User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আগের পার্টের মতো এত ভালো না, তবে চলে
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটা বই।থ্রিলার বই যারা পছন্দ করেন তারা পড়তে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
কাহিনি সংক্ষেপঃ "জীবন মানেই রহস্য যার পরতে পরতে লুকায়িত রয়েছে হাজারো রহস্য " বদ্ধ ঘরে বন্দী জীবন নরম্যান বেটসের। চারিদিকে যার শুধুই অন্ধকার। হবেই বা না কেনো সে তো মেন্টাল এসাইলামে বন্দী। কি বা দোষ ছিলো তার! সে তো ইচ্ছাকৃতভাবে কারো ক্ষতি করেনি। মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারের শিকার হয়ে মৃত মায়ের সত্ত্বা তার মধ্যে জেগে উঠতো ফলস্বরূপ সে বহু নিরীহ ব্যক্তিদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু সমস্যা বাঁধে মেরি ক্রেন আর ডিটেকটিভ আরবোগাস্টকে খুন করতে যেয়ে। যার ফলাফল আজ তাকে এখানে পচতে হচ্ছে পাগলদের মাঝে। সাহিত্য ও চলচ্চিত্রে সাইকো কিলার নরম্যান বেটস আলোচিত। জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তাকে ঘিরে। বিখ্যাত প্রযোজক মার্টি ড্রিসকল তার উপর চলচ্চিত্র বানাতে চান। এই চলচ্চিত্র নিয়ে আগ্রহ অনেকের। এই খবর জানার পর থেকে ডা. ক্লেইবর্ন বিপদের আভাস পান। কোনো এক অশুভ আশংকায় মন কেঁপে ওঠে! ডা. ক্লেইবর্নের বিশ্বাস আর পরিশ্রমের জন্যই তো নরম্যান আজ অনেকটা সুস্থ। তিনিই তো তাকে অন্ধকার জগৎ থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে, সিস্টার বারবারাকে খুন করে তার ছদ্মবেশে নরম্যান পালিয়ে যায়। তারপর? শুরু হয় আবার খুনে খেলা! ডা. ক্লেইবর্ন বুঝে যান নরম্যান বেটসের পরবর্তী শিকার কারা। নরম্যানকে রুখতে ও নিরীহ জীবন বাঁচাতে বেরিয়ে পরেন তিনি। কিন্তু খুনে খেলা তো শুরু হয়ে গেছে! রক্তের দাগ ফেলে একের পর এক খুন হয়েই চলেছে। ডা. ক্লেইবর্ন কী পারবেন রুখতে এই খুনে খেলা? নাকি তিনিও নরম্যানের শিকার হবেন? নাকি নরম্যান বেটস তার কৃতকর্মের শাস্তি পাবে? তাকে রুখতে পারা কি আদোও সম্ভব? পর্যালোচনাঃ ছোটবেলা থেকে মায়ের অবহেলা ও অপমানের শিকার হয়ে নরম্যান বেটস মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারের রোগী। তাই মায়ের মৃত্যুর পরও তার মধ্যে মায়ের সত্ত্বা জীবিত। মনের অন্ধকার দিক তার মায়ের রূপ হয়ে তাকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্মম হত্যাকাণ্ডগুলো করায়। কিন্তু এসাইলামে আসার পর ডা. ক্লেইবর্ন তাকে বুঝাতে সক্ষম হন সে নরম্যান তার মা নয়। বইটিতে ফুটে উঠেছে এক সাইকো কিলারের ভয়ানক মানসিকতা যারদরূন ঘটে চলেছে হত্যাকাণ্ড। একের পর এক ভয়াবহ খুন যা রুখতে ডা. ক্লেইবর্নের প্রবল প্রচেষ্টা। কাহিনির বিবরণ পাঠকে রোমাঞ্চিত করবে, ঘোরের মধ্যে নিয়ে যাবে। পরিশেষে বলবো, রবার্ট ব্লকের সাইকো কিলার বরাবরের মতোই সেরা এবং সাথে যুক্ত হয়েছে সুন্দর ও সাবলীল অনুবাদ যা বইটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
shei hoise
Was this review helpful to you?
