User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আগাথা ক্রিস্টির বিখ্যাত গোয়েন্দা উপন্যাস "ABC Murder" এর অনুবাদ ই হলো এই "সিরিয়াল কিলার"। এতে বিখ্যাত গোয়েন্দা এরকুল পেয়ারোর আরেকটি রহস্য উন্মোচনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। কাহিনীর শুরুতে এক খুনী এরকুল পেয়ারোকে চিঠি দিয়ে চ্যালেন্জ জানায়। তবে এই খুনী একটু ব্যতিক্রমধর্মী। সে বর্ণের ক্রমানুযায়ী খুনের জায়গা ও ভিকটিম কে নির্বাচন করে।মানে প্রথমে সে A অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া একটা জায়গার A দিয়ে শুরু হওয়া নামের একটি মানুষকে খুন করে, তারপর এভাবে B,C.....। প্রতিটি খুনের আগে সে এরকুল পেয়ারোকে চিঠি দিয়ে চ্যালেন্ঞ্চ জানায়।রহস্য উদঘাটনে পেয়ারো মাঠে নামলেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড কে সাথে নিয়ে। কি সেই রহস্য ,কেনই বা খুনী সিরিয়াল কিলিং করছে,তার অসাধারণ সমাধান দেওয়া আছে এই বইতে এরকুল পেয়ারোর বুদ্ধিদীপ্ত তদন্তের মাধ্যমে।বইটি আমার এতই নেশা ধরিয়েছিল যে,আমি এক বসাতেই এটি পড়ে শেষ করেছি।
Was this review helpful to you?
or
|| রিভিউ || বই : সিরিয়াল কিলার মূল : আগাথা ক্রিস্টি রূপান্তর : মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ ও তৌফির হাসান উর রাকিব প্রকাশক : সেবা প্রকাশনী প্রকাশকাল : ২০১৬ ঘরানা : মার্ডার মিস্ট্রি পৃষ্ঠা : ৩১২ প্রচ্ছদ : রনবীর আহমেদ বিপ্লব মুদ্রিত মূল্য : ১১২ টাকা আগাথা ক্রিস্টিকে বলা হয় রহস্যরাণী। তাঁর সৃষ্ট বিখ্যাত দুই গোয়েন্দা চরিত্র মিস মার্পল আর এরকুল পোয়ারোকে নিয়ে তিনি লিখেছেন অনেকগুলো উপন্যাস ও বড় গল্প। তাঁর বিখ্যাত গোয়েন্দা উপন্যাস গুলোর একটা হচ্ছে দ্য এ বি সি মার্ডার্স। সেবা প্রকাশনী থেকে এই উপন্যাসটাই অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে সিরিয়াল কিলার নামে। আর নিঃসন্দেহে, নামকরণ একেবারে শতভাগ সার্থক। লন্ডন। দুঁদে গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো অদ্ভুত এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেন। মি. এ বি সি নামের কেউ একজন তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চিঠি লিখেছে। খুন হবে, পারলে আটকাও। এটাই সেই চিঠির মূল বক্তব্য। হলোও খুন। এরকুল পোয়ারো মাঠে নেমে পড়লেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে সাথে নিয়ে। সঙ্গী হলেন তাঁর অকৃত্রিম বন্ধু ক্যাপ্টেন আর্থার হেস্টিংস। খুনের কিছু সনাতন নিয়ম আছে। আর সেই সনাতন নিয়ম মেনেই খুনী একের পর এক খুনের পরিকল্পনা করে চলেছে। আর