User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
Masterpiece
Was this review helpful to you?
or
❤️❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
কেথাও কেউ নেই, এটা শুধু গল্প নয় এক ধরনের অনুভব
Was this review helpful to you?
or
বাকের ভাই। কোথাও কেউ নেই নাটকটি ইউটিউবে আছে, বইটি পড়ার পরে নাটকটি দেখবেন সময় করে। ‘কোথাও কেউ নেই ’ আমার পছন্দের শীর্ষে থাকবে সবসময়।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ?
Was this review helpful to you?
or
"কোথাও কেউ নেই" একটি বাস্তবধর্মী উপন্যাস. যেখানে শহুরে জীবনের একাকীত্ব ও সম্পর্কের জটিল দিক গুলো নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে.
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো বইটা।নিয়ে পড়তে পারেন
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সবচেয়ে সুন্দর বই হচ্ছে এটি। আবেগ ভালোবাসা দুঃখ কষ্ট সব মিলিয়ে দারুন একটা বই। ❤️
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো একাটি বই।অনেক তাড়াতাড়ি হাতে পেয়েছি।। ???
Was this review helpful to you?
or
best
Was this review helpful to you?
or
"মানুষের জন্মই হইল অপাত্রে ভালোবাসা দান করার জন্য। যাদের কে ভালোবাসার কোন যোগ্যতা নাই তাদেরকেই মানুষ ভালোবাসে।" -কোথাও কেউ নেই; হুমায়ূন আহমেদ
Was this review helpful to you?
or
সেরা একটি বই❤️?
Was this review helpful to you?
or
-মেয়েটি আপনার কে হয়? - কেউ হয় না, পাড়ার মেয়ে। - Do you love her? জবাব দিন, চুপ করে থাকবেন না। আপনি কি মেয়েটাকে ভালোবাসেন? - আমি স্যার... রাস্তার ছেলে। আমার ভালোবাসায় কিচ্ছু যায় আসেনা। ?কোথাও কেউ নেই জীবন। এক রণাঙ্গনের নাম। আর কোনো রণাঙ্গনই পরাজিতদের মেনে নেয়না। প্রতিমুহূর্তে মানুষকে জীবনের কঠোরতার সাথে লড়াই চালিয়ে জয়ী হতে হয়। এ লড়াই কখনো হয় পরিবার- সমাজের সাথে, কখনো প্রিয়জনের প্রতারণা- মুখোশের সাথে আর কখনো-বা নিজের অস্তিত্বের সাথে। সকালে ঘুম ভাঙতেই তড়িঘড়ি করে তৈরি হয়ে ছুটতে থাকি কর্মের তাগিদে। দিনশেষে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে ফিরে আসি আপন নীড়ে। আমাদের এই চব্বিশ ঘণ্টার সাধারণ গড়পড়তা মধ্যবিত্ত জীবনের নানান সমস্যা, কঠোরতা, বাস্তবতার এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নব্বই দশকের শেষাংশে লেখক হুমায়ূন আহমেদ আমাদের পরিচয় করে দিয়েছিলেন "কোথাও কেউ নেই" ভুবনের সাথে। জীবন, এক বিরামহীন ট্রেনের মতো। স্টেশনে স্টেশনে থামে। যাত্রী নামে, যাত্রী উঠে। দূরপাল্লার সফরে সবাই কিছুটা সময় ঝড়ঝাপটা সামলে পরস্পরের কাছাকাছি থাকে। কিন্তু দিনশেষে আদৌও কোথাও কি কেউ আছে? কাহিনি সংক্ষেপণ:- নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে মুনা। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর মামার সংসারে মানুষ সে। আর পাঁচটা সংসারের মতো তাদের সংসারও নানান সমস্যায় জর্জরিত। ব্যাংকের স্বল্প বেতনের ক্যাশিয়ার মামা, ঘরে অসুস্থ মামী, দুরন্ত মামাতো ভাইবোন, নিজের চাকুরি, শিক্ষিতবেকার প্রেমিক মামুন–এই নিয়েই কাটছিল মুনার দিন। অন্যদিকে, মুনার সাথে বাবুই পাখির বাসা বাঁধার তাগিদে চাকরির সন্ধানে চলে যাচ্ছে মামুনের ব্যাচেলর জীবন। আর মোটামুটি সচ্ছল পরিবারের সন্তান হয়েও বাউন্ডুলে চালচলনের জন্য ভাইভাবীর চক্ষুশূল বাকের। চায়ের দোকানে বসে "তেরি লাল দুপাট্টা..." গান শুনতে শুনতে তার সময় দিব্যি কেটে যায়। তার দৈনন্দিন রুটিনের আরেকটি অপরিহার্য অংশ হচ্ছে প্রতিদিন নিয়ম করে মুনার কাছে কড়া কথা শোনা। তাতে অবশ্য সে আনন্দই পায়। যত যাই হোক, শখের নারী বলে কথা! কিন্তু হঠাৎই ইস্পাত-দৃঢ় মুনা নিজেকে গুটিয়ে নিলো, ডুবে গেল উদাসীনতায়। বাকের হয়ে গেল ফেরারি আসামী আর মামুন হয়ে গেল সংসারী। কি এমন ঘটেছিল যাতে হঠাৎ ই এমনভাবে পাল্টে গেল এতগুলো জীবন? আছে জাহানারা, গল্পে হঠাৎ ই এই চরিত্রের আবির্ভাব ঘটে আর কিছু বুঝে উঠার আগেই মামুনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। *বকুলঃ মুনার মামাতো বোন। নব্বই দশকের ভীতু কিশোরী। *জহিরঃ বকুলের স্বামী। পেশায় ডাক্তার তিনি। গল্পে তাকে খুব একটা দৃঢ় ব্যক্তিত্বচেতা হিসেবে দেখানো হয়নি। *বাবুঃ বকুলের মামাতো ভাই স্বভাবচরিত কিছুটা চাপা। পরিস্থিতির প্রয়োজনে তাকে দেখা গেছে দায়িত্বশীল ভাইয়ের ভূমিকায়ও। *শওকত সাহেবঃ মুনার মামা আর বকুল-বাবুর বাবা। খিটখিটে ও কঠোর স্বভাবের এ ধরনের মুরুব্বিদের সাধারণত বাচ্চারা এড়িয়ে চলে। *টিনা ভাবীঃ বকুলদের প্রতিবেশী। এই পার্শ্বচরিত্রের সাথে বকুলের বেশ অন্তরঙ্গতা দেখা গেছে গল্পে। *বদী ও মজনুঃ গল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বচরিত্র। বাকেরের ডান-বামহাত। গল্পে এদের ▪️পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ গল্পে ছোট ছোট খণ্ডাংশে বিভক্ত বেশকিছু ঘটনাচিত্র মিলিত হয়ে নিখুঁতভাবে কয়েকজন মানুষের জীবনচক্র তৈরি করেছে। বর্ণিত হয়েছে মুনার মামার সংসারের টানাপোড়েন, উঠে এসেছে মুনা-মামুনের ব্যক্তিগত জীবনের নানান মোড়। উঠে এসেছে বাকেরের বাউণ্ডুলেপনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন চরিত্রের নানান ঘটনা। বাকেরভাই, হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট “কোথাও কেউ নেই” নাটকের সবথেকে জনপ্রিয় চরিত্র যে এই বাকের চরিত্রটি তা সম্ভবত আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রচলিত রেঞ্জের বাহিরে গিয়ে একটি আশ্চর্য চরিত্র এই বাকের। যদিও সে একজন ভবঘুরে গুন্ডা, কিন্তু তার মাঝে যে মানবিকতা বোধ আমরা দেখতে পাই তা গল্পের অন্য যেকোনো চরিত্র থেকে বেশি। বাকের এমন এক পুরুষ যে বারংবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও তার শখের নারীর জন্য তার সমস্ত জীবন খুচরো পয়সার মতো ব্যয় করে গেছেন। এককথায় এক নারীতে আসক্ত পুরুষ, যে চরিত্রটি আপনি বইয়ে পড়েন বা পর্দায় দেখেন আপনার সমান তালে ভালো লাগতে বাঁধ্য। অপরদিকে মুনা উপন্যাসটির প্রধান নারী চরিত্র, যার জন্মই যেন আজন্ম পাপ! জগতের সব দুঃখ কষ্ট যেন মুনাকেই বয়ে বেড়াতে হবে–এটাই যেন অদৃশ্য নিয়ম। পুরো গল্পে দুঃখে কষ্টে গড়া শক্ত ধাতের মেয়ে হিসেবে উপস্থাপন করলেও শেষটায় এসে আমরা তাকে ভয়াবহ ভঙ্গুর অবস্থায় দেখতে পাই। মুনা যখন বলে..."এই যে দেখুন বাকের ভাই আমি জ্ঞানত কখনো কোন অন্যায় করিনি, কাউকে কষ্ট দেইনি, তবুও কেবল কষ্ট পাচ্ছি। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার বাকি জীবনটা হয়তো কষ্টেই কেটে যাবে"... মুনার পুরো চরিত্রটা যেন এই বাক্যগুলোতে চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আরেকদিকে আছে মামুন, মুনার প্রেমিক। “তোমার উঠোনে এনে দেবো সাতটা অমরাবতী" এরকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে একসময় যে মুনার জীবনটাই পাল্টে দিয়েছে। আছে সংসারী জাহানারা, ভীতু কিশোরী বকুল, বকুলের জামাই জহির, চাপা স্বভাবের বাবু। আরো আছে বাকের ভাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুই বন্ধু ও সর্বক্ষণের সঙ্গী বদি এবং মজনু। যাদের বিশ্বাসঘাতকতাতেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় বন্ধুত্ব আর স্বয়ং “বিশ্বাস" শব্দও।এমন আরো বেশ কিছু চরিত্র এবং তাদের সম্মিলিত গল্পের এক অসাধারণ উপাখ্যান "কোথাও কেউ নেই"। হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় বইয়ের তালিকা করলে “কোথাও কেউ নেই" বইটি সেরা দশে অবশ্যই থাকবে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু যদি বলা হয় জনপ্রিয় নাটক? তবে একবাক্যে সবাই স্বীকার করতে বাধ্য “কোথাও কেউ নেই"। হুমায়ূন আহমেদের “কোথাও কেউ নেই" উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৯২-১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হত এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকটি। এটি এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে বাকের ভাইয়ের ফাঁসির পর্ব বাঙালির আবেগের অনলে ঘি হিসেবে কাজ করেছে। ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ সমস্বরে “বাকের ভাইয়ের ফাঁসি কেন, কুত্তাওয়ালী জবাব চাই" কিংবা, “বাকের ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে" স্লোগানে ফেটে পড়েছে। একটা নাটককে ঘিরে এমন ফ্যানবেজ তৈরি হওয়ার কারণ কি জানেন? হুমায়ূন আহমেদের লিখনশৈলীর নৈপুণ্য! সহজ, সরল, সাবলীল শব্দে মানুষের চিরায়ত অনুভূতিগুলোকে নিঁখুতভাবে ফুটিয়ে তুলতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। শিল্পীকে যেমন একটা ফাঁকা ক্যানভাস দিলে সে আনমনেই তুলিতে আঁচড় কাটতে থাকে আর আচমকা আবিষ্কার করে নিজের বেখেয়ালে আঁকা মনোরম ছবি, হুমায়ূন আহমেদের গল্পের ক্ষেত্রেও তাই ঘটে। তিনি এমন একজন শিল্পী যিনি খুব ভালো করেই জানেন ক্যানভাসের কোন জায়গায় কতটুকু রঙ প্রয়োজন। চরিত্রের প্রগাঢ়তা, সংলাপের মার্জিত প্রয়োগ, আবেগের মাধুর্যতা সবকিছুর পারফেক্ট মিক্সিং তার যেকোনো সাধারণ গল্পকেও পাঠকের কাছে মুখরোচক করে তুলে। আর সেখানে “কোথাও কেউ নেই" তো বাঙালির হরদম জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত একটি প্লট। যখন বইয়ের পাতা এসে ঠেকে ২৫২ তে...... ***বাকের এর ফাঁসি কার্যকর করা হলে তার লাশ বহন করতে একটি মেয়ে ভোর রাত হতে দাঁড়িয়ে আছে দেখে জেলর তাকে জিগ্যেস করলেন, -আপনি ডেডবডি নিতে এসেছেন আপনি মৃতের কে? মেয়েটি শান্ত গলায় বলল,-কেউ না। আমি ওর কেউ না।....*** তখন যেকোনো স্পর্শকাতর মানুষের মন অজান্তেই বলে ফেলে, "ইশ, বাকের ভাইয়ের ফাঁসিটা না হলেই হত না?" ▪️একনজরে বই সম্পর্কে বই:- কোথাও কেউ নেই লেখক:- হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনা:- কাকলী পৃষ্ঠা সংখ্যা:- ২৫৩ মুদ্রিত মূল্য:- ৪০০ টাকা ব্যক্তিগত রেটিং:- ৪.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
শুরু হতে শেষ পর্যন্ত মুনা কতোটা সমস্যার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছিল ,সে যেই ছায়াতলে একটু শান্তি খুজে পেত ঠিক তখনি তার মাথার উপর হতে ছায়া টি হারিয়ে যাচ্ছিল ।যা শেষ হলো বাকের ভাইকে হারিয়ে যখন সম্পূর্ণ একা হয়ে যায় । শেষ পর্যন্ত মুনার আর কোথাও কেউ থাকলো না ।
Was this review helpful to you?