or
রবার্ট ব্লক’র এক অনন্য সৃষ্টি ‘সাইকো’ সিরিজ। প্রথম কিস্তি সাইকো লেখার প্রায় ২৩ বছর পর বের হলো সাইকো ২। সাইকো পড়ার পর পাঠকরা সাইকো ২ এর জন্য খুবই আগ্রহী হয়ে অপেক্ষা করছিলো। লেখক তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন সাইকো'র মতো সাইকো-২ দিয়েও পাঠকের মনে ঝড় তুলে দিতে। সাইকো বইটি যেখানে শেষ হয়েছিলো সাইকো-২ ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয়। সাইকো যারা পড়েছেন তারা সকলেই নরম্যান বেটসকে চিনেন। এই নরম্যান বেটসকে অসুস্থতার কারনে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়। ডা. স্টেইনার ও ডা. ক্লেইবার্নের চেষ্টায় সে সুস্থও হয়ে উঠছিলো। কিন্তু বিধি বাম। এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় এই বিখ্যাত সাইকো কিলারের সাথে দেখা করতে আসেন দু'জন নান। এই দু'জনের মাঝে একজনের প্রবল আগ্রহ ছিলো নরম্যান বেটস এর প্রতি। তাই সে গিয়েছিলো নরম্যানের সাথে দেখা করতে। তাকে দেখে ও তার সাথে কথা বলে নরম্যানের পশুস্বত্তা আবারো জাগ্রত হয়। এই নানকে ব্যবহার করেই বের হয়ে আসে সাহিত্য ও চলচ্চিত্র জগতের তুমুল আলোচিত সাইকো কিলার নরম্যান বেটস। তার হাতে একেএকে মৃত্যুবরণ করে পাঁচজন নিরীহ মানুষ। পত্রিকার প্রথম পাতায় শিরোনাম আসে,নরম্যাস বেটসকে নিয়ে হলিউডে চলচ্চিত্র বানাতে চায় চলচ্চিত্রের প্রযোজক মার্টি ড্রিসকল, পরিচালক স্যান্টো ভিজিনি, অভিনেতা পল মরগ্যান, অভিনেত্রী জ্যান হার্পার ও স্ক্রিপ্টরাইটার রয় অ্যামেস। এই খবরটি চলে আসে নরম্যান বেটসের কানে। সে থামাতে চায় এই চলচ্চিত্রকে। তাই সে এগিয়ে যায় সেই হলিউড জগতের দিকে। অন্যদিকে নরম্যানের নিয়োগপ্রাপ্ত ডা: অ্যাডাম, হন্য হয়ে খুঁজতে থাকেন নরম্যানকে। তিনি আন্দাজ করতে পারেন নরম্যানের পরবর্তী শীকার কারা! তাই তিনিও বের হয়ে পড়েন হলিউডের লক্ষে, বেটসকে থামাতে। তিনি চান,জ্যান,রয়, মরগ্যান এবং ভিজিনি সবাই বেঁচে থাকুক। থ্রিলার লাভারদের জন্য সাইকো সিরিজ একটি মাস্টারপিস বই। কাহিনীর উত্থানপতন ও উত্তেজনা আপনাকে নিয়ে যাবে এক অন্য ভুবনে। সবশেষে থ্রিলার যারক পছন্দ করেন তাদের সকলেরই এই বইটি পড়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
You remember Norman Bates—the shy motel manager with the fatal mother fixation. Now, years after his bout of butchery that horrified the world, Norman is at large again, breaking free from the psycho ward, cutting a shocking swath of blood all the way to Hollywood—where, so it happens, they are making a movie about Norman's life and crimes. A movie that suddenly and terrifyingly becomes a lot like real life...