এর অংশ হিসেবে সে মেনে চলেছে ইংরেজি বর্ণমালা'র সিরিয়াল। এ থেকে জেড পর্যন্ত লক্ষ্য এই উন্মাদ খুনী'র। নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্ট বিরতি'র পর যখন একের পর এক খুন হতে লাগলো, টনক নড়েও যেন কোন লাভ হলোনা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন মোড়ে নানা রকম মার্ডার মিস্ট্রি নিয়ে কাজ করলেও এই এ বি সি মার্ডার গুলো যেন একেবারে আনকোরা দুঁদে গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো আর তাঁর সহযোগী ক্যাপ্টেন আর্থার হেস্টিংসের কাছে। এদিকে প্রতিটা খুনের আগেই খুনী সদম্ভে পাঠিয়ে চলেছে পূর্বাভাষ মূলক চিঠি। অফিসার ক্রোমের সবজান্তা মনোভাব বা পোয়ারো'র অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান, কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছেনা। সমাধান যেন অধরাই। এভাবেই দ্বিধাদ্বন্দ্বের মাঝে দিয়ে এগিয়ে চলছে এই অনবদ্য মার্ডার মিস্ট্রির কাহিনি। এই কাহিনি'র কিছু অংশ বর্ণিত হয়েছে ক্যাপ্টেন আর্থার হেস্টিংসের জবানীতে আর কিছু অংশ নাম পুরুষে। তবে তা কাহিনি'র গতিপ্রকৃতি বুঝতে কোন সমস্যার সৃষ্টি করেনি। ৩১২ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসের ক্লাইম্যাক্স এতোটাই চমকপ্রদ যে নিজের অবস্থান থেকেও নড়েচড়ে বসতে হয়েছে আমাকে। বলতে বাধ্য হয়েছি - অসাধারণ! আগাথা ক্রিস্টি'র লেখা বিচার করার মতো ধৃষ্টতা আমার নেই। সেটা দেখাবোওনা। রহস্য সৃষ্টির সেই আদি ও অকৃত্রিম ধারা সিরিয়াল কিলারের ক্ষেত্রেই ধ্রুব হয়ে ছিলো, যা আমার পাঠকমনকে পরিতৃপ্ত করেছে। সেই চিরচেনা আগাথা কাহিনির স্বাদ আরেকবার পেলাম অবিকৃত ভাবে। অনুবাদকদ্বয়ের এটাই একসাথে প্রথম কাজ। বইয়ের শুরুতে তাঁদের একজন তৌফির হাসান উর রাকিব বলেন, "ফুয়াদ ভাই এই বইটার কঙ্কাল তৈরি করে দেন আর রক্তমাংস লাগানোর কাজটা করি আমি।" মো: ফুয়াদ আল ফিদাহ ও তৌফির হাসান উর রাকিব মিলে যে একটা মাস্টারপিসকে সেটার প্রকৃত আদল ঠিক রেখে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন তা নির্দ্বিধায় প্রশংসার যোগ্য। সেবা সুলভ সাবলীল অনুবাদের জন্য উভয়কেই জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। রনবীর আহমেদ বিপ্লবের গতানুগতিক অনেক প্রচ্ছদের ভিড়ে সিরিয়াল কিলারের প্রচ্ছদটা নজর কেড়েছে। আগাথা ক্রিস্টি'র এমন পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস গুলো সেবা থেকে আরো পেতে চাই, পড়তে চাই। নিখাদ রহস্য কাহিনি'র ভক্তরা এই হটকেক চেখে দেখতে পারেন। আমন্ত্রণ রইলো। রেটিং : ৪.৮/৫ © শুভাগত দীপ
Was this review helpful to you?