or
এক কথায়, অসাধারণ।।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব সুন্দর একটি বই!
Was this review helpful to you?
or
best
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় দারুণ!❤️
Was this review helpful to you?
or
execellent
Was this review helpful to you?
or
বেশ কিছুদিন আগে পড়েছিলাম। বইটা সকলেরই পড়া। তবু বলে নিই, এখন বইটার কাহিনী নিয়ে কিছু কথা বলবো। কারো পড়া না থাকলে লেখাটা না পড়ার অনুরোধ। চরিত্রের পোস্টমর্টেম_ মামুন ও মুনা মামুনকে পড়ে আমার অসুস্থ বোধ হয়েছে৷ মুনার সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়৷ কিন্তু বিয়ের আগেই মুনার সাথে ঘেঁষাঘেঁষি করতে চায়৷ এতে মুনার ভাল লাগে না৷ কিন্তু সে এসবের পরোয়াই করে না। অথচ নিজে কী করে কোথায় যায় সেসবও মুনাকে বলার প্রয়োজন বোধ করে না। মুনা রাগ করে আছে। সেটার পর্যন্ত ধার ধারে না। এরপর জাহানারার মতো চমৎকার একটা মেয়ের সাথে বিয়ে হয় তার। জহির ও বকুল বকুল একটা ফুটফুটে মিষ্টি মেয়ে যেন স্বর্গীয় শিশু৷ এত সুন্দর একটা মেয়েকে বিয়ে করে জহির৷ কিন্তু বিয়ের পর তার আসল রুপ বেড়িয়ে আসে৷ শরীর সর্বস্ব চিন্তায় জহির ডুবে থাকে সব সময়। তার কাছে মনের কোনো মূল্য নাই৷ রীতিমতো পিচাশ রুপে হাজির করা হয়েছে জহিরকে। বাকের ভাই এই চরিত্র নিয়ে লেখার সাহস আমার নাই৷ বাংলা সাহিত্য/নাটকের ইতিহাসে সব থেকে জনপ্রিয় চরিত্র বললে ভুল বলা হবে না। টিভিতে যখন এই নাটক প্রচারিত হচ্ছিলো তখন নাকি বকের ভাইয়ের ফাঁসির রায়ের বিরোধিতা করে ঢাকার রাস্তায় মিছিল পর্যন্ত হয়েছিলো৷ সুতরাং বোঝাই যাচ্ছের এটা পাঠক/দর্শকের মনোজগতে কতটা প্রভাব ফেলতে পেরেছিলো। তো স্বভাবতই আমারও পছন্দের চরিত্র এটি৷ একজন মাস্তান তবে সৎ, বদ মেজাজি তবে সাহসি। গুণ্ডা তবে পরোপকারী। এক কথায় মন থেকে ভাল তবে পেশায় খারাপ৷ এরকম একটা চরিত্র বাকের ভাই৷ উপসংহার_ সব মিলিয়ে এটা হুমায়ূন আহমেদের অসামান্য রচনা। নাটকে তো হিস্ট্রি ক্রিয়েট করেছেই, সাহিত্য হিসেবেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমি এখনো নাটকটা দেখিনি৷ তবে বই পড়ে নেয়ায় সুবিধাই হলো৷ আগে নাটক দেখলে পরে আর বই পড়াটা হয়ে উঠতো না সহজে৷
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ মানেই ভালোবাসা . হুমায়ুন আহমেদ মানেই ভালোবাসা . হুমায়ুন আহমেদ মানেই ভালোবাসা . হুমায়ুন আহমেদ মানেই ভালোবাসা .
Was this review helpful to you?
or
❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
It was good
Was this review helpful to you?
or
নাটকটি দেখেছিলাম আরো অনেক আগেই তবু মনে হলো মুনা আর বাকেরের মনের ভাব অনেক কিছুই জানার ছিল যা কিনা অভিনয়ে কখনই বোঝা যায়না। তবে অবাক করা বিষয় দেখলাম বইটি নাটক থেকে বেশ খানিক আলাদা এবং অনেক ভাবসম্পূর্ন। শুধু নাটক দেখে যারা বইটি এড়িয়ে চলেছে তাদের ধারনা সম্পূর্নই ভুল। বইটি খুবই ভাল লাগার মত একটি বই। তবে শেষের দুটি পাতা যদি বইটিতে না থাকতো তাহলে মনে হয় বেশ ভাল হত। শেষের দুটি পাতা পুরো কাহিনীটিকে ঘুরিয়ে দেয় যা অকল্পনীয় এবং ভীষন মন খারাপ করে দেয়ার মত।
Was this review helpful to you?
or
best book❤️
Was this review helpful to you?
or
VeryvGood
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
বড়ই চমৎকার
Was this review helpful to you?
or
????
Was this review helpful to you?
or
বই দুইটা খুবই ভালো
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারন।
Was this review helpful to you?
or
কোথাও কেউ নেই বইটা অসাধারন। আমি ওইটা পড়া শুরু করলে আর উঠতে পারিনা। পুরাই অন্যরকম ভালো বই।??
Was this review helpful to you?
or
better
Was this review helpful to you?
or
এখনো পড়া হয়নি।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন।
Was this review helpful to you?
or
awesome
Was this review helpful to you?
or
aws
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো বই।মানুষের দুঃখ,আনন্দ খুবই সুন্দর করে তুলে ধরেছেন,স্যার।আসাধারন।
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই, কিনতে পারেন
Was this review helpful to you?
or
amar jibon e joto pora boi- etai holo shera. Muna ke jotobar dekhi, tar kotha pori, ki ek bhalo laga toiri hoy, mone hoy ami o to emon. Munar self respect take onno ucchotay niye geche, ar ei bishesh choritre Subarna Mustafa oshadharon obhinoy korechen. Kothao keu nei- shobcheye jonopriyo TV serial. er trailer e Muna ke jokhon dekhano hoy eka hete jacche shagorer ti dhore, ek odbhut hahakar toiri hoy- amader jiboner shathe mile mishe geche ei kothao keu nei.
Was this review helpful to you?
or
khub valo boi
Was this review helpful to you?
or
কিছু কিছু বই পড়লে সে সম্পর্কে লিখতে ইচ্ছা করে । কিন্তু বইয়ের ভিতরের শক্তি মাঝে মাঝে এতটা বেশি হয়ে যায় যে তখন আশেপাশের পরিবেশেও তার একটা প্রভাব ফেলে দেয় । মন খারাপ করার মত বই । নি:সন্দেহে । বলা যায় এরকম বই খুব কমই পড়েছি আমি ।
Was this review helpful to you?
or
Master work by late Humayun Ahamed Sir..
Was this review helpful to you?
or
another masterpiece from the legend
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
বইটা আসলে ভাল ছিল
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
রককগ
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ে ভালো লাগলো।
Was this review helpful to you?
or
❤️❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
বইটা দারুন ফাস্ট ডেলিভারি
Was this review helpful to you?
or
বদিঃ বাকের ভাই “গায়ে হলুদের” ইংরেজি কি? বাকের ভাইঃ বডি টার্মারিক। জাস্ট অ্যামেইজিং!, হ্যাট’স অফ ফর হুমায়ূন আহমেদ।
Was this review helpful to you?
or
অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী একটি বই । শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উৎসাহ থাকে বইটি পড়ে শেষ করার ।হুমায়ন আহমেদ এর বই পড়ে খারাপ লাগবে না করো কখনো । ঠিক তেমনই একটি বই এটা ।
Was this review helpful to you?
or
নিয়ে নিলাম
Was this review helpful to you?
or
ডেলিভারিতে প্রচুর সময় নিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
Tremendous
Was this review helpful to you?
or
খুব অসাধারণ একটি বই ?
Was this review helpful to you?
or
মনটা জুড়িয়ে গেলো বইটা পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
জীবন কে অনেক কাছে দেখা দেখা যায় এমন বই❤
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Classy ...
Was this review helpful to you?
or
A really mesmerizing story
Was this review helpful to you?
or
A heart touching story
Was this review helpful to you?
or
Amazing
Was this review helpful to you?
or
পুরোটাই অসাধারণ, শেষের দিকে কান্না চলে এসেছিলো ?