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ বই : সাইকো ২ মূল : রবার্ট ব্লক অনুবাদ : মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রকাশক : আদী প্রকাশন প্রকাশকাল : নভেম্বর, ২০১৬ ঘরানা : সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার পৃষ্ঠা : ১৭৯ মুদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার উপন্যাস 'সাইকো' যারা পড়েছেন, তারা প্রত্যেকেই সাইকোপ্যাথে আক্রান্ত নরম্যান বেটসকে বিলক্ষণ চিনবেন। এই বইটা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার অন্যতম মাস্টারপিস। সাইকো ২ এই বইয়ের সেকেন্ড ইন্সটলমেন্ট। স্টেট হসপিটাল। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছিলো নরম্যান বেটস। ডা. স্টাইনার আর ডা. অ্যাডাম ক্লেইবর্নের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তাকে অনেকটাই সুস্থ দেখাচ্ছিলো। কিন্তু এক বৈরি সন্ধ্যায় পালাতে সফল হলো বেটস মোটেলে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটানো চতুর সাইকোপ্যাথ নরম্যান বেটস। আর পালাতে গিয়ে নিজের স্বভাবগতো ভাবেই ঘটাতে লাগলো নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ডা. অ্যাডাম তাঁর রোগী'র পলায়নের পর অকূল সমুদ্রে পড়লেন। সে শুধুমাত্র একজন রোগীই না, বিপজ্জনক একটা চরিত্রও বটে। এদিকে নরম্যান বেটস ফিরে এসেছে স্বমূর্তিতে। একের পর এক খুন করে চলেছে সে। পথে রেখে চলেছে শিকারের রক্তের দাগ।অন্যদিকে হলিউডে তৈরি হচ্ছে একটা চলচ্চিত্র।বলা যেতেই পারে হলিউডে তো চলচ্চিত্র তৈরির-ই হবে।কিন্তু এখানে যে চলচ্চিত্রের কথা বলা হচ্ছে, তা তৈরি হচ্ছে স্বয়ং নরম্যান বেটস আর তার পৈশাচিক কর্মকাণ্ডকে উপজীব্য করে। কেউ জানেনা খুনী এখনো কোথায়। নাকি সে এগিয়ে চলেছে হলিউডের পথেই! পলাতক নরম্যান বেটসকে খোঁজার এক অসম্ভব সংকল্প নিয়ে পথে নামলেন মনোবিদ ডা. ক্লেইবর্ন। পাড়ি জমালেন হলিউডের পথে। একে একে দৃশ্যপটে আবির্ভূত হলো চলচ্চিত্রের প্রযোজক মার্টি ড্রিসকল, পরিচালক স্যান্টো ভিজিনি, অভিনেতা পল মরগ্যান, অভিনেত্রী জ্যান হার্পার ও স্ক্রিপ্টরাইটার রয় অ্যামেস। আর এরা কে কি ভূমিকা পালন করেছিলো, তা জানার জন্য সাইকো ২-এর মাঝে ডুবে যেতে হবে আপনাকে। শেষপর্যন্ত নরম্যান বেটসের পরিণতি কি হয়েছিলো, জানার কৌতুহল দমানো কোন ভাবেই সম্ভব হবেনা বইটা শুরু করার পর। অনুবাদক মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ'র অনুবাদ ভালো হয়েছে। পুরো বইটা পড়তে গিয়ে কোথাও কোনো বাক্য দুর্বোধ্য মনে হয়নি।আমি তার সফলতা কামনা করছি। যারা পড়েন নি তারা পড়ে ফেলতে পারেন।আশা করি ভালো লাগবে। রেটিং:৪/৫
Was this review helpful to you?
or
বই : সাইকো ২ মূল : রবার্ট ব্লক অনুবাদ : মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রকাশক : আদী প্রকাশন প্রকাশকাল : নভেম্বর, ২০১৬ ধরনঃসাইকোলজিক্যাল থ্রিলার পৃষ্ঠা : ১৭৯ প্রচ্ছদ : আদনান আহমেদ রিজন মুদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা রবার্ট ব্লকের বিখ্যাত সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার সাইকো যারা পড়েছেন, তারা প্রত্যেকেই সাইকোপ্যাথ নরম্যান বেটসকে বিলক্ষণ চিনবেন। এই বইটাকে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার অন্যতম মাস্টারপিস হিসেবে ধরা হয়। সাইকো ২ এই বইয়ের সেকেন্ড ইন্সটলমেন্ট। স্টেট হসপিটাল। