User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনেক ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্টি, ভালো না লেগে কোথায় যাবে!!!
Was this review helpful to you?
or
গল্পটা ভালো। বইয়ের মানও ভালো। I'm satisfied
Was this review helpful to you?
or
দারুণ
Was this review helpful to you?
or
আমার সংগ্রহের জন্য অসম্ভব মূল্যবান সব বই!
Was this review helpful to you?
or
প্রত্যেকটি বই ভালো অবস্থায় পেয়েছি।?
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর বই
Was this review helpful to you?
or
HUMAYUN AHMED the very name is enough
Was this review helpful to you?
or
Nice
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে দ্বৈরথ বইটি ভালো ই লেগেছে। বইটির কথা মাথায় এলে একটি উক্তি মনে পড়ে যায় সেটি হলো-"আফিমের নেশার চেয়েও কড়া নেশা বইয়ের নেশা। আফিমের নেশার থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিন্তু বইয়ের নেশা থেকে কোনা মুক্তি নেই
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Best book every read
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি পড়ার মতো বই
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: "দ্বৈরথ" এ বইটি কি পরিমান সুন্দর ভাষায় প্রকাশ করা টা খুব কঠিন। কিছু কিছু বই আছে যেগুলো বার বার পড়তে ইচ্ছা হয় সেরকমই একটি বই এটি। গল্পের শেষ অংশটুকু পড়ে আমি অভিভূত।ভালোবাসার কি প্রচন্ড শক্তি এ বইটি পড়ে বুঝতে পেরেছি। একজন মানুষের মধ্যে সুন্দর শোভন বলে কিছুই নেই তবু সে ভালবাসতে জানে ভালোবাসতে পারে কিন্তু নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে বুঝাতে পারে না তার ভালোবাসা কতোটা তিব্র কতোটা শক্তিশালী। সবাই কে বই টা পড়ার অনুরোধ শেষ অংশ টা অসাধারন।
Was this review helpful to you?
or
ei boi ti pore ami kicu shikte parci . very great book
Was this review helpful to you?
or
উপন্যাসটি চমৎকার। উপন্যাসটিতে দেখা যায় সত্যিকারের ভালবাসা থাকলে কোনো বাধাই বাধা না।এক কথা ভাল লাগল
Was this review helpful to you?
or
This App is very helpful.easy to buy any book any time.Thanks Rokomari.com
Was this review helpful to you?
or
"দ্বৈরথ" হুমায়ুন আহমেদের অন্যতম উপন্যাস। ভালো লাগার মতো কোন নির্দিষ্ট কোন কারনই পাঠক খুজে পাবে না। তবে ভালো লাগবে। এবং একটা স্বস্তিদায়ক উপন্যাস। স্বস্তিদায়ক বললাম একারনে, লেখক এর উপন্যাস পড়ে ফেলার পর কেমন জানি অনূভূতি হতে থাকে। বই টা শেষ করে ফেলেছি তবু কি জানি পাই নি, এরকম একটা অভাব বোধ নিয়ে বইটা রেখে দিতে হয়। হয়তো এই উপন্যাসে অন্য কিছু ঘটবে। উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র সোমা। সে কলেজে পড়ে। যে কোন প্রয়োজনে সোমা একজন প্রফেসর কাছে যায়। লোকটি বিবাহিত। যদিও তেমন কিছু না, তবুও একদিন তার স্ত্রী এটা নিয়ে কুৎসা রটনা করে দিলো পাড়ায়। মেয়ে হিসেবে সোমার জন্য এটা বেশ অপ্রস্তুত অবস্থা। আর সে তার মোকাবেলা না করতে পেরে মামা বাড়ি চলে যায়। এবং সেখানেই কামাল নামে এক উদ্ভট লোকের সাথে বিয়ে হয়।