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন স্যারের লেখা মানেই এক একটা ম্যাজিক। পাতায় পাতায় বিষ্ময়। আর এই বইটি পড়লে মনে হবে। আমিও সে গল্পের অংশ। মনে হবে যা ঘটছে এগুলো বোধহয় আমার পাশের বাড়ির ঘটনা। যা হয়তো সুক্ষ্ম চোখে এই বই পড়ে আমরা দেখতে পাই।
Was this review helpful to you?
or
নাম:কোথাও কেউ নেই লেখক:হুমায়ূন আহমেদ ধরণ:উপন্যাস প্রকাশকাল:১৯৯২ প্রকাশনী:কাকলী মুদ্রিত মূল্য:৳৩০০ ব্যক্তিগত রেটিং:৯/১০ পাড়ায় পাড়ায় গুন্ডামি করে বেড়ানো এক বাউন্ডুলে ছেলে,শ্যামলা,রোগা কঠিন এক মেয়ে,কিশোরীর প্রথম প্রেমের ছোঁয়া ও সমকালীন নানা টুকরো গল্প নিয়ে সাহিত্যের জাদুকরের এক কালজয়ী উপন্যাস "কোথাও কেউ নেউ"।এই উপন্যাসখানি নিয়ে বস্তুত বলার কোনো প্রয়োজন নেই,কারণ এই উপন্যাসটি নিজেই নিজের রিভিউ।৯০ এর দশকে এ উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে নির্মিত নাটকের দর্শক জনপ্রিয়তা কতটা ছিল তা বলাই বাহুল্য।এ নাটকের বাকের ভাই চরিত্রটি যে পরিমাণ সাড়া জাগিয়েছিল তা সত্যিই অসাধারণ। গল্পে বেশ কিছু চরিত্র রয়েছে,রয়েছে বেশ কিছু টুকরো টুকরো গল্প।কিন্তু সব চরিত্রের মধ্যিখানে বেশ কিছু মূখ্য চরিত্র রয়েছে।সব গল্পের মাঝেও আছে একটা মূল গল্প।বাকের ভাই ও মুনাকে সবচে প্রধান চরিত্র বললে ভুল হবে না।বাকের ভাই ও মুনা ছাড়াও বকুল,বাবু,মামুন,জাহানারা ও আরো বেশ কিছু মূল চরিত্র আছে যাদেরকে নিয়ে সম্পূর্ণ গল্পটা আবর্তিত হয়েছে। মুনার চরিত্র বেশ ইন্টারেস্টিং।সে ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারায়,ফলে সে মানুষ হয় তার মামা শওকত সাহেবের কাছে।তার মামার মধ্যবিত্তের সংসার।ঘরে সে,তার মামা ছাড়াও আছেন মুমূর্ষু মামি,মামাতো বোন বকুল ও মামাতো ভাই বাবু।ছোট্ট একটা দু কক্ষের বাসায় তাদের বাস।মুনা একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে।যেহেতু সে ছোটবেলাতেই বাবা-মাকে হারায়,তাই সে একজন কঠিন,কঠোর,চটপটে ও বাস্তববাদী মেয়ে হিসেবে বড় হয়ে ওঠে।তাদের বাসার সব সিদ্ধান্ত গ্রহণে সে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।শত কঠোরতার মাঝেও তার মধ্যে কোমলতা লুকিয়ে থাকে।তেমনি মুনার ভেতরেও আছে।বৃষ্টি হলেই সে বাচ্চাদের মতো ছুটে যায় ভিজতে,সারারাত ধরে ভিজতেই থাকে। বাকের ভাই চরিত্রটিও অভিনব।এ চরিত্রের দুটি বিপরীতমুখী দিক রয়েছে।এদিকে বাকের ভাই দুর্ধর্ষ মাস্তান,বাউন্ডুলে ছন্নছাড়া এক যুবক,পাড়ায় পাড়ায় সদলবলে মাস্তানি করে বেড়ানো যার নৈমিত্তিক কাজ কিন্তু অন্যদিকে সে একজন পরোপকারী শুভাকাঙ্ক্ষী,সে তাদের পাড়ায় নানাজনের নানা সহযোগিতায় সবার আগে ছুটে আসে।এ মাস্তানির আড়ালেও তার মধ্যে ভালোবাসার এক চিলতে রোদও দেখা যায়।তার মধ্যেও ভালোলাগা কাজ করে।কিন্তু মুখ ফুটে বলা হয় না।বলবেই বা কী করে?সে যে রাস্তার ছেলে। আরেকটি চরিত্র বর্ণনা না করার লোভ সামলাতে পারছি না।যদিও এটি মূল চরিত্র নয়।সেটি হচ্ছে বকুল।মুনার মামাতো বোন।কিশোরী এ কৌতূহলী মেয়েটিকে আমার বেশ ভালো লেগেছে।বকুল অসম্ভব রূপবতী এক মেয়ে।রূপবতী সাথে সাথে সে অসম্ভব মায়াবতীও বটে।লেখক বকুলের মধ্য দিয়ে কিশোরী মনের কৌতূহলকে খুব সুন্দর করে ফুটিয়েছেন।কিশোরীর প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি কেমন হয়।একই সাথে ভয়,ভালোবাসা,বিরক্তি,মায়া সব মিলিয়ে যে মিশ্র অনুভূতি সৃষ্টি হয়,তা অনুভব করা যাবে এ চরিত্রের মধ্যে।কিশোরীর প্রথম ভালোবাসা হওয়া যে কতটা ভাগ্যের বিষয় সেটাও এ চরিত্রের মাধ্যমে জানা যাবে। মুনা ও বাকেরের গল্প।বাকের এক বাউন্ডুলে ছেলে,সারাদিন কাজকর্ম ছাড়া ঘুরে বেড়ায়।আর মুনা এক চাকুরিজীবী,সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে তার দিন কাটে।বাকের সারাক্ষণ মুনার পেছন পেছন ঘুরে বেড়ায়।মুনার জন্য তার মনে অনেকখানি ভালোবাসা।মুনা যদিও বাকেরের এ কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়,কিন্তু তা খুবই কম।এই বিরক্তির আড়ালে আছে অনেকখানি মমতা।সে এই মমতার কথা হয়তো নিজেও জানে না।কিন্তু সারা পৃথিবী যখন মুনাকে ছেড়ে চলে যায়,সে যখন একেবারে একা হয়ে পড়ে ঠিক তখনই সে উপলব্ধি করে ঐ মাস্তান বাউন্ডুলে ছেলেটাকে সে অনেকখানি ভালোবাসে।ঘটনাপ্রবাহে বাকের এক মিথ্যা খুনের মামলায় ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হয়। ...তার ডেডবডি গ্রহণ করবার জন্য রোগা,লম্বা,শ্যামলা মত যে মেয়েটি ভোর রাত থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল তাঁকে জেলার জিজ্ঞেস করেন-- আপনি ডেডবডি নিতে এসেছেন,আপনি মৃতের কে? মেয়েটি শান্ত গলায় বলল,কেউ না।আমি ওর কেউ না।... বস্তুত এই এক লাইনে পুরো উপন্যাসটি পূর্ণতা পেয়েছে।এই "আমি ওর কেউ না" দ্বারা মুনা বলে দিয়েছে,মুনাই বাকেরের সব,বাকেরই মুনার সব।এই পর্যন্ত এসে যেকোনো কঠিন মানুষের মনটাও কেঁপে উঠবে। হুমায়ূন আহমেদের পুরোনো দিনের লেখাগুলি একটা অন্যস্তরের অনুভূতি দেয়।এই লেখাটিও তার পুরোনো লেখাগুলোর একটা।এই গল্পটা ট্রাজিক হলেও আমার মনের ভেতর কোথায়ও একটা সুখের অনুভূতি দিয়েছে।কেন জানি না।জানতেও ইচ্ছে করে না।কী আশ্চর্য!এ উপন্যাসটি পড়ে আমার প্রচন্ড খারাপ লাগা কাজ করা উচিত ছিল।খারাপ অবশ্য লেগেছে,কিন্তু সেই সাথে কেমন একটা ভালোলাগাও কাজ করছে।হুমায়ূন আহমেদের লেখা বলেই হয়তো এমন ঘোর লাগা অদ্ভুত অনুভূতি অনুভব করা সম্ভব।
Was this review helpful to you?
or
Kothao Keu Nei' is one of the most mentioned novels in Bangladesh by Humayun Ahmed. The central character of this novel is Munna and Baker vai. Kothao Keu Nei tailed the journeys of the lovable gangster Baker Bhai. Through a series of dangerous ventures, Baker Bhai tried to keep control of his terrain. At the same time, he also tries to do what's right and protect the weak. At the end of the story, he seems to be betrayed by his friend Bodi and sentenced to be hanged. As we read Kothao Keu Nei, we can reveal that he is not guilty of murder; rather he was betrayed by a woman of a lodge who used to run an escort business hiring girls. Baker protested. Such protest resulted in Baker that's false trial and execution. kothao keu nei by Humayun Ahmed gained so much popularity when it was turned into a drama on Bangladesh Television. In spite of popular opinion, the television station fixed to the story and the series ended with the character's death.
Was this review helpful to you?
or
বইটা সত্যিই এক কথায় অসাধারণ। হুমায়ূন আহমেদের ভালো লেখা গুলোর মধ্যে অন্যতম। জীবনের রহস্য ভেদ করা সম্ভব নয়। দিন শেষে সবাই মায়ার বাধনে আবদ্ধ হয় । বাকের ভাই, মুনা, মামুন, জাহানারা, বকুল, বাবু প্রমুখ চরিত্রসমূহের মাধ্যমে লেখক নিত্যদিনের জীবন-যাপন ফুটিয়ে তুলেছেন যা আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগের কথা।
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
মাস্টারপিস একটা বই। বইটা যখন পড়ছিলাম, মনে হচ্ছি লো কাহিনীর ভেতর ডুবে গেছি। মুনা চরিত্রটি অসাধারন। বইটি পড়ে বাকের ভাইয়ের প্রেমে পড়ে গেছি।
Was this review helpful to you?
or
মুনা!নামটি ২ অক্ষরের হলেও এই নামের ভার যে কতটুকু। চরিত্রটা আমাকে বারবার মুগ্ধ করেছে,আর তারচেয়ে বেশি তো বাকের ভাই।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদ এর যেসব বই পড়ছি সবই ভালো ছিলো,,কিন্তু এই বই পড়ে অনেক কষ্ট লাগছে,, বাকের ভাই এর জন্য
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা পড়লে নব্বই দশকের কথা মাথায় আসে। এই বইকে কেন্দ্র করেই কোথাও কেউ নেই নাটকটি বানিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। বাকের ভাই, মুনা, বদি যেন তখনকার সময়ের মানুষের নিত্যদিনের আলোচনার বিষয়। বিটিভিতে প্রচার হত এই উপন্যাসকে কেন্দ্র করে বানানো নাটকটি। হুমায়ূন আহমেদ চাইলেই কিন্তু উপন্যাসের বাকের ভাইকে বাঁচিয়ে রাখতে পারতেন। কিন্তু এমনটা করলেন না। এটাই উপন্যাস, এটাই উপন্যাসের মূল আকর্ষণ।
Was this review helpful to you?
or
শুরুটা আর শেষটা পুরোপুরি নাটকীয়। পাওয়া, না পাওয়ার অদ্ভুত মিশ্রণ এই বইয়ে। প্রতিটি ঘটনা নতুন করে ভাবায়। বাকের ভাই এর চরিত্র সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল। শেষটায় কষ্ট পেয়েছি। বইএর শেষের দুই লাইন সবচেয়ে আবেগের। অন্যতম সেরা বই এটি
Was this review helpful to you?
or
কোথাও কেউ নেই... সত্যিই, মানুষের জীবনের চারদিক শুধুই শুন্যতায় ভরা... কাছের মানুষ, দূরের মানুষ, আপন মানুষ কিংবা পর... সবাই, সবাই যেন এক অদৃশ্য কুয়াশার চাদরে ঢাকা। বাকের ভাই, বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। বইয়ের শেষ কয়েকটা বাক্য পড়ার পর লক্ষ্য করলাম আমার দু'চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে নামছে... আমি মানুষের দুরবস্থা নিয়ে আরো অনেক বই পরেছি, কিন্তু কখনো কান্না করিনাই... দীপাবলী কিংবা মাধবীলতা, এরা অনেক শক্তিশালী চরিত্র কিন্তু মুনা তারচেয়েও বেশী শক্তিশালী... হুমায়ুন আহমেদ এর সব গুলো বই আমার এখনো পড়া হয়নাই, তবু অনেক গুলোই পড়েছি... এদের মধ্যে আমি কোথাও কেউ নেই-কে সবার উপরে রাখব... তাছাড়া অপেক্ষা, সেই সব দিনরাত্রি, শঙ্খনীল কারাগার, নন্দিত নরকে এগুলোও আমার নিজস্ব তালিকায় বাকের ভাইয়ের পরেই থাকবে... আমি এখনো জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প পড়িনাই, তবে আমি নিশ্চিত এটাও বাকের ভাইকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না, অন্তত আমার কাছে,,,,,,,,,,,,,,জীবনের বিচিত্র গল্প, মনকে বিষাদে পূর্ণ করে দেয়, প্রতি পাতা থেকেই একটা কথা ভেসে আসতে থাকে "কোথাও কেউ নেই
Was this review helpful to you?
or
কিছু কিছু বই পড়লে সে সম্পর্কে লিখতে ইচ্ছা করে । কিন্তু বইয়ের ভিতরের শক্তি মাঝে মাঝে এতটা বেশি হয়ে যায় যে তখন আশেপাশের পরিবেশেও তার একটা প্রভাব ফেলে দেয় । মন খারাপ করার মত বই । নি:সন্দেহে । বলা যায় এরকম বই খুব কমই পড়েছি আমি ।
Was this review helpful to you?
or
আনন্দ আসবেই!!! আসাধারন লেখনি...