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছিলো নরম্যান বেটস। ডা. স্টাইনার আর ডা. অ্যাডাম ক্লেইবর্নের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তাকে অনেকটাই সুস্থ দেখাচ্ছিলো। কিন্তু এক বৈরি সন্ধ্যায় পালাতে সফল হলো বেটস মোটেলে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটানো চতুর সাইকোপ্যাথ নরম্যান বেটস। আর পালাতে গিয়ে নিজের স্বভাবগতো ভাবেই ঘটাতে লাগলো নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ডা. অ্যাডাম তাঁর রোগী'র পলায়নের পর অকূল সমুদ্রে পড়লেন। সে শুধুমাত্র একজন রোগীই না, বিপজ্জনক একটা চরিত্রও বটে। এদিকে নরম্যান বেটস ফিরে এসেছে স্বমূর্তিতে। একের পর এক খুন করে চলেছে সে। পথে রেখে চলেছে শিকারের রক্তের দাগ। হলিউডে তৈরি হচ্ছে একটা চলচ্চিত্র। বলতেই পারেন, এ আর নতুন কি! হলিউড তো চলচ্চিত্র তৈরির-ই কারখানা। এখানে যে চলচ্চিত্রের কথা বলা হচ্ছে, তা তৈরি হচ্ছে স্বয়ং নরম্যান বেটস আর তার পৈশাচিক কর্মকাণ্ডকে উপজীব্য করে। কেউ জানেনা খুনী এখনো কোথায়। নাকি সে এগিয়ে চলেছে হলিউডের পথেই! পলাতক নরম্যান বেটসকে খোঁজার এক অসম্ভব সংকল্প নিয়ে পথে নামলেন মনোবিদ ডা. ক্লেইবর্ন। পাড়ি জমালেন হলিউডের পথে। একে একে দৃশ্যপটে আবির্ভূত হলো চলচ্চিত্রের প্রযোজক মার্টি ড্রিসকল, পরিচালক স্যান্টো ভিজিনি, অভিনেতা পল মরগ্যান, অভিনেত্রী জ্যান হার্পার ও স্ক্রিপ্টরাইটার রয় অ্যামেস। আর এরা কে কি ভূমিকা পালন করেছিলো, তা জানার জন্য সাইকো ২-এর মাঝে ডুবে যেতে হবে আপনাকে। শেষপর্যন্ত নরম্যান বেটসের পরিণতি কি হয়েছিলো, জানার কৌতুহল দমানো কোন ভাবেই সম্ভব হবেনা বইটা শুরু করার পর। রবার্ট ব্লকের সাইকো বইটা পড়েছিলাম মোটামুটি বছর তিনেক আগে। নিঃসন্দেহে ভালো লেগেছিলো। কিন্তু সাইকো ২-এ এসে আমি সেই পুরোনো উত্তেজনাকর অনুভূতির দেখা সেভাবে পাইনি। যদিও শুরুর দিকে দারুন এক ভয়ের আবহ সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন লেখক। কিন্তু পরবর্তীতে সেই আবহ অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে। কাহিনির মধ্যভাগের পুরোটা হলিউড ভিত্তিক হওয়ার কারণে মাঝে মাঝেই আমার ধরে রাখা মনঃসংযোগের ব্যাঘাত ঘটেছে। অবশ্য এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটবে, এমন কোন কথা নেই। উপভোগ্য লেগেছে লেখকের রহস্য সৃষ্টির ব্যাপারটা। আর এই রহস্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বইটা শেষ করার উৎসাহ পেয়েছি। অনুবাদক মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ'র অনুবাদ দারুন সুখপাঠ্য ছিলো। পড়তে গিয়ে কোন স্থানেই বক্তব্য এতোটুকুও দুর্বোধ্য বা ধোঁয়াশাচ্ছন্ন বলে মনে হয়নি। এর আগে উনার অনূদিত ম্যাথিও রাইলী'র ট্রল মাউন্টেন পড়েছি। তাঁর অনুবাদ দিনকেদিন আরো সাবলীল হচ্ছে। পাঠককে ধরে রাখার মতো অনুবাদ বোধহয় একেই বলে। তাঁর সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করছি। সাইকো ২-এ বেশ কিছু প্রিন্টিং মিসটেক ছিলো। সেগুলো আমি ধর্তব্যের মধ্যে আনছিনা। তবে ছাপাখানা'র ভূতের কল্যাণে ১৫১ পৃষ্ঠায় পল মরগ্যানের পল নরম্যান হয়ে যাওয়ায় সামান্য বিভ্রান্ত হয়ে গেছিলাম। আদনান আহমেদ রিজনের প্রচ্ছদ মোটামুটি ভালোই লেগেছে। যারা এখনো পড়েননি, পড়ে ফেলতে পারেন সাইকো
Was this review helpful to you?