উদ্ভট বলতে সে ঠিক সাধারন মানুষের মতো না। একটা জঞ্জাল পূর্ণ মানুষ। ভালো লাগার মতো কোন উপকরন ই নাই তার মাঝে। এমন কি একবার সে জেল ও খেটেছে। সোমা ছিলো খুবই গোছানো প্রকৃতির। স্বভাবতই তার পক্ষে এরকম একটা বিপরীত শ্রেনীর মানুষের সাথে ঠিকে থাকা সম্ভব হয় নি। তারই ফলস্রুতিতে তাদের ডিভোর্স হয়। সোমা চলে আসে তার বাবা মায়ের কাছে। এসে দেখে প্রফেসর এর বউ মারা গেছে। তাদের বাড়ির অর্ধেক অংশে থাকে তার বড়চাচা। সোমার ভাই বিজু তাকে উচ্ছেদ করতে চায়। কিন্তু পেরে উঠে না। তবে তার চেষ্টা চলতে থাকে। এখানে বিজু কে বেশ স্বার্থপর মনে হয়। ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় সোমার পরিবার চায় সে আবার সংসার করুক। তার জন্য তারা প্রফেসর কে পছন্দ করে। এর মধ্য দিয়ে কামাল এর আবার উদয় হয়। সে এটা সেটার জন্য সোমার কাছে আসা শুরু করে। একটা সময় সোমার কাছে মনে হয় প্রফেসর এর জন্য হয়তো তার কিঞ্চত দূর্বলতা থাকতে পারে। কিন্তু তার শেকল ছেড়া ভালবাসাটা শুধু কামাল এর জন্য। এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যেখানে সে পারে না তার ভালবাসা কে উপেক্ষা করতে, পারে না গ্রহন করতে। যা দন্ধে ফেলে দিবে পাঠক কেও। উপন্যাসের এই দুই দন্ধ নিয়ে মূল কাহিনী। আর সে দন্ধ গুলোতে পাঠকের এর স্থান হবে একটু খানি তা হলো বই গিলার সময়। আমরা সাধরনতই বই পড়ার সময় সেটার অনুভবে ডুবে থাকি। স্যাড ইন্ডিং হলে বই টা শেষ করার পরও একটা চাপ থাকে কন্ঠনালীতে। আর হ্যাপি ইন্ডিং হলে তা পুরো মুখে ছড়িয়ে যায়। তবে লেখক এর বই খুব কম সময়ই স্বস্তি দেয়। আমি বলতে চাচ্ছি, বইয়ে কি ইন্ডিং তা পাঠক ই খুজে নিবে। কিন্তু অন্য উপন্যাস গুলো থেকে দ্বৈরথ এর টুইস্ট অন্য রকম। শেষ দিকে একটা কথা হলো, আমি যাকে ভালবাসি, তার অপরাধ গুলো আমার কাছে সবসময় গৌন হয়ে যায়। সে যেরকম ই হোক না কেন, পছন্দের শীর্ষস্থান টা সেই দখল করে রাখে। কারন "আমি তাকে ভালোবাসি"। অনুভূতি, এতো কিছুর পরও খারাপ লাগার কোন জায়গা নেই। যদিও চরিত্র গুলোতে কিছু বিরক্ত লাগা থাকতে পারে। তবুও সব কিছু ছাপিয়ে বইটা পাঠকের কাছে একটা সুক্ষস্থান দখল করে নিবে।
Was this review helpful to you?
or
Osadharon ekta boi ..love it
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসগুলোর মধ্যে 'দ্বৈরথ' আমার খুব প্রিয় উপন্যাসগুলোর একটা। এখনো কাউকে উপহার দেওয়ার সময় এই বই এর কথা মনে আসে প্রথমেই। কারণটা খুবই সিম্পল আসলে। তবে সেটা বলতে পারছি না, কারণ স্পয়লার হয়ে যাবে। 'দ্বৈরথ' সোমার কাহিনী। পরিবেশের চাপে অল্প বয়সের ভালোলাগার মানুষ ছেড়ে তার বিয়ে হয় কামালের সাথে। কামাল পেশায় ঠকবাজ। তবে তার মধ্যে বেশ কিছু মানবিক গুণ রয়েছে। সোমা এক সময় কামালকে ছেড়ে যায়। সুযোগ পায় সেই ভালোলাগাকে পরিণয়ে পরিণত করার। এর বেশি কিছু বললে স্পয়লার হয়ে যাবে। বাকিটা পড়েই দেখুন।
Was this review helpful to you?