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই। মধ্যবিত্ত জীবন, সম্পর্ক, ভালোবাসা ও বাস্তবতার সংমিশ্রনে অপরূপ একটি লেখা। বাকের ভাই চরিত্র তো বিখ্যাত চরিত্রগুলোর একটা। কাল্পনিক কোনো চরিত্রের জন্য মানুষের রাজপথে নেমে আসার ঘটনা বোধহয় প্রথম। বাকের ভাই চরিত্রটির মাধ্যমে লেখক পাঠকের মনে ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পেরেছেন ,, এটাই বইটির সবচেয়ে বড় অর্জন
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদ এর সব থেকে ভালো বই গুলোর একটি
Was this review helpful to you?
or
"কোথাও কেউ নেই " হুমায়ুন আহমেদ স্যারের একটা বিখ্যাত উপন্যাস। বাংলাদেশ টেলিভিশন এ এই উপন্যাস নিয়ে নাটক প্রচারিত হয়। তখনকার সময়ে এটি একটি সাড়াজাগানো নাটক। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র গুলো হলো মুনা, বাকের, মামুন,শওকত, বকুল, বকুলের মা, বাবু, জহির, টিনা প্রমুখ। বাবা মা হারা মুনা তার মামা শওকত সাহেবের পরিবারের সাথে থাকে। চাকরী করে। শওকত সাহেবের মেয়ে বকুল আর ছেলে বাবু। মামুন নামের ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয় মুনার। অন্যদিকে বাকের হলো পাড়ার মাস্তান। তবে পাড়ার লোকজন তাকে পছন্দ করে আর বাকের পছন্দ করে মুনাকে। এভাবেই গল্প এগিয়ে যায়। নানা ঘাত প্রতিঘাতে শেষে বাকেরের ফাসি হয়, শওকত ও তার স্ত্রী মারা যায়, জাহানারা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে। মুনার পাশে আর কেউ থাকে না।
Was this review helpful to you?
or
এই সেই বই- যার নাট্যরূপ মানুষকে দশকের পর দশক মোহাবিষ্ট করে রেখেছিল।যার চূড়ান্ত পরিণতিতে অশ্রুসিক্ত মানুষ রাস্তায় নেমে মিছিল করেছিল- যেন তা পরিবর্তন করা হয়! হুমায়ুন আহমেদ যে কেন হুমায়ুন আহমেদ- জানতে হলে কোথাও কেউ নেই পড়াই লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
A truly nice book.
Was this review helpful to you?
or
কোথাও কেউ নেই, অসাধারণ!
Was this review helpful to you?
or
মনে আছে বাকের ভাইকে? যার ফাঁসি আটকানোর জন্য রাস্তায় মিছিল হয়েছিল। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে বাকের ভাই একটি কাল্পনিক চরিত্র। তখনকার বিটিভির একটি নাটক 'কোথাও কেউ নেই' তে বাকের ভাইয়ের চরিত্র দেখানো হয়েছিল। সেই নাটকটি যে বইয়ের গল্প দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল তার নাম 'কোথাও কেউ নেই' লেখক হুমায়ুনআহমেদ। নাটক টা আমার জন্মের আগে টেলিকাস্ট হলেও 'কোথাও কেউ নেই' বইটি আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে সেই সময়ে। মুনা আর বাকেরের অদ্ভুত ভালবাসা। সে যেন অন্যরকম অনুভূতি। মধ্যবিত্ত পরিবারে মামার বাড়ি মানুষ মুনা। মুনা চরিত্রটি ভীষণ শক্ত প্রকৃতির। মুনার মামা শওকত তাকে খুব ভালবাসেন। মুনার মা-বাবা মারা যাওয়ার পর শওকত তাকে নিয়ে আসেন। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহেে মুনাদের সংসারে এক বিপদ আসে। বিপদে মুনারা দিশে হারা হয়ে পরে। এই সময়ে পাশে এসে দাড়ায় বাকের ভাই। যে কি না এলাকার মাস্তান। এখানে বাকের ভাইয়ের চরিত্র টি আমার কাছে ভীষণ ভাল লেগেছে। উপর দিক দিয়ে খারাপ মানুষ মনে হলেও সে একজন খুবই ভাল মানুষ। ঘটনা প্রবাহে বাকের ভাইকে আটক করে পুলিশ তাও খুনের কেসে। কিন্তু কেন? বাকের ভাই কি খুন করেছিল? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর পেতে হলে পড়ে ফেলুন 'কোথাও কেউ নেই'। সাধারণএর মধ্যে অসাধারণ একটি বই। নাটকের থেকেও বইটি পড়ে বেশী প্রেমে পরবেন বাকের ভাইয়ের। ২৫৫ টাকার বইটি হয়তো আপনার পড়া অন্যরকম এক ভালোলাগার বই হতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন স্যারের সেরা ৫ কাজের ভিতর থাকবে নিঃসন্দেহে। বাকের ভাই আর মুনা, অমর দুটি চরিত্র বাংলার সাহিত্য জগতে। এরিস্টেটল নাকি বলেছিলেন, রাজকীয় রক্তধারীদের গল্প না লিখলে নাকি ট্রাজেডি লিখা হয় না, হুমায়ুন স্যারের কলমে মধ্যবিত্তের জীবন, তাদের দুঃখ, তাদের কথা যেভাবে ফুটে উঠে, তা দেখলে হয়ত গ্রিক দার্শনিক নিজের কথা তুলে নিতেন। আপনার আমার ছোটবেলায় নিজের মহল্লা যেমন দেখেছি, তেমনি মহল্লার কাহিনী। অনেক নস্টালজিক আর আবেগি হয়ে যাই, জখনি পড়ি বইটা। অসাধারণ বই।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। যদিও টেলিভিশনে যেভাবে ধরা দিয়েছে তার তুলনাই হয় না। তবু বইটাতেও অনুভূতিটুকু কিছুটা হলেও ছিল। হূমায়ূন আহমেদ একজন কথার জাদুকর। তার সব বই অনন্য, অসাধারণ, অদ্ভুত সুন্দর। কোথাও কেউ নেই একটু বেশীই বিশেষ কারন কালজয়ী সেই টেলিভিশন ড্রামাটির জন্য। হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম সেরা সৃষ্টি হয়েই থাকবে কোথাও কোথাও কেউ নেই।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন স্যার এক অমর কীর্তি এই কোথাও কেউ নেই উপন্যাসটি। মন্ত্রমুগ্ধের মতো বইটি পড়েছি আর কাহিনীর গভীরতায় নিজেকে হারিয়েছি বারবার।
Was this review helpful to you?
or
অত্যন্ত সুন্দর একটি বই
Was this review helpful to you?
or
পৃথিবীর সর্বোচ্চ রূঢ়তার সাথেও মানুষ একা একা যুদ্ধ করতে পারে।সকল ছেলেমানুষি আর রূঢ়তা গুলোর সমাপ্তি হয় একটা জায়গায় এসে, তা হলো,মানুষটার নিজের কাছে । গল্পে মুনাও এমন অটল পাহাড়সম চরিত্র।যার কারও কাছে ভঙ্গুরতা নেই।ইচ্ছে আছে,কল্পনা আছে,অথচ কোনো কল্পনাই চিরস্থায়ী নয়। এই ভঙ্গুরতা কেবল নিজের কাছে। আমরা সবার কাছে কেও হতে চাই না, আমরা কেবল একজন,মাত্র একটা মানুষের কেও হতে চাই। নিজের একটা মানুষ আদৌ কি আমাদের হয়!! নাকি মুনার মতই জীবনের কোনো এক জেলগেটে নিজের কল্পনার ডেডবডির জন্য অপেক্ষা করতে হয়! তারপর পরিচয় দিতে হয়, কেও না,আমি ওর কেও না.. বইটি নিঃসন্দেহে স্যারের লেখা শ্রেষ্ঠ বই।
Was this review helpful to you?
or
শওকত সাহেবের মেজাজ কোনো সময়ই খুব একটা ভালো থাকে না। তার উপর বড় মেয়ে বকুল ইংরেজিতে ২৩ পেয়েছে। হেডমিস্ট্রেস লিখে দিয়েছে বাসায় একজন ইংরেজির শিক্ষক রাখতে। তবে বকুল জানে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফেল করলে করবে পাটিগণিত এর জন্য। শওকত সাহেবের ছোট ছেলেকে প্রায়ই দেখা যায় ঘর অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছে। মাথা ব্যাথাই তার একমাত্র কারন। তবে বাবুর(ছোট ছেলে) মাথা ব্যাথা কেন জানি মুনা আপা কে দেখলেই ভালো হয়ে যায়। যদিও মুনা আপা বলে দিয়েছে তাকে শুধু আপা ডাকতে। মুনা আপাকে সবাই বলে শক্তপ্রকৃতির মেয়ে। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পরই মুনা আবিষ্কার করে তাকে কেউ খুব একটা পছন্দ করছে না। সংসার নিয়ে যখন সবাই ব্যস্ত তখন ঝামেলা মাথায় নেওয়ার কোনো মানেই হয় না। এসময় তার মামা শওকত সাহেব তাকে নিয়ে যায়। মা-বাবার ভালোবাসা বঞ্চিত মুনা বুঝতে পারে মামাই তার সব। শওকত সাহেবও যেনো মুনাকে একটু বেশিই ভালোবাসে। হয়ত তার ছেলেমেয়ের থেকেও বেশি। মধ্যবিত্ত্ব এই পরিবারটি নিজেদের হঠাৎ বিশাল বিপদের মধ্যে আবিষ্কার করে। পাল্টে যেতে থাকে চরিত্রগুলোর স্বভাব। বকুলের স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে না, বাবুকেও দেখা যায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে। শওকত সাহেব কে আর দেখা যায় না বকুলের ট্রান্সলেশনের অপেক্ষায় বসে থাকতে। এমন সময় পাশে এসে দাঁড়ায় এলাকার গুন্ডা বাকের ভাই। বাকের ভাইয়ের একসময় সাঙ্গপাঙ্গ থাকলেও আজকাল তাকে একাই দেখা যায়। মোটর পার্টস এর দোকান দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়ে উঠে না।মুনার প্রতি বাকের ভাইয়ের দূর্বলতা আছে। অথচ মুনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে মামুনের সঙ্গে। তাদের প্রেমের পরিণতিই হতে যাচ্ছে তা। কিন্তু হঠাৎ করেই মুনার মনে হয় মামুন স্বার্থপর। শেষ পর্যন্ত কী হয় তাদের বিয়ে? সবার বিপদে আপদে যে বাকের ভাই পাশে দাঁড়ায় সেই বাকের ভাই একদিন নিজেকে জেলের ভিতরে একা আবিষ্কার করে। যদিও ভাবে কেউ আসবে কিন্তু কেউ আসে না। মুনাকে খবর পাঠানো হয়। বিপদের সময় তাদের পাশে শুধু বাকের ভাই ছিল।ক জেল থেকে ছাড়া পায় বাকের ভাই। একদিন মুনার কাছে গেলে মুনা তাকে অস্বাভাবিক এক প্রস্তাব দিয়ে বসে। মামুনও যে মুনাকে ভালোবাসে!অন্যদিকে মামুনের সাথে পরিচয় হয় জাহানারা নামের একজন মেয়ের সাথে.... বাকের ভাইকে খুনের মামলায় আবার ফাঁসানো হয়। ঝুলতে থাকে একটা মামলা...ঝুলতে থাকে একটা স্বপ্ন। আশেপাশে মানুষের ভীরে মিশে থাকলেও মনে হতে থাকে আমরা যেন খুব একা। মনে হতে থাকে আসলে কোথাও কেউ নেই...
