ছোট হয়ে গেছে। লেখক রহস্য ভালোই জমিয়ে তুলেছিলেন, চাইলে আরো বড় করে আরো সুন্দর বানাতে পারতেন।

      By Rahman Ferdinand

      15 Jul 2017 03:25 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা "একজন মৃত মানুষের ভয় লাগার কিছু নেই, ভয় জীবিত মানুষের জন্য। মৃত মানুষের কোন ভয় নেই। তাদের জগৎ ভয়শূন্য। " মিজান সাহেব তার স্ত্রী কে খুন করলেন। ঠান্ডা মাথায় খুবই পরিকল্পিত খুন। কিভাবে খুন করবেন, খুনের সময় কি কি ঝামেলা হতে পারে সব আগে থেকে পরিকল্পিত ছিল।অধিকাংশ খুনি ধরা পড়ে ডেড বডি সরাতে গিয়ে। খুনের পর পরই এক ধরনের ল্যাথার্জি এসে যায়। নার্ভ ফেল করে। তখন খুব তাড়াহুড়ো করতে ইচ্ছে করে। তিনি ডেড বডি কিভাবে সরাবেন তাও ভেবে রেখেছেন এক বছর ধরে! তার স্ত্রীর নাম রুবা। তিনি খুব শান্ত ভঙ্গিতে তার শাশুড়ির কাছে ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন- মা, রুবা কি আপনাদের বাসায় গেছে? শাশুড়ি মেয়ের উপর খুব রেগে গিয়ে বললেন, আজও ও বাসা থেকে বেড়িয়ে গেছে!? কিন্তু আমার কাছে তো আসেনি। তিনি বললেন আচ্ছা মা আপনি টেনশন নিবেন না...। আজ রাতেই তার বন্ধু অরুণের বিয়ে। সে রুবাদের আত্বীয়। তিনি খুব স্বাভাবিক ভাবেই তার বন্ধুর বিয়েতে গেলেন। তার শশুর সাহেবও বিয়েতে এসেছেন। জামাইকে দেখেই তিনি উচ্ছসিত কন্ঠে বললেন, বাবা চিন্তা করোনা, তুমি চলে আসার পর রুবা তোমার শাশুড়িকে ফোন করেছিল, বলেছে সে বাসাতেই আছে। তিনি আশ্চর্য হয়ে বাসায় ফিরলেন। শোবার ঘরে বাতি জ্বলছে। এর মানে কি? তার স্পষ্ট মনে আছে তিনি বাতি নিভিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন!!! Something is wrong, Something is very very wrong... তারপর কি হলো? কেনো তিনি রুবাকে খুন করেছিলেন?? শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল??? অনুভূতিঃ এক অদ্ভুতুড়ে কারনে জানিনা, অনেক জায়গায় অনেককেই দেখেছি স্যারের পড়া অপ্রিয় বইয়ের তালিকায় বইটি রাখতে!! কিন্তু আমার পড়া স্যারের অন্যতম প্রিয় বই এটা। অনেক ভাল বইয়ের কাহিনী ভুলে গেলেও এই কাহিনীটা হুবহু মনে আছে। শেষটায় এসে আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যাই! ভালবাসা বুঝি এভাবে লুকিয়ে থাকে!!? ভালবাসা বুঝি এমন হয়? এমন অদ্ভুত?? এমন দুর্বোধ্য???

      By Md shahidul islam nahid

      30 Nov 2016 12:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      জাদুবাস্তবতা মানে কী? তার মানে কি এই যে শুধু গল্পের চরিত্ররা নয়, স্বয়ং পাঠকও বুঝতে পারবেন না যে গল্প কোন দিকে যাচ্ছে? এই নভেল্লাটি পড়ার সময় আমি প্রতি মুহূর্তেই ভেবেছি যে এইবার আমি বুঝে ফেলেছি ঘটনাটা| মার্ডার মিস্ট্রি? না-না| কে খুন করেছে, কাকে খুন করেছে, কীভাবে খুন করেছে: সবই তো জানা| কিন্তু খুনটা হয়েছে তো? তাহলে কে মিথ্যে বলছে? কেন বলছে? তাহলে এটা কি ভূতের গল্প? আর এই দ্বিধায় দুলতে-দুলতে শেষ লাইনে যখন পৌছলাম তখন হঠাৎ বুঝলাম যে গলার কাছটা গেছে শুকিয়ে, আর চোখটা জ্বালা করছে| ধন্য হুমায়ূন| আপনি যাই লিখুন না কেন, লালনের সেই "এমন মানব জনম আর কি হবে" গানটাই শুধু থেকে যায় গল্পের শেষে|