or
‘সিরিয়াল কিলার’ আগাথা ক্রিষ্টি এর লেখা অসাধারন একটি থ্রিলার উপন্যাস । আগাথা ক্রিষ্টি অসাধারন একজন থ্রিলার লেখক । তার সৃষ্ট চরিত্র পোয়ারো একটি জনপ্রিয় চরিত্র । তার লেখা বইটি বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে । বইটির প্রকাশনা সংস্থা সেবা প্রকাশনী । বইটির প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন । বইটির প্রচ্ছদ করেছেন বিদেশী ছবির অবলম্বনে রনবীর আহমেদ বিপ্লব । বইটির অনুবাদ করেছেন মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ ও তৌফির হাসান উর রকিব । বইটির নাম থেকেই সহজেই আচ করা যায় যে বইটি একটি সিরিয়াল কিলার এর কাহিনী নিয়ে লেখা । বইটি তে বলা হয়েছে এক সিরিয়াল কিলার এর কথা যা একের পর এক খুন করে চলেছে , পুলিশের নাকের ডগা দিয়েই হচ্ছে এই খুন গুলো কিন্তু পুলিশ কোনো তথ্য বের করতে পারে না । সিরিয়াল কিলার এর বৈশিষ্ট, সে অদ্ভুত এক সিরিয়াল ধরে খুন করছে , ইংরেজি বর্নমালার সিরিয়ালে । এই খুনি আবার চ্যালেঞ্জ দিলো গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারকে , তাকে পরবর্তী খুন এর স্থান কাল সবকিছুই জানিয়ে দিলো , তাকে বলল পারলে আমাকে ঠেকাও । স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড কে সাথে নিয়ে গোয়েন্দা এরকুল নেমে পরলো কাজে , কিন্তু এই ভয়ংকর ধুর্ত সিরিয়াল কিলারের সাথে পেড়ে ওঠা কঠিন । এইসব নিরাপত্তার মধ্যেও লোকটি তার কাজ চালিয়ে যায় , সে তার ইংরেজী বর্নমালা ধরে ধরে এগোতে থাকে এ থেকে যেড এর দিকে । কি তার উদ্দেশ্য , কি তার স্বার্থ কেউ কিছুই বলতে পারে না, তাকে থামাতেই হবে নাহলে ইংল্যান্ড এর ওপরে নেমে আসবে প্রলয় । অসাধারন টান টান উত্তেজনাকর এ উপন্যাস টি সকলেই উপভোগ করবেন ।
Was this review helpful to you?
or
চারজন বসে বসে ব্রিজ খেলছে। আর পঞ্চম জন, খেলার সুযোগ না পেয়ে বসে ছিল আগুনের ধারে চেয়ারে । সন্ধ্যা শেষে দেখা গেল, এই পঞ্চম লোকটি খুন হয়ে গেছে। ব্রিজ খেলার প্রতি বাটে একজনকে ডামি হতে হয়। চারজনের মাঝে একজন যখন ডামি, তখনই সে খুনটা করে বসে। বাকি তিনজন খেলা নিতে এতটা মগ্ন ছিল, যে তা টের পায়নি। খুঁজে বের করতে হবে, এই চারজনের মাঝে খুনি কে!.... আহ, এমন ধাধাই হচ্ছে পোয়ারোর জন্য পারফেক্ট কেস। প্রায় ছকে বাধা এ ধরনের কেসের রহস্যভেদ করতে দেখা যায় তাকে।যেখানে খুনি উপন্যাসে ফোকাস পাওয়া চরিত্রদের একজন। যে নিজের এলিবাই ঠিক করে, নিজেকে আড়াল করে রাখে প্রথম থেকেই।রহস্যের কানাগলি মাড়িয়ে,সেখান থেকে খুনিকে বের করাই পোয়ারোর কাজ। কিন্তু সিরিয়াল কিলার বই হিসেবে এবং পোয়ারোর কেস হিসেবে খানিকটা আলাদা।