or
দ্বৈরথ বইটি (উপন্যাস) হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা একটি জনপ্রিয় বই । বইটিতে লেখক খুব সহজ সরল ভাবে ঘটনাবলি উপস্থাপন করেছেন । বইটির কাহিনি আসাধারন । আমার কাছে বইটি খুবই ভালো লেগেছে । বইটি পড়ার সময় আমি প্রতিটি মুহূর্তে পুলকিত হয়েছি । হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা বরাবর-ই আমার খুবই ভালো লাগে । এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয় । বইটি পড়তে পারেন ,আমার মনে হয় বইটি পড়ার পর আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে...............।
Was this review helpful to you?
or
কিছু কিছু সময় আমরা খুব সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়গুলো তখন পার হয়। মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বে কোন কিছু ভাল লাগে না। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হয় কোন একটা সাধারণ ঘটনা যা থেকে প্রেরণা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়৷ হুমায়ূন আহমেদ রচিত 'দ্বৈরথ' উপন্যাসটিতে এমন একটি পরিস্থিতিকে উপজীব্য করা হয়েছে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র সোমা। কলেজে পড়া অবস্থায় এক প্রফেসরের কাছ থেকে বই নিতে যেয়ে এক অনভিপ্রেত ঘটনার মুখোমুখি হয় সে। এই ঘটনার কারণে তড়িঘড়ি করে কামালের সাথে তার বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু কামাল একজন বাটপার এবং এ কারণে তাকে জেলও খাটতে হয়। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে সোমা কামালের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে বাবার বাসায় চলে আসে। সেখানে এসে সে নানান পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। এভাবে উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে। হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে বড় গুণ হল তিনি পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন। 'দ্বৈরথ' উপন্যাসের এক পর্যায়ে তিনি লিখেছেন, "আফিং-এর নেশার চেয়েও কড়া নেশা হচ্ছে বইয়ের নেশা। আফিং-এর নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিন্তু বইয়ের নেশা থেকে কোন মুক্তি নেই।" বাংলাদেশের বইপড়ুয়াদের একটা বড় অংশের মাঝে বইয়ের নেশা ধরিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং হুমায়ূন নিজে। 