or
নরম্যান বেটসকে ভোলা খুব একটা সহজ হয়নি আমার পক্ষে। আশাকরি, আপনাদেরও মনে আছে তার কথা। আর মনে থাকাই স্বাভাবিক। এমন বিনম্র আর শান্ত একজন মানুষ। কিন্তু তার ভেতরের রূপ এতোটাই বীভৎস যে ভাবতেই গা শিউরে উঠে। তাকে ভোলা কঠিন। রবার্ট ব্লকের সাইকো সিরিজের প্রথম বই "সাইকো" যারা পড়েছেন, তারা সবাই নরম্যানের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুই সত্তার সাথেই পরিচিত। আর যারা "সাইকো" পড়েননি তারা দয়া করে এই বই এবং রিভিউ পড়বেন না। কাহিনী সংক্ষেপঃ সাইকো এর সেই সমস্ত নৃশংসতার পর নরম্যান বেটস এর স্থান হয় মানসিক হাসপাতালে। সেখানে বহুবছর চিকিৎসাধীন থাকার পর এখন অনেকটাই সুস্থ সে। অন্তত বাইরে থেকে সবার তাই ধারণা। এমনকি নরম্যান এর ডাক্তার অ্যাডাম ক্লেইবর্নের এমনি ধারণা। আর নরম্যান নিজেও সেভাবেই উপস্থাপন করে নিজেকে। দীর্ঘদিন কোন নৃশংসতা নেই। সেই আগের মতো শান্ত,বইপড়ুয়া নরম্যান। হ্যাঁ, মানসিক হাসপাতালেও তার সঙ্গী হচ্ছে সেখানকার লাইব্রেরীর হাজার হাজার বই। কিন্তু নরম্যান বেটস কি নিজে আদৌ সুস্থ হতে চায়? এদিকে হলিউডে নরম্যানকে নিয়েই বানানো হচ্ছে চলচ্চিত্র। বিশ্বাস হচ্ছে নাতো? ঠিক এমনি অবিশ্বাস্য ব্যাপার হতে যাচ্ছে। আর নরম্যান? কীভাবে নিবে এই ব্যাপারটিকে? ওর নিজের জীবনকে মানুষের সামনে প্রকাশ হতে দিবে কি সে? হায়! নরম্যান বেটস ফিরে এসেছে মানুষের মাঝে। এবারেও কি রক্তের খেলায় মত্ত হবে সে? মানব সমাজ বীভৎসতা আর নৃশংসতার মুখোমুখি হতে চলেছে আরো একবার! পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ রবার্ট ব্লকের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার "সাইকো" প্রকাশিত হবার প্রায় ২০ বছর পর বের হয়েছিলো "সাইকো-২"। সে হিসেবে নরম্যান মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বহু বছর। এতে করে সবার ভুলে যাওয়ার কথা বহু আগের বেটস মোটেলের সেই সব বীভৎসতা। কিন্তু চলচ্চিত্রের কারণে মানুষের মনে নতুন করে সবকিছুর সূত্রপাত ঘটানোর ব্যাপারটি পাঠক হিসেবেই আমার ভালো লাগেনি। সেখানে নরম্যান যে এসব ভালো চোখে দেখবেনা, এটাই স্বাভাবিক। কাহিনীর শেষে গিয়ে আপনি বোকা বনে যাবেন। কীভাবে কেন এসব হচ্ছে এই উত্তর খুঁজেই বই পড়া শেষ হবে। "সাইকো" পড়ে যেভাবে চমকেছিলাম এখানে একেবারে শেষে এসে তেমনি চমক অপেক্ষা করছিলো আমার জন্য। তবে কাহিনীর অনেককিছু বাড়তি লেগেছে। একারণে আমার পরিচিত অনেকের একঘেয়েমি এসেছে বইটি পড়তে। ফুয়াদ ভাইয়ের অনুবাদের সাথে পরিচয় আগে থেকেই। ভাই বরাবরেই সুখপাঠ্য অনুবাদ উপহার দিয়ে থাকেন। প্রচ্ছদটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আগের বইয়ের প্রচ্ছদ ভালো লাগেনি। নরম্যানের কাহিনীর সাথে ঠিক এমন প্রচ্ছদ যুতসই একেবারে। চমৎকার প্রচ্ছদ এর জন্য রিজন ভাই প্রশংসার দাবিদার। প্রিন্টিং মিসটেক ছিলো বেশকিছু। আ-কার,ই-কার এর ভুল,বর্ণ উল্টাপাল্টা এসব চোখে লেগেছে। সাইকো-২ অনুদিত হবার পর বেশ কিছু