প্রথম দিকে সেই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় বইয়ের পাতায়। যেখানে খুনি নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করছেনা। বরং রহস্যভেদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে নামকরা গোয়েন্দার উদ্দেশ্যে। কাহিনী সংক্ষেপ: অবসর থেকে ফিরলেন এরকুল পোয়ারো। সঙ্গী হিসেবে যোগ দিল বন্ধুবর হেস্টিংস। যাকে আমরা গল্পের কথক চরিত্রে সবসময় দেখি।পোয়ারর ধারণা, দুজন সঙ্গে থাকলে জমজমাট কেস পাওয়া যায়। তাই এবারে আরো জটিল রহস্য আশা করছেন তিনি। জুটেও গেল তেমনি একখানা কেস। খুনি অগ্রিম চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে , কোথায় কোনদিন খুন হতে যাচ্ছে। প্রথমবার কাকতালীয় ব্যাপার বা উড়োচিঠি ভেবে একটু দোনোমনা থাকলে, দ্বিতীয় বার সন্দেহের কোনো উপায় নেই। চিঠির মালিক স্বয়ং খুন গুলো করে যাচ্ছে ইংলিশ এলফাবেটের বর্ণক্রম অনুসারে। এ,বি,সি.....। জায়গা এবং খুন হওয়া ব্যক্তির নামের প্রথম অক্ষরেও থাকছে সেম মিল। এবং প্রতিটা খুন একেবারে নিখুঁত। নেই কোনো মোটিভ, নেই কোনো উদ্দেশ্য, স্রেফ শখের বশেই যেন খুন করে চলছে উন্মাদ খুনি। "এমন কেস শার্লক হোমসের কথা মনে করিয়ে দেয়।যেখানে খুনি নামনিশানা হীন। পুলিশ কেস গুটিয়ে এনেছে এমন ভাব (যদিও তাদের কল্পনাতেই থাকেনা, আসল খুনির পরিচয়)। অথচ সবাইকে তাক লাগিয়ে খুনি ধরা দিয়ে যায় ওভারস্মার্ট হোমসের বাড়িতে।" কিন্তু এবারের পাল্লায় শার্লক হোমস নেই। আছেন বেলজিয়ান গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো। যিনি কেস সমাধান করেন যুক্তির পর যুক্তি দাড় করিয়ে। কিন্তু তার কপালটা মন্দই বলতে হয়। এবার বের করতে হবে যুক্তি মেনে না চলা এক সিরিয়াল কিলার কে। যে শিকার হিসেবে বেছে নিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বয়সের নারী এবং পুরুষ। পোয়ারো মনে করে, খুন করাটা সিরিয়াল কিলারের আসল উদ্দেশ্য নয়। স্বয়ং তাকে উপহাস করার জন্যই খুনির মাঠে নামা। এদিকে থামবার কোনো লক্ষণই নেই উন্মাদ খুনির। এ থেকে জেড পর্যন্ত গিয়ে থামা সম্ভবত তার লক্ষ্য। কিন্তু এতগুলো খুন কিভাবেই বা হতে দিবে পোয়ারো? আর কিভাবেই বা সামলাবে খুনিকে? চিন্তিত আমাদের দুঁদে গোয়েন্দা ,দিশেহারা হেস্টিংস, বিচলিত বাঘা বাঘা পুলিস। কিন্তু কথায় আছে, যেমনি বুনো ওল তেমনি বাঘা তেতুল। পোয়ারোকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে পাড় পেয়ে যাবে, তা কিভাবে হয় ? মতামত: রহস্য রাণী আগাথা ক্রিস্টির বই মাথা ঘামাবার জন্যই। কিন্তু আমার পছন্দ দৌড়ানি, শার্লক হোমসের মতো ওভারস্মার্ট গোয়েন্দা। তবুও ক্রিস্টির কোনো বই আমায় হতাশ করেছে, একথা এখন পর্যন্ত বলার উপায় নেই। পোয়ারোর কেস গুলোর ধরণ এক হলেও, প্রতিটা বইয়ে থাকে আলাদা কাহিনী, আলাদা টুইস্ট, আলাদা স্বাদ। সেজন্য