'দ্বৈরথ' উপন্যাসটি মাত্র ৮৬ পৃষ্ঠার। এক বসায় শেষ করে ফেলা যায়। আকারে ছোট হলেও নাটকীয়তায় ভরপুর উপন্যাসটি। সোমা, কামাল, বিজু প্রতিটি চরিত্র রহস্যময়। যার যেটা করার কথা না, ঔপন্যাসিক যেন তাকে দিয়ে সে কাজটাই করিয়েছেন৷ প্রফেসর চরিত্রটির জন্য ভালোলাগা ও শ্রদ্ধা কাজ করেছে। সবমিলিয়ে সুখপাঠ্য একটি উপন্যাস। হুমায়ূন ভক্তরা পড়ে দেখতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
কলেজে পড়াকালীন সময়ে সোমার জীবনে ঘটে যায় একটি বিশ্রী দুর্ঘটনা, আর সেই দুর্ঘটনার জের ধরেই তার বিয়ে হয় অতি ধুরন্ধর এক ব্যক্তির সাথে। কামাল নামের এই লোকটিকে সে প্রথম থেকেই অপছন্দ করে আসছিল, কারণ পছন্দ করার মত কোনকিছুই লোকটির নেই। কামাল হল ধান্দাবাজ প্রকৃতির মানুষ, লোক ঠকিয়েই যার পেট চলে। জেল খাটার অভিজ্ঞতাও সে ইতিমধ্যেই অর্জন করে ফেলেছে। তাছাড়া তার কথাবার্তা কুৎসিত, চলাফেরা কুৎসিত, কর্মকাণ্ডগুলিও কুৎসিত। মোট কথায় লোকটির জীবনে রুচিবোধের কোন স্থান নেই, সবকিছুই কুরুচিপূর্ণ।। এদিকে সোমা খুবই গোছানো মেয়ে, তার সবকিছুতেই সৌন্দর্যের ছোঁয়া। এমন একটি শৌখিন মেয়ের পক্ষে কামালের মত লোকের সংসার করা সম্ভব না, সোমাও পারেনি। তাই এক সকালে সব সম্পর্ক শেষ করে সে ফিরে এল তার বাবার সংসারে, ঝিকাতলার সেই পুরনো বাড়িতে। এই বাড়িতে বাবা মা ছাড়াও আছে সোমার ছোট ভাই বিজু ও ছোটবোণ ঊর্মি। বাড়ির অর্ধেক দখল করে আছেন তার বড়চাচা ছদরুদ্দিন। বিজু তার বড়চাচাকে উচ্ছেদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও তেমন লাভ হচ্ছেনা, বড়চাচা মাটি আঁকড়ে পড়ে আছেন। কামাল লোকটা ক্রিমিনাল টাইপের হলেও তার মনেও কিছু দয়া মায়া আছে, বিশেষ করে বিড়ালের প্রতি। তাছাড়া তার গরীব আত্মীয়-স্বজনদের নিয়মিত অর্থসাহায্য করে আসছে সে বহুদিন ধরে। সোমা চলে যাওয়ায় লোকটা খুব একা হয়ে পড়েছে, ইদানিং প্রায়ই সে সোমার অভাব অনুভব করে; তাই ডিভোর্সের পরও নানা বাহানায় দেখা করার চেষ্টা করে সোমার সঙ্গে। ঝিকাতলার বাড়িতে পুরনো অতীত এসে কড়া নাড়ে সোমার বর্তমানের দরজায়। অতীতের ভাললাগাকে নতুন করে ঝালিয়ে নিতে গিয়ে থমকে দাড়ায় সোমা, প্রফেসরের কথায় আরেকবার উঁকি দেয় তার মনের গহীনে। সেখানে আসলেই কি এমন কিছু আছে, যা তার নিজেরও অজানা? ব্যক্তিগত মতামতঃ এই বইটি আমি পড়েছিলাম অনেকদিন আগে। তখন যতটা ভাল লেগেছিল, এখন তার চেয়ে অনেক বেশি ভাল লেগেছে। বিজুকে অসহ্য লেগেছে, সোমাকেও অতটা ভাল লাগেনি, আর কামালের কথা তো বলাই বাহুল্য। তারপরও কেন যেন অসাধারণ লেগেছে বইটা।
Was this review helpful to you?