      By Ridwan Siddik

      31 May 2019 10:47 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_মে বইয়ের নাম:যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ লেখক:হুমায়ূন আহমেদ বইয়ের নাম:সাইকোলজিক্যাল ফিকশন মুদ্রিত মূল্য:১০০ টাকা পৃষ্টা সংখ্যা:৬৪ প্রথম প্রকাশ:ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ প্রকাশনী:জ্ঞানকোষ প্রকাশনী প্রচ্ছদ:ধ্রুব এষ #লেখক_পরিচিতি: হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক।তিনি ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ সালে নানাবাড়ি মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন। পাসপোর্ট এবং সার্টিফিকেটে লেখা ১০ এপ্রিল ১৯৫০, কেন এই ভুল হয়েছে তিনি নিজেই জানতেন না। ১৯৭২ সালে উপন্যাস নন্দিত নরকে লেখার মাধ্যমে সাহিত্যে আবির্ভাব করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ।তার সৃষ্ট প্রধান দুইটি চরিত্র হলো হিমু এবং মিসির আলি।মানুষ হিসেবে তিনি তারই সৃষ্ট হিমু এবং মিসির আলির মতোই রহস্যময় ছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালের ১৯শে জুলাই ক্লোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। #গুরুত্বপূর্ণ_চরিত্রসমূহ: মিজান সাহেব,রুবা,অরুন,ওসি মকবুল সাহেব,মনসুর। #কাহিনী_সংক্ষেপ: মিজান সাহেব বিয়ে করেন রুবা নামের এক রূপবতী মেয়েকে।তবে মিজান সাহেব অতটা ভালো দেখতে নন।বিয়ের পর রুবা তার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে অনেকক্ষণ গল্প করে কিন্তু মিজান সাহেবের সাথে তেমন সময় কাটায় না।আবার রুবা হুট করে তার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বেরিয়ে যায় ঘুরতে কিন্তু মিজান সাহেবের সঙ্গে ঘুরতে যেতে চায় না।এসব কারণে মিজান সাহেবের ঈর্ষা চরম মাত্রায় পৌঁছে যায়।ফলে মিজান সাহেব তার স্ত্রী রুবাকে খুন করে সন্দেহ ও ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে।অতিসহজেই তার স্ত্রীকে খুন করার পর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় লাশ সরানো নিয়ে।অবশ্য লাশ সরানোর ব্যাপারে এবং কারো সন্দেহ যেন তার দিকে না যায় সে ব্যাপারে মিজান সাহেব একমাস ধরে ভাবছেন।এখন দেখার বিষয় মিজান সাহেব তার পরিকল্পনায় সফল হন কিনা। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া_এবং_ব্যক্তিগত_মতামত: বইটি অবশ্য হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য বইগুলোর তুলনায় ছোট।তবে এতে আমাদের বিস্তার চিন্তা করার সুযোগ রয়েছে।আর বইটির শেষ হলো ওপেন ইন্ডিং।কারো অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস ও অবিশ্বাস এর উপর ভিত্তি করে শেষটা প্রভাবিত হবে। বইটির নামকরণ করা হয়েছে জীবনানন্দ দাশের 'আট বছর আগের একদিন' কবিতা থেকে। শোনা গেল লাশকাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে- ফাল্গুনের রাতের আঁধারে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ মরিবার হল তার সাধ। কোনো মানুষকে হত্যা করা তেমন কোনো জটিল ব্যাপার নয়।কিন্তু লাশকে অন্য কারো চোখ এড়িয়ে সরিয়ে ফেলানো সবচেয়ে কঠিন কাজ।আবার নিজের মধ্যে অপরাধবোধ জেগে যাওয়া ও অত্যন্ত ভয় পেয়ে যাওয়ার ফলে ধরা পরে যায় অনেকে।এই  কথাগুলিই বইটিতে প্রকাশ পেয়েছে। বইটি পড়ার পর অবশ্যই প্রশ্ন জাগবে,মিজান সাহেবের কি সত্যিই আবশ্যিক ছিল তার স্ত্রীকে খুন করা।এমনও হতে পারে রুবা মিজান সাহেবকে সত্যিই ভালোবাসত শুধু প্রকাশ করত না। বইটি বেশি ভালো লেগেছে হুমায়ূন আহমেদের লেখার  ধরনীর জন্য।বইটিতে হুমায়ূন আহমেদ যেমন অশরীরীর উপস্থিতির কথা বলেছেন তেমনি সেটির উপস্থিতি যে কোনোভাবেই সম্ভব নয় তার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন।হুমায়ূন আহমেদ যে  বাংলা সাহিত্যেকে আরও শক্তিশালী করার জন্য বরাবরই ভূমিকা রেখেছেন তার প্রমাণ হলো এই বইটি।এধরনের সাইকোলজিক্যাল ফিকশন বই অনেক কম রয়েছে বাংলা সাহিত্যে।বইটি অবশ্যই হুমায়ূন আহমেদের রচিত সেরা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম। ধন্যবাদ ব্যক্তিগত রেটিং-৪.৮/৫ রিদওয়ান সিদ্দিক