অবহেলা করার উপায় নেই। পোয়ারোর কেসের শেষ ভাগ বিরক্তিকর লাগে। খুনি কে কে হতে পারে, এই তালিকা হবার পরেই শুরু হয় গ্যাঁজানো। সিরিয়াল কিলারের প্রথম দুশো পেজ এমন জলঘোলা করা ব্যাপার লেগেছে। এই অংশটা ৫০-৮০ পেজে নামিয়ে আনলে পড়ে আরাম পেতাম। আগেই বলেছি আমি থ্রিলার পাঠক, আমার ইচ্ছা দৌড়ের উপর থাকা। শুধুমাত্র এটুকু বাদ দিলে সিরিয়াল কিলার ছোটোখাটো পকেট বোম। ক্রিস্টির প্রতিটা বইয়ে খুনির পরিচয় ফাস হয়ে গেলে, চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যায়। যাকে চিন্তার মধ্যেই আনা হয়না, শেষমেশ দেখা যায় সেই খুনি। কিন্তু সিরিয়াল কিলারের পরিচয় জেনে পুরো একশ ভোল্টের শক খেয়েছি। প্রথম দুশো পেজে মনে হয়েছিল এই বইয়ের রেটিং ২/৫ এর উপরে দিবনা। কিন্তু শেষ একশ পেজ পড়ে সেটা ৪/৫ হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে হতাশ করেননি রহস্য রাণী। হতাশ করেননি দুই অনুবাদক মোঃ ফুয়াদ আল ফিদাহ ও তৌফির হাসানুর রকিব। সেবা'র বই... এরপরে আর অনুবাদ নিয়ে বাড়তি কথা বলার প্রয়োজন হয়না। কিন্তু প্রশ্ন অন্যখানে এসে যায়। এক বইয়ে যখন দুজন অনুবাদক, তাহলে দু স্টাইলের অনুবাদের সম্ভাবনা থাকে! এ সমাধান ভূমিকাতেই ছিল। ফুয়াদ ভাই কঙ্কাল দাড় করিয়েছেন, আর তাতে রক্ত মাংস দিয়েছেন রকিব ভাই। যিনি যে দায়িত্বই পালন করে থাকুক, আমার দিক থেকে ওনারা শতভাগ সফল। সেবার অন্যান্য অনুবাদের মতোই ফার্স্টক্লাস হয়েছে। মলাট খুলে মৌলিক বই বলেও চালিয়ে দেয়া যায়। পরিশেষে বলব, হাতে অবসর থাকলে সিরিয়াল কিলারের খোঁজে বের হতে মন্দ লাগার কথা না।
Was this review helpful to you?
or
নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে এটা সিরিয়াল কিলিং নিয়ে লেখা একটা রহস্য গল্প। যারা আগাথা ক্রিস্টির নাম জানেন তারা তার সৃষ্ট চরিত্র এরকুল পোয়ারো এর নামও নিশ্চয় জানেন? এরকুল অবসরে ছিল। ওঁর অবসর অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়না। ব্যালে ড্যান্সের মহিলার মত অবসর নিয়েও বারবার ফিরে আসে এরকুল পোয়ারো। এবার ভাবছিল যথেষ্ট মাথা খাটানোর মত একটা রহস্য দরকার ওর। এবং পেয়েও যায় সেরকম। কাহিনীতে কিছুটা আলোকপাত করি। একজন সিরিয়াল কিলার একের পর এক খুন করছে। যাকে বলে একদম পার্ফেক্ট মার্ডার। কোনও সূত্র নেই। কিন্তু খুনির চিন্তাধারা একটু অদ্ভুতই বলা যায়। ইংরেজি বর্ণমালার ক্রমানুসারে সে খুনের জায়গা এবং যাকে খুন করবে তাকে সিলেক্ট করে। ধরুন প্রথম বর্ণ 'A' অনুযায়ী সে খুন করল আরামবাগের আদি'কে, সেইভাবে দ্বিতীয় খুনটা করবে বাসাবোর বাবু সর্দারকে। বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয় ব্যাপারটা? ইন্টারেস্টিং না? আরও ব্যাপার আছে। প্রত্যেকটা খুনের