Was this review helpful to you?
or
বাজে বই
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। বই টা পড়ে ৩ ঘন্টা কারো সাথে কথা বলি নি। সারাজীবন মনে থাকবে বইটার কথা। হুমায়ুন স্যারকে এজন্যই ভালবাসি
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ১৪ বইঃ কোথাও কেউ নেই লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ ক্যাটাগরিঃ সমকালীন উপন্যাস, মূল্যঃ২৫৫ টাকা প্রকাশনীঃকাকলী লেখক পরিচিতিঃ হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮ – ১৯ জুলাই, ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত। কাহিনী সংক্ষেপেঃ গেটের কাছে এসে মুনা ঘড়ি দেখতে চেষ্টা করল। ডায়ালটা এত ছোট কিছুই দেখা গেল না। আলোতেই দেখা যায় না, আর এখন তো অন্ধকার। রিকশা থেকে নেমেই একবার ঘড়ি দেখেছিল সাড়ে সাত। গলির মোড় থেকে এ পর্যন্ত আসতে খুব বেশি হলে চার মিনিট লেগেছে। কাজেই এখন বাজে সাতটা পঁয়ত্ৰিশ।দশটা থেকে এগারটা এই এক ঘণ্টা মামুন মুনার অফিসে বসে রইল। মুনার দেখা নেই। অপরিচিত লোকজনদের মাঝে বসে থাকা একটা বিরক্তিকর ব্যাপার। সবাই যে অপরিচিত তা নয়, পাল বাবু তাকে চিনতে পেরেছেন এবং বাকি সবার সঙ্গে পরিচয়ও করিয়ে দিয়েছেন এই যে ইনি মামুন সাহেব। মুনার মনে হল তার জ্বর আসছে। মুখ তেতো, মাথায় ভোঁতা। একটা যন্ত্রণা। সকালে নাশতা খেতে গিয়ে টের পেল গলাব্যথা আরো বেড়েছে। গলা দিয়ে কিছুই নামছে না। মুনা ক্লান্ত স্বরে বলল–বকুল, একটু গরম পানি করে দে, গোসল করব। বকুল সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়াল। নাশতা শেষ করে যা।পাল বাবু অবাক হয়ে বললেন, এ কি অবস্থা ম্যাডাম! মুনা বলল, ক’দিন খুব ভুগলাম। টনসিলাইটিস। আপনার ভাল তো? ভালই। তিন দিনের জ্বরে কারো এমন অবস্থা হয় জানতাম না। আপনার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। গেছো পেত্নীর মত লাগছে। রাগ করলেন নাকি? মুনা রাগ করল না, তবে বিরক্ত হল। সকাল ন’টার মত বাজে। বাকের জলিল মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে বিমর্ষ মুখে দাঁড়িয়ে ছিল। কড়া রোদ বাইরে। বাকেরের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। জলিল মিয়া ডাকল–বাকের ভাই, আসেন চা খান। বাকের জবাব দিল না। সব কথার জবাব দেয়া ঠিক না। এতে মানুষের কাছে পাতলা হয়ে যেতে হয়। এভাবেই এগিয়ে যায় গল্প গুলো। আমার পরা হুমায়ুন আহমদের সেরা বই। এই নাটক সমমনধে অনেক কথা শুনেছিলাম । ইউটিউবে বসে এক রাতেই সব এপিসোড দেখে ফেলি। নাটক আর বই এ কিছু পারথকয আছে। কিনতু তারপর ও আমার নাটক ও বই দুইটাই পছনদ হয়েছে। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ কোথাও কেউ নেই... সত্যিই, মানুষের জীবনের চারদিক শুধুই শুন্যতায় ভরা... কাছের মানুষ, দূরের মানুষ, আপন মানুষ কিংবা পর... সবাই, সবাই যেন এক অদৃশ্য কুয়াশার চাদরে ঢাকা। বাকের ভাই, বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। বইয়ের শেষ কয়েকটা বাক্য পড়ার পর লক্ষ্য করলাম আমার দু'চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে নামছে... আমি মানুষের দুরবস্থা নিয়ে আরো অনেক বই পরেছি, কিন্তু কখনো কান্না করিনাই... দীপাবলী কিংবা মাধবীলতা, এরা অনেক শক্তিশালী চরিত্র কিন্তু মুনা তারচেয়েও বেশী শক্তিশালী... হুমায়ুন আহমেদ এর সব গুলো বই আমার এখনো পড়া হয়নাই, তবু অনেক গুলোই পড়েছি... এদের মধ্যে আমি কোথাও কেউ নেই-কে সবার উপরে রাখব... তাছাড়া অপেক্ষা, সেই সব দিনরাত্রি, শঙ্খনীল কারাগার, নন্দিত নরকে এগুলোও আমার নিজস্ব তালিকায় বাকের ভাইয়ের পরেই থাকবে... আমি এখনো জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প পড়িনাই, তবে আমি নিশ্চিত এটাও বাকের ভাইকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না, অন্তত আমার কাছে...
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #ডিসেম্বরঃ ২১ বইঃ কোথাও কেউ নেই লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনঃ কাকলী প্রকাশনী ধরণঃ সমকালীন পৃষ্ঠাঃ ২৫৩ রকমারি মূল্যঃ ২৫৫টাকা . বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল লেখক হুমায়ূন আহমেদ।তিনি বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম।তাঁকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক গণ্য করা হয়।সাবলীল ঘটনার বর্ণনা আর সহজ ভাষায় লেখার কারণে হুমায়ুন আহমেদের বই এর তুলনা নেই।কোথাও কেউ নেই হুমায়ূন আহমেদ এর জনপ্রিয় বইপ্রিয় বইগুলোর মধ্যে অন্যতম।৯০দশকে এটি নিয়ে টিভি নাটকও তৈরি হয়েছিলো এবং নাটকটি তৎকালীন সময়ে বেশ জনপ্রিয় ছিলো। . রিভিউঃ এই উপন্যাসে মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র মুনা।ছোটবেলা থেকেই তার বাবা মা কেউ নেই। ছোটবেলায় মা- বাবা মারা যাওয়ার পরই মুনা আবিষ্কার করে তাকে কেউ খুব একটা পছন্দ করছে না।সংসার নিয়ে যখন সবাই ব্যস্ত তখন ঝামেলা মাথায় নেওয়ার কোনো মানেই হয় না।তখন মুনার মামা তাকে নিজেদের সংসারে নিয়ে আসে।তারপর থেকে মুনা মামা মামীর কাছে বড় হয়।মুনার মামা শওকত সাহেব ভীষণ রাগী হলেও খুব ভালো মানুষ।তিনি নিজের দুই ছেলেমেয়ের থেকেও মুনাকে বেশি ভালোবাসেন।মুনার মামীও একজন সহজসরল মহিলা। বকুল মুনার মামাতো বোন।বয়সে মুনার অনেক ছোট হলেও ইচড়ে পাকা।ক্লাস টেন এ থাকতেই সে বিয়ে নিয়ে মোটামুটি আগ্রহী।এজন্য মুনা তার উপর ভীষণ বিরক্ত। বাবু মুনার মামাতো ভাই ক্লাস সেভেন পড়। চুপচাপ,শান্ত স্বভাবের ছেলে।তার সবসময় মাথা ব্যাথা করে বলে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে থাকে।কিন্তু মুনা আপুকে দেখলেই তার মাথা ব্যাথা সেরে যায়। সিমসাম এই মধ্যবিত্ত পরিবারে কিভাবে যেন একদিন ভাঙ্গন ধরে।এই পরিবারে একদিন বিশাল বিপদের ছায়া নেমে আসে।এমন সময় বাকের ভাই নামের এলাকার এক মাস্তান তাদের পাশে এসে দাঁড়াই।বাকের ভাইও এই উপন্যাসের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।মাস্তান ধরণের হলেও মানুষ হিসেবে খুব ভালো।সকলের বিপদআপদে এগিয়ে যায়।একসময় অনেক সাঙ্গপাঙ্গ থাকলেও আজকাল তাকে প্রায় একা দেখা যায়।মুনার প্রতি তার বিশেষ এক দূর্বলতা আছে,কিন্তু মুনা তাকে পছন্দ করেনা। মুনা মামুন নামের একটা ছেলেকে ভালোবাসে।তাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে।তােদর বিয়ের সবকিছুই মোটামুটি ঠিক হয়ে যায়।একদিন হঠাৎ করেই মুনা মামুনকে জানিয়ে দেয় সে তাকে বিয়ে করতে পারবে না।কিন্তু কেন??কি এমন হয়েছিল যে শেষ পর্যন্ত মুনাকে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়?? ওদিকে সবার বিপদআপদে এগিয়ে আসা বাকের ভাই একদিন ভীষণ রকমের এক ঝামেলায় ফেঁসে যায়।মস্ত বড় বিপদে পরে সে।কিন্তু কি সেই বিপদ?বাকের ভাই কি পারবে সে বিপদ থেকে উদ্ধার হতে? এদিকে মুনার মামা-মামী,আদরের মামাতো ভাইবোন,তার ভালোবাসার মানুষ মামুন একে একে সবাই মুনার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে থাকে।সে একা ও ভীষণ নিঃসঙ্গ হয়ে যায়। . পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ প্রথমে আসি বইটির নামকরণের সার্থকতা নিয়ে।এই বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্র মুনা,যার ছোটবেলা থেকেই কেউ ছিল না।এমন সময় সে মামার ছায়াতলে আশ্রয় পায়,একটি পরিবার পায়,একসময় তার জীবনে একজন প্রিয় মানুষও আসে।কিন্তু কোন এক অদৃষ্টের কারণে তারা সকলেই একে একে হারিয়ে যেতে থাকে,এমনকি সবার বিপদআপদে এগিয়ে আসা,মুনাকে পছন্দ করা সেই বাকের ভাইও মুনার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যায়।মুনা সম্পূর্ণ একা হয়ে পরে,তার আশেপাশে আপন বলতে কোথাও কেউ থাকেনা।মুনার কেউ না থাকা,নিঃসঙ্গতা,একাকীত্ব লেখক অনেক হৃদয়স্পর্শী ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন,সেক্ষেত্রে উপন্যাসের নাম "কোথাও কেউ নেই" যথার্থ হয়েছে।কোথাও কেউ নেই লেখকের অন্যতম সেরা উপন্যাস।মুনার মত এমন শক্তিশালি নারী চরিত্র বাংলা সাহিত্যে কমই আছে।অন্তত হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে এরকম চরিত্র কমই পেয়েছি।লেখক এই উপন্যাসে মধ্যবিত্তের জীবন চরিত অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।মধ্যবিত্তের অভাব অনটন,চাওয়া,না পাওয়া মোদ্দাকথা মধ্যবিত্তের একটা চিত্র লেখক উপন্যাসটিতে তুলে ধরেছেন।বাবা মা না থাকলে তাকে যে সবাই অপছন্দ করে সেটা মুনার মাধ্যমে লেখক বুঝিয়েছেন। মধ্যবিত্তের স্বপ্নগুলো হয় রঙিন রঙিন আকাশছোঁয়া,কিন্তু সেই আকাশছোঁয়া স্বপ্নগুলো তাদের কাছে প্রায় সময় অধরাই থেকে যায়।উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র তাদের নিজ নিজ জায়গায় স্বকীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।এই উপন্যাসের বাকের ভাই চরিত্রটি একটি অসাধারণ চরিত্র।বখাটে হলেই যে কেউ খারাপ হয়না,সেটা বাকের ভাই চরিত্রের মাধ্যমে লেখক প্রকাশ করেছেন।অনেকে সমাজ,পরিস্থিতির চাপে,পরিবারের অবহেলায় বখাটে,মাস্তান হয়।আর কেউ ভদ্র সমাজে ভদ্র করে থাকলেই কিন্তু ভালো মানুষ হতে হয় নিজ কর্মে।হুমায়ূন আহমেদের অধিকাংশ উপন্যাসে সাধারণত অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু চরিত্র থাকে,আর সেই চরিত্রগুলোই পুরো উপন্যাসে প্রাধান্য পায়।কিন্তু এই উপন্যাস টা সম্পূর্ণ বিপরীত।পুরো উপন্যাস জুড়ে লেখক মধ্যবিত্ত সমাজের বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন।মোটকথা অসাধারণ একটা উপন্যাস,ইমোশনালও বটে।বইটি পড়ে অনেকক্ষণ ঝিম মেরে বসে ছিলাম।উপন্যাসটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।নাটকটি এখনও দেখা হয়,সেটা দেখারও ইচ্ছা আছে। রেটিং: ৪.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Nice book
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটা বই কিন্তু পেজগুলো খুবই নিম্নমানের।
Was this review helpful to you?