রিভিউ পড়েছি। তার মাঝে অনেকেই বলেছেন, ভালো লাগেনি বইটি। আমার পরিচিত এক ছোট ভাই তো বলেছে,এরকম বাজে বই নাকি সে আর পড়েনি। আসলে সবার পছন্দের ভিন্নতা তো থাকবেই। তবুও ভালো না লাগা বা তাদের অভিযোগের পেছনে আমার একটি ব্যক্তিগত মতামত আছে। সাইকো-১ এ হাতেগোণা কয়েকটি চরিত্রের আনাগোনা ছিলো। কিন্তু এখানে সাইকো-২ এ অনেকগুলি চরিত্রকে ঘিরে কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। সেই হিসেবে বর্ণনা আর কাহিনীর ব্যপ্তি ছিলো বেশি। এজন্য কিছুটা একঘেয়েমি চলে আসে। তবে পুরো বই পড়ে আমার বেশ লেগেছে। আগ্রহ নিয়ে শুরু করে তৃপ্তি নিয়ে শেষ করেছি। সাইকো পড়ার পর নরম্যানের প্রতি যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিলো এখানে এসে তা বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। এখন সাইকো-হাউস পড়ার অপেক্ষায়।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
|| রিভিউ || বই : সাইকো ২ মূল : রবার্ট ব্লক অনুবাদ : মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ প্রকাশক : আদী প্রকাশন প্রকাশকাল : নভেম্বর, ২০১৬ ঘরানা : সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার পৃষ্ঠা : ১৭৯ প্রচ্ছদ : আদনান আহমেদ রিজন মুদ্রিত মূল্য : ২৫০ টাকা রবার্ট ব্লকের বিখ্যাত সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার সাইকো যারা পড়েছেন, তারা প্রত্যেকেই সাইকোপ্যাথ নরম্যান বেটসকে বিলক্ষণ চিনবেন। এই বইটাকে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার অন্যতম মাস্টারপিস হিসেবে ধরা হয়। সাইকো ২ এই বইয়ের সেকেন্ড ইন্সটলমেন্ট। স্টেট হসপিটাল। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছিলো নরম্যান বেটস। ডা. স্টাইনার আর ডা. অ্যাডাম ক্লেইবর্নের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তাকে অনেকটাই সুস্থ দেখাচ্ছিলো। কিন্তু এক বৈরি সন্ধ্যায় পালাতে সফল হলো বেটস মোটেলে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটানো চতুর সাইকোপ্যাথ নরম্যান বেটস। আর পালাতে গিয়ে নিজের স্বভাবগতো ভাবেই ঘটাতে লাগলো নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ডা. অ্যাডাম তাঁর রোগী'র পলায়নের পর অকূল সমুদ্রে পড়লেন। সে শুধুমাত্র একজন রোগীই না, বিপজ্জনক একটা চরিত্রও বটে। এদিকে নরম্যান বেটস ফিরে এসেছে স্বমূর্তিতে। একের পর এক খুন করে চলেছে সে। পথে রেখে চলেছে শিকারের রক্তের দাগ। হলিউডে তৈরি হচ্ছে একটা চলচ্চিত্র। বলতেই পারেন, এ আর নতুন কি! হলিউড তো চলচ্চিত্র তৈরির-ই কারখানা। এখানে যে চলচ্চিত্রের কথা বলা হচ্ছে, তা তৈরি হচ্ছে স্বয়ং নরম্যান বেটস আর তার পৈশাচিক কর্মকাণ্ডকে উপজীব্য করে। কেউ জানেনা খুনী এখনো কোথায়। নাকি সে এগিয়ে চলেছে হলিউডের পথেই! পলাতক নরম্যান বেটসকে খোঁজার এক অসম্ভব সংকল্প নিয়ে পথে নামলেন মনোবিদ ডা. ক্লেইবর্ন। পাড়ি জমালেন হলিউডের পথে। একে একে দৃশ্যপটে আবির্ভূত হলো