আগে খুনি এরকুল পোয়ারোর কাছে একটা করে চিঠি পাঠায়। সেখানে লেখা থাকে আগামী খুনের তারিখ এবং জায়গা, কাকে খুন করবে সেটা সে বলেনা। এরকুলকে চ্যালেঞ্জ জানায় এটা বের করতে। চিন্তা করেছেন কত রহস্যময় একটা ব্যাপার? এদিকে দুঁদে গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো কিছুতেই কুল পাচ্ছেন না। খুনি একটার পর একটা খুন করেই যাচ্ছে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডও কোনও সুবিধা করতে পারছেনা। কিন্তু যেখানে এরকুলকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে সেখানে খুনি তো অবশ্যই ধরা পড়বে, তাইনা? তবে সেই পর্যন্ত যেতে যেতে আপনার ব্লাড প্রেশার বেড়ে যেতে পারে :D এবার আসি এরকুল পোয়ারোর চরিত্রে। ইংল্যান্ডে বসবাসকারী বেলজিয়ান গোয়েন্দা। বিদেশি বলে অনেক ব্রিটিশই ওকে দেখতে পারেনা। তবে দেখতে না পারলেও ওঁর কাজকে সবাই সম্মান করে। শার্লক হোমসে যেমন ড. ওয়াটসন ছিল, ব্যোমকেশে যেমন অজিত ছিল, কিরীটীতে যেমন সুব্রত ছিল তেমনি এরকুল পোয়ারোরও একজন বন্ধু বলুন আর সহকারীই বলুন আছে। ক্যাপ্টেন আর্থার হেস্টিংস। পোয়ারোর প্রায় সব কেসেই সে উপস্থিত ছিল। চমৎকার চরিত্র এই হেস্টিংস। কারণে অকারণে খোঁচা দেয় পোয়ারোকে। পোয়ারোও উত্তর দিতে ছাড়েনা অবশ্য :D এবার একটা সত্যি কথা বলি, কেউ রিয়্যাক্ট করবেন না প্লিজ। এই কথা শুনে অনুবাদকের একজন, ফুয়াদ আল ফিদাহ ভাই আমাকে আনফ্রেন্ড করে দিতে চেয়েছিলেন :( কথাটা হল, এটাই আমার প্রথম এরকুল পোয়ারো পড়া এবং সেইসাথে আগাথা ক্রিস্টিও :D আগাথাকে রহস্যের রানী বলা হয়ে থাকলেও আমি এর আগে কখনও তার লেখা কোনও গল্প পড়িনি, সেটা আমার দুর্ভাগ্য। তবে কি।মিস যে করেছি সেটা বলে আর দুঃখ বাড়াতে চাইনা। পুরোটা বই এক নিশ্বাসে পড়তে বাধ্য হতে হয়েছে আমাকে। একটু পর পরই গল্পে নতুন মোড় এসেছে। সাসপেন্সও ছিল ভরপুর, নার্ভে প্রেশার পড়ে অনেক। বলতে গেলে এক কথায় অসাধারণ। রূপান্তরের ক্ষেত্রে বলতে হয় চমৎকার কাজ দেখিয়েছেন দুজনেই। ফুয়াদ ভাইয়ের অনুবাদের সাথে আগেই পরিচিত ছিলাম। যা এক্সপেক্ট করেছি তার থেকে বেশিই পেয়েছি। তৌফির রাকিব ভাইয়ের লেখা আগে পড়িনি কখনও এটাই প্রথম। অনেক চেষ্টা করেছি ক্ষুত ধরতে, পারিনি। অভিনন্দন দুজনকেই। আশা করি ভবিষ্যতে আরও কিছু ভালো অনুবাদ পাব :) বইয়ের ভূমিকাতেই বলা হয়েছে দুজন মিলে অনুবাদ করলে সচরাচর যেটা হয়, দুজন দুই অংশ লিখে এখানে সেরকম হয়নি। ফুয়াদ ভাই স্ট্রাকচারটা ঠিক করেছেন এবং তৌফির রাকিব ভাই আস্তর দিয়েছেন। তাদের দুজনের চেষ্টা একদম সফল। একটা রিভিউতে দেখলাম একজন বলেছিল মন অ্যামির ব্যাপারটা নিয়ে।।যেসব জায়গায় শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে, আমার সেটা খাপছাড়া লাগেনি।