      By Jannatul Ferdouse

      30 Jan 2017 08:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা . রিভিউ বইয়ের নাম: যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ লেখক: হুমায়ূন আহমেদ জ্ঞানকোষ প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬২ . পনেরো মিনিটের ছোট্ট একটা কাজ। তারপর শুরু হয় কাহিনীর। মিজান। গল্পের মূল চরিত্র মূলত সেই। সাধারণ একটি ছেলে অথচ বুকে হয়তো ছিল স্ত্রীর জন্য ভালবাসার পাহাড়! স্ত্রী রুবা। সুন্দরী কিন্তু চাপা স্বভাবের একটি মেয়ে। মূলত এই মেয়েটির ভালবাসাকে কেন্দ্র করেই কাহিনী। পনেরো মিনিটের সেই কাজটাও রুবা নামের এই মেয়েটির চাপা স্বভাবের জন্যই হয়তো ঘটে যায়! . শশুর-শাশুড়ির সাথে মিজানের সম্পর্ক খুবই মধুর। পড়ে মনে হয় মিজান বোধহয় তাদের জামাই নয়, ছেলে। কাজটা করে ফেলার পর মিজান স্ত্রীর খোঁজে ফোন দেয় শাশুড়ির কাছে। কিন্তু রুবা তো সেখানে যায়নি! তাহলে কোথায় রুবা? রুবার ঘরছাড়ার অভ্যাস। স্বামীর সাথে ঝগড়া হলেই রাগ করে ঘর ছাড়ে সে। শাশুড়ির সাথে কথা শেষ করে বন্ধুর বিয়েতে যায় মিজান। সেখানে দেখা হয়ে যায় শশুরের সাথে। শশুর শোনান এক অদ্ভুত কথা! রুবা নাকি বাসাতে আছে! কি আশ্চর্য কথা! মিজান তো অবাক...... . বাসায় ফিরে ফোন লাগায় সে রমনা থানার ওসি সাহেবকে। ওসি সাহেবের সাথে মিজানের সম্পর্ক ভাল, শুধু ভালনা বেশ ভাল। এই ভাল সম্পর্ক তৈরি করার জন্য মিজানকে খুব বেশী কিছু করতে হয়নি। কয়েকবার থানায় ফোন দিতে হয়েছে আর চার কার্টুন বেনসন