চলচ্চিত্রের প্রযোজক মার্টি ড্রিসকল, পরিচালক স্যান্টো ভিজিনি, অভিনেতা পল মরগ্যান, অভিনেত্রী জ্যান হার্পার ও স্ক্রিপ্টরাইটার রয় অ্যামেস। আর এরা কে কি ভূমিকা পালন করেছিলো, তা জানার জন্য সাইকো ২-এর মাঝে ডুবে যেতে হবে আপনাকে। শেষপর্যন্ত নরম্যান বেটসের পরিণতি কি হয়েছিলো, জানার কৌতুহল দমানো কোন ভাবেই সম্ভব হবেনা বইটা শুরু করার পর। রবার্ট ব্লকের সাইকো বইটা পড়েছিলাম মোটামুটি বছর তিনেক আগে। নিঃসন্দেহে ভালো লেগেছিলো। কিন্তু সাইকো ২-এ এসে আমি সেই পুরোনো উত্তেজনাকর অনুভূতির দেখা সেভাবে পাইনি। যদিও শুরুর দিকে দারুন এক ভয়ের আবহ সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন লেখক। কিন্তু পরবর্তীতে সেই আবহ অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে। কাহিনির মধ্যভাগের পুরোটা হলিউড ভিত্তিক হওয়ার কারণে মাঝে মাঝেই আমার ধরে রাখা মনঃসংযোগের ব্যাঘাত ঘটেছে। অবশ্য এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটবে, এমন কোন কথা নেই। উপভোগ্য লেগেছে লেখকের রহস্য সৃষ্টির ব্যাপারটা। আর এই রহস্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বইটা শেষ করার উৎসাহ পেয়েছি। অনুবাদক মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ'র অনুবাদ দারুন সুখপাঠ্য ছিলো। পড়তে গিয়ে কোন স্থানেই বক্তব্য এতোটুকুও দুর্বোধ্য বা ধোঁয়াশাচ্ছন্ন বলে মনে হয়নি। এর আগে উনার অনূদিত ম্যাথিও রাইলী'র ট্রল মাউন্টেন পড়েছি। তাঁর অনুবাদ দিনকেদিন আরো সাবলীল হচ্ছে। পাঠককে ধরে রাখার মতো অনুবাদ বোধহয় একেই বলে। তাঁর সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করছি। সাইকো ২-এ বেশ কিছু প্রিন্টিং মিসটেক ছিলো। সেগুলো আমি ধর্তব্যের মধ্যে আনছিনা। তবে ছাপাখানা'র ভূতের কল্যাণে ১৫১ পৃষ্ঠায় পল মরগ্যানের পল নরম্যান হয়ে যাওয়ায় সামান্য বিভ্রান্ত হয়ে গেছিলাম। আদনান আহমেদ রিজনের প্রচ্ছদ মোটামুটি ভালোই লেগেছে। যারা এখনো পড়েননি, পড়ে ফেলতে পারেন সাইকো ২। রেটিং : ৪/৫ মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ'র কিছু বই : ১. ট্রল মাউন্টেন - ম্যাথিউ রাইলী (অনুবাদ) ২. স্যান্ডস্টর্ম - জেমস রোলিন্স (অনুবাদ) ৩. আর্টেমিস ফাউল - ওয়েন কোলফার (অনুবাদ) ৪. স্টোরিজ - নীল গেইম্যান (অনুবাদ) ৫. রাত এগারোটা (মৌলিক) ৬. সিরিয়াল কিলার - আগাথা ক্রিস্টি (অনুবাদ) ৭. নীল নকশা (প্রকাশিতব্য, বইমেলা ২০১৭) © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
নরমান বেটসকে তো চেনেন? যদি চিনে থাকেন তবেই এই রিভিউ আপনার জন্য। যারা সাইকো ১ পড়েননি তারা এখানেই থেমে যান, সামনেই স্পয়লার অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। আচ্ছা যাইহোক, শুরু করা যাক। সাইকো ১ এ নরমান বেটস কিভাবে মেরি ক্রেন এবং গোয়েন্দাকে খুন করেছিল মনে আছে নিশ্চয়? মেরি ক্রেনের বোন লিলি ক্রেন এবং মেরির বয়ফ্রেন্ড স্যাম মিলস কিভাবে নরমান বেটস এর জীবনের অন্ধকার