or
'দ্বৈরথ' উপন্যাসটিকে হুমায়ুন আহমেদের আর দশটা উপন্যাসের ভিড়ে খুবই সাধারণ মনে হবে। আমি অনেকক্ষণ ভেবেও এই উপন্যাসের কোন স্পেশালিটি খুঁজে পাই নাই। তবে স্থূল দৃষ্টিতে বিচার করলে দুইটি বিষয় এই উপন্যাস হতে প্রতীয়মান হয়। প্রথমত, লেখক দেখিয়েছেন মানুষের ভালোবাসা কতখানি গভীর হতে পারে যার জোরে তারা পারিপার্শ্বিক সবকিছুকে তুচ্ছজ্ঞান করতে পারে আর একবার কাউকে ভালবাসতে শুরু করলে সেই ব্যক্তি সমাজের চোখে যতই হীন প্রতিপন্ন হোক না কেন, তাকে ছাড়া পৃথিবীর সবকিছু অর্থহীন হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, লেখক দেখিয়েছেন মানুষের মন ও তার গতি প্রকৃতি কত বিচিত্র যে ক্ষণে ক্ষণে তা সিদ্ধান্ত বদলায়। অবশ্য যে দুইটি বিষয়ের উল্লেখ করলাম তা এমন নতুন কিছু না। এবার কাহিনী নিয়ে কথা বলা যাক। সোমা নামের মেয়েটা পাড়ার এক প্রফেসরের বাসায় যেত বই নিতে। প্রফেসরের প্রতি তার একটু আধটু ভালোবাসাও জন্মেছিল। কিন্তু এক বর্ষনমুখর সন্ধ্যায় সোমা প্রফেসরের বাসায় গেলে অকারণ সন্দেহবশত প্রফেসরের মানসিক বিকারগ্রস্ত স্ত্রী তাদের সন্দেহ নিয়ে বাজে কথা বলতে শুরু করে। ফলে পাড়ায় তাদের নিয়ে কুৎসা রটলে মেয়েটা প্রথমে মামার বাড়ি পালিয়ে যায় আর পরে উরিচিত এক লোকের সাথে হুট করে তার বিয়ে হয়ে যায়। সেই লোকটার স্বভাব অনেক খারাপ আর লোক ঠকানো প্রকৃতির। একবার জেলও খেটেছে। লোকটার সাথে থাকাকালীন সোমা তার সাথে মানিয়ে নিতে পারেনি। তাই ডিভোর্স নিয়ে সে লোকটাকে ছেড়ে চলে আসে। ততদিনে প্রফেসরের স্ত্রী মারা গেছে। সোমার বাড়ির সবাই চায় সোমা প্রফেসরকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করুক। কিন্তু সোমা তখন বুঝতে পারে যে বাজে লোকটাকে ছেড়ে সে চলে এসেছে, সে আসলে সেই লোকটাকেই ভালোবাসে এবং তাকে ছাড়া সে থাকতে পারছে না। তাহলে এবার কি করবে সোমা? একই সমান্তরালে আরেকটা কাহিনী দেখা যাবে। সোমা বাড়ি ফিরে আসার পর দেখতে পাবে তার ছোট ভাই বিজু তাদের বড়চাচাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে। বড় চাচাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ তাই বাড়ি থেকে তাদের তাড়িয়ে দিলে পরিবারসহ তাকে তার শালাদের কাছে যেয়ে আস্রয় নিতে হবে আর সারাজীবন তাদের নিগ্রহ নিয়ে তাকে বাঁচতে হবে। কিন্তু বড়চাচা সে জীবন চান না। শেষ পর্যন্ত কি বিজু তাকে সত্যিই বাড়িছাড়া করবে? এরকমই দুটি ভিন্ন ভিন্ন গল্প বলা হয়েছে 'দ্বৈরথ' উপন্যাসে। সাধারণত হুমায়ুন আহমেদ তাঁর রচনায় এমন কিছু করেন যে পাঠক তাদের অবচেতন মনে এমন একটা সমাপ্তি প্রত্যাশা করতে থাকে যাকে বলা যায় হ্যাপি এন্ডিং। অথচ হুমায়ুন আহমেদের অধিকাংশ রচনায়ই এই হ্যাপি এন্ডিং হয় না, কেমন একটা ধোয়াশার মধ্য দিয়ে কাহিনী শেষ হয়। কিন্তু সেদিক থেকে এই উপন্যাসটি বেশ আলাদা তাই উপন্যাসটি পড়ে অধিকাংশ পাঠকই যেমন আরাম পাবে তেমনি পড়া শেষে মানসিক সন্তুষ্টিও লাভ করতে পারবে।