or
#কোথাও_কেউ_নেই #পাঠ_অনূভূতি ♦এক নজরেঃ •উপন্যাসের নামঃ কোথাও কেউ নেই •লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ •ধরনঃ সামাজিক •প্রকাশনীঃ কাকলী প্রকাশনী •প্রচ্ছদঃ ইমপ্রেশষ্টি চিত্রশিল্পী (MONET) এর চিত্র অবলম্বনে •মুদ্রিত মূল্যঃ ৩০০ •পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৫৩ •প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ লেখনীতেঃ রিফায়াত হাসান সাকিব ♦ভূমিকাঃ হঠাৎ একদিন কি মনে হলো ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে একটা নাটক এর কিছুটা অংশ দেখেছিলাম । সেই অংশটার অভিনয় এত ভালো ছিল যে আমি শুধু খেয়াল করে দেখছিলাম বারবার । বারবার মনে হচ্ছিল এই নাটকটিতে অভিনয় করা মানুষজন এত সুন্দর করে কেনো ফুটিয়ে তুলতে পারছে এই নাটকটা! সময় কেটে যায় । আস্তে আস্তে বুঝতে পারি যে নাটকের অসাধারণ হওয়ার পিছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে দিক তা হলো, চিত্রনাট্য । চিত্রনাট্য ভালো না হলে নাটক এতটাও মনে দাগ দিয়ে যাবে না । সেই নাটকটির নাম ছিল, কোথাও কেউ নেই । ♦পারিপার্শ্বিক দিকঃ এই বইটি কিনতে চাওয়ার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের । কিন্তু কেনা হয়ে উঠতো না অজানা কারণে । তারপর হঠাৎ কি যেন হলো, কেনা হয়ে গেল । বইটি হাতে নিয়ে বসে থাকা হলো । সেই বইটিই গত কয়েকদিন ধরে আমি বেশ কয়েকবার পড়তে চেয়েছি । আজকে সেই দিনগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিন । কারণ আজকে বইটি পড়ে ফেলেছি । ঠিক রাত ১১টায় আমি উপন্যাসটি পড়া শুরু করেছিলাম । যখন উপন্যাসটি পড়া শেষ হয়েছে তখন সময়টা রাত ৪টা ৩০ মিনিট । ♦নামকরণঃ এই পৃথিবীতে কোথাও গিয়ে যেন সব মানুষই একা । একটা সময় পরে গিয়ে কখনও বারবার মানুষের মনে হতে থাকে কারো কাছে গিয়ে তার নিশ্চুপ চাহনী দিয়ে চোখ বুঁজে থেকে সমর্থন দেয়ার মতো, পাশে থাকার মতো হাত দুটোর অদৃশ্য অভাব ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । এই থাকা বা না থাকা নিয়ে কোথাও আসলে যাওয়ার নেই । পুরো পৃথিবী জুড়ে এরকমই এক জীবনে এই উপন্যাসের চরিত্ররা দিনশেষে যেন একা । তাদের কোথাও যাওয়ার নেই । অদৃশ্যের জীবনে সামনের আবহ যেন নিশ্চুপ নীরবতা পালন করে চলে । ♦পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ √খুবই সহজ সাদাসিধে এবং মানুষের জীবনের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার এবং জীবনের টানাপোড়েনে ঘটে চলা উপন্যাসে সামাজিক আবহ আসে । আরো আসে নিঃসঙ্গতা । ভালোবাসার খোলসে থাকা অদ্ভুত কিছু মুহূর্তের টানাপোড়েন উপন্যাসে যেন অদ্ভুত আবহ টেনে আনে । সেই টানে উপন্যাসে যেন গম্ভীর ভাব আসে । উপন্যাসটি যেভাবে সাজানো হয়েছে তা বেশ অসাধারণ লেগেছে আমার । বারবার মনে হয়েছে উপন্যাসের পটভূমি খুবই সরল এবং সাধারণ হলেও সমাজ জীবন এবং আমাদের নিত্যদিনের সংস্কৃতিতে খুবই মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতো । তাই এই উপন্যাসের পটভূমি এবং জীবনধারা বেশ সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে । বিশেষ করে এই উপন্যাসের শেষ দিকে গিয়ে যেভাবে শব্দপ্রয়োগ এবং ঘটনাপ্রবাহ সাজিয়ে উপন্যাসটিকে শেষের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা বেশ অসাধারণ ছিল । এবং উপন্যাসটি পছন্দ হওয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল । √এই উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র এর মাঝের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তা-ভাবনার পাশাপাশি তাদের একেকটি চরিত্রের সাথে একেকটি চরিত্রের পারস্পরিক টানাপোড়েন বেশ অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । বিশেষ করে মুনা, বাকের, মামুন, বকুল কিংবা শওকত এই চরিত্রগুলোর উপস্থিতি এবং গঠন অসাধারণ ছিল । উপন্যাসের শেষের দিকে চরিত্রগুলো যেভাবে এসেছে এবং তাদের নিয়ে সাজানো মুহূর্তগুলো এত সুন্দর ভাবে শব্দপ্রয়োগ করে ব্যবহার হয়েছে যা বেশ ভালো লাগার মতো ছিল । ♦প্রকাশনীঃ কাকলী প্রকাশনী এর লেখা আমার তেমন একটা পড়ার সুযোগ হয়নি আগে । যে কারণে তাদের সম্পর্কে অনুভূতি তেমন না থাকলেও এই উপন্যাসটি পড়ার মাধ্যমে সে সুযোগ হলো । যাহোক এই উপন্যাসের পৃষ্ঠা বাঁধাই কিংবা বইটিকে সাজানো তারা বেশ সুন্দর করে করেছে । সাথে বইটির মাঝের শব্দকে সাজানো বেশ সুন্দর ভাবে চিরায়ত উপন্যাসের আবহ দিচ্ছিল । যা বেশ ভালো লেগেছে আমার । সাথে এত সুন্দর একটা প্রচ্ছদ দিয়েছে বইটিতে, যা উপন্যাসটির মাঝের উদাসীন ভাবকে আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছে । ♦রেটিংঃ ৪.৫/৫ ♦উপসংহারঃ এই উপন্যাসটি পড়ার আগেও আমার গত কয়েকদিন ধরে মনে হচ্ছিল আমি বোধহয় শিগগির আর কোনো বই পড়ার সময় পাবো না । নিজের এই উদ্ভট চিন্তা এবং কল্পনায় নিজেকে দেখে অস্বস্তিতে ভুগতে থাকতাম আমি । বারবার মনে হতো, আমার আরো বই পড়া দরকার । যতটা বই পড়বো, আমার অনুভূতি ততটাই প্রখর হবে । যাহোক লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর লেখনী পড়ার সবচেয়ে ভালো দিক বোধহয় তার সহজ শব্দপ্রয়োগে নিত্যনৈমিত্তিক জীবনকে পাঠকের চোখের সামনে এত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলে কল্পনা শক্তিকে অদ্ভুত অবয়ব নিয়ে কল্পনা করতে দেখা । তার লেখা না পড়া ভাবে আর একটি উপন্যাসও সংগ্রহে নেই । ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে কখনও উপন্যাস সংগ্রহ করে আবারও পড়া হবে ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন স্যারে Best বই গুলোর মধ্যে Best বই হল এইটা। এক কথায় অসাধারন একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
কোথাও কেউ নেই শেষে গিয়ে হঠাৎ করে খুব ভালো লেগে গেল বইটা। কিছু ব্যাপার ডিসগাস্টিং ছিল। সেগুলো অবশ্যই মেয়েদেরকে নিয়ে। তবে এটুকু বলতে পারি বইয়ের ভিতরে একবার ডুব দিলে আর উঠতে ইচ্ছে করবে না। মনে হবে থাক না- ভালোই তো আছি বকুল,বাবু,মুনা কিংবা বাকের ভাই এর সাথে। শওকত সাহেব। তার প্রধান বৈশিষ্ট্য মেজাজ কোনো সময়ই খুব একটা ভালো থাকে না। তার উপর বড় মেয়ে বকুল ইংরেজিতে ২৩ পেয়েছে। হেডমিস্ট্রেস লিখে দিয়েছে বাসায় একজন ইংরেজির শিক্ষক রাখতে। তবে বকুল জানে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফেল করলে করবে পাটিগণিত এর জন্য। শওকত সাহেবের ছোট ছেলেকে প্রায়ই দেখা যায় ঘর অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছে। মাথা ব্যাথাই তার একমাত্র কারন। তবে বাবুর(ছোট ছেলে) মাথা ব্যাথা কেন জানি মুনা আপা কে দেখলেই ভালো হয়ে যায়। যদিও মুনা আপা বলে দিয়েছে তাকে শুধু আপা ডাকতে। মুনা আপাকে সবাই বলে শক্তপ্রকৃতির মেয়ে। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পরই মুনা আবিষ্কার করে তাকে কেউ খুব একটা পছন্দ করছে না। সংসার নিয়ে যখন সবাই ব্যস্ত তখন ঝামেলা মাথায় নেওয়ার কোনো মানেই হয় না। এসময় তার মামা শওকত সাহেব তাকে নিয়ে যায়। মা-বাবার ভালোবাসা বঞ্চিত মুনা বুঝতে পারে মামাই তার সব। শওকত সাহেবও যেনো মুনাকে একটু বেশিই ভালোবাসে। হয়ত তার ছেলেমেয়ের থেকেও বেশি। মধ্যবিত্ত্ব এই পরিবারটি নিজেদের হঠাৎ বিশাল বিপদের মধ্যে আবিষ্কার করে। পাল্টে যেতে থাকে চরিত্রগুলোর স্বভাব। বকুলের স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে না, বাবুকেও দেখা যায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে। শওকত সাহেব কে আর দেখা যায় না বকুলের ট্রান্সলেশনের অপেক্ষায় বসে থাকতে। এমন সময় পাশে এসে দাঁড়ায় এলাকার গুন্ডা বাকের ভাই। বাকের ভাইয়ের একসময় সাঙ্গপাঙ্গ থাকলেও আজকাল তাকে একাই দেখা যায়। মোটর পার্টস এর দোকান দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়ে উঠে না।মুনার প্রতি বাকের ভাইয়ের দূর্বলতা আছে। অথচ মুনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে মামুনের সঙ্গে। তাদের প্রেমের পরিণতিই হতে যাচ্ছে তা। কিন্তু হঠাৎ করেই মুনার মনে হয় মামুন স্বার্থপর। শেষ পর্যন্ত কী হয় তাদের বিয়ে? সবার বিপদে আপদে যে বাকের ভাই পাশে দাঁড়ায় সেই বাকের ভাই একদিন নিজেকে জেলের ভিতরে একা আবিষ্কার করে। ঝুলতে থাকে একটা খুনের মামলা...ঝুলতে থাকে একটা স্বপ্ন। আশেপাশে মানুষের ভীরে মিশে থাকলেও মনে হতে থাকে আমরা যেন খুব একা। মনে হতে থাকে আসলে কোথাও কেউ নেই।
Was this review helpful to you?