      By Soumik Paul

      28 Nov 2018 08:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      একটা সম্পর্কে যখন যেকোনো একপক্ষের বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয় তখনি আসলে মাথায় বিকল্প কিছুর চিন্তা মাথায় আসে। মিজান সাহেবের মনে যখন তার স্ত্রী রুবাকে নিয়ে সন্দেহের দানা বাঁধতে শুরু করে তখন তিনি রুবাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবার পরিকল্পনা শুরু করেন এবং পরিকল্পনামাফিক তিনি খুন করতে সক্ষমও হন। মিজান সাহেব প্রচন্ড যুক্তিবাদী এবং ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ,খুন করে যাতে ধরা পড়তে না হয় সেজন্য তিনি সবকিছু ঠান্ডা মাথায় ভেবে রেখেছেন। কেননা একজন সাধারণ মানুষ খুন করার পর যেকারো নার্ভ সিস্টেম খুব ফার্স্ট হতে থাকে। তখন একেরপর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিতে থাকে। এদিক দিয়ে মিজান সাহেবকে নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। তিনি আটঘাট বেঁধেই নেমেছেন। কিন্তু বাঁধ সাধে অদ্ভুদ কিছু ঘটনায়। তিনি যখন খুন করে ফ্রিজ থেকে পানি বের করে খেতে যান তখনই তিনি রুবার রুম থেকে খুটখুট আওয়াজ পান। কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা না। কেননা বাড়িতে উনি আর উনার স্ত্রী ছাড়া আর কেউই ছিল না। হালকা দ্বিধা নিয়ে তিনি তার রুমের দিকে পা বাড়ান এবং যে দৃশ্যটি দেখেন তার জন্য তিনি মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। রুবা তার খাটের উপর কুকুরের মতো থাবা গেড়ে বসে আছে। কিন্তু এমনটা হওয়ার তো কথা ছিল না। প্রচন্ড যুক্তিবাদী হওয়া সত্ত্বেও এমন হল কেন ? সবচেয়ে বড় টুইস্টটা সবাই নিজে পড়ে নিবেন। ভৌতিক উপন্যাস তো বটেই,কিন্তু এর অভ্যন্তরীণ যে সারমর্মটা রয়েছে সেটা কতটুকু সবার মনে নাড়া দেয় সেটাই আসল কথা.. কেউ কেউ হয়ত ভাবতে পারেন,উপন্যাসের কিছু অংশ পড়ে বাকিটা বুঝে ফেলেছেন। এমন যদি ভেবে থাকেন তাহলে বলবো,লেখকের নামটা আরেকবার দেখুন। একটু ভিন্নতা তো থাকবেই।

