User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাটকের সুরে সুরায়িত করেছেন মানবমুক্তিকে। প্রাণশক্তিকে স্বাধীনতা দানে অর্থাৎ সব সংস্কারের বাঁধ ভেঙে আরো জীবন্ত করে তুলেছেন। আর তাই রবীন্দ্রনাথের নাটক বাংলা নাট্য সাহিত্যে স্বতন্ত্র ধারার জন্ম দিয়েছে। আচার সর্বস্ব অন্ধ সংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মের বাঁধ ভাঙার নিমিত্তে রচি ‘অচলায়তন’ নাটকটি। মানবাত্মাকে যন্ত্রণা দেয়ার কথা কোনো ধর্মে বলা হয়নি। তাই প্রাণহীন ধর্মের বন্ধনকে ছিন্ন করার প্রয়াস লক্ষণীয় রূপ-সাংকেতিক নাটক ‘অচলায়তন’-এ। ‘বিসর্জন’ নাটকেও আমরা দেখি অন্ধ সংস্কারকে ডিঙিয়ে প্রেমের জয়। ধর্মের সংস্কারাবদ্ধ ঘরকে ভেঙে ফেলে ভালোবাসার নীড় সৃষ্টির আহ্বান। অচলায়তনে প্রাণের মুক্তির আভাস লক্ষণীয়। মানুষের কৃত্রিমতা নয়, বন্ধন নয়; পৃথিবীতে মঙ্গলের আভাসনের জন্য দরকার মুক্তি, স্বাধীনতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ নাটকের মধ্য দিয়ে একটি দেয়ালকে ভাঙলেন যে দেয়াল মানবাত্মার মুক্তিকে কেড়ে নিতে উদ্যত হয়েছিল। অচলায়তনে এক ছকে বাঁধা জীবনকে দেখানো হয়েছে। যে জীবনের কাছে মুক্তির কোনো স্বাদ নেই, বাইরের আলো-হাওয়ার ছোঁয়া নেই। অচল পাথরের মতো যূথবদ্ধ জীবন সেখানে আবদ্ধ। আচার, সংস্কার সে অচলায়তনে আস্তানা গেড়েছে। আত্মার ভালোবাসা, কর্ম সেখানে কলহ সৃষ্টি করে; কেননা সেখানে শুধু ধর্মের ভালো-মন্দের সুর বাজে। একটি নতুন সুরের মধ্য দিয়ে নাটকটির আরম্ভ। সে সুরে মুক্তির স্বাদ আছে। পঞ্চকের কণ্ঠে সে সুরই ধ্বনিত হয়েছে – ‘তুমি ডাক দিয়েছ কোন সকালে কেউ তা জানে না আমার মন যে কাঁদে আপন মনে কেউ তা মানে না। ফিরি আমি উদাস প্রাণে, তাকাই সবার মুখের পানে, তোমার মতন এমন টানে কেউ তো টানে না।
Was this review helpful to you?
or
অচলায়তন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি রূপক-সাংকেতিক নাটক। প্রকাশকাল ২ অগস্ট, ১৯১২। ১৯১৮ সালে প্রকাশিত হয় এই নাটকের ‘অভিনয়যোগ্য’ সংক্ষিপ্ত সংস্করণ গুরু। প্রচলিত সংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে মুক্তবুদ্ধি ও স্বাধীন চিন্তার জয়গান গেয়েছেন কবি এই নাটকে। সমকালীন রক্ষণশীল হিন্দুসমাজ এই নাটকটি পড়ে বিরক্ত হয়েছিল। নিজস্ব চেতনা ও মতবাদ নাটকের মধ্যে প্রতিফলিত করার জন্য তিনি নাটক লিখেছিলেন। নিত্যনতুন নাটকের গঠনকৌশল ভেঙ্গেছেন গড়েছেন। নাটক রচনার ক্ষেত্রে অগ্রজ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ তাকে প্রভাবিত করেছেন। “অচলায়তন” নাটকের কাহিনীর ইঙ্গিত রবীন্দ্রনাথ পেয়েছিলেন রাজেন্দ্রলাল মিত্র সম্পাদিত The Sanskrit Buddhist Literature of Nepal গ্রন্থ থেকে। সে কাহিনীতে দেখা যায়, এক বৌদ্ধবিহারে দুই ভাই ছিলেন পণ্ডিত বড় ভাই মহাপঞ্চক আর পাঠে অমনোযোগী ছোট ভাই পঞ্চক। অর্হত্ব লাভ করা মহাপঞ্চক ছোট ভাই পঞ্চককে বিহার থেকে বহিষ্কার করেছিলেন । কিন্তু শেষে বুদ্ধের কৃপায় পঞ্চকও এক সন্ন্যাসীর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করে অর্হত্ব লাভ করে। এই গল্পকে রবীন্দ্রনাথ রূপান্তরিত করলেন এক নিয়মতান্ত্রিক আবাসিক বিদ্যালয়ের গল্পে। সেই বিদ্যালয়ে, কর্মেরে করেছে পঙ্গু নিরর্থ আচারে, জ্ঞানকে করেছে হত শাস্ত্রকারাগারে। এই নাটকে একদল, যাদের মাথায় ও মনে প্রথার জগদ্দল পাথর ভর করেছে, কথা শুনতেই চায় না। যেমন জয়োত্তম। তার মতে, মূর্খ যারা তারাই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, যারা অল্প জানে তারাই জবাব দেয়, আর যারা বেশি জানে তারা জানে যে জবাব দেওয়া যাবে না। শাস্ত্রান্ধ পণ্ডিতদের প্রতিনিধি মহাপঞ্চক। শাস্ত্রের বায়োস্কোপে সে দুনিয়া দেখে। চোখ মেলে চারপাশটা দেখে না। এই নাটকটি শেষ হয়েছে আশাবাদের মধ্য দিয়ে। তবে প্রদীপের তলার অন্ধকারের মত, কিছু আশঙ্কা থেকেই যায়।
Was this review helpful to you?
or
‘অচলায়তন’ বিশ্বকবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর লেখা একটি একটি বই । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখা বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে । বইটি প্রকাশিত হয় প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা থেকে এবং এর প্রকাশক নূর ই মোনতাকিম আলমগীর । রবীন্দ্রনাথ এর বিভিন্ন চিত্র অবলম্বনে প্রচ্ছদ ও বই নকশা করেছেন মাসুম রহমান । বইটির প্রধান চরিত্র পঞ্চক । একটি প্রাচীর ঘেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অচলায়তন । এর ভেতরে বাইরের কোনো আলো বাতাস প্রবেশ করে না । এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আচার্য , উপাচার্য , শিক্ষক , শিক্ষার্থী সবাই আছে । এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত প্রাচীন ও জটিল । এর নিয়ম ভঙ্গ করলে পেতে হয় কঠিন শাস্তি । এখানে মন্ত্র শেখানো হয় , শিক্ষার্থী রা না বুঝেই মন্ত্র মুখস্ত করতে থাকে । একমাত্র ব্যতিক্রম পঞ্চক । তার কোনো ভাবেই মন্ত্র মুখস্ত করতে মন বসে না । সবকিছুতেই তার সংশয় , প্রশ্ন আসে । কিন্তু এখানে নিয়ম হচ্ছে এইখানের শিক্ষার ব্যাপারে কোনো সংশয় থাকতে পারবে না , থাকতে পারবে না কোনো প্রশ্ন । এখানে পঞ্চকের ভাই আছে , সে আবার পঞ্চকের বিপরীত । অসাধারন একটি উপন্যাস এটি যা পাঠককে দিতে পারে অন্যরকম স্বাদ ।