or
Sundor ekta boi.. koto din boi ta niye vebechilam je kinbo. oboseshe kinechilam. lekhar vongi chomotkar. manush ra pore obosshoi khub khushi hbe. sobai ke suggest kori.. asole ei boi gulo amader porar ovvash gore tola khub joruri.. I give this book five stars.. thank you guys. Wonderful book.. Happy reading!!
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো একটা কাহিনি লেখক খুব যত্ন নিয়ে লিখেছে। সবার পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
কোথাও কেউ নেই আর বাকের ভাই যাই বলিনা কেন এই বই আমার অনেক প্রিয় বইয়ে মধ্যে একটি। কোথাও কেউ নেই বই পড়েছি আবার নাটকও দেখেছি। বাইকের ভাইয়ে ফাঁসি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারিনি । বইটা শেষ করার পরে লেখকে ওপর কিছুটা রাগ হয়েছিল, সব শেষে বলতে চাই হুমায়ূন আহমেদ এর প্রতিটা সৃষ্টই আমার কাছে অসাধারন লাগে ।
Was this review helpful to you?
or
শওকত সাহেব মুনার মামা।ছোটবেলায় মুনার মা-বাবা মারা যাওয়ার তিনিই কোলেপিঠে করে মানুষ করেন । শওকত সাহেব মানুষটা যতই রাগী হোন না কেন মানুষটা খুবই ভাল । নিজের ছেলে মেয়েকে যতোটা ভালবাসেন তার থেকে বেশি ভালবাসেন মুনাকে । লতিফা মুনার মামি । মামি হলেও তিনি মুনাকে মায়ের মত ভালবাসেন । সারা বছর প্রায় অর্ধেকটা সময় তিনি অসুস্থই থাকেন । লতিফা মানুষটা ভীষণ সহজ-সরল একজন মহিলা । মুনা মেয়েটির মা-বাবা কেউ নাই। খুব ছোট থাকতেই বাবা মা মারা যায় । তারপর থেকেই মুনা মামার কাছেই মানুষ । আরো আত্মীয় স্বজন থাকলেও তারা মুনাকে রাখতে রাজি হয় নাই।কিন্তু শওকত সাহেব তাকে বুকে আগলিয়ে রেখে বড় করেছেন । বকুল মুনার মামাতো বোন।মুনার চেয়ে অনেক ছোট হলেও বুদ্ধিতে বেশ বড়।ক্লাস টেন পড়াকালীন সময়েই তার বিয়ের কথাবার্তা ছলে সে মোটামুটি বিয়ে করতে আগ্রহী ।আর এই কারনেই মুনা তার উপর যথেষ্ট বিরক্ত। বাবু ছেলেটা ক্লাস সেভেন পড়ে।মুনার মামাতো ভাই । ছেলেটা চুপচাপ, শান্ত স্বভাবের । সে সবসময় নিজের মতই থাকে । মামুন ছেলেটা মুনাকে পছন্দ করে ।মুনার সাথে বিয়ের কথাবার্তাও মোটামুটি ঠিক। কিন্তু হটাৎই মুনা মামুঙ্কে জানিয়ে দিল তাকে নিয়ে করবে না । কিন্তু কেন ? বাকের ভাই । এ উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।পাড়ার সবাই তাকে ভালো বললেও সে তার বড় ভাই এবং ভাবির কাছে একটা অপদার্থ।সবসময় সে যে কারো বিপদে ছুটে যায় । মুনা মেয়েতিকে ভীষণ রকমের পছন্দ করে সে। মুনা যখন অফিসে যাওয়ার সময় রিকশা পায়না তখন রিকশা ঠিক করে দেয় বাকের । কিন্তু মুনাকে মুখ ফুটে বলার মত সাহস তার হয় না । মুনাদের পরিবারের সকল বিপদে আপদে বাকের পাশে এসে দাড়ায়।কিন্তু বাকের নিজেই একসময় খুব বড় বিপদে পড়ে যায় ? কি সেই বিপদ ? যার থেকে কি বাকের মুক্তি পায় ? সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে এই বইটা তে ।
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ বইঃ-কোথাও কেউ নেই- লেখকঃ-হুমায়ুন আহমেদ- আপনার আমার চেনা খুব পরিচিত একটি বইয়ের নাম,কি মনে পারছেনা?বাকের ভাই এর কথা মনে আছে? হ্যাঁ একটি নাটক ছিলো আজ থেকে কয়েক বছর আগে বিটিভিতে সেই নাটকে আসাদুজ্জামান নূর কে এই বাকের ভাইয়ের অভিনয়ে দেখা যায়,নাটকটার নাম ছিলো কোথাও কেউ নেই- এটা সেই ঐতিহাসিক বই আর এর লেখক হুমায়ুন আহমেদ... মুনা এক হতভাগা মেয়ে যার কিনা ছোটো কালেই মা-বাবা মারা যায়,বড় হয় মামার কাছে। এদিকে মামার পারিবারিক অবস্থা মধ্যবিত্ত সেই পরিবারের সদস্য হয়ে উঠলেন মুনাও-মামা কখনো মুনাকে বাবা-মা'র অভাব বুঝতে দেয়নি-নিজের মেয়ের মত করেই রেখেছে.. একসময় মুনা প্রেমে পরে ভালোবাসার আবদ্ধতে জড়িয়ে পরে এবং বিয়ের কথা পর্যন্ত হয় কিন্তু সেই সময়ই মুনা আবিস্কার করে তার ভালোবাসার মানুষ মামুন একজন স্বার্থপর,সে শুধু নিজের স্বার্থই দেখে.. এরপর কি হলো বিয়ে হয়েছিলো তাদের? এদিকে বাকের ভাই যে কিনা মনে মনে মুনাকে ভালোবাসে কিন্তু কখনো সাহস পায়নি তা বলার... মুনা একজন শিক্ষিত চাকুরীজীবি মেয়ে আর সে একজন গুন্ডা এলাকার বখাটে ছেলে-পুলে... গুন্ডা বলতে আবার সেই গুন্ডা না তার গুন্ডামী ছিলো এলাকার ভালোর জন্য এলাকার শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। চার দোকানে দলবল নিয়ে আড্ডা আর রেডিও তে ×হাওয়া মে উড়তা যায়ে মেরা লাল দু-পাট্টা মালমালকা ওজী× এই গানিটি শোনা এই গানটি বাকের ভাইয়ের পছন্দের গান,এলাকার সব মানুষের বিপদে আপদে এই বাকের ভাই হাজির সাহায্যের জন্য... কিন্তু যখন বাকের ভাই বিপদে পরলেন কে এগিয়ে এসেছিলেন? অপরদিকে মুনাও বুঝতো যে বাকের ভাই তাকে অনেক পছন্দ করে তবে সেটা মামুনের মতো স্বার্থে না নিঃসার্থে.. একসময় মুনা ভাবতো মামুনকে ভালো না বেসে হয়তো বাকের ভাইকে ভালোবাসলেই হতো তবে মুনা এও যানে ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই ভালো এতে হয়তো মানুষটা থাকেনা কিন্তু ভালোবাসা ঠিকই থাকে,মানুষ আর ভালোবাসা এই দুই এর মধ্যে ভালোবাসাটাই উত্তম.. হঠাৎ একদিন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে যায় বাকের তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে মুনা কিন্তু বাচাতে পারলোনা কারন বাকের ভাইয়ের এই মিথ্যে মামলায় রায় হয়েছে ফাসির.. ফাসির দিন বাকেরের ফাসি শেষে যখন লাশটি বাহিরে আনে তখন মুনা পাশে দাড়িয়ে থাকে তখন জেলার মুনাকে জিজ্ঞাস করে আপনি মৃতের কে? মুনা শান্ত গলায় বলে কেউ না আমি ওর কেউ না.. সত্যি সেই সময় চোখে পানি ধরে রাখতে পারবেন না.. :)... তবে জানতে চান কেনো বাকের ভাইয়ের ফাসি রায় হয় কে তাকে মিথ্যে মামলায় ফাসায়? কেনো এতো জনপ্রিয় এই বাকের ভাইয়ের চরিত্র? কতো নাটকইতো এলো গেলো কেন সামান্য এক নাটকের চরিত্র বাকের ভাইকে নিয়ে মিছিল হবে! কেন এই বাকের ভাইয়ের জন্য ততকালীন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং লেখক হুমায়ুন আহমেদকে ফোন দিয়ে বলবেন যেন বাকের ভাইয়ের ফাসি দেওয়া না হয়! কি ছিলো এই চরিত্রে? জানতে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে- দেড়ি না করে এখনি Add To Cart করুন অর্ডার করুন আর হারিয়ে জান কোথাও কেউ নেই এর রাজ্যে....
