User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সালাহ্উদদীন আহমেদ মিলটন এর লেখা একটি নাটক ‘সিপাহী বিদ্রোহ ও লালকেল্লা'। এই নাটকটি ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ও মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে নিয়ে রচিত হয়েছে। সিপাহি বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালের ১০ মে মিরাট শহরে শুরু হওয়া ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর সিপাহিদের একটি বিদ্রোহ। সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ, মহাবিদ্রোহ, ভারতীয় বিদ্রোহ, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ ও ১৮৫৮ সালের গণ-অভ্যুত্থান নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই বিদ্রোহ দমন করা হয় নির্মমভাবে। বহু নিরপরাধ নরনারী, শিশু বৃদ্ধ দের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। বাহাদুর শাহ সিংহাসনে আরোহণের ২০ বছর পর সূত্রপাত হয় ঐতিহাসিক সিপাহি বিদ্রোহের। পলাশী যুদ্ধের পর ১০০ বছর কেটে গেছে তত দিনে। ছলেবলে কৌশলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সমগ্র ভারতবর্ষ দখল করে নিয়েছে। দেশবাসীর সাথে সৈন্য বিভাগের লোকদের ওপরও চলছে জুলুম, বঞ্চনা ও নির্যাতন। এর ফলে সিপাহি বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়। সিপাহি বিদ্রোহের সময় লালকেল্লার অভ্যন্তরের দ্বন্দ্ব সংঘাতের চিত্র এই নাটকে তুলে ধরা হয়েছে। ক্ষমতা পাবার আশায় মানুষ কত কি না করতে পারে। বিশ্বাসী মানুষ হয়ে যায় বিশ্বাসঘাতক। ইতিহাসের দিকে আমরা তাকালে দেখতে পাই ক্ষমতা পতনে, যুদ্ধ পরাজয়ের কারণ হিসেবে বিশ্বাসঘাতক বেঈমানি ব্যক্তিরা যুক্ত থাকে। ইতিহাসের বড় বড় যুদ্ধগুলোতে আমরা দেখতে পাই অসংখ্য বিশ্বাসঘাতক বেঈমান ব্যক্তি। তেমনি সিপাহি বিদ্রোহতেও ছিল বিশ্বাসঘাতক। যারা ক্ষমতার লোভে বেঈমানি করতে পিছুপা হয় না। এই বিষয় গুলো নিয়ে উক্ত নাটক এগিয়ে চলে। লেখক সালাহ্উদদীন আহমেদ মিলটন ১৯৭৭ সালের ১৫ জুলাই মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন । তিনি একাধারে কথাসাহিত্যিক , কবি , নাট্যকার , ও গবেষক । তিনি বাংলা একাডেমীর লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ শীর্ষক কর্মসুচীর আওতায় ফরিদপুর জেলার গবেষক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ।
Was this review helpful to you?
or
‘সিপাহী বিদ্রোহ ও লালকেল্লা’ সালাহউদ্দিন আহমেদ মিলটন এ লেখা একটি নাটক । লেখক ১৯৭৭ সালের ১৫ জুলাই মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন । তিনি একাধারে কথাসাহিত্যিক , কবি , নাট্যকার , ও গবেষক । তিনি বাংলা একাডেমীর লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ শীর্ষক কর্মসুচীর আওতায় ফরিদপুর জেলার গবেষক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন । তার লেখা সিপাহী বিদ্রোহ ও লালকেল্লা বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় নালন্দা প্রকাশিনী থেকে এবং এর প্রকাশক রেদওয়ানুর রহমান জুয়েল । প্রচ্ছদ করেছেন রেদওয়ানুর রহমান জুয়েল । ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ও স্মরনীয় ঘটনা । এই বিদ্রোহ সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে । বৃটিশ ঐতিহাসিক দের মতে এটি ছিলো সিপাহী বিদ্রোহ আবার ভারতীয় ঐতিহাসিকদের মতে এটি ছিলো প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম । তবে যে যাই বলে থাকুক না কেন ১৮৫৭ সালের এ বিদ্রোহ ছিলো বৃটিশ শাষক এর বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ভারতের সিপাহীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ এর বহিঃপ্রকাশ । সিপাহী বিদ্রোহ ও লালকেল্লা বইটি তে যে নাটক টি লেখা হয়েছে এতে মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের পরিবারের তথা লালকেল্লার অন্তরালে ক্ষমতার দ্বন্দ সংঘাতের চিত্র অতি সুক্ষভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক । ক্ষমতা পাবার নেশায় কখনো যে কেউ কেউ মা মাটি মানুষের সাথে চরম বেঈমানী করতে পারে তা সিপাহী বিদ্রোহ ও লালকেল্লা বইটি তে সুষ্পষ্ট । ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে যেমন দেখা যায় মীর জাফর , ঘষেটী বেগম এরা বেইমানী করেছিল তেমনই ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে মির্জা ইলাহী বকস, সম্রাজ্ঞী জিনান্ত মহল, আহসান উল্লাহ খান এরা বেইমানী করে ও বিশ্বাসঘাতকতা করে , অসাধারন এ নাটকটি সকলের নিকটই ভাল লাগবে ।