দিক উন্মোচন করে সেটাও মনে থাকার কথা। নরমান বেটস এর ভিতরে বসবাস করত ওর মৃত মা। মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিজর্ডার। একই সাথে সে নরমান বেটস আবার একই সাথে সে নিজেই তার মা। এসব কারণে মানসিক রুগি হিসেবে নরমানকে ভর্তি করা হয় একটা মানসিক হাসপাতালে। নরমান যে হাসপাতালে ছিল সেখানে ওর চিকিৎসা করছিল ড. ক্লেইবর্ন। তার চিকিৎসায় নরমান অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যায়। লাইব্রেরী থেকে প্রচুর বই পড়ে, নাটকে অভিনয় করে। মানে ওর মধ্যে কোনওভাবেই এখন আর ওর মায়ের চরিত্রটা ঢুকতে পারেনা। ড. ক্লেইবর্ন মোটামুটি সফল। তিনি তার সফলতার বর্ণনা দিয়ে নরমানকে নিয়ে একটা বই লিখতে চেয়েছিলেন। তার ধারণা এই বইটাই তার জীবনকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আবার ঐদিকে হলিউডে নরমান বেটস এর জীবনী নিয়ে একটা সিনেমা বানানোর পায়তারা চলছে। ঠিক এই মুহূর্তে............. পালালো নরমান। যাওয়ার পথে একের পর এক খুন করে যাচ্ছে। পেছনে বেশ মোটা একটা রক্তের দাগ রেখে যাচ্ছে। কে কে আছে ওর খুনের তালিকায়? চিন্তা করলেই শিউরে উঠবেন আপনি। থাক, চিন্তা আপাতত বাদ দেন। নরমান তো পালালো, এখন ড. ক্লেইবর্নের কি হবে? যেতে যেতে তাকে বড়সড় একটা বাশ দিয়ে গেল। ব্যর্থ প্রমাণ করে দিয়ে গেল তাকে? আর ঐদিকে সিনেমার কি খবর? শুটিং চলবে তো? নাকি বন্ধ করে দিতে হবে? সাইকো ১ পড়েছিলাম এক বছর আগে। পড়ার পর থেকেই অপেক্ষা করেছিলাম সাইকো ২ এর অনুবাদের জন্য। কিন্তু অপু সাহেব কথা রাখেননি। কথা রাখলেন ফুয়াদ ভাই। কথা দিয়েছিলেন এবারের বইমেলার আগেই অনুবাদ করবেন। যাইহোক, মূলকথায় আসি। সাইকো ১ পড়ার পর থেকেই প্রবল আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম এর বইটার জন্য। বইটি উপহার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ফুয়াদ ভাইকে। প্রথম বইয়ে যেরকম থ্রিল এবং সাসপেন্স ছিল সে তুলনায় এই বইয়ে তার উপস্থিতি একটু কম মনে হয়েছে আমার কাছে। তাছাড়া কাহিনী বিস্তৃত করতে গিয়ে বেশ ভালই বর্ণনা দিতে হয়েছে। বর্ণনার কারণে কিছু জায়গায় বিরক্তি লেগেছে আমার। তবে পুরো কাহিনীর সাপেক্ষে মনে হয়েছে ঐ বর্ণনাটুকুর দরকার ছিল। না থাকলে কাহিনী পরিপূর্ণতা পেতো না। প্রথম ১০০ পৃষ্ঠা পার হওয়ার পর কোনওকিছুই আপনাকে আর বোরড করতে পারবেনা। কাহিনী স্রোতের মত সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে আপনাকে। আদী’র বইয়ের বাধাই নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিলনা। এই বইয়ের বাধাইও চমৎকার। অসাধারণ একটা প্রচ্ছদের জন্য রিজন ভাইকে একটা ধন্যবাদ দেয়াই যায়। তবে..... এই প্রথম আদী’র বইয়ে বানান ভুলের আধিক্য চোখে পড়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় হ্রস্য-উ-কার ডিসপ্লেস হয়ে গেছে। এই জিনিষটা দৃষ্টিকটু লেগেছে। ফুয়াদ ভাইকে অনুরোধ করব পরবর্তীতে এই ব্যাপারে আরেকটু যত্নশীল হওয়ার জন্য।