      By Shuvagoto Dip

      07 Aug 2017 02:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা || রিভিউ || বই : যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশক : জ্ঞানকোষ প্রকাশনী প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪ (একাদশ মুদ্রণ : জুন, ২০১৫) ঘরানা : হরর/সাইকোলজিক্যাল ফিকশন পৃষ্ঠা : ৬৪ প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ মুদ্রিত মূল্য : ১০০ টাকা ধরুন, আপনি আপনার স্ত্রীকে খুন করে ফেললেন। দুর্ঘটনাবশত না, রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন। অথচ মজার ব্যাপার, আপনার নিজেরও এক্স্যাক্ট ধারণা নেই কেন আপনি আপনার অর্ধাঙ্গিনীর রক্তে নিজের হাত রাঙ্গালেন। সাদামাটা খুনের ব্যাপার, তাই না? সেটা না হয়ে যদি পুরো ব্যাপারটার মধ্যেই একটা 'কিন্তু' থাকে? পেশায় অ্যাকাউন্ট্যান্ট মিজান সাহেব নিজের স্ত্রী রুবা মজলিশি টাইপের মেয়ে। তার অনেক বন্ধুবান্ধব। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে। রুবা মিজান সাহেবকে খুব একটা পছন্দ করেনা। অন্তত মিজান সাহেবের তাই ধারণা। অতি সাধারণ চেহারার ও তার চেয়েও বেশি সাধারণ ব্যক্তিত্বের মিজান সাহেবের মনে বহুদিনের দানাবাঁধা ক্ষোভ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। রুবা কি তার হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে? সেটা তো হতে দেয়া যাবেনা! পারফেক্ট মার্ডার বলতে যা বোঝায়, স্বামীপ্রবর তাই করলো। রুবাকে কৌশলে খুন করলো সে। সবকিছু পরিকল্পনামাফিকই এগোচ্ছিলো। হঠাৎ-ই ঘটতে শুরু করলো অদ্ভুত ও ব্যাখ্যার অতীত কিছু ঘটনা। রুবা'র লাশ নড়তে শুরু করলো। কঠোর যুক্তিবাদী কারো সামনে যখন ভৌতিক কিছু ঘটতে থাকে, তখন সেই ঘটনাকে সেই ব্যক্তি হ্যালুসিনেশন হিসেবে প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগে। মিজান সাহেবও এর ব্যতিক্রম না। কিন্তু তার তথাকথিত শক্ত লজিক এলোমেলো হতে লাগলো বারংবার। একে একে তার মানসচক্ষে ভেসে উঠতে লাগলো নিজের ফেলে আসা অতীতের দুঃসহ স্মৃতি। কিছুক্ষণ আগে খুন করা নিজের স্ত্রীর জীবন্মৃত লাশই শেষ কথা নয়। মিজান সাহেবের জটিল মনস্তত্ত্ব আর তার আশেপাশের মানুষদের ভূমিকা ধীরে ধীরে করে তুললো আরো অসাধারণ। আর আকাশের বুকে ঝুলে রইলো উদাস করা পঞ্চমীর চাঁদ। ব্যক্তিগত মতামত : বাংলা কথাসাহিত্যের প্রবাদপুরুষ হুমায়ূন আহমেদের কলম থেকে উঠে আসা অনবদ্য এক ভৌতিক উপন্যাস 'যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ'। তাঁর মিসির আলী বিষয়ক রচনাগুলোর মতোই এই উপন্যাসেও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে রহস্য আর মানবমনের জটিল মনস্তত্বের ছাপ। এই উপন্যাসকে যতোটা না ভৌতিক, ঠিক ততোটাই মনস্তাত্বিক হিসেবে আখ্যা দেয়া যায়। একটা খুন করার পর খুনীর সাইকোলজিক্যাল কন্ডিশন কেমন হতে পারে, সেটার বেশ ভালো একটা ধারণা পাওয়া যায় এই উপন্যাসে। আমি হুমায়ূন সাহিত্যের প্রায় সবগুলো বই পড়ে ফেলেছিলাম বলে একটা ধারণা ছিলো নিজের। কিন্তু কিভাবে যেন 'যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ' বাদ পড়ে গেছিলো। আর সেটা গোচরে আসতেই দেরি করিনি। এক বসায় শেষ করেছি এই অনবদ্য উপন্যাসটা। আর শেষের দিকের ট্যুইস্টটা ঠিক যতোটা মিজান সাহেবকে নাড়িয়ে দিয়েছিলো, ততোটাই নাড়িয়ে দিয়েছে আমার ভেতরটা। অনেক অনেক দিন পর আজ আবারো গল্পের জাদুকরের অভাবটা যেন বড় বেশি এই বুকে বাজছে। সবশেষে জীবনানন্দ দাশের 'আট বছর আগের এক দিন' কবিতার কিয়দংশ দিয়ে রিভিউয়ের ইতি টানবো। কবিতাটা যতোবার পড়ি, কেন জানিনা বুকের ভেতরে একটা অবর্ণনীয় হাহাকার সৃষ্টি হয়। এই হাহাকার কখনো পুরোনো হয়না। কখনো ফিকে হয়না। "শোনা গেল লাশকাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আধাঁরে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ মরিবার হল তার সাধ। বধূ শুয়ে ছিল পাশে - শিশুটিও ছিল; প্রেম ছিল,আশা ছিল-জোৎসনায়,-তবে সে দেখিল কোন ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেলো তার? অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল - লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার। এই ঘুম চেয়েছিলো বুঝি!" হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের রেটিং দেয়াটা বোধহয় বাহুলতা। তারপরো, আমার রেটিং : ৫/৫ © শুভাগত দীপ

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!