Was this review helpful to you?
or
সত্যি অসাধারণ একটি বই যতই পড়ি মন জুড়িয়ে যায়। ধন্যবাদ প্রিয় লেখক এমন একটি বই উপহার দেয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "কোথাও কেউ নেই" "ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভাল। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালোবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় ভালোবাসা থাকে শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালোবাসা এই দুয়ের মধ্যে ভালোবাসাই হয়ত বেশি প্রিয়"।বইটির সুন্দর কিছু লাইন। বাস্তবতার সাথে পুরো মিল বইটি।
Was this review helpful to you?
or
কোথাও কেউ নেই লেখকের অন্যতম সেরা লেখা। মুনার মত শক্তিশালি নারী চরিত্র বাংলা সাহিত্যেই কম আছে। এ বইয়ে আমি নিজেকে পেয়েছি.. যে বিকেলের খবর কেউ রাখে না সে বিকেলকে খুঁজেছি। যে সম্পর্ক আর টানে না কিন্তু তারপরও তার রেশ রেখে যায়, তা চিনেছি। যে জীবন রোগা, যে জীবন চলমান, তাকে দেখেছি । কোথাও কেউ নেই... সত্যিই, মানুষের জীবনের চারদিক শুধুই শুন্যতায় ভরা... কাছের মানুষ, দূরের মানুষ, আপন মানুষ কিংবা পর... সবাই, সবাই যেন এক অদৃশ্য কুয়াশার চাদরে ঢাকা। বাকের ভাই, বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। বইয়ের শেষ কয়েকটা বাক্য পড়ার পর লক্ষ্য করলাম আমার দু'চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে নামছে... আমি মানুষের দুরবস্থা নিয়ে আরো অনেক বই পরেছি, কিন্তু কখনো কান্না করিনাই... দীপাবলী কিংবা মাধবীলতা, এরা অনেক শক্তিশালী চরিত্র কিন্তু মুনা তারচেয়েও বেশী শক্তিশালী... হুমায়ুন আহমেদ এর সব গুলো বই আমার এখনো পড়া হয়নাই, তবু অনেক গুলোই পড়েছি... এদের মধ্যে আমি কোথাও কেউ নেই-কে সবার উপরে রাখব... তাছাড়া অপেক্ষা, সেই সব দিনরাত্রি, শঙ্খনীল কারাগার, নন্দিত নরকে এগুলোও আমার নিজস্ব তালিকায় বাকের ভাইয়ের পরেই থাকবে... আমি এখনো জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প পড়িনাই, তবে আমি নিশ্চিত এটাও বাকের ভাইকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না, অন্তত আমার কাছে। হুমায়ূন আহমেদ দক্ষ গল্পকথক। চরিত্র আর ঘটনা বোনার জাদুকরি ক্ষমতা ছিলো তার। সাধারণ দর্শককে বিপন্নতার মুখে ফেলে দেওয়ার, তাদের মানসিক গড়নে ভাঙন ধরানোর সাহস হয়তবা ছিলো না। নাটকের থেকেও বইটা ভালো। এত মায়া! এত কষ্ট! এত বিপন্নতা! জীবনের নৈরাশ্য দারুণ নির্লিপ্ততায় গল্পের পরতে পরতে জড়ানো। একে একে ভেঙে পড়ে সবকিছু, নেই হয়ে যায় মানুষগুলো। কোথাও কেউ থাকে না।
Was this review helpful to you?
or
#রকমকারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতযোগিতা বইয়ের নাম: কোথাও কেউ নেই লেখক:হুমায়ুন আহমেদ ধরন:উপন্যাস প্রকাশনী: কাকলী প্রকাশনী নিয়মত মূল্য(রকমারি):৩০০৳ কাহিনী: শওকত সাহেবের মেজাজ কোনো সময়ই খুব একটা ভালো থাকে না। তার উপর বড় মেয়ে বকুল ইংরেজিতে ২৩ পেয়েছে। হেডমিস্ট্রেস লিখে দিয়েছে বাসায় একজন ইংরেজির শিক্ষক রাখতে। তবে বকুল জানে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফেল করলে করবে পাটিগণিত এর জন্য। শওকত সাহেবের ছোট ছেলেকে প্রায়ই দেখা যায় ঘর অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছে। মাথা ব্যাথাই তার একমাত্র কারন। তবে বাবুর(ছোট ছেলে) মাথা ব্যাথা কেন জানি মুনা আপা কে দেখলেই ভালো হয়ে যায়। যদিও মুনা আপা বলে দিয়েছে তাকে শুধু আপা ডাকতে। মুনা আপাকে সবাই বলে শক্তপ্রকৃতির মেয়ে। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পরই মুনা আবিষ্কার করে তাকে কেউ খুব একটা পছন্দ করছে না। সংসার নিয়ে যখন সবাই ব্যস্ত তখন ঝামেলা মাথায় নেওয়ার কোনো মানেই হয় না। এসময় তার মামা শওকত সাহেব তাকে নিয়ে যায়। মা-বাবার ভালোবাসা বঞ্চিত মুনা বুঝতে পারে মামাই তার সব। শওকত সাহেবও যেনো মুনাকে একটু বেশিই ভালোবাসে। হয়ত তার ছেলেমেয়ের থেকেও বেশি। মধ্যবিত্ত্ব এই পরিবারটি নিজেদের হঠাৎ বিশাল বিপদের মধ্যে আবিষ্কার করে। পাল্টে যেতে থাকে চরিত্রগুলোর স্বভাব। বকুলের স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে না, বাবুকেও দেখা যায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে। শওকত সাহেব কে আর দেখা যায় না বকুলের ট্রান্সলেশনের অপেক্ষায় বসে থাকতে। এমন সময় পাশে এসে দাঁড়ায় এলাকার গুন্ডা বাকের ভাই। বাকের ভাইয়ের একসময় সাঙ্গপাঙ্গ থাকলেও আজকাল তাকে একাই দেখা যায়। মোটর পার্টস এর দোকান দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়ে উঠে না।মুনার প্রতি বাকের ভাইয়ের দূর্বলতা আছে। অথচ মুনার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে মামুনের সঙ্গে। তাদের প্রেমের পরিণতিই হতে যাচ্ছে তা। কিন্তু হঠাৎ করেই মুনার মনে হয় মামুন স্বার্থপর। শেষ পর্যন্ত কী হয় তাদের বিয়ে? সবার বিপদে আপদে যে বাকের ভাই পাশে দাঁড়ায় সেই বাকের ভাই একদিন নিজেকে জেলের ভিতরে একা আবিষ্কার করে। যদিও ভাবে কেউ আসবে কিন্তু কেউ আসে না। মুনাকে খবর পাঠানো হয়। বিপদের সময় তাদের পাশে শুধু বাকের ভাই ছিল।মুনা কী যাবে বাকের ভাইকে দেখতে? জেল থেকে ছাড়া পায় বাকের ভাই। একদিন মুনার কাছে গেলে মুনা তাকে অস্বাভাবিক এক প্রস্তাব দিয়ে বসে। কিন্তু তাহলে মামুনের কী হবে? মামুনও যে মুনাকে ভালোবাসে! বাকের ভাইকে খুনের মামলায় আবার ফাঁসানো হয়। ঝুলতে থাকে একটা মামলা...ঝুলতে থাকে একটা স্বপ্ন। আশেপাশে মানুষের ভীরে মিশে থাকলেও মনে হতে থাকে আমরা যেন খুব একা। মনে হতে থাকে আসলে কোথাও কেউ নেই। পাঠ প্রতিক্রিয়া: কোথাও কেউ নেই নিসন্দেহে হুমায়ুন আহমেদের অন্যতম সেরা বই। সমাজে একেক জনের অবস্থান চিন্তা চেতনা লেখক খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। এই গল্প মধ্যবিত্ত্ব এক পরিবারের এক গল্প -বেকার এক যুবকের ভালোবাসার গল্প। বইয়ের ভিতরে একবার ডুব দিলে আর উঠতে ইচ্ছে করবে না। মনে হবে থাক না- ভালোই তো আছি বকুল,বাবু,মুনা কিংবা বাকের ভাই এর সাথে। খুব কম বই পড়ে আমি কেঁদেছি। কোথাও কেউ নেই পড়ে কাঁদতেই হলো। মানুষ হাসে সহজে, কিন্তু কাঁদে না। এই কান্নার মাঝেই হয়তো লুকিয়ে আছে বইটির স্বার্থকতা। বইটি পড়লে একটা কথা মনে হবেই-আমি ছাড়া আমার কে আছে? রকমারি লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/1241/কোথাও-কেউ-নেই?ref=null
Was this review helpful to you?
or
বইঃ কোথাও কেই নেই লেখকঃ হূমায়ূন আহমেদ বইটি যখন পড়া শুরু করলাম তখন খালি মনে হত যে বইটির নাম বাকের ভাই হলে মনে হয় বেশী ভাল হত। কিন্তু যখন বইটির একদম শেষ প্রান্তে চলে আসি তখন মনে হল শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন স্যার ঠিকই লিখেছেন। বাকের ভাই, মুনা, বদি এরকম কিছু কালজয়ী চরিত্রে শাথে পরিচিত হই আমরা এই বইটির মাধ্যমে। আমার শুধু মনে হত যে বাকের ভাইকে বাঁচিয়ে রাখলেই মনে হয় ভাল হত। কিন্তু তার পরক্ষণেই মনে হত যে তাহলে বোধ হয় তিনি মানুষের মনে আজও এভাবে বেঁচে থাকতেন না।
Was this review helpful to you?
or
মন ভালো করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। পুরোটা পড়লে মনে হবে সিনেমা দেখছি।
Was this review helpful to you?
or
প্রথমে নাটকটি দেখি you tube এ।কোনো দিন এরকম নাটক দেখিনি।কয়েক মিনিট দেখেই নাটক টা ভালো লেগে গেল।কিন্তু পুরো নাটক দেখার সময় তো নেই।তাই রকমারি দিয়ে বইটি অর্ডার দিই।সত্যিই বইটি অসাধারন।আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে বাকের ভাইয়ের চরিত্র।তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে সবাইকে দিয়েই গেলেন,কিন্তু তিনি বিনিময়ে কিছুই পেলেন না। পরে অবশ্য নাটকটি দেখেছি।এখনকার টিভিতে যে নাটক দেখায় এগুলো কোনো নাটক হলো!এই নাটকটি সত্যিই অসাধারন ও অতুলনীয়।যে একবার নাটকটা দেখবে,বারবার নাটকা দেখতে মন চাইবে। কোথাও কেউ নেই বইটি আমার পড়া প্রিয় একটি বই ও নাটক।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া হুমায়ূন সাহেবের সব থেকে ভালো লেখাগুলোর একটি। এর থেকে ভালো আর কী হয়? ? ? আমাদের কপাল খারাপ যে হুমায়ূন আহমেদ এই ধাঁচের লেখা খুব বেশী দিন চালিয়ে যাননি বা যেতে পারেননি। ব্যবসা সফল বই পাঠকদের দিতে গিয়ে এমন উচু মানটা বজায় রাখতে পারেননি বা রাখেননি। মার্কেটিং এর ভাষায় "এক্সপেকটেশন খুব বেশি উঁচুতে নিয়ে গেলে ভোক্তা একসময় না একসময় নিরাশ হবেই" :-/